নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গা থানায় সন্তানকে (১২) ধর্ষণের দায়ে বাবাকে (৩৫) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁকে তিন লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এর বিচারক ফেরদৌস আরা এই রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির নাম মো. নাছির উদ্দিন মোল্লা।
এ বিষয়ে ওই ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট খন্দকার আরিফুল আলম জানান, আসামির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ রাষ্ট্রপক্ষ আদালতের সামনে যথাযথভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। এই কারণে আসামিকে সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হয়েছে।
রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি নাছির মোল্লাকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে সাজা পরোয়ানামূলে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।
আদালত থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, নাছির মোল্লা ঝালকাঠি জেলার কাঠালিয়া থানার পশ্চিম শৌলজালিয়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি নগরীর উত্তর পতেঙ্গা ডেবার পাড় হাউজিং কলোনি রোড মনছুরের ভাড়া ঘরে বসবাস করতেন।
মামলার এজাহার ও আদালতের আদেশ থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, ওই শিশুর মা নগরীর একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। ২০২১ সালে ২৫ মার্চ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত মায়ের অনুপস্থিতিতে ভুক্তভোগী শিশুকে আসামি নাছির মোল্লা একাধিকবার ধর্ষণ করেন।
এ ঘটনায় ২০২১ সালের ২৮ এপ্রিল নাছির মোল্লার বিরুদ্ধে পতেঙ্গা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করে ভিকটিম নিজে।
আলোচিত মামলাটির তদন্ত শেষে ওই বছরের ২৪ জুন তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পতেঙ্গা থানা-পুলিশ। আদালতে আসামির বিরুদ্ধে আটজন সাক্ষ্য দেওয়ার পর মামলার এ রায় ঘোষণা করা হয়।
এদিকে ওই ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী কফিল উদ্দিন জানান, ভিকটিমের মায়ের সঙ্গে আসামির নাছির মোল্লার ২০০৬ সালে প্রথম বিয়ে হয়। এরপর ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। ২০১৯ সালে ভুক্তভোগীর মায়ের সঙ্গে আসামির পুনরায় বিয়ে হয়। এ কারণে সাফাই সাক্ষ্যতে আসামি ভুক্তভোগীকে শিশুকে নিজের কন্যাসন্তান নয় বলে বারবার দাবি করছিলেন। পরে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ডিএনএ টেস্টে আসামি এবং ভুক্তভোগী বাবা-মেয়ে বলে প্রমাণিত হয়।
অন্যদিকে আদালতের রায়ের পর্যবেক্ষণে উল্লেখ করা হয়েছে, ১২ বছর বয়সী শিশু মোহাম্মদ নাছির মোল্লার ঔরসজাত কন্যা হওয়া সত্ত্বেও সজ্ঞানে সুস্থ মস্তিষ্কে তাকে ধর্ষণ করেন এবং ভুক্তভোগীকে নিজের কন্যা হিসেবে অস্বীকার করেন। বাবা দ্বারা ধর্ষণের ফলে শিশু ভুক্তভোগীর পৃথিবীর সব পুরুষের প্রতি ক্ষোভ এবং অবিশ্বাস সৃষ্টির শঙ্কা রয়েছে।
যার কারণে তার স্বাভাবিক জীবনযাপন ও মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হতে পারে। সর্বোপরি শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা পৃথিবীতে পিতা ও কন্যার সম্পর্ক পবিত্র এবং শাশ্বত। কন্যা তার বাবার কাছে সর্বাধিক নিরাপদ হিসেবে বিবেচিত হয়। আসামি তাঁর কন্যাকে ধর্ষণ করে শাশ্বত পবিত্র এই সম্পর্ককে কলুষিত করেছেন এবং পারিবারিক সম্পর্কের বন্ধন ও আস্থার বিশ্বাসে আঘাত করেছেন।
এ কারণে আসামিকে দৃষ্টান্তমূলক সাজা দেওয়া সমীচীন হবে বিবেচনায় তাঁকে মৃত্যুদণ্ড প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হলো।
চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গা থানায় সন্তানকে (১২) ধর্ষণের দায়ে বাবাকে (৩৫) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁকে তিন লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এর বিচারক ফেরদৌস আরা এই রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির নাম মো. নাছির উদ্দিন মোল্লা।
এ বিষয়ে ওই ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট খন্দকার আরিফুল আলম জানান, আসামির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ রাষ্ট্রপক্ষ আদালতের সামনে যথাযথভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। এই কারণে আসামিকে সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হয়েছে।
রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি নাছির মোল্লাকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে সাজা পরোয়ানামূলে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।
আদালত থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, নাছির মোল্লা ঝালকাঠি জেলার কাঠালিয়া থানার পশ্চিম শৌলজালিয়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি নগরীর উত্তর পতেঙ্গা ডেবার পাড় হাউজিং কলোনি রোড মনছুরের ভাড়া ঘরে বসবাস করতেন।
মামলার এজাহার ও আদালতের আদেশ থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, ওই শিশুর মা নগরীর একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। ২০২১ সালে ২৫ মার্চ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত মায়ের অনুপস্থিতিতে ভুক্তভোগী শিশুকে আসামি নাছির মোল্লা একাধিকবার ধর্ষণ করেন।
এ ঘটনায় ২০২১ সালের ২৮ এপ্রিল নাছির মোল্লার বিরুদ্ধে পতেঙ্গা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করে ভিকটিম নিজে।
আলোচিত মামলাটির তদন্ত শেষে ওই বছরের ২৪ জুন তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পতেঙ্গা থানা-পুলিশ। আদালতে আসামির বিরুদ্ধে আটজন সাক্ষ্য দেওয়ার পর মামলার এ রায় ঘোষণা করা হয়।
এদিকে ওই ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী কফিল উদ্দিন জানান, ভিকটিমের মায়ের সঙ্গে আসামির নাছির মোল্লার ২০০৬ সালে প্রথম বিয়ে হয়। এরপর ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। ২০১৯ সালে ভুক্তভোগীর মায়ের সঙ্গে আসামির পুনরায় বিয়ে হয়। এ কারণে সাফাই সাক্ষ্যতে আসামি ভুক্তভোগীকে শিশুকে নিজের কন্যাসন্তান নয় বলে বারবার দাবি করছিলেন। পরে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ডিএনএ টেস্টে আসামি এবং ভুক্তভোগী বাবা-মেয়ে বলে প্রমাণিত হয়।
অন্যদিকে আদালতের রায়ের পর্যবেক্ষণে উল্লেখ করা হয়েছে, ১২ বছর বয়সী শিশু মোহাম্মদ নাছির মোল্লার ঔরসজাত কন্যা হওয়া সত্ত্বেও সজ্ঞানে সুস্থ মস্তিষ্কে তাকে ধর্ষণ করেন এবং ভুক্তভোগীকে নিজের কন্যা হিসেবে অস্বীকার করেন। বাবা দ্বারা ধর্ষণের ফলে শিশু ভুক্তভোগীর পৃথিবীর সব পুরুষের প্রতি ক্ষোভ এবং অবিশ্বাস সৃষ্টির শঙ্কা রয়েছে।
যার কারণে তার স্বাভাবিক জীবনযাপন ও মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হতে পারে। সর্বোপরি শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা পৃথিবীতে পিতা ও কন্যার সম্পর্ক পবিত্র এবং শাশ্বত। কন্যা তার বাবার কাছে সর্বাধিক নিরাপদ হিসেবে বিবেচিত হয়। আসামি তাঁর কন্যাকে ধর্ষণ করে শাশ্বত পবিত্র এই সম্পর্ককে কলুষিত করেছেন এবং পারিবারিক সম্পর্কের বন্ধন ও আস্থার বিশ্বাসে আঘাত করেছেন।
এ কারণে আসামিকে দৃষ্টান্তমূলক সাজা দেওয়া সমীচীন হবে বিবেচনায় তাঁকে মৃত্যুদণ্ড প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হলো।
রাজধানীর বনানীতে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজকে (২৪) হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—আল কামাল শেখ ওরফে কামাল (১৯), আলভী হোসেন জুনায়েদ (১৯) ও আল আমিন সানি (১৯)। তাঁরা কেউই মামলার এজাহারনামীয় আসামি নন।
১৬ মিনিট আগেরাজধানীর বনানীতে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলামকে (২২) হত্যার ঘটনায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে গায়েবানা জানাজা ও সমাবেশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। গতকাল রোববার রাত ৯টার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে এ কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা।
১ ঘণ্টা আগেটাঙ্গাইলের সখীপুরে হারুন মিয়া (৪৫) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে টাঙ্গাইল জেলা গোয়েন্দা শাখা ডিবি (দক্ষিণ) পুলিশ। এ সময় তাঁর কাছ থেকে ১০ হাজার ইয়াবা জব্দ করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে‘এগ্রি ব্লকেড’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) মূল গেট বন্ধ করে দিয়েছেন কৃষি ডিপ্লোমার শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার সকাল ১০টা থেকে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা কয়েকশ শিক্ষার্থী এই আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন। এতে ডিএই–এর অনেক কর্মকর্তা অফিসে ঢুকতে পারেননি।
১ ঘণ্টা আগে