Ajker Patrika

কাস্টমস কর্মকর্তার স্ত্রীর ২ কোটি টাকার ফ্ল্যাট-বাড়ি দেখভালে রিসিভার নিয়োগের আদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

চট্টগ্রামে দুর্নীতিতে অভিযুক্ত সাবেক এক কাস্টমস কর্মকর্তার স্ত্রীর নামে শহরে থাকা দুই কোটি টাকা মূল্যের দুটি ভবন ও ফ্ল্যাট ক্রোকপূর্বক তা দেখভালের জন্য রিসিভার নিয়োগের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (২ নভেম্বর) চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. হাসানুল ইসলামের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানি শেষে এই আদেশ দিয়েছেন।

চট্টগ্রাম দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এর উপসহকারী পরিচালক সুরাইয়া সুলতানা এই আবেদন করেন। কার্যালয়টির উপপরিচালক সুবেল আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে—নগরের হালিশহরে সোনালী আবাসিক এলাকায় অবস্থিত চারতলাবিশিষ্ট একটি ভবন, আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকায় ছয়তলার একটি ভবন এবং খুলশী থানাধীন নাসিরাবাদ হাউজিং সোসাইটির ১ হাজার ৭৫০ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট। এসব স্থাবর সম্পত্তি ফেরদৌস ইয়াসমিন খানমের নামে রয়েছে।

দুদক এসব সম্পত্তির জায়গাসহ ১ কোটি ৯৮ লাখ ৭৭ হাজার টাকা মূল্য দেখায়। এর মধ্যে হালিশহরে চারতলা ভবনটির জায়গাসহ মূল্য ৮০ লাখ ৬০ হাজার টাকা, বাণিজ্যিক এলাকা আগ্রাবাদে ছয়তলাবিশিষ্ট আবাসিক ভবনটির জায়গাসহ মূল্য ৮৫ লক্ষ ২০ হাজার টাকা এবং নাসিরাবাদ হাউজিং সোসাইটির ১ হাজার ৭৫০ বর্গফুটের ফ্ল্যাটটির মূল্য ৩২ লক্ষ ৯৭ হাজার টাকা। তবে স্থানীয়রা বলেছেন, এসব জায়গাসহ বাড়ির মূল্য বর্তমানে আরও কয়েক গুণ বেশি হবে।

গত ২০ মে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ এনে ফেরদৌস ইয়াসমিন খানম ও তাঁর স্বামী চট্টগ্রাম কাস্টমসের সাবেক রাজস্ব কর্মকর্তা আবদুল বারিকের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করে দুদক।

এর মধ্যে কাস্টমস কর্মকর্তা ও তাঁর স্ত্রী এই দুজনের বিরুদ্ধে করা মামলাটিতে দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা সম্পত্তি ক্রোকপূর্বক রিসিভার নিয়োগের আবেদন করা হয়।

দুদকের আবেদনে উল্লেখ করা হয়, মামলার আসামিরা বর্ণিত সম্পত্তি অন্যত্র বিক্রি, হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন বলে গোপন সংবাদ পাওয়া গেছে।

মামলা নিষ্পত্তির পূর্বে এসব সম্পত্তি বেহাত হওয়া থেকে রক্ষায় অবিলম্বের ক্রোকপূর্বক রিসিভার নিয়োগের প্রয়োজন।

দুদকের মামলায় বলা হয়েছে, আসামি ফেরদৌস ইয়াসমিন খানম তাঁর স্বামীর সহযোগিতায় এক কোটি ৯২ লাখ ৬৫ হাজার ৮০৮ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও ৩২ লাখ ২৬ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন।

জানা যায়, অভিযুক্ত কাস্টমস কর্মকর্তা আব্দুল বারিক নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি থানার রশিদপুর এলাকার হাজি মো. ইদ্রিস মিয়ার ছেলে। তিনি পরিবার নিয়ে বর্তমানে নগরীর আগ্রাবাদের সিডিএ আবাসিক এলাকায় থাকেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...