নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামের আলোচিত সন্ত্রাসী সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদ (৩০) ঢাকায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর তাঁর স্ত্রী শারমিন আক্তার তামান্না ফেসবুক লাইভে এসে জানালেন, স্বামীর গ্রেপ্তারে তিনি মোটেই উদ্বিগ্ন বা দুঃখিত নন। বিপুল অর্থের বিনিময়ে স্বামীকে ছাড়িয়ে আনার প্রত্যয় তুলে ধরেন তিনি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে সাজ্জাদের স্ত্রী ব্যঙ্গ করার সুরে বলেন, ‘আপনারা যারা ভাবতেছেন, আমার জামাই অ্যারেস্ট হয়েছে, আর কোনো দিন ফিরে আসবে না, তাদের জন্য এক বালতি সমবেদনা। আমরা কাঁড়ি কাঁড়ি বান্ডিল বান্ডিল টাকা ছেড়ে আমার জামাইকে নিয়ে আসব। আমার জামাই বীরের বেশে চলে আসবে।’
তামান্না আরও বলেন, ‘এ ঘটনা যারা ঘটিয়েছেন, তাঁদের ছাড় দেওয়া হবে না। এত দিন আমরা পলাতক ছিলাম। এখন আপনাদের পলাতক থাকার পালা। আমার জামাই আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে আমার কাছে আসবে। তখন খেলা শুরু হবে। খেলা শুরু করেছেন আপনারা, শেষ করব আমরা।’
নামে ছোট সাজ্জাদ হলেও সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও হত্যাযজ্ঞে নিজেকে অনেক বড় ডন হিসেবে পরিচিত হয়েছেন ইতিমধ্যে। কথায় কথায় গুলি, ফেসবুক লাইভে এসে বায়েজিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ন্যাংটা করে পেটানোর হুমকি, পুলিশের ওপর বেপরোয়া গুলিবর্ষণ, অস্ত্র উঁচিয়ে চাঁদাবাজি এবং একের পর এক হত্যাকাণ্ড তাঁর কাছে সাধারণ বিষয়।
গতকাল শনিবার রাজধানীর বসুন্ধরা সিটিতে জনতার হাতে ধরা পড়েন সাজ্জাদ। পরে তাঁকে চট্টগ্রামে নেয় পুলিশ। আজ তাঁকে চট্টগ্রাম নগরীতে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে প্রকাশ্যে গুলি করে ছাত্রলীগ কর্মী আফতাব উদ্দিন তাহসীন হত্যা মামলায় সাত দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফতাব উদ্দিন বলেন, ‘তাহসীন হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামি ছোট সাজ্জাদকে আদালতে তোলার পর তাঁকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর পাশাপাশি ১৪ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। আদালত সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।’
গত ২১ অক্টোবর নগরের চান্দগাঁও থানার অদূরপাড়ায় জাগরণী সংঘ ক্লাব এলাকায় কালো রঙের প্রাইভেট কারে এসে সন্ত্রাসীরা তাহসীনকে গুলির পর মৃত্যু নিশ্চিত করে চলে যায়। এ ঘটনায় ২২ অক্টোবর রাতে নগরের চান্দগাঁও থানায় নিহতের বাবা মো. মুছা বাদী হয়ে সন্ত্রাসী সাজ্জাদসহ পাঁচজনের নামে ও অজ্ঞাতনামা তিন-চারজনকে আসামি হত্যা মামলা করেন। ইট ও বালু ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
জানা যায়, চট্টগ্রামের হাটহাজারী, বায়েজিদ বোস্তামী, চান্দগাঁও এবং পাঁচলাইশ এলাকার মূর্তিমান আতঙ্ক ছোট সাজ্জাদ ওরফে ‘বুড়ির নাতি’। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর তিনি আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। জুলাই ও সেপ্টেম্বরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে তিন মাসের ব্যবধানে গুলি করে তিনজনকে হত্যা, প্রকাশ্যে অস্ত্র উঁচিয়ে চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে নগরীতে এখন শীর্ষ সন্ত্রাসীর তকমা পেয়েছেন ছোট সাজ্জাদ। তাঁকে ধরতে একাধিকবার অভিযান পরিচালনা করে ব্যর্থ হয় পুলিশ।
গত বছরের ৫ ডিসেম্বরে নগরের অক্সিজেন মোড় এলাকায় তাঁকে ধরতে পুলিশ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে ছুড়তে পালিয়ে যান সাজ্জাদ। তখন পুলিশের দুই সদস্যসহ মোট চারজন গুলিবিদ্ধ হন। তাঁকে ধরতে গত ৩০ জানুয়ারি পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশে (সিএমপি) কমিশনার হাসিব আজিজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ছোট সাজ্জাদের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলার বিভিন্ন থানায় হত্যা, ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও অস্ত্রসংক্রান্ত ১৫টি মামলা রয়েছে। তিনি মূলত ভারতে অবস্থানরত সাজ্জাদ হোসেনের সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে চট্টগ্রামের অপরাধজগৎ নিয়ন্ত্রণ করেন। বায়েজিদ থানার আলোচিত ডাবল মার্ডার মামলার প্রধান আসামি ছোট সাজ্জাদ।’
চট্টগ্রামের আলোচিত সন্ত্রাসী সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদ (৩০) ঢাকায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর তাঁর স্ত্রী শারমিন আক্তার তামান্না ফেসবুক লাইভে এসে জানালেন, স্বামীর গ্রেপ্তারে তিনি মোটেই উদ্বিগ্ন বা দুঃখিত নন। বিপুল অর্থের বিনিময়ে স্বামীকে ছাড়িয়ে আনার প্রত্যয় তুলে ধরেন তিনি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে সাজ্জাদের স্ত্রী ব্যঙ্গ করার সুরে বলেন, ‘আপনারা যারা ভাবতেছেন, আমার জামাই অ্যারেস্ট হয়েছে, আর কোনো দিন ফিরে আসবে না, তাদের জন্য এক বালতি সমবেদনা। আমরা কাঁড়ি কাঁড়ি বান্ডিল বান্ডিল টাকা ছেড়ে আমার জামাইকে নিয়ে আসব। আমার জামাই বীরের বেশে চলে আসবে।’
তামান্না আরও বলেন, ‘এ ঘটনা যারা ঘটিয়েছেন, তাঁদের ছাড় দেওয়া হবে না। এত দিন আমরা পলাতক ছিলাম। এখন আপনাদের পলাতক থাকার পালা। আমার জামাই আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে আমার কাছে আসবে। তখন খেলা শুরু হবে। খেলা শুরু করেছেন আপনারা, শেষ করব আমরা।’
নামে ছোট সাজ্জাদ হলেও সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও হত্যাযজ্ঞে নিজেকে অনেক বড় ডন হিসেবে পরিচিত হয়েছেন ইতিমধ্যে। কথায় কথায় গুলি, ফেসবুক লাইভে এসে বায়েজিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ন্যাংটা করে পেটানোর হুমকি, পুলিশের ওপর বেপরোয়া গুলিবর্ষণ, অস্ত্র উঁচিয়ে চাঁদাবাজি এবং একের পর এক হত্যাকাণ্ড তাঁর কাছে সাধারণ বিষয়।
গতকাল শনিবার রাজধানীর বসুন্ধরা সিটিতে জনতার হাতে ধরা পড়েন সাজ্জাদ। পরে তাঁকে চট্টগ্রামে নেয় পুলিশ। আজ তাঁকে চট্টগ্রাম নগরীতে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে প্রকাশ্যে গুলি করে ছাত্রলীগ কর্মী আফতাব উদ্দিন তাহসীন হত্যা মামলায় সাত দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফতাব উদ্দিন বলেন, ‘তাহসীন হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামি ছোট সাজ্জাদকে আদালতে তোলার পর তাঁকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর পাশাপাশি ১৪ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। আদালত সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।’
গত ২১ অক্টোবর নগরের চান্দগাঁও থানার অদূরপাড়ায় জাগরণী সংঘ ক্লাব এলাকায় কালো রঙের প্রাইভেট কারে এসে সন্ত্রাসীরা তাহসীনকে গুলির পর মৃত্যু নিশ্চিত করে চলে যায়। এ ঘটনায় ২২ অক্টোবর রাতে নগরের চান্দগাঁও থানায় নিহতের বাবা মো. মুছা বাদী হয়ে সন্ত্রাসী সাজ্জাদসহ পাঁচজনের নামে ও অজ্ঞাতনামা তিন-চারজনকে আসামি হত্যা মামলা করেন। ইট ও বালু ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
জানা যায়, চট্টগ্রামের হাটহাজারী, বায়েজিদ বোস্তামী, চান্দগাঁও এবং পাঁচলাইশ এলাকার মূর্তিমান আতঙ্ক ছোট সাজ্জাদ ওরফে ‘বুড়ির নাতি’। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর তিনি আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। জুলাই ও সেপ্টেম্বরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে তিন মাসের ব্যবধানে গুলি করে তিনজনকে হত্যা, প্রকাশ্যে অস্ত্র উঁচিয়ে চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে নগরীতে এখন শীর্ষ সন্ত্রাসীর তকমা পেয়েছেন ছোট সাজ্জাদ। তাঁকে ধরতে একাধিকবার অভিযান পরিচালনা করে ব্যর্থ হয় পুলিশ।
গত বছরের ৫ ডিসেম্বরে নগরের অক্সিজেন মোড় এলাকায় তাঁকে ধরতে পুলিশ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে ছুড়তে পালিয়ে যান সাজ্জাদ। তখন পুলিশের দুই সদস্যসহ মোট চারজন গুলিবিদ্ধ হন। তাঁকে ধরতে গত ৩০ জানুয়ারি পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশে (সিএমপি) কমিশনার হাসিব আজিজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ছোট সাজ্জাদের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলার বিভিন্ন থানায় হত্যা, ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও অস্ত্রসংক্রান্ত ১৫টি মামলা রয়েছে। তিনি মূলত ভারতে অবস্থানরত সাজ্জাদ হোসেনের সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে চট্টগ্রামের অপরাধজগৎ নিয়ন্ত্রণ করেন। বায়েজিদ থানার আলোচিত ডাবল মার্ডার মামলার প্রধান আসামি ছোট সাজ্জাদ।’
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ডা. অনিন্দিতা দত্তকে ছয় ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে হেনস্তার চেষ্টা করা হয়েছে। আজ রোববার দুপুর পর্যন্ত ক্যান্সার ভবনে আটকে রাখার পর সেনা সদস্যরা তাকে বাসায় পৌঁছে দেন। তিনি জানান, "একটি রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনের নেতারা ও সজল কর নামে এক ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে
২ মিনিট আগেরাজধানীর উত্তরখানে যুবতী শ্যালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে আমিনুল ইসলাম (৪০) নামের এক ব্যক্তিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ডিএমপির উত্তরখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউর রহমান আজ রোববার (১৬ মার্চ) সন্ধ্যায় আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
১১ মিনিট আগেঝিকরগাছায় তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক, দপ্তর সম্পাদকসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ রোববার বিকেলে উপজেলার একটি গ্রামের লিচুবাগানে এ ঘটনা ঘটে।
১৯ মিনিট আগেউখিয়া রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে সশস্ত্র আরাকান স্যালভেশন আর্মির (আরসা) সন্ত্রাসীরা হাবিজুল রহমান (৩২) নামের এক যুবককে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে। আজ রোববার উপজেলার পালংখালী আশ্রয়শিবিরের হাকিমপাড়া ১৪ নম্বর ক্যাম্পের ই-৩ ব্লক ও ১৫ নম্বর ক্যাম্পের সীমানায় এ ঘটনা ঘটে।
২২ মিনিট আগে