নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড (ইউসিবিএল) থেকে ২৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের মামলায় গ্রেপ্তার সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের দুই সহযোগী এবং আরামিট গ্রুপের কর্মকর্তা উৎপল পাল ও মো. আবদুল আজিজ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
জবানবন্দিতে আসামিরা সাবেক এই মন্ত্রীর অবৈধ সম্পদ দেখাশোনা ও পরিচালনার দায়িত্বে থাকা এবং তাঁদের মাধ্যমে এ পর্যন্ত জাবেদের শত শত কোটি টাকা দেশের বাইরে পাচার হয়েছে বলে স্বীকার করেন।
আজ সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম ষষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলাউদ্দিন মাহমুদের আদালত এই দুই আসামির জবানবন্দি নেন।
আসামিদের মধ্যে মামলাটির এজাহারনামীয় আসামি হলেন আবদুল আজিজ। তিনি আরামিট থাই অ্যালুমিনিয়াম লিমিটেডের সহকারী মহাব্যবস্থাপক এবং তদন্তে প্রাপ্ত আসামি উৎপল পাল আরামিট গ্রুপের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (হিসাব)। এই দুটি প্রতিষ্ঠানই সাবেক মন্ত্রী সাইফুজ্জামান জাবেদের পারিবারিক মালিকানাধীন।
দুদকের সরকারি কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট মোকাররম হোসাইন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ইউসিবিএল থেকে ২৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের ঘটনায় দুদকের মামলায় রিমান্ডে থাকা উৎপল পাল ও মো. আবদুল আজিজ আদালতে দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
দুই আসামির জবানবন্দির বরাতে মোকাররম হোসাইন বলেন, তাঁরা শুধু আরামিট গ্রুপের কর্মকর্তাই ছিলেন না, তাঁরা সাবেক মন্ত্রী জাবেদের ও তাঁর স্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা হিসেবেও কাজ করতেন। দেশে জাবেদের যেসব অবৈধ সম্পদ ছিল, সেগুলোর দেখাশোনা, পরিচালনা, হিসাবনিকাশসহ সবই তাঁরা করতেন। তাঁদের মাধ্যমে সাবেক ভূমিমন্ত্রী শত শত কোটি টাকা অবৈধভাবে বিদেশে পাচার করেছেন।
আইনজীবী মোকাররম হোসাইন বলেন, জবানবন্দির ভাষ্য অনুযায়ী দেখা যায়, এই দুজন আসামি জাবেদের অবৈধ সম্পদ অর্জন ও বিদেশে অর্থ পাচারের মূল হোতা হিসেবে কাজ করছিলেন।
এর আগে গত ২৪ জুলাই ইউসিবিএল থেকে ২৫ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে বিদেশে পাচারের অভিযোগে জাবেদ, তাঁর স্ত্রী রুকমিলাসহ ৩১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলার তথ্যানুযায়ী, সেই ঋণ নিতে গিয়েও জাবেদ জালিয়াতির আশ্রয় নেন। নিজ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান আরামিট গ্রুপের কর্মচারীকে নামসর্বস্ব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের মালিক সাজিয়ে নেওয়া হয় ঋণ।
সেই ঋণ আরও কয়েকটি নামসর্বস্ব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নামে খোলা ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা হয়। এরপর সে টাকা পাচার করা হয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে।
ওই মামলা তদন্তে নেমে ১৭ সেপ্টেম্বর রাতে আরামিট গ্রুপের দুই সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) আবদুল আজিজ ও উৎপল পালকে নগরীর ডবলমুরিং থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে দুদকের টিম। এরপর তাঁদের আদালতের নির্দেশে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
দুদক বলছে, সাবেক মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা হিসেবে বিদেশের সম্পদ অর্জন ও দেখাশোনার দায়িত্বে ছিলেন উৎপল পাল। তিনি দেশ থেকে দুবাই ও দুবাই থেকে যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশে জাবেদের পরিবারের অর্থ পাচার প্রক্রিয়ার মাস্টারমাইন্ড। অন্যদিকে আবদুল আজিজ জাবেদের সম্পদ কেনাবেচা ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে ছিলেন।
এদিকে দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রামের দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ (ভারপ্রাপ্ত) মো. আবদুর রহমানের আদালত সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ ও তাঁর স্ত্রী রুকমিলা জামানের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারির আদেশ দিয়েছেন।
একই দিন ভোরে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহা এলাকার সাবেক মন্ত্রীর স্ত্রীর গাড়িচালকের বাড়ির পাশ থেকে ২৩ বস্তা নথিপত্র জব্দ করে দুদক। দুদক বলছে, নথিপত্রগুলো সাবেক মন্ত্রী জাবেদের দেশে-বিদেশে থাকা সম্পদের দলিলসহ বিভিন্ন হিসাবনিকাশের।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. মশিউর রহমান নথিপত্র প্রাথমিক যাচাই-বাছাইয়ের পর জানিয়েছেন, তাঁরা কিছু সম্পদের নাম পেয়েছেন। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতসহ মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ায় জাবেদের নামে সম্পদ রয়েছে।
ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড (ইউসিবিএল) থেকে ২৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের মামলায় গ্রেপ্তার সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের দুই সহযোগী এবং আরামিট গ্রুপের কর্মকর্তা উৎপল পাল ও মো. আবদুল আজিজ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
জবানবন্দিতে আসামিরা সাবেক এই মন্ত্রীর অবৈধ সম্পদ দেখাশোনা ও পরিচালনার দায়িত্বে থাকা এবং তাঁদের মাধ্যমে এ পর্যন্ত জাবেদের শত শত কোটি টাকা দেশের বাইরে পাচার হয়েছে বলে স্বীকার করেন।
আজ সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম ষষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলাউদ্দিন মাহমুদের আদালত এই দুই আসামির জবানবন্দি নেন।
আসামিদের মধ্যে মামলাটির এজাহারনামীয় আসামি হলেন আবদুল আজিজ। তিনি আরামিট থাই অ্যালুমিনিয়াম লিমিটেডের সহকারী মহাব্যবস্থাপক এবং তদন্তে প্রাপ্ত আসামি উৎপল পাল আরামিট গ্রুপের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (হিসাব)। এই দুটি প্রতিষ্ঠানই সাবেক মন্ত্রী সাইফুজ্জামান জাবেদের পারিবারিক মালিকানাধীন।
দুদকের সরকারি কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট মোকাররম হোসাইন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ইউসিবিএল থেকে ২৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের ঘটনায় দুদকের মামলায় রিমান্ডে থাকা উৎপল পাল ও মো. আবদুল আজিজ আদালতে দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
দুই আসামির জবানবন্দির বরাতে মোকাররম হোসাইন বলেন, তাঁরা শুধু আরামিট গ্রুপের কর্মকর্তাই ছিলেন না, তাঁরা সাবেক মন্ত্রী জাবেদের ও তাঁর স্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা হিসেবেও কাজ করতেন। দেশে জাবেদের যেসব অবৈধ সম্পদ ছিল, সেগুলোর দেখাশোনা, পরিচালনা, হিসাবনিকাশসহ সবই তাঁরা করতেন। তাঁদের মাধ্যমে সাবেক ভূমিমন্ত্রী শত শত কোটি টাকা অবৈধভাবে বিদেশে পাচার করেছেন।
আইনজীবী মোকাররম হোসাইন বলেন, জবানবন্দির ভাষ্য অনুযায়ী দেখা যায়, এই দুজন আসামি জাবেদের অবৈধ সম্পদ অর্জন ও বিদেশে অর্থ পাচারের মূল হোতা হিসেবে কাজ করছিলেন।
এর আগে গত ২৪ জুলাই ইউসিবিএল থেকে ২৫ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে বিদেশে পাচারের অভিযোগে জাবেদ, তাঁর স্ত্রী রুকমিলাসহ ৩১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলার তথ্যানুযায়ী, সেই ঋণ নিতে গিয়েও জাবেদ জালিয়াতির আশ্রয় নেন। নিজ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান আরামিট গ্রুপের কর্মচারীকে নামসর্বস্ব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের মালিক সাজিয়ে নেওয়া হয় ঋণ।
সেই ঋণ আরও কয়েকটি নামসর্বস্ব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নামে খোলা ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা হয়। এরপর সে টাকা পাচার করা হয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে।
ওই মামলা তদন্তে নেমে ১৭ সেপ্টেম্বর রাতে আরামিট গ্রুপের দুই সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) আবদুল আজিজ ও উৎপল পালকে নগরীর ডবলমুরিং থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে দুদকের টিম। এরপর তাঁদের আদালতের নির্দেশে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
দুদক বলছে, সাবেক মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা হিসেবে বিদেশের সম্পদ অর্জন ও দেখাশোনার দায়িত্বে ছিলেন উৎপল পাল। তিনি দেশ থেকে দুবাই ও দুবাই থেকে যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশে জাবেদের পরিবারের অর্থ পাচার প্রক্রিয়ার মাস্টারমাইন্ড। অন্যদিকে আবদুল আজিজ জাবেদের সম্পদ কেনাবেচা ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে ছিলেন।
এদিকে দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রামের দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ (ভারপ্রাপ্ত) মো. আবদুর রহমানের আদালত সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ ও তাঁর স্ত্রী রুকমিলা জামানের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারির আদেশ দিয়েছেন।
একই দিন ভোরে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহা এলাকার সাবেক মন্ত্রীর স্ত্রীর গাড়িচালকের বাড়ির পাশ থেকে ২৩ বস্তা নথিপত্র জব্দ করে দুদক। দুদক বলছে, নথিপত্রগুলো সাবেক মন্ত্রী জাবেদের দেশে-বিদেশে থাকা সম্পদের দলিলসহ বিভিন্ন হিসাবনিকাশের।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. মশিউর রহমান নথিপত্র প্রাথমিক যাচাই-বাছাইয়ের পর জানিয়েছেন, তাঁরা কিছু সম্পদের নাম পেয়েছেন। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতসহ মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ায় জাবেদের নামে সম্পদ রয়েছে।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজে শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত চারজন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের সময় অবৈধ অস্ত্র প্রদর্শনের অভিযোগ করেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
১৭ মিনিট আগেসুন্দরবনের দুবলার চরে তিন দিনব্যাপী রাসপূর্ণিমা উৎসব আগামী ৩ নভেম্বর শুরু হচ্ছে। পুণ্যস্নানের জন্য সনাতন ধর্মাবলম্বী ও দর্শনার্থীদের যাতায়াতে বন বিভাগ পাঁচটি পথ (রুট) নির্ধারণ করেছে। এ সময় হরিণ মারার ফাঁদসহ বিভিন্ন দ্রব্য বহন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
৩৪ মিনিট আগেলাইসেন্সধারী খুচরা সার বিক্রেতাদের জন্য ২০০৯ সালের নীতিমালা বহাল রাখার দাবিতে কিশোরগঞ্জে মানববন্ধন করেছে খুচরা সার বিক্রেতা অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ। আজ রোববার (১৯ অক্টোবর) সংগঠনের সদর উপজেলা শাখার উদ্যোগে উপজেলা পরিষদের সম্প্রসারিত প্রশাসনিক ভবন প্রাঙ্গণে এ মানববন্ধন হয়। এতে উপজেলার ৫১ জন খুচরা
৩৬ মিনিট আগেসিটিটিসি ও ডিবি উভয় সংস্থা জানায়, গ্রেপ্তারকৃতরা সরকারের বিরুদ্ধে নাশকতা চালিয়ে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চেষ্টায় লিপ্ত ছিলেন। তাঁদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
৩৬ মিনিট আগে