নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে ক্যানসার আক্রান্তদের মধ্যে নারীরা সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন স্তন ক্যানসারে। এর হার ক্যানসার রোগীদের মধ্যে ১৮ শতাংশ। আর ক্যানসার রোগীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় ফুসফুসের ক্যানসার। এর হার ৩০ শতাংশ। এটা পুরুষদের মধ্যে বেশি।
চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল ক্যানসার ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা শুরু হওয়ার ২১ মাসে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে পাওয়া গেছে এ চিত্র। এই মরণব্যাধি ভবিষ্যতে মহামারিতে রূপ নিতে পারে বলে সতর্ক করেছেন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা।
২০২৩ সালের নভেম্বরে ক্যানসার ইনস্টিটিউট চালু হওয়ার পর থেকে গত আগস্ট পর্যন্ত ২১ মাসে এখান থেকে বহির্বিভাগে চিকিৎসাসেবা নিয়েছেন ১৯ হাজার ৫৪ জন। ভর্তি হয়ে সেবা নিয়েছেন ৩ হাজার ১০৭ জন। কেমোথেরাপি, রেডিওথেরাপি ও অন্যান্য সেবা নিয়েছেন প্রায় সাড়ে ৮ হাজার জন।
রোগীদের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এখানে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৩০ শতাংশ ফুসফুস ক্যানসারে আক্রান্ত। এটি পুরুষদের মধ্যে বেশি। ফুসফুস ক্যানসারে বেঁচে থাকার হার সবচেয়ে কম। এরপরের অবস্থানে রয়েছে স্তন ক্যানসার আক্রান্ত রোগী। যার হার ১৮ শতাংশ। নারীকেন্দ্রিক এই ক্যানসারে রোগীদের মৃত্যুহার প্রায় ৭ দশমিক ৬ শতাংশ। অন্যান্য ক্যানসারের মধ্যে হেড অ্যান্ড নেক ক্যানসারে আক্রান্ত ১৫ শতাংশ, পাকস্থলীর ১০ শতাংশ, জরায়ুতে ৮ শতাংশ এবং মলাশয়ের ক্যানসারে আক্রান্ত ৭ শতাংশ। একইভাবে খাদ্যনালি ক্যানসারে প্রতি ১ লাখে প্রায় ১৬ জন, ডিম্বাশয়ের ক্যানসারে ৪ শতাংশ, গলব্লাডার ক্যানসারে ৩ শতাংশ এবং কিছু বিরল ক্যানসারে ২-৩ শতাংশ আক্রান্ত হয়।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল ক্যানসার ইনস্টিটিউটের পরিচালক ও বিভাগীয় প্রধান ডা. শেফাতুজ্জাহান জানান, চট্টগ্রামের মানুষকে দুটি ক্যানসারে বেশি আক্রান্ত হতে দেখা যাচ্ছে। এর মধ্যে উদ্বেগজনক হারে নারীরা স্তন ক্যানসার ও পুরুষরা ফুসফুস ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছেন। এই দুই ক্যানসারেই আক্রান্ত হওয়ার হার বেশি।
ক্যানসার আক্রান্তদের মধ্যে নারী রোগীর সংখ্যা শতকরা প্রায় ৫৫-৬০ ভাগ, পুরুষের সংখ্যা শতকরা প্রায় ৪০-৪৫ ভাগ এবং শিশুদের সংখ্যা শতকরা প্রায় ৩-৪ ভাগ বলেও জানান এই চিকিৎসক।
ইনস্টিটিউট থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, এই হাসপাতালে পুরুষ ও নারী ওয়ার্ডে ৬০ শয্যায় ক্যানসার রোগী চিকিৎসা নেন। আরও সমানসংখ্যক রোগী ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়ার সক্ষমতা রয়েছে এখানে। সংকটাপন্ন রোগীদের জন্য ১৬ সিটের ক্যানসার আইসিইউও রয়েছে।
১৯৭৯ সালে চট্টগ্রামের কিছু মহানুভব ব্যক্তির উদ্যোগে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে ৮৫০ শয্যার এই হাসপাতালে ১৫০ আসনের মেডিকেল কলেজ এবং নার্সিং ইনস্টিটিউটসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে। ২০২৩ সালের নভেম্বরে যাত্রা শুরু করে ক্যানসার ইনস্টিটিউট।
সেবার বিষয়ে ইনস্টিটিউটের ক্যানসার আইসিইউর কনসালট্যান্ট মাহাদী হাসান জানান, ক্যানসার রোগীদের জন্য আলাদা আইসিইউ থাকার বিষয়টি আন্তর্জাতিক একটি প্রটোকল, যা এখানে রয়েছে।
সংশ্লিষ্টদের দেওয়া তথ্যমতে, শিপব্রেকিং ও কারখানার বর্জ্যে বায়ু ও পানিদূষণ, পান, সুপারি, তামাক, ধূমপান ইত্যাদির অভ্যাস, লবণাক্ত খাবার ও মাংস বেশি খাওয়ার পাশাপাশি ভেজাল খাদ্য, অ্যাসবেস্টসসহ বিভিন্ন রাসায়নিক ও ধাতুর সংস্পর্শ, প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ ধরা না পড়া এবং বংশগত ঝুঁকির কারণে ক্যানসারের মাত্রা বাড়ছে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) চট্টগ্রামের সমন্বয়ক মুনিরা পারভীন রুবা বলেন, পরিবেশ বিপর্যয়, জলবায়ু পরিবর্তন, বিষাক্ত বর্জ্য, ভেজাল খাদ্যসহ নানা কারণে ক্যানসারের প্রকোপ মারাত্মক আকার ধারণ করছে। এখন থেকে সচেতন না হলে ভবিষ্যতে এটি মহামারি আকারে রূপ নিতে পারে।
আরও খবর পড়ুন:
চট্টগ্রামে ক্যানসার আক্রান্তদের মধ্যে নারীরা সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন স্তন ক্যানসারে। এর হার ক্যানসার রোগীদের মধ্যে ১৮ শতাংশ। আর ক্যানসার রোগীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় ফুসফুসের ক্যানসার। এর হার ৩০ শতাংশ। এটা পুরুষদের মধ্যে বেশি।
চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল ক্যানসার ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা শুরু হওয়ার ২১ মাসে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে পাওয়া গেছে এ চিত্র। এই মরণব্যাধি ভবিষ্যতে মহামারিতে রূপ নিতে পারে বলে সতর্ক করেছেন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা।
২০২৩ সালের নভেম্বরে ক্যানসার ইনস্টিটিউট চালু হওয়ার পর থেকে গত আগস্ট পর্যন্ত ২১ মাসে এখান থেকে বহির্বিভাগে চিকিৎসাসেবা নিয়েছেন ১৯ হাজার ৫৪ জন। ভর্তি হয়ে সেবা নিয়েছেন ৩ হাজার ১০৭ জন। কেমোথেরাপি, রেডিওথেরাপি ও অন্যান্য সেবা নিয়েছেন প্রায় সাড়ে ৮ হাজার জন।
রোগীদের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এখানে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৩০ শতাংশ ফুসফুস ক্যানসারে আক্রান্ত। এটি পুরুষদের মধ্যে বেশি। ফুসফুস ক্যানসারে বেঁচে থাকার হার সবচেয়ে কম। এরপরের অবস্থানে রয়েছে স্তন ক্যানসার আক্রান্ত রোগী। যার হার ১৮ শতাংশ। নারীকেন্দ্রিক এই ক্যানসারে রোগীদের মৃত্যুহার প্রায় ৭ দশমিক ৬ শতাংশ। অন্যান্য ক্যানসারের মধ্যে হেড অ্যান্ড নেক ক্যানসারে আক্রান্ত ১৫ শতাংশ, পাকস্থলীর ১০ শতাংশ, জরায়ুতে ৮ শতাংশ এবং মলাশয়ের ক্যানসারে আক্রান্ত ৭ শতাংশ। একইভাবে খাদ্যনালি ক্যানসারে প্রতি ১ লাখে প্রায় ১৬ জন, ডিম্বাশয়ের ক্যানসারে ৪ শতাংশ, গলব্লাডার ক্যানসারে ৩ শতাংশ এবং কিছু বিরল ক্যানসারে ২-৩ শতাংশ আক্রান্ত হয়।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল ক্যানসার ইনস্টিটিউটের পরিচালক ও বিভাগীয় প্রধান ডা. শেফাতুজ্জাহান জানান, চট্টগ্রামের মানুষকে দুটি ক্যানসারে বেশি আক্রান্ত হতে দেখা যাচ্ছে। এর মধ্যে উদ্বেগজনক হারে নারীরা স্তন ক্যানসার ও পুরুষরা ফুসফুস ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছেন। এই দুই ক্যানসারেই আক্রান্ত হওয়ার হার বেশি।
ক্যানসার আক্রান্তদের মধ্যে নারী রোগীর সংখ্যা শতকরা প্রায় ৫৫-৬০ ভাগ, পুরুষের সংখ্যা শতকরা প্রায় ৪০-৪৫ ভাগ এবং শিশুদের সংখ্যা শতকরা প্রায় ৩-৪ ভাগ বলেও জানান এই চিকিৎসক।
ইনস্টিটিউট থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, এই হাসপাতালে পুরুষ ও নারী ওয়ার্ডে ৬০ শয্যায় ক্যানসার রোগী চিকিৎসা নেন। আরও সমানসংখ্যক রোগী ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়ার সক্ষমতা রয়েছে এখানে। সংকটাপন্ন রোগীদের জন্য ১৬ সিটের ক্যানসার আইসিইউও রয়েছে।
১৯৭৯ সালে চট্টগ্রামের কিছু মহানুভব ব্যক্তির উদ্যোগে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে ৮৫০ শয্যার এই হাসপাতালে ১৫০ আসনের মেডিকেল কলেজ এবং নার্সিং ইনস্টিটিউটসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে। ২০২৩ সালের নভেম্বরে যাত্রা শুরু করে ক্যানসার ইনস্টিটিউট।
সেবার বিষয়ে ইনস্টিটিউটের ক্যানসার আইসিইউর কনসালট্যান্ট মাহাদী হাসান জানান, ক্যানসার রোগীদের জন্য আলাদা আইসিইউ থাকার বিষয়টি আন্তর্জাতিক একটি প্রটোকল, যা এখানে রয়েছে।
সংশ্লিষ্টদের দেওয়া তথ্যমতে, শিপব্রেকিং ও কারখানার বর্জ্যে বায়ু ও পানিদূষণ, পান, সুপারি, তামাক, ধূমপান ইত্যাদির অভ্যাস, লবণাক্ত খাবার ও মাংস বেশি খাওয়ার পাশাপাশি ভেজাল খাদ্য, অ্যাসবেস্টসসহ বিভিন্ন রাসায়নিক ও ধাতুর সংস্পর্শ, প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ ধরা না পড়া এবং বংশগত ঝুঁকির কারণে ক্যানসারের মাত্রা বাড়ছে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) চট্টগ্রামের সমন্বয়ক মুনিরা পারভীন রুবা বলেন, পরিবেশ বিপর্যয়, জলবায়ু পরিবর্তন, বিষাক্ত বর্জ্য, ভেজাল খাদ্যসহ নানা কারণে ক্যানসারের প্রকোপ মারাত্মক আকার ধারণ করছে। এখন থেকে সচেতন না হলে ভবিষ্যতে এটি মহামারি আকারে রূপ নিতে পারে।
আরও খবর পড়ুন:
রাজধানীর মিরপুরের রূপনগরে রাসায়নিক গুদামে অগ্নিকাণ্ডে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে শুধু বিষাক্ত গ্যাসে নয়, আগুনে পুড়ে যাওয়ার কারণেও তাঁদের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
১ ঘণ্টা আগেফারহানা জাহাঙ্গীরনগর বিশবিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তাঁর বাড়ি মেহেরপুর শহরের পেয়াদাপাড়ায়। নিহত শিক্ষার্থীর স্বামী রাইহানুল ইসলাম জানান, আজ সকাল ৯টার দিকে শহরের পেয়াদাপাড়া থেকে স্ত্রী ফারহানাকে নিয়ে মোটরসাইকেলে শ্বশুরবাড়ি রামদাসপুর গ্রামে যাচ্ছিলেন।
১ ঘণ্টা আগেমাত্র ১৫ দিনের চাকরি। সংসারের হাল ধরতে চাওয়া তরুণী নারগিস আক্তারের স্বপ্ন পুড়ে ছাই হয়ে গেল! পোড়া শরীর এতটাই বিকৃত যে মুখ দেখে কেউ চিনতে পারেননি। কিন্তু বাবা কখনো সন্তানকে চিনতে ভুল করেন না! পায়ের নূপুর দেখে মেয়ের লাশ শনাক্ত করলেন মো. ওয়ালিউল্লাহ।
২ ঘণ্টা আগেরাজধানীর মিরপুরের শিয়ালবাড়িতে একটি রাসায়নিক গুদামে লাগা ভয়াবহ আগুনে পুড়ে অন্তত ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। টিনশেড দোতলা গুদামটিতে আগুন লাগার পর তা বিস্ফোরিত হয়ে পাশের একটি চারতলা ভবনে ছড়িয়ে পড়ে।
২ ঘণ্টা আগে