হাতির আক্রমণে নিহত
কর্ণফুলী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
গভীর রাতে বাড়িতে হানা দেয় বন্য হাতি। প্রাণে বাঁচতে ঘর ছেড়ে ঘুমন্ত শিশুকে কোলে নিয়ে দৌড় দেন মা। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। হাতিটির শুঁড়ের আঘাতে প্রাণ হারায় ৭ মাসের শিশুটি। মা গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার বড় উঠান ইউনিয়নের শাহমীরপুর ৫ নম্বর ওয়ার্ডে গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে হাতির এই আক্রমণ হয়। এ ঘটনার জন্য কর্তৃপক্ষের অবহেলাকে দায়ী করে শিশুটির লাশ নিয়ে সড়ক অবরোধ করেছেন ক্ষিপ্ত এলাকাবাসী। তাঁরা আজ শনিবার সকাল ৬টা থেকে ওই ইউনিয়নের দৌলতপুরে কোরিয়ান রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চল (কেইপিজেড) গেট এলাকায় পেকুয়া-আনোয়ারা-বাঁশখালী (পিএবি) সড়কে অবস্থান নেন। তাঁরা কেইপিজেড এলাকা থেকে বন্য হাতিটি সরানোর দাবি জানান। দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত চলা অবরোধের কারণে সড়কে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
নিহত শিশু মো. আরমান জাওয়াদ ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদ ইব্রাহিমের ছেলে। হাতির আক্রমণে গুরুতর আহত হয়েছেন শিশুটির মা খতিজা বেগম (৩৭)। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আবদুল আজিজ জানান, শুক্রবার রাতে একটি বন্য হাতি ইব্রাহীমের টিনের ঘরে ভাঙচুর শুরু করলে তাঁর স্ত্রী খতিজা ঘুমন্ত শিশু জাওয়াদকে নিয়ে ঘর থেকে বের হন। তখন হাতিটির শুঁড়ের আঘাতে প্রাণ হারায় শিশুটি। কয়েক বছর ধরে কেইপিজেডের পাহাড়ে হাতির দল অবস্থান করলেও তা সরানোর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি প্রশাসন বা কেইপিজেড কর্তৃপক্ষ।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া স্থানীয় বাসিন্দা ওয়াসিম আকরাম বলেন, ‘কেইপিজেডে অবস্থানরত হাতির দলটি প্রতি রাতে আনোয়ারা ও কর্ণফুলী উপজেলার বিশেষ করে চারটি ইউনিয়নের লোকালয়ে হানা দেয়। এ পর্যন্ত দুই উপজেলার নারী, শিশুসহ ১৮ জন হাতির আক্রমণে মারা গেছে। হাতিগুলো এখান থেকে সরিয়ে নিতে আমরা প্রশাসন ও বন বিভাগে একাধিকবার স্মারকলিপি দিয়েছি। কিন্তু তারা কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় আবার এক শিশুকে আমরা হারালাম।’
এদিকে কেইপিজেডের ভেতরে নিরাপত্তার জন্য গত বছরের অক্টোবর থেকে ১৫ জন ইআরটি (এলিফ্যান্ট রেসপন্স টিম) সদস্য কাজ করছিলেন। তবে ৮ মার্চ থেকে তাঁদের বাদ দিয়েছে কেইপিজেড কর্তৃপক্ষ। জানুয়ারি থেকে তাঁদের বেতনও বকেয়া রয়েছে।
বাঁশখালীর জলদি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য রেঞ্জ কর্মকর্তা আনিসুজ্জামান শেখ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কেইপিজেড পাহাড়ে ইআরটির ১৫ সদস্য দায়িত্ব পালন করতেন। গত জানুয়ারি থেকে কেইপিজেড কর্তৃপক্ষ তাঁদের বেতন বন্ধ করে দিয়েছে। তাঁরা জানিয়েছেন, হাতির জন্য তাঁদের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ১০০ স্বেচ্ছাসেবক রয়েছেন। এ ছাড়া আমাদের বন বিভাগের ৫০ জন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ইআরটি সদস্য কাজ করছেন প্রতিনিয়ত। শুক্রবার রাতের ঘটনায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা গিয়েছেন। বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।’
এ নিয়ে কথা হলে কেইপিজেডের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) মুশফিকুর রহমান বলেন, ‘আমাদের ভেতরে নিরাপত্তার জন্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ১০০ স্বেচ্ছাসেবক রয়েছে। সে জন্য বন বিভাগের ১৫ ইআরটি সদস্যকে বাদ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে আমরা তাঁদের ৭ লাখ ৫৫ হাজার টাকা বেতন দিয়েছি।’
যোগাযোগ করা হলে কর্ণফুলী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) রয়া ত্রিপুরা বলেন, ‘হাতি অপসারণ ও ক্ষতিপূরণের জন্য বন বিভাগসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যে বিক্ষোভকারীরা অবরোধ তুলে নিয়েছেন। সেনাবাহিনী, পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে।’
গভীর রাতে বাড়িতে হানা দেয় বন্য হাতি। প্রাণে বাঁচতে ঘর ছেড়ে ঘুমন্ত শিশুকে কোলে নিয়ে দৌড় দেন মা। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। হাতিটির শুঁড়ের আঘাতে প্রাণ হারায় ৭ মাসের শিশুটি। মা গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার বড় উঠান ইউনিয়নের শাহমীরপুর ৫ নম্বর ওয়ার্ডে গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে হাতির এই আক্রমণ হয়। এ ঘটনার জন্য কর্তৃপক্ষের অবহেলাকে দায়ী করে শিশুটির লাশ নিয়ে সড়ক অবরোধ করেছেন ক্ষিপ্ত এলাকাবাসী। তাঁরা আজ শনিবার সকাল ৬টা থেকে ওই ইউনিয়নের দৌলতপুরে কোরিয়ান রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চল (কেইপিজেড) গেট এলাকায় পেকুয়া-আনোয়ারা-বাঁশখালী (পিএবি) সড়কে অবস্থান নেন। তাঁরা কেইপিজেড এলাকা থেকে বন্য হাতিটি সরানোর দাবি জানান। দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত চলা অবরোধের কারণে সড়কে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
নিহত শিশু মো. আরমান জাওয়াদ ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদ ইব্রাহিমের ছেলে। হাতির আক্রমণে গুরুতর আহত হয়েছেন শিশুটির মা খতিজা বেগম (৩৭)। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আবদুল আজিজ জানান, শুক্রবার রাতে একটি বন্য হাতি ইব্রাহীমের টিনের ঘরে ভাঙচুর শুরু করলে তাঁর স্ত্রী খতিজা ঘুমন্ত শিশু জাওয়াদকে নিয়ে ঘর থেকে বের হন। তখন হাতিটির শুঁড়ের আঘাতে প্রাণ হারায় শিশুটি। কয়েক বছর ধরে কেইপিজেডের পাহাড়ে হাতির দল অবস্থান করলেও তা সরানোর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি প্রশাসন বা কেইপিজেড কর্তৃপক্ষ।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া স্থানীয় বাসিন্দা ওয়াসিম আকরাম বলেন, ‘কেইপিজেডে অবস্থানরত হাতির দলটি প্রতি রাতে আনোয়ারা ও কর্ণফুলী উপজেলার বিশেষ করে চারটি ইউনিয়নের লোকালয়ে হানা দেয়। এ পর্যন্ত দুই উপজেলার নারী, শিশুসহ ১৮ জন হাতির আক্রমণে মারা গেছে। হাতিগুলো এখান থেকে সরিয়ে নিতে আমরা প্রশাসন ও বন বিভাগে একাধিকবার স্মারকলিপি দিয়েছি। কিন্তু তারা কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় আবার এক শিশুকে আমরা হারালাম।’
এদিকে কেইপিজেডের ভেতরে নিরাপত্তার জন্য গত বছরের অক্টোবর থেকে ১৫ জন ইআরটি (এলিফ্যান্ট রেসপন্স টিম) সদস্য কাজ করছিলেন। তবে ৮ মার্চ থেকে তাঁদের বাদ দিয়েছে কেইপিজেড কর্তৃপক্ষ। জানুয়ারি থেকে তাঁদের বেতনও বকেয়া রয়েছে।
বাঁশখালীর জলদি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য রেঞ্জ কর্মকর্তা আনিসুজ্জামান শেখ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কেইপিজেড পাহাড়ে ইআরটির ১৫ সদস্য দায়িত্ব পালন করতেন। গত জানুয়ারি থেকে কেইপিজেড কর্তৃপক্ষ তাঁদের বেতন বন্ধ করে দিয়েছে। তাঁরা জানিয়েছেন, হাতির জন্য তাঁদের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ১০০ স্বেচ্ছাসেবক রয়েছেন। এ ছাড়া আমাদের বন বিভাগের ৫০ জন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ইআরটি সদস্য কাজ করছেন প্রতিনিয়ত। শুক্রবার রাতের ঘটনায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা গিয়েছেন। বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।’
এ নিয়ে কথা হলে কেইপিজেডের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) মুশফিকুর রহমান বলেন, ‘আমাদের ভেতরে নিরাপত্তার জন্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ১০০ স্বেচ্ছাসেবক রয়েছে। সে জন্য বন বিভাগের ১৫ ইআরটি সদস্যকে বাদ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে আমরা তাঁদের ৭ লাখ ৫৫ হাজার টাকা বেতন দিয়েছি।’
যোগাযোগ করা হলে কর্ণফুলী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) রয়া ত্রিপুরা বলেন, ‘হাতি অপসারণ ও ক্ষতিপূরণের জন্য বন বিভাগসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যে বিক্ষোভকারীরা অবরোধ তুলে নিয়েছেন। সেনাবাহিনী, পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে।’
রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী এলাকায় এক নারীর ব্যাগ ছিনতাই এবং তাঁকে গাড়ির সঙ্গে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে আহত করার ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। আজ শনিবার (২ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর রামপুরার বনশ্রীতে পিবিআইয়ের স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড অর্গানাইজড ক্রাইম দক্ষিণ
০১ জানুয়ারি ১৯৭০অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, ‘মুন্সিগঞ্জ, নরসিংদী, এমনকি সিলেটেও পার্বত্য চট্টগ্রামের চেয়ে বেশি বনভূমি দেখা যায়। সেখানে পার্বত্য চট্টগ্রাম বন কই? পার্বত্য চট্টগ্রামের এই অবস্থা হলো কেন?’ আজ শনিবার সকালে রাঙামাটি শহরের জিমনেসিয়াম মাঠে সাত দিনের বৃক্ষরোপণ অভিযান এবং বৃক্ষমেলার
৬ মিনিট আগেসংবাদ সম্মেলনে তাঁরা বলেন, ‘আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের ৬৪ জেলার বিভিন্ন শাখায় কর্মরত ৫৪৭ জনকে বিনা কারণে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। গত ২০ জুলাই ই-মেইল পাঠিয়ে আমাদের একসঙ্গে চাকরিচ্যুত করে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। আমাদের বেশির ভাগ কর্মকর্তার চাকরির বয়স ৩-৪ বছর। চাকরিকালীন আমাদের ওপর অর্পিত সব দায়িত্ব দক্ষতা
১০ মিনিট আগেনওগাঁর রাণীনগরে ছিনতাইকারীরা জুয়েল রানা (৪৫) নামে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা ছিনতাই করেছে বলে জানা গেছে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে রাণীনগর-আত্রাই সড়কের ঘোষগ্রাম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
১৪ মিনিট আগে