মো. আবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম
বন্দরনগরী চট্টগ্রামের যানজট নিরসনের লক্ষ্যে নির্মিত প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে প্রত্যাশিত যানবাহন উঠছে না। প্রতিদিন গড়ে ২০ হাজার যানবাহন চলাচলের সম্ভাব্যতা থাকলেও এই উড়ালসড়কে দৈনিক মাত্র ৭ হাজার গাড়ি উঠছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস থেকে কেউ বিমানবন্দরে যেতে চাইলে নগরীর এক প্রান্তের মুরাদপুরে গিয়েই উড়ালসড়কে উঠতে হয়। মাঝামাঝি স্থানে ওঠার মতো কোনো র্যাম্প নেই। তাই উড়ালসড়কটি ব্যবহারে আগ্রহ পাচ্ছে না মানুষ। এতে রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।
সম্প্রতি ‘শহীদ ওয়াসিম আকরাম ফ্লাইওভার’ নাম পাওয়া এই উড়ালসড়কের নির্মাণকাজ ৯১ শতাংশ শেষ হয়েছে। নির্মাণ শেষ হওয়ার আগেই আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তড়িঘড়ি করে প্রকল্পটি উদ্বোধন করা হয়। নগরীর লালখান বাজার থেকে ১৫ দশমিক ১১ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে পতেঙ্গায় গিয়ে শেষ হয় এটি। এক বছর পরীক্ষামূলক চললেও গত ৩ জানুয়ারি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে টোল আদায় শুরু হয় এই উড়ালসড়কে। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) জানায়, উড়ালসড়কে প্রতিদিন গড়ে ২০ হাজার যানবাহন চলার সম্ভাব্যতা থাকলেও ৩ থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ২৭ দিনে গড়ে প্রতিদিন ৭ হাজার ৩৬টি গাড়ি চলাচল করেছে। এ সময় প্রতিদিন গড়ে ৫ লাখ ১ হাজার টাকা টোল আদায় হয়েছে।
এই উড়ালসড়কের কার্যকারিতা নিয়ে আজকের পত্রিকার কাছে ক্ষোভের কথা জানান আগ্রাবাদের ব্যবসায়ী চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রাম চেম্বারের সদস্য মো. ইসমাইল খান। তিনি বলেন, এটা সাধারণ মানুষের কোনো কাজে আসছে না। উঠতে হলে শহরের এক প্রান্তে মুরাদপুর যেতে হয়। লালখান বাজার থেকে ওঠা যায় না। অন্তত আগ্রাবাদে ওঠানামার ব্যবস্থা করা হোক।
নকশা অনুযায়ী উড়ালসড়কটিতে ১৫টি র্যাম্প নির্মাণের কথা। কিন্তু সম্প্রতি গুরুত্বপূর্ণ ছয়টি র্যাম্প নির্মাণ স্থগিত করেছে কর্তৃপক্ষ।
গত ২৮ অক্টোবর সিডিএর নবগঠিত বোর্ডের প্রথম সভায় যানজট বৃদ্ধির অজুহাত এবং ব্যয় সংকোচনের কথা বলে ৬টি র্যাম্প নির্মাণ স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত হয়। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সমীক্ষা ছাড়া পর্যাপ্ত র্যাম্প নির্মাণ বাদ দিলে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে প্রবেশযোগ্যতা কমবে। ফলে প্রায় ৪ হাজার ২৯৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ১৫ দশমিক ১১ কিলোমিটার দীর্ঘ উড়ালসড়কের সুফল থেকে নগরবাসী বঞ্চিত হবে।
এ বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক ও সিডিএর নির্বাহী প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘সিডিএ চেয়ারম্যান ও বোর্ড সদস্যরা যাচাই-বাছাই শেষে ছয়টি র্যাম্প নির্মাণ স্থগিতের সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। ভবিষ্যতে চাইলে নির্মাণ করা যাবে। র্যাম্পগুলো চালু হলে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ২০ হাজার গাড়ি চলবে।’
বর্তমান পরিকল্পনা অনুযায়ী, পতেঙ্গা থেকে লালখান বাজারমুখী ফ্লাইওভারে নিমতলা, টাইগারপাস (আমবাগান সড়কে) ও লালখান বাজারে নামার সুযোগ থাকবে। একইমুখী যাত্রীরা পতেঙ্গা ছাড়াও মধ্য পথে কেইপিজেড, সিইপিজেড, নিমতলা দিয়ে উঠতে পারবেন।
অন্যদিকে, লালখান বাজার থেকে পতেঙ্গামুখী ফ্লাইওভারের আগে ২ নম্বর গেট ও মুরাদপুর আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারে উঠে সরাসরি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে উঠতে পারবেন যাত্রীরা। এর বাইরে শুধু জিইসি ও আগ্রাবাদ ঢেবারপার র্যাম্প দিয়ে ওঠার ব্যবস্থা থাকবে। আর একইমুখী যাত্রীরা নামতে পারবেন ফকিরহাট, সিইপিজেড ও পতেঙ্গায়।
নগরীর টাইগারপাসের মোহাম্মদ ইউসুফ চৌধুরী সড়কের পলোগ্রাউন্ড মূল সেতুতে ওঠার র্যাম্পটি নির্মাণ না করলে কোতোয়ালি, নিউমার্কেট, রেয়াজউদ্দিন বাজার, খাতুনগঞ্জ, আছাদগঞ্জ, চকবাজার, সদরঘাট থেকে আসা যানবাহনগুলো ৬-৭ কিলোমিটার দূরে আগ্রাবাদ ঢেবারপাড় দিয়ে উঠতে হবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
মূল এক্সপ্রেসওয়ে থেকে আগ্রাবাদে জাতিতাত্ত্বিক জাদুঘরের সামনে শুধু নামা এবং বাণিজ্যিক এলাকা আগ্রাবাদ অ্যাকসেস রোডে ওঠানামার দুটিসহ মোট তিনটি র্যাম্প নির্মাণ স্থগিত করায় হালিশহর, আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকা, দেওয়ানহাট, ডবলমুরিং এলাকার বিশাল জনগোষ্ঠী সুফল থেকে বঞ্চিত হবে। প্রকল্পটির সমীক্ষায় এই এলাকা গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করা হয়েছিল।
পুনঃসমীক্ষা ছাড়া এভাবে র্যাম্প বাদ দেওয়া ঠিক হয়নি জানিয়ে চুয়েটের সাবেক উপাচার্য ও পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘এক্সপ্রেসওয়ে শুধু লালখান বাজার থেকে পতেঙ্গা যাওয়ার জন্য নয়; মানুষের দৈনন্দিন চলাচলের জন্য করা হয়েছে। নকশা অনুযায়ী র্যাম্পগুলো না থাকলে মানুষ সুফল পাবে না। প্রত্যাশিত গাড়ি না পেলে নির্মাণ খরচ দূরে থাক, রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয়ও তোলা কষ্টকর হবে।’
বন্দরনগরী চট্টগ্রামের যানজট নিরসনের লক্ষ্যে নির্মিত প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে প্রত্যাশিত যানবাহন উঠছে না। প্রতিদিন গড়ে ২০ হাজার যানবাহন চলাচলের সম্ভাব্যতা থাকলেও এই উড়ালসড়কে দৈনিক মাত্র ৭ হাজার গাড়ি উঠছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস থেকে কেউ বিমানবন্দরে যেতে চাইলে নগরীর এক প্রান্তের মুরাদপুরে গিয়েই উড়ালসড়কে উঠতে হয়। মাঝামাঝি স্থানে ওঠার মতো কোনো র্যাম্প নেই। তাই উড়ালসড়কটি ব্যবহারে আগ্রহ পাচ্ছে না মানুষ। এতে রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।
সম্প্রতি ‘শহীদ ওয়াসিম আকরাম ফ্লাইওভার’ নাম পাওয়া এই উড়ালসড়কের নির্মাণকাজ ৯১ শতাংশ শেষ হয়েছে। নির্মাণ শেষ হওয়ার আগেই আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তড়িঘড়ি করে প্রকল্পটি উদ্বোধন করা হয়। নগরীর লালখান বাজার থেকে ১৫ দশমিক ১১ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে পতেঙ্গায় গিয়ে শেষ হয় এটি। এক বছর পরীক্ষামূলক চললেও গত ৩ জানুয়ারি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে টোল আদায় শুরু হয় এই উড়ালসড়কে। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) জানায়, উড়ালসড়কে প্রতিদিন গড়ে ২০ হাজার যানবাহন চলার সম্ভাব্যতা থাকলেও ৩ থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ২৭ দিনে গড়ে প্রতিদিন ৭ হাজার ৩৬টি গাড়ি চলাচল করেছে। এ সময় প্রতিদিন গড়ে ৫ লাখ ১ হাজার টাকা টোল আদায় হয়েছে।
এই উড়ালসড়কের কার্যকারিতা নিয়ে আজকের পত্রিকার কাছে ক্ষোভের কথা জানান আগ্রাবাদের ব্যবসায়ী চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রাম চেম্বারের সদস্য মো. ইসমাইল খান। তিনি বলেন, এটা সাধারণ মানুষের কোনো কাজে আসছে না। উঠতে হলে শহরের এক প্রান্তে মুরাদপুর যেতে হয়। লালখান বাজার থেকে ওঠা যায় না। অন্তত আগ্রাবাদে ওঠানামার ব্যবস্থা করা হোক।
নকশা অনুযায়ী উড়ালসড়কটিতে ১৫টি র্যাম্প নির্মাণের কথা। কিন্তু সম্প্রতি গুরুত্বপূর্ণ ছয়টি র্যাম্প নির্মাণ স্থগিত করেছে কর্তৃপক্ষ।
গত ২৮ অক্টোবর সিডিএর নবগঠিত বোর্ডের প্রথম সভায় যানজট বৃদ্ধির অজুহাত এবং ব্যয় সংকোচনের কথা বলে ৬টি র্যাম্প নির্মাণ স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত হয়। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সমীক্ষা ছাড়া পর্যাপ্ত র্যাম্প নির্মাণ বাদ দিলে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে প্রবেশযোগ্যতা কমবে। ফলে প্রায় ৪ হাজার ২৯৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ১৫ দশমিক ১১ কিলোমিটার দীর্ঘ উড়ালসড়কের সুফল থেকে নগরবাসী বঞ্চিত হবে।
এ বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক ও সিডিএর নির্বাহী প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘সিডিএ চেয়ারম্যান ও বোর্ড সদস্যরা যাচাই-বাছাই শেষে ছয়টি র্যাম্প নির্মাণ স্থগিতের সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। ভবিষ্যতে চাইলে নির্মাণ করা যাবে। র্যাম্পগুলো চালু হলে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ২০ হাজার গাড়ি চলবে।’
বর্তমান পরিকল্পনা অনুযায়ী, পতেঙ্গা থেকে লালখান বাজারমুখী ফ্লাইওভারে নিমতলা, টাইগারপাস (আমবাগান সড়কে) ও লালখান বাজারে নামার সুযোগ থাকবে। একইমুখী যাত্রীরা পতেঙ্গা ছাড়াও মধ্য পথে কেইপিজেড, সিইপিজেড, নিমতলা দিয়ে উঠতে পারবেন।
অন্যদিকে, লালখান বাজার থেকে পতেঙ্গামুখী ফ্লাইওভারের আগে ২ নম্বর গেট ও মুরাদপুর আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারে উঠে সরাসরি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে উঠতে পারবেন যাত্রীরা। এর বাইরে শুধু জিইসি ও আগ্রাবাদ ঢেবারপার র্যাম্প দিয়ে ওঠার ব্যবস্থা থাকবে। আর একইমুখী যাত্রীরা নামতে পারবেন ফকিরহাট, সিইপিজেড ও পতেঙ্গায়।
নগরীর টাইগারপাসের মোহাম্মদ ইউসুফ চৌধুরী সড়কের পলোগ্রাউন্ড মূল সেতুতে ওঠার র্যাম্পটি নির্মাণ না করলে কোতোয়ালি, নিউমার্কেট, রেয়াজউদ্দিন বাজার, খাতুনগঞ্জ, আছাদগঞ্জ, চকবাজার, সদরঘাট থেকে আসা যানবাহনগুলো ৬-৭ কিলোমিটার দূরে আগ্রাবাদ ঢেবারপাড় দিয়ে উঠতে হবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
মূল এক্সপ্রেসওয়ে থেকে আগ্রাবাদে জাতিতাত্ত্বিক জাদুঘরের সামনে শুধু নামা এবং বাণিজ্যিক এলাকা আগ্রাবাদ অ্যাকসেস রোডে ওঠানামার দুটিসহ মোট তিনটি র্যাম্প নির্মাণ স্থগিত করায় হালিশহর, আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকা, দেওয়ানহাট, ডবলমুরিং এলাকার বিশাল জনগোষ্ঠী সুফল থেকে বঞ্চিত হবে। প্রকল্পটির সমীক্ষায় এই এলাকা গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করা হয়েছিল।
পুনঃসমীক্ষা ছাড়া এভাবে র্যাম্প বাদ দেওয়া ঠিক হয়নি জানিয়ে চুয়েটের সাবেক উপাচার্য ও পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘এক্সপ্রেসওয়ে শুধু লালখান বাজার থেকে পতেঙ্গা যাওয়ার জন্য নয়; মানুষের দৈনন্দিন চলাচলের জন্য করা হয়েছে। নকশা অনুযায়ী র্যাম্পগুলো না থাকলে মানুষ সুফল পাবে না। প্রত্যাশিত গাড়ি না পেলে নির্মাণ খরচ দূরে থাক, রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয়ও তোলা কষ্টকর হবে।’
ভিডিও দেখা গেছে, গামছা দিয়ে মুখ বাঁধা কয়েকজনকে হাতে বড় বড় অস্ত্র নিয়ে আশপাশে কিছু একটা খোঁজাখুঁজি করতে দেখা যায়। তাদের মধ্যে কেউ লুঙ্গি, ফুলপ্যান্ট ও হাফপ্যান্ট পরা ছিল। এ ছাড়া স্পিডবোট নিয়ে তাদের অস্ত্র তাক করে আসতে দেখা যায়।
৯ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের কর্ণফুলীর শিকলবাহা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য জাহাঙ্গীর আলমকে প্যানেল চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। আজ শুক্রবার বিকেলে তাঁরা পরিষদের সামনে এ মানববন্ধন করেন। এ সময় তাঁরা পরিষদের মূল ফটক বন্ধ করে কাঁটা ঝুলিয়ে দেন।
৯ ঘণ্টা আগেচুয়াডাঙ্গার জীবননগরে সড়কের পাশের ঝোপের ভেতর থেকে ১ কেজি ৪৩০ গ্রাম কোকেন জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার পিয়ারাতলা গ্রামে অভিযান চালিয়ে এই মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়।
৯ ঘণ্টা আগেকোস্ট গার্ডের সদস্যদের দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়ার অভিযোগে ঢাকা-বরিশাল রুটের কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চের মালিক ও তাঁর ছেলেসহ কর্মচারীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ঈদে নৌপথে ঘরমুখী যাত্রীদের হয়রানি ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধে হস্তক্ষেপ করায় কোস্ট গার্ড সদস্যদের হুমকি দেওয়া হয়েছে বলেও মামলায় অভিযোগ করা হয়।
১০ ঘণ্টা আগে