Ajker Patrika

মসজিদের জমি এখনো দখলে কৃষক লীগ নেতার

  • মসজিদের ৩৮ হাজার বর্গফুট জায়গা দখলে রেখেছেন তিনি।
  • উচ্ছেদের উদ্যোগ নেওয়ায় স্ট্যান্ড রিলিজ হয়েছিলেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা।
  • ২০১৮ সাল থেকে ইজারা বাবদ মসজিদের পাওনা প্রায় ১২ লাখ টাকা।
 নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম মহানগরের জামিয়াতুল ফালাহ মসজিদ কমপ্লেক্সের ৩৮ হাজার বর্গফুট জমি দখল করে গড়ে তোলা নার্সারি। গতকাল তোলা ছবি। ছবি: আজকের পত্রিকা
চট্টগ্রাম মহানগরের জামিয়াতুল ফালাহ মসজিদ কমপ্লেক্সের ৩৮ হাজার বর্গফুট জমি দখল করে গড়ে তোলা নার্সারি। গতকাল তোলা ছবি। ছবি: আজকের পত্রিকা

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কৃষক লীগ নেতা দখল করেন চট্টগ্রামের জামিয়াতুল ফালাহ মসজিদ কমপ্লেক্সের ৩৮ হাজার বর্গফুটের নার্সারি। কয়েকবার উচ্ছেদের উদ্যোগ নিয়েও প্রভাবশালী মহলের চাপে পিছু হটে জেলা প্রশাসন। ২০২২ সালে উচ্ছেদপ্রক্রিয়া শুরু করতে গিয়ে তৎকালীন মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের টেলিফোনে স্ট্যান্ড রিলিজ হন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক তৌহিদুল আনোয়ার। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরও দখল ছাড়েননি ওই নেতা। এই অবস্থায় জায়গাটি আদৌ দখলমুক্ত হবে কি না, তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

মসজিদসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালে জামিয়াতুল ফালাহ মসজিদ কমপ্লেক্সের ৩৮ হাজার বর্গফুট জায়গা দখল করেন চট্টগ্রামের উত্তর জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাঙ্গুনিয়া উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম। সেখানে থাকা আরণ্যক নামের নার্সারিও চলে যায় তাঁর দখলে। জায়গা দখলমুক্ত করতে ইসলামিক ফাউন্ডেশন ২০২২ সালের অক্টোবরে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসককে দুই দফা চিঠি দেয়। ২০২৩ সালের প্রথম দিনও উচ্ছেদ চেয়ে চিঠি দেয় ইসলামিক ফাউন্ডেশন। কিন্তু সরানো যায়নি শফিকুলকে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৫ সালে মসজিদ কমপ্লেক্সের ৩৮ হাজার বর্গফুট জায়গা ইজারা নিয়ে আরণ্যক নার্সারি গড়ে তোলেন শফিকুলের বড় ভাই মো. মাহবুবুর রহমান। ২০১৮ সালের ৩১ অক্টোবর তাঁর ইজারার মেয়াদ শেষ হয়। ইজারার ৫ লাখ ২৫ টাকা পরিশোধ না করেই চলে যান মাহবুব। এরপর নার্সারিটি দখলে নেন শফিকুল। নার্সারি কবজায় নিয়ে রঞ্জ বাবু নামের এক ব্যবসায়ীর কাছে তিনি ভাড়া দিয়ে রেখেছেন।

তবে গত শনিবার দুপুরে সরেজমিনে গেলে চন্দন নামের একজন নার্সারির ম্যানেজার পরিচয় দিয়ে জানান, নার্সারির মালিক মো. শফিকুল ইসলাম।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক কর্মকর্তা বলেছেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সময় বিষয়টি নিয়ে নীরব রয়েছেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক বোরহান উদ্দীন মো. আবু আহসান।

জামিয়াতুল ফালাহ মসজিদ কমপ্লেক্সের প্রকল্প পরিচালক বোরহান উদ্দীন মো. আবু আহসান। নার্সারির বিষয়ে তিনি বলেন, কৃষক লীগ নেতা শফিকুলের নার্সারি উচ্ছেদ করা হবে। তাঁর সঙ্গে চুক্তি না থাকলেও তাঁর ভাইয়ের চুক্তি অনুযায়ী হিসাব করলে ১০-১২ লাখ টাকা এখনো পাওনা রয়েছে।

জায়গা দখল করে নার্সারি ব্যবসা পরিচালনা প্রসঙ্গে শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সর্বোচ্চ ৯ লাখ টাকার মতো বকেয়া রয়েছে। তা পরিশোধের জন্য আমি এক মাস সময় নিয়েছি।’ তবে কত মাস বকেয়া রয়েছে, তা জানা নেই বলে দাবি করেন এই নেতা।

টাকা পরিশোধে শফিকুলের সময় নেওয়ার বিষয়ে বোরহান উদ্দীন বলেন, শফিকুলের সব কথা মিথ্যা।

জানতে চাইলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা ছিল না। যেকোনোভাবে মসজিদের অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রিকশায় বসা হাদিকে গুলি করে মোটরসাইকেলে আসা দুই যুবক

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
শরীফ ওসমান হাদি। ছবি: সংগৃহীত
শরীফ ওসমান হাদি। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা–৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আজ শুক্রবার জুমার নামাজের পর রাজধানীর বিজয়নগরে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর অবস্থায় তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুপুর ২টা ১০ মিনিট বা ২০ মিনিটের দিকে হাদি রিকশায় চড়ে কোথাও যাচ্ছিলেন। সে সময় পেছন থেকে মোটরসাইকেলে এসে দুই যুবক গুলি করে পালিয়ে যায়। সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে এবং হামলাকারীদের শনাক্তে চেষ্টা চলছে।’

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হাদির সঙ্গী ও সমর্থকদের ভিড়। তাঁর সতীর্থরা জানান, তিনি জরুরি বিভাগে রয়েছেন, প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। চিকিৎসকেরা ‘বি নেগেটিভ’ রক্ত জোগাড় করতে বলেছেন।

ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের এসআই মো. সেলিম বলেন, ‘হাদির মাথা থেকে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, মাথায় গুলি লেগেছে। তাঁকে জরুরি বিভাগের ওসেক ইউনিটে (ওয়ান-স্টপ ইমার্জেন্সি অ্যান্ড ক্যাজুয়ালটি সার্ভিস) নেওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বকেয়া বেতনের দাবিতে কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাভার (ঢাকা)
আপডেট : ১২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫: ৩৮
কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা
কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঢাকার সাভারে বকেয়া বেতন ও ভাতার দাবিতে উরি অ্যাপারেলস নামের একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা কয়েকজন কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ রেখে বিক্ষোভ করছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত থেকে কয়েক শ শ্রমিক এ বিক্ষোভ করছেন বলে জানা গেছে। আজ শুক্রবার দুপুর ১২টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তাঁদের আন্দোলন চলছিল।

শিল্প পুলিশ ও শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে সাভারের আরাপাড়ায় একটি ভাড়া করা ভবনে উড়ি অ্যাপারেলসের কার্যক্রম চলছিল। কারখানাটিতে প্রায় দেড় হাজার শ্রমিক কাজ করেন। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটির বিদেশি মালিক আরাপাড়া থেকে কারখানাটি অন্যত্র স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু অধিকাংশ শ্রমিক পরিবর্তিত স্থানে কাজ করতে অস্বীকৃতি জানান এবং তাঁদের সব ধরনের পাওনা পরিশোধ করে দিতে বলেন।

প্রতিষ্ঠানটির নমুনা বিভাগে কর্মরত ব্যবস্থাপক পলাশ আহমেদ বলেন, ৮০ ভাগ শ্রমিক স্থানান্তরিত কারখানায় কাজ করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এই অবস্থায় শিল্প পুলিশ, বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ ও মালিকপক্ষের মধ্যস্থতায় গতকালের মধ্যে তাঁদের নভেম্বর মাসের বকেয়া বেতনসহ চলতি মাসের বেতন ও নিয়ম অনুযায়ী সব প্রকার পাওনা পরিশোধের সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গতকাল তাঁদের পাওনা পরিশোধ না করায় শ্রমিকেরা আন্দোলনে নামেন।

সোহানুর রহমান নামের এক শ্রমিক বলেন, ‘পাওনা পরিশোধ না করেই মালিকপক্ষ কয়েক দিন ধরে রাতে যন্ত্র ও মালামাল স্থানান্তর করছিল। এসব কারণে শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। বৃহস্পতিবার রাতেই উত্তেজিত শ্রমিকেরা কারখানার ভেতরে অবস্থান নিয়ে কয়েকজন কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করেন। এর পর থেকে পালা করে আমরা তাঁদের অবরুদ্ধ করে রেখেছি। আমাদের পাওনা পরিশোধ না করা পর্যন্ত এই আন্দোলন অব্যাহত রাখা হবে।’

এ বিষয়ে অবরুদ্ধ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলার জন্য কারখানার ভেতরে যাওয়ার চেষ্টা করলে শ্রমিকেরা বাধা দেন।

সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শিল্প পুলিশ-১-এর (আশুলিয়া) পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোমিনুল ইসলাম ভূঁইয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, বকেয়া বেতনসহ সব ধরনের পাওনা পরিশোধের দাবিতে শ্রমিকেরা আন্দোলন করছেন। মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের দাবি পূরণে ব্যবস্থা নেবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ইনকিলাব মঞ্চের ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫: ৩৩
ওসমান হাদি। ছবি: সংগৃহীত
ওসমান হাদি। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

আজ শুক্রবার দুপুরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

রাজধানী বিজয়নগর কালভার্ট রোড এলাকায় ওসমান হাদিকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে দুর্বৃত্তরা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে ঢামেকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. ফারুক। তিনি বলেন, বেলা আড়াইটার পরপরই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তাঁর বাম কানের নিচে গুলিবিদ্ধ হয়েছে। অবস্থা আশঙ্কাজনক।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভ্যাপ ও ই-সিগারেটে লুকানো নতুন মাদক, চক্রসহ বড় চালান জব্দ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪: ৩৪
ভয়ংকর নতুন মাদক এমডিএমবি বিক্রি চক্রের মূল হোতাসহ সব সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। ছবি: আজকের পত্রিকা
ভয়ংকর নতুন মাদক এমডিএমবি বিক্রি চক্রের মূল হোতাসহ সব সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। ছবি: আজকের পত্রিকা

মালয়েশিয়া থেকে সংগ্রহ করে ভ্যাপ ও ই-সিগারেটের মাধ্যমে দেশে ভয়ংকর নতুন মাদক এমডিএমবি বিক্রি করছিল একটি চক্র। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি) চক্রটির মূল হোতাসহ সব সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে।

আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ডিএনসির প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দেশে প্রথমবারের মতো এমডিএমবির বড় চালান জব্দের বিষয়টি তুলে ধরেন মহাপরিচালক মো. হাসান মারুফ। তিনি জানান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গ্রুপ খুলে গোপনে ক্রেতাদের হাতে এই মাদক পৌঁছে দেওয়া হতো।

এ ঘটনায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র খন্দকার তৌকিরুল কবির তামিম (২৬), মেহেদী হাসান রাকিব (২৬), বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং কর্মকর্তা মো. মাসুম মাসফিকুর রহমান ওরফে সাহস (২৭) এবং সম্প্রতি ভারত থেকে পড়াশোনা শেষে দেশে ব্যবসা শুরু করা মো. আশরাফুল ইসলাম (২৫)।

সংবাদ সম্মেলনে ডিএনসির মহাপরিচালক বলেন, বিশ্বজুড়ে ই-সিগারেট ও ভ্যাপের ব্যবহার তরুণদের মধ্যে উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। একসময় এসব ডিভাইসে নিকোটিন বা টোব্যাকো ব্যবহৃত হলেও এখন এর ভেতর মেশানো হচ্ছে নিউ সাইকোঅ্যাকটিভ সাবস্ট্যান্সেস (এনপিএস) ও বিভিন্ন অপিওডস।

