নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে চট্টগ্রামে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৮১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। এই মামলায় আসামির তালিকায় একজনের নাম পাওয়া গেছে, যিনি চার বছর আগে মারা গেছেন। নিহত মানুষকে আসামি করা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন), চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আখতার কবির চৌধুরী।
জানা গেছে, গতকাল সোমবার ঘটনার ১৩ মাস পর ১৮১ জনের বিরুদ্ধে নালিশি মামলার এই আবেদন করা হয়। আসামির তালিকায় রয়েছেন সাবেক সরকারের মন্ত্রী, এমপি, কাউন্সিলর, ব্যবসায়ী, পুলিশ কর্মকর্তা, বাবুর্চি ও নারী কাউন্সিলর। আসামির তালিকায় ১৫০ নম্বরে আছেন ২০২১ সালের ১৮ মার্চ মারা যাওয়া চট্টগ্রাম নগরের ১৬ নম্বর চকবাজার ওয়ার্ডের সাতবারের নির্বাচিত সাবেক কাউন্সিলর সাইয়্যেদ গোলাম হায়দার মিন্টুও।
সোমবার সকালে চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু বকর সিদ্দিকের আদালতে এই নালিশি মামলার আবেদন করেন এক ছাত্র। আদালত পুলিশ ব্যুরো ‘অব ইনভেস্টিগেশন’ (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্রো শাখাকে তদন্তের আদেশ দেন। মামলার আবেদনকারী এ কে এম নুরুল্লাহ মামলার আবেদনে হত্যাচেষ্টার দণ্ডবিধির ৩০৭সহ আরও কয়েকটি ধারা উল্লেখ করেছেন। নিহত সাবেক কাউন্সিলর সাইয়্যেদ গোলাম হায়দার মিন্টুর নামের পাশে লেখা হয়েছে, ‘চট্টগ্রাম নিউমার্কেটে নুরুল্লাহ হত্যাচেষ্টা মামলায় সরাসরি জড়িত।’
মামলার বাদী এ কে এম নুরুল্লাহ চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সায়েন্সেস অব হাদিস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ছাত্র। তিনি কিশোরগঞ্জ জেলার সদর থানার বগাদিয়া বিন্নাগাঁও গ্রামের মো. রতন মিয়ার ছেলে। তিনি বর্তমানে সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি এলাকায় থাকেন।
কেন মৃত ব্যক্তির নাম মামলায় এল জানতে চাইলে মামলার বাদী এ কে এম নুরুল্লাহ প্রতিবেদকের কাছে জানতে চান, কত নম্বর আসামি মারা গেছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে তিনি বিষয়টি জানিয়ে দেবেন বলে উল্লেখ করেন। জানতে চাইলে বাদীপক্ষের আইনজীবী আবু বক্কর জানান, ভিত্তি আছে মামলার। এ কারণে আমি মামলা করে দিয়েছি।
মামলার অভিযোগে বাদী উল্লেখ করেন, ৪ আগস্ট নিউমার্কেটে নুরুল্লাহ গুলিবিদ্ধ হন। সে সময় তিনিসহ ১৫-২০ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। পরে নগরের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। সেদিন রাতে অপারেশন করে তাঁর দুই পা থেকে তিনটি রাবার বুলেট ও ১৩টি লিথ্যাল বুলেট বের করা হয়।
আরজিতে মামলার অন্য উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান জাবেদ, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান, সাবেক আইসিটি মন্ত্রী জোনায়েদ আহমেদ পলক, আওয়ামী লীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, সাবেক সিএমপি কমিশনার সাইফুল ইসলাম, সাবেক চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, রেজাউল করিম, শিল্পগোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের কর্ণধার মো. সাইফুল আলম, শেখ হাসিনার নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর (অব) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান, সাবেক সেনা কর্মকর্তা জেনারেল মুজিবুর রহমান, সাবেক সিইসি নুরুল হুদা, কাজী হাবিবুল আউয়াল, সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক, চবকের পরিচালক (পরিবহন) এনামুল করিম।
এ ছাড়া গত বছরের ৪ আগস্ট নগরের কোতোয়ালি থানায় দায়িত্বরত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, পরিদর্শক (তদন্ত), সব উপপরিদর্শক, সহকারী উপপরিদর্শকসহ ৩০ থেকে ৪০ জন অজ্ঞাত পুলিশ সদস্য এবং আওয়ামী লীগ এবং দলটির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের অজ্ঞাত আরও ৫০ থেকে ৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে চট্টগ্রামে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৮১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। এই মামলায় আসামির তালিকায় একজনের নাম পাওয়া গেছে, যিনি চার বছর আগে মারা গেছেন। নিহত মানুষকে আসামি করা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন), চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আখতার কবির চৌধুরী।
জানা গেছে, গতকাল সোমবার ঘটনার ১৩ মাস পর ১৮১ জনের বিরুদ্ধে নালিশি মামলার এই আবেদন করা হয়। আসামির তালিকায় রয়েছেন সাবেক সরকারের মন্ত্রী, এমপি, কাউন্সিলর, ব্যবসায়ী, পুলিশ কর্মকর্তা, বাবুর্চি ও নারী কাউন্সিলর। আসামির তালিকায় ১৫০ নম্বরে আছেন ২০২১ সালের ১৮ মার্চ মারা যাওয়া চট্টগ্রাম নগরের ১৬ নম্বর চকবাজার ওয়ার্ডের সাতবারের নির্বাচিত সাবেক কাউন্সিলর সাইয়্যেদ গোলাম হায়দার মিন্টুও।
সোমবার সকালে চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু বকর সিদ্দিকের আদালতে এই নালিশি মামলার আবেদন করেন এক ছাত্র। আদালত পুলিশ ব্যুরো ‘অব ইনভেস্টিগেশন’ (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্রো শাখাকে তদন্তের আদেশ দেন। মামলার আবেদনকারী এ কে এম নুরুল্লাহ মামলার আবেদনে হত্যাচেষ্টার দণ্ডবিধির ৩০৭সহ আরও কয়েকটি ধারা উল্লেখ করেছেন। নিহত সাবেক কাউন্সিলর সাইয়্যেদ গোলাম হায়দার মিন্টুর নামের পাশে লেখা হয়েছে, ‘চট্টগ্রাম নিউমার্কেটে নুরুল্লাহ হত্যাচেষ্টা মামলায় সরাসরি জড়িত।’
মামলার বাদী এ কে এম নুরুল্লাহ চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সায়েন্সেস অব হাদিস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ছাত্র। তিনি কিশোরগঞ্জ জেলার সদর থানার বগাদিয়া বিন্নাগাঁও গ্রামের মো. রতন মিয়ার ছেলে। তিনি বর্তমানে সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি এলাকায় থাকেন।
কেন মৃত ব্যক্তির নাম মামলায় এল জানতে চাইলে মামলার বাদী এ কে এম নুরুল্লাহ প্রতিবেদকের কাছে জানতে চান, কত নম্বর আসামি মারা গেছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে তিনি বিষয়টি জানিয়ে দেবেন বলে উল্লেখ করেন। জানতে চাইলে বাদীপক্ষের আইনজীবী আবু বক্কর জানান, ভিত্তি আছে মামলার। এ কারণে আমি মামলা করে দিয়েছি।
মামলার অভিযোগে বাদী উল্লেখ করেন, ৪ আগস্ট নিউমার্কেটে নুরুল্লাহ গুলিবিদ্ধ হন। সে সময় তিনিসহ ১৫-২০ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। পরে নগরের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। সেদিন রাতে অপারেশন করে তাঁর দুই পা থেকে তিনটি রাবার বুলেট ও ১৩টি লিথ্যাল বুলেট বের করা হয়।
আরজিতে মামলার অন্য উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান জাবেদ, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান, সাবেক আইসিটি মন্ত্রী জোনায়েদ আহমেদ পলক, আওয়ামী লীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, সাবেক সিএমপি কমিশনার সাইফুল ইসলাম, সাবেক চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, রেজাউল করিম, শিল্পগোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের কর্ণধার মো. সাইফুল আলম, শেখ হাসিনার নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর (অব) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান, সাবেক সেনা কর্মকর্তা জেনারেল মুজিবুর রহমান, সাবেক সিইসি নুরুল হুদা, কাজী হাবিবুল আউয়াল, সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক, চবকের পরিচালক (পরিবহন) এনামুল করিম।
এ ছাড়া গত বছরের ৪ আগস্ট নগরের কোতোয়ালি থানায় দায়িত্বরত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, পরিদর্শক (তদন্ত), সব উপপরিদর্শক, সহকারী উপপরিদর্শকসহ ৩০ থেকে ৪০ জন অজ্ঞাত পুলিশ সদস্য এবং আওয়ামী লীগ এবং দলটির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের অজ্ঞাত আরও ৫০ থেকে ৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
রাকসু নির্বাচনের চারটি কেন্দ্রের ফলাফলে এগিয়ে আছেন ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের ভিপি ও এজিএস প্রার্থীরা। আর জিএস পদে এগিয়ে আছেন আধিপত্যবিরোধী ঐক্য প্যানেলের প্রার্থী সালাউদ্দিন আম্মার। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক।
১৫ মিনিট আগেচট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (সিইপিজেড) এলাকায় কারখানার আগুন ছড়িয়ে পড়ে সাততলার পুরো ভবনটিই জ্বলছে। ১০ ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি আগুন। আগুনের তাপের কারণে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা কাছে যেতে পারছেন না। দূর থেকে পানি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন তাঁরা।
১৭ মিনিট আগেরাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে মেয়েদের বেগম রোকেয়া হলেও ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী শেখ নূর উদ্দিন আবিরের চেয়ে তিন গুণ বেশি ভোট পেয়েছেন ছাত্রশিবির প্যানেলের প্রার্থী মোস্তাকুর রহমান জাহিদ।
২৭ মিনিট আগেতিস্তা মহাপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে তিস্তা নদীপারে মশাল প্রজ্বালন করেছে হাজারো মানুষ। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রংপুর বিভাগের পাঁচ জেলা কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, রংপুর ও নীলফামারীতে একযোগে এই কর্মসূচি পালন করে ‘তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন কমিটি’।
১ ঘণ্টা আগে