নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

হেফাজতে নিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ ও নিরাপত্তা চেয়ে স্ত্রী হত্যায় অভিযুক্ত সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের করা দুটি মামলার আবেদনই খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। আজ রোববার চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুননেছার আদালত এ দুটি মামলার আবেদনের শুনানি করে খারিজ করে দেন।
চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট ফখরুদ্দিন চৌধুরী বলেন, বাবুল আক্তারের পক্ষে হেফাজতে নির্যাতনের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত পিটিশন মামলাটি মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুননেছা খারিজ করে আদেশ প্রদান করেন এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ফেনী কারাগারের জেল সুপারকে নির্দেশের আবেদন ও নামঞ্জুর করা হয়।
চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, আদালত পর্যবেক্ষণে বলেছেন, মিতু হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন একজন পরিদর্শক পদমর্যাদার। আর বাবুল আক্তার ছিলেন এসপি মর্যাদার। রিমান্ডে নিয়ে একজন পরিদর্শক এসপির মতো লোককে মারধর ও নির্যাতন করবে, এই কথাটা যুক্তিসংগত নয়।
এ ছাড়া মিতু হত্যা মামলায় তিনি একাধিক আদালতে জামিন চেয়েছিলেন। কিন্তু সেই সময় তিনি এসব নির্যাতনের কথা উল্লেখ করেননি। ১ বছর ৪ মাস কোনো আদালতে তিনি রিমান্ডে নির্যাতনের কথা বলেননি।
মিতু হত্যায় বাবুল আক্তার অভিযুক্ত হওয়ার পর মূলত মামলাকে ভিন্নখাতে নিয়ে যাওয়া ও সময়ক্ষেপণ করার জন্য তিনি এই আবেদন করেছেন বলে আদালত মনে করছেন। ইতিমধ্যে আদালতে দাখিলকৃত চার্জশিটে বাবুল আক্তারকে আসামি করা হয়েছে বলে জানান ফখরুদ্দিন চৌধুরী।
এই কারণে আদালত বাবুল আক্তারের দুটি আবেদনই খারিজ করে দিয়েছে বলে জানান মহানগর দায়রা আদালতের পিপি।
গত ৮ সেপ্টেম্বর হেফাজতে নিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ এনে বাবুল আক্তার পিবিআইয়ের ছয় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করেন। যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে তাঁরা হলেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদার, সংস্থাটির চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার মো. নাজমুল হাসান, চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ সুপার নাঈমা সুলতানা, পুলিশ পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা, এ কে এম মহিউদ্দিন সেলিম ও কাজী এনায়েত করিম।
নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন, ২০১৩-এর ১৫ (১) এবং ৫ (২) ধারায় পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ গ্রহণের আবেদন করা হয়।
মামলার আবেদনে অভিযোগ আনা হয়, ২০২১ সালের ১০ মে সকাল পৌনে ১০টা থেকে ১৭ মে বেলা ১টা পর্যন্ত পিবিআই চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগর অফিসে তাঁকে (বাবুল আক্তার) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নিয়ে মানসিক নির্যাতন করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় গালিগালাজ ও অশ্লীল শব্দ ব্যবহার করত। সারাক্ষণ হ্যান্ডকাপ পরিয়ে এবং চোখ বেঁধে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। হ্যান্ডকাপ পরা অবস্থায় বাথরুমে নেওয়া হতো। প্যানের ওপর দাঁড় করিয়ে তারপর হ্যান্ডকাপ খুলত, কিন্তু চোখ বাঁধা থাকত। স্বীকারোক্তি দিতে রাজি করানোর জন্য তাঁর সঙ্গে নিষ্ঠুর, অমানবিক ও লাঞ্ছনাকর আচরণ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের নামে তাঁকে ২৪ ঘণ্টা জাগিয়ে রাখা হয়। গোসল করতেও দেওয়া হতো না।
বাবুল আক্তারের ওই মামলার আবেদনের তিন দিন বাদে ফেনী কারাগারে বাবুলের কক্ষে তল্লাশির অভিযোগ ও নিরাপত্তা চেয়ে আদালতে আরেকটি আবেদন করেন বাবুল আক্তারের আইনজীবী।
এর পরদিন ১৩ সেপ্টেম্বর মিতু হত্যাকাণ্ডে তাঁর স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারসহ সাতজনকে আসামি করে আদালতে প্রসিকিউশন শাখায় অভিযোগপত্র জমা দেয় পিবিআই। এতে বাবুলের করা মামলায় তাঁকে আসামি বানানো হয়। আগামী ১০ অক্টোবর আদালতে এই অভিযোগপত্র গ্রহণ শুনানির দিন ধার্য রয়েছে।
২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ থানার নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে বাসার কাছেই গুলি ও ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয় মাহমুদা খানম মিতুকে। স্ত্রীকে খুনের ঘটনায় পুলিশ সদর দপ্তরের তৎকালীন এসপি বাবুল আক্তার বাদী হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি শুরুতে তদন্ত করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ সময় গোয়েন্দা কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদসহ নানা নাটকীয়তার পর ওই বছরের আগস্টে বাবুল আক্তারকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
২০২০ সালের জানুয়ারিতে মামলাটির তদন্তভার পিবিআইয়ের হাতে আসে। ২০২১ সালে ১১ মে মামলার বাদী বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে এনে তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নেয় পিবিআই চট্টগ্রাম কার্যালয়। পরদিন ১২ মে পিবিআইয়ের প্রধান সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, বাবুল নিজেই তাঁর স্ত্রী হত্যার সঙ্গে জড়িত।
বাবুলের করা মামলাটিতে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলাটির তৎকালীন তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা। একই দিন বাবুলের শ্বশুর মোশাররফ হোসেন পাঁচলাইশ থানায় বাবুলকে প্রধান আসামি করে আটজনের নামে নতুন একটি হত্যা মামলা করেন। সেই মামলায় গ্রেপ্তারের পর বাবুল কারাগারে রয়েছেন।
গত বছরের ৩ নভেম্বর বাবুলের করা মামলায় পিবিআইয়ের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালত গ্রহণ না করে মামলাটির অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এর আগে বাবুলের শ্বশুরের করা মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন গত ৬ মার্চ আদালত গ্রহণ করেন।

হেফাজতে নিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ ও নিরাপত্তা চেয়ে স্ত্রী হত্যায় অভিযুক্ত সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের করা দুটি মামলার আবেদনই খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। আজ রোববার চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুননেছার আদালত এ দুটি মামলার আবেদনের শুনানি করে খারিজ করে দেন।
চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট ফখরুদ্দিন চৌধুরী বলেন, বাবুল আক্তারের পক্ষে হেফাজতে নির্যাতনের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত পিটিশন মামলাটি মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুননেছা খারিজ করে আদেশ প্রদান করেন এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ফেনী কারাগারের জেল সুপারকে নির্দেশের আবেদন ও নামঞ্জুর করা হয়।
চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, আদালত পর্যবেক্ষণে বলেছেন, মিতু হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন একজন পরিদর্শক পদমর্যাদার। আর বাবুল আক্তার ছিলেন এসপি মর্যাদার। রিমান্ডে নিয়ে একজন পরিদর্শক এসপির মতো লোককে মারধর ও নির্যাতন করবে, এই কথাটা যুক্তিসংগত নয়।
এ ছাড়া মিতু হত্যা মামলায় তিনি একাধিক আদালতে জামিন চেয়েছিলেন। কিন্তু সেই সময় তিনি এসব নির্যাতনের কথা উল্লেখ করেননি। ১ বছর ৪ মাস কোনো আদালতে তিনি রিমান্ডে নির্যাতনের কথা বলেননি।
মিতু হত্যায় বাবুল আক্তার অভিযুক্ত হওয়ার পর মূলত মামলাকে ভিন্নখাতে নিয়ে যাওয়া ও সময়ক্ষেপণ করার জন্য তিনি এই আবেদন করেছেন বলে আদালত মনে করছেন। ইতিমধ্যে আদালতে দাখিলকৃত চার্জশিটে বাবুল আক্তারকে আসামি করা হয়েছে বলে জানান ফখরুদ্দিন চৌধুরী।
এই কারণে আদালত বাবুল আক্তারের দুটি আবেদনই খারিজ করে দিয়েছে বলে জানান মহানগর দায়রা আদালতের পিপি।
গত ৮ সেপ্টেম্বর হেফাজতে নিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ এনে বাবুল আক্তার পিবিআইয়ের ছয় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করেন। যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে তাঁরা হলেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদার, সংস্থাটির চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার মো. নাজমুল হাসান, চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ সুপার নাঈমা সুলতানা, পুলিশ পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা, এ কে এম মহিউদ্দিন সেলিম ও কাজী এনায়েত করিম।
নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন, ২০১৩-এর ১৫ (১) এবং ৫ (২) ধারায় পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ গ্রহণের আবেদন করা হয়।
মামলার আবেদনে অভিযোগ আনা হয়, ২০২১ সালের ১০ মে সকাল পৌনে ১০টা থেকে ১৭ মে বেলা ১টা পর্যন্ত পিবিআই চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগর অফিসে তাঁকে (বাবুল আক্তার) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নিয়ে মানসিক নির্যাতন করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় গালিগালাজ ও অশ্লীল শব্দ ব্যবহার করত। সারাক্ষণ হ্যান্ডকাপ পরিয়ে এবং চোখ বেঁধে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। হ্যান্ডকাপ পরা অবস্থায় বাথরুমে নেওয়া হতো। প্যানের ওপর দাঁড় করিয়ে তারপর হ্যান্ডকাপ খুলত, কিন্তু চোখ বাঁধা থাকত। স্বীকারোক্তি দিতে রাজি করানোর জন্য তাঁর সঙ্গে নিষ্ঠুর, অমানবিক ও লাঞ্ছনাকর আচরণ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের নামে তাঁকে ২৪ ঘণ্টা জাগিয়ে রাখা হয়। গোসল করতেও দেওয়া হতো না।
বাবুল আক্তারের ওই মামলার আবেদনের তিন দিন বাদে ফেনী কারাগারে বাবুলের কক্ষে তল্লাশির অভিযোগ ও নিরাপত্তা চেয়ে আদালতে আরেকটি আবেদন করেন বাবুল আক্তারের আইনজীবী।
এর পরদিন ১৩ সেপ্টেম্বর মিতু হত্যাকাণ্ডে তাঁর স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারসহ সাতজনকে আসামি করে আদালতে প্রসিকিউশন শাখায় অভিযোগপত্র জমা দেয় পিবিআই। এতে বাবুলের করা মামলায় তাঁকে আসামি বানানো হয়। আগামী ১০ অক্টোবর আদালতে এই অভিযোগপত্র গ্রহণ শুনানির দিন ধার্য রয়েছে।
২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ থানার নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে বাসার কাছেই গুলি ও ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয় মাহমুদা খানম মিতুকে। স্ত্রীকে খুনের ঘটনায় পুলিশ সদর দপ্তরের তৎকালীন এসপি বাবুল আক্তার বাদী হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি শুরুতে তদন্ত করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ সময় গোয়েন্দা কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদসহ নানা নাটকীয়তার পর ওই বছরের আগস্টে বাবুল আক্তারকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
২০২০ সালের জানুয়ারিতে মামলাটির তদন্তভার পিবিআইয়ের হাতে আসে। ২০২১ সালে ১১ মে মামলার বাদী বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে এনে তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নেয় পিবিআই চট্টগ্রাম কার্যালয়। পরদিন ১২ মে পিবিআইয়ের প্রধান সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, বাবুল নিজেই তাঁর স্ত্রী হত্যার সঙ্গে জড়িত।
বাবুলের করা মামলাটিতে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলাটির তৎকালীন তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা। একই দিন বাবুলের শ্বশুর মোশাররফ হোসেন পাঁচলাইশ থানায় বাবুলকে প্রধান আসামি করে আটজনের নামে নতুন একটি হত্যা মামলা করেন। সেই মামলায় গ্রেপ্তারের পর বাবুল কারাগারে রয়েছেন।
গত বছরের ৩ নভেম্বর বাবুলের করা মামলায় পিবিআইয়ের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালত গ্রহণ না করে মামলাটির অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এর আগে বাবুলের শ্বশুরের করা মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন গত ৬ মার্চ আদালত গ্রহণ করেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

হেফাজতে নিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ ও নিরাপত্তা চেয়ে স্ত্রী হত্যায় অভিযুক্ত সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের করা দুটি মামলার আবেদনই খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। আজ রোববার চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুননেছার আদালত এ দুটি মামলার আবেদনের শুনানি করে খারিজ করে দেন।
চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট ফখরুদ্দিন চৌধুরী বলেন, বাবুল আক্তারের পক্ষে হেফাজতে নির্যাতনের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত পিটিশন মামলাটি মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুননেছা খারিজ করে আদেশ প্রদান করেন এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ফেনী কারাগারের জেল সুপারকে নির্দেশের আবেদন ও নামঞ্জুর করা হয়।
চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, আদালত পর্যবেক্ষণে বলেছেন, মিতু হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন একজন পরিদর্শক পদমর্যাদার। আর বাবুল আক্তার ছিলেন এসপি মর্যাদার। রিমান্ডে নিয়ে একজন পরিদর্শক এসপির মতো লোককে মারধর ও নির্যাতন করবে, এই কথাটা যুক্তিসংগত নয়।
এ ছাড়া মিতু হত্যা মামলায় তিনি একাধিক আদালতে জামিন চেয়েছিলেন। কিন্তু সেই সময় তিনি এসব নির্যাতনের কথা উল্লেখ করেননি। ১ বছর ৪ মাস কোনো আদালতে তিনি রিমান্ডে নির্যাতনের কথা বলেননি।
মিতু হত্যায় বাবুল আক্তার অভিযুক্ত হওয়ার পর মূলত মামলাকে ভিন্নখাতে নিয়ে যাওয়া ও সময়ক্ষেপণ করার জন্য তিনি এই আবেদন করেছেন বলে আদালত মনে করছেন। ইতিমধ্যে আদালতে দাখিলকৃত চার্জশিটে বাবুল আক্তারকে আসামি করা হয়েছে বলে জানান ফখরুদ্দিন চৌধুরী।
এই কারণে আদালত বাবুল আক্তারের দুটি আবেদনই খারিজ করে দিয়েছে বলে জানান মহানগর দায়রা আদালতের পিপি।
গত ৮ সেপ্টেম্বর হেফাজতে নিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ এনে বাবুল আক্তার পিবিআইয়ের ছয় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করেন। যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে তাঁরা হলেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদার, সংস্থাটির চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার মো. নাজমুল হাসান, চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ সুপার নাঈমা সুলতানা, পুলিশ পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা, এ কে এম মহিউদ্দিন সেলিম ও কাজী এনায়েত করিম।
নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন, ২০১৩-এর ১৫ (১) এবং ৫ (২) ধারায় পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ গ্রহণের আবেদন করা হয়।
মামলার আবেদনে অভিযোগ আনা হয়, ২০২১ সালের ১০ মে সকাল পৌনে ১০টা থেকে ১৭ মে বেলা ১টা পর্যন্ত পিবিআই চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগর অফিসে তাঁকে (বাবুল আক্তার) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নিয়ে মানসিক নির্যাতন করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় গালিগালাজ ও অশ্লীল শব্দ ব্যবহার করত। সারাক্ষণ হ্যান্ডকাপ পরিয়ে এবং চোখ বেঁধে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। হ্যান্ডকাপ পরা অবস্থায় বাথরুমে নেওয়া হতো। প্যানের ওপর দাঁড় করিয়ে তারপর হ্যান্ডকাপ খুলত, কিন্তু চোখ বাঁধা থাকত। স্বীকারোক্তি দিতে রাজি করানোর জন্য তাঁর সঙ্গে নিষ্ঠুর, অমানবিক ও লাঞ্ছনাকর আচরণ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের নামে তাঁকে ২৪ ঘণ্টা জাগিয়ে রাখা হয়। গোসল করতেও দেওয়া হতো না।
বাবুল আক্তারের ওই মামলার আবেদনের তিন দিন বাদে ফেনী কারাগারে বাবুলের কক্ষে তল্লাশির অভিযোগ ও নিরাপত্তা চেয়ে আদালতে আরেকটি আবেদন করেন বাবুল আক্তারের আইনজীবী।
এর পরদিন ১৩ সেপ্টেম্বর মিতু হত্যাকাণ্ডে তাঁর স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারসহ সাতজনকে আসামি করে আদালতে প্রসিকিউশন শাখায় অভিযোগপত্র জমা দেয় পিবিআই। এতে বাবুলের করা মামলায় তাঁকে আসামি বানানো হয়। আগামী ১০ অক্টোবর আদালতে এই অভিযোগপত্র গ্রহণ শুনানির দিন ধার্য রয়েছে।
২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ থানার নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে বাসার কাছেই গুলি ও ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয় মাহমুদা খানম মিতুকে। স্ত্রীকে খুনের ঘটনায় পুলিশ সদর দপ্তরের তৎকালীন এসপি বাবুল আক্তার বাদী হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি শুরুতে তদন্ত করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ সময় গোয়েন্দা কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদসহ নানা নাটকীয়তার পর ওই বছরের আগস্টে বাবুল আক্তারকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
২০২০ সালের জানুয়ারিতে মামলাটির তদন্তভার পিবিআইয়ের হাতে আসে। ২০২১ সালে ১১ মে মামলার বাদী বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে এনে তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নেয় পিবিআই চট্টগ্রাম কার্যালয়। পরদিন ১২ মে পিবিআইয়ের প্রধান সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, বাবুল নিজেই তাঁর স্ত্রী হত্যার সঙ্গে জড়িত।
বাবুলের করা মামলাটিতে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলাটির তৎকালীন তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা। একই দিন বাবুলের শ্বশুর মোশাররফ হোসেন পাঁচলাইশ থানায় বাবুলকে প্রধান আসামি করে আটজনের নামে নতুন একটি হত্যা মামলা করেন। সেই মামলায় গ্রেপ্তারের পর বাবুল কারাগারে রয়েছেন।
গত বছরের ৩ নভেম্বর বাবুলের করা মামলায় পিবিআইয়ের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালত গ্রহণ না করে মামলাটির অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এর আগে বাবুলের শ্বশুরের করা মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন গত ৬ মার্চ আদালত গ্রহণ করেন।

হেফাজতে নিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ ও নিরাপত্তা চেয়ে স্ত্রী হত্যায় অভিযুক্ত সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের করা দুটি মামলার আবেদনই খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। আজ রোববার চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুননেছার আদালত এ দুটি মামলার আবেদনের শুনানি করে খারিজ করে দেন।
চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট ফখরুদ্দিন চৌধুরী বলেন, বাবুল আক্তারের পক্ষে হেফাজতে নির্যাতনের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত পিটিশন মামলাটি মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুননেছা খারিজ করে আদেশ প্রদান করেন এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ফেনী কারাগারের জেল সুপারকে নির্দেশের আবেদন ও নামঞ্জুর করা হয়।
চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, আদালত পর্যবেক্ষণে বলেছেন, মিতু হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন একজন পরিদর্শক পদমর্যাদার। আর বাবুল আক্তার ছিলেন এসপি মর্যাদার। রিমান্ডে নিয়ে একজন পরিদর্শক এসপির মতো লোককে মারধর ও নির্যাতন করবে, এই কথাটা যুক্তিসংগত নয়।
এ ছাড়া মিতু হত্যা মামলায় তিনি একাধিক আদালতে জামিন চেয়েছিলেন। কিন্তু সেই সময় তিনি এসব নির্যাতনের কথা উল্লেখ করেননি। ১ বছর ৪ মাস কোনো আদালতে তিনি রিমান্ডে নির্যাতনের কথা বলেননি।
মিতু হত্যায় বাবুল আক্তার অভিযুক্ত হওয়ার পর মূলত মামলাকে ভিন্নখাতে নিয়ে যাওয়া ও সময়ক্ষেপণ করার জন্য তিনি এই আবেদন করেছেন বলে আদালত মনে করছেন। ইতিমধ্যে আদালতে দাখিলকৃত চার্জশিটে বাবুল আক্তারকে আসামি করা হয়েছে বলে জানান ফখরুদ্দিন চৌধুরী।
এই কারণে আদালত বাবুল আক্তারের দুটি আবেদনই খারিজ করে দিয়েছে বলে জানান মহানগর দায়রা আদালতের পিপি।
গত ৮ সেপ্টেম্বর হেফাজতে নিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ এনে বাবুল আক্তার পিবিআইয়ের ছয় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করেন। যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে তাঁরা হলেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদার, সংস্থাটির চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার মো. নাজমুল হাসান, চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ সুপার নাঈমা সুলতানা, পুলিশ পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা, এ কে এম মহিউদ্দিন সেলিম ও কাজী এনায়েত করিম।
নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন, ২০১৩-এর ১৫ (১) এবং ৫ (২) ধারায় পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ গ্রহণের আবেদন করা হয়।
মামলার আবেদনে অভিযোগ আনা হয়, ২০২১ সালের ১০ মে সকাল পৌনে ১০টা থেকে ১৭ মে বেলা ১টা পর্যন্ত পিবিআই চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগর অফিসে তাঁকে (বাবুল আক্তার) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নিয়ে মানসিক নির্যাতন করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় গালিগালাজ ও অশ্লীল শব্দ ব্যবহার করত। সারাক্ষণ হ্যান্ডকাপ পরিয়ে এবং চোখ বেঁধে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। হ্যান্ডকাপ পরা অবস্থায় বাথরুমে নেওয়া হতো। প্যানের ওপর দাঁড় করিয়ে তারপর হ্যান্ডকাপ খুলত, কিন্তু চোখ বাঁধা থাকত। স্বীকারোক্তি দিতে রাজি করানোর জন্য তাঁর সঙ্গে নিষ্ঠুর, অমানবিক ও লাঞ্ছনাকর আচরণ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের নামে তাঁকে ২৪ ঘণ্টা জাগিয়ে রাখা হয়। গোসল করতেও দেওয়া হতো না।
বাবুল আক্তারের ওই মামলার আবেদনের তিন দিন বাদে ফেনী কারাগারে বাবুলের কক্ষে তল্লাশির অভিযোগ ও নিরাপত্তা চেয়ে আদালতে আরেকটি আবেদন করেন বাবুল আক্তারের আইনজীবী।
এর পরদিন ১৩ সেপ্টেম্বর মিতু হত্যাকাণ্ডে তাঁর স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারসহ সাতজনকে আসামি করে আদালতে প্রসিকিউশন শাখায় অভিযোগপত্র জমা দেয় পিবিআই। এতে বাবুলের করা মামলায় তাঁকে আসামি বানানো হয়। আগামী ১০ অক্টোবর আদালতে এই অভিযোগপত্র গ্রহণ শুনানির দিন ধার্য রয়েছে।
২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ থানার নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে বাসার কাছেই গুলি ও ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয় মাহমুদা খানম মিতুকে। স্ত্রীকে খুনের ঘটনায় পুলিশ সদর দপ্তরের তৎকালীন এসপি বাবুল আক্তার বাদী হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি শুরুতে তদন্ত করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ সময় গোয়েন্দা কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদসহ নানা নাটকীয়তার পর ওই বছরের আগস্টে বাবুল আক্তারকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
২০২০ সালের জানুয়ারিতে মামলাটির তদন্তভার পিবিআইয়ের হাতে আসে। ২০২১ সালে ১১ মে মামলার বাদী বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে এনে তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নেয় পিবিআই চট্টগ্রাম কার্যালয়। পরদিন ১২ মে পিবিআইয়ের প্রধান সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, বাবুল নিজেই তাঁর স্ত্রী হত্যার সঙ্গে জড়িত।
বাবুলের করা মামলাটিতে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলাটির তৎকালীন তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা। একই দিন বাবুলের শ্বশুর মোশাররফ হোসেন পাঁচলাইশ থানায় বাবুলকে প্রধান আসামি করে আটজনের নামে নতুন একটি হত্যা মামলা করেন। সেই মামলায় গ্রেপ্তারের পর বাবুল কারাগারে রয়েছেন।
গত বছরের ৩ নভেম্বর বাবুলের করা মামলায় পিবিআইয়ের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালত গ্রহণ না করে মামলাটির অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এর আগে বাবুলের শ্বশুরের করা মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন গত ৬ মার্চ আদালত গ্রহণ করেন।

ট্রান্সফরমারের জরুরি মেরামত ও সংরক্ষণকাজের জন্য আগামী বুধবার সিলেটের বিভিন্ন এলাকায় ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না। এ দিন সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
২ মিনিট আগে
রাজশাহীর তানোরের কোয়েলহাট পূর্বপাড়া গ্রামে গভীর নলকূপের পরিত্যক্ত গর্তে পড়ে মারা যাওয়া শিশু সাজিদের পরিবারের খোঁজ নেননি জমির মালিক কছির উদ্দিন। আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা পর্যন্ত তিনি এলাকায়ও ফেরেননি।
২৯ মিনিট আগে
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ইটভাটা উচ্ছেদ করতে এসে শ্রমিকদের বাধার মুখে কাজ না করেই ফিরে গেলেন পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। আজ সোমবার বেলা ৩টার দিকে কালীগঞ্জ পৌরসভার শিবনগর এলাকার ইটভাটা মকছেদ আলী ব্রিকসে এ ঘটনা ঘটে।
৩৬ মিনিট আগে
চরফ্যাশনে বিএনপি ও জামায়াতের নেতা-কর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ সোমবার উপজেলার চকবাজার ও চরফ্যাশন হাসপাতাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
৪২ মিনিট আগেসিলেট প্রতিনিধি

ট্রান্সফরমারের জরুরি মেরামত ও সংরক্ষণকাজের জন্য আগামী বুধবার সিলেটের বিভিন্ন এলাকায় ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না। এ দিন সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
আজ সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবদুর রাজ্জাক এ তথ্য জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১১ কেভি মুক্তিরচক ফিডারের কুশিঘাট, সোনাপুর, নয়াবস্তি, মীরেরচক, শাহপরান হাউজিং, মুক্তিরচক, মুরাদপুর, পীরেরচক, আমদরপুর ও আশপাশ এলাকায় আগামী বুধবার ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হয়ে গেলে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে এবং গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে কর্তৃপক্ষ।

ট্রান্সফরমারের জরুরি মেরামত ও সংরক্ষণকাজের জন্য আগামী বুধবার সিলেটের বিভিন্ন এলাকায় ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না। এ দিন সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
আজ সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবদুর রাজ্জাক এ তথ্য জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১১ কেভি মুক্তিরচক ফিডারের কুশিঘাট, সোনাপুর, নয়াবস্তি, মীরেরচক, শাহপরান হাউজিং, মুক্তিরচক, মুরাদপুর, পীরেরচক, আমদরপুর ও আশপাশ এলাকায় আগামী বুধবার ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হয়ে গেলে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে এবং গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে কর্তৃপক্ষ।

হেফাজতে নিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ ও নিরাপত্তা চেয়ে স্ত্রী হত্যায় অভিযুক্ত সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের করা দুটি মামলার আবেদনই খারিজ করে দিয়েছেন আদালত
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২
রাজশাহীর তানোরের কোয়েলহাট পূর্বপাড়া গ্রামে গভীর নলকূপের পরিত্যক্ত গর্তে পড়ে মারা যাওয়া শিশু সাজিদের পরিবারের খোঁজ নেননি জমির মালিক কছির উদ্দিন। আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা পর্যন্ত তিনি এলাকায়ও ফেরেননি।
২৯ মিনিট আগে
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ইটভাটা উচ্ছেদ করতে এসে শ্রমিকদের বাধার মুখে কাজ না করেই ফিরে গেলেন পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। আজ সোমবার বেলা ৩টার দিকে কালীগঞ্জ পৌরসভার শিবনগর এলাকার ইটভাটা মকছেদ আলী ব্রিকসে এ ঘটনা ঘটে।
৩৬ মিনিট আগে
চরফ্যাশনে বিএনপি ও জামায়াতের নেতা-কর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ সোমবার উপজেলার চকবাজার ও চরফ্যাশন হাসপাতাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
৪২ মিনিট আগেরিমন রহমান, রাজশাহী

রাজশাহীর তানোরের কোয়েলহাট পূর্বপাড়া গ্রামে গভীর নলকূপের পরিত্যক্ত গর্তে পড়ে শিশু সাজিদের মৃত্যুর ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। সাজিদের বাবা রাকিবুল ইসলাম বলেছেন, ‘এটি অবহেলা। আমি এর বিচার চাই। কিন্তু কোনো মামলা করব না।’ তবে রাজশাহীর জেলা প্রশাসক (ডিসি) আফিয়া আখতার বলেছেন, এ ঘটনায় একটা ইউডি (অপমৃত্যুর) মামলা হতে হবে।
ঘটনার পর এখন পর্যন্ত শিশু সাজিদের পরিবারের খোঁজ নেননি জমির মালিক কছির উদ্দিন। আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা পর্যন্ত তিনি এলাকায়ও ফেরেননি।
আজ বিকেলে শিশু সাজিদের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, বাড়িতে সাজিদের তিন মাস বয়সী ছোট ভাই সাদমানের জন্য আকিকা দেওয়া হয়েছে। আকিকার মাংস কেটে বিলি করা হচ্ছে।
কথা হয় সাজিদের বাবা রাকিবুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি জানান, জমির মালিক কছির উদ্দিন এখনো তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। সমবেদনাও জানাননি। এত বড় একটি ঘটনার পর তাঁর অন্তত সমবেদনা জানানো উচিত ছিল।
রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘এটি অবহেলা। আমি এর বিচার চাই।’
মামলা করতে চাচ্ছেন কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে রাকিবুল বলেন, ‘আল্লাহর মাল আল্লাহই নিয়েছে। আমরা মামলা করব না।’
মামলা না করতে কোনো চাপ আছে কি না—এমন প্রশ্নে রাকিবুল বলেন, ‘আমার ওপর কোনো চাপ নাই। কারণ, গোটা দেশ আমাদের পক্ষে আছে। ইনশা আল্লাহ পুলিশ-প্রশাসন সবাই আমাদের পক্ষে আছে। কোনো চাপ নাই ভাই।’
এ ধরনের ঘটনার ক্ষেত্রে রাষ্ট্র চাইলে মামলা করতে পারে, তবে সেটিও এখনো হয়নি। জানতে চাইলে তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহীনুজ্জামান বলেন, ‘উপজেলা প্রশাসন চাইলে বাদী হয়ে মামলা করতে পারে। আমরা পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করব না।’
কথা বলতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাঈমা খানকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।
জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক (ডিসি) আফিয়া আখতার আজ রাতে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা একটা মামলা করতে গেলেও কিছু প্রসিডিউর আছে। সেগুলো দেখা হচ্ছে। এই ঘটনায় একটা ইউডি (অপমৃত্যুর) মামলা হতে হবে। সেটা হয়েছে বা হবে।’
সন্ধ্যায় কছির উদ্দিনের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, তিনি এখনো বাড়ি ফেরেননি। গণমাধ্যমের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন কছিরের ভাইয়ের স্ত্রী তৌহিদা খাতুন। বলেন, মিডিয়া মিথ্যা লিখে বিষয়টি এত বড় করেছে। তাঁরা গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে চান না। তিনি জানান, ঘটনার পর থেকে তাঁর ভাশুর কছির উদ্দিন বাড়িতে নেই। মোবাইল ফোন নম্বর চাইলে জানান, মোবাইল নম্বর নেই। থাকলেও দেবেন না।
উল্লেখ্য, গত বুধবার বাড়ির পাশে আট ইঞ্চি ব্যাসার্ধের একটি গর্তে পড়ে যায় শিশু সাজিদ। ৩২ ঘণ্টার শ্বাসরুদ্ধকর অভিযানে মাটির প্রায় ৫০ ফুট গভীর থেকে সাজিদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। গভীর নলকূপ বসাতে এই গর্ত করে এক বছর ধরে ফেলে রেখেছিলেন কছির উদ্দিন। ঘটনার পর থেকে কছির উদ্দিন পলাতক। এ নিয়ে অবশ্য সাজিদের পরিবার কোনো মামলা করেনি। অবৈধভাবে বোরহোল করার ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসনও।

রাজশাহীর তানোরের কোয়েলহাট পূর্বপাড়া গ্রামে গভীর নলকূপের পরিত্যক্ত গর্তে পড়ে শিশু সাজিদের মৃত্যুর ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। সাজিদের বাবা রাকিবুল ইসলাম বলেছেন, ‘এটি অবহেলা। আমি এর বিচার চাই। কিন্তু কোনো মামলা করব না।’ তবে রাজশাহীর জেলা প্রশাসক (ডিসি) আফিয়া আখতার বলেছেন, এ ঘটনায় একটা ইউডি (অপমৃত্যুর) মামলা হতে হবে।
ঘটনার পর এখন পর্যন্ত শিশু সাজিদের পরিবারের খোঁজ নেননি জমির মালিক কছির উদ্দিন। আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা পর্যন্ত তিনি এলাকায়ও ফেরেননি।
আজ বিকেলে শিশু সাজিদের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, বাড়িতে সাজিদের তিন মাস বয়সী ছোট ভাই সাদমানের জন্য আকিকা দেওয়া হয়েছে। আকিকার মাংস কেটে বিলি করা হচ্ছে।
কথা হয় সাজিদের বাবা রাকিবুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি জানান, জমির মালিক কছির উদ্দিন এখনো তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। সমবেদনাও জানাননি। এত বড় একটি ঘটনার পর তাঁর অন্তত সমবেদনা জানানো উচিত ছিল।
রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘এটি অবহেলা। আমি এর বিচার চাই।’
মামলা করতে চাচ্ছেন কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে রাকিবুল বলেন, ‘আল্লাহর মাল আল্লাহই নিয়েছে। আমরা মামলা করব না।’
মামলা না করতে কোনো চাপ আছে কি না—এমন প্রশ্নে রাকিবুল বলেন, ‘আমার ওপর কোনো চাপ নাই। কারণ, গোটা দেশ আমাদের পক্ষে আছে। ইনশা আল্লাহ পুলিশ-প্রশাসন সবাই আমাদের পক্ষে আছে। কোনো চাপ নাই ভাই।’
এ ধরনের ঘটনার ক্ষেত্রে রাষ্ট্র চাইলে মামলা করতে পারে, তবে সেটিও এখনো হয়নি। জানতে চাইলে তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহীনুজ্জামান বলেন, ‘উপজেলা প্রশাসন চাইলে বাদী হয়ে মামলা করতে পারে। আমরা পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করব না।’
কথা বলতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাঈমা খানকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।
জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক (ডিসি) আফিয়া আখতার আজ রাতে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা একটা মামলা করতে গেলেও কিছু প্রসিডিউর আছে। সেগুলো দেখা হচ্ছে। এই ঘটনায় একটা ইউডি (অপমৃত্যুর) মামলা হতে হবে। সেটা হয়েছে বা হবে।’
সন্ধ্যায় কছির উদ্দিনের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, তিনি এখনো বাড়ি ফেরেননি। গণমাধ্যমের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন কছিরের ভাইয়ের স্ত্রী তৌহিদা খাতুন। বলেন, মিডিয়া মিথ্যা লিখে বিষয়টি এত বড় করেছে। তাঁরা গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে চান না। তিনি জানান, ঘটনার পর থেকে তাঁর ভাশুর কছির উদ্দিন বাড়িতে নেই। মোবাইল ফোন নম্বর চাইলে জানান, মোবাইল নম্বর নেই। থাকলেও দেবেন না।
উল্লেখ্য, গত বুধবার বাড়ির পাশে আট ইঞ্চি ব্যাসার্ধের একটি গর্তে পড়ে যায় শিশু সাজিদ। ৩২ ঘণ্টার শ্বাসরুদ্ধকর অভিযানে মাটির প্রায় ৫০ ফুট গভীর থেকে সাজিদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। গভীর নলকূপ বসাতে এই গর্ত করে এক বছর ধরে ফেলে রেখেছিলেন কছির উদ্দিন। ঘটনার পর থেকে কছির উদ্দিন পলাতক। এ নিয়ে অবশ্য সাজিদের পরিবার কোনো মামলা করেনি। অবৈধভাবে বোরহোল করার ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসনও।

হেফাজতে নিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ ও নিরাপত্তা চেয়ে স্ত্রী হত্যায় অভিযুক্ত সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের করা দুটি মামলার আবেদনই খারিজ করে দিয়েছেন আদালত
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২
ট্রান্সফরমারের জরুরি মেরামত ও সংরক্ষণকাজের জন্য আগামী বুধবার সিলেটের বিভিন্ন এলাকায় ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না। এ দিন সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
২ মিনিট আগে
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ইটভাটা উচ্ছেদ করতে এসে শ্রমিকদের বাধার মুখে কাজ না করেই ফিরে গেলেন পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। আজ সোমবার বেলা ৩টার দিকে কালীগঞ্জ পৌরসভার শিবনগর এলাকার ইটভাটা মকছেদ আলী ব্রিকসে এ ঘটনা ঘটে।
৩৬ মিনিট আগে
চরফ্যাশনে বিএনপি ও জামায়াতের নেতা-কর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ সোমবার উপজেলার চকবাজার ও চরফ্যাশন হাসপাতাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
৪২ মিনিট আগেঝিনাইদহ প্রতিনিধি

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ইটভাটা উচ্ছেদ করতে এসে শ্রমিকদের বাধার মুখে কাজ না করেই ফিরে গেলেন পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। আজ সোমবার বেলা ৩টার দিকে কালীগঞ্জ পৌরসভার শিবনগর এলাকার ইটভাটা মকছেদ আলী ব্রিকসে এ ঘটনা ঘটে।
ঝিনাইদহ পরিবেশ অধিদপ্তরের একটি দল ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ নিয়ে ইটভাটাটি উচ্ছেদে অভিযানে গেলে শ্রমিকেরা তাতে বাধা দেন। শ্রমিকেরা এক্সকাভেটরের (ভেকু মেশিন) সামনে শুয়ে পড়েন। তাঁরা জানান, ভাটা ভাঙতে হলে তাঁদের লাশের ওপর দিয়ে গিয়ে ভাঙতে হবে। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. মুন্তাছির রহমান ও কালীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শাহিন আলম।
ইটভাটার শ্রমিক চান্দু মিয়া বলেন, ‘এখানে আমরা ২০০ জনের মতো শ্রমিক আছি। এখন ভাটা উচ্ছেদ করলে আমরা সবাই বেকার হয়ে যাব। আমাদের পরিবার নিয়ে না খেয়ে মরতে হবে।’
কালীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শাহিন আলম বলেন, ‘ইটভাটা ভাঙার বিষয়টি পরিবেশ অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণাধীন। আজ দুপুরে মকছেদ আলী ব্রিকসে যাওয়ার পর শ্রমিকেরা মাটিতে শুয়ে পড়ে ভাটা না ভাঙার জন্য অনুরোধ করতে থাকেন, ফলে পরিবেশ অনুকূলে ছিল না। এ সময় পরিবেশ অধিপ্তরের কর্মকর্তারা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের পরামর্শে ফিরে আসি।’
ঝিনাইদহ পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. মুন্তাছির রহমান বলেন, ‘কালীগঞ্জ পৌরসভার মকছেদ আলী ব্রিকসে অভিযান চালাতে গিয়ে ইটভাটার শ্রমিকদের বাধার সম্মুখীন হই। ভাটার শ্রমিকেরা এক্সকাভেটর ঘিরে মাটিতে শুয়ে পড়েন। বাধ্য হয়ে সেখান থেকে ফিরে আসি। তবে সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার জন্য ওই ভাটার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।’

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ইটভাটা উচ্ছেদ করতে এসে শ্রমিকদের বাধার মুখে কাজ না করেই ফিরে গেলেন পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। আজ সোমবার বেলা ৩টার দিকে কালীগঞ্জ পৌরসভার শিবনগর এলাকার ইটভাটা মকছেদ আলী ব্রিকসে এ ঘটনা ঘটে।
ঝিনাইদহ পরিবেশ অধিদপ্তরের একটি দল ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ নিয়ে ইটভাটাটি উচ্ছেদে অভিযানে গেলে শ্রমিকেরা তাতে বাধা দেন। শ্রমিকেরা এক্সকাভেটরের (ভেকু মেশিন) সামনে শুয়ে পড়েন। তাঁরা জানান, ভাটা ভাঙতে হলে তাঁদের লাশের ওপর দিয়ে গিয়ে ভাঙতে হবে। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. মুন্তাছির রহমান ও কালীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শাহিন আলম।
ইটভাটার শ্রমিক চান্দু মিয়া বলেন, ‘এখানে আমরা ২০০ জনের মতো শ্রমিক আছি। এখন ভাটা উচ্ছেদ করলে আমরা সবাই বেকার হয়ে যাব। আমাদের পরিবার নিয়ে না খেয়ে মরতে হবে।’
কালীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শাহিন আলম বলেন, ‘ইটভাটা ভাঙার বিষয়টি পরিবেশ অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণাধীন। আজ দুপুরে মকছেদ আলী ব্রিকসে যাওয়ার পর শ্রমিকেরা মাটিতে শুয়ে পড়ে ভাটা না ভাঙার জন্য অনুরোধ করতে থাকেন, ফলে পরিবেশ অনুকূলে ছিল না। এ সময় পরিবেশ অধিপ্তরের কর্মকর্তারা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের পরামর্শে ফিরে আসি।’
ঝিনাইদহ পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. মুন্তাছির রহমান বলেন, ‘কালীগঞ্জ পৌরসভার মকছেদ আলী ব্রিকসে অভিযান চালাতে গিয়ে ইটভাটার শ্রমিকদের বাধার সম্মুখীন হই। ভাটার শ্রমিকেরা এক্সকাভেটর ঘিরে মাটিতে শুয়ে পড়েন। বাধ্য হয়ে সেখান থেকে ফিরে আসি। তবে সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার জন্য ওই ভাটার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।’

হেফাজতে নিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ ও নিরাপত্তা চেয়ে স্ত্রী হত্যায় অভিযুক্ত সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের করা দুটি মামলার আবেদনই খারিজ করে দিয়েছেন আদালত
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২
ট্রান্সফরমারের জরুরি মেরামত ও সংরক্ষণকাজের জন্য আগামী বুধবার সিলেটের বিভিন্ন এলাকায় ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না। এ দিন সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
২ মিনিট আগে
রাজশাহীর তানোরের কোয়েলহাট পূর্বপাড়া গ্রামে গভীর নলকূপের পরিত্যক্ত গর্তে পড়ে মারা যাওয়া শিশু সাজিদের পরিবারের খোঁজ নেননি জমির মালিক কছির উদ্দিন। আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা পর্যন্ত তিনি এলাকায়ও ফেরেননি।
২৯ মিনিট আগে
চরফ্যাশনে বিএনপি ও জামায়াতের নেতা-কর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ সোমবার উপজেলার চকবাজার ও চরফ্যাশন হাসপাতাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
৪২ মিনিট আগেভোলা প্রতিনিধি

ভোলার চরফ্যাশনে বিএনপি ও জামায়াতের নেতা-কর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ সোমবার উপজেলার চকবাজার ও চরফ্যাশন হাসপাতাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তিরা হলেন মো. রুবেল, মো. নাছিম, বেল্লাল, মো নাসির, ভুট্টো, বাবুল, রাফসান, মোশারেফ হোসেন, সালেহ উদ্দিন ও জমশেদ। তাঁদের ভোলা ও চরফ্যাশনের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হামলার জন্য উভয় দলের নেতারা একে অপরকে দায়ী করেছেন। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ ও নৌবাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে।
জানা গেছে, আজ সকালে উপজেলার চকবাজার ও চরফ্যাশন হাসপাতাল এলাকায় বিএনপি ও জামায়াতের গণসংযোগ চলাকালে দুপক্ষের কর্মীদের মধ্যে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে অন্তত ১১ জন আহত হন।
খবর পেয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. এমাদুল হোসেন ও চরফ্যাশন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর বাদশা হাসপাতালে যান। পরে নৌবাহিনীর সদস্যরাও হাসপাতালে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। তাঁরা দুপক্ষের কর্মীদের হাসপাতাল থেকে সরিয়ে দেন।
এ বিষয়ে ভোলা-৪ আসনের জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী মাওলানা মোস্তফা কামাল বলেন, উপজেলার জিন্নাগর ৯ নম্বর ওয়ার্ডে আজ সকালে জামায়াতে ইসলামীর কর্মীরা গ্রুপভিত্তিক ক্যাম্পেইন করছিলেন।
এ সময় বিএনপির ৮-১০ জন লোক এসে ওই ওয়ার্ডের জামায়াতের সেক্রেটারি জামালের ওপর হামলা চালিয়ে তাঁকে আহত করেন। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে জামায়াতে ইসলামীর অন্তত চারজন আহত হন। আহত ব্যক্তিদের চরফ্যাশন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অপর দিকে উপজেলা যুবদলের সদস্যসচিব জাহিদুল ইসলাম রাসেল জানান, চকবাজার এলাকায় বিএনপির গণসংযোগ চলাকালে যুবলীগ নেতা জামালসহ জামায়াতের কিছু লোক ঢুকে পড়েন। এতে তাঁদের সঙ্গে বিএনপির কর্মীদের কথা-কাটাকাটি হয়।
পরে বিষয়টি নিয়ে ফয়সালায় বসার কথা থাকলেও ছাত্রশিবির ৩০টি মোটরসাইকেলে গিয়ে সেখানে বিএনপির কর্মীদের ওপর হামলা চালান। এতে বিএনপির ১০-১২ জন কর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে ওসি জাহাঙ্গীর বাদশা আজকের পত্রিকাকে বলেন, চরফ্যাশনে বিএনপি ও জামায়াতের সংঘর্ষের ঘটনায় পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ ও নৌবাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান তিনি।

ভোলার চরফ্যাশনে বিএনপি ও জামায়াতের নেতা-কর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ সোমবার উপজেলার চকবাজার ও চরফ্যাশন হাসপাতাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তিরা হলেন মো. রুবেল, মো. নাছিম, বেল্লাল, মো নাসির, ভুট্টো, বাবুল, রাফসান, মোশারেফ হোসেন, সালেহ উদ্দিন ও জমশেদ। তাঁদের ভোলা ও চরফ্যাশনের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হামলার জন্য উভয় দলের নেতারা একে অপরকে দায়ী করেছেন। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ ও নৌবাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে।
জানা গেছে, আজ সকালে উপজেলার চকবাজার ও চরফ্যাশন হাসপাতাল এলাকায় বিএনপি ও জামায়াতের গণসংযোগ চলাকালে দুপক্ষের কর্মীদের মধ্যে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে অন্তত ১১ জন আহত হন।
খবর পেয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. এমাদুল হোসেন ও চরফ্যাশন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর বাদশা হাসপাতালে যান। পরে নৌবাহিনীর সদস্যরাও হাসপাতালে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। তাঁরা দুপক্ষের কর্মীদের হাসপাতাল থেকে সরিয়ে দেন।
এ বিষয়ে ভোলা-৪ আসনের জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী মাওলানা মোস্তফা কামাল বলেন, উপজেলার জিন্নাগর ৯ নম্বর ওয়ার্ডে আজ সকালে জামায়াতে ইসলামীর কর্মীরা গ্রুপভিত্তিক ক্যাম্পেইন করছিলেন।
এ সময় বিএনপির ৮-১০ জন লোক এসে ওই ওয়ার্ডের জামায়াতের সেক্রেটারি জামালের ওপর হামলা চালিয়ে তাঁকে আহত করেন। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে জামায়াতে ইসলামীর অন্তত চারজন আহত হন। আহত ব্যক্তিদের চরফ্যাশন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অপর দিকে উপজেলা যুবদলের সদস্যসচিব জাহিদুল ইসলাম রাসেল জানান, চকবাজার এলাকায় বিএনপির গণসংযোগ চলাকালে যুবলীগ নেতা জামালসহ জামায়াতের কিছু লোক ঢুকে পড়েন। এতে তাঁদের সঙ্গে বিএনপির কর্মীদের কথা-কাটাকাটি হয়।
পরে বিষয়টি নিয়ে ফয়সালায় বসার কথা থাকলেও ছাত্রশিবির ৩০টি মোটরসাইকেলে গিয়ে সেখানে বিএনপির কর্মীদের ওপর হামলা চালান। এতে বিএনপির ১০-১২ জন কর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে ওসি জাহাঙ্গীর বাদশা আজকের পত্রিকাকে বলেন, চরফ্যাশনে বিএনপি ও জামায়াতের সংঘর্ষের ঘটনায় পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ ও নৌবাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান তিনি।

হেফাজতে নিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ ও নিরাপত্তা চেয়ে স্ত্রী হত্যায় অভিযুক্ত সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের করা দুটি মামলার আবেদনই খারিজ করে দিয়েছেন আদালত
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২
ট্রান্সফরমারের জরুরি মেরামত ও সংরক্ষণকাজের জন্য আগামী বুধবার সিলেটের বিভিন্ন এলাকায় ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না। এ দিন সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
২ মিনিট আগে
রাজশাহীর তানোরের কোয়েলহাট পূর্বপাড়া গ্রামে গভীর নলকূপের পরিত্যক্ত গর্তে পড়ে মারা যাওয়া শিশু সাজিদের পরিবারের খোঁজ নেননি জমির মালিক কছির উদ্দিন। আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা পর্যন্ত তিনি এলাকায়ও ফেরেননি।
২৯ মিনিট আগে
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ইটভাটা উচ্ছেদ করতে এসে শ্রমিকদের বাধার মুখে কাজ না করেই ফিরে গেলেন পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। আজ সোমবার বেলা ৩টার দিকে কালীগঞ্জ পৌরসভার শিবনগর এলাকার ইটভাটা মকছেদ আলী ব্রিকসে এ ঘটনা ঘটে।
৩৬ মিনিট আগে