কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার আটটি ইউনিয়নে ২৩টি কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম যথাযথভাবে চলছে না। সরকারের প্রশংসনীয় ও সাহসী জনসেবামূলক এই প্রকল্প জনস্বার্থে গ্রহণ করা হলেও জনবলের সংকট এবং লজিস্টিক সাপোর্টের অভাবে এ থেকে কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছে না প্রান্তিক জনগোষ্ঠী।
জানা গেছে, প্রতি ছয় হাজার জনগোষ্ঠীর জন্য একটি করে কমিউনিটি ক্লিনিক করার লক্ষ্য থাকলেও ক্লিনিক করার জন্য প্রয়োজনীয় জমিদাতার সংকটের কারণে কাঙ্ক্ষিতসংখ্যক ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা সম্ভব হয়নি। নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় সাড়ে চার লক্ষ মানুষের জন্য বর্তমানে মাত্র ২৩টি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে, যার মাধ্যমে জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে, যা লক্ষ্যমাত্রার এক-তৃতীয়াংশেরও কম।
২৩টি কমিউনিটি ক্লিনিকে শিশুস্বাস্থ্য, মাতৃত্বকালীন পরিচর্যাসহ প্রাথমিক চিকিৎসায় ২৭ ধরনের ওষুধসহ প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয় বলে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ সেলিম। তবে জনবলের সংকটের কারণে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে কাঙ্ক্ষিত সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
তিনি আরও জানান, প্রতিটি ক্লিনিকে একজন করে কমিউনিটি হেলথ সাপোর্ট প্রোভাইডার, (সিএইচসিপি) সপ্তাহে ছয় দিন এবং একজন করে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ সহকারী সপ্তাহে তিন দিন করে সেবাপ্রার্থীদের সেবা দিয়ে থাকেন। এসব ক্লিনিকে মাসে এক দিন টিকাদান কর্মসূচিসহ ইপিআই কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে জানা গেছে।
সম্প্রতি এক শনিবার সকাল ১০টায় উপজেলার চরপার্বতী ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে বীর মুক্তিযোদ্ধা নারুল হুদার বাড়ির সামনে থাকা কমিউনিটি ক্লিনিকে গিয়ে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। সকাল ১০টায়ও তালাবদ্ধ ওই ক্লিনিক, সেবা নিতে আসা লোকজনকে তালাবদ্ধ দেখে ফিরে যেতে দেখা যায়। রড-সিসি ঢালাইয়ের পিলারের ওপর দাঁড়ানো ক্লিনিক ভাবনের নিচে দেখা যায় ঠাসাঠাসিভাবে সাজানো বিশাল লাকড়ির স্তূপ। দেখে মনে হয়নি এটি একটি ক্লিনিক। এদিন তালাবদ্ধ থাকা প্রসঙ্গে ডাক্তার মোহাম্মদ সেলিম বলেন, টিকা কার্যক্রমে সহায়তার জন্য কমিউনিটি হেলথ সাপোর্ট প্রোভাইডারদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
সিরাজপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড দক্ষিণ শাহজাদপুর (জালিয়া পুকুর) কমিউনিটি ক্লিনিকে গিয়ে সরকার সরবরাহকৃত সাধারণ ওষুধও পায় না বলে অভিযোগ করেছেন সেবা নিতে আাসা কয়েকজন প্রান্তিক নারী। অথচ ওষুধ সরবরাহে তেমন কোনো শৈথিল্যের প্রমাণ মেলেনি। তবে টিকাদান কর্মসূচি ঠিকমতো চলছে বলে অনেকে জানিয়েছেন। কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন, ওই ক্লিনিকে সরবরাহকৃত বিনা মূল্যের ওষুধ জালিয়া পুকুর এলাকার ফার্মেসিগুলোতে অহরহ পাওয়া যায়।
তবে এ ক্ষেত্রে কিছুটা ব্যতিক্রম আশাবাজার কমিউনিটি ক্লিনিক। এই ক্লিনিকের অবস্থান উপজেলার চরএলাহীর গাঙচিলের আশাবাজারে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিনে গত ২৭ সেপ্টেম্বরে এই ক্লিনিকে এক দিনে
১ হাজার ২০০ নরনারীকে কোভিড টিকা দেওয়া হয়।
কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ে জানতে চাইলে নোয়াখালীর সাবেক সিভিল সার্জন ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাবেক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এ কে এম কামাল উদ্দিন জানান, প্রকল্পটি ছিল বর্তমান সরকারের সাহসী ও উচ্চাভিলাষী প্রকল্প। কথার অনেক ফুলঝুরি থাকলেও পরিকল্পনা অনুযায়ী জনবল ও লজিস্টিক সাপোর্টের অভাবে জনগণ কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছে না।
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার আটটি ইউনিয়নে ২৩টি কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম যথাযথভাবে চলছে না। সরকারের প্রশংসনীয় ও সাহসী জনসেবামূলক এই প্রকল্প জনস্বার্থে গ্রহণ করা হলেও জনবলের সংকট এবং লজিস্টিক সাপোর্টের অভাবে এ থেকে কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছে না প্রান্তিক জনগোষ্ঠী।
জানা গেছে, প্রতি ছয় হাজার জনগোষ্ঠীর জন্য একটি করে কমিউনিটি ক্লিনিক করার লক্ষ্য থাকলেও ক্লিনিক করার জন্য প্রয়োজনীয় জমিদাতার সংকটের কারণে কাঙ্ক্ষিতসংখ্যক ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা সম্ভব হয়নি। নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় সাড়ে চার লক্ষ মানুষের জন্য বর্তমানে মাত্র ২৩টি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে, যার মাধ্যমে জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে, যা লক্ষ্যমাত্রার এক-তৃতীয়াংশেরও কম।
