হোসাইন জিয়াাদ, চট্টগ্রাম

বিরোধ মাত্র তিন টাকার। নৌকার মাঝি, ঘাট ইজারদার ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ত্রিপক্ষীয় বিরোধ। কিন্তু এর জন্যই কর্ণফুলী নদীর অন্যতম ব্যস্ত ঘাট বাংলাবাজার বন্ধ চার দিন ধরে। নদীর দক্ষিণ পাড়ে ইছানগর থেকে এ ঘাটে প্রতিদিন যাতায়াত করে শিক্ষার্থী, কর্মজীবী মানুষ, ব্যবসায়ীসহ অন্তত দুই হাজার যাত্রী। পারাপার হয় সবজি, দুধ, ওষুধসহ বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য। ঘাট বন্ধ থাকায় গত চার দিন ধরে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সবাই।
র্ণফুলী নদীর দুই পাড়ে গড়ে উঠেছে ১৬টি ঘাট। এর মধ্যে নয়টি ঘাটে হয় যাত্রী পারাপার। নদীর দক্ষিণ পাড়ে আনোয়ারা, কর্ণফুলী, বোয়ালখালী ও পটিয়ার মানুষ এসব ঘাটে আসা যাওয়া করে। এ ছাড়া দুই পাশের শিল্পকারখানা, সরকারি–বেসরকারি নানা দপ্তর, লাইটার জাহাজের শ্রমিক, নাবিক, মাঝিসহ কয়েক হাজার মানুষ প্রতিদিন নদী পারাপার হয়। এসব ঘাট প্রতি বছর ইজারা দেয় সিটি করপোরেশন।
গত বছর বাংলাবাজার ঘাটটি ইজারা হয় প্রায় ৩৭ লাখ টাকায়। অথচ এ বছর ঘাটটি ইজারা দিতে পারেনি চসিক। ফলে গত প্রায় পাঁচ মাস বৈধ ইজারাদার ছাড়াই এটি পরিচালিত হচ্ছে। এ নিয়ে বিরোধের সূত্রপাত।
মাঝিদের অভিযোগ, আগের ইজারাদারের লোকজনই এখনো পর্যন্ত টাকা আদায় করছে। অন্য আটটি ঘাটেই ইজারদাররা যাত্রীপ্রতি ১ টাকা আদায় করেন। কিন্তু এ ঘাটের ইজারাদার আদায় করছেন পাঁচ টাকা। মাঝিরা যাত্রী প্রতি দুই টাকা দিতে রাজিও আছেন। কিন্তু বাড়তি তিন টাকা দিতে রাজি নন। এ দাবিতেই চার দিন ধরে ঘাট বন্ধ রেখে আন্দোলন কর্মসূচি ও অনশন পালন করছেন প্রায় দুই শ সাম্পান মাঝি।
কর্ণফুলী নদী সাম্পান মাঝি শ্রমিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি এস এম পিয়ার আলী বলেন, ‘শুধু এ ঘাটেই কেন পাঁচ টাকা আদায় করা হবে? অন্য সব ঘাটে যাত্রী পারাপারে দশ টাকা নিই। ইজারদারকে এক টাকা দিয়ে, আমরা পাই নয় টাকা। এ ঘাটে নিতে হচ্ছে ১৩ টাকা। যাত্রীপ্রতি পাঁচ টাকা দিতে হচ্ছে আগের ইজারদারের লোকজনকে। আমরা পাই আট টাকা।’
সাম্পান সমিতির সাবেক সভাপতি মো. এনামুল বলেন, ‘প্রতিদিন যাত্রীদের সঙ্গে ঝগড়া হচ্ছে, এ ঘাটে আমরা কেন ১৩ টাকা নিচ্ছি? আমরা তো ভাড়া বাড়াইনি, ইজারাদারের লোকজন বাড়িয়েছে, তাই বাধ্য হয়েছি। সম্প্রতি ম্যাজিস্ট্রেট এসে দুবার জরিমানা করেছে মাঝিদের। অথচ আমাদের দোষ নেই। সিটি করপোরেশন এ ঘাটটি এ বছর ইজারা দেয়নি কেন?’
ইউসুফ নামে এক মাঝি বলেন, ঘাটে মালামাল পারাপারেও বাড়তি টাকা আদায় করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী, ৫০ কেজি পর্যন্ত পণ্য যাত্রীরা ফ্রি পরিবহন করতে পারেন। কিন্তু এ ঘাটে বিশ কেজি মালামাল নিলেও যাত্রীদের কাছ থেকে ২০ থেকে ৫০ টাকা বাড়তি আদায় করা হয়। তা ছাড়া লাইটার জাহাজের নাবিকেরা যখন পার হন তখনো দুই–তিন শ টাকা বাড়তি নেওয়া হয় ।
গতকাল ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, শহরের নানা প্রান্ত থেকে আসা যাত্রী, ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থীরা আটকা পড়েছেন। শামিম নামে এক কলেজ শিক্ষার্থী বলেন, ‘জানতাম না ঘাট বন্ধ। এখন কলেজে যাওয়ার উপায় নেই। সড়ক পথে অনেক দূর ঘুরতে হবে, টাকাও বেশি লাগবে।’
লাইটার জাহাজের শ্রমিক আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ইছানগর ঘাটে এসেই বিপদে পড়েছি। শহরে যাওয়া খুব প্রয়োজন। গত দুই ঘণ্টায় কোনো নৌকায় ছাড়েনি।
নদীর অভয়মিত্র ঘাটের ইজারাদার জাফর আহমদ বলেন, ‘পাঁচ টাকা আদায় করা অন্যায়। আমরা যাত্রী প্রতি এক টাকা নিচ্ছি । ঘাটে যাত্রী বেড়ে যাচ্ছে। ওই ঘাটে কমছে। বাংলাবাজার ঘাটের দুই শ মাঝি বিপাকে পড়েছে।’
তবে বাংলাবাজার ঘাটের আগের ইজারাদার হাজী সফিক আহমেদ বলেন, এ ঘাট এখন চসিকের তত্ত্বাবধানে আছে। এ বছর তারা কাউকে ইজারা দেয়নি। তাদেরই জিজ্ঞেস করেন কেন পাঁচ টাকা আদায় করা হচ্ছে।
বক্তব্য নিতে বারবার মোবাইলে যোগাযোগ করেও চসিকের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম, প্রধান ভূমি কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন, প্রধান নির্বাহী শহীদুল আলম কাউকে পাওয়া যায়নি।

বিরোধ মাত্র তিন টাকার। নৌকার মাঝি, ঘাট ইজারদার ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ত্রিপক্ষীয় বিরোধ। কিন্তু এর জন্যই কর্ণফুলী নদীর অন্যতম ব্যস্ত ঘাট বাংলাবাজার বন্ধ চার দিন ধরে। নদীর দক্ষিণ পাড়ে ইছানগর থেকে এ ঘাটে প্রতিদিন যাতায়াত করে শিক্ষার্থী, কর্মজীবী মানুষ, ব্যবসায়ীসহ অন্তত দুই হাজার যাত্রী। পারাপার হয় সবজি, দুধ, ওষুধসহ বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য। ঘাট বন্ধ থাকায় গত চার দিন ধরে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সবাই।
র্ণফুলী নদীর দুই পাড়ে গড়ে উঠেছে ১৬টি ঘাট। এর মধ্যে নয়টি ঘাটে হয় যাত্রী পারাপার। নদীর দক্ষিণ পাড়ে আনোয়ারা, কর্ণফুলী, বোয়ালখালী ও পটিয়ার মানুষ এসব ঘাটে আসা যাওয়া করে। এ ছাড়া দুই পাশের শিল্পকারখানা, সরকারি–বেসরকারি নানা দপ্তর, লাইটার জাহাজের শ্রমিক, নাবিক, মাঝিসহ কয়েক হাজার মানুষ প্রতিদিন নদী পারাপার হয়। এসব ঘাট প্রতি বছর ইজারা দেয় সিটি করপোরেশন।
গত বছর বাংলাবাজার ঘাটটি ইজারা হয় প্রায় ৩৭ লাখ টাকায়। অথচ এ বছর ঘাটটি ইজারা দিতে পারেনি চসিক। ফলে গত প্রায় পাঁচ মাস বৈধ ইজারাদার ছাড়াই এটি পরিচালিত হচ্ছে। এ নিয়ে বিরোধের সূত্রপাত।
মাঝিদের অভিযোগ, আগের ইজারাদারের লোকজনই এখনো পর্যন্ত টাকা আদায় করছে। অন্য আটটি ঘাটেই ইজারদাররা যাত্রীপ্রতি ১ টাকা আদায় করেন। কিন্তু এ ঘাটের ইজারাদার আদায় করছেন পাঁচ টাকা। মাঝিরা যাত্রী প্রতি দুই টাকা দিতে রাজিও আছেন। কিন্তু বাড়তি তিন টাকা দিতে রাজি নন। এ দাবিতেই চার দিন ধরে ঘাট বন্ধ রেখে আন্দোলন কর্মসূচি ও অনশন পালন করছেন প্রায় দুই শ সাম্পান মাঝি।
কর্ণফুলী নদী সাম্পান মাঝি শ্রমিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি এস এম পিয়ার আলী বলেন, ‘শুধু এ ঘাটেই কেন পাঁচ টাকা আদায় করা হবে? অন্য সব ঘাটে যাত্রী পারাপারে দশ টাকা নিই। ইজারদারকে এক টাকা দিয়ে, আমরা পাই নয় টাকা। এ ঘাটে নিতে হচ্ছে ১৩ টাকা। যাত্রীপ্রতি পাঁচ টাকা দিতে হচ্ছে আগের ইজারদারের লোকজনকে। আমরা পাই আট টাকা।’
সাম্পান সমিতির সাবেক সভাপতি মো. এনামুল বলেন, ‘প্রতিদিন যাত্রীদের সঙ্গে ঝগড়া হচ্ছে, এ ঘাটে আমরা কেন ১৩ টাকা নিচ্ছি? আমরা তো ভাড়া বাড়াইনি, ইজারাদারের লোকজন বাড়িয়েছে, তাই বাধ্য হয়েছি। সম্প্রতি ম্যাজিস্ট্রেট এসে দুবার জরিমানা করেছে মাঝিদের। অথচ আমাদের দোষ নেই। সিটি করপোরেশন এ ঘাটটি এ বছর ইজারা দেয়নি কেন?’
ইউসুফ নামে এক মাঝি বলেন, ঘাটে মালামাল পারাপারেও বাড়তি টাকা আদায় করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী, ৫০ কেজি পর্যন্ত পণ্য যাত্রীরা ফ্রি পরিবহন করতে পারেন। কিন্তু এ ঘাটে বিশ কেজি মালামাল নিলেও যাত্রীদের কাছ থেকে ২০ থেকে ৫০ টাকা বাড়তি আদায় করা হয়। তা ছাড়া লাইটার জাহাজের নাবিকেরা যখন পার হন তখনো দুই–তিন শ টাকা বাড়তি নেওয়া হয় ।
গতকাল ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, শহরের নানা প্রান্ত থেকে আসা যাত্রী, ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থীরা আটকা পড়েছেন। শামিম নামে এক কলেজ শিক্ষার্থী বলেন, ‘জানতাম না ঘাট বন্ধ। এখন কলেজে যাওয়ার উপায় নেই। সড়ক পথে অনেক দূর ঘুরতে হবে, টাকাও বেশি লাগবে।’
লাইটার জাহাজের শ্রমিক আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ইছানগর ঘাটে এসেই বিপদে পড়েছি। শহরে যাওয়া খুব প্রয়োজন। গত দুই ঘণ্টায় কোনো নৌকায় ছাড়েনি।
নদীর অভয়মিত্র ঘাটের ইজারাদার জাফর আহমদ বলেন, ‘পাঁচ টাকা আদায় করা অন্যায়। আমরা যাত্রী প্রতি এক টাকা নিচ্ছি । ঘাটে যাত্রী বেড়ে যাচ্ছে। ওই ঘাটে কমছে। বাংলাবাজার ঘাটের দুই শ মাঝি বিপাকে পড়েছে।’
তবে বাংলাবাজার ঘাটের আগের ইজারাদার হাজী সফিক আহমেদ বলেন, এ ঘাট এখন চসিকের তত্ত্বাবধানে আছে। এ বছর তারা কাউকে ইজারা দেয়নি। তাদেরই জিজ্ঞেস করেন কেন পাঁচ টাকা আদায় করা হচ্ছে।
বক্তব্য নিতে বারবার মোবাইলে যোগাযোগ করেও চসিকের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম, প্রধান ভূমি কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন, প্রধান নির্বাহী শহীদুল আলম কাউকে পাওয়া যায়নি।
হোসাইন জিয়াাদ, চট্টগ্রাম

বিরোধ মাত্র তিন টাকার। নৌকার মাঝি, ঘাট ইজারদার ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ত্রিপক্ষীয় বিরোধ। কিন্তু এর জন্যই কর্ণফুলী নদীর অন্যতম ব্যস্ত ঘাট বাংলাবাজার বন্ধ চার দিন ধরে। নদীর দক্ষিণ পাড়ে ইছানগর থেকে এ ঘাটে প্রতিদিন যাতায়াত করে শিক্ষার্থী, কর্মজীবী মানুষ, ব্যবসায়ীসহ অন্তত দুই হাজার যাত্রী। পারাপার হয় সবজি, দুধ, ওষুধসহ বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য। ঘাট বন্ধ থাকায় গত চার দিন ধরে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সবাই।
র্ণফুলী নদীর দুই পাড়ে গড়ে উঠেছে ১৬টি ঘাট। এর মধ্যে নয়টি ঘাটে হয় যাত্রী পারাপার। নদীর দক্ষিণ পাড়ে আনোয়ারা, কর্ণফুলী, বোয়ালখালী ও পটিয়ার মানুষ এসব ঘাটে আসা যাওয়া করে। এ ছাড়া দুই পাশের শিল্পকারখানা, সরকারি–বেসরকারি নানা দপ্তর, লাইটার জাহাজের শ্রমিক, নাবিক, মাঝিসহ কয়েক হাজার মানুষ প্রতিদিন নদী পারাপার হয়। এসব ঘাট প্রতি বছর ইজারা দেয় সিটি করপোরেশন।
গত বছর বাংলাবাজার ঘাটটি ইজারা হয় প্রায় ৩৭ লাখ টাকায়। অথচ এ বছর ঘাটটি ইজারা দিতে পারেনি চসিক। ফলে গত প্রায় পাঁচ মাস বৈধ ইজারাদার ছাড়াই এটি পরিচালিত হচ্ছে। এ নিয়ে বিরোধের সূত্রপাত।
মাঝিদের অভিযোগ, আগের ইজারাদারের লোকজনই এখনো পর্যন্ত টাকা আদায় করছে। অন্য আটটি ঘাটেই ইজারদাররা যাত্রীপ্রতি ১ টাকা আদায় করেন। কিন্তু এ ঘাটের ইজারাদার আদায় করছেন পাঁচ টাকা। মাঝিরা যাত্রী প্রতি দুই টাকা দিতে রাজিও আছেন। কিন্তু বাড়তি তিন টাকা দিতে রাজি নন। এ দাবিতেই চার দিন ধরে ঘাট বন্ধ রেখে আন্দোলন কর্মসূচি ও অনশন পালন করছেন প্রায় দুই শ সাম্পান মাঝি।
কর্ণফুলী নদী সাম্পান মাঝি শ্রমিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি এস এম পিয়ার আলী বলেন, ‘শুধু এ ঘাটেই কেন পাঁচ টাকা আদায় করা হবে? অন্য সব ঘাটে যাত্রী পারাপারে দশ টাকা নিই। ইজারদারকে এক টাকা দিয়ে, আমরা পাই নয় টাকা। এ ঘাটে নিতে হচ্ছে ১৩ টাকা। যাত্রীপ্রতি পাঁচ টাকা দিতে হচ্ছে আগের ইজারদারের লোকজনকে। আমরা পাই আট টাকা।’
সাম্পান সমিতির সাবেক সভাপতি মো. এনামুল বলেন, ‘প্রতিদিন যাত্রীদের সঙ্গে ঝগড়া হচ্ছে, এ ঘাটে আমরা কেন ১৩ টাকা নিচ্ছি? আমরা তো ভাড়া বাড়াইনি, ইজারাদারের লোকজন বাড়িয়েছে, তাই বাধ্য হয়েছি। সম্প্রতি ম্যাজিস্ট্রেট এসে দুবার জরিমানা করেছে মাঝিদের। অথচ আমাদের দোষ নেই। সিটি করপোরেশন এ ঘাটটি এ বছর ইজারা দেয়নি কেন?’
ইউসুফ নামে এক মাঝি বলেন, ঘাটে মালামাল পারাপারেও বাড়তি টাকা আদায় করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী, ৫০ কেজি পর্যন্ত পণ্য যাত্রীরা ফ্রি পরিবহন করতে পারেন। কিন্তু এ ঘাটে বিশ কেজি মালামাল নিলেও যাত্রীদের কাছ থেকে ২০ থেকে ৫০ টাকা বাড়তি আদায় করা হয়। তা ছাড়া লাইটার জাহাজের নাবিকেরা যখন পার হন তখনো দুই–তিন শ টাকা বাড়তি নেওয়া হয় ।
গতকাল ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, শহরের নানা প্রান্ত থেকে আসা যাত্রী, ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থীরা আটকা পড়েছেন। শামিম নামে এক কলেজ শিক্ষার্থী বলেন, ‘জানতাম না ঘাট বন্ধ। এখন কলেজে যাওয়ার উপায় নেই। সড়ক পথে অনেক দূর ঘুরতে হবে, টাকাও বেশি লাগবে।’
লাইটার জাহাজের শ্রমিক আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ইছানগর ঘাটে এসেই বিপদে পড়েছি। শহরে যাওয়া খুব প্রয়োজন। গত দুই ঘণ্টায় কোনো নৌকায় ছাড়েনি।
নদীর অভয়মিত্র ঘাটের ইজারাদার জাফর আহমদ বলেন, ‘পাঁচ টাকা আদায় করা অন্যায়। আমরা যাত্রী প্রতি এক টাকা নিচ্ছি । ঘাটে যাত্রী বেড়ে যাচ্ছে। ওই ঘাটে কমছে। বাংলাবাজার ঘাটের দুই শ মাঝি বিপাকে পড়েছে।’
তবে বাংলাবাজার ঘাটের আগের ইজারাদার হাজী সফিক আহমেদ বলেন, এ ঘাট এখন চসিকের তত্ত্বাবধানে আছে। এ বছর তারা কাউকে ইজারা দেয়নি। তাদেরই জিজ্ঞেস করেন কেন পাঁচ টাকা আদায় করা হচ্ছে।
বক্তব্য নিতে বারবার মোবাইলে যোগাযোগ করেও চসিকের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম, প্রধান ভূমি কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন, প্রধান নির্বাহী শহীদুল আলম কাউকে পাওয়া যায়নি।

বিরোধ মাত্র তিন টাকার। নৌকার মাঝি, ঘাট ইজারদার ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ত্রিপক্ষীয় বিরোধ। কিন্তু এর জন্যই কর্ণফুলী নদীর অন্যতম ব্যস্ত ঘাট বাংলাবাজার বন্ধ চার দিন ধরে। নদীর দক্ষিণ পাড়ে ইছানগর থেকে এ ঘাটে প্রতিদিন যাতায়াত করে শিক্ষার্থী, কর্মজীবী মানুষ, ব্যবসায়ীসহ অন্তত দুই হাজার যাত্রী। পারাপার হয় সবজি, দুধ, ওষুধসহ বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য। ঘাট বন্ধ থাকায় গত চার দিন ধরে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সবাই।
র্ণফুলী নদীর দুই পাড়ে গড়ে উঠেছে ১৬টি ঘাট। এর মধ্যে নয়টি ঘাটে হয় যাত্রী পারাপার। নদীর দক্ষিণ পাড়ে আনোয়ারা, কর্ণফুলী, বোয়ালখালী ও পটিয়ার মানুষ এসব ঘাটে আসা যাওয়া করে। এ ছাড়া দুই পাশের শিল্পকারখানা, সরকারি–বেসরকারি নানা দপ্তর, লাইটার জাহাজের শ্রমিক, নাবিক, মাঝিসহ কয়েক হাজার মানুষ প্রতিদিন নদী পারাপার হয়। এসব ঘাট প্রতি বছর ইজারা দেয় সিটি করপোরেশন।
গত বছর বাংলাবাজার ঘাটটি ইজারা হয় প্রায় ৩৭ লাখ টাকায়। অথচ এ বছর ঘাটটি ইজারা দিতে পারেনি চসিক। ফলে গত প্রায় পাঁচ মাস বৈধ ইজারাদার ছাড়াই এটি পরিচালিত হচ্ছে। এ নিয়ে বিরোধের সূত্রপাত।
মাঝিদের অভিযোগ, আগের ইজারাদারের লোকজনই এখনো পর্যন্ত টাকা আদায় করছে। অন্য আটটি ঘাটেই ইজারদাররা যাত্রীপ্রতি ১ টাকা আদায় করেন। কিন্তু এ ঘাটের ইজারাদার আদায় করছেন পাঁচ টাকা। মাঝিরা যাত্রী প্রতি দুই টাকা দিতে রাজিও আছেন। কিন্তু বাড়তি তিন টাকা দিতে রাজি নন। এ দাবিতেই চার দিন ধরে ঘাট বন্ধ রেখে আন্দোলন কর্মসূচি ও অনশন পালন করছেন প্রায় দুই শ সাম্পান মাঝি।
কর্ণফুলী নদী সাম্পান মাঝি শ্রমিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি এস এম পিয়ার আলী বলেন, ‘শুধু এ ঘাটেই কেন পাঁচ টাকা আদায় করা হবে? অন্য সব ঘাটে যাত্রী পারাপারে দশ টাকা নিই। ইজারদারকে এক টাকা দিয়ে, আমরা পাই নয় টাকা। এ ঘাটে নিতে হচ্ছে ১৩ টাকা। যাত্রীপ্রতি পাঁচ টাকা দিতে হচ্ছে আগের ইজারদারের লোকজনকে। আমরা পাই আট টাকা।’
সাম্পান সমিতির সাবেক সভাপতি মো. এনামুল বলেন, ‘প্রতিদিন যাত্রীদের সঙ্গে ঝগড়া হচ্ছে, এ ঘাটে আমরা কেন ১৩ টাকা নিচ্ছি? আমরা তো ভাড়া বাড়াইনি, ইজারাদারের লোকজন বাড়িয়েছে, তাই বাধ্য হয়েছি। সম্প্রতি ম্যাজিস্ট্রেট এসে দুবার জরিমানা করেছে মাঝিদের। অথচ আমাদের দোষ নেই। সিটি করপোরেশন এ ঘাটটি এ বছর ইজারা দেয়নি কেন?’
ইউসুফ নামে এক মাঝি বলেন, ঘাটে মালামাল পারাপারেও বাড়তি টাকা আদায় করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী, ৫০ কেজি পর্যন্ত পণ্য যাত্রীরা ফ্রি পরিবহন করতে পারেন। কিন্তু এ ঘাটে বিশ কেজি মালামাল নিলেও যাত্রীদের কাছ থেকে ২০ থেকে ৫০ টাকা বাড়তি আদায় করা হয়। তা ছাড়া লাইটার জাহাজের নাবিকেরা যখন পার হন তখনো দুই–তিন শ টাকা বাড়তি নেওয়া হয় ।
গতকাল ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, শহরের নানা প্রান্ত থেকে আসা যাত্রী, ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থীরা আটকা পড়েছেন। শামিম নামে এক কলেজ শিক্ষার্থী বলেন, ‘জানতাম না ঘাট বন্ধ। এখন কলেজে যাওয়ার উপায় নেই। সড়ক পথে অনেক দূর ঘুরতে হবে, টাকাও বেশি লাগবে।’
লাইটার জাহাজের শ্রমিক আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ইছানগর ঘাটে এসেই বিপদে পড়েছি। শহরে যাওয়া খুব প্রয়োজন। গত দুই ঘণ্টায় কোনো নৌকায় ছাড়েনি।
নদীর অভয়মিত্র ঘাটের ইজারাদার জাফর আহমদ বলেন, ‘পাঁচ টাকা আদায় করা অন্যায়। আমরা যাত্রী প্রতি এক টাকা নিচ্ছি । ঘাটে যাত্রী বেড়ে যাচ্ছে। ওই ঘাটে কমছে। বাংলাবাজার ঘাটের দুই শ মাঝি বিপাকে পড়েছে।’
তবে বাংলাবাজার ঘাটের আগের ইজারাদার হাজী সফিক আহমেদ বলেন, এ ঘাট এখন চসিকের তত্ত্বাবধানে আছে। এ বছর তারা কাউকে ইজারা দেয়নি। তাদেরই জিজ্ঞেস করেন কেন পাঁচ টাকা আদায় করা হচ্ছে।
বক্তব্য নিতে বারবার মোবাইলে যোগাযোগ করেও চসিকের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম, প্রধান ভূমি কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন, প্রধান নির্বাহী শহীদুল আলম কাউকে পাওয়া যায়নি।

বরগুনার তালতলী উপজেলায় ধানখেতে ইঁদুর মারার বৈদ্যুতিক ফাঁদে জড়িয়ে মো. ইমরান (৮) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ বুধবার সকালে উপজেলার বড়বগী ইউনিয়নের বড় ভাইজোড়া গ্রামে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
২৬ মিনিট আগে
স্থানীয় লোকজন জানায়, গতকাল রাতে নিজ ঘরের এক কক্ষে ঘুমিয়ে ছিলেন মোশারেফ। পাশের কক্ষে ঘুমাচ্ছিলেন তাঁর স্ত্রী ও মেয়ে। আনুমানিক রাত আড়াইটার দিকে কয়েকজন দুর্বৃত্ত সিঁধ কেটে ভেতরে ঢুকে তাঁকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায়।
৪৪ মিনিট আগে
নরসিংদীতে পারিবারিক কলহের জেরে ঘুমন্ত স্ত্রী-সন্তানসহ ছয়জনের শরীরে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় দুজন মারা গেছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল সোয়া ৯টায় ও বেলা ১টায় রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজন চন্দ্র সরক
১ ঘণ্টা আগে
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় কৃষিজমি থেকে অবৈধভাবে মাটি তোলা বন্ধে বিশেষ অভিযান চালিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। গতকাল মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত উপজেলার শিদলাই ইউনিয়নের শিদলাই পূর্বপাড়া ও শিদলাই বড় মাঠ এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়।
১ ঘণ্টা আগেআমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি

বরগুনার তালতলী উপজেলায় ধানখেতে ইঁদুর মারার বৈদ্যুতিক ফাঁদে জড়িয়ে মো. ইমরান (৮) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ বুধবার সকালে উপজেলার বড়বগী ইউনিয়নের বড় ভাইজোড়া গ্রামে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
মৃত ইমরান বড় ভাইজোড়া গ্রামের মো. সোহেল ফকিরের ছেলে। সে হরিণবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ত।
স্থানীয় লোকজন জানায়, উপজেলার বড় ভাইজোড়া গ্রামের আবু সালেহ আকন ধান চাষ করেন। তিনি ধানখেতে ইঁদুর মারার জন্য পার্শ্ববর্তী মসজিদ থেকে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ-সংযোগ ব্যবহার করে বৈদ্যুতিক ফাঁদ পেতে রাখেন। আজ সকাল ৭টার দিকে ইমরান তার মা রিপা বেগমের সঙ্গে ধানখেতে ছাগলের জন্য ঘাস কাটতে যায়। ওই সময় ইমরান ধানখেতে পাতা বৈদ্যুতিক ফাঁদে জড়িয়ে বিদ্যুতায়িত হয়। স্বজনেরা তাকে উদ্ধার করে তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তালতলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মাহফুজা আক্তার বলেন, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগে শিশুটি মারা গেছে।
তালতলী পল্লী বিদ্যুৎ উপ-স্টেশনের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) মো. ইমরান শেখ বলেন, মসজিদ থেকে বিদ্যুৎ-সংযোগ ব্যবহার করে ধানখেতে নেওয়া সম্পূর্ণভাবে অবৈধ। বিষয়টি তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজালাল বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বরগুনার তালতলী উপজেলায় ধানখেতে ইঁদুর মারার বৈদ্যুতিক ফাঁদে জড়িয়ে মো. ইমরান (৮) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ বুধবার সকালে উপজেলার বড়বগী ইউনিয়নের বড় ভাইজোড়া গ্রামে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
মৃত ইমরান বড় ভাইজোড়া গ্রামের মো. সোহেল ফকিরের ছেলে। সে হরিণবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ত।
স্থানীয় লোকজন জানায়, উপজেলার বড় ভাইজোড়া গ্রামের আবু সালেহ আকন ধান চাষ করেন। তিনি ধানখেতে ইঁদুর মারার জন্য পার্শ্ববর্তী মসজিদ থেকে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ-সংযোগ ব্যবহার করে বৈদ্যুতিক ফাঁদ পেতে রাখেন। আজ সকাল ৭টার দিকে ইমরান তার মা রিপা বেগমের সঙ্গে ধানখেতে ছাগলের জন্য ঘাস কাটতে যায়। ওই সময় ইমরান ধানখেতে পাতা বৈদ্যুতিক ফাঁদে জড়িয়ে বিদ্যুতায়িত হয়। স্বজনেরা তাকে উদ্ধার করে তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তালতলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মাহফুজা আক্তার বলেন, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগে শিশুটি মারা গেছে।
তালতলী পল্লী বিদ্যুৎ উপ-স্টেশনের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) মো. ইমরান শেখ বলেন, মসজিদ থেকে বিদ্যুৎ-সংযোগ ব্যবহার করে ধানখেতে নেওয়া সম্পূর্ণভাবে অবৈধ। বিষয়টি তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজালাল বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বিরোধ মাত্র তিন টাকার। নৌকার মাঝি, ঘাট ইজারদার ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ত্রিপক্ষীয় বিরোধ। কিন্তু এর জন্যই কর্ণফুলী নদীর অন্যতম ব্যস্ত ঘাট বাংলাবাজার বন্ধ চার দিন ধরে। নদীর দক্ষিণ পাড়ে ইছানগর থেকে এ ঘাটে প্রতিদিন যাতায়াত করে শিক্ষার্থী, কর্মজীবী মানুষ, ব্যবসায়ীসহ অন্তত দুই হাজার যাত্রী। পারাপার হয়
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১
স্থানীয় লোকজন জানায়, গতকাল রাতে নিজ ঘরের এক কক্ষে ঘুমিয়ে ছিলেন মোশারেফ। পাশের কক্ষে ঘুমাচ্ছিলেন তাঁর স্ত্রী ও মেয়ে। আনুমানিক রাত আড়াইটার দিকে কয়েকজন দুর্বৃত্ত সিঁধ কেটে ভেতরে ঢুকে তাঁকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায়।
৪৪ মিনিট আগে
নরসিংদীতে পারিবারিক কলহের জেরে ঘুমন্ত স্ত্রী-সন্তানসহ ছয়জনের শরীরে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় দুজন মারা গেছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল সোয়া ৯টায় ও বেলা ১টায় রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজন চন্দ্র সরক
১ ঘণ্টা আগে
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় কৃষিজমি থেকে অবৈধভাবে মাটি তোলা বন্ধে বিশেষ অভিযান চালিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। গতকাল মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত উপজেলার শিদলাই ইউনিয়নের শিদলাই পূর্বপাড়া ও শিদলাই বড় মাঠ এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়।
১ ঘণ্টা আগেপটুয়াখালী প্রতিনিধি

পটুয়াখালীর সদর উপজেলায় মোশারেফ খান (৪৫) নামের এক ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালককে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে উপজেলার সেয়াকাঠি গ্রামে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।
নিহত মোশারেফ খান সেয়াকাঠি গ্রামের হানিফ খানের ছেলে।
স্থানীয় লোকজন জানায়, গতকাল রাতে নিজ ঘরের একটি কক্ষে ঘুমিয়ে ছিলেন মোশারেফ। পাশের কক্ষে ঘুমাচ্ছিলেন তাঁর স্ত্রী ও মেয়ে। আনুমানিক রাত আড়াইটার দিকে কয়েকজন দুর্বৃত্ত সিঁধ কেটে ভেতরে ঢুকে তাঁকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায়। চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা রক্তাক্ত অবস্থায় মোশারেফকে উদ্ধার করে পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। পুলিশ এখনো সেখানে রয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, এটি পরিকল্পিত হত্যা। তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’

পটুয়াখালীর সদর উপজেলায় মোশারেফ খান (৪৫) নামের এক ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালককে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে উপজেলার সেয়াকাঠি গ্রামে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।
নিহত মোশারেফ খান সেয়াকাঠি গ্রামের হানিফ খানের ছেলে।
স্থানীয় লোকজন জানায়, গতকাল রাতে নিজ ঘরের একটি কক্ষে ঘুমিয়ে ছিলেন মোশারেফ। পাশের কক্ষে ঘুমাচ্ছিলেন তাঁর স্ত্রী ও মেয়ে। আনুমানিক রাত আড়াইটার দিকে কয়েকজন দুর্বৃত্ত সিঁধ কেটে ভেতরে ঢুকে তাঁকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায়। চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা রক্তাক্ত অবস্থায় মোশারেফকে উদ্ধার করে পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। পুলিশ এখনো সেখানে রয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, এটি পরিকল্পিত হত্যা। তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’

বিরোধ মাত্র তিন টাকার। নৌকার মাঝি, ঘাট ইজারদার ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ত্রিপক্ষীয় বিরোধ। কিন্তু এর জন্যই কর্ণফুলী নদীর অন্যতম ব্যস্ত ঘাট বাংলাবাজার বন্ধ চার দিন ধরে। নদীর দক্ষিণ পাড়ে ইছানগর থেকে এ ঘাটে প্রতিদিন যাতায়াত করে শিক্ষার্থী, কর্মজীবী মানুষ, ব্যবসায়ীসহ অন্তত দুই হাজার যাত্রী। পারাপার হয়
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১
বরগুনার তালতলী উপজেলায় ধানখেতে ইঁদুর মারার বৈদ্যুতিক ফাঁদে জড়িয়ে মো. ইমরান (৮) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ বুধবার সকালে উপজেলার বড়বগী ইউনিয়নের বড় ভাইজোড়া গ্রামে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
২৬ মিনিট আগে
নরসিংদীতে পারিবারিক কলহের জেরে ঘুমন্ত স্ত্রী-সন্তানসহ ছয়জনের শরীরে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় দুজন মারা গেছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল সোয়া ৯টায় ও বেলা ১টায় রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজন চন্দ্র সরক
১ ঘণ্টা আগে
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় কৃষিজমি থেকে অবৈধভাবে মাটি তোলা বন্ধে বিশেষ অভিযান চালিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। গতকাল মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত উপজেলার শিদলাই ইউনিয়নের শিদলাই পূর্বপাড়া ও শিদলাই বড় মাঠ এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়।
১ ঘণ্টা আগেনরসিংদী প্রতিনিধি

নরসিংদীতে পারিবারিক কলহের জেরে ঘুমন্ত স্ত্রী-সন্তানসহ ছয়জনের শরীরে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় দুজন মারা গেছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল সোয়া ৯টায় ও বেলা ১টায় রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। গতকাল রাতে নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজন চন্দ্র সরকার এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
মারা যাওয়া দুজন হলো রিনা বেগম (৩৮) ও তাঁর ছেলে ফরহাদ (১৫)। এই ঘটনায় রিনা বেগমের আরেক ছেলে তাওহীদ (৭) চিকিৎসাধীন। তার শরীরের ১৬ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। এ ছাড়া প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ছেড়েছে রিনা বেগমের ছেলে জিহাদ (২৪), বোন সালমা বেগম (৩৪) ও তাঁর ছেলে আরাফাত (১৫)।
অভিযুক্ত ফরিদ মিয়া (৪৪) পেশায় একজন পিকআপচালক ও ঘোড়াদিয়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন। মামলাটি এখন হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল সোয়া ৯টায় রিনা বেগম এবং বেলা ১টায় ছেলে ফরহাদের মৃত্যু হয়। রিনার শরীরের ৫৮ শতাংশ এবং ফরহাদের ৪০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। তাদের লাশ ময়নাতদন্তের পর নরসিংদীতে নিয়ে আসা হচ্ছে।
এর আগে গত বুধবার রাত ৩টার দিকে নরসিংদী সদর উপজেলার চিনিশপুর ইউনিয়নের ঘোড়াদিয়া এলাকায় স্ত্রী রিনা বেগম, সন্তানসহ ছয়জনের শরীরে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যান স্বামী ফরিদ মিয়া। শুক্রবার রাতে ফরিদ মিয়াকে একমাত্র আসামি করে নরসিংদী মডেল থানায় মামলা করেন রিনার মা হোসনা বেগম। পরদিন শনিবার রাত ৮টার দিকে বেলাব থানার বারৈচা এলাকা থেকে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানায়, নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা ও নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার ইটাখোলায় বসবাসকারী স্বামী ফরিদ মিয়া একজন মাদকাসক্ত ও চিহ্নিত অপরাধী। দীর্ঘদিনের সংসারজীবনে ভরণপোষণসহ দায়িত্ব পালন না করায় স্বামীর সংসার ছেড়ে সদর উপজেলার ঘোড়াদিয়ায় বাবার বাড়িতে সন্তানসহ আশ্রয় নেন রিনা বেগম। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বাবুর্চির সহযোগী হিসেবে কাজ করে তিনি জীবিকা নির্বাহ করতেন।

নরসিংদীতে পারিবারিক কলহের জেরে ঘুমন্ত স্ত্রী-সন্তানসহ ছয়জনের শরীরে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় দুজন মারা গেছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল সোয়া ৯টায় ও বেলা ১টায় রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। গতকাল রাতে নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজন চন্দ্র সরকার এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
মারা যাওয়া দুজন হলো রিনা বেগম (৩৮) ও তাঁর ছেলে ফরহাদ (১৫)। এই ঘটনায় রিনা বেগমের আরেক ছেলে তাওহীদ (৭) চিকিৎসাধীন। তার শরীরের ১৬ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। এ ছাড়া প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ছেড়েছে রিনা বেগমের ছেলে জিহাদ (২৪), বোন সালমা বেগম (৩৪) ও তাঁর ছেলে আরাফাত (১৫)।
অভিযুক্ত ফরিদ মিয়া (৪৪) পেশায় একজন পিকআপচালক ও ঘোড়াদিয়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন। মামলাটি এখন হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল সোয়া ৯টায় রিনা বেগম এবং বেলা ১টায় ছেলে ফরহাদের মৃত্যু হয়। রিনার শরীরের ৫৮ শতাংশ এবং ফরহাদের ৪০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। তাদের লাশ ময়নাতদন্তের পর নরসিংদীতে নিয়ে আসা হচ্ছে।
এর আগে গত বুধবার রাত ৩টার দিকে নরসিংদী সদর উপজেলার চিনিশপুর ইউনিয়নের ঘোড়াদিয়া এলাকায় স্ত্রী রিনা বেগম, সন্তানসহ ছয়জনের শরীরে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যান স্বামী ফরিদ মিয়া। শুক্রবার রাতে ফরিদ মিয়াকে একমাত্র আসামি করে নরসিংদী মডেল থানায় মামলা করেন রিনার মা হোসনা বেগম। পরদিন শনিবার রাত ৮টার দিকে বেলাব থানার বারৈচা এলাকা থেকে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানায়, নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা ও নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার ইটাখোলায় বসবাসকারী স্বামী ফরিদ মিয়া একজন মাদকাসক্ত ও চিহ্নিত অপরাধী। দীর্ঘদিনের সংসারজীবনে ভরণপোষণসহ দায়িত্ব পালন না করায় স্বামীর সংসার ছেড়ে সদর উপজেলার ঘোড়াদিয়ায় বাবার বাড়িতে সন্তানসহ আশ্রয় নেন রিনা বেগম। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বাবুর্চির সহযোগী হিসেবে কাজ করে তিনি জীবিকা নির্বাহ করতেন।

বিরোধ মাত্র তিন টাকার। নৌকার মাঝি, ঘাট ইজারদার ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ত্রিপক্ষীয় বিরোধ। কিন্তু এর জন্যই কর্ণফুলী নদীর অন্যতম ব্যস্ত ঘাট বাংলাবাজার বন্ধ চার দিন ধরে। নদীর দক্ষিণ পাড়ে ইছানগর থেকে এ ঘাটে প্রতিদিন যাতায়াত করে শিক্ষার্থী, কর্মজীবী মানুষ, ব্যবসায়ীসহ অন্তত দুই হাজার যাত্রী। পারাপার হয়
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১
বরগুনার তালতলী উপজেলায় ধানখেতে ইঁদুর মারার বৈদ্যুতিক ফাঁদে জড়িয়ে মো. ইমরান (৮) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ বুধবার সকালে উপজেলার বড়বগী ইউনিয়নের বড় ভাইজোড়া গ্রামে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
২৬ মিনিট আগে
স্থানীয় লোকজন জানায়, গতকাল রাতে নিজ ঘরের এক কক্ষে ঘুমিয়ে ছিলেন মোশারেফ। পাশের কক্ষে ঘুমাচ্ছিলেন তাঁর স্ত্রী ও মেয়ে। আনুমানিক রাত আড়াইটার দিকে কয়েকজন দুর্বৃত্ত সিঁধ কেটে ভেতরে ঢুকে তাঁকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায়।
৪৪ মিনিট আগে
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় কৃষিজমি থেকে অবৈধভাবে মাটি তোলা বন্ধে বিশেষ অভিযান চালিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। গতকাল মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত উপজেলার শিদলাই ইউনিয়নের শিদলাই পূর্বপাড়া ও শিদলাই বড় মাঠ এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়।
১ ঘণ্টা আগেব্রাহ্মণপাড়া (কুমিল্লা) প্রতিনিধি

কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় কৃষিজমি থেকে অবৈধভাবে মাটি তোলা বন্ধে বিশেষ অভিযান চালিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। গতকাল মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত উপজেলার শিদলাই ইউনিয়নের শিদলাই পূর্বপাড়া ও শিদলাই বড় মাঠ এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তারেক রহমান। এ সময় ব্রাহ্মণপাড়া থানা-পুলিশের একটি দল, আনসার ও গ্রাম পুলিশ সদস্যরা অভিযানে সহযোগিতা করেন।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, কৃষিজমি রক্ষার লক্ষ্যে পরিচালিত অভিযানে অবৈধভাবে ফসলি জমি থেকে মাটি উত্তোলন ও বিক্রির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এ সময় পাঁচটি খননযন্ত্র (ড্রেজার মেশিন), পাইপ ও অন্যান্য সরঞ্জাম ধ্বংস করা হয়। পাশাপাশি বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন অনুযায়ী ড্রেজারের মালিকদের ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) তারেক রহমান বলেন, ‘শিদলাই এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাঁচটি ড্রেজার ও সংশ্লিষ্ট উপকরণ ধ্বংস করা হয়েছে। বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে দায়ী ব্যক্তিদের ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। কৃষিজমি রক্ষায় অবৈধ মাটি উত্তোলনের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় কৃষিজমি থেকে অবৈধভাবে মাটি তোলা বন্ধে বিশেষ অভিযান চালিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। গতকাল মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত উপজেলার শিদলাই ইউনিয়নের শিদলাই পূর্বপাড়া ও শিদলাই বড় মাঠ এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তারেক রহমান। এ সময় ব্রাহ্মণপাড়া থানা-পুলিশের একটি দল, আনসার ও গ্রাম পুলিশ সদস্যরা অভিযানে সহযোগিতা করেন।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, কৃষিজমি রক্ষার লক্ষ্যে পরিচালিত অভিযানে অবৈধভাবে ফসলি জমি থেকে মাটি উত্তোলন ও বিক্রির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এ সময় পাঁচটি খননযন্ত্র (ড্রেজার মেশিন), পাইপ ও অন্যান্য সরঞ্জাম ধ্বংস করা হয়। পাশাপাশি বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন অনুযায়ী ড্রেজারের মালিকদের ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) তারেক রহমান বলেন, ‘শিদলাই এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাঁচটি ড্রেজার ও সংশ্লিষ্ট উপকরণ ধ্বংস করা হয়েছে। বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে দায়ী ব্যক্তিদের ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। কৃষিজমি রক্ষায় অবৈধ মাটি উত্তোলনের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

বিরোধ মাত্র তিন টাকার। নৌকার মাঝি, ঘাট ইজারদার ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ত্রিপক্ষীয় বিরোধ। কিন্তু এর জন্যই কর্ণফুলী নদীর অন্যতম ব্যস্ত ঘাট বাংলাবাজার বন্ধ চার দিন ধরে। নদীর দক্ষিণ পাড়ে ইছানগর থেকে এ ঘাটে প্রতিদিন যাতায়াত করে শিক্ষার্থী, কর্মজীবী মানুষ, ব্যবসায়ীসহ অন্তত দুই হাজার যাত্রী। পারাপার হয়
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১
বরগুনার তালতলী উপজেলায় ধানখেতে ইঁদুর মারার বৈদ্যুতিক ফাঁদে জড়িয়ে মো. ইমরান (৮) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ বুধবার সকালে উপজেলার বড়বগী ইউনিয়নের বড় ভাইজোড়া গ্রামে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
২৬ মিনিট আগে
স্থানীয় লোকজন জানায়, গতকাল রাতে নিজ ঘরের এক কক্ষে ঘুমিয়ে ছিলেন মোশারেফ। পাশের কক্ষে ঘুমাচ্ছিলেন তাঁর স্ত্রী ও মেয়ে। আনুমানিক রাত আড়াইটার দিকে কয়েকজন দুর্বৃত্ত সিঁধ কেটে ভেতরে ঢুকে তাঁকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায়।
৪৪ মিনিট আগে
নরসিংদীতে পারিবারিক কলহের জেরে ঘুমন্ত স্ত্রী-সন্তানসহ ছয়জনের শরীরে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় দুজন মারা গেছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল সোয়া ৯টায় ও বেলা ১টায় রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজন চন্দ্র সরক
১ ঘণ্টা আগে