Ajker Patrika

চট্টগ্রামে ব্যাংকের লকার থেকে গ্রাহকের ১৪৯ ভরি স্বর্ণালংকার গায়েব

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ০২ জুন ২০২৪, ০০: ২৬
চট্টগ্রামে ব্যাংকের লকার থেকে গ্রাহকের ১৪৯ ভরি স্বর্ণালংকার গায়েব

চট্টগ্রাম নগরীতে একটি ব্যাংকের চকবাজার শাখার লকার থেকে এক গ্রাহকের ১৪৯ ভরি স্বর্ণালংকার গায়েব হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি গত ২৯ মে দুপুরে ঘটলেও আজ শনিবার রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বা গ্রাহক—কেউই এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেননি।

চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়ালী উদ্দিন আকবর আজ শনিবার রাতে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘২৯ মে এক ভদ্রমহিলা আমার কাছে এসে মৌখিকভাবে জানিয়েছিলেন, তিনি ওই ব্যাংকের চকবাজার শাখায় লকারে কিছু স্বর্ণালংকার রেখেছিলেন। কিন্তু তিনি ওই দিন লকারটি খোলা পান। পরে আমি ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ব্যাংকের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলি। তাঁরা বলেছেন, লকারটি ওই ভদ্রমহিলা খোলা অবস্থায় পান। উনি সুনির্দিষ্ট কিছু বলতে পারেননি। তখন অবশ্য ব্যাংকের ম্যানেজার ছিলেন না। পরে আমরা চলে আসি এবং ভদ্রমহিলাকে একটি মামলা করার জন্য বলি। কিন্তু উনি জিডি করার কথা বলেন। আমরা বলি ঘটনাটি একটা আমলযোগ্য অপরাধ। এ ঘটনায় মামলা করতে হবে। তিনি এখন পর্যন্ত কোনো মামলা দায়ের করেননি।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, লকারে রাখা স্বর্ণের মালিক নগরীর চট্টেশ্বরী সড়কের গোয়াছি বাগান এলাকার বিটিআই বেভারলি হিলসের বাসিন্দা রোকেয়া আকতার। তাঁর ছেলে রিয়াদ মোহাম্মদ মারজুক বলেন, ‘গত বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে ওই ব্যাংক চকবাজার শাখার লকারে গচ্ছিত রাখা কিছু স্বর্ণালংকার আনতে যান আমার মা। লকারের দায়িত্বে থাকা ব্যাংক কর্মকর্তাকে সঙ্গে নিয়ে দেখেন, লকারটি খোলা, সঙ্গে চাবি ঝুলছে। তখন স্বর্ণ গায়েব হওয়ার বিষয়টি জানতে পারেন। লকারে ১০-১১ ভরি স্বর্ণ রেখে বাকি ১৪৯ ভরি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে ব্যাংকের কর্মকর্তাদের জানানো হয়।’

লকার থেকে গায়েব হওয়া ১৪৯ ভরি স্বর্ণালংকারের মধ্যে রয়েছে ৪০ পিস হাতের চুড়ি (বড় সাইজ); ওজন ৬০ ভরি। গলা ও কানের চার জোড়া অলংকার, ওজন ২৫ ভরি। ১০ ভরির একটি গলার চেইন। ২৮ ভরির ৭টি চেইন। ১৫ ভরির চারটি আংটি। ৩০ জোড়া কানের দুল; যার ওজন ১১ ভরি।

রোকেয়া আকতার বলেন, ‘১৬-১৭ বছর ধরে চকবাজারের ওই ব্যাংকের একটি লকার ব্যবহার করছি; পাশাপাশি আমার নামে একটি অ্যাকাউন্টও রয়েছে এই ব্যাংকে। এর আগে কখনো এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি। ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাই এসব স্বর্ণ সরিয়ে ফেলেছেন বলে আমি ধারণা করছি।’

এ ব্যাপারে জানতে ওই ব্যাংকের চকবাজার শাখার ম্যানেজার শফিকুল মওলাকে একাধিকবার কল দিলেও রিসিভ করেননি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত