Ajker Patrika

সাবেক ওসি প্রদীপ ও তাঁর স্ত্রীর জব্দ সম্পত্তির তত্ত্বাবধানে জেলা প্রশাসক

আদালত প্রতিবেদক
আপডেট : ২৯ জুন ২০২১, ১৭: ১৫
Thumbnail image

চট্টগ্রাম: টেকনাফ থানার সাবেক পুলিশ পরিদর্শক প্রদীপ কুমার দাশ ও স্ত্রী চুমকী কারণের জব্দ হওয়া বিপুল সম্পত্তির তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগ করেছেন আদালত। দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জনের অভিযোগে জব্দ হওয়া চট্টগ্রামের সম্পত্তির তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগ করা হয়েছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসককে। এছাড়া কক্সবাজার সদরের একটি ফ্ল্যাটের তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগ করা হয়েছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসককে।

আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে চট্টগ্রাম মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ শেখ আশফাকুর রহমান এ আদেশ দেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় একই আদালত গত বছর ২০ সেপ্টেম্বর ওই সম্পত্তি জব্দের পরোয়ানা দেন।

দুদক পিপি অ্যাডভোকেট মাহমুদুল হক মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, রিসিভার নিয়োগ হওয়া সম্পত্তির মূল্য প্রায় ৪ কোটি টাকা। জব্দ হওয়া সম্পত্তির রিসিভার নিয়োগের জন্য আমরা সোমবার আদালতে দরখাস্ত দিই। আদালত কাগজপত্র পরীক্ষা করে আজ মঙ্গলবার আদেশ দিয়েছেন।

আদালত সূত্র জানায়, রিসিভার নিয়োগের সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে প্রদীপের স্ত্রীর নামে কোতোয়ালি থানার পাথরঘাটার ৬ তলা বাড়ি, নগরের পাঁচলাইশে একটি ৬ গন্ডার প্লটসহ টিনের ছাউনি বাড়ি, চট্টমেট্রো ছ ১১-৬১১ নম্বরের একটি মাইক্রোবাস, চট্টমেট্রো খ-১১-৯২৩২ একটি কার ও কক্সবাজার সদরের একটি ফ্ল্যাট। আদালতে দুদকের দাখিল করা তথ্যমতে, এসব স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির মূল্য ৩ কোটি ৮৯ লাখ ৪ হাজার ৪৭৫ টাকা।

আদালতসূত্র জানায়, আদালত গত বছর এসব সম্পত্তির সঙ্গে বেসিক ব্যাংকের একটি ব্যাংক হিসাবও জব্দ করেন। তবে ওই ব্যাংক হিসাবের রিসিভার নিয়োগের বিষয়ে আদেশে কিছু বলা হয়নি।

তথ্য গোপন করে সম্পত্তি অর্জনের দায়ে গত বছর ২৩ আগস্ট দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন প্রদীপের স্ত্রী চুমকী কারণ (৪৫) ও প্রদীপ কুমার দাশের বিরুদ্ধে গত বছর ২৩ আগস্ট মামলা দায়ের করেন।

এতে বলা হয়, প্রদীপের বাবা চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) একজন সিকিউরিটি গার্ড ছিলেন। কোতোয়ালির প্রায় ৪ গণ্ডা জায়গার ওপর নির্মিত বাড়িটি চুমকী কারণের পিতা দান করেন। কিন্তু চুমকির পিতা অন্য সন্তানদের কিছুই দান করেননি। কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানা যায় এসব সম্পত্তি প্রদীপ শ্বশুরের নামে ক্রয় করেছেন। পরে তাঁর স্ত্রীর নামে দানপত্র আদায় করেন।

১৯৯৫ সালে এসআই পদে যোগদান করেন প্রদীপ। তিনি নামে বেনামে অনেক সম্পত্তি অর্জন করেন। অভিযুক্ত চুমকী কারণ নিজেকে কমিশন ব্যবসায়ী হিসেবে উল্লেখ করে সম্পদবিবরণী দাখিল করেন। কিন্তু এর সমর্থনে কাগজপত্র উপস্থাপন করতে পারেননি। মূলত তিনি একজন গৃহিণী।

গত বছর ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে গাড়ি তল্লাশি করে পুলিশ। এ সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেন খান। ৫ আগস্ট নিহতের বোন এ ঘটনায় টেকনাফ থানার ৯ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ৬ আগস্ট প্রদীপ দাশ কক্সবাজার আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরে দুদকের করা চট্টগ্রামের মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। দুদকের মামলার পর থেকে স্ত্রী চুমকী পলাতক রয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত