Ajker Patrika

সাগর উপকূল থেকে আরও এক নাবিকের মরদেহ উদ্ধার

সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
সাগর উপকূল থেকে আরও এক নাবিকের মরদেহ উদ্ধার

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে একদিনের ব্যবধানে আবছার লাভলু (৩৮) নামে আরও এক নাবিকের মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌ-পুলিশ। আজ মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার জাহাজভাঙা কারখানা সংলগ্ন সাগর উপকূলীয় এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। 

লাভলু চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সৈকতে ডুবে যাওয়া এমভি টিটু-১৪ জাহাজের গিরিজার (ইঞ্জিন চালক) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার জোরালগঞ্জের দক্ষিণ ভূঁইয়ার গ্রাম এলাকার মৃত সুলতান আহম্মদের ছেলে। তাঁর দুই ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। 

নিহত লাভলুর ভাই আনোয়ার হোসেন বলেন, গত শনিবার পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত এলাকার বঙ্গোপসাগরের মোহনার (বন্দর আউটারে) আধা নটিক্যাল মাইল দূরে আবুল খায়ের গ্রুপের সিমেন্ট তৈরির কাঁচামাল বহনকারী এমভি টিটু-১৪ জাহাজটি নোঙর করে রাখা হয়। গভীর রাতে বালুবাহী একটি বাল্কহেড জাহাজটিকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর ১৩ জন নাবিকসহ জাহাজটি ডুবে যায়। এ সময় কোস্টগার্ডের সহায়তায় ৯ জন নাবিক নিরাপদে উপকূলীয় উঠতে পারলেও আমার ভাই লাভলুসহ ৪ জন নিখোঁজ হন। 

আনোয়ার হোসেন আরও বলেন, ঘটনার পর থেকে ভাইয়ের মরদেহ খুঁজে পেতে আমার মামাতো ভাই ফিরোজুল ইসলাম ও ভাইয়ের বড় ছেলে জিতুকে নিয়ে পতেঙ্গা সমুদ্র উপকূলে ঘুরেছি। আজ সকালে ভাইকে খুঁজতে সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারি ইউনিয়নের বঙ্গোপসাগরের উপকূলীয় এলাকায় আসি। এ সময় স্থানীয় জেলেদের সহায়তায় সাগর উপকূলীয় এলাকায় ভাসমান অবস্থায় ভাইয়ের মরদেহটি শনাক্ত করা হয়। পরবর্তীতে বিষয়টি কুমিরা নৌ-পুলিশ ফাঁড়িতে জানালে তারা গিয়ে দুপুরে মরদেহটি উদ্ধার করে। 

কুমিরা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. একরাম উল্ল্যাহ বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহত নাবিকের ভাই মরদেহটি আবছার লাভলু বলে শনাক্ত করেছেন। নাবিকের মরদেহটি উদ্ধার করে ফাঁড়িতে নিয়ে আসা হয়। আইনি প্রক্রিয়া শেষে সীতাকুণ্ড উপজেলা গাউছিয়া কমিটির সহায়তায় মরদেহের গোসল ও কাপড় পড়ানো পর স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। 

উল্লেখ্য, গতকাল সোমবার দুপুরে ভাটিয়ারি সাগর উপকূলীয় এলাকা থেকে হানিফ শেখ (২৫) নামে ডুবে যাওয়া জাহাজ এমভি টিটু-১৪ নাবিকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত