Ajker Patrika

প্রবাসী খুন: মামলা করায় ঘরে তালা, পুড়িয়ে ফেলার হুমকি 

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
প্রবাসী খুন: মামলা করায় ঘরে তালা, পুড়িয়ে ফেলার হুমকি 

চট্টগ্রামে মাসখানেক আগে বাবা-মায়ের কবর জিয়ারত করতে এসে মারধরের শিকার হন প্রবাসী আবু মুছা (৪৫)। পরে তার মৃত্যু হলে পরিবারের সদস্যরা আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর নিহতের পরিবারের সদস্যদের ঘর থেকে বের করে দিয়ে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। 

ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, স্থানীয়ভাবে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত প্রভাবশালীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। তালা ঝুলানোর পর পরিবারের সদস্যরা এখন এলাকা ছেড়ে ভিন্ন জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন। 

গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টায় চট্টগ্রামের রাউজান পৌরসভার ঢেউয়া হাজীপাড়া এলাকায় নিহত মুছার পৈত্রিক বাড়িতে তালা মারার ঘটনা ঘটে। 

আজ শনিবার বিকেলে সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সেখানে প্রধান ফটকসহ মোট পাঁচটি দরজায় এখনো তালা ঝুলছে। 

এর আগে ১৭ বছর পর দেশে ফিরে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি নিজের বাবা-মায়ের কবর জিয়ারত করতে রাউজানে গ্রামের বাড়ি যান প্রবাসী আবু মুছা। এ সময় আওয়ামী লীগ সমর্থক লোকজন তাঁকে বেধড়ক মারধর করে। তাতে তাঁর মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ পরিবারের। নিহত প্রবাসী মুছা এক সময় এলাকায় বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। 

ভাইকে হত্যার অভিযোগ এনে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের আসামি করে গত ১৩ মার্চ আদালতে মামলা করেন নিহতের ছোট ভাই মনিরুজ্জামান সোহেল। 

বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ইউসুফ আজকের পত্রিকাকে বলেন ‘আদালত এই মামলাটি আমলে নিয়ে উক্ত তারিখ এবং সময়ে রাউজান থানায় এই সংক্রান্ত কোনো নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে কিনা সেটি লোকাল থানা পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।’ 

দণ্ডবিধির ১৪৩/১৪৭/৩৪১/৩০২/১০৯/৩৪ ধারায় রাউজান উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শাহাজাহান ইকবালসহ (৪৫) ১৪ জনকে এই মামলায় আসামি করা হয়েছে। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই মামলার পর নিহতের পরিবারের বাকী সদস্যদের ওপর খড়গ নেমে আসে। 

নিহত মুছারা ৯ ভাই। এদের মধ্যে মুছা ছিলেন পাঁচ নম্বর। বাকী ভাইয়েরা কেউ কেউ পরিবার নিয়ে ওই পৈত্রিক বাড়িতে থাকতেন। এরমধ্যে ওই বাড়িতে থাকা মনিরুজ্জামান সোহেল আদালতে করা মামলার বাদী। 

নিহতের পরিবারের অভিযোগ, গতকাল শুক্রবার সকালে স্থানীয় আওয়ামী লীগ রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ৩০-৪০ জনের একটি দল মুছার পৈত্রিক বাড়িতে আসে। সেখানে পরিবারের পুরুষ সদস্যদের খুঁজতে থাকে। পরে না পেয়ে দরজায় তালা মেরে দিয়ে যায়। এ সময় ভেতরে পরিবারের নারীরা আটকে ছিলেন। অভিযুক্তরা মামলা তুলে না নিলে ঘর পুড়িয়ে ফেলার হুমকি দেয়। 

এরপর থেকে ওই বাড়িতে শনিবার এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এখনো তালা ঝুলছে। 
এই মামলার বাদীর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। 

তবে নিহত মুছার শ্বশুর নুরুল আজগর শনিবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার জামাইকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে মারার ঘটনায় থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। বাধ্য হয়ে চট্টগ্রাম কোর্টে আমরা মামলা করি। মামলার খবর জানার পর শাহজাহান ইকবালের লোকজন বাড়িতে এসে হুমকি দেওয়ার পর দরজায় তালা মেরে দেন। পরে বাড়ির মেইন গেইটেও তালা লাগিয়ে দেয়।অভিযুক্তরা মামলা তুলে না নিলে ঘর পুড়িয়ে ফেলার হুমকি দেয়।’ 

আমরা পুলিশকে জানিয়েছিলাম, পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে উল্টো আমাদের তালাগুলো খুলতে বলে। এটা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বাকবিতন্ডা হয়। পুলিশ তালা খুলেনি। আমরাও তালা খুলিনি। ওই অবস্থায় পরে জানালা ভেঙ্গে বাড়ির সদস্যদের বাইরে বের করে নিয়ে আসা হয়। এ সব বাড়ির ভেতরে পরিবারের মহিলা সদস্যরা ছিলেন। 

নুরুল আজগর বলেন, পুরোনো বাড়িটিতে মামলার বাদীসহ তাঁদের আরও কয়েক ভাই পরিবার নিয়ে থাকতো। তাঁদের এখন কেউ কেউ শ্বশুর বাড়িতে চলে গেছে। মুছার বড় ভাই পাশ্ববর্তী উপজেলার হাটহাজারী সদরে একটি ভাড়া বাসা ঠিক করে দিয়েছি। রাউজানের ওই বাড়িতে এখন কেউ নেই। 

ঘরে তালাঅভিযোগের বিষয়ে রাউজান উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শাহজাহান ইকবাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সেখানে আমার নেতৃত্বে লোকজন গিয়ে তালা মেরেছে এই ধরণের কোনো প্রমাণ তাঁরা দেখাতে পারবে না। এটা শতভাগ মিথ্যা। আমার এমন কোনো লোকজনও নেই। আমি রাজনীতির সঙ্গে তেমন সম্পৃক্ত না। আমি একজন ব্যবসায়ী। শুক্রবার এমপি মহোদয়ের সঙ্গে আমি সারাদিন চট্টগ্রাম শহরে ছিলাম।’ 

এই বিষয়ে জানতে রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদ হাসানের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। 

তবে একই থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘ঘটনার সময় আমি থানায় ছিলাম না। সাক্ষি দিতে চট্টগ্রাম আদালতে গিয়েছিলাম। তাই আমি এই বিষয়ে বিস্তারিত বলতে পারছি না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বামপন্থীদের ‘মেরে ঠ্যাং ভেঙে’ দিতে চান ডাকসু নেতা সর্বমিত্র, অভিযোগ ঢাবি শিক্ষার্থীর

দেশি ব্যবসায়ীদের চেয়ে বিদেশিদের কথা শুনতে সরকার বেশি পছন্দ করে

পাকিস্তানি জেনারেলকে ‘ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলযুক্ত বাংলাদেশের পতাকা উপহারে’র দাবি নিয়ে যা বলল সিএ ফ্যাক্ট চেক

সংঘর্ষের পর সিটি ও ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি বন্ধ, পাল্টাপাল্টি দোষারোপ

পাইলটকে প্রলুব্ধ করে মাদুরোকে ধরার মার্কিন গুপ্ত অভিযান ফাঁস

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে যুবককে সাজা, ভেকু মেশিন জব্দ

ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি  
অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালায় উপজেলা প্রশাসন। ছবি: আজকের পত্রিকা
অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালায় উপজেলা প্রশাসন। ছবি: আজকের পত্রিকা

ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে মো. হৃদয় আহমেদ (২৬) নামের এক যুবককে অর্থদণ্ড ও কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় বালু তোলার কাজে ব্যবহৃত একটি এক্সকাভেটর (ভেকু মেশিন) জব্দ করা হয়।

গতকাল মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত উপজেলার কানিহারী ইউনিয়নের জিলকী বটতলা এলাকায় উপজেলা প্রশাসন এই অভিযান চালায়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন ত্রিশাল উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুর রহমান।

সাজাপ্রাপ্ত হৃদয় জিলকী বটতলা এলাকার মো. হেলাল উদ্দিনের ছেলে। ভ্রাম্যমাণ আদালত তাঁকে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ অনুযায়ী ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড এবং সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন।

এসি ল্যান্ড মাহবুবুর রহমান বলেন, জনস্বার্থে এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে, যাতে পরিবেশ ও নদী রক্ষা করা যায় এবং অবৈধ বালু উত্তোলন সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বামপন্থীদের ‘মেরে ঠ্যাং ভেঙে’ দিতে চান ডাকসু নেতা সর্বমিত্র, অভিযোগ ঢাবি শিক্ষার্থীর

দেশি ব্যবসায়ীদের চেয়ে বিদেশিদের কথা শুনতে সরকার বেশি পছন্দ করে

পাকিস্তানি জেনারেলকে ‘ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলযুক্ত বাংলাদেশের পতাকা উপহারে’র দাবি নিয়ে যা বলল সিএ ফ্যাক্ট চেক

সংঘর্ষের পর সিটি ও ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি বন্ধ, পাল্টাপাল্টি দোষারোপ

পাইলটকে প্রলুব্ধ করে মাদুরোকে ধরার মার্কিন গুপ্ত অভিযান ফাঁস

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গোপনে সহপাঠীদের অপ্রীতিকর ছবি তুলে সিনিয়র ভাইকে পাঠাতেন বাকৃবি ছাত্রী

বাকৃবি প্রতিনিধি 
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) এক ছাত্রীর বিরুদ্ধে গোপনে নারী সহপাঠীদের ছবি তুলে এক সিনিয়র ছাত্রের কাছে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে।

গতকাল মঙ্গলবার ওই ছাত্রীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে ডিনের সঙ্গে বৈঠক করেন অভিযোগকারীরা।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত ছাত্রী বাকৃবি থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। তিনি তাঁর নারী সহপাঠীদের ঘুমন্ত বা ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি গোপনে মোবাইল ফোনে তুলতেন। তাঁর কাছ থেকে যিনি ছবিগুলো গ্রহণ করতেন, তিনি ওই ছাত্রী যে বিভাগে পড়েন, সেই বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র এবং বর্তমানে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে লেকচারার হিসেবে কর্মরত।

ওই ছাত্রী অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছেন ডিন অধ্যাপক ড. মো. আবদুল মজিদ। তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা অভিযোগ নিয়ে আমার কাছে আসে। আমরা অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর মোবাইল ফোন পরীক্ষা করে ছবি আদান-প্রদানের প্রমাণ পাই। জিজ্ঞাসাবাদের সময় তিনি স্বীকার করেন যে তিনি মেয়েদের বিভিন্ন ছবি তুলতেন এবং তা এক সিনিয়র ভাইয়ের কাছে পাঠাতেন।’ তিনি আরও বলেন, বর্তমানে মোবাইলটি সিলগালা অবস্থায় ডিন অফিসে সংরক্ষিত রয়েছে। বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ ও নিরোধ কমিটির কাছে হস্তান্তর করা হবে।

অভিযুক্ত সিনিয়র শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমি মেয়েটির সঙ্গে দীর্ঘদিন কথা বলেছি। সে যেসব ছবি পাঠিয়েছে, আমি তা সংরক্ষণ করিনি। আমার কোনো খারাপ উদ্দেশ্য ছিল না; তবে আমি আমার কাজের জন্য অনুতপ্ত। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যা সিদ্ধান্ত নেবে, আমি তা মেনে নেব।’

অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর সহপাঠীদের ভাষ্য, ইন্টার্নশিপ চলাকালে ওই ছাত্রীর সন্দেহজনক আচরণ লক্ষ করে তাঁরা তাঁকে নজরদারিতে রাখেন। পরে নিশ্চিত হন যে ওই ছাত্রী মেয়েদের ঘুমন্ত বা অপ্রস্তুত অবস্থার ছবি তুলতেন। বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ার পর তাঁরা বিভাগীয় শিক্ষকদের অবহিত করেন এবং কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বামপন্থীদের ‘মেরে ঠ্যাং ভেঙে’ দিতে চান ডাকসু নেতা সর্বমিত্র, অভিযোগ ঢাবি শিক্ষার্থীর

দেশি ব্যবসায়ীদের চেয়ে বিদেশিদের কথা শুনতে সরকার বেশি পছন্দ করে

পাকিস্তানি জেনারেলকে ‘ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলযুক্ত বাংলাদেশের পতাকা উপহারে’র দাবি নিয়ে যা বলল সিএ ফ্যাক্ট চেক

সংঘর্ষের পর সিটি ও ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি বন্ধ, পাল্টাপাল্টি দোষারোপ

পাইলটকে প্রলুব্ধ করে মাদুরোকে ধরার মার্কিন গুপ্ত অভিযান ফাঁস

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাজশাহীতে কিশোরীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজশাহীতে মাসুদা পারভিন ওরফে ইভা (১৭) নামের এক কিশোরীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নগরের মতিহার থানার মৌলভী বুধপাড়া এলাকার একটি আমবাগান থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। তার স্বামী মো. দুর্জয়ের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।

মৃত ইভা নগরের মেহেরচণ্ডী এলাকার ইকবাল হোসেনের মেয়ে। তার স্বামী দুর্জয়ের বাড়ি রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার কানপাড়া গ্রামে। রাজশাহী নগরের দায়রাপাক এলাকায় এই দম্পতি ভাড়া থাকতেন। ইভা তিন দিন ধরে নিখোঁজ ছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে।

মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মালেক জানান, দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা আমবাগানে লাশটি দেখতে পান। ইভার মাথায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ওসি বলেন, ইভার স্বামী দুর্জয়ের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি পলাতক। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তাঁর সম্পৃক্ততা থাকতে পারে। বিষয়টির তদন্ত চলছে। এ নিয়ে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বামপন্থীদের ‘মেরে ঠ্যাং ভেঙে’ দিতে চান ডাকসু নেতা সর্বমিত্র, অভিযোগ ঢাবি শিক্ষার্থীর

দেশি ব্যবসায়ীদের চেয়ে বিদেশিদের কথা শুনতে সরকার বেশি পছন্দ করে

পাকিস্তানি জেনারেলকে ‘ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলযুক্ত বাংলাদেশের পতাকা উপহারে’র দাবি নিয়ে যা বলল সিএ ফ্যাক্ট চেক

সংঘর্ষের পর সিটি ও ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি বন্ধ, পাল্টাপাল্টি দোষারোপ

পাইলটকে প্রলুব্ধ করে মাদুরোকে ধরার মার্কিন গুপ্ত অভিযান ফাঁস

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শিশুদের ঝগড়াকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষ, অর্ধশতাধিক আহত

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি   
উপজেলার মধ্যবাজার এলাকায় সংঘর্ষে জড়ায় দুই গ্রামের বাসিন্দারা। ছবি: আজকের পত্রিকা
উপজেলার মধ্যবাজার এলাকায় সংঘর্ষে জড়ায় দুই গ্রামের বাসিন্দারা। ছবি: আজকের পত্রিকা

হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলায় দুই শিশুর ঝগড়াকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত উপজেলার মধ্যবাজার এলাকায় এই সংঘর্ষ চলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বড়ইউড়ি ও বাহুবল গ্রামের দুই শিশুর মধ্যে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে ঝগড়াকে ঘিরে বিকেল থেকে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। সন্ধ্যার পর উভয় গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মধ্যবাজার এলাকায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হন। গুরুতর আহত কয়েকজনকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল, বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্য ব্যক্তিদের স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

খবর পেয়ে রাত ১০টার দিকে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ দল ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

বাহুবল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরে রাত ১০টার দিকে সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে পুলিশ প্রশাসন ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে সালিস বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বামপন্থীদের ‘মেরে ঠ্যাং ভেঙে’ দিতে চান ডাকসু নেতা সর্বমিত্র, অভিযোগ ঢাবি শিক্ষার্থীর

দেশি ব্যবসায়ীদের চেয়ে বিদেশিদের কথা শুনতে সরকার বেশি পছন্দ করে

পাকিস্তানি জেনারেলকে ‘ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলযুক্ত বাংলাদেশের পতাকা উপহারে’র দাবি নিয়ে যা বলল সিএ ফ্যাক্ট চেক

সংঘর্ষের পর সিটি ও ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি বন্ধ, পাল্টাপাল্টি দোষারোপ

পাইলটকে প্রলুব্ধ করে মাদুরোকে ধরার মার্কিন গুপ্ত অভিযান ফাঁস

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত