ছাত্র আন্দোলন
সোহেল মারমা, চট্টগ্রাম
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যাকাণ্ডসহ নানা অপরাধে চট্টগ্রাম নগরে ৪৯টি মামলায় আসামি করা হয়েছে ২০ হাজার। এর বেশির ভাগই আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী। তবে ভুগছেন নিরীহরাও। আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নন এমন অনেকের নাম এখনো আসামির তালিকায় রয়েছে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) তথ্যমতে, গত ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের আগে এসব ঘটনা নিয়ে চট্টগ্রাম নগরীর শুধু ৮ থানায় ৪৯টি মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৯টি হত্যা মামলা। আগস্ট থেকে গত ডিসেম্বর মাসের ১ তারিখ পর্যন্ত সিএমপির পাঁচলাইশ থানায় সর্বোচ্চ ১৭টি, কোতোয়ালিতে ১৩টি, চান্দগাঁওয়ে ১০টি ও ডবলমুরিংয়ে ৮টি মামলা করা হয়েছে। বাকি মামলাগুলো হালিশহর, সদরঘাট, বাকলিয়া ও খুলশী থানায় করা হয়। এসব মামলায় মোট এজাহারভুক্ত আসামি রয়েছে ৫,৩৬৭ জন, অজ্ঞাতনামা রয়েছে ১৫ হাজার। এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের তিন সাবেক সংসদ সদস্যসহ গ্রেপ্তার তিন শতাধিক। এর মধ্যে রয়েছেন রাউজান আসনের এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, নগরের পতেঙ্গা আসনের এম এ লতিফ, সাতকানিয়া আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবু রেজা নদভী, নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান আজিজ, নগর যুবলীগের সহসভাপতি দেবাশীষ পাল দেবু, নগর যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকাসহ নগর-থানা-ওয়ার্ড কমিটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মী।
পুলিশ চট্টগ্রামের এ মামলাগুলোকে রাজনৈতিক বলছে। তারা জানিয়েছে, আসামিদের বেশির ভাগই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী, সমর্থক ও দলটির সহযোগী। কিছু আসামি রয়েছেন বিভিন্ন পেশা-শ্রেণির মানুষ। ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এসব মামলায় পুলিশ ২৪৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। ২ থেকে ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত আরও অর্ধশতাধিক আসামি গ্রেপ্তার হয়।
এদিকে নথি বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, অধিকাংশ মামলাই অসংগতিতে ভরা। ঘটনার সঙ্গে জড়িত না থাকার পরও রাজনৈতিক কারণে অনেককে এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে। আবার অনেক ক্ষেত্রে পূর্বশত্রুতার জেরে অনেক নিরীহ ব্যক্তিকেও মামলায় আসামি করা হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে মামলার বাদীও জানেন না তিনি মামলা করেছেন, অনেক বাদী আসামিদের চেনেন না।
অনেক বাদী আছেন তাঁরা পুলিশের তালিকাভুক্ত আসামি। কারাগারে থেকেছেন; কিংবা তাঁদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
গত ১৬ জুলাই চট্টগ্রামের মুরাদপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে কক্সবাজারের মহেশখালী এলাকার নির্মাণশ্রমিক সাইফুল ইসলাম আহতের ঘটনায় হত্যাচেষ্টাসহ নানা অভিযোগে ৪৪ জনের নামে ও অজ্ঞাতনামা অনেককে আসামি দেখিয়ে পাঁচলাইশ থানায় একটি মামলা করা হয়। ৩১ আগস্ট ফাতেমা বেগম নামের এক নারী বাদী হয়ে এ মামলা করেন। চট্টগ্রাম শহরে ওই ঘটনায় তৎকালীন সরকারি দলের কয়েকজন নেতা-কর্মী আসামি থাকলেও বেশির ভাগ আসামি রয়েছেন কক্সবাজারের পেকুয়া, মহেশখালী, কুতুবদিয়া এবং চট্টগ্রামের কয়েকটি উপজেলার বিভিন্ন পেশার মানুষ। তবে ফাতেমা জানেন না তিনি মামলার বাদী।
মামলার বিষয়টি জানাজানির পর গত ২৩ অক্টোবর মহেশখালীর কালারমারছড়া ইউনিয়নের আঁধারঘোনা গ্রামে থাকা বাদীর বাড়িতে স্থানীয় সাংবাদিকেরা যান। সেখানে বাদী সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, তিনি চট্টগ্রামে গিয়ে কোনো মামলা করেননি।
জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পাঁচলাইশ থানার এসআই নুরুল আলম মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, মামলার বাদী ঠিক আছে। তিনিই এই মামলাটি করেছেন। তবে মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে, সেখানে কিছু অসংগতি রয়েছে।
চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানার একটি মামলায় মোহাম্মদ এয়াকুব নামের একজন সরকারি কর্মচারীকে আসামি করা হয়েছে। এয়াকুব বলেন, তিনি এ সময় চিকিৎসার জন্য ভারতে ছিলেন। এর ভিসা ও ভ্রমণ নথিও তাঁর কাছে আছে। ১ আগস্ট তিনি চেন্নাই যান এবং চিকিৎসা শেষে ৯ আগস্ট চট্টগ্রামে ফিরে আসেন।
কোতোয়ালি থানায় নাসিরুল আলম নামের একজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তিনি ব্রিটিশ পাসপোর্টধারী। তাঁর দাবি, এসব কিছুই তিনি জানেন না।
এদিকে চট্টগ্রামে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা করেও সমালোচনায় আসেন কফিল উদ্দিন নামের এক যুবলীগ কর্মী। তিনি তাঁর মামলায় ১৮৭ জনকে আসামি করেন। আসামির মধ্যে ২৬ জন পুলিশের সদস্য রয়েছে, যাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন চট্টগ্রাম থেকে অনেক আগে বদলি হয়েছেন। কফিল উদ্দিন নিজে অস্ত্র ও মাদক-সংক্রান্ত একাধিক মামলার আসামি। ইতিপূর্বে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে তিনি কারাগারেও ছিলেন।
১৮ জুলাই বহদ্দারহাটে গুলিতে চবি শিক্ষার্থী হৃদয় চন্দ্র তরুয়া নিহতের ঘটনায় চান্দগাঁও থানায় নিহতের বন্ধু পরিচয়ে হত্যা মামলা করেন আজিজুল হক নামের এক যুবক। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওই নামে নিহতের কোনো বন্ধু নেই। মামলায় আসামি করা হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী, চট্টগ্রামের সাবেক সংসদ সদস্য, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী, ব্যবসায়ীসহ ৭০০ জনকে। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, যিনি এই মামলার বাদী তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় পাঁচটি মামলা রয়েছে।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (অপরাধ) মো. রইছ উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মামলার সঠিক তদন্তপূর্বক যেসব এজাহারভুক্ত আসামির বিরুদ্ধে ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততা বা জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে, তাঁদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এজাহারভুক্ত আসামির বাইরে তদন্তে প্রাপ্ত অনেক সন্দিগ্ধ আসামি পাওয়া যাচ্ছে। আমরা তাঁদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনছি। ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততা নেই তাঁদের কিন্তু ছেড়ে দেওয়া কিংবা অন্যান্য আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যাকাণ্ডসহ নানা অপরাধে চট্টগ্রাম নগরে ৪৯টি মামলায় আসামি করা হয়েছে ২০ হাজার। এর বেশির ভাগই আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী। তবে ভুগছেন নিরীহরাও। আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নন এমন অনেকের নাম এখনো আসামির তালিকায় রয়েছে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) তথ্যমতে, গত ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের আগে এসব ঘটনা নিয়ে চট্টগ্রাম নগরীর শুধু ৮ থানায় ৪৯টি মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৯টি হত্যা মামলা। আগস্ট থেকে গত ডিসেম্বর মাসের ১ তারিখ পর্যন্ত সিএমপির পাঁচলাইশ থানায় সর্বোচ্চ ১৭টি, কোতোয়ালিতে ১৩টি, চান্দগাঁওয়ে ১০টি ও ডবলমুরিংয়ে ৮টি মামলা করা হয়েছে। বাকি মামলাগুলো হালিশহর, সদরঘাট, বাকলিয়া ও খুলশী থানায় করা হয়। এসব মামলায় মোট এজাহারভুক্ত আসামি রয়েছে ৫,৩৬৭ জন, অজ্ঞাতনামা রয়েছে ১৫ হাজার। এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের তিন সাবেক সংসদ সদস্যসহ গ্রেপ্তার তিন শতাধিক। এর মধ্যে রয়েছেন রাউজান আসনের এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, নগরের পতেঙ্গা আসনের এম এ লতিফ, সাতকানিয়া আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবু রেজা নদভী, নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান আজিজ, নগর যুবলীগের সহসভাপতি দেবাশীষ পাল দেবু, নগর যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকাসহ নগর-থানা-ওয়ার্ড কমিটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মী।
পুলিশ চট্টগ্রামের এ মামলাগুলোকে রাজনৈতিক বলছে। তারা জানিয়েছে, আসামিদের বেশির ভাগই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী, সমর্থক ও দলটির সহযোগী। কিছু আসামি রয়েছেন বিভিন্ন পেশা-শ্রেণির মানুষ। ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এসব মামলায় পুলিশ ২৪৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। ২ থেকে ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত আরও অর্ধশতাধিক আসামি গ্রেপ্তার হয়।
এদিকে নথি বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, অধিকাংশ মামলাই অসংগতিতে ভরা। ঘটনার সঙ্গে জড়িত না থাকার পরও রাজনৈতিক কারণে অনেককে এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে। আবার অনেক ক্ষেত্রে পূর্বশত্রুতার জেরে অনেক নিরীহ ব্যক্তিকেও মামলায় আসামি করা হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে মামলার বাদীও জানেন না তিনি মামলা করেছেন, অনেক বাদী আসামিদের চেনেন না।
অনেক বাদী আছেন তাঁরা পুলিশের তালিকাভুক্ত আসামি। কারাগারে থেকেছেন; কিংবা তাঁদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
গত ১৬ জুলাই চট্টগ্রামের মুরাদপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে কক্সবাজারের মহেশখালী এলাকার নির্মাণশ্রমিক সাইফুল ইসলাম আহতের ঘটনায় হত্যাচেষ্টাসহ নানা অভিযোগে ৪৪ জনের নামে ও অজ্ঞাতনামা অনেককে আসামি দেখিয়ে পাঁচলাইশ থানায় একটি মামলা করা হয়। ৩১ আগস্ট ফাতেমা বেগম নামের এক নারী বাদী হয়ে এ মামলা করেন। চট্টগ্রাম শহরে ওই ঘটনায় তৎকালীন সরকারি দলের কয়েকজন নেতা-কর্মী আসামি থাকলেও বেশির ভাগ আসামি রয়েছেন কক্সবাজারের পেকুয়া, মহেশখালী, কুতুবদিয়া এবং চট্টগ্রামের কয়েকটি উপজেলার বিভিন্ন পেশার মানুষ। তবে ফাতেমা জানেন না তিনি মামলার বাদী।
মামলার বিষয়টি জানাজানির পর গত ২৩ অক্টোবর মহেশখালীর কালারমারছড়া ইউনিয়নের আঁধারঘোনা গ্রামে থাকা বাদীর বাড়িতে স্থানীয় সাংবাদিকেরা যান। সেখানে বাদী সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, তিনি চট্টগ্রামে গিয়ে কোনো মামলা করেননি।
জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পাঁচলাইশ থানার এসআই নুরুল আলম মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, মামলার বাদী ঠিক আছে। তিনিই এই মামলাটি করেছেন। তবে মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে, সেখানে কিছু অসংগতি রয়েছে।
চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানার একটি মামলায় মোহাম্মদ এয়াকুব নামের একজন সরকারি কর্মচারীকে আসামি করা হয়েছে। এয়াকুব বলেন, তিনি এ সময় চিকিৎসার জন্য ভারতে ছিলেন। এর ভিসা ও ভ্রমণ নথিও তাঁর কাছে আছে। ১ আগস্ট তিনি চেন্নাই যান এবং চিকিৎসা শেষে ৯ আগস্ট চট্টগ্রামে ফিরে আসেন।
কোতোয়ালি থানায় নাসিরুল আলম নামের একজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তিনি ব্রিটিশ পাসপোর্টধারী। তাঁর দাবি, এসব কিছুই তিনি জানেন না।
এদিকে চট্টগ্রামে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা করেও সমালোচনায় আসেন কফিল উদ্দিন নামের এক যুবলীগ কর্মী। তিনি তাঁর মামলায় ১৮৭ জনকে আসামি করেন। আসামির মধ্যে ২৬ জন পুলিশের সদস্য রয়েছে, যাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন চট্টগ্রাম থেকে অনেক আগে বদলি হয়েছেন। কফিল উদ্দিন নিজে অস্ত্র ও মাদক-সংক্রান্ত একাধিক মামলার আসামি। ইতিপূর্বে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে তিনি কারাগারেও ছিলেন।
১৮ জুলাই বহদ্দারহাটে গুলিতে চবি শিক্ষার্থী হৃদয় চন্দ্র তরুয়া নিহতের ঘটনায় চান্দগাঁও থানায় নিহতের বন্ধু পরিচয়ে হত্যা মামলা করেন আজিজুল হক নামের এক যুবক। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওই নামে নিহতের কোনো বন্ধু নেই। মামলায় আসামি করা হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী, চট্টগ্রামের সাবেক সংসদ সদস্য, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী, ব্যবসায়ীসহ ৭০০ জনকে। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, যিনি এই মামলার বাদী তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় পাঁচটি মামলা রয়েছে।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (অপরাধ) মো. রইছ উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মামলার সঠিক তদন্তপূর্বক যেসব এজাহারভুক্ত আসামির বিরুদ্ধে ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততা বা জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে, তাঁদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এজাহারভুক্ত আসামির বাইরে তদন্তে প্রাপ্ত অনেক সন্দিগ্ধ আসামি পাওয়া যাচ্ছে। আমরা তাঁদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনছি। ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততা নেই তাঁদের কিন্তু ছেড়ে দেওয়া কিংবা অন্যান্য আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
ছাত্র আন্দোলন
সোহেল মারমা, চট্টগ্রাম
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যাকাণ্ডসহ নানা অপরাধে চট্টগ্রাম নগরে ৪৯টি মামলায় আসামি করা হয়েছে ২০ হাজার। এর বেশির ভাগই আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী। তবে ভুগছেন নিরীহরাও। আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নন এমন অনেকের নাম এখনো আসামির তালিকায় রয়েছে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) তথ্যমতে, গত ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের আগে এসব ঘটনা নিয়ে চট্টগ্রাম নগরীর শুধু ৮ থানায় ৪৯টি মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৯টি হত্যা মামলা। আগস্ট থেকে গত ডিসেম্বর মাসের ১ তারিখ পর্যন্ত সিএমপির পাঁচলাইশ থানায় সর্বোচ্চ ১৭টি, কোতোয়ালিতে ১৩টি, চান্দগাঁওয়ে ১০টি ও ডবলমুরিংয়ে ৮টি মামলা করা হয়েছে। বাকি মামলাগুলো হালিশহর, সদরঘাট, বাকলিয়া ও খুলশী থানায় করা হয়। এসব মামলায় মোট এজাহারভুক্ত আসামি রয়েছে ৫,৩৬৭ জন, অজ্ঞাতনামা রয়েছে ১৫ হাজার। এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের তিন সাবেক সংসদ সদস্যসহ গ্রেপ্তার তিন শতাধিক। এর মধ্যে রয়েছেন রাউজান আসনের এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, নগরের পতেঙ্গা আসনের এম এ লতিফ, সাতকানিয়া আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবু রেজা নদভী, নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান আজিজ, নগর যুবলীগের সহসভাপতি দেবাশীষ পাল দেবু, নগর যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকাসহ নগর-থানা-ওয়ার্ড কমিটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মী।
পুলিশ চট্টগ্রামের এ মামলাগুলোকে রাজনৈতিক বলছে। তারা জানিয়েছে, আসামিদের বেশির ভাগই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী, সমর্থক ও দলটির সহযোগী। কিছু আসামি রয়েছেন বিভিন্ন পেশা-শ্রেণির মানুষ। ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এসব মামলায় পুলিশ ২৪৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। ২ থেকে ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত আরও অর্ধশতাধিক আসামি গ্রেপ্তার হয়।
এদিকে নথি বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, অধিকাংশ মামলাই অসংগতিতে ভরা। ঘটনার সঙ্গে জড়িত না থাকার পরও রাজনৈতিক কারণে অনেককে এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে। আবার অনেক ক্ষেত্রে পূর্বশত্রুতার জেরে অনেক নিরীহ ব্যক্তিকেও মামলায় আসামি করা হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে মামলার বাদীও জানেন না তিনি মামলা করেছেন, অনেক বাদী আসামিদের চেনেন না।
অনেক বাদী আছেন তাঁরা পুলিশের তালিকাভুক্ত আসামি। কারাগারে থেকেছেন; কিংবা তাঁদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
গত ১৬ জুলাই চট্টগ্রামের মুরাদপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে কক্সবাজারের মহেশখালী এলাকার নির্মাণশ্রমিক সাইফুল ইসলাম আহতের ঘটনায় হত্যাচেষ্টাসহ নানা অভিযোগে ৪৪ জনের নামে ও অজ্ঞাতনামা অনেককে আসামি দেখিয়ে পাঁচলাইশ থানায় একটি মামলা করা হয়। ৩১ আগস্ট ফাতেমা বেগম নামের এক নারী বাদী হয়ে এ মামলা করেন। চট্টগ্রাম শহরে ওই ঘটনায় তৎকালীন সরকারি দলের কয়েকজন নেতা-কর্মী আসামি থাকলেও বেশির ভাগ আসামি রয়েছেন কক্সবাজারের পেকুয়া, মহেশখালী, কুতুবদিয়া এবং চট্টগ্রামের কয়েকটি উপজেলার বিভিন্ন পেশার মানুষ। তবে ফাতেমা জানেন না তিনি মামলার বাদী।
মামলার বিষয়টি জানাজানির পর গত ২৩ অক্টোবর মহেশখালীর কালারমারছড়া ইউনিয়নের আঁধারঘোনা গ্রামে থাকা বাদীর বাড়িতে স্থানীয় সাংবাদিকেরা যান। সেখানে বাদী সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, তিনি চট্টগ্রামে গিয়ে কোনো মামলা করেননি।
জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পাঁচলাইশ থানার এসআই নুরুল আলম মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, মামলার বাদী ঠিক আছে। তিনিই এই মামলাটি করেছেন। তবে মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে, সেখানে কিছু অসংগতি রয়েছে।
চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানার একটি মামলায় মোহাম্মদ এয়াকুব নামের একজন সরকারি কর্মচারীকে আসামি করা হয়েছে। এয়াকুব বলেন, তিনি এ সময় চিকিৎসার জন্য ভারতে ছিলেন। এর ভিসা ও ভ্রমণ নথিও তাঁর কাছে আছে। ১ আগস্ট তিনি চেন্নাই যান এবং চিকিৎসা শেষে ৯ আগস্ট চট্টগ্রামে ফিরে আসেন।
কোতোয়ালি থানায় নাসিরুল আলম নামের একজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তিনি ব্রিটিশ পাসপোর্টধারী। তাঁর দাবি, এসব কিছুই তিনি জানেন না।
এদিকে চট্টগ্রামে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা করেও সমালোচনায় আসেন কফিল উদ্দিন নামের এক যুবলীগ কর্মী। তিনি তাঁর মামলায় ১৮৭ জনকে আসামি করেন। আসামির মধ্যে ২৬ জন পুলিশের সদস্য রয়েছে, যাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন চট্টগ্রাম থেকে অনেক আগে বদলি হয়েছেন। কফিল উদ্দিন নিজে অস্ত্র ও মাদক-সংক্রান্ত একাধিক মামলার আসামি। ইতিপূর্বে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে তিনি কারাগারেও ছিলেন।
১৮ জুলাই বহদ্দারহাটে গুলিতে চবি শিক্ষার্থী হৃদয় চন্দ্র তরুয়া নিহতের ঘটনায় চান্দগাঁও থানায় নিহতের বন্ধু পরিচয়ে হত্যা মামলা করেন আজিজুল হক নামের এক যুবক। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওই নামে নিহতের কোনো বন্ধু নেই। মামলায় আসামি করা হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী, চট্টগ্রামের সাবেক সংসদ সদস্য, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী, ব্যবসায়ীসহ ৭০০ জনকে। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, যিনি এই মামলার বাদী তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় পাঁচটি মামলা রয়েছে।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (অপরাধ) মো. রইছ উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মামলার সঠিক তদন্তপূর্বক যেসব এজাহারভুক্ত আসামির বিরুদ্ধে ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততা বা জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে, তাঁদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এজাহারভুক্ত আসামির বাইরে তদন্তে প্রাপ্ত অনেক সন্দিগ্ধ আসামি পাওয়া যাচ্ছে। আমরা তাঁদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনছি। ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততা নেই তাঁদের কিন্তু ছেড়ে দেওয়া কিংবা অন্যান্য আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যাকাণ্ডসহ নানা অপরাধে চট্টগ্রাম নগরে ৪৯টি মামলায় আসামি করা হয়েছে ২০ হাজার। এর বেশির ভাগই আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী। তবে ভুগছেন নিরীহরাও। আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নন এমন অনেকের নাম এখনো আসামির তালিকায় রয়েছে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) তথ্যমতে, গত ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের আগে এসব ঘটনা নিয়ে চট্টগ্রাম নগরীর শুধু ৮ থানায় ৪৯টি মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৯টি হত্যা মামলা। আগস্ট থেকে গত ডিসেম্বর মাসের ১ তারিখ পর্যন্ত সিএমপির পাঁচলাইশ থানায় সর্বোচ্চ ১৭টি, কোতোয়ালিতে ১৩টি, চান্দগাঁওয়ে ১০টি ও ডবলমুরিংয়ে ৮টি মামলা করা হয়েছে। বাকি মামলাগুলো হালিশহর, সদরঘাট, বাকলিয়া ও খুলশী থানায় করা হয়। এসব মামলায় মোট এজাহারভুক্ত আসামি রয়েছে ৫,৩৬৭ জন, অজ্ঞাতনামা রয়েছে ১৫ হাজার। এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের তিন সাবেক সংসদ সদস্যসহ গ্রেপ্তার তিন শতাধিক। এর মধ্যে রয়েছেন রাউজান আসনের এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, নগরের পতেঙ্গা আসনের এম এ লতিফ, সাতকানিয়া আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবু রেজা নদভী, নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান আজিজ, নগর যুবলীগের সহসভাপতি দেবাশীষ পাল দেবু, নগর যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকাসহ নগর-থানা-ওয়ার্ড কমিটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মী।
পুলিশ চট্টগ্রামের এ মামলাগুলোকে রাজনৈতিক বলছে। তারা জানিয়েছে, আসামিদের বেশির ভাগই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী, সমর্থক ও দলটির সহযোগী। কিছু আসামি রয়েছেন বিভিন্ন পেশা-শ্রেণির মানুষ। ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এসব মামলায় পুলিশ ২৪৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। ২ থেকে ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত আরও অর্ধশতাধিক আসামি গ্রেপ্তার হয়।
এদিকে নথি বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, অধিকাংশ মামলাই অসংগতিতে ভরা। ঘটনার সঙ্গে জড়িত না থাকার পরও রাজনৈতিক কারণে অনেককে এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে। আবার অনেক ক্ষেত্রে পূর্বশত্রুতার জেরে অনেক নিরীহ ব্যক্তিকেও মামলায় আসামি করা হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে মামলার বাদীও জানেন না তিনি মামলা করেছেন, অনেক বাদী আসামিদের চেনেন না।
অনেক বাদী আছেন তাঁরা পুলিশের তালিকাভুক্ত আসামি। কারাগারে থেকেছেন; কিংবা তাঁদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
গত ১৬ জুলাই চট্টগ্রামের মুরাদপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে কক্সবাজারের মহেশখালী এলাকার নির্মাণশ্রমিক সাইফুল ইসলাম আহতের ঘটনায় হত্যাচেষ্টাসহ নানা অভিযোগে ৪৪ জনের নামে ও অজ্ঞাতনামা অনেককে আসামি দেখিয়ে পাঁচলাইশ থানায় একটি মামলা করা হয়। ৩১ আগস্ট ফাতেমা বেগম নামের এক নারী বাদী হয়ে এ মামলা করেন। চট্টগ্রাম শহরে ওই ঘটনায় তৎকালীন সরকারি দলের কয়েকজন নেতা-কর্মী আসামি থাকলেও বেশির ভাগ আসামি রয়েছেন কক্সবাজারের পেকুয়া, মহেশখালী, কুতুবদিয়া এবং চট্টগ্রামের কয়েকটি উপজেলার বিভিন্ন পেশার মানুষ। তবে ফাতেমা জানেন না তিনি মামলার বাদী।
মামলার বিষয়টি জানাজানির পর গত ২৩ অক্টোবর মহেশখালীর কালারমারছড়া ইউনিয়নের আঁধারঘোনা গ্রামে থাকা বাদীর বাড়িতে স্থানীয় সাংবাদিকেরা যান। সেখানে বাদী সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, তিনি চট্টগ্রামে গিয়ে কোনো মামলা করেননি।
জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পাঁচলাইশ থানার এসআই নুরুল আলম মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, মামলার বাদী ঠিক আছে। তিনিই এই মামলাটি করেছেন। তবে মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে, সেখানে কিছু অসংগতি রয়েছে।
চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানার একটি মামলায় মোহাম্মদ এয়াকুব নামের একজন সরকারি কর্মচারীকে আসামি করা হয়েছে। এয়াকুব বলেন, তিনি এ সময় চিকিৎসার জন্য ভারতে ছিলেন। এর ভিসা ও ভ্রমণ নথিও তাঁর কাছে আছে। ১ আগস্ট তিনি চেন্নাই যান এবং চিকিৎসা শেষে ৯ আগস্ট চট্টগ্রামে ফিরে আসেন।
কোতোয়ালি থানায় নাসিরুল আলম নামের একজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তিনি ব্রিটিশ পাসপোর্টধারী। তাঁর দাবি, এসব কিছুই তিনি জানেন না।
এদিকে চট্টগ্রামে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা করেও সমালোচনায় আসেন কফিল উদ্দিন নামের এক যুবলীগ কর্মী। তিনি তাঁর মামলায় ১৮৭ জনকে আসামি করেন। আসামির মধ্যে ২৬ জন পুলিশের সদস্য রয়েছে, যাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন চট্টগ্রাম থেকে অনেক আগে বদলি হয়েছেন। কফিল উদ্দিন নিজে অস্ত্র ও মাদক-সংক্রান্ত একাধিক মামলার আসামি। ইতিপূর্বে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে তিনি কারাগারেও ছিলেন।
১৮ জুলাই বহদ্দারহাটে গুলিতে চবি শিক্ষার্থী হৃদয় চন্দ্র তরুয়া নিহতের ঘটনায় চান্দগাঁও থানায় নিহতের বন্ধু পরিচয়ে হত্যা মামলা করেন আজিজুল হক নামের এক যুবক। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওই নামে নিহতের কোনো বন্ধু নেই। মামলায় আসামি করা হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী, চট্টগ্রামের সাবেক সংসদ সদস্য, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী, ব্যবসায়ীসহ ৭০০ জনকে। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, যিনি এই মামলার বাদী তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় পাঁচটি মামলা রয়েছে।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (অপরাধ) মো. রইছ উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মামলার সঠিক তদন্তপূর্বক যেসব এজাহারভুক্ত আসামির বিরুদ্ধে ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততা বা জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে, তাঁদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এজাহারভুক্ত আসামির বাইরে তদন্তে প্রাপ্ত অনেক সন্দিগ্ধ আসামি পাওয়া যাচ্ছে। আমরা তাঁদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনছি। ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততা নেই তাঁদের কিন্তু ছেড়ে দেওয়া কিংবা অন্যান্য আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
কর্ণফুলী সেতু এলাকার যানজট নিয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) উপকমিশনার নেছার আহমেদ বলেছেন, ‘যানজট নিরসনে ট্রাফিক বিভাগ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে। কারণ এটা আমাদের দায়িত্ব। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সবার মিলিত সহযোগিতা ছাড়া যানজট নিরসন সম্ভব নয়।’
৩ মিনিট আগেজনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় তামাকের ব্যবহার কমাতে সরকার বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন আরও শক্তিশালী করার উদ্যোগ নিয়েছে। পাশাপাশি তামাকজাত দ্রব্যকে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে রাখতে প্রতিবছর সরকার মূল্য ও করহার বৃদ্ধি করে আসছে। কিন্তু এসব উদ্যোগ ঠেকাতে তামাক কোম্পানিগুলো মিথ্যা তথ্য ও প্রোপাগান্ডা...
৫ মিনিট আগেকিশোরগঞ্জের ভৈরব বাজারের দুটি গুদামে অভিযান চালিয়ে আনুমানিক ২০ লাখ টাকার নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল জব্দ করেছে উপজেলা প্রশাসন। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে শহরের ভৈরব চক বাজার এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়।
৭ মিনিট আগেজনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে (আইপিএইচ) বিএসসি ইন হেলথ টেকনোলজি (ল্যাব.) এবং বিএসসি ইন হেলথ টেকনোলজি (ফুড সেফটি) কোর্সের শিক্ষার্থীদের জন্য আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন কম্পিউটার ল্যাব উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ল্যাবটি উদ্বোধন করেন আইপিএইচের পরিচালক ডা. মোমিনুর রহমান।
৯ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
কর্ণফুলী সেতু এলাকার যানজট নিয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) উপকমিশনার নেছার আহমেদ বলেছেন, ‘যানজট নিরসনে ট্রাফিক বিভাগ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে। কারণ এটা আমাদের দায়িত্ব। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সবার মিলিত সহযোগিতা ছাড়া যানজট নিরসন সম্ভব নয়।’
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউট হলে অনুষ্ঠিত ‘কর্ণফুলী ব্রিজ এলাকার যানজট নিরসনে করণীয় শীর্ষক’ গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
এই বিষয়ে কর্ণফুলী সেতুর টোল ম্যানেজার কাজী মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের টোল গ্রহণের ১০টি বুথ রয়েছে। আরও বুথ বাড়ানো ও টোল আদায় প্রক্রিয়া আধুনিকায়ন করলে এতে ভালো ফল পাওয়া যাবে।’
মাল্টি পার্টি অ্যাডভোকেসি ফোরামের সেক্রেটারি জসিম উদদীন চৌধুরীর সঞ্চালনায় আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ, ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগ চট্টগ্রামের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
কর্ণফুলী সেতু এলাকার যানজট নিয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) উপকমিশনার নেছার আহমেদ বলেছেন, ‘যানজট নিরসনে ট্রাফিক বিভাগ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে। কারণ এটা আমাদের দায়িত্ব। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সবার মিলিত সহযোগিতা ছাড়া যানজট নিরসন সম্ভব নয়।’
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউট হলে অনুষ্ঠিত ‘কর্ণফুলী ব্রিজ এলাকার যানজট নিরসনে করণীয় শীর্ষক’ গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
এই বিষয়ে কর্ণফুলী সেতুর টোল ম্যানেজার কাজী মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের টোল গ্রহণের ১০টি বুথ রয়েছে। আরও বুথ বাড়ানো ও টোল আদায় প্রক্রিয়া আধুনিকায়ন করলে এতে ভালো ফল পাওয়া যাবে।’
মাল্টি পার্টি অ্যাডভোকেসি ফোরামের সেক্রেটারি জসিম উদদীন চৌধুরীর সঞ্চালনায় আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ, ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগ চট্টগ্রামের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যাকাণ্ডসহ নানা অপরাধে চট্টগ্রাম নগরে ৪৯টি মামলায় আসামি করা হয়েছে ২০ হাজার। এর বেশির ভাগই আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী। তবে ভুগছেন নিরীহরাও। আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নন এমন অনেকের নাম এখনো আসামির তালিকায় রয়েছে।
০৬ জানুয়ারি ২০২৫জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় তামাকের ব্যবহার কমাতে সরকার বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন আরও শক্তিশালী করার উদ্যোগ নিয়েছে। পাশাপাশি তামাকজাত দ্রব্যকে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে রাখতে প্রতিবছর সরকার মূল্য ও করহার বৃদ্ধি করে আসছে। কিন্তু এসব উদ্যোগ ঠেকাতে তামাক কোম্পানিগুলো মিথ্যা তথ্য ও প্রোপাগান্ডা...
৫ মিনিট আগেকিশোরগঞ্জের ভৈরব বাজারের দুটি গুদামে অভিযান চালিয়ে আনুমানিক ২০ লাখ টাকার নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল জব্দ করেছে উপজেলা প্রশাসন। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে শহরের ভৈরব চক বাজার এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়।
৭ মিনিট আগেজনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে (আইপিএইচ) বিএসসি ইন হেলথ টেকনোলজি (ল্যাব.) এবং বিএসসি ইন হেলথ টেকনোলজি (ফুড সেফটি) কোর্সের শিক্ষার্থীদের জন্য আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন কম্পিউটার ল্যাব উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ল্যাবটি উদ্বোধন করেন আইপিএইচের পরিচালক ডা. মোমিনুর রহমান।
৯ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় তামাকের ব্যবহার কমাতে সরকার বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন আরও শক্তিশালী করার উদ্যোগ নিয়েছে। পাশাপাশি তামাকজাত দ্রব্যকে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে রাখতে প্রতিবছর সরকার মূল্য ও করহার বৃদ্ধি করে আসছে। কিন্তু এসব উদ্যোগ ঠেকাতে তামাক কোম্পানিগুলো মিথ্যা তথ্য ও প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে সরকারকে বিভ্রান্ত করছে—এমন অভিযোগ তুলেছেন গবেষক ও বিশেষজ্ঞরা।
আজ বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনৈতিক গবেষণা ব্যুরোর (বিইআর) সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত ‘তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণ ও কর বৃদ্ধিতে কোম্পানির প্রোপাগান্ডা মোকাবিলায় করণীয়’ শীর্ষক কর্মশালায় বক্তারা এসব মন্তব্য করেন। কর্মশালার আয়োজন করে বিইআর ও বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক ফর টোব্যাকো ট্যাক্স পলিসি (বিএনটিটিপি)।
বিইআরের প্রকল্প পরিচালক হামিদুল ইসলাম হিল্লোল মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে বলেন, তামাক কোম্পানিগুলো চোরাচালানের মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে মূল্য ও করহার বৃদ্ধির উদ্যোগকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে। প্রতিবছর বাজেটের আগে আগে গণমাধ্যমে হঠাৎ চোরাচালানের খবর বেড়ে যায়, যা আসলে সাজানো ও বিভ্রান্তিকর।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে সিগারেটের দাম প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় অনেক কম। তাই চোরাচালানের গল্পের কোনো ভিত্তি নেই। বরং গত ১৫ বছরে রাজস্ব আয় নিয়মিতভাবে বেড়েছে। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে সিগারেট থেকে রাজস্ব আয় ছিল ৫ হাজার ১২২ কোটি টাকা, যা ২০২২-২৩ অর্থবছরে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১ হাজার ৭৭ কোটি টাকায়। অর্থাৎ তামাক আইন শক্তিশালী হওয়ার পরও রাজস্ব কখনো কমেনি।
প্যানেল আলোচক ও তামাক নিয়ন্ত্রণ গবেষক সুশান্ত সিনহা বলেন, বহুজাতিক তামাক কোম্পানিগুলো ইচ্ছাকৃতভাবে পরিচালন ব্যয় বেশি দেখিয়ে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে। তারা সর্বোচ্চ খুচরা মূল্যের চেয়ে বেশি দামে সিগারেট বিক্রি করে প্রতিবছর প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে, অথচ তারাই রাজস্ব ক্ষতির ভয় দেখিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করছে।
তিনি বলেন, বর্তমানে প্রচলিত বহু স্তরভিত্তিক অ্যাডভেলরেম কর কাঠামো রাজস্ব ফাঁকি বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। রাজস্ব বৃদ্ধি ও জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় এখনই সুনির্দিষ্ট কর কাঠামো চালু করতে হবে। প্রাথমিকভাবে প্রতি শলাকা সিগারেটে এক টাকা হারে সুনির্দিষ্ট কর আরোপ করলে প্রতিদিন সরকারের রাজস্ব আয় ২০ কোটি টাকা পর্যন্ত বাড়তে পারে।
বক্তারা আরও বলেন, সরকারের উচিত তামাক কোম্পানির মিথ্যা তথ্য আমলে না নিয়ে দ্রুত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন, একটি পূর্ণাঙ্গ তামাক করনীতি প্রণয়ন এবং কোম্পানিগুলোর অবৈধ হস্তক্ষেপ ও আইন অমান্যের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
কর্মশালায় দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমের ২০ জন সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিইআরের সিনিয়র প্রজেক্ট ও কমিউনিকেশন অফিসার ইব্রাহীম খলিল।
জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় তামাকের ব্যবহার কমাতে সরকার বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন আরও শক্তিশালী করার উদ্যোগ নিয়েছে। পাশাপাশি তামাকজাত দ্রব্যকে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে রাখতে প্রতিবছর সরকার মূল্য ও করহার বৃদ্ধি করে আসছে। কিন্তু এসব উদ্যোগ ঠেকাতে তামাক কোম্পানিগুলো মিথ্যা তথ্য ও প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে সরকারকে বিভ্রান্ত করছে—এমন অভিযোগ তুলেছেন গবেষক ও বিশেষজ্ঞরা।
আজ বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনৈতিক গবেষণা ব্যুরোর (বিইআর) সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত ‘তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণ ও কর বৃদ্ধিতে কোম্পানির প্রোপাগান্ডা মোকাবিলায় করণীয়’ শীর্ষক কর্মশালায় বক্তারা এসব মন্তব্য করেন। কর্মশালার আয়োজন করে বিইআর ও বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক ফর টোব্যাকো ট্যাক্স পলিসি (বিএনটিটিপি)।
বিইআরের প্রকল্প পরিচালক হামিদুল ইসলাম হিল্লোল মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে বলেন, তামাক কোম্পানিগুলো চোরাচালানের মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে মূল্য ও করহার বৃদ্ধির উদ্যোগকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে। প্রতিবছর বাজেটের আগে আগে গণমাধ্যমে হঠাৎ চোরাচালানের খবর বেড়ে যায়, যা আসলে সাজানো ও বিভ্রান্তিকর।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে সিগারেটের দাম প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় অনেক কম। তাই চোরাচালানের গল্পের কোনো ভিত্তি নেই। বরং গত ১৫ বছরে রাজস্ব আয় নিয়মিতভাবে বেড়েছে। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে সিগারেট থেকে রাজস্ব আয় ছিল ৫ হাজার ১২২ কোটি টাকা, যা ২০২২-২৩ অর্থবছরে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১ হাজার ৭৭ কোটি টাকায়। অর্থাৎ তামাক আইন শক্তিশালী হওয়ার পরও রাজস্ব কখনো কমেনি।
প্যানেল আলোচক ও তামাক নিয়ন্ত্রণ গবেষক সুশান্ত সিনহা বলেন, বহুজাতিক তামাক কোম্পানিগুলো ইচ্ছাকৃতভাবে পরিচালন ব্যয় বেশি দেখিয়ে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে। তারা সর্বোচ্চ খুচরা মূল্যের চেয়ে বেশি দামে সিগারেট বিক্রি করে প্রতিবছর প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে, অথচ তারাই রাজস্ব ক্ষতির ভয় দেখিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করছে।
তিনি বলেন, বর্তমানে প্রচলিত বহু স্তরভিত্তিক অ্যাডভেলরেম কর কাঠামো রাজস্ব ফাঁকি বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। রাজস্ব বৃদ্ধি ও জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় এখনই সুনির্দিষ্ট কর কাঠামো চালু করতে হবে। প্রাথমিকভাবে প্রতি শলাকা সিগারেটে এক টাকা হারে সুনির্দিষ্ট কর আরোপ করলে প্রতিদিন সরকারের রাজস্ব আয় ২০ কোটি টাকা পর্যন্ত বাড়তে পারে।
বক্তারা আরও বলেন, সরকারের উচিত তামাক কোম্পানির মিথ্যা তথ্য আমলে না নিয়ে দ্রুত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন, একটি পূর্ণাঙ্গ তামাক করনীতি প্রণয়ন এবং কোম্পানিগুলোর অবৈধ হস্তক্ষেপ ও আইন অমান্যের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
কর্মশালায় দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমের ২০ জন সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিইআরের সিনিয়র প্রজেক্ট ও কমিউনিকেশন অফিসার ইব্রাহীম খলিল।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যাকাণ্ডসহ নানা অপরাধে চট্টগ্রাম নগরে ৪৯টি মামলায় আসামি করা হয়েছে ২০ হাজার। এর বেশির ভাগই আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী। তবে ভুগছেন নিরীহরাও। আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নন এমন অনেকের নাম এখনো আসামির তালিকায় রয়েছে।
০৬ জানুয়ারি ২০২৫কর্ণফুলী সেতু এলাকার যানজট নিয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) উপকমিশনার নেছার আহমেদ বলেছেন, ‘যানজট নিরসনে ট্রাফিক বিভাগ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে। কারণ এটা আমাদের দায়িত্ব। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সবার মিলিত সহযোগিতা ছাড়া যানজট নিরসন সম্ভব নয়।’
৩ মিনিট আগেকিশোরগঞ্জের ভৈরব বাজারের দুটি গুদামে অভিযান চালিয়ে আনুমানিক ২০ লাখ টাকার নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল জব্দ করেছে উপজেলা প্রশাসন। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে শহরের ভৈরব চক বাজার এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়।
৭ মিনিট আগেজনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে (আইপিএইচ) বিএসসি ইন হেলথ টেকনোলজি (ল্যাব.) এবং বিএসসি ইন হেলথ টেকনোলজি (ফুড সেফটি) কোর্সের শিক্ষার্থীদের জন্য আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন কম্পিউটার ল্যাব উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ল্যাবটি উদ্বোধন করেন আইপিএইচের পরিচালক ডা. মোমিনুর রহমান।
৯ মিনিট আগেকিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি ও ভৈরব সংবাদদাতা
কিশোরগঞ্জের ভৈরব বাজারের দুটি গুদামে অভিযান চালিয়ে আনুমানিক ২০ লাখ টাকার নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল জব্দ করেছে উপজেলা প্রশাসন। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে শহরের ভৈরব চক বাজার এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ এইচ এম আজিমুল হক এই অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে সহযোগিতা করেন উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা, ভূমি অফিস, পৌরসভার কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ ভৈরব শহর ফাঁড়ি থানা-পুলিশ।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, আজ বিকেলে ভৈরব বাজারের দুটি জালের গুদামে অভিযান চালিয়ে ২১ বস্তা কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়, যার আনুমানিক বাজারমূল্য ২০ লাখ টাকা। জাল ও সুতা ব্যবসায়ী শামসুল ইসলামের গুদাম থেকে ১৮ বস্তা ও সাগর মিয়ার গুদাম থেকে ৩ বস্তা কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। জব্দ জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এ এইচ এম আজিমুল হক বলেন, কারেন্ট জাল ব্যবহার, ক্রয়-বিক্রি ও সংরক্ষণ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে সরকার। মৎস্য সংরক্ষণ ও সুরক্ষা আইনের আওতায় শামসুল ইসলাম ও সাগর মিয়ার গুদাম থেকে ২১ বস্তা নিষিদ্ধ জাল জব্দ করা হয়। তাঁদের প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শবনম শারমিন বলেন, ‘দেশীয় প্রজাতির মাছ সংরক্ষণ ও মাছের প্রজনন মৌসুমে মা মাছ রক্ষা করা আমাদের সবার দায়িত্ব। নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল দিয়ে মাছ ধরা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। ভ্রাম্যমাণ আদালতের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
কিশোরগঞ্জের ভৈরব বাজারের দুটি গুদামে অভিযান চালিয়ে আনুমানিক ২০ লাখ টাকার নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল জব্দ করেছে উপজেলা প্রশাসন। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে শহরের ভৈরব চক বাজার এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ এইচ এম আজিমুল হক এই অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে সহযোগিতা করেন উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা, ভূমি অফিস, পৌরসভার কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ ভৈরব শহর ফাঁড়ি থানা-পুলিশ।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, আজ বিকেলে ভৈরব বাজারের দুটি জালের গুদামে অভিযান চালিয়ে ২১ বস্তা কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়, যার আনুমানিক বাজারমূল্য ২০ লাখ টাকা। জাল ও সুতা ব্যবসায়ী শামসুল ইসলামের গুদাম থেকে ১৮ বস্তা ও সাগর মিয়ার গুদাম থেকে ৩ বস্তা কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। জব্দ জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এ এইচ এম আজিমুল হক বলেন, কারেন্ট জাল ব্যবহার, ক্রয়-বিক্রি ও সংরক্ষণ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে সরকার। মৎস্য সংরক্ষণ ও সুরক্ষা আইনের আওতায় শামসুল ইসলাম ও সাগর মিয়ার গুদাম থেকে ২১ বস্তা নিষিদ্ধ জাল জব্দ করা হয়। তাঁদের প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শবনম শারমিন বলেন, ‘দেশীয় প্রজাতির মাছ সংরক্ষণ ও মাছের প্রজনন মৌসুমে মা মাছ রক্ষা করা আমাদের সবার দায়িত্ব। নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল দিয়ে মাছ ধরা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। ভ্রাম্যমাণ আদালতের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যাকাণ্ডসহ নানা অপরাধে চট্টগ্রাম নগরে ৪৯টি মামলায় আসামি করা হয়েছে ২০ হাজার। এর বেশির ভাগই আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী। তবে ভুগছেন নিরীহরাও। আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নন এমন অনেকের নাম এখনো আসামির তালিকায় রয়েছে।
০৬ জানুয়ারি ২০২৫কর্ণফুলী সেতু এলাকার যানজট নিয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) উপকমিশনার নেছার আহমেদ বলেছেন, ‘যানজট নিরসনে ট্রাফিক বিভাগ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে। কারণ এটা আমাদের দায়িত্ব। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সবার মিলিত সহযোগিতা ছাড়া যানজট নিরসন সম্ভব নয়।’
৩ মিনিট আগেজনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় তামাকের ব্যবহার কমাতে সরকার বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন আরও শক্তিশালী করার উদ্যোগ নিয়েছে। পাশাপাশি তামাকজাত দ্রব্যকে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে রাখতে প্রতিবছর সরকার মূল্য ও করহার বৃদ্ধি করে আসছে। কিন্তু এসব উদ্যোগ ঠেকাতে তামাক কোম্পানিগুলো মিথ্যা তথ্য ও প্রোপাগান্ডা...
৫ মিনিট আগেজনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে (আইপিএইচ) বিএসসি ইন হেলথ টেকনোলজি (ল্যাব.) এবং বিএসসি ইন হেলথ টেকনোলজি (ফুড সেফটি) কোর্সের শিক্ষার্থীদের জন্য আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন কম্পিউটার ল্যাব উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ল্যাবটি উদ্বোধন করেন আইপিএইচের পরিচালক ডা. মোমিনুর রহমান।
৯ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে (আইপিএইচ) বিএসসি ইন হেলথ টেকনোলজি (ল্যাব.) এবং বিএসসি ইন হেলথ টেকনোলজি (ফুড সেফটি) কোর্সের শিক্ষার্থীদের জন্য আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন কম্পিউটার ল্যাব উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ল্যাবটি উদ্বোধন করেন আইপিএইচের পরিচালক ডা. মোমিনুর রহমান।
আইপিএইচ জানিয়েছে, বর্তমানে এই ইনস্টিটিউটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত বিএসসি ইন হেলথ টেকনোলজি (ল্যাব.) এবং বিএসসি ইন হেলথ টেকনোলজি (ফুড সেফটি) কোর্স দুটি চলছে। একাডেমিক উইংয়ের তত্ত্বাবধানে যুগোপযোগী শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একটি আধুনিক কম্পিউটার ল্যাবের প্রয়োজন ছিল। শিক্ষার্থীদের সুবিধার কথা চিন্তা করে কর্তৃপক্ষ এই ল্যাব স্থাপন করেছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের বক্তব্যে আইপিএইচের পরিচালক ডা. মো. মোমিনুর রহমান বলেন, জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন শিক্ষা প্রদানের উদ্দেশ্যে এই কম্পিউটার ল্যাবটি প্রতিষ্ঠা করেছে। তিনি শিক্ষার্থীদের এই ল্যাব ব্যবহার করে দেশ ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিষ্ঠানের সুনাম বৃদ্ধির পাশাপাশি কর্মজীবনে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে নিজেদের গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
ডা. মো. মোমিনুর রহমান অনুষ্ঠান শেষে ফিতা কেটে কম্পিউটার ল্যাবের উদ্বোধন করেন।
জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে (আইপিএইচ) বিএসসি ইন হেলথ টেকনোলজি (ল্যাব.) এবং বিএসসি ইন হেলথ টেকনোলজি (ফুড সেফটি) কোর্সের শিক্ষার্থীদের জন্য আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন কম্পিউটার ল্যাব উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ল্যাবটি উদ্বোধন করেন আইপিএইচের পরিচালক ডা. মোমিনুর রহমান।
আইপিএইচ জানিয়েছে, বর্তমানে এই ইনস্টিটিউটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত বিএসসি ইন হেলথ টেকনোলজি (ল্যাব.) এবং বিএসসি ইন হেলথ টেকনোলজি (ফুড সেফটি) কোর্স দুটি চলছে। একাডেমিক উইংয়ের তত্ত্বাবধানে যুগোপযোগী শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একটি আধুনিক কম্পিউটার ল্যাবের প্রয়োজন ছিল। শিক্ষার্থীদের সুবিধার কথা চিন্তা করে কর্তৃপক্ষ এই ল্যাব স্থাপন করেছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের বক্তব্যে আইপিএইচের পরিচালক ডা. মো. মোমিনুর রহমান বলেন, জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন শিক্ষা প্রদানের উদ্দেশ্যে এই কম্পিউটার ল্যাবটি প্রতিষ্ঠা করেছে। তিনি শিক্ষার্থীদের এই ল্যাব ব্যবহার করে দেশ ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিষ্ঠানের সুনাম বৃদ্ধির পাশাপাশি কর্মজীবনে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে নিজেদের গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
ডা. মো. মোমিনুর রহমান অনুষ্ঠান শেষে ফিতা কেটে কম্পিউটার ল্যাবের উদ্বোধন করেন।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যাকাণ্ডসহ নানা অপরাধে চট্টগ্রাম নগরে ৪৯টি মামলায় আসামি করা হয়েছে ২০ হাজার। এর বেশির ভাগই আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী। তবে ভুগছেন নিরীহরাও। আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নন এমন অনেকের নাম এখনো আসামির তালিকায় রয়েছে।
০৬ জানুয়ারি ২০২৫কর্ণফুলী সেতু এলাকার যানজট নিয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) উপকমিশনার নেছার আহমেদ বলেছেন, ‘যানজট নিরসনে ট্রাফিক বিভাগ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে। কারণ এটা আমাদের দায়িত্ব। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সবার মিলিত সহযোগিতা ছাড়া যানজট নিরসন সম্ভব নয়।’
৩ মিনিট আগেজনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় তামাকের ব্যবহার কমাতে সরকার বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন আরও শক্তিশালী করার উদ্যোগ নিয়েছে। পাশাপাশি তামাকজাত দ্রব্যকে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে রাখতে প্রতিবছর সরকার মূল্য ও করহার বৃদ্ধি করে আসছে। কিন্তু এসব উদ্যোগ ঠেকাতে তামাক কোম্পানিগুলো মিথ্যা তথ্য ও প্রোপাগান্ডা...
৫ মিনিট আগেকিশোরগঞ্জের ভৈরব বাজারের দুটি গুদামে অভিযান চালিয়ে আনুমানিক ২০ লাখ টাকার নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল জব্দ করেছে উপজেলা প্রশাসন। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে শহরের ভৈরব চক বাজার এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়।
৭ মিনিট আগে