নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে মাসখানেক আগে বাবা-মায়ের কবর জিয়ারত করতে এসে মারধরের শিকার হন প্রবাসী আবু মুছা (৪৫)। পরে তার মৃত্যু হলে পরিবারের সদস্যরা আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর নিহতের পরিবারের সদস্যদের ঘর থেকে বের করে দিয়ে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, স্থানীয়ভাবে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত প্রভাবশালীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। তালা ঝুলানোর পর পরিবারের সদস্যরা এখন এলাকা ছেড়ে ভিন্ন জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন।
গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টায় চট্টগ্রামের রাউজান পৌরসভার ঢেউয়া হাজীপাড়া এলাকায় নিহত মুছার পৈত্রিক বাড়িতে তালা মারার ঘটনা ঘটে।
আজ শনিবার বিকেলে সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সেখানে প্রধান ফটকসহ মোট পাঁচটি দরজায় এখনো তালা ঝুলছে।
এর আগে ১৭ বছর পর দেশে ফিরে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি নিজের বাবা-মায়ের কবর জিয়ারত করতে রাউজানে গ্রামের বাড়ি যান প্রবাসী আবু মুছা। এ সময় আওয়ামী লীগ সমর্থক লোকজন তাঁকে বেধড়ক মারধর করে। তাতে তাঁর মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ পরিবারের। নিহত প্রবাসী মুছা এক সময় এলাকায় বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন।
ভাইকে হত্যার অভিযোগ এনে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের আসামি করে গত ১৩ মার্চ আদালতে মামলা করেন নিহতের ছোট ভাই মনিরুজ্জামান সোহেল।
বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ইউসুফ আজকের পত্রিকাকে বলেন ‘আদালত এই মামলাটি আমলে নিয়ে উক্ত তারিখ এবং সময়ে রাউজান থানায় এই সংক্রান্ত কোনো নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে কিনা সেটি লোকাল থানা পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।’
দণ্ডবিধির ১৪৩/১৪৭/৩৪১/৩০২/১০৯/৩৪ ধারায় রাউজান উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শাহাজাহান ইকবালসহ (৪৫) ১৪ জনকে এই মামলায় আসামি করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই মামলার পর নিহতের পরিবারের বাকী সদস্যদের ওপর খড়গ নেমে আসে।
নিহত মুছারা ৯ ভাই। এদের মধ্যে মুছা ছিলেন পাঁচ নম্বর। বাকী ভাইয়েরা কেউ কেউ পরিবার নিয়ে ওই পৈত্রিক বাড়িতে থাকতেন। এরমধ্যে ওই বাড়িতে থাকা মনিরুজ্জামান সোহেল আদালতে করা মামলার বাদী।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ, গতকাল শুক্রবার সকালে স্থানীয় আওয়ামী লীগ রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ৩০-৪০ জনের একটি দল মুছার পৈত্রিক বাড়িতে আসে। সেখানে পরিবারের পুরুষ সদস্যদের খুঁজতে থাকে। পরে না পেয়ে দরজায় তালা মেরে দিয়ে যায়। এ সময় ভেতরে পরিবারের নারীরা আটকে ছিলেন। অভিযুক্তরা মামলা তুলে না নিলে ঘর পুড়িয়ে ফেলার হুমকি দেয়।
এরপর থেকে ওই বাড়িতে শনিবার এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এখনো তালা ঝুলছে।
এই মামলার বাদীর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
তবে নিহত মুছার শ্বশুর নুরুল আজগর শনিবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার জামাইকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে মারার ঘটনায় থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। বাধ্য হয়ে চট্টগ্রাম কোর্টে আমরা মামলা করি। মামলার খবর জানার পর শাহজাহান ইকবালের লোকজন বাড়িতে এসে হুমকি দেওয়ার পর দরজায় তালা মেরে দেন। পরে বাড়ির মেইন গেইটেও তালা লাগিয়ে দেয়।অভিযুক্তরা মামলা তুলে না নিলে ঘর পুড়িয়ে ফেলার হুমকি দেয়।’
আমরা পুলিশকে জানিয়েছিলাম, পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে উল্টো আমাদের তালাগুলো খুলতে বলে। এটা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বাকবিতন্ডা হয়। পুলিশ তালা খুলেনি। আমরাও তালা খুলিনি। ওই অবস্থায় পরে জানালা ভেঙ্গে বাড়ির সদস্যদের বাইরে বের করে নিয়ে আসা হয়। এ সব বাড়ির ভেতরে পরিবারের মহিলা সদস্যরা ছিলেন।
নুরুল আজগর বলেন, পুরোনো বাড়িটিতে মামলার বাদীসহ তাঁদের আরও কয়েক ভাই পরিবার নিয়ে থাকতো। তাঁদের এখন কেউ কেউ শ্বশুর বাড়িতে চলে গেছে। মুছার বড় ভাই পাশ্ববর্তী উপজেলার হাটহাজারী সদরে একটি ভাড়া বাসা ঠিক করে দিয়েছি। রাউজানের ওই বাড়িতে এখন কেউ নেই।
অভিযোগের বিষয়ে রাউজান উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শাহজাহান ইকবাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সেখানে আমার নেতৃত্বে লোকজন গিয়ে তালা মেরেছে এই ধরণের কোনো প্রমাণ তাঁরা দেখাতে পারবে না। এটা শতভাগ মিথ্যা। আমার এমন কোনো লোকজনও নেই। আমি রাজনীতির সঙ্গে তেমন সম্পৃক্ত না। আমি একজন ব্যবসায়ী। শুক্রবার এমপি মহোদয়ের সঙ্গে আমি সারাদিন চট্টগ্রাম শহরে ছিলাম।’
এই বিষয়ে জানতে রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদ হাসানের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
তবে একই থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘ঘটনার সময় আমি থানায় ছিলাম না। সাক্ষি দিতে চট্টগ্রাম আদালতে গিয়েছিলাম। তাই আমি এই বিষয়ে বিস্তারিত বলতে পারছি না।’
চট্টগ্রামে মাসখানেক আগে বাবা-মায়ের কবর জিয়ারত করতে এসে মারধরের শিকার হন প্রবাসী আবু মুছা (৪৫)। পরে তার মৃত্যু হলে পরিবারের সদস্যরা আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর নিহতের পরিবারের সদস্যদের ঘর থেকে বের করে দিয়ে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, স্থানীয়ভাবে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত প্রভাবশালীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। তালা ঝুলানোর পর পরিবারের সদস্যরা এখন এলাকা ছেড়ে ভিন্ন জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন।
গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টায় চট্টগ্রামের রাউজান পৌরসভার ঢেউয়া হাজীপাড়া এলাকায় নিহত মুছার পৈত্রিক বাড়িতে তালা মারার ঘটনা ঘটে।
আজ শনিবার বিকেলে সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সেখানে প্রধান ফটকসহ মোট পাঁচটি দরজায় এখনো তালা ঝুলছে।
এর আগে ১৭ বছর পর দেশে ফিরে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি নিজের বাবা-মায়ের কবর জিয়ারত করতে রাউজানে গ্রামের বাড়ি যান প্রবাসী আবু মুছা। এ সময় আওয়ামী লীগ সমর্থক লোকজন তাঁকে বেধড়ক মারধর করে। তাতে তাঁর মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ পরিবারের। নিহত প্রবাসী মুছা এক সময় এলাকায় বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন।
ভাইকে হত্যার অভিযোগ এনে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের আসামি করে গত ১৩ মার্চ আদালতে মামলা করেন নিহতের ছোট ভাই মনিরুজ্জামান সোহেল।
বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ইউসুফ আজকের পত্রিকাকে বলেন ‘আদালত এই মামলাটি আমলে নিয়ে উক্ত তারিখ এবং সময়ে রাউজান থানায় এই সংক্রান্ত কোনো নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে কিনা সেটি লোকাল থানা পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।’
দণ্ডবিধির ১৪৩/১৪৭/৩৪১/৩০২/১০৯/৩৪ ধারায় রাউজান উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শাহাজাহান ইকবালসহ (৪৫) ১৪ জনকে এই মামলায় আসামি করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই মামলার পর নিহতের পরিবারের বাকী সদস্যদের ওপর খড়গ নেমে আসে।
নিহত মুছারা ৯ ভাই। এদের মধ্যে মুছা ছিলেন পাঁচ নম্বর। বাকী ভাইয়েরা কেউ কেউ পরিবার নিয়ে ওই পৈত্রিক বাড়িতে থাকতেন। এরমধ্যে ওই বাড়িতে থাকা মনিরুজ্জামান সোহেল আদালতে করা মামলার বাদী।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ, গতকাল শুক্রবার সকালে স্থানীয় আওয়ামী লীগ রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ৩০-৪০ জনের একটি দল মুছার পৈত্রিক বাড়িতে আসে। সেখানে পরিবারের পুরুষ সদস্যদের খুঁজতে থাকে। পরে না পেয়ে দরজায় তালা মেরে দিয়ে যায়। এ সময় ভেতরে পরিবারের নারীরা আটকে ছিলেন। অভিযুক্তরা মামলা তুলে না নিলে ঘর পুড়িয়ে ফেলার হুমকি দেয়।
এরপর থেকে ওই বাড়িতে শনিবার এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এখনো তালা ঝুলছে।
এই মামলার বাদীর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
তবে নিহত মুছার শ্বশুর নুরুল আজগর শনিবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার জামাইকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে মারার ঘটনায় থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। বাধ্য হয়ে চট্টগ্রাম কোর্টে আমরা মামলা করি। মামলার খবর জানার পর শাহজাহান ইকবালের লোকজন বাড়িতে এসে হুমকি দেওয়ার পর দরজায় তালা মেরে দেন। পরে বাড়ির মেইন গেইটেও তালা লাগিয়ে দেয়।অভিযুক্তরা মামলা তুলে না নিলে ঘর পুড়িয়ে ফেলার হুমকি দেয়।’
আমরা পুলিশকে জানিয়েছিলাম, পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে উল্টো আমাদের তালাগুলো খুলতে বলে। এটা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বাকবিতন্ডা হয়। পুলিশ তালা খুলেনি। আমরাও তালা খুলিনি। ওই অবস্থায় পরে জানালা ভেঙ্গে বাড়ির সদস্যদের বাইরে বের করে নিয়ে আসা হয়। এ সব বাড়ির ভেতরে পরিবারের মহিলা সদস্যরা ছিলেন।
নুরুল আজগর বলেন, পুরোনো বাড়িটিতে মামলার বাদীসহ তাঁদের আরও কয়েক ভাই পরিবার নিয়ে থাকতো। তাঁদের এখন কেউ কেউ শ্বশুর বাড়িতে চলে গেছে। মুছার বড় ভাই পাশ্ববর্তী উপজেলার হাটহাজারী সদরে একটি ভাড়া বাসা ঠিক করে দিয়েছি। রাউজানের ওই বাড়িতে এখন কেউ নেই।
অভিযোগের বিষয়ে রাউজান উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শাহজাহান ইকবাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সেখানে আমার নেতৃত্বে লোকজন গিয়ে তালা মেরেছে এই ধরণের কোনো প্রমাণ তাঁরা দেখাতে পারবে না। এটা শতভাগ মিথ্যা। আমার এমন কোনো লোকজনও নেই। আমি রাজনীতির সঙ্গে তেমন সম্পৃক্ত না। আমি একজন ব্যবসায়ী। শুক্রবার এমপি মহোদয়ের সঙ্গে আমি সারাদিন চট্টগ্রাম শহরে ছিলাম।’
এই বিষয়ে জানতে রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদ হাসানের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
তবে একই থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘ঘটনার সময় আমি থানায় ছিলাম না। সাক্ষি দিতে চট্টগ্রাম আদালতে গিয়েছিলাম। তাই আমি এই বিষয়ে বিস্তারিত বলতে পারছি না।’
চট্টগ্রাম ওয়াসার পানি উৎপাদন ও চাহিদার মধ্যে প্রতিদিন ৫ কোটি লিটারের ফারাক। অনেক জায়গায় সুপেয় পানির জন্য হাহাকার করছে নগরবাসী। কিন্তু মানুষের ভোগান্তিকে দূরে ঠেলে নতুন মোবাইল কেনা এবং ভ্রমণ বিলাসে মেতেছেন ওয়াসার কর্মকর্তারা। সংস্থার ৯১ কর্মকর্তার জন্য মোবাইল ফোন কেনা এবং ২২
১ ঘণ্টা আগেবঙ্গোপসাগরের তীরঘেঁষা উপকূলীয় জেলা বরগুনার ছয়টি উপজেলায় ১২ লাখ মানুষের বসবাস। তাঁদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতের জন্য জেলার ১০০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালটি আধুনিকায়নের মাধ্যমে ২৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয় ২০১৩ সালে। কিন্তু এক যুগেও হাসপাতালটির শূন্য পদে প্রয়োজনীয় চিকিৎসক ও নার্স নিয়োগ দেওয়া হয়নি।
১ ঘণ্টা আগেব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর পৌরসভায় ৮ কোটি ২৬ লাখ টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়িত একটি পানি সরবরাহ প্রকল্পে চরম অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। প্রকল্পটি তিন বছর আগে উদ্বোধন করা হলেও আজ পর্যন্ত পৌরবাসীর ঘরে পৌঁছায়নি একফোঁটা পানি। প্রকল্পের কাজ কাগজ-কলমে সম্পন্ন দেখানো হলেও বাস্তবে এর অগ্রগতি ‘শূন্য’। ঠিকাদারি প্রত
১ ঘণ্টা আগেসুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওর, শহীদ সিরাজ লেক, শিমুলবাগানসহ পর্যটন এলাকায় গতি আনতে ২০১৮ সালে তাহিরপুরের ডাম্পের বাজার এলাকায় পাটলাই নদের ওপর সেতু নির্মাণ শুরু হয়। তিন বছরের মধ্যে সেতুর কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। উল্টো গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর সেতু চালু নিয়েই দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।
১ ঘণ্টা আগে