এ ধরনের নতুন বিপজ্জনক মাদকদ্রব্যের বিস্তার ঠেকাতে আন্তর্জাতিক মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ সংস্থা আইএনসিবি ‘অপারেশন ই-ভেপোর-এইট’ নামে বৈশ্বিক নজরদারি কর্মসূচি চালু করে। এর অংশ হিসেবে ডিএনসির গোয়েন্দা দল দেশে এমডিএমবি ছড়িয়ে পড়ার সত্যতা উদ্‌ঘাটন করে।

মো. হাসান মারুফ জানান, ডার্ক ওয়েব, সোশ্যাল মিডিয়া ও অনলাইন মার্কেটপ্লেসে নজরদারি চালিয়ে প্রথমে এমডিএমবির অস্তিত্ব শনাক্ত করা হয়। খুচরা বিক্রেতা হিসেবে চিহ্নিত তামিমকে নজরদারির পর গত বুধবার (১০ ডিসেম্বর) মিরপুর পল্লবী থেকে ২০ মিলিলিটার এমডিএমবিসহ গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁর ডিজিটাল ফুটপ্রিন্ট বিশ্লেষণ করে মেহেদী হাসান রাকিবকে মিরপুর থেকেই গ্রেপ্তার করা হয়।

রাকিবের জবানবন্দিতে মালয়েশিয়া থেকে মাদক আনার হোতা আশরাফ ও তাঁর সহযোগী সাহসের নাম উঠে আসে। পরে অভিযানে চক্রের এই দুই প্রধানকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ৩১০ মিলিলিটারের পাঁচটি কনটেইনারে এমডিএমবি পিনাকা উদ্ধার করা হয়।

ডিএনসির মহাপরিচালক জানান, আশরাফ দীর্ঘদিন ধরে সমাজের একটি নির্দিষ্ট শ্রেণির মধ্যে এই মাদক সরবরাহ করছিলেন। ই-সিগারেট ব্যবহারকারীদের লক্ষ্য করে ‘গোপন বাজার’ তৈরি করেছিলেন তাঁরা। ফেসবুকের ক্লোজড গ্রুপ, রিভিউ পেজ ও ভুয়া অ্যাকাউন্টে সংকেতভিত্তিক পোস্টের মাধ্যমে ক্রেতা সংগ্রহ করা হতো। আগ্রহী ক্রেতাকে নিয়ে যাওয়া হতো হোয়াটসঅ্যাপের এনক্রিপটেড চ্যাটে। যেখানে কোডওয়ার্ডে দাম ঠিক করা হতো। ইমোজি, লোকেশন শেয়ার ও লাইভ ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে সরবরাহ সম্পন্ন হতো। সোশ্যাল মিডিয়ার আড়ালে তাঁরা পুরো লেনদেনকে ‘নিরাপদ, দ্রুত ও অদৃশ্য’ রাখতেন।

এমডিএমবির ক্ষতিকর দিক তুলে ধরে হাসান মারুফ বলেন, ভ্যাপ ও ই-সিগারেট কার্টিজে মেশানো এই তরল সিনথেটিক মাদকের কয়েক ফোটাই মানুষের স্নায়ুতন্ত্র বিপর্যস্ত করতে পারে। এটি দ্রুত নেশায় আচ্ছন্ন করে, হ্যালুসিনেশন (মতিভ্রম), আক্রমণাত্মক আচরণ, হৃৎস্পন্দন অস্বাভাবিক হওয়া এবং অন্যান্য মারাত্মক শারীরিক ঝুঁকি তৈরি করে।

অভিযানে মোট ৩৪০ মিলিলিটার এমডিএমবি, গাঁজার চকলেট, এমডিএমবি গ্রহণে ব্যবহৃত ভ্যাপ ডিভাইস, ই-লিকুইড এবং বিক্রির জন্য প্রস্তুত খালি ক্যানিস্টার উদ্ধার করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত