Ajker Patrika

ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠানে সেই আওয়ামী লীগ নেতাকে খুঁজে পায়নি পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা চিটাগাং ক্লাবে আসা গাড়িগুলোতে তল্লাশি চালায়। গতকাল শুক্রবার রাতে। ছবি: সংগৃহীত
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা চিটাগাং ক্লাবে আসা গাড়িগুলোতে তল্লাশি চালায়। গতকাল শুক্রবার রাতে। ছবি: সংগৃহীত

চিটাগাং ক্লাবে ছেলের বিয়ে অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ নেতা জাহেদুল হককে খুঁজে পায়নি পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাতে চট্টগ্রাম নগরীর সাইফুদ্দিন খালেদ রোডে চিটাগাং ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা। পরে পুলিশ ক্লাবের ভেতরে গিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকে ধরতে তল্লাশি চালায়। কিন্তু তাঁর খোঁজ মেলেনি। আজ শনিবার দুপুরে কোতোয়ালি থানা-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল করিম এ কথা জানান।

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য জাহেদুল হক। তাঁর বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।

জাহেদুল বোয়ালখালী উপজেলার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান। এ ছাড়া তিনি স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের একজন পরিচালক।

বিয়েতে অংশ নেওয়া প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার (৫ জুলাই) রাত ১১টার দিকে চিটাগাং ক্লাবের সামনে শতাধিক শিক্ষার্থী জড়ো হয়। তাদের অভিযোগ, ছেলের বিয়েতে ১২ মামলার পলাতক আসামি জাহেদুল হক উপস্থিত হয়েছেন। প্রথম দিকে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করে ক্লাবে ঢোকার চেষ্টা করে। কিন্তু ক্লাব কর্তৃপক্ষ তাতে বাধা দেয়। পরে রাত ১২টার দিকে কোতোয়ালি থানার ওসি আব্দুল করিমের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ক্লাবের ভেতরে প্রবেশ করে। এ সময় ক্লাবের বাইরে উপস্থিত ছাত্র-জনতা ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা প্রতিটি গাড়ি চেক করতে শুরু করে। সেনাবাহিনীর সদস্যদেরও ক্লাবের আশপাশে সতর্ক অবস্থানে দেখা গেছে। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা আওয়ামী লীগবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেয়।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে, শুরুতে চট্টগ্রাম ক্লাব কর্তৃপক্ষ তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে। একপর্যায়ে তারা লোকজন জড়ো করে তাদের ওপর হামলার চেষ্টাও করে। চট্টগ্রাম মহানগর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যসচিব নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘বিয়েতে জাহেদুল হকের উপস্থিতি নিশ্চিত হয়ে আমরা তাঁকে ধরতে যাই। কিন্তু ক্লাব কর্তৃপক্ষের বাধার কারণে আমরা ক্লাবে প্রবেশ করতে পারিনি।’ তিনি আরও বলেন, ‘হত্যাসহ অন্তত ১২টি মামলার পলাতক আসামি হয়েও দিব্যি চট্টগ্রাম ক্লাবে ছেলের বিয়ে দিচ্ছেন, এটা আইন ও ন্যায়বিচারের সঙ্গে তামাশা।’

শিক্ষার্থীরা দাবি করে, আওয়ামী লীগ নেতার ছেলের ওই বিয়েতে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের (সিএমপি) তিনজন উপকমিশনার, বিএনপি নেতা আবু সুফিয়ান ও একজন বিচারক উপস্থিত ছিলেন। তারা অভিযোগ করে, আওয়ামী লীগ নেতা জাহেদুল হক পুলিশের সহযোগিতা নিয়েই চিটাগাং ক্লাবের পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়েছেন। এরপর পুলিশের লোক দেখানো অভিযান শুরু করে। এদিকে কোতোয়ালি থানার ওসি আব্দুল করিম বলেন, ‘একাধিক মামলার আসামি এক আওয়ামী লীগ নেতা ছেলের বিয়েতে উপস্থিত হয়েছেন জেনে রাত ১১টার দিকে কিছু ছাত্র চিটাগাং ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ করে। এরপর আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের শান্ত করি। পরে বিক্ষোভকারীদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা ক্লাবের ভেতরে গিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকে ধরতে তল্লাশি চালাই। কিন্তু অভিযুক্ত সেই আওয়ামী লীগ নেতার খোঁজ মেলেনি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে হার্ডিঞ্জের পাশে রেলসেতু

স্বরূপকাঠিতে বিএনপি সভাপতিকে ‘আ.লীগের দোসর’ বললেন পরাজিত প্রার্থী

বরযাত্রীদের বিলাসবহুল গাড়ি উঠে গেল কলেজের দেয়ালে, বরসহ নিহত ৮

ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচে বাংলাদেশের আম্পায়ারকে নিয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতির কারণ কী

রাশিয়াকে ইউক্রেন যুদ্ধে হারতে দিতে পারি না: ইইউকে চীন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত