নাঙ্গলকোট (কুমিল্লা) ও সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
ঈদের সপ্তাহখানেক আগে মেয়ে সন্তানের বাবা হয়েছিলেন চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের ফায়ার ফাইটার মনিরুজ্জামান মনির। নবজাত সন্তানকে দেখতে কাজ থেকে ছুটি নিয়ে কয়েক দিনের মধ্যে বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু সে আশা আর পূর্ণ হয়নি এ ফায়ার ফাইটারের।
গতকাল শনিবার রাতে সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের কাশেম জুট মিল গেট এলাকার বিএম কন্টেইনার ডিপোর বিস্ফোরণের ঘটনায় আগুন নেভাতে গিয়ে প্রাণ হারান মনির। দুর্ঘটনায় আহত হয়ে পরবর্তীতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ রোববার ভোররাতে মৃত্যু হয় তাঁর। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে মনিরুজ্জামানের মরদেহ শনাক্ত করেন তাঁর মামা মীর হোসেন।
মনিরের বাড়ি কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের নাইয়ারা গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল হকের ছেলে। বিস্ফোরণে নিহত মনিরের মরদেহ নিতে চমেক হাসপাতালের বাইরে অপেক্ষা করছেন তাঁর স্বজনেরা।
বিস্ফোরণে নিহত মনিরুজ্জামানের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত ৭ বছর আগে তিনি ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সে যোগ দেন। যোগ দেওয়ার পর থেকে ঢাকায় কর্মরত ছিলেন ২ মাস আগে চট্টগ্রামের কুমিরা ফায়ার স্টেশনে নার্সিং অ্যাটেনডেন্ট হিসেবে যোগ দেন। মনির ৫ বছর আগে ভালোবেসে বিয়ে করেন বরিশাল জেলার গলাচিপা উপজেলার বাঁশখালী গ্রামের শোহরাব মুনশির মেয়ে মাহমুদা আক্তার মুক্তাকে। তিনি দুই মেয়ে সন্তানের বাবা। তাঁর বড় মেয়ে জন্মের পরপরই মারা যায়। দ্বিতীয় মেয়ে জান্নাতুল মাওয়া ঈদুল ফিতরের এক সপ্তাহ আগে জন্ম নেয়।
মনিরুজ্জামান মনিরের মামা মীর হোসেন বলেন, ‘রোববার ভোরে ফেসবুকে জানতে পারি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কয়েকজন ফায়ার সার্ভিসকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। খবর দেখে আমি মনিরের মোবাইলে ফোন করে ফোন বন্ধ দেখে আমি ছুটে যাই চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে। সেখানে অনেক পুড়ে যাওয়া মৃত দেহের মাঝে আমার ভাগনের মরদেহ দেখে চিনতে পারি। দুদিন আগেই আমি কুমিরায় গিয়ে মনিরের সঙ্গে সারা দিন ঘুরেছি। অনেক আড্ডা দিয়েছি, একসঙ্গে খেয়েছি। কয়েক দিনের মধ্যে ছুটি নিয়ে মেয়েকে দেখতে যাওয়ার কথা বলেছিল সে।’
নিহত মনিরের ভাতিজা শাহেদ বিন রাতুল বলেন, ‘আমার চাচি তাঁর বাবার বাড়ি বরিশালে আছেন। তাঁদের পরিবারের কয়েকজনসহ তাঁরা চট্টগ্রামে আসছেন। তিনি এসে পৌঁছালে মরদেহ নিয়ে আমরা বাড়িতে রওনা করব।’
সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ সম্পর্কিত সবশেষ খবর পেতে - এখানে ক্লিক করুন
উল্লেখ্য, গতকাল শনিবার রাতে বিস্ফোরণের ঘটনার পর থেকে গতকাল রোববার বিকেল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন সাতজন ফায়ার ফাইটার। এ ছাড়াও নিখোঁজ রয়েছেন ফায়ার ফাইটারসহ ডিপোর বেশ কিছু শ্রমিক।
এই সম্পর্কিত সর্বশেষ:
ঈদের সপ্তাহখানেক আগে মেয়ে সন্তানের বাবা হয়েছিলেন চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের ফায়ার ফাইটার মনিরুজ্জামান মনির। নবজাত সন্তানকে দেখতে কাজ থেকে ছুটি নিয়ে কয়েক দিনের মধ্যে বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু সে আশা আর পূর্ণ হয়নি এ ফায়ার ফাইটারের।
গতকাল শনিবার রাতে সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের কাশেম জুট মিল গেট এলাকার বিএম কন্টেইনার ডিপোর বিস্ফোরণের ঘটনায় আগুন নেভাতে গিয়ে প্রাণ হারান মনির। দুর্ঘটনায় আহত হয়ে পরবর্তীতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ রোববার ভোররাতে মৃত্যু হয় তাঁর। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে মনিরুজ্জামানের মরদেহ শনাক্ত করেন তাঁর মামা মীর হোসেন।
মনিরের বাড়ি কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের নাইয়ারা গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল হকের ছেলে। বিস্ফোরণে নিহত মনিরের মরদেহ নিতে চমেক হাসপাতালের বাইরে অপেক্ষা করছেন তাঁর স্বজনেরা।
বিস্ফোরণে নিহত মনিরুজ্জামানের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত ৭ বছর আগে তিনি ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সে যোগ দেন। যোগ দেওয়ার পর থেকে ঢাকায় কর্মরত ছিলেন ২ মাস আগে চট্টগ্রামের কুমিরা ফায়ার স্টেশনে নার্সিং অ্যাটেনডেন্ট হিসেবে যোগ দেন। মনির ৫ বছর আগে ভালোবেসে বিয়ে করেন বরিশাল জেলার গলাচিপা উপজেলার বাঁশখালী গ্রামের শোহরাব মুনশির মেয়ে মাহমুদা আক্তার মুক্তাকে। তিনি দুই মেয়ে সন্তানের বাবা। তাঁর বড় মেয়ে জন্মের পরপরই মারা যায়। দ্বিতীয় মেয়ে জান্নাতুল মাওয়া ঈদুল ফিতরের এক সপ্তাহ আগে জন্ম নেয়।
মনিরুজ্জামান মনিরের মামা মীর হোসেন বলেন, ‘রোববার ভোরে ফেসবুকে জানতে পারি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কয়েকজন ফায়ার সার্ভিসকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। খবর দেখে আমি মনিরের মোবাইলে ফোন করে ফোন বন্ধ দেখে আমি ছুটে যাই চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে। সেখানে অনেক পুড়ে যাওয়া মৃত দেহের মাঝে আমার ভাগনের মরদেহ দেখে চিনতে পারি। দুদিন আগেই আমি কুমিরায় গিয়ে মনিরের সঙ্গে সারা দিন ঘুরেছি। অনেক আড্ডা দিয়েছি, একসঙ্গে খেয়েছি। কয়েক দিনের মধ্যে ছুটি নিয়ে মেয়েকে দেখতে যাওয়ার কথা বলেছিল সে।’
নিহত মনিরের ভাতিজা শাহেদ বিন রাতুল বলেন, ‘আমার চাচি তাঁর বাবার বাড়ি বরিশালে আছেন। তাঁদের পরিবারের কয়েকজনসহ তাঁরা চট্টগ্রামে আসছেন। তিনি এসে পৌঁছালে মরদেহ নিয়ে আমরা বাড়িতে রওনা করব।’
সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ সম্পর্কিত সবশেষ খবর পেতে - এখানে ক্লিক করুন
উল্লেখ্য, গতকাল শনিবার রাতে বিস্ফোরণের ঘটনার পর থেকে গতকাল রোববার বিকেল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন সাতজন ফায়ার ফাইটার। এ ছাড়াও নিখোঁজ রয়েছেন ফায়ার ফাইটারসহ ডিপোর বেশ কিছু শ্রমিক।
এই সম্পর্কিত সর্বশেষ:
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার বাঙ্গার জাঙ্গাল এলাকায় মকস বিলে ঘুরতে গিয়ে গত শুক্রবার বিকেলে নৌকা ডুবে তিন বন্ধু নিখোঁজ হয়। এরপর একে একে তাদের সবার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
৬ মিনিট আগেখাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলায় প্রতিপক্ষের গুলিতে ইউপিডিএফের অঙ্গসংগঠন ‘গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম’–এর সদস্য খুকু চাকমা (৩৪) নিহত হয়েছেন। খুকু চাকমা গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সদস্য ছিলেন। তিনি কমলছড়ি ইউনিয়নের বেতছড়ি খ্রিষ্টানপাড়ার মৃত ভাধ্যধন চাকমার ছেলে।
১৮ মিনিট আগেরাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে র্যাবের পোশাক পরে এক ব্যবসায়ীর সোনা ও নগদ টাকা লুটের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শনিবার (২৬ জুলাই) রাতে এ ঘটনা ঘটে ডেমরা সড়কের মাতুয়াইল মৃধাবাড়ি এলাকায়। এ ঘটনায় আজ রোববার দুপুরে যাত্রাবাড়ী থানায় একটি মামলা করেন ওই ব্যবসায়ী।
১ ঘণ্টা আগেমেঘনা পেট্রোলিয়ামের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. টিপু সুলতান অবসরে গেলেন। আজ রোববার (২৭ জুলাই) ছিল তাঁর শেষ কর্মদিবস। নিয়োগ পরীক্ষায় দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগের কলঙ্ক নিয়েই বিদায় নিলেন তিনি। নিয়োগ পরীক্ষায় দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ তদন্তে কাজ করছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) তিন সদস্য
১ ঘণ্টা আগে