Ajker Patrika

চট্টগ্রামে গ্যাসহীন এক দিন

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ২০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬: ৪৭
চট্টগ্রামে গ্যাসহীন এক দিন

সকালে উঠে চুলা জ্বালাতে গিয়ে দেখে গ্যাস নেই। কেউ ছুটল হোটেলে, কেউ কিনে আনল মাটির চুলা, কেউ স্টোভ। কেউ কিনল এলপিজি সিলিন্ডার। হোটেল থেকে কিনে বা বিকল্প ব্যবস্থায় রান্না করে গতকাল শুক্রবার খাবার খেতে হয়েছে চট্টগ্রাম মহানগরবাসীকে। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে গ্যাস-সংকটে নিদারুণ কষ্টে ভুগল তারা।

নগরের খাবার হোটেলে ছিল মানুষের ভিড় আর সিএনজি ফিলিং স্টেশনে ছিল গ্যাস নেওয়ার অপেক্ষায় থাকা অটোরিকশাসহ যানবাহনের দীর্ঘ সারি। সড়কে সিএনজিচালিত যানবাহনের সংখ্যাও ছিল খুব কম। কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (কেজিডিসিএল) বলেছে, মহেশখালীতে টার্মিনালে কারিগরি ত্রুটির কারণে এলএনজি পাইপলাইনে সরবরাহ করতে না পারায় এই গ্যাস-সংকট। সেখান থেকে জাতীয় গ্রিডেও গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকে। ত্রুটি ঠিক করার পর রাত ৯টার দিকে গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়েছে। আজ শনিবার সকাল ১০টা নাগাদ পুরো নগরীতে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হতে পারে।

গ্যাস না থাকায় গতকাল ভোগান্তি সঙ্গী হয়েছিল কেজিডিসিএলের লাখ লাখ গ্রাহকের। নগরীর বাকলিয়ার বড়মিয়া মসজিদের পুকুরপাড়ের বাসিন্দা কোহিনুর আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সকালে চুলা জ্বালাতে গিয়ে দেখি গ্যাস নেই। পরে জানলাম, গ্যাস কখন আসবে ঠিক নেই। দ্রুত মাটির চুলা কিনে এনে লাকড়ি দিয়ে রান্না করে সকাল ও দুপুরে খেয়েছি।’ ওই এলাকারই বাসিন্দা ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলামের বাসায় রান্নাই হয়নি। সকালে ও দুপুরে পুরো পরিবার নিয়ে হোটেলে গিয়ে খেয়ে এসেছেন।

গ্যাস না থাকায় অনেকে মাটির চুলা, স্টোভ, এলপিজি সিলিন্ডার ও চুলা কিনে বিকল্প ব্যবস্থায় রান্না করে খেয়েছে। অনেকে হোটেল-রেস্তোরাঁ থেকে কিনে এনে বা গিয়ে খেয়েছে। এ জন্য হোটেল-রেস্তোরাঁয় ছিল ক্রেতার চাপ। তাদের সামলাতে হিমশিম খেয়েছেন কর্মচারী-মালিকেরা। ভিড় ছিল এলপিজি সিলিন্ডারের দোকানে। সুযোগে কেউ কেউ বাড়তি মুনাফাও লুটেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায় নগরীর বেশির ভাগ সিএনজি ফিলিং স্টেশনেও ছিল সংকট। গ্যাস নিতে স্টেশনগুলোতে ছিল যানবাহনের দীর্ঘ সারি। সিএনজিচালিত বেশির ভাগ যান সড়কে বের হয়নি। ফলে ছুটির দিনেও ছিল যানবাহনের সংকট। দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত বহদ্দারহাট, চকবাজার, মুরাদপুর, ২ নম্বর গেট, জিইসি এলাকায় মানুষকে যানবাহনের অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে। অনেকে হোটেলে খেয়ে বেড়াতে যেতে চাইলেও পারেনি যানবাহন না পেয়ে। এমন একজন আমজাদ হোসেন। টাইগারপাসে কথা হয় তাঁর সঙ্গে। তিনি বলেন, গ্যাস না থাকায় পুরো পরিবার নিয়ে সৈকতে যাওয়ার জন্য দুপুরে বের হন। কিন্তু যানবাহন না পেয়ে পরে হোটেলে খেয়ে বাসায় ফিরছেন।

যানবাহনের সংকটের সুযোগে সড়কে চলাচল করা যানগুলোর চালকেরা যাত্রীদের পকেট কেটেছেন বলে অভিযোগ। বাড়তি টাকা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডারের দোকানিদের বিরুদ্ধেও। গতকাল স্বাভাবিক দিনের তুলনায় পাঁচ গুণ বেশি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি হয়েছে। অনেক দোকানের মজুতও শেষ হয়ে গেছে। লাভ লেন এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডারের বড় দোকানের মালিক আরমান হোসেন ৫ গুণের বেশি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রির কথা জানান।

কেজিডিসিএল সূত্র জানায়, মহেশখালীতে এলএনজি টার্মিনালে দুটি বিশেষায়িত জাহাজ ফ্লোটিং স্টোরেজ রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিট (এফএসআরইউ) হিসেবে কাজ করে। আমদানি করা এলএনজি সেখানে গ্যাসে পরিণত করে পাইপলাইনে চট্টগ্রামে পাঠানো হয়। এই পাইপলাইন দিয়ে দৈনিক ১০০ কোটি ঘনফুট পর্যন্ত গ্যাস সরবরাহ হতো। চট্টগ্রামের জন্য প্রয়োজনীয় গ্যাস রেখে বাকিটা জাতীয় গ্রিডে দেওয়া হতো। তবে একটি এফএসআরইউ সংস্কারের জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানোর পর বর্তমানে অপরটি থেকে ৩৫ কোটি ঘনফুট গ্যাস পাইপলাইনে দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে চট্টগ্রামের জন্য ২৫ কোটি ঘনফুট গ্যাস রেখে বাকিটা নেওয়া হয় ঢাকার জন্য। সরবরাহ কমায় চট্টগ্রামে গ্রাহকদের গ্যাস দিতে হিমশিম খাচ্ছিল কেজিডিসিএল। গতকাল গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকে।

কেজিডিসিএলের মহাব্যবস্থাপক (ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিস) প্রকৌশলী মো. শফিউল আজম খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, মূলত এলএনজি টার্মিনাল থেকে গ্যাস না পাওয়ায় সরবরাহ বিঘ্নিত হয়। টার্মিনালের কারিগরি ত্রুটি সমাধান হওয়ায় রাত ৯টার পর গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়েছে। শনিবার সকাল ১০টা নাগাদ পুরো নগরীতে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের (আরপিজিসিএল) সাবেক এক কর্মকর্তা বলেন, যেহেতু একটি জাহাজে কারিগরি ত্রুটি হলেই গ্যাস-সংকট হয়, তাই ব্যাকআপ হিসেবে আরেকটি জাহাজ থাকা উচিত ছিল। কিন্তু মন্ত্রণালয় বা এলএনজি বিভাগ তা মাথায় রাখেনি। ব্যাকআপ থাকলে কিছুদিন পরপর এমন সংকট হতো না।

অবশ্য আরপিজিসিএলের উপমহাব্যবস্থাপক (এলএনজি) প্রকৌশলী মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ কবির বলেন, আরেকটি জাহাজ থাকলে যে সমস্যা হতো না, তা বলা যায় না। কারিগরি ত্রুটি তিনটিতেও হতে পারত। তিনি বলেন, ছয় মাস পর মহেশখালীতে ১০০ কোটি ঘনফুট পর্যন্ত এলএনজি সরবরাহে সক্ষম একটি বড় জাহাজ যুক্ত হচ্ছে। এটি আনছে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। তখন আর গ্যাসের সংকট থাকবে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জোটের ভোটেও দলীয় প্রতীক: বিএনপির আপত্তি যে কারণে, এনসিপির উদ্বেগ

বড়াইগ্রামের একটি গুদামে ১৩ টন গুলির খোসা নিয়ে চাঞ্চল্য

মায়ের সঙ্গে ঝগড়ার জেরে বাবার হাতে খুন হলো নিষ্পাপ দুই শিশু

আবারও পুরান ঢাকায় প্রেমিকার বাসার সিঁড়িতে প্রেমিকের লাশ

ফুটবলে নব্বইয়ের দশকের উন্মাদনা ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি: আসিফ মাহমুদ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শৈলকুপায় শ্বশুরের বঁটির কোপে গৃহবধূর মৃত্যু

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামে শ্বশুরের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে লিমা বেগম (২৮) নামের এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। নিহত লিমা ওই গ্রামের আব্দুর রবের স্ত্রী। রোববার (২৬ অক্টোবর) ভোর ৫টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, রোববার ভোরে গৃহবধূ লিমা বেগম নিজের ঘর থেকে বাড়ির উঠানে যান। তখন উঠানে দাঁড়িয়ে থাকা শ্বশুর মুকুল শেখ (৫০) হঠাৎ তাঁর হাতে থাকা বঁটি (ধারালো অস্ত্র) দিয়ে পুত্রবধূকে এলোপাতাড়ি আঘাত করেন। লিমার চিৎকারে পরিবারের অন্য সদস্যরা ছুটে এসে তাঁকে উদ্ধার করে দ্রুত শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে।

শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক আরিফুর রহমান বলেন, ‘ওই গৃহবধূকে আমরা মৃত অবস্থায় পেয়েছি। তাঁর বুকের ওপরের অংশে ধারালো অস্ত্রের গুরুতর ক্ষত ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ ও অন্যান্য অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।’

স্বজন ও এলাকাবাসীর দাবি, অভিযুক্ত শ্বশুর মুকুল শেখ মানসিক ভারসাম্যহীন।

শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুম খান এই ঘটনা নিশ্চিত করে বলেন, ‘অভিযুক্ত মুকুল শেখকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, মুকুল শেখ মানসিক ভারসাম্যহীন। তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জোটের ভোটেও দলীয় প্রতীক: বিএনপির আপত্তি যে কারণে, এনসিপির উদ্বেগ

বড়াইগ্রামের একটি গুদামে ১৩ টন গুলির খোসা নিয়ে চাঞ্চল্য

মায়ের সঙ্গে ঝগড়ার জেরে বাবার হাতে খুন হলো নিষ্পাপ দুই শিশু

আবারও পুরান ঢাকায় প্রেমিকার বাসার সিঁড়িতে প্রেমিকের লাশ

ফুটবলে নব্বইয়ের দশকের উন্মাদনা ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি: আসিফ মাহমুদ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কার্তিকের কুয়াশায় কুড়িগ্রামে শীতের আগমনী বার্তা

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
গতকাল সকালে কুড়িগ্রাম শহরের রেলস্টেশন এলাকায় কুয়াশাচ্ছন্ন অবস্থা। ছবি: আজকের পত্রিকা
গতকাল সকালে কুড়িগ্রাম শহরের রেলস্টেশন এলাকায় কুয়াশাচ্ছন্ন অবস্থা। ছবি: আজকের পত্রিকা

কার্তিকের শুরুতেই কুড়িগ্রামে শীতের আগমনী বার্তা পাওয়া যাচ্ছে। পৌষ আসতে এখনো প্রায় দুই মাস বাকি থাকলেও প্রতি রাতে জেলাজুড়ে কুয়াশার স্পষ্ট উপস্থিতি শীতের আগমনকে ত্বরান্বিত করছে। দিনে সূর্যের দাপুটে উপস্থিতি থাকলেও রাতের আবহাওয়া কুয়াশার চাদরের দখলে যেতে শুরু করেছে। জানান দিচ্ছে শীত এল বলে।

কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার জানায়, জেলায় মধ্য অক্টোবর থেকে শীতের আগমনী বার্তা পাওয়া যাচ্ছে। দিন-রাতের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান কমে এসেছে। শনিবার (২৫ অক্টোবর) দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত এক সপ্তাহে জেলায় সর্বনিম্ন গড় তাপমাত্রা ২৩ ডিগ্রি এবং সর্বোচ্চ ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

জেলার বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ বছর একটু আগেই শীতের আগমন হচ্ছে। সন্ধ্যার পর কুয়াশা পড়ছে। গাছের পাতা, ফসল ও ঘাস কিংবা খোলা আকাশের নিচে থাকা মোটরসাইকেল বা অন্য কোনো বস্তুতে পড়ে থাকা কুয়াশার ফোঁটা জানান দিচ্ছে শীতের আগমন। রাতের বেলা গাছের পাতা গড়িয়ে কুয়াশা ঘরের টিনের চালে পড়ছে টিপটিপ শব্দে। ভোরবেলা কুয়াশাচ্ছন্ন থাকছে চারপাশ। তবে সে তুলনায় শীতানুভূতি নেই। এখনো বৈদ্যুতিক পাখা ছাড়তে হচ্ছে বাসিন্দাদের। যদিও ইতিমধ্যে বাজারে ও সড়কের পাশের দোকানগুলোতে শীতের কাপড়ের পসরা সাজানো শুরু হয়েছে। যেন শীতকে বরণের প্রস্তুতি।

বিকেল হতেই শহরের বিভিন্ন মোড়ে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা ভ্রাম্যমাণ দোকান বসিয়ে নানা রকম শীতের পিঠা তৈরি শুরু করেছেন। ভাপা পিঠার সঙ্গে চলছে চিতই পিঠা বিক্রি।

কুড়িগ্রাম শহরের বাসিন্দা মুকুল বলেন, এ বছর একটু আগাম কুয়াশা পড়তে শুরু করেছে। রাতে ঘরের বাইরে শীত অনুভূত হচ্ছে। সড়কে গাড়ি চালালে কুয়াশার কুণ্ডলীর কারণে পথ চলতে সমস্যা হচ্ছে। জেলায় ইতিমধ্যে শীত শুরু হয়েছে। তবে ঠান্ডা তুলনামূলক কম।

কুড়িগ্রামের ব্রহ্মপুত্র নদের চরাঞ্চলে সকালের কুয়াশা। ছবি: আজকের পত্রিকা
কুড়িগ্রামের ব্রহ্মপুত্র নদের চরাঞ্চলে সকালের কুয়াশা। ছবি: আজকের পত্রিকা

উলিপুর উপজেলার ব্রহ্মপুত্রের তীরবর্তী রসুলপুর গ্রামের বাসিন্দা মিজানুর বলেন, ‘রাতে ভালোই কুয়াশা পড়া শুরু হইছে। এখনো সেই অর্থে ঠান্ডা লাগে না। তবে বোঝা যাচ্ছে যে ঠান্ডা শুরু হচ্ছে।’

কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ আল-আমিন মাসুদ বলেন, ‘আজ (শনিবার) সকালে সড়কপথে চলার সময় কুড়িগ্রামের রাজারহাটে কুয়াশার মাত্রা দেখে মনে হয়েছে যেন পৌষ মাস শুরু হয়েছে। তবে দিনে গরম, কিন্তু রাতের তাপমাত্রা কমছে। এ সময় শিশুদের সুরক্ষায় বাড়তি যত্ন নেওয়া উচিত। রাতে বৈদ্যুতিক পাখার গতি কমিয়ে রাখাসহ শিশুদের বাইরে নিয়ে গেলে ধুলাবালু ও ঠান্ডা এড়িয়ে চলতে হবে।’

রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, দিনের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কমছে। ইতিমধ্যে শীত শুরু হয়েছে। মধ্য নভেম্বর থেকে তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে শীতের তীব্রতা বাড়তে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জোটের ভোটেও দলীয় প্রতীক: বিএনপির আপত্তি যে কারণে, এনসিপির উদ্বেগ

বড়াইগ্রামের একটি গুদামে ১৩ টন গুলির খোসা নিয়ে চাঞ্চল্য

মায়ের সঙ্গে ঝগড়ার জেরে বাবার হাতে খুন হলো নিষ্পাপ দুই শিশু

আবারও পুরান ঢাকায় প্রেমিকার বাসার সিঁড়িতে প্রেমিকের লাশ

ফুটবলে নব্বইয়ের দশকের উন্মাদনা ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি: আসিফ মাহমুদ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

স্কুলভ্যানকে বাঁশবোঝাই ট্রাকের ধাক্কা, দুই শিশু ও ভ্যানচালক নিহত

পাবনা প্রতিনিধি
আপডেট : ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১০: ০৬
পাবনায় ট্রাকচাপায় তিনজন নিহত হয়। রোববার সকালে পাবনা সদরের ডাঙ্গাবাড়িয়া এলাকায়। ছবি: আজকের পত্রিকা
পাবনায় ট্রাকচাপায় তিনজন নিহত হয়। রোববার সকালে পাবনা সদরের ডাঙ্গাবাড়িয়া এলাকায়। ছবি: আজকের পত্রিকা

‎পাবনায় বাঁশবোঝাই ট্রাকের চাপায় দুই স্কুলশিক্ষার্থীসহ তিনজন নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় আরও দুজন গুরুতর আহত হয়েছে। ‎রোববার (২৬ অক্টোবর) সকাল ৭টার দিকে পাবনা সদর উপজেলার গয়েশপুর ইউনিয়নের বাঙ্গাবাড়িয়া এলাকায় ঢাকা-পাবনা মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে। ‎নিহত ব্যক্তিরা হলো পাবনা কলেজিয়েট স্কুল অ্যান্ড কলেজের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী তাসমিয়া আক্তার, পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র আবু তোহা ও ভ্যানের চালক আকরাম হোসেন।

‎মাধপুর হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ‎

‎‎জানা গেছে, সকাল ৭টার দিকে ৮-১০ জন শিক্ষার্থী ভ্যানগাড়িতে করে পাবনার জালালপুর এলাকার ক্যাডেট কলেজিয়েট স্কুল অ্যান্ড কলেজে যাওয়ার পথে ঢাকা থেকে পাবনাগামী একটি বাঁশবোঝাই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুই ছাত্র-ছাত্রী ও ভ্যানচালক নিহত হয়। এ সময় গুরুতর আহত হয়েছে আরও দুজন পথচারী। স্থানীয় বাসিন্দারা মাধপুর হাইওয়ে থানা-পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মরদেহ উদ্ধার করে। ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে। মহাসড়কে যান চলাচল সাময়িক বন্ধ রয়েছে।

ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ভ্যানের ড্রাইভারসহ তিনজন নিহত ও চায়ের দোকানে থাকা দুই ব্যক্তি আহত হয়েছে। নিহত ব্যক্তিদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ট্রাক জব্দ করা হয়েছে। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।‎

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জোটের ভোটেও দলীয় প্রতীক: বিএনপির আপত্তি যে কারণে, এনসিপির উদ্বেগ

বড়াইগ্রামের একটি গুদামে ১৩ টন গুলির খোসা নিয়ে চাঞ্চল্য

মায়ের সঙ্গে ঝগড়ার জেরে বাবার হাতে খুন হলো নিষ্পাপ দুই শিশু

আবারও পুরান ঢাকায় প্রেমিকার বাসার সিঁড়িতে প্রেমিকের লাশ

ফুটবলে নব্বইয়ের দশকের উন্মাদনা ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি: আসিফ মাহমুদ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সিরাজদিখানে ১৪৩ দিনে কোরআন মুখস্থ করল ৯ বছরের শিশু আরফান

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
মোহাম্মদ আরফান হোসাইন। ছবি: সংগৃহীত
মোহাম্মদ আরফান হোসাইন। ছবি: সংগৃহীত

অভূতপূর্ব এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার কুচিয়ামোড়া গ্রামের ৯ বছর বয়সী মোহাম্মদ আরফান হোসাইন। মাত্র ১৪৩ দিনে পুরো পবিত্র কোরআন মুখস্থ করে হাফেজ হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে সে। আরফানের এই অসাধারণ সাফল্যে পরিবার, শিক্ষক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আনন্দ ও গর্বের আবহ বিরাজ করছে।

আরফান বর্তমানে ইসলামপুর কামিল কওমি মাদ্রাসার ছাত্র। এর আগে সে কুচিয়ামোড়া দারুন্নাজাত মাদ্রাসায় অধ্যয়ন করেছে। অল্প বয়সে এমন সাফল্য অর্জন করে স্থানীয়ভাবে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।

আরফান কেয়াইন ইউনিয়নের কুচিয়ামোড়া গ্রামের বিশিষ্ট আলেম ও শিক্ষক হাফেজ আব্দুল্লাহ আল মাসরুরের (লাভু হুজুর) ছেলে। লাভু হুজুর বর্তমানে কুচিয়ামোড়া দারুন্নাজাত মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ এবং কুচিয়ামোড়া মিত্রপাড়া বাইতুন নূর জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, তিন ভাইবোনের মধ্যে আরফান সবার ছোট। মাত্র ১৪৩ দিনে সম্পূর্ণ কোরআন মুখস্থ করে সে তার পরিবারসহ পুরো এলাকাকে গর্বিত করেছে।

ইসলামপুর কামিল মাদ্রাসার সহকারী অধ্যাপক ফখরুদ্দীন রাজি বলেন, ‘আরফান আমাদের মাদ্রাসার গর্ব। ১৪৩ দিনে কোরআন মুখস্থ করা আমাদের মাদ্রাসার ইতিহাসে এই প্রথম। এটি এক বিরল দৃষ্টান্ত। সবাই তার জন্য দোয়া করবেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জোটের ভোটেও দলীয় প্রতীক: বিএনপির আপত্তি যে কারণে, এনসিপির উদ্বেগ

বড়াইগ্রামের একটি গুদামে ১৩ টন গুলির খোসা নিয়ে চাঞ্চল্য

মায়ের সঙ্গে ঝগড়ার জেরে বাবার হাতে খুন হলো নিষ্পাপ দুই শিশু

আবারও পুরান ঢাকায় প্রেমিকার বাসার সিঁড়িতে প্রেমিকের লাশ

ফুটবলে নব্বইয়ের দশকের উন্মাদনা ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি: আসিফ মাহমুদ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত