চবি প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রলীগের পক্ষগুলোর মধ্যকার সংঘর্ষ থামাতে উপাচার্য ও তাঁর প্রশাসন নজিরবিহীনভাবে ব্যর্থ বলে দাবি করেছেন শিক্ষক সমিতি। সংঘর্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে ব্যর্থতাকে আড়াল করতে এর দায় শিক্ষকদের ওপর চাপানো হয়েছে বলেও অভিমত সংগঠনটির।
আজ মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল হক।
এর আগে ১৮ ফেব্রুয়ারি নগরীর চারুকলা ইনস্টিটিউটে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সংবাদ সম্মেলনে একটি ছাত্র সংগঠনের বিভিন্ন উপ-গ্রুপের মধ্যকার সংঘর্ষের জন্য শিক্ষক সমিতির আন্দোলনকে দায়ী করায় এর প্রতিবাদ জানায় শিক্ষক সমিতির নেতারা।
অধ্যাপক আবদুল হক বলেন, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি ঐতিহ্যবাহী উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ ব্যক্তি উপাচার্য, সহ-উপাচার্যসহ কয়েকজন সুবিধাভোগী একটি ছাত্রসংগঠনের অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষের দায় শিক্ষক সমিতির আন্দোলন কিংবা শিক্ষক সমিতির ওপর চাপানোর চেষ্টা আমাদের হতবাক করেছে।
বিশেষ করে প্রকাশ্যে লাগাতার সংঘর্ষে লিপ্ত ছাত্রসংগঠনটির নাম পর্যন্ত উচ্চারণ না করে তাঁকে ছাত্রদের মধ্যকার সংঘর্ষ আখ্যা দিয়ে এর দায় শিক্ষক সমিতির ওপর চাপানোর অপচেষ্টা তাঁদের চরম প্রশাসনিক দেউলিয়াত্বের প্রমাণ করে বলে শিক্ষক সমিতি মনে করে।’
তিনি বলেন, ‘ছাত্রসংগঠনের পক্ষগুলোর মধ্যকার সংঘর্ষ থামাতে কিংবা তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে নজিরবিহীন ব্যর্থতাকে আড়াল করার জন্য উপাচার্য এবং তাঁর লোকজন এর দায় শিক্ষক সমিতির ওপর দিয়ে প্রদত্ত বক্তব্য কেবল হাস্যকর নয় বরং চরম অসংলগ্ন ও ভারসাম্যহীন। যার মধ্য দিয়ে তাদের তীব্র মনোবৈকল্য এবং প্রশাসনিক অদক্ষতার নির্লজ্জ বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে বলে শিক্ষক সমিতি মনে করে।’
অধ্যাপক আবদুল হক বলেন, ‘তারা বলেছেন, শিক্ষক সমিতির আন্দোলনের কারণে তাঁদের ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। কিন্তু, তাঁদের বিভিন্ন অনিয়ম, অসংগতি, নিয়োগ দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ইত্যাদি বিষয়ে যে শত শত সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছে তাতে তাঁদের ভাবমূর্তির দশা কী রূপ পরিগ্রহ করেছে তা কিন্তু বলেননি।’
তিনি আরও বলেন, ‘উপাচার্য নিজের পরিদর্শন ভাতা ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি করেছেন, অথচ সাধারণ শিক্ষকদের ক্ষেত্রে দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে মাত্র ৫ শতাংশ পরিদর্শন ভাতা বাড়ানো হয়েছে। এ ছাড়া ভর্তি পরীক্ষায় আয় হয়েছে প্রায় ২১ থেকে ২৩ কোটি টাকা। সেখানে আমরা হিসাব করে দেখলাম, খুব বেশি হলে এখানে ৭-৮ কোটি টাকার বেশি খরচ হওয়ার কোনো সুযোগই নেই। তাহলে এ অর্থ কোথায় যাচ্ছে? এ টাকা কোন খাতে ব্যয় করছেন, সেটা যদি সবার সামনে তুলে না ধরেন, তাহলে শিক্ষকদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নুর ভর্তি পরীক্ষার ফরম বিক্রির টাকা শিক্ষক ও একটি ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীরা ভাগাভাগি করে নেওয়া সংক্রান্ত বিষয়েও কথা বলেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী। তিনি বলেন, ‘এ অভিযোগের কারণে টাকা ভাগাভাগির দায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষকদের ওপরেও এসে পড়েছে। অথচ এসবের সঙ্গে শুধুমাত্র প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরাই জড়িত থাকতে পারে। কেননা সাধারণ শিক্ষকেরা আয়-ব্যয়ের হিসাবও জানেন না, ভাগ-বাঁটোয়ারার হিসাব তো অনেক দূরের বিষয়।’
ড. মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী বলেন, ‘কর্তৃপক্ষ বলছে, ভর্তি পরীক্ষার যে আয় এর চেয়ে বেশি ব্যয় হয়। আমরা বলেছি, যদি ঘাটতি থাকে, তাহলে প্রয়োজনে আমরা হল পরিদর্শনের যে সম্মানী সেটা আমরা নেব না, কিন্তু আয়-ব্যয়ের হিসাবটা যেই সভায় আপনারা নির্ধারণ করেন, সেখানে শিক্ষক সমিতির একজন সদস্যকে রাখুন। তাহলে শিক্ষকদের প্রতিনিধি হিসেবে আমরা বাকিদের কাছে সঠিক তথ্যটা পৌঁছে দেব। কিন্তু তাঁরা এতে রাজি হননি।’
এ সময় শিক্ষক সমিতির সহসভাপতি অধ্যাপক ড. আলা উদ্দিন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলী আরশাদ চৌধুরী, সদস্য অধ্যাপক ড. লায়লা খালেদাসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রলীগের পক্ষগুলোর মধ্যকার সংঘর্ষ থামাতে উপাচার্য ও তাঁর প্রশাসন নজিরবিহীনভাবে ব্যর্থ বলে দাবি করেছেন শিক্ষক সমিতি। সংঘর্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে ব্যর্থতাকে আড়াল করতে এর দায় শিক্ষকদের ওপর চাপানো হয়েছে বলেও অভিমত সংগঠনটির।
আজ মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল হক।
এর আগে ১৮ ফেব্রুয়ারি নগরীর চারুকলা ইনস্টিটিউটে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সংবাদ সম্মেলনে একটি ছাত্র সংগঠনের বিভিন্ন উপ-গ্রুপের মধ্যকার সংঘর্ষের জন্য শিক্ষক সমিতির আন্দোলনকে দায়ী করায় এর প্রতিবাদ জানায় শিক্ষক সমিতির নেতারা।
অধ্যাপক আবদুল হক বলেন, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি ঐতিহ্যবাহী উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ ব্যক্তি উপাচার্য, সহ-উপাচার্যসহ কয়েকজন সুবিধাভোগী একটি ছাত্রসংগঠনের অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষের দায় শিক্ষক সমিতির আন্দোলন কিংবা শিক্ষক সমিতির ওপর চাপানোর চেষ্টা আমাদের হতবাক করেছে।
বিশেষ করে প্রকাশ্যে লাগাতার সংঘর্ষে লিপ্ত ছাত্রসংগঠনটির নাম পর্যন্ত উচ্চারণ না করে তাঁকে ছাত্রদের মধ্যকার সংঘর্ষ আখ্যা দিয়ে এর দায় শিক্ষক সমিতির ওপর চাপানোর অপচেষ্টা তাঁদের চরম প্রশাসনিক দেউলিয়াত্বের প্রমাণ করে বলে শিক্ষক সমিতি মনে করে।’
তিনি বলেন, ‘ছাত্রসংগঠনের পক্ষগুলোর মধ্যকার সংঘর্ষ থামাতে কিংবা তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে নজিরবিহীন ব্যর্থতাকে আড়াল করার জন্য উপাচার্য এবং তাঁর লোকজন এর দায় শিক্ষক সমিতির ওপর দিয়ে প্রদত্ত বক্তব্য কেবল হাস্যকর নয় বরং চরম অসংলগ্ন ও ভারসাম্যহীন। যার মধ্য দিয়ে তাদের তীব্র মনোবৈকল্য এবং প্রশাসনিক অদক্ষতার নির্লজ্জ বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে বলে শিক্ষক সমিতি মনে করে।’
অধ্যাপক আবদুল হক বলেন, ‘তারা বলেছেন, শিক্ষক সমিতির আন্দোলনের কারণে তাঁদের ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। কিন্তু, তাঁদের বিভিন্ন অনিয়ম, অসংগতি, নিয়োগ দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ইত্যাদি বিষয়ে যে শত শত সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছে তাতে তাঁদের ভাবমূর্তির দশা কী রূপ পরিগ্রহ করেছে তা কিন্তু বলেননি।’
তিনি আরও বলেন, ‘উপাচার্য নিজের পরিদর্শন ভাতা ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি করেছেন, অথচ সাধারণ শিক্ষকদের ক্ষেত্রে দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে মাত্র ৫ শতাংশ পরিদর্শন ভাতা বাড়ানো হয়েছে। এ ছাড়া ভর্তি পরীক্ষায় আয় হয়েছে প্রায় ২১ থেকে ২৩ কোটি টাকা। সেখানে আমরা হিসাব করে দেখলাম, খুব বেশি হলে এখানে ৭-৮ কোটি টাকার বেশি খরচ হওয়ার কোনো সুযোগই নেই। তাহলে এ অর্থ কোথায় যাচ্ছে? এ টাকা কোন খাতে ব্যয় করছেন, সেটা যদি সবার সামনে তুলে না ধরেন, তাহলে শিক্ষকদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নুর ভর্তি পরীক্ষার ফরম বিক্রির টাকা শিক্ষক ও একটি ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীরা ভাগাভাগি করে নেওয়া সংক্রান্ত বিষয়েও কথা বলেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী। তিনি বলেন, ‘এ অভিযোগের কারণে টাকা ভাগাভাগির দায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষকদের ওপরেও এসে পড়েছে। অথচ এসবের সঙ্গে শুধুমাত্র প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরাই জড়িত থাকতে পারে। কেননা সাধারণ শিক্ষকেরা আয়-ব্যয়ের হিসাবও জানেন না, ভাগ-বাঁটোয়ারার হিসাব তো অনেক দূরের বিষয়।’
ড. মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী বলেন, ‘কর্তৃপক্ষ বলছে, ভর্তি পরীক্ষার যে আয় এর চেয়ে বেশি ব্যয় হয়। আমরা বলেছি, যদি ঘাটতি থাকে, তাহলে প্রয়োজনে আমরা হল পরিদর্শনের যে সম্মানী সেটা আমরা নেব না, কিন্তু আয়-ব্যয়ের হিসাবটা যেই সভায় আপনারা নির্ধারণ করেন, সেখানে শিক্ষক সমিতির একজন সদস্যকে রাখুন। তাহলে শিক্ষকদের প্রতিনিধি হিসেবে আমরা বাকিদের কাছে সঠিক তথ্যটা পৌঁছে দেব। কিন্তু তাঁরা এতে রাজি হননি।’
এ সময় শিক্ষক সমিতির সহসভাপতি অধ্যাপক ড. আলা উদ্দিন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলী আরশাদ চৌধুরী, সদস্য অধ্যাপক ড. লায়লা খালেদাসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পুরোপুরি পাকেনি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের হাওরের ধান। তবে অকালবন্যার শঙ্কায় ১ বৈশাখ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ধান কাটা শুরু হয়েছে। কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, ইতিমধ্যে ৩০ ভাগের বেশি জমির বোরো ফসল ঘরে তুলেছেন কৃষক।
১৯ মিনিট আগেবরগুনার আমতলী উপজেলার খেকুয়ানী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভবনের নিচতলায় বসছে পানের বাজার। খেকুয়ানী বাজারের ইজারাদার শাহ আলম শিকদার এ বাজার বসাচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
১ ঘণ্টা আগেরাজধানীর উত্তরার রেসিডেনসিয়াল ল্যাবরেটরি কলেজে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। কলেজের চেয়ারম্যানের যাচ্ছেতাই নিয়মে চলছে প্রতিষ্ঠানটি। দুটি বিষয়ের মাত্র তিনজন শিক্ষক দিয়ে চলছে কলেজটির শিক্ষা কার্যক্রম।
২ ঘণ্টা আগেভারতীয় চেইন হসপিটাল ফর্টিস এসকর্টস হার্ট ইনস্টিটিউটের নাম ভাঙিয়ে শতকোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ উঠেছে এএফসি হেলথ লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। প্রতিষ্ঠানটি ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও কুমিল্লায় ‘ফর্টিস’ নামে চারটি শাখা
২ ঘণ্টা আগে