২৩টি কমিউনিটি ক্লিনিকে শিশুস্বাস্থ্য, মাতৃত্বকালীন পরিচর্যাসহ প্রাথমিক চিকিৎসায় ২৭ ধরনের ওষুধসহ প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয় বলে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ সেলিম। তবে জনবলের সংকটের কারণে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে কাঙ্ক্ষিত সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
তিনি আরও জানান, প্রতিটি ক্লিনিকে একজন করে কমিউনিটি হেলথ সাপোর্ট প্রোভাইডার, (সিএইচসিপি) সপ্তাহে ছয় দিন এবং একজন করে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ সহকারী সপ্তাহে তিন দিন করে সেবাপ্রার্থীদের সেবা দিয়ে থাকেন। এসব ক্লিনিকে মাসে এক দিন টিকাদান কর্মসূচিসহ ইপিআই কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে জানা গেছে।
সম্প্রতি এক শনিবার সকাল ১০টায় উপজেলার চরপার্বতী ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে বীর মুক্তিযোদ্ধা নারুল হুদার বাড়ির সামনে থাকা কমিউনিটি ক্লিনিকে গিয়ে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। সকাল ১০টায়ও তালাবদ্ধ ওই ক্লিনিক, সেবা নিতে আসা লোকজনকে তালাবদ্ধ দেখে ফিরে যেতে দেখা যায়। রড-সিসি ঢালাইয়ের পিলারের ওপর দাঁড়ানো ক্লিনিক ভাবনের নিচে দেখা যায় ঠাসাঠাসিভাবে সাজানো বিশাল লাকড়ির স্তূপ। দেখে মনে হয়নি এটি একটি ক্লিনিক। এদিন তালাবদ্ধ থাকা প্রসঙ্গে ডাক্তার মোহাম্মদ সেলিম বলেন, টিকা কার্যক্রমে সহায়তার জন্য কমিউনিটি হেলথ সাপোর্ট প্রোভাইডারদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
সিরাজপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড দক্ষিণ শাহজাদপুর (জালিয়া পুকুর) কমিউনিটি ক্লিনিকে গিয়ে সরকার সরবরাহকৃত সাধারণ ওষুধও পায় না বলে অভিযোগ করেছেন সেবা নিতে আাসা কয়েকজন প্রান্তিক নারী। অথচ ওষুধ সরবরাহে তেমন কোনো শৈথিল্যের প্রমাণ মেলেনি। তবে টিকাদান কর্মসূচি ঠিকমতো চলছে বলে অনেকে জানিয়েছেন। কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন, ওই ক্লিনিকে সরবরাহকৃত বিনা মূল্যের ওষুধ জালিয়া পুকুর এলাকার ফার্মেসিগুলোতে অহরহ পাওয়া যায়।
তবে এ ক্ষেত্রে কিছুটা ব্যতিক্রম আশাবাজার কমিউনিটি ক্লিনিক। এই ক্লিনিকের অবস্থান উপজেলার চরএলাহীর গাঙচিলের আশাবাজারে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিনে গত ২৭ সেপ্টেম্বরে এই ক্লিনিকে এক দিনে
১ হাজার ২০০ নরনারীকে কোভিড টিকা দেওয়া হয়।
কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ে জানতে চাইলে নোয়াখালীর সাবেক সিভিল সার্জন ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাবেক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এ কে এম কামাল উদ্দিন জানান, প্রকল্পটি ছিল বর্তমান সরকারের সাহসী ও উচ্চাভিলাষী প্রকল্প। কথার অনেক ফুলঝুরি থাকলেও পরিকল্পনা অনুযায়ী জনবল ও লজিস্টিক সাপোর্টের অভাবে জনগণ কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছে না।
পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নতুন ভবন নির্মাণে ২০১৪ সালে প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছিল জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। প্রকল্পটির এক দশকে অর্থ বরাদ্দ ৫৪৬ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ৬৫১ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। শেষ হয়েছে বর্ধিত মেয়াদও। তবু কাজ শেষ হয়নি। এতে কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে জেলা
২ ঘণ্টা আগেটানা বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলে উত্তরের নদ-নদীর পানি বেড়েছে; বিশেষ করে তিস্তা নদীর পানি বিভিন্ন পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করায় রংপুর বিভাগের অন্তত চার জেলায় বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট ও নীলফামারীর নদীতীরবর্তী নিম্নাঞ্চল এরই মধ্যে প্লাবিত হতে শুরু করেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড
২ ঘণ্টা আগেরাজশাহী শহরের অর্ধেকের বেশি তরুণ মানসিকভাবে ভালো নেই। বিষণ্নতায় ভুগছেন তাঁরা। গবেষকেরা বলছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেরংপুরের কাউনিয়ায় সারের নতুন দোকান উদ্বোধনকালে বিদ্যুতায়িত হয়ে দুজন মারা গেছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন। এর মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
৫ ঘণ্টা আগে