Ajker Patrika

চাঁদার দাবিতে ব্যবসায়ীকে আটকে রেখে মারধর, আদালতে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ১৬ জুন ২০২৫, ২২: ৫৪
সুপারশপে হামলা। ছবি: সংগৃহীত
সুপারশপে হামলা। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম নগরের হালিশহরে ৫০ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে একটি সুপারশপে ভাঙচুর, লুটপাট এবং ওই সুপারশপের মালিককে এক দিন আটকে রেখে মারধরের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।

সোমবার (১৬ জুন) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে নুর মোহাম্মদ শাহেদ (২২) নামের এক ব্যবসায়ী মামলাটি করেন।

এতে ২৩ জনের নাম উল্লেখসহ ১২০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। এ সময় আদালত মামলাটি শুনানি শেষে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিটকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবুল মনছুর সিকদার (সোহেল) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ঘটনার পর আমার মক্কেল থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। থানা মামলা না নেওয়ায় তিনি আদালতে এই মামলা করেছেন। এ সময় আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।’

মামলার বিবাদীরা হলেন মোহাম্মদ রাসেল সরকার (৩৩), কাজী মঞ্জুরুল করিম (৩৫), নার্গিস আক্তার নীলা (৪০), মোহাম্মদ সাব্বির হোসেন (৩৭), জসীম উদ্দিন, মোহাম্মদ রিয়াদ (৩৫), শাকিল (৩২), লুৎফুর আমিন (৩৫), বজলুর রহমান (৪৫), জাহেদুল ইসলাম শাহিন (২০), শাহাদাত হোসেন (২০), ইয়াছিন আহম্মদ ফাহিম (২৫), রাশেদা বেগম (৫০), জাহেদা আক্তার সাথী (২৮), ফাতেমা আক্তার (১৯), ঊর্মি আক্তার (২২), সাজ্জাদ হোসেন (৩২), শিবলু (৩০), রিপন (২২), সাজ্জাদ (২২), মাহমুদ (২২), তাহসিন (২৬), মো. হান্নান (৪৫) ও রুবেল নাথ (৩২)।

মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ৪ জুন বেলা ২টার দিকে হালিশহরে পোর্ট কানেক্টিং রোডে চাঁদার দাবিতে ব্যবসায়ী শাহেদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা করেন বিবাদীরা। এ সময় ওই ব্যবসায়ীকে তাঁর অফিসকক্ষে আটকে রেখে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এ ছাড়া বিবাদীরা সুপারশপের আনুমানিক ৩ কোটি টাকা মূল্যের বিভিন্ন মালপত্র লুটপাট করেন।

অভিযোগে আরও বলা হয়, হামলাকারীরা শাহেদকে অফিসকক্ষে আটকে মোবাইল ফোন, টাকা, ব্যাংক কার্ড এবং ব্যবসার গুরুত্বপূর্ণ দলিলপত্র জোরপূর্বক নিয়ে নেন এবং ব্যাংক লেনদেন করে অর্থ স্থানান্তর করেন। এ সময় তাঁকে জোর করে চেকবই, ব্যবসায়িক স্ট্যাম্প ও প্যাডে স্বাক্ষর করানো হয়।

মারধরের সময় ফেসবুক লাইভে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করে তাঁর ব্যক্তিগত ও পেশাগত সুনামও ক্ষুণ্ন করা হয়। পরদিন ৫ জুন রাত ১০টা পর্যন্ত ওই ব্যবসায়ীকে আটকে রাখা হয় বলে অভিযোগ করা হয়।

পরে শাহেদ ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলেও পুলিশ ব্যবস্থা নেয়নি। ঘটনার পর ওই ব্যবসায়ী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন এবং হালিশহর থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ তা গ্রহণ না করায় আদালতের দ্বারস্থ হন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত