Ajker Patrika

মামলা করায় সাংবাদিকের ওপর ফের হামলার অভিযোগ

রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
মামলা করায় সাংবাদিকের ওপর ফের হামলার অভিযোগ

পূর্বের হামলার ঘটনায় মামলা করায় জাহেদুল ইসলাম আরিফ নামের এক সাংবাদিকের ওপর ফের হামলা চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পোমরা ইউনিয়নের সৌদিয়া প্রজেক্ট গেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

জাহেদুল ইসলাম আরিফ (২২) দৈনিক আজকের দর্পণ ও চট্টগ্রামভিত্তিক অনলাইন সংবাদমাধ্যম মহানগর নিউজের রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত। মামলার প্রধান আসামি মো. রাশেদ (৩৫) পোমরা ইউনিয়নের রোসাইপাড়া এলাকার হাফিজুর রহমানের ছেলে। 

জাহেদুল ইসলাম জানান, রাশেদ ও তাঁর সহযোগীরা এলাকার বিভিন্ন বাড়িতে গিয়ে চাঁদাবাজি করে এমন তথ্য পেয়ে তিনি সংবাদ সংগ্রহে মাঠে নামেন। এ কারণে, তাঁর ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে গত ২৫ এপ্রিল বিকেলে পোমরা বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে তাকে মারধর করেন মো. রাশেদ ও তাঁর সহযোগীরা। বিষয়টি তিনি রাঙ্গুনিয়া প্রেস ক্লাব নেতৃবৃন্দ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতাকে জানালে তাঁরা মামলার পরামর্শ দেন। পরে সেদিনই রাশেদকে প্রধান আসামি করে তাঁর সহযোগী আরও ৫ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করেন দায়ের করেন জাহেদুল ইসলাম। বাকি আসামিরা হলেন—একই এলাকার বাসিন্দা রানা (৩০), সফিক (৩৪), দিদার (২৬), জাহেদুল (২৯) ও ফাহিম (২৩)। 

জাহেদুল ইসলাম বলেন, ‘মামলার দুই দিন পর থানা-পুলিশ শুধু ৩ নম্বর আসামিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। শুনেছি, অন্য আসামিরা আদালত থেকে জামিন নিয়েছে। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে পোমরা ইউনিয়নের সৌদিয়া প্রজেক্ট গেট এলাকায় আমাকে ও আমার বড়ভাইকে ফের মারধর করে রাশেদ ও তাঁর সহযোগীরা। পরে ঘটনাস্থলে সংবাদকর্মী জাহেদ হাসান তালুকদার আসলে তাঁরা পালিয়ে যায়।’ 

রাঙ্গুনিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) খান নুরুল ইসলাম বলেন, ‘আজকের ঘটনার বিষয়ে ভুক্তভোগী থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিচারের মধ্য দিয়ে আ.লীগ সঠিক পথে ফিরে আসুক: মঞ্জু

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
ঝিনাইদহে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় মঞ্জু। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঝিনাইদহে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় মঞ্জু। ছবি: আজকের পত্রিকা

এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেছেন, ‘আমরা চাই বিচারের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ তাদের ভুল বুঝে সঠিক পথে ফিরে আসুক। জাতীয় পার্টি তাঁদের অন্যায়ভাবে সহযোগিতা করেছে, উপলব্ধি করুক তারা। জাতির কাছে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাক।’

আজ শুক্রবার ঝিনাইদহ শহরের একটি রেস্টুরেন্টে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘যারা অতীতে বিভেদের রাজনীতি করেছেন, বিভেদ বাদ দিয়ে তাঁরা মানুষের কল্যাণের জন্য রাজনীতিতে আসুন। আর কত ঝগড়া করব আমরা, আর কত লাশ ঝরাব, আর কত ক্যাম্পাস রক্তাক্ত হবে।’

এবি পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘শেখ হাসিনা ২০১৪ সালে আপনারা দেখেছেন একপক্ষীয় নির্বাচন করে ১৫৩টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সরকার কায়েম করে একধরনের নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। আমরা আর নির্বাচনের কক্ষে ফিরে যেতে পারিনি। ’২৪-এর গণ-অভ্যুত্থান প্রমাণ করেছে জোর করে ক্ষমতায় থাকা যায় না। একদিন না একদিন তার করুণ পরিণতি ভোগ করতে হয়।’

তিনি বলেন, ‘এখন একটা অন্তর্বর্তী সরকার আছে। আমাদের অনেক আশা ছিল। গণ-অভ্যুত্থানের পর রাষ্ট্রকে সুন্দর করে গুছিয়ে দেশকে একটা স্থিতিশীল পরিস্থিতিতে নেওয়ার পাশাপাশি দোষীদের বিচার, আহত ও নিহত ব্যক্তিদের পুনর্বাসনের দাবি করেছি। সংস্কারের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্র সুন্দর একটা নির্বাচনের দিকে যাবে, এটিই ছিল আমাদের প্রত্যাশা। কিন্তু আমরা দেখলাম নানা ধরনের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির কারণে আমাদের মধ্যে আজ শঙ্কা দেখা দিয়েছে। নির্বাচন আদৌ সুষ্ঠুভাবে হবে কি না? আমরা দেখছি তিনটি রাজনৈতিক দলকে সরকার খুশি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তাদের চাপে সরকার দিশেহারা হয়ে পড়ছে। অথচ অতীতের তত্ত্বাবধায়ক সরকারগুলো এমন ছিল যে, তাদের চাপে রাজনৈতিক দলগুলো দিশেহারা হয়ে পড়ত।’

মতবিনিময় সভায় এবি পার্টির চেয়ারম্যান ঝিনাইদহের ৩টি আসনে দলের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন। সাংবাদিকদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়ে তাঁদের সহযোগিতার আহ্বান জানান। প্রার্থীরা হলেন ঝিনাইদহ-১ আসনে অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান, ঝিনাইদহ-২ আসনের যুব ইউনিটের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক হাদিউজ্জামান খোকন ও ঝিনাইদহ-৩ আসনের মুফতি মুজাহিদুল ইসলাম।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পরপর দুই যানবাহনে ধাক্কা, কিশোর-তরুণ নিহত

চৌগাছা প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

যশোরের চৌগাছা উপজেলায় মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই কিশোর-তরুণ নিহত হয়েছে। মোটরসাইকেলটি প্রথমে একটি মোটরসাইকেলে, পরে একটি বালুভর্তি ট্রলিতে ধাক্কা দেয়। এ সময় ছিটকে পড়ে দুজনেই প্রাণ হারায়।

আজ শুক্রবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে চৌগাছা-ঝিকরগাছা সড়কের ভাদড়া যাত্রীছাউনির কাছে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মোটরসাইকেল আরোহীরা হলো আশরাফুল ইসলাম (২১) ও ইমন হোসেন (১৬)। আশরাফুল উপজেলার পাশাপোল ইউনিয়নের কালিয়াকুন্ডি গ্রামের তরিকুল ইসলামের ছেলে এবং ইমন একই গ্রামের ইন্তাজ আলীর ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হেলমেট ছাড়াই বেপরোয়াভাবে মোটরসাইকেল চালাচ্ছিল এক তরুণ। তাঁর পেছনে এক কিশোর বসা ছিল। মোটরসাইকেলটির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রথমে একটি মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেয়। পরে সেখানে থাকা বালুভর্তি ট্রলিতে ধাক্কায় দিয়ে দুজনেই ছিটকে পড়ে মারা যায়। খবর পেয়ে দশপাকিয়া ফাঁড়ির পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিসের চৌগাছা সাবস্টেশনের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে নিহত দুজনের লাশ উদ্ধার করে।

চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঘরের সামনে পড়ে ছিল যুবকের লাশ, পরিবারের দাবি হত্যাকাণ্ড

সখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি 
মেহেদি হাসান। ছবি: সংগৃহীত
মেহেদি হাসান। ছবি: সংগৃহীত

টাঙ্গাইলের সখীপুরে নিজ ঘরের সামনে মেহেদি হাসান (২০) নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার উপজেলার রতনপুর খন্দকারপাড়া এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। পরিবারের দাবি, প্রেমসংক্রান্ত কারণে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন মেহেদি।

মেদেহি রতনপুর খন্দকারপাড়া এলাকার আব্দুল বারেকের ছেলে।

পুলিশ ও মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, এক তরুণীর সঙ্গে মেহেদির প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মাসখানেক আগে দুজন বাড়ি থেকে পালিয়েও গিয়েছিলেন। পরে তাঁরা ফিরে এলে সালিসি বৈঠকের মাধ্যমে দুজনের বিচ্ছেদ করিয়ে দেওয়া হয়। এ নিয়ে তরুণীর পরিবার মেহেদির ওপর ক্ষুব্ধ ছিল। তিন দিন আগে ওই তরুণীর বাবা ও ভাই লাঠিসোঁটা নিয়ে বাড়িতে এসে মেহেদিকে হুমকি দিয়ে যান। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে নিজের থাকার ঘরের সামনে মেহেদির উপুড় হয়ে পড়ে থাকা লাশ দেখতে পান স্বজনেরা।

মেহেদির বাবা আব্দুল বারেক বলেন, ‘ছেলের প্রেমের বিষয়টি সামাজিকভাবে মীমাংসা করা হয়েছিল। এরপরও ওই তরুণীর বাবা বারবার হুমকি দিচ্ছিল। ওরাই আমার ছেলেটাকে গলা টিপে হত্যা করে ঘরের সামনে ফেলে রেখে গেছে। আমরা এর তদন্ত সাপেক্ষে বিচার চাই। লাশ দাফনের পর এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দেওয়া হবে।’

এ বিষয়ে সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম ভূঞা আজকের পত্রিকাকে বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পেলে কীভাবে মৃত্যু হয়েছে, তা স্পষ্ট হয়ে যাবে। নিহত যুবকের পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ অভিযোগ দিলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিয়ের জন্য মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টা ২২ রোহিঙ্গা তরুণীর, স্বজনসহ উদ্ধার

 টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
টেকনাফের পাহাড়ি এলাকা থেকে নারী-পুরুষ, শিশুসহ ৪৪ জনকে উদ্ধার। ছবি: সংগৃহীত
টেকনাফের পাহাড়ি এলাকা থেকে নারী-পুরুষ, শিশুসহ ৪৪ জনকে উদ্ধার। ছবি: সংগৃহীত

‘মোবাইলে মালয়েশিয়ার এক ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক হয়, তাই বিয়ের জন্য আমরা সেখানে যাচ্ছিলাম।’ এমন কথা জানান টেকনাফের পাহাড়ি এলাকা থেকে উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গা তরুণী।

গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে আজ শুক্রবার সকাল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে কক্সবাজারের টেকনাফ উপকূলের পাহাড়ি এলাকা থেকে রোহিঙ্গা নারী, পুরুষ, শিশুসহ ৪৪ জনকে উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড। এর মধ্যে ২২ জন নারী অবিবাহিত। ওইসব নারী জানান, তাঁরা বিয়ের উদ্দেশ্যে সাগরপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হন।

আজ বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে টেকনাফ কোস্ট গার্ড স্টেশন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সালাউদ্দিন রশিদ তানভীর এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, সাগরপথে মালয়েশিয়া পাচারের উদ্দেশ্যে বিপুলসংখ্যক নারী ও শিশুকে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের পিনিস ভাঙা পাহাড়ি এলাকায় জড়ো করে রাখা হয়েছে।

গতকাল রাত থেকে আজ সকাল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ৪৪ জনকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ২৭ জন নারী, ১২টি শিশু, দুজন রোহিঙ্গা পুরুষ ও তিনজন স্থানীয় বাংলাদেশি নাগরিক ছিলেন। এর মধ্যে ২২ জন নারী অবিবাহিত।

জানতে চাইলে আসমিদা (১৭) নামের এক রোহিঙ্গা তরুণী বলেন, ‘আমার শুধু মা আছে, বাবা নেই। মালয়েশিয়ায় আমাদের আত্মীয়স্বজন আছে। তাদের মাধ্যমে মোবাইলে এক ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক হয়, তাই বিয়ের জন্য আমরা সেখানে যাচ্ছিলাম।’

কোস্ট গার্ড সূত্র জানায়, সংঘবদ্ধ মানব পাচার চক্র বিদেশে উচ্চ বেতনের চাকরি, উন্নত জীবনের প্রলোভন ও বিনা খরচে বিদেশ পাঠানোর আশ্বাস দিয়ে বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা নাগরিকদের পাহাড়ে এনে জিম্মি করে রাখে। পরে তাদের নির্যাতনের মাধ্যমে মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টা করে এবং সুযোগ বুঝে নৌপথে মালয়েশিয়া পাঠানোর পরিকল্পনা ছিল পাচারকারীদের।

অভিযান টের পেয়ে পাচারকারীরা পালিয়ে যায়। ফলে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। পাচারকারীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে কোস্ট গার্ডের গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত