আবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম

রাষ্ট্রায়ত্ত যমুনা অয়েল কোম্পানির প্রধান কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী মো. ইয়াকুব তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী। একই সঙ্গে তিনি শ্রমিক লীগ নেতাও। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গত ১৫ বছরে সিবিএর সাধারণ সম্পাদক ও গ্যাস অ্যান্ড অয়েলস ফেডারেশনের মহাসচিবের দায়িত্বও সামলাচ্ছেন।
দেশের যেসব স্থানে উড়োজাহাজে যাওয়া যায়, সেসব স্থানে গেলে ইয়াকুব সাধারণত উড়োজাহাজেই চড়েন। বিদেশে ট্যুরও করেন হরহামেশা। মাসিক ৩৪ হাজার টাকা বেতন জ্যেষ্ঠ সহকারী মো. ইয়াকুবের। কিন্তু স্যালারি অ্যাকাউন্টে পৌনে ৪ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। ব্যাংক এশিয়া কর্তৃপক্ষ তাঁর হিসাবটিকে সন্দেহজনক অস্বাভাবিক লেনদেন (এসটিআর) হিসেবে চিহ্নিত করেছে। আর ইয়াকুব থাকেন ৪ হাজার ৩০০ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাটে; যার মূল্য ২ কোটি ৫৮ লাখ টাকার বেশি।
গত ৫ আগস্টের পর দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হলেও এই শ্রমিক লীগ নেতা রয়েছেন বহাল তবিয়তে।
যমুনা অয়েল কোম্পানি থেকে পাওয়া তথ্যে জানা যায়, ১৯৯৪ সালে যমুনা অয়েল কোম্পানিতে অস্থায়ী পদে দৈনিক হাজিরার ভিত্তিতে চাকরি শুরু করেন ইয়াকুব। তিন বছরের মাথায় ১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠানের টাইপিস্ট পদে তাঁর চাকরি স্থায়ী হয়। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে তাঁকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
যমুনা অয়েল কোম্পানির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মচারীরা জানান, ইয়াকুবের বিলাসবহুল বাড়ি, দামি গাড়ি, জমিসহ বহু সম্পত্তি রয়েছে। তিনি এখন বহু টাকার মালিক। তাঁর বিরুদ্ধে যমুনা অয়েল কোম্পানির কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ, বদলি, পদোন্নতি, ক্যাজুয়াল ও কন্ট্রাক্টর ক্যাজুয়াল নিয়োগ, ফার্নেস অয়েল, বিটুমিনসহ বিভিন্ন খাতে মাসোহারা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে ইয়াকুবের অবৈধ সম্পদ অর্জন নিয়ে অনুসন্ধান চালাচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ২০১৪ সালেও একবার বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) তাঁর এসব অপকর্মের তদন্ত শুরু করেছিল; কিন্তু অদৃশ্য কারণে তা চাপা পড়ে যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মচারী জানিয়েছেন, ইয়াকুবের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় প্রধান তেল স্থাপনা ও দেশের সব ডিপো থেকে অবৈধভাবে চাঁদা আদায়েরও মৌখিক অভিযোগ পেয়েছে দুদক। তাঁর এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে বদলিসহ নানা রকম শাস্তি দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। এ ক্ষেত্রে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের যোগসাজশ থাকার অভিযোগ করেছেন একাধিক কর্মচারী।
ইয়াকুবের মতের বাইরের লোকজনের চাকরিচ্যুতির ঘটনাও ঘটেছে। সূত্র জানায়, ইয়াকুবের সহকর্মী বিশ্বজিৎ চৌধুরী, ইফতেখার কামাল খান ও মো. কামরুজ্জামান লিটনকে চাকরিচ্যুত করা হয়। তাঁদের মধ্যে কামরুজ্জামান লিটন মারা গেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চট্টগ্রাম নগরীর অভিজাত এলাকা লালখান বাজার ৩৩, হাই লেভেল রোডে (মানারাত ইদ্রিস প্যালেস) চার হাজার ৩০০ বর্গফুটের তিনটি ফ্ল্যাট কেনেন ইয়াকুব। পরে তিনটি ফ্ল্যাটকে একটি বানিয়ে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন।
মানারাত ইদ্রিস প্যালেস নির্মাণকারী মানারাত অ্যাসেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের এ প্রজেক্টে ইয়াকুব সাহেব যে ফ্ল্যাট কিনেছেন তার তিনটিকে একটি করা হয়েছে। এখানে মোট ৪ হাজার ৩০০ বর্গফুট। ফ্ল্যাটটি মারিয়া সুলতানা হ্যাপির কাছ থেকে কিনেছেন তিনি।’
ফখরুল ইসলাম আরও জানান, বর্তমানে এই এলাকায় প্রতি বর্গফুট ফ্ল্যাটের মূল্য ৬ হাজার টাকার বেশি। সে হিসাবে ইয়াকুবের ফ্ল্যাটটির মূল্য আড়াই কোটি টাকার বেশি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ফ্ল্যাট ছাড়াও চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ এক্সেস রোডে ইয়াকুবের ২ গন্ডা জমিতে টিনশেডের ঘর আছে। পতেঙ্গায়ও ৩ গন্ডা জমি আছে। আর গ্রামের বাড়ি বোয়ালখালীর বেঙ্গুরাসহ বিভিন্ন স্থানে ইয়াকুবের নামে-বেনামে জমি রয়েছে।
যমুনা অয়েল কোম্পানির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রায় ১২ লাখ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগও রয়েছে ইয়াকুবের বিরুদ্ধে।
যমুনা অয়েলের জ্যেষ্ঠ সহকারী মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘মো. এয়াকুব এতটাই প্রভাবশালী যে, তাঁর কথামতো যমুনা অয়েল কর্তৃপক্ষ আমাদের বেতন থেকে টাকা কেটে নিয়েছিল। গত বছর (২০২৩ সালে) আমাদের ওয়েলফেয়ার ফান্ড থেকে টাকা ফেরত দেবে বলে প্রত্যেক কর্মচারীর বেতন থেকে ১ হাজার করে কেটে নেওয়া হয়।’
রফিকুল ইসলাম আরও বলেন, ‘আমাকে পাঁচবার বদলি করিয়েছেন ইয়াকুব। অপারেটর আব্দুল মতিনকে ৫-৬ বার বদলি করিয়েছেন।’
যমুনা অয়েলের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (সেলস) মো. হাসান ইমাম বলেন, মো. ইয়াকুব ওয়েলফেয়ার ফান্ড থেকে পাঁচ লাখ টাকা নিয়ে গেছেন। এখনো সেই টাকা ফেরত দেননি।
অভিযোগ উঠেছে, যমুনা অয়েল কোম্পানির ঠিকাদারের শ্রমিক মো. আবদুল নুর ও মো. হাসান ফয়সালের সহযোগিতায় সিবিএ নেতা ইয়াকুব ২০১৯ সালে কোম্পানির ডিপোতে চাকরি দেওয়ার নামে ৮ জনের কাছ থেকে কুরিয়ার সার্ভিস ও বিকাশের মাধ্যমে কয়েক দফায় ২৯ লাখ ৭৪ হাজার টাকা নিয়েছেন।
চাকরি না হওয়ায় টাকা ফেরত চাইলে তোতা মিয়া ও চাকরিপ্রার্থীদের নানা ভয়ভীতিসহ প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে ইয়াকুবসহ তিনজনের বিরুদ্ধে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর থানায় ২০১৯ সালের ১৯ জুলাই সাধারণ ডায়েরি করেন মো. তোতা মিয়া।
কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তফা কুদরত-এ-খুদা বলেন, ‘আমি নতুন আসছি। এ বিষয়ে তেমন কোনো কিছু জানি না।’
দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১-এর সহকারী পরিচালক জুয়েল মজুমদার বলেন, যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের সিবিএ সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ ইয়াকুবের বিষয়ে অনুসন্ধান চলমান রয়েছে।
অভিযুক্ত মো. ইয়াকুবকে ফোন করে প্রথমে ৪ হাজার ৩০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট কেনার কথা বলতেই তিনি লাইন কেটে দেন। এরপর কয়েকবার ফোন ও এসএমএস দিয়েও তাঁর সাড়া পাওয়া যায়নি। অবশ্য অন্য কয়েকজন সাংবাদিক দিয়ে প্রতিবেদন না করার অনুরোধ জানান তিনি।
পরে গতকাল রোববার দুপুরে আগ্রাবাদ যমুনা অয়েল ভবনে গেলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার (এইচআর) সাইয়েদ সাইদুল ইসলাম বলেন, ইয়াকুব আসেননি। ছুটিতে আছেন কি না তাও জানাতে পারেননি ওই কর্মকর্তা।
আরও খবর পড়ুন:

রাষ্ট্রায়ত্ত যমুনা অয়েল কোম্পানির প্রধান কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী মো. ইয়াকুব তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী। একই সঙ্গে তিনি শ্রমিক লীগ নেতাও। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গত ১৫ বছরে সিবিএর সাধারণ সম্পাদক ও গ্যাস অ্যান্ড অয়েলস ফেডারেশনের মহাসচিবের দায়িত্বও সামলাচ্ছেন।
দেশের যেসব স্থানে উড়োজাহাজে যাওয়া যায়, সেসব স্থানে গেলে ইয়াকুব সাধারণত উড়োজাহাজেই চড়েন। বিদেশে ট্যুরও করেন হরহামেশা। মাসিক ৩৪ হাজার টাকা বেতন জ্যেষ্ঠ সহকারী মো. ইয়াকুবের। কিন্তু স্যালারি অ্যাকাউন্টে পৌনে ৪ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। ব্যাংক এশিয়া কর্তৃপক্ষ তাঁর হিসাবটিকে সন্দেহজনক অস্বাভাবিক লেনদেন (এসটিআর) হিসেবে চিহ্নিত করেছে। আর ইয়াকুব থাকেন ৪ হাজার ৩০০ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাটে; যার মূল্য ২ কোটি ৫৮ লাখ টাকার বেশি।
গত ৫ আগস্টের পর দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হলেও এই শ্রমিক লীগ নেতা রয়েছেন বহাল তবিয়তে।
যমুনা অয়েল কোম্পানি থেকে পাওয়া তথ্যে জানা যায়, ১৯৯৪ সালে যমুনা অয়েল কোম্পানিতে অস্থায়ী পদে দৈনিক হাজিরার ভিত্তিতে চাকরি শুরু করেন ইয়াকুব। তিন বছরের মাথায় ১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠানের টাইপিস্ট পদে তাঁর চাকরি স্থায়ী হয়। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে তাঁকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
যমুনা অয়েল কোম্পানির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মচারীরা জানান, ইয়াকুবের বিলাসবহুল বাড়ি, দামি গাড়ি, জমিসহ বহু সম্পত্তি রয়েছে। তিনি এখন বহু টাকার মালিক। তাঁর বিরুদ্ধে যমুনা অয়েল কোম্পানির কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ, বদলি, পদোন্নতি, ক্যাজুয়াল ও কন্ট্রাক্টর ক্যাজুয়াল নিয়োগ, ফার্নেস অয়েল, বিটুমিনসহ বিভিন্ন খাতে মাসোহারা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে ইয়াকুবের অবৈধ সম্পদ অর্জন নিয়ে অনুসন্ধান চালাচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ২০১৪ সালেও একবার বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) তাঁর এসব অপকর্মের তদন্ত শুরু করেছিল; কিন্তু অদৃশ্য কারণে তা চাপা পড়ে যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মচারী জানিয়েছেন, ইয়াকুবের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় প্রধান তেল স্থাপনা ও দেশের সব ডিপো থেকে অবৈধভাবে চাঁদা আদায়েরও মৌখিক অভিযোগ পেয়েছে দুদক। তাঁর এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে বদলিসহ নানা রকম শাস্তি দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। এ ক্ষেত্রে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের যোগসাজশ থাকার অভিযোগ করেছেন একাধিক কর্মচারী।
ইয়াকুবের মতের বাইরের লোকজনের চাকরিচ্যুতির ঘটনাও ঘটেছে। সূত্র জানায়, ইয়াকুবের সহকর্মী বিশ্বজিৎ চৌধুরী, ইফতেখার কামাল খান ও মো. কামরুজ্জামান লিটনকে চাকরিচ্যুত করা হয়। তাঁদের মধ্যে কামরুজ্জামান লিটন মারা গেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চট্টগ্রাম নগরীর অভিজাত এলাকা লালখান বাজার ৩৩, হাই লেভেল রোডে (মানারাত ইদ্রিস প্যালেস) চার হাজার ৩০০ বর্গফুটের তিনটি ফ্ল্যাট কেনেন ইয়াকুব। পরে তিনটি ফ্ল্যাটকে একটি বানিয়ে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন।
মানারাত ইদ্রিস প্যালেস নির্মাণকারী মানারাত অ্যাসেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের এ প্রজেক্টে ইয়াকুব সাহেব যে ফ্ল্যাট কিনেছেন তার তিনটিকে একটি করা হয়েছে। এখানে মোট ৪ হাজার ৩০০ বর্গফুট। ফ্ল্যাটটি মারিয়া সুলতানা হ্যাপির কাছ থেকে কিনেছেন তিনি।’
ফখরুল ইসলাম আরও জানান, বর্তমানে এই এলাকায় প্রতি বর্গফুট ফ্ল্যাটের মূল্য ৬ হাজার টাকার বেশি। সে হিসাবে ইয়াকুবের ফ্ল্যাটটির মূল্য আড়াই কোটি টাকার বেশি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ফ্ল্যাট ছাড়াও চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ এক্সেস রোডে ইয়াকুবের ২ গন্ডা জমিতে টিনশেডের ঘর আছে। পতেঙ্গায়ও ৩ গন্ডা জমি আছে। আর গ্রামের বাড়ি বোয়ালখালীর বেঙ্গুরাসহ বিভিন্ন স্থানে ইয়াকুবের নামে-বেনামে জমি রয়েছে।
যমুনা অয়েল কোম্পানির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রায় ১২ লাখ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগও রয়েছে ইয়াকুবের বিরুদ্ধে।
যমুনা অয়েলের জ্যেষ্ঠ সহকারী মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘মো. এয়াকুব এতটাই প্রভাবশালী যে, তাঁর কথামতো যমুনা অয়েল কর্তৃপক্ষ আমাদের বেতন থেকে টাকা কেটে নিয়েছিল। গত বছর (২০২৩ সালে) আমাদের ওয়েলফেয়ার ফান্ড থেকে টাকা ফেরত দেবে বলে প্রত্যেক কর্মচারীর বেতন থেকে ১ হাজার করে কেটে নেওয়া হয়।’
রফিকুল ইসলাম আরও বলেন, ‘আমাকে পাঁচবার বদলি করিয়েছেন ইয়াকুব। অপারেটর আব্দুল মতিনকে ৫-৬ বার বদলি করিয়েছেন।’
যমুনা অয়েলের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (সেলস) মো. হাসান ইমাম বলেন, মো. ইয়াকুব ওয়েলফেয়ার ফান্ড থেকে পাঁচ লাখ টাকা নিয়ে গেছেন। এখনো সেই টাকা ফেরত দেননি।
অভিযোগ উঠেছে, যমুনা অয়েল কোম্পানির ঠিকাদারের শ্রমিক মো. আবদুল নুর ও মো. হাসান ফয়সালের সহযোগিতায় সিবিএ নেতা ইয়াকুব ২০১৯ সালে কোম্পানির ডিপোতে চাকরি দেওয়ার নামে ৮ জনের কাছ থেকে কুরিয়ার সার্ভিস ও বিকাশের মাধ্যমে কয়েক দফায় ২৯ লাখ ৭৪ হাজার টাকা নিয়েছেন।
চাকরি না হওয়ায় টাকা ফেরত চাইলে তোতা মিয়া ও চাকরিপ্রার্থীদের নানা ভয়ভীতিসহ প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে ইয়াকুবসহ তিনজনের বিরুদ্ধে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর থানায় ২০১৯ সালের ১৯ জুলাই সাধারণ ডায়েরি করেন মো. তোতা মিয়া।
কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তফা কুদরত-এ-খুদা বলেন, ‘আমি নতুন আসছি। এ বিষয়ে তেমন কোনো কিছু জানি না।’
দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১-এর সহকারী পরিচালক জুয়েল মজুমদার বলেন, যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের সিবিএ সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ ইয়াকুবের বিষয়ে অনুসন্ধান চলমান রয়েছে।
অভিযুক্ত মো. ইয়াকুবকে ফোন করে প্রথমে ৪ হাজার ৩০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট কেনার কথা বলতেই তিনি লাইন কেটে দেন। এরপর কয়েকবার ফোন ও এসএমএস দিয়েও তাঁর সাড়া পাওয়া যায়নি। অবশ্য অন্য কয়েকজন সাংবাদিক দিয়ে প্রতিবেদন না করার অনুরোধ জানান তিনি।
পরে গতকাল রোববার দুপুরে আগ্রাবাদ যমুনা অয়েল ভবনে গেলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার (এইচআর) সাইয়েদ সাইদুল ইসলাম বলেন, ইয়াকুব আসেননি। ছুটিতে আছেন কি না তাও জানাতে পারেননি ওই কর্মকর্তা।
আরও খবর পড়ুন:
আবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম

রাষ্ট্রায়ত্ত যমুনা অয়েল কোম্পানির প্রধান কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী মো. ইয়াকুব তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী। একই সঙ্গে তিনি শ্রমিক লীগ নেতাও। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গত ১৫ বছরে সিবিএর সাধারণ সম্পাদক ও গ্যাস অ্যান্ড অয়েলস ফেডারেশনের মহাসচিবের দায়িত্বও সামলাচ্ছেন।
দেশের যেসব স্থানে উড়োজাহাজে যাওয়া যায়, সেসব স্থানে গেলে ইয়াকুব সাধারণত উড়োজাহাজেই চড়েন। বিদেশে ট্যুরও করেন হরহামেশা। মাসিক ৩৪ হাজার টাকা বেতন জ্যেষ্ঠ সহকারী মো. ইয়াকুবের। কিন্তু স্যালারি অ্যাকাউন্টে পৌনে ৪ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। ব্যাংক এশিয়া কর্তৃপক্ষ তাঁর হিসাবটিকে সন্দেহজনক অস্বাভাবিক লেনদেন (এসটিআর) হিসেবে চিহ্নিত করেছে। আর ইয়াকুব থাকেন ৪ হাজার ৩০০ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাটে; যার মূল্য ২ কোটি ৫৮ লাখ টাকার বেশি।
গত ৫ আগস্টের পর দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হলেও এই শ্রমিক লীগ নেতা রয়েছেন বহাল তবিয়তে।
যমুনা অয়েল কোম্পানি থেকে পাওয়া তথ্যে জানা যায়, ১৯৯৪ সালে যমুনা অয়েল কোম্পানিতে অস্থায়ী পদে দৈনিক হাজিরার ভিত্তিতে চাকরি শুরু করেন ইয়াকুব। তিন বছরের মাথায় ১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠানের টাইপিস্ট পদে তাঁর চাকরি স্থায়ী হয়। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে তাঁকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
যমুনা অয়েল কোম্পানির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মচারীরা জানান, ইয়াকুবের বিলাসবহুল বাড়ি, দামি গাড়ি, জমিসহ বহু সম্পত্তি রয়েছে। তিনি এখন বহু টাকার মালিক। তাঁর বিরুদ্ধে যমুনা অয়েল কোম্পানির কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ, বদলি, পদোন্নতি, ক্যাজুয়াল ও কন্ট্রাক্টর ক্যাজুয়াল নিয়োগ, ফার্নেস অয়েল, বিটুমিনসহ বিভিন্ন খাতে মাসোহারা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে ইয়াকুবের অবৈধ সম্পদ অর্জন নিয়ে অনুসন্ধান চালাচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ২০১৪ সালেও একবার বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) তাঁর এসব অপকর্মের তদন্ত শুরু করেছিল; কিন্তু অদৃশ্য কারণে তা চাপা পড়ে যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মচারী জানিয়েছেন, ইয়াকুবের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় প্রধান তেল স্থাপনা ও দেশের সব ডিপো থেকে অবৈধভাবে চাঁদা আদায়েরও মৌখিক অভিযোগ পেয়েছে দুদক। তাঁর এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে বদলিসহ নানা রকম শাস্তি দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। এ ক্ষেত্রে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের যোগসাজশ থাকার অভিযোগ করেছেন একাধিক কর্মচারী।
ইয়াকুবের মতের বাইরের লোকজনের চাকরিচ্যুতির ঘটনাও ঘটেছে। সূত্র জানায়, ইয়াকুবের সহকর্মী বিশ্বজিৎ চৌধুরী, ইফতেখার কামাল খান ও মো. কামরুজ্জামান লিটনকে চাকরিচ্যুত করা হয়। তাঁদের মধ্যে কামরুজ্জামান লিটন মারা গেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চট্টগ্রাম নগরীর অভিজাত এলাকা লালখান বাজার ৩৩, হাই লেভেল রোডে (মানারাত ইদ্রিস প্যালেস) চার হাজার ৩০০ বর্গফুটের তিনটি ফ্ল্যাট কেনেন ইয়াকুব। পরে তিনটি ফ্ল্যাটকে একটি বানিয়ে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন।
মানারাত ইদ্রিস প্যালেস নির্মাণকারী মানারাত অ্যাসেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের এ প্রজেক্টে ইয়াকুব সাহেব যে ফ্ল্যাট কিনেছেন তার তিনটিকে একটি করা হয়েছে। এখানে মোট ৪ হাজার ৩০০ বর্গফুট। ফ্ল্যাটটি মারিয়া সুলতানা হ্যাপির কাছ থেকে কিনেছেন তিনি।’
ফখরুল ইসলাম আরও জানান, বর্তমানে এই এলাকায় প্রতি বর্গফুট ফ্ল্যাটের মূল্য ৬ হাজার টাকার বেশি। সে হিসাবে ইয়াকুবের ফ্ল্যাটটির মূল্য আড়াই কোটি টাকার বেশি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ফ্ল্যাট ছাড়াও চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ এক্সেস রোডে ইয়াকুবের ২ গন্ডা জমিতে টিনশেডের ঘর আছে। পতেঙ্গায়ও ৩ গন্ডা জমি আছে। আর গ্রামের বাড়ি বোয়ালখালীর বেঙ্গুরাসহ বিভিন্ন স্থানে ইয়াকুবের নামে-বেনামে জমি রয়েছে।
যমুনা অয়েল কোম্পানির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রায় ১২ লাখ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগও রয়েছে ইয়াকুবের বিরুদ্ধে।
যমুনা অয়েলের জ্যেষ্ঠ সহকারী মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘মো. এয়াকুব এতটাই প্রভাবশালী যে, তাঁর কথামতো যমুনা অয়েল কর্তৃপক্ষ আমাদের বেতন থেকে টাকা কেটে নিয়েছিল। গত বছর (২০২৩ সালে) আমাদের ওয়েলফেয়ার ফান্ড থেকে টাকা ফেরত দেবে বলে প্রত্যেক কর্মচারীর বেতন থেকে ১ হাজার করে কেটে নেওয়া হয়।’
রফিকুল ইসলাম আরও বলেন, ‘আমাকে পাঁচবার বদলি করিয়েছেন ইয়াকুব। অপারেটর আব্দুল মতিনকে ৫-৬ বার বদলি করিয়েছেন।’
যমুনা অয়েলের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (সেলস) মো. হাসান ইমাম বলেন, মো. ইয়াকুব ওয়েলফেয়ার ফান্ড থেকে পাঁচ লাখ টাকা নিয়ে গেছেন। এখনো সেই টাকা ফেরত দেননি।
অভিযোগ উঠেছে, যমুনা অয়েল কোম্পানির ঠিকাদারের শ্রমিক মো. আবদুল নুর ও মো. হাসান ফয়সালের সহযোগিতায় সিবিএ নেতা ইয়াকুব ২০১৯ সালে কোম্পানির ডিপোতে চাকরি দেওয়ার নামে ৮ জনের কাছ থেকে কুরিয়ার সার্ভিস ও বিকাশের মাধ্যমে কয়েক দফায় ২৯ লাখ ৭৪ হাজার টাকা নিয়েছেন।
চাকরি না হওয়ায় টাকা ফেরত চাইলে তোতা মিয়া ও চাকরিপ্রার্থীদের নানা ভয়ভীতিসহ প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে ইয়াকুবসহ তিনজনের বিরুদ্ধে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর থানায় ২০১৯ সালের ১৯ জুলাই সাধারণ ডায়েরি করেন মো. তোতা মিয়া।
কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তফা কুদরত-এ-খুদা বলেন, ‘আমি নতুন আসছি। এ বিষয়ে তেমন কোনো কিছু জানি না।’
দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১-এর সহকারী পরিচালক জুয়েল মজুমদার বলেন, যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের সিবিএ সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ ইয়াকুবের বিষয়ে অনুসন্ধান চলমান রয়েছে।
অভিযুক্ত মো. ইয়াকুবকে ফোন করে প্রথমে ৪ হাজার ৩০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট কেনার কথা বলতেই তিনি লাইন কেটে দেন। এরপর কয়েকবার ফোন ও এসএমএস দিয়েও তাঁর সাড়া পাওয়া যায়নি। অবশ্য অন্য কয়েকজন সাংবাদিক দিয়ে প্রতিবেদন না করার অনুরোধ জানান তিনি।
পরে গতকাল রোববার দুপুরে আগ্রাবাদ যমুনা অয়েল ভবনে গেলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার (এইচআর) সাইয়েদ সাইদুল ইসলাম বলেন, ইয়াকুব আসেননি। ছুটিতে আছেন কি না তাও জানাতে পারেননি ওই কর্মকর্তা।
আরও খবর পড়ুন:

রাষ্ট্রায়ত্ত যমুনা অয়েল কোম্পানির প্রধান কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী মো. ইয়াকুব তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী। একই সঙ্গে তিনি শ্রমিক লীগ নেতাও। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গত ১৫ বছরে সিবিএর সাধারণ সম্পাদক ও গ্যাস অ্যান্ড অয়েলস ফেডারেশনের মহাসচিবের দায়িত্বও সামলাচ্ছেন।
দেশের যেসব স্থানে উড়োজাহাজে যাওয়া যায়, সেসব স্থানে গেলে ইয়াকুব সাধারণত উড়োজাহাজেই চড়েন। বিদেশে ট্যুরও করেন হরহামেশা। মাসিক ৩৪ হাজার টাকা বেতন জ্যেষ্ঠ সহকারী মো. ইয়াকুবের। কিন্তু স্যালারি অ্যাকাউন্টে পৌনে ৪ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। ব্যাংক এশিয়া কর্তৃপক্ষ তাঁর হিসাবটিকে সন্দেহজনক অস্বাভাবিক লেনদেন (এসটিআর) হিসেবে চিহ্নিত করেছে। আর ইয়াকুব থাকেন ৪ হাজার ৩০০ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাটে; যার মূল্য ২ কোটি ৫৮ লাখ টাকার বেশি।
গত ৫ আগস্টের পর দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হলেও এই শ্রমিক লীগ নেতা রয়েছেন বহাল তবিয়তে।
যমুনা অয়েল কোম্পানি থেকে পাওয়া তথ্যে জানা যায়, ১৯৯৪ সালে যমুনা অয়েল কোম্পানিতে অস্থায়ী পদে দৈনিক হাজিরার ভিত্তিতে চাকরি শুরু করেন ইয়াকুব। তিন বছরের মাথায় ১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠানের টাইপিস্ট পদে তাঁর চাকরি স্থায়ী হয়। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে তাঁকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
যমুনা অয়েল কোম্পানির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মচারীরা জানান, ইয়াকুবের বিলাসবহুল বাড়ি, দামি গাড়ি, জমিসহ বহু সম্পত্তি রয়েছে। তিনি এখন বহু টাকার মালিক। তাঁর বিরুদ্ধে যমুনা অয়েল কোম্পানির কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ, বদলি, পদোন্নতি, ক্যাজুয়াল ও কন্ট্রাক্টর ক্যাজুয়াল নিয়োগ, ফার্নেস অয়েল, বিটুমিনসহ বিভিন্ন খাতে মাসোহারা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে ইয়াকুবের অবৈধ সম্পদ অর্জন নিয়ে অনুসন্ধান চালাচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ২০১৪ সালেও একবার বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) তাঁর এসব অপকর্মের তদন্ত শুরু করেছিল; কিন্তু অদৃশ্য কারণে তা চাপা পড়ে যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মচারী জানিয়েছেন, ইয়াকুবের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় প্রধান তেল স্থাপনা ও দেশের সব ডিপো থেকে অবৈধভাবে চাঁদা আদায়েরও মৌখিক অভিযোগ পেয়েছে দুদক। তাঁর এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে বদলিসহ নানা রকম শাস্তি দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। এ ক্ষেত্রে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের যোগসাজশ থাকার অভিযোগ করেছেন একাধিক কর্মচারী।
ইয়াকুবের মতের বাইরের লোকজনের চাকরিচ্যুতির ঘটনাও ঘটেছে। সূত্র জানায়, ইয়াকুবের সহকর্মী বিশ্বজিৎ চৌধুরী, ইফতেখার কামাল খান ও মো. কামরুজ্জামান লিটনকে চাকরিচ্যুত করা হয়। তাঁদের মধ্যে কামরুজ্জামান লিটন মারা গেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চট্টগ্রাম নগরীর অভিজাত এলাকা লালখান বাজার ৩৩, হাই লেভেল রোডে (মানারাত ইদ্রিস প্যালেস) চার হাজার ৩০০ বর্গফুটের তিনটি ফ্ল্যাট কেনেন ইয়াকুব। পরে তিনটি ফ্ল্যাটকে একটি বানিয়ে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন।
মানারাত ইদ্রিস প্যালেস নির্মাণকারী মানারাত অ্যাসেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের এ প্রজেক্টে ইয়াকুব সাহেব যে ফ্ল্যাট কিনেছেন তার তিনটিকে একটি করা হয়েছে। এখানে মোট ৪ হাজার ৩০০ বর্গফুট। ফ্ল্যাটটি মারিয়া সুলতানা হ্যাপির কাছ থেকে কিনেছেন তিনি।’
ফখরুল ইসলাম আরও জানান, বর্তমানে এই এলাকায় প্রতি বর্গফুট ফ্ল্যাটের মূল্য ৬ হাজার টাকার বেশি। সে হিসাবে ইয়াকুবের ফ্ল্যাটটির মূল্য আড়াই কোটি টাকার বেশি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ফ্ল্যাট ছাড়াও চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ এক্সেস রোডে ইয়াকুবের ২ গন্ডা জমিতে টিনশেডের ঘর আছে। পতেঙ্গায়ও ৩ গন্ডা জমি আছে। আর গ্রামের বাড়ি বোয়ালখালীর বেঙ্গুরাসহ বিভিন্ন স্থানে ইয়াকুবের নামে-বেনামে জমি রয়েছে।
যমুনা অয়েল কোম্পানির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রায় ১২ লাখ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগও রয়েছে ইয়াকুবের বিরুদ্ধে।
যমুনা অয়েলের জ্যেষ্ঠ সহকারী মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘মো. এয়াকুব এতটাই প্রভাবশালী যে, তাঁর কথামতো যমুনা অয়েল কর্তৃপক্ষ আমাদের বেতন থেকে টাকা কেটে নিয়েছিল। গত বছর (২০২৩ সালে) আমাদের ওয়েলফেয়ার ফান্ড থেকে টাকা ফেরত দেবে বলে প্রত্যেক কর্মচারীর বেতন থেকে ১ হাজার করে কেটে নেওয়া হয়।’
রফিকুল ইসলাম আরও বলেন, ‘আমাকে পাঁচবার বদলি করিয়েছেন ইয়াকুব। অপারেটর আব্দুল মতিনকে ৫-৬ বার বদলি করিয়েছেন।’
যমুনা অয়েলের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (সেলস) মো. হাসান ইমাম বলেন, মো. ইয়াকুব ওয়েলফেয়ার ফান্ড থেকে পাঁচ লাখ টাকা নিয়ে গেছেন। এখনো সেই টাকা ফেরত দেননি।
অভিযোগ উঠেছে, যমুনা অয়েল কোম্পানির ঠিকাদারের শ্রমিক মো. আবদুল নুর ও মো. হাসান ফয়সালের সহযোগিতায় সিবিএ নেতা ইয়াকুব ২০১৯ সালে কোম্পানির ডিপোতে চাকরি দেওয়ার নামে ৮ জনের কাছ থেকে কুরিয়ার সার্ভিস ও বিকাশের মাধ্যমে কয়েক দফায় ২৯ লাখ ৭৪ হাজার টাকা নিয়েছেন।
চাকরি না হওয়ায় টাকা ফেরত চাইলে তোতা মিয়া ও চাকরিপ্রার্থীদের নানা ভয়ভীতিসহ প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে ইয়াকুবসহ তিনজনের বিরুদ্ধে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর থানায় ২০১৯ সালের ১৯ জুলাই সাধারণ ডায়েরি করেন মো. তোতা মিয়া।
কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তফা কুদরত-এ-খুদা বলেন, ‘আমি নতুন আসছি। এ বিষয়ে তেমন কোনো কিছু জানি না।’
দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১-এর সহকারী পরিচালক জুয়েল মজুমদার বলেন, যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের সিবিএ সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ ইয়াকুবের বিষয়ে অনুসন্ধান চলমান রয়েছে।
অভিযুক্ত মো. ইয়াকুবকে ফোন করে প্রথমে ৪ হাজার ৩০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট কেনার কথা বলতেই তিনি লাইন কেটে দেন। এরপর কয়েকবার ফোন ও এসএমএস দিয়েও তাঁর সাড়া পাওয়া যায়নি। অবশ্য অন্য কয়েকজন সাংবাদিক দিয়ে প্রতিবেদন না করার অনুরোধ জানান তিনি।
পরে গতকাল রোববার দুপুরে আগ্রাবাদ যমুনা অয়েল ভবনে গেলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার (এইচআর) সাইয়েদ সাইদুল ইসলাম বলেন, ইয়াকুব আসেননি। ছুটিতে আছেন কি না তাও জানাতে পারেননি ওই কর্মকর্তা।
আরও খবর পড়ুন:

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় সড়কের ওপর রাখা ধানে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই চাচাতো ভাই নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের তালতলা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. গিয়াস উদ্দিন (৫৫) ও তাঁর চাচাতো ভাই জালাল আহমদ (৪৫)। তাঁরা দুজনই শরীফপুর
৬ মিনিট আগে
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘নরসিংদীতে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা এখন রায়পুরা উপজেলা। চরাঞ্চলে সন্ত্রাসীদের আড্ডা, আধিপত্য বিস্তার ও অবৈধ অস্ত্রের বিস্তার উদ্বেগজনক। যত দ্রুত সম্ভব কম্বিং অপারেশন চালিয়ে সব সন্ত্রাসীকে আইনের আওতায় আনা হবে।’
১৯ মিনিট আগে
মাদকে ছেয়ে গেছে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পৌর শহর। দিনরাত চলে মাদকসেবী ও বখাটেদের উৎপাত। এতে অতিষ্ঠ শহরবাসী। এ ছাড়া শহরের একাধিক স্থানে চলে অসামাজিক কার্যকলাপ। এসব স্থানে মাদকসেবীদের আড্ডা বসে। প্রভাবশালীদের ছত্রচ্ছায়ায় এসব অসামাজিক কার্যকলাপ দীর্ঘদিন ধরে চললেও স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
২৫ মিনিট আগে
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে পুকুরে ডুবে শাহবাব মন্ডল (আড়াই বছর) ও আবু তোহা মন্ডল (৩) নামের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের যাদুরচর নতুন গ্রাম এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেমৌলভীবাজার প্রতিনিধি

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় সড়কের ওপর রাখা ধানে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই চাচাতো ভাই নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের তালতলা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. গিয়াস উদ্দিন (৫৫) ও তাঁর চাচাতো ভাই জালাল আহমদ (৪৫)। তাঁরা দুজনই শরীফপুর ইউনিয়নের তেলিবিল (তালতলা) গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মোটরসাইকেলে করে বটতলা বাজারে যাচ্ছিলেন গিয়াস ও জালাল। তালতলা এলাকায় সড়কের ওপর জমি থেকে কাটা ধানের গাদা রাখা ছিল। এতে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সামনে থেকে আসা একটি ব্যাটারিচালিত টমটমের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। দুই ভাই গুরুতর আহত হন। স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. লোকমান আহমদ বলেন, একই পরিবারের দুই সদস্যের মৃত্যুতে গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান মোল্যা বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
স্থানীয় সচেতন নাগরিকেরা জানান, আমন মৌসুমে ধান কাটার সময় বিভিন্ন সড়কে ধান ও খড় রাখা সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে। কুয়াশায় খড় পিচ্ছিল হয়ে দুর্ঘটনার ঝুঁকি আরও বাড়ে। এ বিষয়ে প্রশাসন বা স্থানীয়ভাবে কার্যকর উদ্যোগ না নেওয়ায় অনেকেই প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন।

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় সড়কের ওপর রাখা ধানে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই চাচাতো ভাই নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের তালতলা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. গিয়াস উদ্দিন (৫৫) ও তাঁর চাচাতো ভাই জালাল আহমদ (৪৫)। তাঁরা দুজনই শরীফপুর ইউনিয়নের তেলিবিল (তালতলা) গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মোটরসাইকেলে করে বটতলা বাজারে যাচ্ছিলেন গিয়াস ও জালাল। তালতলা এলাকায় সড়কের ওপর জমি থেকে কাটা ধানের গাদা রাখা ছিল। এতে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সামনে থেকে আসা একটি ব্যাটারিচালিত টমটমের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। দুই ভাই গুরুতর আহত হন। স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. লোকমান আহমদ বলেন, একই পরিবারের দুই সদস্যের মৃত্যুতে গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান মোল্যা বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
স্থানীয় সচেতন নাগরিকেরা জানান, আমন মৌসুমে ধান কাটার সময় বিভিন্ন সড়কে ধান ও খড় রাখা সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে। কুয়াশায় খড় পিচ্ছিল হয়ে দুর্ঘটনার ঝুঁকি আরও বাড়ে। এ বিষয়ে প্রশাসন বা স্থানীয়ভাবে কার্যকর উদ্যোগ না নেওয়ায় অনেকেই প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন।

রাষ্ট্রায়ত্ত যমুনা অয়েল কোম্পানির প্রধান কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী মো. ইয়াকুব তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী। একই সঙ্গে তিনি শ্রমিক লীগ নেতাও। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গত ১৫ বছরে সিবিএর সাধারণ সম্পাদক ও গ্যাস অ্যান্ড অয়েলস ফেডারেশনের মহাসচিবের দায়িত্বও সামলাচ্ছেন।
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘নরসিংদীতে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা এখন রায়পুরা উপজেলা। চরাঞ্চলে সন্ত্রাসীদের আড্ডা, আধিপত্য বিস্তার ও অবৈধ অস্ত্রের বিস্তার উদ্বেগজনক। যত দ্রুত সম্ভব কম্বিং অপারেশন চালিয়ে সব সন্ত্রাসীকে আইনের আওতায় আনা হবে।’
১৯ মিনিট আগে
মাদকে ছেয়ে গেছে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পৌর শহর। দিনরাত চলে মাদকসেবী ও বখাটেদের উৎপাত। এতে অতিষ্ঠ শহরবাসী। এ ছাড়া শহরের একাধিক স্থানে চলে অসামাজিক কার্যকলাপ। এসব স্থানে মাদকসেবীদের আড্ডা বসে। প্রভাবশালীদের ছত্রচ্ছায়ায় এসব অসামাজিক কার্যকলাপ দীর্ঘদিন ধরে চললেও স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
২৫ মিনিট আগে
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে পুকুরে ডুবে শাহবাব মন্ডল (আড়াই বছর) ও আবু তোহা মন্ডল (৩) নামের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের যাদুরচর নতুন গ্রাম এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেনরসিংদী প্রতিনিধি

নরসিংদীর চরাঞ্চলে চলমান সংঘাত, দখলবাজি ও সন্ত্রাসী তৎপরতা বন্ধে দ্রুত সময়ের মধ্যে বিশেষ কম্বিং অপারেশন চালানো হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে নরসিংদী পুলিশ লাইনস পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এই তথ্য জানান।
পরিদর্শনকালে তিনি পুলিশ লাইনসে বৃক্ষরোপণ করেন এবং হাসপাতাল, রেশন স্টোর, রান্নাঘর, খাবারের মান, পুকুর, প্রশিক্ষণের মাঠসহ বিভিন্ন স্থাপনা ঘুরে দেখেন। সামগ্রিক পরিস্থিতি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। এ সময় নরসিংদীর পুলিশ সুপারসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘নরসিংদীতে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা এখন রায়পুরা উপজেলা। চরাঞ্চলে সন্ত্রাসীদের আড্ডা, আধিপত্য বিস্তার ও অবৈধ অস্ত্রের বিস্তার উদ্বেগজনক। যত দ্রুত সম্ভব কম্বিং অপারেশন চালিয়ে সব সন্ত্রাসীকে আইনের আওতায় আনা হবে।’
রায়পুরার চরাঞ্চলে দীর্ঘদিনের সংঘাত মানুষের স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার চরাঞ্চলকে সন্ত্রাসমুক্ত করে স্বাভাবিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। এ জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাকে সমন্বিত অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সচেতন ব্যক্তিরা মনে করেন, ঘোষিত বিশেষ কম্বিং অপারেশন বাস্তবায়িত হলে বহুদিনের সশস্ত্র সংঘাত, গোলাগুলি ও সন্ত্রাসী তৎপরতার অবসান ঘটবে এবং নরসিংদীর চরাঞ্চলে শান্তি ফিরে আসবে।
পরে দুপুর ১২টার দিকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জেলা কারাগার পরিদর্শন করেন। বেলা ২টায় তিনি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় অংশ নেন, যেখানে জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, কৃষি উৎপাদন, সার-বীজ সরবরাহ ও সেচ ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা হয়।

নরসিংদীর চরাঞ্চলে চলমান সংঘাত, দখলবাজি ও সন্ত্রাসী তৎপরতা বন্ধে দ্রুত সময়ের মধ্যে বিশেষ কম্বিং অপারেশন চালানো হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে নরসিংদী পুলিশ লাইনস পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এই তথ্য জানান।
পরিদর্শনকালে তিনি পুলিশ লাইনসে বৃক্ষরোপণ করেন এবং হাসপাতাল, রেশন স্টোর, রান্নাঘর, খাবারের মান, পুকুর, প্রশিক্ষণের মাঠসহ বিভিন্ন স্থাপনা ঘুরে দেখেন। সামগ্রিক পরিস্থিতি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। এ সময় নরসিংদীর পুলিশ সুপারসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘নরসিংদীতে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা এখন রায়পুরা উপজেলা। চরাঞ্চলে সন্ত্রাসীদের আড্ডা, আধিপত্য বিস্তার ও অবৈধ অস্ত্রের বিস্তার উদ্বেগজনক। যত দ্রুত সম্ভব কম্বিং অপারেশন চালিয়ে সব সন্ত্রাসীকে আইনের আওতায় আনা হবে।’
রায়পুরার চরাঞ্চলে দীর্ঘদিনের সংঘাত মানুষের স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার চরাঞ্চলকে সন্ত্রাসমুক্ত করে স্বাভাবিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। এ জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাকে সমন্বিত অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সচেতন ব্যক্তিরা মনে করেন, ঘোষিত বিশেষ কম্বিং অপারেশন বাস্তবায়িত হলে বহুদিনের সশস্ত্র সংঘাত, গোলাগুলি ও সন্ত্রাসী তৎপরতার অবসান ঘটবে এবং নরসিংদীর চরাঞ্চলে শান্তি ফিরে আসবে।
পরে দুপুর ১২টার দিকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জেলা কারাগার পরিদর্শন করেন। বেলা ২টায় তিনি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় অংশ নেন, যেখানে জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, কৃষি উৎপাদন, সার-বীজ সরবরাহ ও সেচ ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা হয়।

রাষ্ট্রায়ত্ত যমুনা অয়েল কোম্পানির প্রধান কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী মো. ইয়াকুব তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী। একই সঙ্গে তিনি শ্রমিক লীগ নেতাও। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গত ১৫ বছরে সিবিএর সাধারণ সম্পাদক ও গ্যাস অ্যান্ড অয়েলস ফেডারেশনের মহাসচিবের দায়িত্বও সামলাচ্ছেন।
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় সড়কের ওপর রাখা ধানে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই চাচাতো ভাই নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের তালতলা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. গিয়াস উদ্দিন (৫৫) ও তাঁর চাচাতো ভাই জালাল আহমদ (৪৫)। তাঁরা দুজনই শরীফপুর
৬ মিনিট আগে
মাদকে ছেয়ে গেছে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পৌর শহর। দিনরাত চলে মাদকসেবী ও বখাটেদের উৎপাত। এতে অতিষ্ঠ শহরবাসী। এ ছাড়া শহরের একাধিক স্থানে চলে অসামাজিক কার্যকলাপ। এসব স্থানে মাদকসেবীদের আড্ডা বসে। প্রভাবশালীদের ছত্রচ্ছায়ায় এসব অসামাজিক কার্যকলাপ দীর্ঘদিন ধরে চললেও স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
২৫ মিনিট আগে
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে পুকুরে ডুবে শাহবাব মন্ডল (আড়াই বছর) ও আবু তোহা মন্ডল (৩) নামের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের যাদুরচর নতুন গ্রাম এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেনেত্রকোনা প্রতিনিধি

মাদকে ছেয়ে গেছে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পৌর শহর। দিনরাত চলে মাদকসেবী ও বখাটেদের উৎপাত। এতে অতিষ্ঠ শহরবাসী। এ ছাড়া শহরের একাধিক স্থানে চলে অসামাজিক কার্যকলাপ। এসব স্থানে মাদকসেবীদের আড্ডা বসে। প্রভাবশালীদের ছত্রচ্ছায়ায় এসব অসামাজিক কার্যকলাপ দীর্ঘদিন ধরে চললেও স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এসব বন্ধে শহরের বাসিন্দারা অতিষ্ঠ হয়ে এবার পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হয়েছেন।
শহরের ৮০ জন বাসিন্দা স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগপত্র গত রোববার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে। এর অনুলিপি জেলা প্রশাসক, সংশ্লিষ্ট থানার ওসি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরেও পাঠানো হয়েছে।
আজ বুধবার জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) হাফিজুল ইসলাম বলেন, এসব ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ মিলে যৌথ অভিযান পরিচালনা করলে আশানুরূপ ফল আসবে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য থানা-পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, পৌর শহরে মাদকসেবীর সংখ্যা অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। মাদকের টাকা জোগাড় করতে তরুণেরা অপরাধে জড়াচ্ছেন। সেই সঙ্গে শিক্ষার্থীরাও মাদকে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
মোহনগঞ্জ থানার ওসির দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুজ্জামান বলেন, দ্রুত এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমেনা খাতুন বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা বলব। যৌথভাবে এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জেলা প্রশাসক মো. সাইফুর রহমান বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট ইউএনওর সঙ্গে কথা বলেছি। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’

মাদকে ছেয়ে গেছে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পৌর শহর। দিনরাত চলে মাদকসেবী ও বখাটেদের উৎপাত। এতে অতিষ্ঠ শহরবাসী। এ ছাড়া শহরের একাধিক স্থানে চলে অসামাজিক কার্যকলাপ। এসব স্থানে মাদকসেবীদের আড্ডা বসে। প্রভাবশালীদের ছত্রচ্ছায়ায় এসব অসামাজিক কার্যকলাপ দীর্ঘদিন ধরে চললেও স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এসব বন্ধে শহরের বাসিন্দারা অতিষ্ঠ হয়ে এবার পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হয়েছেন।
শহরের ৮০ জন বাসিন্দা স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগপত্র গত রোববার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে। এর অনুলিপি জেলা প্রশাসক, সংশ্লিষ্ট থানার ওসি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরেও পাঠানো হয়েছে।
আজ বুধবার জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) হাফিজুল ইসলাম বলেন, এসব ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ মিলে যৌথ অভিযান পরিচালনা করলে আশানুরূপ ফল আসবে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য থানা-পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, পৌর শহরে মাদকসেবীর সংখ্যা অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। মাদকের টাকা জোগাড় করতে তরুণেরা অপরাধে জড়াচ্ছেন। সেই সঙ্গে শিক্ষার্থীরাও মাদকে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
মোহনগঞ্জ থানার ওসির দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুজ্জামান বলেন, দ্রুত এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমেনা খাতুন বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা বলব। যৌথভাবে এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জেলা প্রশাসক মো. সাইফুর রহমান বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট ইউএনওর সঙ্গে কথা বলেছি। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’

রাষ্ট্রায়ত্ত যমুনা অয়েল কোম্পানির প্রধান কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী মো. ইয়াকুব তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী। একই সঙ্গে তিনি শ্রমিক লীগ নেতাও। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গত ১৫ বছরে সিবিএর সাধারণ সম্পাদক ও গ্যাস অ্যান্ড অয়েলস ফেডারেশনের মহাসচিবের দায়িত্বও সামলাচ্ছেন।
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় সড়কের ওপর রাখা ধানে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই চাচাতো ভাই নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের তালতলা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. গিয়াস উদ্দিন (৫৫) ও তাঁর চাচাতো ভাই জালাল আহমদ (৪৫)। তাঁরা দুজনই শরীফপুর
৬ মিনিট আগে
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘নরসিংদীতে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা এখন রায়পুরা উপজেলা। চরাঞ্চলে সন্ত্রাসীদের আড্ডা, আধিপত্য বিস্তার ও অবৈধ অস্ত্রের বিস্তার উদ্বেগজনক। যত দ্রুত সম্ভব কম্বিং অপারেশন চালিয়ে সব সন্ত্রাসীকে আইনের আওতায় আনা হবে।’
১৯ মিনিট আগে
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে পুকুরে ডুবে শাহবাব মন্ডল (আড়াই বছর) ও আবু তোহা মন্ডল (৩) নামের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের যাদুরচর নতুন গ্রাম এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেকুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে পুকুরে ডুবে শাহবাব মন্ডল (আড়াই বছর) ও আবু তোহা মন্ডল (৩) নামের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের যাদুরচর নতুন গ্রাম এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
শাহবাব মন্ডল উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের ধনারচর নতুন গ্রামের শাহজাহান মন্ডলের ছেলে এবং আবু তোহা মন্ডল একই গ্রামের আবু তালেবের ছেলে। এই দুই শিশু সম্পর্কে মামা-ভাগনে।
পরিবারের বরাত দিয়ে যাদুরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সরবেশ আলী জানান, বুধবার সকালে ওই দুই শিশু তালেব মন্ডলের বাড়িতে খেলা করছিল। এ সময় সবার অজান্তে তারা বাড়ির পাশে পুকুরের পানিতে পড়ে যায়। স্বজনেরা পুকুর থেকে দুই শিশুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। দায়িত্বরত চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক একই এলাকার বাসিন্দা ও কুড়িগ্রাম-৪ আসনের বিএনপির মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী আজিজুর রহমান ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তিনি শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
রৌমারী থানার উপপরিদর্শক শাহনেওয়াজ হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। সহকারী কমিশনার (ভূমি) ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। দুই শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে পুকুরে ডুবে শাহবাব মন্ডল (আড়াই বছর) ও আবু তোহা মন্ডল (৩) নামের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের যাদুরচর নতুন গ্রাম এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
শাহবাব মন্ডল উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের ধনারচর নতুন গ্রামের শাহজাহান মন্ডলের ছেলে এবং আবু তোহা মন্ডল একই গ্রামের আবু তালেবের ছেলে। এই দুই শিশু সম্পর্কে মামা-ভাগনে।
পরিবারের বরাত দিয়ে যাদুরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সরবেশ আলী জানান, বুধবার সকালে ওই দুই শিশু তালেব মন্ডলের বাড়িতে খেলা করছিল। এ সময় সবার অজান্তে তারা বাড়ির পাশে পুকুরের পানিতে পড়ে যায়। স্বজনেরা পুকুর থেকে দুই শিশুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। দায়িত্বরত চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক একই এলাকার বাসিন্দা ও কুড়িগ্রাম-৪ আসনের বিএনপির মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী আজিজুর রহমান ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তিনি শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
রৌমারী থানার উপপরিদর্শক শাহনেওয়াজ হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। সহকারী কমিশনার (ভূমি) ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। দুই শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রাষ্ট্রায়ত্ত যমুনা অয়েল কোম্পানির প্রধান কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী মো. ইয়াকুব তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী। একই সঙ্গে তিনি শ্রমিক লীগ নেতাও। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গত ১৫ বছরে সিবিএর সাধারণ সম্পাদক ও গ্যাস অ্যান্ড অয়েলস ফেডারেশনের মহাসচিবের দায়িত্বও সামলাচ্ছেন।
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় সড়কের ওপর রাখা ধানে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই চাচাতো ভাই নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের তালতলা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. গিয়াস উদ্দিন (৫৫) ও তাঁর চাচাতো ভাই জালাল আহমদ (৪৫)। তাঁরা দুজনই শরীফপুর
৬ মিনিট আগে
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘নরসিংদীতে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা এখন রায়পুরা উপজেলা। চরাঞ্চলে সন্ত্রাসীদের আড্ডা, আধিপত্য বিস্তার ও অবৈধ অস্ত্রের বিস্তার উদ্বেগজনক। যত দ্রুত সম্ভব কম্বিং অপারেশন চালিয়ে সব সন্ত্রাসীকে আইনের আওতায় আনা হবে।’
১৯ মিনিট আগে
মাদকে ছেয়ে গেছে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পৌর শহর। দিনরাত চলে মাদকসেবী ও বখাটেদের উৎপাত। এতে অতিষ্ঠ শহরবাসী। এ ছাড়া শহরের একাধিক স্থানে চলে অসামাজিক কার্যকলাপ। এসব স্থানে মাদকসেবীদের আড্ডা বসে। প্রভাবশালীদের ছত্রচ্ছায়ায় এসব অসামাজিক কার্যকলাপ দীর্ঘদিন ধরে চললেও স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
২৫ মিনিট আগে