Ajker Patrika

পাহাড়ের আইনশৃঙ্খলার অবনতির চেষ্টা করলে হাত ভেঙে দেওয়া হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা 

রাঙামাটি প্রতিনিধি
আপডেট : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৭: ৫১
Thumbnail image

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, রাঙামাটির ঘটনা তদন্ত করতে একটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন টিম গঠন করা হবে। পাহাড়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কোনোভাবে অবনতি হতে দেওয়া হবে না। ভবিষ্যতে কেউ পরিস্থিতি অবনতি করার চেষ্টা করলে তাদের হাত ভেঙে দেওয়া হবে। এই সহিংস ঘটনায় যারা জড়িত, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। 

আজ শনিবার দুপুরে রাঙামাটিতে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ ও পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা উপস্থিত ছিলেন। পাহাড়ের পরিস্থিতি শান্ত রাখতে সবার সহযোগিতা কামনা করেন তাঁরা। 

এর আগে আজ শনিবার দুপুরে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে রাঙামাটি আসেন তিন উপদেষ্টা। রাঙামাটিতে এসে রাঙামাটি সেনা রিজিয়নের সম্মেলনকক্ষে সভা করেন।
 
প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী সভায় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী লে. জেনারেল আব্দুল আজিজ (অব.), পুলিশ মহাপরিদর্শক মাইনুল ইসলাম, বিজিবির মহাপরিচালক আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকি, এনএসআইর ডিজি আবু মোহাম্মদ সারোয়ার ফরিদ, চট্টগ্রাম ২৪ পদাতিক জিওসি মেজর জেনারেল মো. মাইনুর রহমান, রাঙামাটি সেনা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শওকত ওসমান, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মো. মোশারফ হোসেন খান, চাকমা সার্কেলের চিফ রাজা দেবাশীষ রায়, বিজিবি রাঙামাটি সেক্টর কমান্ডার লে. কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, জেএসএস কেন্দ্রীয় সহসভাপতি উষাতন তালুকদার, জেলা সভাপতি ডা. গঙ্গা মানিক চাকমা, সাধারণ সম্পাদক নগেন্দ্র চাকমা, বিএনপি জেলা সভাপতি দীপন তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশীদ মামুন, পাংখোয়া সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশনের সাধারণ সম্পাদক রেম লিয়ানা পাংখোয়া, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের সভাপতি কাজী মুজিবুর রহমান, সিনিয়র আইনজীবী প্রতিম রায় পাম্পু, শিক্ষাবিদ নিরূপা দেওয়ান, জাতীয় পার্টির জেলা সভাপতি হারুন রশীদ মাতব্বর, রাঙামাটি রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সুশীল প্রসাদ চাকমা, সিভিল সার্জন নুয়েন খীসা, ত্রিপুরা কল্যাণ ফাউন্ডেশনের সভাপতি বিদ্যুৎ ত্রিপুরাসহ অনেকে উপস্থিত ছিলন।

বৈঠক সূত্র জানা যায়, গতকাল শুক্রবারের সহিংস ঘটনার অবস্থা বর্ণনা করে বৈঠকে অংশ নেওয়া নেতৃবৃন্দ বলেন, মূলত গুজব ছড়িয়ে রাঙামাটির পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করা হয়। এ ঘটনায় বাইরে কোনো শক্তি কাজ করেছে। সভা সঞ্চালনা করেন রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মো. মোশারফ হোসেন খান। 

বৈঠকে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা, পুলিশের মহাপরিদর্শক, রাঙামাটি সেনা রিজিয়ন কমান্ডার, চাকমা সার্কেল চিফ, সাংবাদিকদের পক্ষে সুশীল প্রসাদ চাকমা বক্তব্য দেন। 

এদিকে গতকাল রাঙামাটি শহরের সহিংসতা ঘটনায় এখনো পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি পরিবেশ। বহাল রয়েছে ১৪৪ ধারা। বন্ধ রয়েছে দোকানপাট, গণপরিবহন ও নৌযান চলাচল। মাঠে রয়েছে পুলিশ বিজিবি ও সেনাবাহিনী। কোথাও কাউকে জড়ো হতে দিচ্ছে না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। 

গতকালের ঘটনায় শহরে আতঙ্ক বিরাজ করছে। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের কার্যালয়সহ, বনরুপা, দক্ষিণ কালিন্দপুর, বিজন সারণি, উত্তর কালিন্দপুর, হাসপাতাল এলাকাসহ একাধিক এলাকার অনেক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। সাংবাদিকদের বাইকসহ শতাধিক যানবাহনে আগুন দেওয়াসহ ভাঙচুর চালানো হয়েছে। রাঙামাটি জেলা মহিলাবিষয়ক কার্যালয়ে হামলা চালানো হয়। ভাঙচুর করা হয় অফিসের যানবাহন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নারীদের খেলায় আর নাক গলাবে না, দেশ ও বিশ্ববাসীর কাছে ক্ষমা চাইল ভাঙচুরকারীরা

বিয়ে করলেন সারজিস আলম

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে লড়ছে শ্রীলঙ্কা, ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচ কোথায় দেখবেন

ইতালি নেওয়ার কথা বলে লিবিয়ায় ফরিদপুরের ২ জনকে গুলি করে হত্যা

সাবেক শিক্ষার্থীর প্রাইভেট কারে ধাক্কা, জাবিতে ১২ বাস আটকে ক্ষতিপূরণ আদায় ছাত্রদলের

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত