Ajker Patrika

চট্টগ্রামে মানববন্ধনে হঠাৎ দৃশ্যপটে বিএনপি নেতারা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ২২: ২১
চট্টগ্রামে মানববন্ধনে হঠাৎ দৃশ্যপটে বিএনপি নেতারা

পুলিশের চলমান ধরপাকড়ে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস পালন কর্মসূচির মাধ্যমে প্রকাশ্যে এসেছেন বিএনপি চট্টগ্রামের নেতারা। গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনার পর এত দিন প্রকাশ্যে কোনো কর্মসূচি পালনে দেখা যায়নি এসব নেতাকে। 

আজ রোববার সকালে বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন দলটির চট্টগ্রামের নেতৃবৃন্দরা। 

সেখানে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক  ডা. শাহাদাত হোসেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ানসহ অনেক সিনিয়র নেতা উপস্থিত ছিলেন। তবে দলের কর্মসূচিতে সরব থাকা অন্য নেতাদের মধ্যে আবুল হাসেম বক্কর, গাজী সিরাজ উল্লাহসহ আরও অনেক নেতার উপস্থিতি দেখা যায়নি। বিএনপির পাশাপাশি যুবদল, শ্রমিক দল, মহিলা দলের সিনিয়র নেতারাও কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন। 

দলীয় ব্যানারে না গিয়ে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের ব্যানারে ওই কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় চট্টগ্রামে গুমের শিকার ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচির সভাপতিত্বে মো. কামরুল ইসলাম কর্মসূচি পরিচালনা করেন। 

গত ২৮ অক্টোবরের পর বিএনপি দফায় দফায় হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি ডাক দিলেও কর্মসূচির সমর্থনে হঠাৎ ঝটিকা মিছিল ও বিক্ষোভ করে দ্রুত সটকে পড়েন নেতারা। 

এক মাসের আন্দোলন কর্মসূচি এভাবে পালন করে আসছিলেন নেতারা। চট্টগ্রাম নগরের কাজীর দেউড়িতে অবস্থিত বিএনপি কার্যালয় নসিমন ভবনও এক মাসের বেশি সময় ধরে নেতা-কর্মীশূন্য। কার্যালয় ঘিরে সার্বক্ষণিক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। 

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত মোহাম্মদ ইদ্রিস আলী বলেন, গায়েবি মামলায় প্রতিদিনই চট্টগ্রামে অসংখ্য নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার হচ্ছেন। নেতা-কর্মীরা বাসাবাড়িতে থাকতে পারছেন না। 

এর আগে মানববন্ধন কর্মসূচি চলাকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের কাছে মানবতা ও মানবাধিকারের কোনো মূল্য নেই। আওয়ামী লীগ সরকার এখন ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য স্বৈরাচারী শাসকে পরিণত হয়েছে। তারা দেশ থেকে ন্যায়বিচার দূর করে দিয়েছে। সরকার নিষ্ঠুর দমন-পীড়ন চালিয়ে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের দমন করার চেষ্টা করছে। দেশে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। 

শাহাদাত হোসেন বলেন, বিশ্ব মানবাধিকার দিবস শুধু এক দিন নয়, সুষ্ঠু নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনকারীদের জন্য এখন প্রতিদিনই মানবাধিকার দিবসে পরিণত হয়েছে। আজকে গুম, খুন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার ব্যক্তিরা তাঁদের কথা বলতে পারেন না। মানবাধিকার লঙ্ঘনের সরকার রাষ্ট্রশক্তি ব্যবহার করে এমনভাবে টিকে থাকতে চায় যাতে তাদের অপরাধের বিরুদ্ধে কেউ টুঁ শব্দও করতে না পারে। দেশের জনগণ, সব বিরোধী দলের বিরোধিতা এবং আন্তর্জাতিক মহলের আহ্বান উপেক্ষা করে সরকার একতরফা প্রহসনের নির্বাচন করার আত্মঘাতী খেলায় মেতে উঠেছে। আওয়ামী লুটেরা চক্র এবং তাদের দোসরেরা এখন এমপি হওয়ার জন্য জনগণের কাছে নয়, গণভবনের দিকে ছুটছেন। শেখ হাসিনার একগুঁয়েমি দেখে মনে হচ্ছে, এইটা কোনো ইলেকশন নয়, বানরের পিঠা ভাগাভাগির সিলেকশন। 

এ সময় তিনি ফিলিস্তিনের গাজায় নির্বিচারে মুসলমানদের নৃশংস হত্যায় ইসরায়েলি বাহিনীর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দিনাজপুরে হিন্দু নেতাকে অপহরণ করে হত্যা: ভারত সরকার ও বিরোধী দল কংগ্রেসের উদ্বেগ

লুটপাটে শেষ ৫ কোটির প্রকল্প

আজ থেকে ৫০০ টাকায় মিলবে ১০ এমবিপিএস গতির ইন্টারনেট

যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল, বেশির ভাগই ভারতীয়, আছে বাংলাদেশিও

বৃদ্ধের চার বিয়ে, থানায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার জেরার মুখে হাসির রোল

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত