Ajker Patrika

মূল ক্যাম্পাসে ফিরতে চবির চারুকলার শিক্ষার্থীদের আবারও সড়ক অবরোধ 

চবি প্রতিনিধি
মূল ক্যাম্পাসে ফিরতে চবির চারুকলার শিক্ষার্থীদের আবারও সড়ক অবরোধ 

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) চারুকলা ইনস্টিটিউটকে মূল ক্যাম্পাসে স্থানান্তরের দাবিতে আবারও সড়ক অবরোধ করে করেছেন শিক্ষার্থীরা। আজ মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে চারুকলা ইনস্টিটিউটের সামনে বাদশাহ মিয়া সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা।

এ সময় স্লোগান ও প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করে অবস্থান অব্যাহত রাখেন আন্দোলনরতরা। পরে দুপুর ৩টায় প্রধানমন্ত্রী জনসভার পূর্বপ্রস্তুতির জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনুরোধে তাঁরা অবরোধ প্রত্যাহার করে নেন। মূল ক্যাম্পাসে ফেরার দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ২৮ তম দিনের মতো চলছে।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, আন্দোলনের ২৮ দিন পেরিয়ে গেলেও তাদের কোনো সিদ্ধান্ত জানাতে পারেনি প্রশাসন ও স্থানান্তর বিষয়ে গঠিত কমিটি। একই সঙ্গে প্রশাসনের নির্দেশ থাকলেও চারুকলার শিক্ষকেরা এ বিষয়ে একাডেমিক কমিটির আর কোনো বৈঠকে বসেননি। পাশাপাশি তারা প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চান। 

এর আগে গত ১৬ নভেম্বর থেকে তারা নগরীর চারুকলা ক্যাম্পাসে অবরোধ শুরু করেন। ২০ নভেম্বর একজন সহকারী প্রক্টর, চারুকলা ইনস্টিটিউটের পরিচালকসহ ১২ শিক্ষককে ১০ ঘণ্টার মতো শিক্ষকদের অবরুদ্ধ করে রাখেন তারা। পাশাপাশি ২৮ দিন ধরে তাঁদের ক্লাস বর্জন ও অবস্থান কর্মসূচি চলমান রয়েছে। গত ১০ নভেম্বরও সড়ক অবরোধ করেছিলেন তারা। 

 চারুকলা ইনস্টিটিউটের সামনে বাদশাহ মিয়া সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরাআন্দোলনরত শিক্ষার্থী খন্দকার মাসরুর আল ফাহিম বলেন, ‘আমরা আজ (মঙ্গলবার) থেকে ফটকের বাইরে অবস্থান কর্মসূচি ও সড়ক অবরোধ করছি। প্রশাসন একটা কমিটি করেছিল। কিন্তু দুই সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও কমিটি স্থানান্তর বিষয়ে সুস্পষ্ট কোনো বক্তব্য দিতে পারছে না। তাহলে এই কমিটির মানে কী? আমরা প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। সমাধান না আসা পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।’ 

এ বিষয়ে ‘চারুকলাকে ক্যাম্পাসে স্থানান্তর’ বিষয়ক কমিটির আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল্লাহ মামুন বলেন, ‘আমরা তাদের ক্যাম্পাস স্থানান্তরের বিষয়ে সরকারি ও আইনি যে প্রক্রিয়া আছে সেগুলো বলেছি। গেজেটের কপি তাদের দেখিয়েছিলাম। তারাও আমাদের সঙ্গে সম্মত হয়েছিল। আমরা সুপারিশ করেছি, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পর্ষদে সিদ্ধান্ত পাস হয়ে আসতে হবে। তারপর সরকারের সম্মতি নিয়ে চারুকলাকে স্থানান্তর করতে হবে। এই প্রক্রিয়া অনুসরণ করব, বিশ্ববিদ্যালয়ও এই প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গাজীপুরে দেশীয় অস্ত্র ও মাদকসহ বিএনপি নেতার ভাই-ভাতিজা আটক

গাজীপুর প্রতিনিধি
বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র ও মাদকদ্রব্যসহ আটক বাবা-ছেলে। ছবি: সংগৃহীত
বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র ও মাদকদ্রব্যসহ আটক বাবা-ছেলে। ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানাধীন নাওজোর এলাকায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র ও মাদকদ্রব্যসহ বাবা-ছেলেকে আটক করা হয়েছে। আটক মো. তসলিম সিরাজ (৫৪) নাওজোর এলাকার মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে। অপরজন তাঁর ছেলে মো. মুশফিক তসলিম (২৭)। তাঁরা দুজনই গাজীপুর মহানগর বিএনপির বাসন থানার সভাপতি তানভীর সিরাজের ভাই ও ভাতিজা।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে গাজীপুর সেনাক্যাম্প (১৪ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি) থেকে পাঠানো এক সংক্ষিপ্ত বার্তায় এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

সূত্র জানায়, বুধবার দিবাগত রাত পৌনে ৩টা থেকে বৃহস্পতিবার ভোর পৌনে ৫টা পর্যন্ত গাজীপুর সেনাক্যাম্পের নেতৃত্বে যৌথ বাহিনী বাসন থানার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের নাওজোর এলাকায় মো. তসলিম সিরাজের বাড়িতে অভিযান চালায়। অভিযানে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র ও মাদকদ্রব্যসহ মো. তসলিম সিরাজ (৫৪) ও তাঁর ছেলে মো. মুশফিক তসলিমকে (২৭) আটক করা হয়।

আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে উদ্ধার করা দেশীয় অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ৮টি বড় ছোরা, ১৯টি ছোট ছোরা, ৫টি বড় চাপাতি, ৫টি ছোট চাপাতি, ২টি হাঁসুয়া, ৫টি রামদা, ১টি সোজা রামদা এবং ২৭টি নকল ডায়মন্ড (অস্ত্র ধার করার উপকরণ)। এ ছাড়াও প্রায় ৫০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার ও জব্দ করা হয়।

অভিযান শেষে যৌথ বাহিনী আটক দুজনকে গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপি) বাসন থানায় হস্তান্তর করে।

জিএমপির বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, যৌথ বাহিনীর অভিযানে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র, গাঁজাসহ বাবা-ছেলেকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সখীপুরে মাদকসেবীদের বিরুদ্ধে ওসির হুঁশিয়ারি: মাদক ছাড়বে, না হয় এলাকা ছাড়বে

সখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি 
মাদকবিরোধী সমাবেশে বক্তব্য দিচ্ছেন ওসি আবুল কালাম ভূঞা। ছবি: আজকের পত্রিকা
মাদকবিরোধী সমাবেশে বক্তব্য দিচ্ছেন ওসি আবুল কালাম ভূঞা। ছবি: আজকের পত্রিকা

টাঙ্গাইলের সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম ভূঞা মাদক কারবারিদের প্রতি কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, মাদক কারবারিরা মাদক ছাড়বে, তা না হলে এলাকা ছাড়বে। গতকাল বুধবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার প্রতিমা বংকী ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসা মাঠে এলাকাবাসী আয়োজিত এক সুধী সমাবেশে তিনি এই হুঁশিয়ারি দেন। মাদক, ইভ টিজিং, বাল্যবিবাহ, ধর্ষণ, চুরি ও সন্ত্রাসবিরোধী এই সমাবেশে তিন শতাধিক স্থানীয় বাসিন্দা উপস্থিত ছিলেন।

সুধী সমাবেশে উপস্থিত জনতাকে উদ্দেশ করে ওসি আবুল কালাম ভূঞা বলেন, ‘আমরা কি মাদকের বিরুদ্ধে সবাই আছি?’ এ সময় সমবেত জনতা হাত তুলে সম্মতি দেয়। ওসি বলেন, ‘যেহেতু আপনারা ওয়াদা দিয়েছেন, তাই আজকের পর থেকে মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি। ওরা মাদক ছাড়বে, না হয় এলাকা ছাড়বে। মাদক না ছাড়লে এলাকাছাড়া করব আমরা সবাই মিলে।

সখীপুরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করে মাদকবিরোধী সমাবেশে অংশ নেন এলাকাবাসী। ছবি: আজকের পত্রিকা
সখীপুরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করে মাদকবিরোধী সমাবেশে অংশ নেন এলাকাবাসী। ছবি: আজকের পত্রিকা

কোনো অবস্থায়ই সে এলাকায় থাকবে না, কোনো মাদকসেবী এই এলাকায় থাকবে না। মাদক বিক্রির সময় পিছমোড়া দিয়ে বেঁধে রাখবেন, খবর দেবেন, আমি এসে ধরে নিয়ে যাব।’

ওসি আরও বলেন, ‘মাদক ও চুরি ঠেকাতে সামাজিক আন্দোলন খুবই প্রয়োজন। সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি পেলে দেখবেন এক সপ্তাহের মধ্যে সমাজের আমূল পরিবর্তন হয়ে গেছে।’ তিনি বলেন, ‘অনেকেই পুলিশের সীমাবদ্ধতা জানে না। যার যেটা প্রয়োজন সবকিছু পুলিশের কাছে আশা করে। কিন্তু পুলিশের যে আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা আছে, এটা জানে না। এরপরও বলে যাচ্ছি, যেকোনো সমস্যায় যাবেন, আমার যতটুকু সক্ষমতা আছে, সর্বোচ্চটা দিয়ে সমাধানের চেষ্টা করব।’

সুধী সমাবেশে সখীপুর সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক এম এ গফুরের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন উদয়ন উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহজাহান মিয়া, স্থানীয় মসজিদ কমিটির সভাপতি সোহরাব আলী, ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম, লাল মিয়া, সাবেক ইউপি সদস্য জিন্নাত আলী, আলতাব হোসেন, বিএনপি নেতা সামছুল আলম, সালমান কবির, সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম সানি, যুব আন্দোলন নেতা আবু রায়হান প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পারিবারিক কলহ: শরীরে পেট্রল ঢেলে আগুন দেওয়া সেই যুবকের মৃত্যু

সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি 
অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যাওয়া যুবক রায়হান মিয়া। ছবি: সংগৃহীত
অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যাওয়া যুবক রায়হান মিয়া। ছবি: সংগৃহীত

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় পারিবারিক কলহ ও পরকীয়ায় আসক্তির জেরে নিজের শরীরে পেট্রল ঢেলে আগুন দেওয়া যুবক মো. রায়হান মিয়া (২৭) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। আজ বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) ভোরের দিকে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে তাঁর মৃত্যু হয়। ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোকলেছুর রহমান মণ্ডল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহত মো. রায়হান মিয়া উপজেলার ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়নের উত্তর ধোপাডাঙ্গা গ্রামের মো. চান মিয়ার ছেলে। তিনি স্ত্রী আদুরী বেগম ও দুই সন্তান নিয়ে সংসার করতেন।

রায়হান মিয়া দীর্ঘদিন ধরে অনলাইনে জুয়া ও অন্য নারীর প্রতি আসক্ত ছিলেন। দুই মাস আগে স্থানীয় এক নারীর সঙ্গে অবৈধ মেলামেশা করতে গিয়ে তিনি ধরা পড়েন। শাশুড়ির চাপে স্ত্রী আদুরী নিজের গয়না বিক্রি করে সে সময় স্বামীকে ছাড়িয়ে আনেন। এরপর রায়হান আরেক নারীকে বিয়ে করার জন্য স্ত্রীকে চাপ দেন। স্ত্রী রাজি না হলে তাঁদের মধ্যে মনোমালিন্য শুরু হয় এবং রায়হান তাঁর স্ত্রীর ওপর পাশবিক নির্যাতন চালান।

অত্যাচার সইতে না পেরে আদুরী বেগম সন্তানদের নিয়ে বাবার বাড়ি চলে যান। গত মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকালের দিকে রায়হান মিয়ার বাবা চান মিয়া বড় শ্যালককে নিয়ে পুত্রবধূ আদুরীকে আনতে শ্বশুরবাড়ি যান। প্রথমে আদুরী আসতে না চাইলেও শ্বশুরের জোরালো চাপে তিনি শর্ত সাপেক্ষে রাজি হন যে রায়হান তাঁকে মারধর করতে পারবেন না এবং জুয়া খেলা বন্ধ করতে হবে।

এই পরিস্থিতিতে মো. রায়হান মিয়া মোবাইল ফোনে বাবাকে হুমকি দেন এবং স্ত্রীকে আনতে নিষেধ করেন। এরপরই ক্ষোভে বেলা ১১টার দিকে তিনি নিজের শরীরে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। আগুন জ্বলতে থাকলে তিনি দ্রুত পুকুরের পানিতে লাফ দেন।

গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় রায়হানকে প্রথমে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার ভোরে তিনি মারা যান।

মো. রায়হান মিয়ার বাড়িতে গেলে দেখা হয় তাঁর দুলাভাই মো. সবুজ মিয়ার সঙ্গে। তিনি কথা বলতে রাজি হননি গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে। পরে দেখা হয় রায়হান মিয়ার কলেজপড়ুয়া বোনের সঙ্গে। গণমাধ্যমকর্মীদের দেখে চটে যান তিনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল হাকিম আজাদ বলেন, ‘এ বিষয়ে এখনো কোনো কাগজপত্র পাইনি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাতের আঁধারে পুড়ল আটটি দোকান

তালা (সাতক্ষীরা)  প্রতিনিধি
অগ্নিকাণ্ডে আটটি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
অগ্নিকাণ্ডে আটটি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

সাতক্ষীরার তালা উপজেলার খলিলনগর ইউনিয়নের হাজরাকাটি বাজারে গতকাল বুধবার (২৯ অক্টোবর) দিবাগত গভীর রাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে আটটি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আগুনে মিষ্টির দোকান, চায়ের দোকান, বিচালির (খড়) দোকানসহ আটটি প্রতিষ্ঠানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রাত আনুমানিক ৩টার দিকে বাজারে আগুন লাগে। খবর পেয়ে তালা ও ডুমুরিয়া ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন। টিনের ছাউনি ও কাঠের বেড়ায় তৈরি দোকানগুলো মুহূর্তেই আগুনে পুড়ে যায়।

নৈশপ্রহরী কেরামত শেখ ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, ‘আমরা রাতে ডিউটি করছিলাম। উত্তর দিক থেকে কুকুর ডাকাডাকি করায় আমি সেদিকে যাই। ফিরে এসে দেখি সুরমানের (মিষ্টির দোকানদার) দোকানের পেছন থেকে আগুন জ্বলছে। চিৎকার দিলে লোকজন ছুটে আসে এবং ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়।’

অগ্নিকাণ্ডে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন মিষ্টির দোকানের মালিক সুরমান গাজী। তিনি বলেন, ‘আমার দোকানের সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। প্রায় আড়াই লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। আমি পথে বসে গেলাম।’

আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীপা রানী সরকার, তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাইনউদ্দিন এবং জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. মাহমুদুল হক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের খোঁজখবর নেন।

তালা থানার ওসি মো. মাইনউদ্দিন বলেন, সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত