Ajker Patrika

জাহাজ থেকে ফিরেই স্ত্রীকে ঘরে তোলার কথা, জিম্মি নাবিকের অপেক্ষায় পরিবার

মো. ইমরান হোসাইন, কর্ণফুলী (চট্টগ্রাম)
আপডেট : ১৫ মার্চ ২০২৪, ২১: ১১
Thumbnail image

গত বছরের ২৭ নভেম্বর জাহাজে ওঠেন। এর আগের দিন ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার একই গ্রামের নারীর সঙ্গে কাবিন সম্পন্ন হয় নাবিক মো. সাজ্জাদ (২৮) হোসেনের। জাহাজ থেকে ফিরে আসার পর অনুষ্ঠান করে বউকে ঘরে তুলে আনার কথা রয়েছে। কিন্তু জলদস্যুদের হাতে এমভি আবদুল্লাহর জিম্মির খবরে দুশ্চিন্তা ভর করছে তাঁর পরিবার ও আত্মীয়স্বজনদের মাঝে। 

সাজ্জাদ হোসেন চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বৈরাগ ইউনিয়নের উত্তর বন্দর ২ নম্বর ওয়ার্ডের মো. তাজু মিয়ার ছেলে। গত মঙ্গলবার দুপুরেই কবির গ্রুপের এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি জলদস্যুদের কবলে পড়ে। এ সময় সাজ্জাদ হোসেন মোবাইল ফোনে বিষয়টি জানিয়েছিলেন তাঁর ভাবিকে। ফোনের ওপাশ থেকে ভাঙা কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘আমাদের জলদস্যুরা ঘিরে ফেলেছে। গোলাগুলিও করছে। দোয়া করিও।’ 

এ কথা বলেই ফোন কেটে দেন সাজ্জাদ হোসেন। তবে আজ শুক্রবার পর্যন্ত সাজ্জাদের কোনো বার্তা না আসায় আছেন চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন স্বজনেরা। ইতিমধ্যে জাহাজের মালিকদের পক্ষ যত দ্রুত সম্ভব তাঁদের দেশে ফিরিয়ে আনার জোর চেষ্টা করছেন বলে স্বজনদের আশ্বাস দিয়েছেন। 

পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে সাজ্জাদ তৃতীয়। জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে আত্মীয়স্বজন ছুটে যাচ্ছেন তাঁর বাড়িতে। জাহাজে ওঠার আগের দিন একই এলাকার এক নারীর সঙ্গে কাবিন সম্পন্ন হয়। ফিরে এসে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বউকে ঘরে আনার কথা ছিল বলে জানিয়েছেন সাজ্জাদের বড় ভাই মোশাররফ মীর। 

মো. সাজ্জাদ হোসেনের স্বজনেরা। ছবি: আজকের পত্রিকা মোশাররফ মীর বলেন, ‘আমার ছোট ভাই সাজ্জাদ জলদস্যুদের কবলে পড়ার পরই তার ভাবিকে ফোন দেয়। কিছুক্ষণ পর একটি অডিও রেকর্ড পাঠায়। মাত্র ৯ সেকেন্ডের ওই অডিওতে সে বলেছে, ‘‘আমাদের মোবাইল জলদস্যুরা নিয়ে ফেলছে। আর কথা হবে না। এখন আমাদের সোমালিয়ার দিকে নিয়ে যাচ্ছে।’’ এরপর সাজ্জাদের সঙ্গে আমরা আর যোগাযোগ করতে পারিনি।’ 

সাজ্জাদের মা সমশাদ ভেজা চোখে বলেন, ‘আমার ছেলের সঙ্গে ঠিকভাবে কথাও বলতে পারলাম না। সে শুধু দোয়া করতে বলেছে। সরকারের কাছে আমার আকুল আবেদন, আমার ছেলেসহ জিম্মি হওয়া সবাইকে যত দ্রুত সম্ভব দেশে ফিরিয়ে আনা হোক। সরকার এবং শিপের মালিকসহ সবাই মিলেমিশে আমাদের বাচ্চাদের দ্রুত ফিরিয়ে আনার দাবি জানাচ্ছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত