নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া চাঁদপুর-২ আসনের (মতলব উত্তর ও দক্ষিণ) সাবেক সংসদ সদস্য। ক্ষমতায় থাকাকালে তাঁর হয়ে এলাকা নিয়ন্ত্রণ করত দুটি বাহিনী। একটির নিয়ন্ত্রণে ছিল মতলব উত্তর উপজেলা এবং আরেকটির ছিল মতলব দক্ষিণ।
সরকার পতনের পর স্থানীয় লোকজন ও দলের নেতা-কর্মীরাই বলছেন, সরকারি উন্নয়নমূলক কাজের কমিশন, মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রার্থীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করত এই দুই বাহিনী। গত ৫ আগস্টের পর মায়া চৌধুরীসহ তাঁর বাহিনীর লোকজন এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন। তবে মতলব উত্তর উপজেলায় মেঘনা নদীতে বালু উত্তোলন এখনো চলছে।
আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে কথা বলে জানা গেছে, মতলব উত্তরের মায়ার বাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন মামুন ওরফে কুত্তা মামুন, রিয়াদ, রিয়াজুল ইসলাম, শরীফ ও ইউপি চেয়ারম্যান ছোবহান সরকার। দক্ষিণের নেতৃত্বে ছিলেন মতলব পৌরসভার সাবেক মেয়র আওলাদ হোসেন লিটন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শওকত আলী বাদল এবং জেলা পরিষদ সদস্য ও ছাত্রলীগ নেতা আল-আমিন ফরাজি।
সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও ঠিকাদারেরা এই দুই বাহিনীর নাম বললেও কেউ নিজে টাকা দেওয়ার কথা সরাসরি স্বীকার না করে অন্যকে দেখিয়ে দেন।
উন্নয়নমূলক কাজের কমিশন
মতলব উত্তর সেচ প্রকল্পের আওতাধীন বেড়িবাঁধ রক্ষায় ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ব্লক বসানোর কাজ থেকে মায়া চৌধুরী ১০ শতাংশ কমিশন নিয়েছেন বলে প্রকল্পের একটি সূত্র জানিয়েছে। স্থানীয় আলাউদ্দিন সরকার, বাতেন চেয়ারম্যান, লধুয়া গ্রামের রিপন পাটওয়ারী যৌথভাবে এই কাজের ঠিকাদার ছিলেন।
ঠিকাদার আলাউদ্দিন সরকার জানান, তিনি ব্লকের কাজ করেছেন সংস্কারমূলক। তাঁর কাজ ছিল ছোট। তাঁকে এমপির লোকজন তেমন বিরক্ত করেননি। তবে মতলব দক্ষিণের আওয়ামী লীগ সভাপতি এইচ এম কবিরের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের কমিশন নিয়েছেন।
পরে এইচ এম কবিরকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ‘আমি সরাসরি কাজ করি নাই। আমার ছোট ভাইসহ কয়েকজন ব্লকের কাজের ঠিকাদার।’ এমপির লোকজন কমিশন নিয়েছেন সরাসরি স্বীকার না করলেও তিনি বলেন, কাজ করলে লাভ-লোকসান হবেই।
এদিকে স্থানীয় সরকারের অধীন দুই উপজেলার গ্রামীণ উন্নয়নের বিভিন্ন প্রকল্পের প্রায় ৭০০ কোটি টাকার কাজ এবং মতলব উত্তরে নির্মাণাধীন হাই-টেক পার্কের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কমিশন নিয়েছেন মায়া চৌধুরী। তবে এই বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীল প্রকৌশলীসহ কেউ নাম প্রকাশ করে বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
টাকার বিনিময়ে দলীয় মনোনয়ন
২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত স্থানীয় সরকারের সব নির্বাচন এবং সর্বশেষ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রত্যেক চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীকে দলীয় মনোনয়ন ও সমর্থন দিতে টাকা নেওয়া হয়েছে। মায়া চৌধুরীর পক্ষে এ কাজে যুক্ত ছিলেন তাঁর প্রয়াত ছেলে দীপু চৌধুরী।
মোহনপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন হাফিজ মাস্টার। তিনি নৌকার প্রার্থী হওয়ার চেষ্টা করার কথা স্বীকার করেন। তবে টাকা দেওয়ার বিষয়ে বলেন, ‘আপনি আমার সামনে আসেন, তখন বলব।’
মতলব দক্ষিণ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এইচ এম কবির বলেন, ‘সর্বশেষ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মায়া চৌধুরী আমাকে মনোনয়ন দেওয়ার বিষয়ে সমর্থন করেননি। বরং উল্টো তাঁর লোকজন দিয়ে আমাকে হত্যার চেষ্টা করেছেন। এ বিষয়ে ওই সময় গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। আমি যাকে তাঁর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছি, সেই সিরাজুল মোস্তফা তালুকদারকে তিনি মনোনয়ন নিয়ে দিয়েছেন।’
একই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী রিপন মীর বলেন, ‘আমি কখনো টাকা দিয়ে নৌকার মনোনয়ন পাইনি। দল থেকেই আমাকে দিয়েছে। তবে আমাদের ইউনিয়নের জাহাঙ্গীরসহ কয়েকজন টাকা দিয়ে নৌকার প্রার্থী হওয়ার চেষ্টা করেছেন।’
অবৈধ বালু উত্তোলন নিয়ন্ত্রণ
২০১৪ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত মায়া চৌধুরী ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী। ওই সময় মেঘনা নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনকারীদের কাছ থেকে তাঁর ছেলে দীপু চৌধুরী, স্ত্রীসহ পরিবারের একাধিক সদস্যের নামে প্রতিদিন ২০ লাখ টাকা ওঠানো হতো। এলাকাভিত্তিক এই কাজ করতেন তাঁর আত্মীয় আহার খালাসি, বোরহান খালাসি ও ইউপি চেয়ারম্যান ছোবহান সরকার। আর ওই টাকা ঢাকায় পৌঁছানোর দায়িত্ব পালন করতেন মোহনপুর ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান বালু মিজান, ছ্যাঙ্গারচর পৌরসভার সাবেক মেয়র রফিকুল ইসলাম জজ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর মাস্টার।
এই বিষয়ে মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বিল্লাল মৃধা বলেন, মায়া চৌধুরী যতবারই এমপি এবং মন্ত্রী হয়েছেন, তিনি নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করেছেন।
দলের নেতা-কর্মীদের নির্যাতন
মায়ার প্রতিহিংসার শিকার আওয়ামী লীগ নেতা বিল্লাল মৃধা বলেন, ‘তাঁর অত্যাচারের কারণে ৫ মাস বিভিন্ন জায়গায় থেকে ৫ আগস্টের পরে বাড়িতে এসেছি।’
মায়া চৌধুরীর নিজ ইউনিয়ন মোহনপুর। ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন তাঁর চাচাতো ভাই বাবুল চৌধুরী। তিনি মারা যাওয়ার পর ২০২৩ সালে উপনির্বাচন হয়। সেখানে নৌকা প্রতীক পান কাজী মিজানুর রহমান। তিনি মায়া চৌধুরীর মতের বিরুদ্ধের লোক হওয়ায় তাঁর পরিবর্তে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাইকে নৌকা এনে দেন। এরপর শুরু হয় কাজী মিজানের বিরুদ্ধে অত্যাচার ও হামলা-মামলা।
কাজী মিজান বলেন, ‘আমার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান মোহনপুর পর্যটনকেন্দ্র ভেঙে সবকিছু লুটপাট করে নিয়ে গেছে তার লোকজন। আমার ২০ কোটি টাকার ক্ষতি করেছে। এসব ঘটনায় আমি তার লোকজনের বিরুদ্ধে আদালতে দুটি মামলা দিয়েছি।’
বিরোধী দমন
চাঁদপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তানভীর হুদা বলেন, আওয়ামী লীগের ১৬ বছরে মতলব উত্তর ও দক্ষিণ উপজেলায় নেতা-কর্মীরা নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। বহু গায়েবি মামলার আসামি হয়েছেন আমাদের নেতা-কর্মীরা।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন নম্বরে একাধিক ফোন দেওয়া হলেও তা বন্ধ পাওয়া গেছে। আর দুই উপজেলায় তাঁর বাহিনীর লোকজনও সরকার পতনের পর আত্মগোপনে।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া চাঁদপুর-২ আসনের (মতলব উত্তর ও দক্ষিণ) সাবেক সংসদ সদস্য। ক্ষমতায় থাকাকালে তাঁর হয়ে এলাকা নিয়ন্ত্রণ করত দুটি বাহিনী। একটির নিয়ন্ত্রণে ছিল মতলব উত্তর উপজেলা এবং আরেকটির ছিল মতলব দক্ষিণ।
সরকার পতনের পর স্থানীয় লোকজন ও দলের নেতা-কর্মীরাই বলছেন, সরকারি উন্নয়নমূলক কাজের কমিশন, মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রার্থীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করত এই দুই বাহিনী। গত ৫ আগস্টের পর মায়া চৌধুরীসহ তাঁর বাহিনীর লোকজন এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন। তবে মতলব উত্তর উপজেলায় মেঘনা নদীতে বালু উত্তোলন এখনো চলছে।
আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে কথা বলে জানা গেছে, মতলব উত্তরের মায়ার বাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন মামুন ওরফে কুত্তা মামুন, রিয়াদ, রিয়াজুল ইসলাম, শরীফ ও ইউপি চেয়ারম্যান ছোবহান সরকার। দক্ষিণের নেতৃত্বে ছিলেন মতলব পৌরসভার সাবেক মেয়র আওলাদ হোসেন লিটন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শওকত আলী বাদল এবং জেলা পরিষদ সদস্য ও ছাত্রলীগ নেতা আল-আমিন ফরাজি।
সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও ঠিকাদারেরা এই দুই বাহিনীর নাম বললেও কেউ নিজে টাকা দেওয়ার কথা সরাসরি স্বীকার না করে অন্যকে দেখিয়ে দেন।
উন্নয়নমূলক কাজের কমিশন
মতলব উত্তর সেচ প্রকল্পের আওতাধীন বেড়িবাঁধ রক্ষায় ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ব্লক বসানোর কাজ থেকে মায়া চৌধুরী ১০ শতাংশ কমিশন নিয়েছেন বলে প্রকল্পের একটি সূত্র জানিয়েছে। স্থানীয় আলাউদ্দিন সরকার, বাতেন চেয়ারম্যান, লধুয়া গ্রামের রিপন পাটওয়ারী যৌথভাবে এই কাজের ঠিকাদার ছিলেন।
ঠিকাদার আলাউদ্দিন সরকার জানান, তিনি ব্লকের কাজ করেছেন সংস্কারমূলক। তাঁর কাজ ছিল ছোট। তাঁকে এমপির লোকজন তেমন বিরক্ত করেননি। তবে মতলব দক্ষিণের আওয়ামী লীগ সভাপতি এইচ এম কবিরের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের কমিশন নিয়েছেন।
পরে এইচ এম কবিরকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ‘আমি সরাসরি কাজ করি নাই। আমার ছোট ভাইসহ কয়েকজন ব্লকের কাজের ঠিকাদার।’ এমপির লোকজন কমিশন নিয়েছেন সরাসরি স্বীকার না করলেও তিনি বলেন, কাজ করলে লাভ-লোকসান হবেই।
এদিকে স্থানীয় সরকারের অধীন দুই উপজেলার গ্রামীণ উন্নয়নের বিভিন্ন প্রকল্পের প্রায় ৭০০ কোটি টাকার কাজ এবং মতলব উত্তরে নির্মাণাধীন হাই-টেক পার্কের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কমিশন নিয়েছেন মায়া চৌধুরী। তবে এই বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীল প্রকৌশলীসহ কেউ নাম প্রকাশ করে বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
টাকার বিনিময়ে দলীয় মনোনয়ন
২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত স্থানীয় সরকারের সব নির্বাচন এবং সর্বশেষ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রত্যেক চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীকে দলীয় মনোনয়ন ও সমর্থন দিতে টাকা নেওয়া হয়েছে। মায়া চৌধুরীর পক্ষে এ কাজে যুক্ত ছিলেন তাঁর প্রয়াত ছেলে দীপু চৌধুরী।
মোহনপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন হাফিজ মাস্টার। তিনি নৌকার প্রার্থী হওয়ার চেষ্টা করার কথা স্বীকার করেন। তবে টাকা দেওয়ার বিষয়ে বলেন, ‘আপনি আমার সামনে আসেন, তখন বলব।’
মতলব দক্ষিণ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এইচ এম কবির বলেন, ‘সর্বশেষ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মায়া চৌধুরী আমাকে মনোনয়ন দেওয়ার বিষয়ে সমর্থন করেননি। বরং উল্টো তাঁর লোকজন দিয়ে আমাকে হত্যার চেষ্টা করেছেন। এ বিষয়ে ওই সময় গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। আমি যাকে তাঁর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছি, সেই সিরাজুল মোস্তফা তালুকদারকে তিনি মনোনয়ন নিয়ে দিয়েছেন।’
একই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী রিপন মীর বলেন, ‘আমি কখনো টাকা দিয়ে নৌকার মনোনয়ন পাইনি। দল থেকেই আমাকে দিয়েছে। তবে আমাদের ইউনিয়নের জাহাঙ্গীরসহ কয়েকজন টাকা দিয়ে নৌকার প্রার্থী হওয়ার চেষ্টা করেছেন।’
অবৈধ বালু উত্তোলন নিয়ন্ত্রণ
২০১৪ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত মায়া চৌধুরী ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী। ওই সময় মেঘনা নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনকারীদের কাছ থেকে তাঁর ছেলে দীপু চৌধুরী, স্ত্রীসহ পরিবারের একাধিক সদস্যের নামে প্রতিদিন ২০ লাখ টাকা ওঠানো হতো। এলাকাভিত্তিক এই কাজ করতেন তাঁর আত্মীয় আহার খালাসি, বোরহান খালাসি ও ইউপি চেয়ারম্যান ছোবহান সরকার। আর ওই টাকা ঢাকায় পৌঁছানোর দায়িত্ব পালন করতেন মোহনপুর ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান বালু মিজান, ছ্যাঙ্গারচর পৌরসভার সাবেক মেয়র রফিকুল ইসলাম জজ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর মাস্টার।
এই বিষয়ে মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বিল্লাল মৃধা বলেন, মায়া চৌধুরী যতবারই এমপি এবং মন্ত্রী হয়েছেন, তিনি নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করেছেন।
দলের নেতা-কর্মীদের নির্যাতন
মায়ার প্রতিহিংসার শিকার আওয়ামী লীগ নেতা বিল্লাল মৃধা বলেন, ‘তাঁর অত্যাচারের কারণে ৫ মাস বিভিন্ন জায়গায় থেকে ৫ আগস্টের পরে বাড়িতে এসেছি।’
মায়া চৌধুরীর নিজ ইউনিয়ন মোহনপুর। ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন তাঁর চাচাতো ভাই বাবুল চৌধুরী। তিনি মারা যাওয়ার পর ২০২৩ সালে উপনির্বাচন হয়। সেখানে নৌকা প্রতীক পান কাজী মিজানুর রহমান। তিনি মায়া চৌধুরীর মতের বিরুদ্ধের লোক হওয়ায় তাঁর পরিবর্তে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাইকে নৌকা এনে দেন। এরপর শুরু হয় কাজী মিজানের বিরুদ্ধে অত্যাচার ও হামলা-মামলা।
কাজী মিজান বলেন, ‘আমার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান মোহনপুর পর্যটনকেন্দ্র ভেঙে সবকিছু লুটপাট করে নিয়ে গেছে তার লোকজন। আমার ২০ কোটি টাকার ক্ষতি করেছে। এসব ঘটনায় আমি তার লোকজনের বিরুদ্ধে আদালতে দুটি মামলা দিয়েছি।’
বিরোধী দমন
চাঁদপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তানভীর হুদা বলেন, আওয়ামী লীগের ১৬ বছরে মতলব উত্তর ও দক্ষিণ উপজেলায় নেতা-কর্মীরা নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। বহু গায়েবি মামলার আসামি হয়েছেন আমাদের নেতা-কর্মীরা।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন নম্বরে একাধিক ফোন দেওয়া হলেও তা বন্ধ পাওয়া গেছে। আর দুই উপজেলায় তাঁর বাহিনীর লোকজনও সরকার পতনের পর আত্মগোপনে।

ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান বিন হাদীর ওপর হামলার প্রতিবাদে ঝালকাঠিতে মহাসড়ক ব্লকেড করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
১ ঘণ্টা আগে
বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, নির্বাচন হবে কি না সেই আশঙ্কা বহুলাংশে দূরীভূত হলেও সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন রয়ে গেছে। আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ‘বাংলাদেশ আসন্ন নির্বাচন ও নির্বাচন কমিশনের সংস্কার প্রসঙ্গে’ আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
১ ঘণ্টা আগে
আজ শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে মোরছালিনকে উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নের বালাপাড়া গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর বেলা ১১টায় তাঁকে যোগেশ চন্দ্রের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী যোগেশ চন্দ্রের বাড়ি থেকে একটি দা ও পুকুর থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত কুড়ালের হাতল উদ্ধার করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে
এতে বলা হয়, হাদি (৩৩) আজ দুপুরে বিপথগামী দুষ্কৃতকারীদের দ্বারা গুলিবিদ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই আক্রমণ সুদূরপ্রসারী অশুভ পরিকল্পনার অংশ। নিঃসন্দেহে এটি নির্বাচনী পরিবেশ বানচাল করার জন্য সন্ত্রাসী কার্যক্রম বিস্তার করার নীলনকশা। দেশের একটি চক্র এ ধরনের সন্ত্রাসী
২ ঘণ্টা আগেঝালকাঠি প্রতিনিধি

ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান বিন হাদীর ওপর হামলার প্রতিবাদে ঝালকাঠিতে মহাসড়ক ব্লকেড করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতা কর্মীরা।
আজ শুক্রবার বরিশাল-পিরোজপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের কলেজ মোড়ে টায়ার জ্বালিয়ে ও ব্যারিকেড দিয়ে এ অবরোধ সৃষ্টি করেন তাঁরা। এতে মহাসড়কের দুই পাশে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয় এবং ভোগান্তিতে পড়েন পথচারীরা।

এ সময় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ঝালকাঠি জেলা আহ্বায়ক মাইনুল ইসলাম মান্না, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক আল তৌফিক লিখন, সদস্যসচিব রাইয়ান বিন কামাল, গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল ইসলাম সাগর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
তাঁরা বলেন, শরীফ ওসমান বিন হাদীর ওপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত শনাক্ত করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিচারের আওতায় আনতে হবে। না হলে আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, শরীফ ওসমান বিন হাদী ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার খাসমহল এলাকার বাসিন্দা।

ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান বিন হাদীর ওপর হামলার প্রতিবাদে ঝালকাঠিতে মহাসড়ক ব্লকেড করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতা কর্মীরা।
আজ শুক্রবার বরিশাল-পিরোজপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের কলেজ মোড়ে টায়ার জ্বালিয়ে ও ব্যারিকেড দিয়ে এ অবরোধ সৃষ্টি করেন তাঁরা। এতে মহাসড়কের দুই পাশে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয় এবং ভোগান্তিতে পড়েন পথচারীরা।

এ সময় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ঝালকাঠি জেলা আহ্বায়ক মাইনুল ইসলাম মান্না, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক আল তৌফিক লিখন, সদস্যসচিব রাইয়ান বিন কামাল, গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল ইসলাম সাগর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
তাঁরা বলেন, শরীফ ওসমান বিন হাদীর ওপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত শনাক্ত করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিচারের আওতায় আনতে হবে। না হলে আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, শরীফ ওসমান বিন হাদী ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার খাসমহল এলাকার বাসিন্দা।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া চাঁদপুর-২ আসনের (মতলব উত্তর ও দক্ষিণ) সাবেক সংসদ সদস্য। ক্ষমতায় থাকাকালে তাঁর হয়ে এলাকা নিয়ন্ত্রণ করত দুটি বাহিনী। একটির নিয়ন্ত্রণে ছিল মতলব উত্তর উপজেলা এবং আরেকটির ছিল মতলব দক্ষিণ।
১৮ অক্টোবর ২০২৪
বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, নির্বাচন হবে কি না সেই আশঙ্কা বহুলাংশে দূরীভূত হলেও সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন রয়ে গেছে। আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ‘বাংলাদেশ আসন্ন নির্বাচন ও নির্বাচন কমিশনের সংস্কার প্রসঙ্গে’ আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
১ ঘণ্টা আগে
আজ শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে মোরছালিনকে উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নের বালাপাড়া গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর বেলা ১১টায় তাঁকে যোগেশ চন্দ্রের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী যোগেশ চন্দ্রের বাড়ি থেকে একটি দা ও পুকুর থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত কুড়ালের হাতল উদ্ধার করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে
এতে বলা হয়, হাদি (৩৩) আজ দুপুরে বিপথগামী দুষ্কৃতকারীদের দ্বারা গুলিবিদ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই আক্রমণ সুদূরপ্রসারী অশুভ পরিকল্পনার অংশ। নিঃসন্দেহে এটি নির্বাচনী পরিবেশ বানচাল করার জন্য সন্ত্রাসী কার্যক্রম বিস্তার করার নীলনকশা। দেশের একটি চক্র এ ধরনের সন্ত্রাসী
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, নির্বাচন হবে কি না সেই আশঙ্কা বহুলাংশে দূরীভূত হলেও সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন রয়ে গেছে। আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ‘বাংলাদেশ আসন্ন নির্বাচন ও নির্বাচন কমিশনের সংস্কার প্রসঙ্গে’ আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন এ সভার আয়োজন করে।
সভায় আসন্ন নির্বাচন প্রসঙ্গে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘আমার মনে হয়, নির্বাচন হবে না—এই আশঙ্কাটা বহুলাংশে দূরীভূত হয়েছে। পুরোপুরি দূরীভূত হয় নাই। কিন্তু আমার এবং অনেকের মনে দুটো প্রশ্ন। একটা হলো—নির্বাচনটা সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ হবে কি না। আরেকটা প্রশ্ন হলো—গণতান্ত্রিক উত্তরণ ঘটবে কি না।’
নির্বাচন প্রক্রিয়ার বিষয়ে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘নির্বাচন একটি প্রক্রিয়া এবং এর অনেকগুলো ধাপ রয়েছে। ভোটার তালিকা থেকে ফলাফল ঘোষণা এবং নির্বাচনী বিরোধ মীমাংসা পর্যন্ত, এই পুরো প্রক্রিয়া কারসাজিমুক্ত, স্বচ্ছ, পক্ষপাতিত্বমুক্ত হবে কি না—এর ওপর সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নির্ভর করবে।’
সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য গভীর সংস্কার দরকার বলে জানান নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান। তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের মধ্যে সহিংসতায় লিপ্ত হলে নির্বাচন নিয়ে আবার অনিশ্চয়তা দেখা দেবে। তাই নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য গভীর সংস্কার দরকার।’
গণভোটের ওপর গণতান্ত্রিক উত্তরণ নির্ভর করবে বলে মনে করেন ঐকমত্য কমিশনের এই সদস্য। তিনি বলেন, ‘গণভোট পাশের ওপর নির্ভর করবে আমাদের গণতান্ত্রিক উত্তরণ, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ হয়েছে কি না। গণতন্ত্রের যে সকল ঘাটতি এবং শাসন প্রক্রিয়ার যে সকল দুর্বলতা সেগুলো দূরীভূত হবে কি না তা বহুলাংশে নির্ভর করবে আমাদের এই গণভোটের ওপর।’
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন লেখক-গবেষক আলতাফ পারভেজ, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুমসহ প্রমুখ।

নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, নির্বাচন হবে কি না সেই আশঙ্কা বহুলাংশে দূরীভূত হলেও সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন রয়ে গেছে। আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ‘বাংলাদেশ আসন্ন নির্বাচন ও নির্বাচন কমিশনের সংস্কার প্রসঙ্গে’ আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন এ সভার আয়োজন করে।
সভায় আসন্ন নির্বাচন প্রসঙ্গে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘আমার মনে হয়, নির্বাচন হবে না—এই আশঙ্কাটা বহুলাংশে দূরীভূত হয়েছে। পুরোপুরি দূরীভূত হয় নাই। কিন্তু আমার এবং অনেকের মনে দুটো প্রশ্ন। একটা হলো—নির্বাচনটা সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ হবে কি না। আরেকটা প্রশ্ন হলো—গণতান্ত্রিক উত্তরণ ঘটবে কি না।’
নির্বাচন প্রক্রিয়ার বিষয়ে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘নির্বাচন একটি প্রক্রিয়া এবং এর অনেকগুলো ধাপ রয়েছে। ভোটার তালিকা থেকে ফলাফল ঘোষণা এবং নির্বাচনী বিরোধ মীমাংসা পর্যন্ত, এই পুরো প্রক্রিয়া কারসাজিমুক্ত, স্বচ্ছ, পক্ষপাতিত্বমুক্ত হবে কি না—এর ওপর সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নির্ভর করবে।’
সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য গভীর সংস্কার দরকার বলে জানান নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান। তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের মধ্যে সহিংসতায় লিপ্ত হলে নির্বাচন নিয়ে আবার অনিশ্চয়তা দেখা দেবে। তাই নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য গভীর সংস্কার দরকার।’
গণভোটের ওপর গণতান্ত্রিক উত্তরণ নির্ভর করবে বলে মনে করেন ঐকমত্য কমিশনের এই সদস্য। তিনি বলেন, ‘গণভোট পাশের ওপর নির্ভর করবে আমাদের গণতান্ত্রিক উত্তরণ, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ হয়েছে কি না। গণতন্ত্রের যে সকল ঘাটতি এবং শাসন প্রক্রিয়ার যে সকল দুর্বলতা সেগুলো দূরীভূত হবে কি না তা বহুলাংশে নির্ভর করবে আমাদের এই গণভোটের ওপর।’
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন লেখক-গবেষক আলতাফ পারভেজ, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুমসহ প্রমুখ।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া চাঁদপুর-২ আসনের (মতলব উত্তর ও দক্ষিণ) সাবেক সংসদ সদস্য। ক্ষমতায় থাকাকালে তাঁর হয়ে এলাকা নিয়ন্ত্রণ করত দুটি বাহিনী। একটির নিয়ন্ত্রণে ছিল মতলব উত্তর উপজেলা এবং আরেকটির ছিল মতলব দক্ষিণ।
১৮ অক্টোবর ২০২৪
ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান বিন হাদীর ওপর হামলার প্রতিবাদে ঝালকাঠিতে মহাসড়ক ব্লকেড করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
১ ঘণ্টা আগে
আজ শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে মোরছালিনকে উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নের বালাপাড়া গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর বেলা ১১টায় তাঁকে যোগেশ চন্দ্রের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী যোগেশ চন্দ্রের বাড়ি থেকে একটি দা ও পুকুর থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত কুড়ালের হাতল উদ্ধার করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে
এতে বলা হয়, হাদি (৩৩) আজ দুপুরে বিপথগামী দুষ্কৃতকারীদের দ্বারা গুলিবিদ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই আক্রমণ সুদূরপ্রসারী অশুভ পরিকল্পনার অংশ। নিঃসন্দেহে এটি নির্বাচনী পরিবেশ বানচাল করার জন্য সন্ত্রাসী কার্যক্রম বিস্তার করার নীলনকশা। দেশের একটি চক্র এ ধরনের সন্ত্রাসী
২ ঘণ্টা আগেরংপুর প্রতিনিধি

রংপুরের তারাগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধা যোগেশ চন্দ্র রায় (৭৫) ও তাঁর স্ত্রী সুবর্ণা রায়কে (৬০) হত্যার পেছনে মূল কারণ হিসেবে উঠে এসেছে দেনার টাকা শোধের চাপ। গ্রেপ্তার টাইলস মিস্ত্রি মোরছালিন পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে, দেনা পরিশোধের জন্য টাকা চুরির উদ্দেশ্যেই সে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটায়। এ ঘটনায় গত রোববার রাতে যোগেশ চন্দ্রের ছেলে অজ্ঞাতনামা আসামি দিয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। এরপর তদন্তে নামে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে মোরছালিনকে উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নের বালাপাড়া গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর বেলা ১১টায় তাঁকে যোগেশ চন্দ্রের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী যোগেশ চন্দ্রের বাড়ি থেকে একটি দা ও পুকুর থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত কুড়ালের হাতল উদ্ধার করা হয়।
মোরছালিনের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, খুনের আগে মোরছালিন যোগেশ চন্দ্রের বাড়িতে টাইলস মিস্ত্রির সহকারী হিসেবে তিন দিন কাজ করেন। এ কারণে যোগেশ চন্দ্র ও তাঁর স্ত্রী বাড়িতে একা থাকার বিষয়টি জানতেন। তিনি আট হাজার টাকা ঋণী ছিলেন। তিনি যোগেশের বাড়িতে কাজ করার সময় তাঁর মনে হয়েছিল ওই বাড়িতে টাকাপয়সা আছে। ঋণ পরিশোধের জন্য তিনি চাপে পড়েন। কোনো উপায় না পেয়ে তাঁর বাড়িতে থাকা কুড়াল নিয়ে রহিমাপুর গ্রামে যান এবং যোগেশ চন্দ্র ও তাঁর স্ত্রীকে হত্যা করেন। এরপর তাঁদের বাড়িতে থাকা একটি দা দিয়ে আলমারি ভাঙে। কিন্তু সেখানে টাকা না পেয়ে বাড়িতে থাকা আমগাছ বেয়ে বাথরুমের ছাদে উঠে নেমে পাশে থাকা পুকুরে হত্যায় ব্যবহৃত কুড়াল ফেলে দিয়ে চলে যায়। যোগেশ চন্দ্রের সঙ্গে তাঁর কোনো শত্রুতা ছিল না।
সরেজমিন দেখা যায়, অস্ত্র উদ্ধারের খবরে এলাকায় উৎসুক মানুষের ভিড় জমেছে। মোরছালিন পুলিশকে দেখাচ্ছিল—কীভাবে তিনি হত্যার পর পালিয়ে যান।
যোগেশ চন্দ্রের বড় ছেলে শোভেন চন্দ্র রায় বলেন, ‘আমার বাবার খুনিকে ধরা হয়েছে। আমি তৃপ্তি ভরে নিশ্বাস নিতে পারছি। আর যেন এ ধরনের ঘটনা না ঘটে। এটার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। আমার বাবার হত্যাকারীর ফাঁসি যেন কার্যকর হয়—এটাই আমার চাওয়া।’
রংপুরের পুলিশ সুপার মারুফাত হুসাইন বলেন, ‘গ্রেপ্তারের পর মোরছালিন হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছে। সে একাই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। প্রথমে সুবর্ণা রায়কে, পরে মুক্তিযোদ্ধা যোগেশ চন্দ্রকে হত্যা করে। এরপর তাদের বাড়িতে থাকা একটি দা দিয়ে স্টিলের আলমারি খুলে। সেখানে দেখে টাকা আছে কি না। তার ভাষ্যমতে সে টাকা পায়নি। বাড়ির ভেতরে থাকা আমগাছ দিয়ে উঠে পেছনে থাকা কাঁঠালগাছ দিয়ে নেমে পাশে থাকা পুকুরে কুড়াল ফেলে দিয়ে চলে যায়। পুকুর থেকে কুড়ালের হাতল উদ্ধার হয়েছে। সেখানে রক্ত লেগে আছে। লোহার অংশও উদ্ধার করার চেষ্টা চলছে। শ্যালো দিয়ে পুকুরের পানি সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। অপরাধ করে পার পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’
এদিকে বেলা ৩টার দিকে আলমপুর ইউনিয়নের শেরমস্ত বালাপাড়া গ্রামে মোরছালিনের বাড়িতে গিয়ে তাঁর মা-বাবাকে পাওয়া যায়নি। তাঁর বোন রিমি আক্তার জানান, মোরছালিন কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন।
উল্লেখ্য, গত শনিবার (৬ ডিসেম্বর) গভীর রাতে তারাগঞ্জ উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের রহিমাপুর গ্রামে নিজ বাড়িতে মুক্তিযোদ্ধা অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক যোগেশ চন্দ্র রায় ও তাঁর স্ত্রী সুবর্ণা রানীকে হত্যা করা হয়। পরদিন রোববার সকালে প্রতিবেশীরা ডাকাডাকি করে সাড়াশব্দ না পেয়ে বাড়ির ভেতরে ঢুকে রক্তাক্ত লাশ দেখতে পান।

রংপুরের তারাগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধা যোগেশ চন্দ্র রায় (৭৫) ও তাঁর স্ত্রী সুবর্ণা রায়কে (৬০) হত্যার পেছনে মূল কারণ হিসেবে উঠে এসেছে দেনার টাকা শোধের চাপ। গ্রেপ্তার টাইলস মিস্ত্রি মোরছালিন পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে, দেনা পরিশোধের জন্য টাকা চুরির উদ্দেশ্যেই সে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটায়। এ ঘটনায় গত রোববার রাতে যোগেশ চন্দ্রের ছেলে অজ্ঞাতনামা আসামি দিয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। এরপর তদন্তে নামে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে মোরছালিনকে উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নের বালাপাড়া গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর বেলা ১১টায় তাঁকে যোগেশ চন্দ্রের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী যোগেশ চন্দ্রের বাড়ি থেকে একটি দা ও পুকুর থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত কুড়ালের হাতল উদ্ধার করা হয়।
মোরছালিনের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, খুনের আগে মোরছালিন যোগেশ চন্দ্রের বাড়িতে টাইলস মিস্ত্রির সহকারী হিসেবে তিন দিন কাজ করেন। এ কারণে যোগেশ চন্দ্র ও তাঁর স্ত্রী বাড়িতে একা থাকার বিষয়টি জানতেন। তিনি আট হাজার টাকা ঋণী ছিলেন। তিনি যোগেশের বাড়িতে কাজ করার সময় তাঁর মনে হয়েছিল ওই বাড়িতে টাকাপয়সা আছে। ঋণ পরিশোধের জন্য তিনি চাপে পড়েন। কোনো উপায় না পেয়ে তাঁর বাড়িতে থাকা কুড়াল নিয়ে রহিমাপুর গ্রামে যান এবং যোগেশ চন্দ্র ও তাঁর স্ত্রীকে হত্যা করেন। এরপর তাঁদের বাড়িতে থাকা একটি দা দিয়ে আলমারি ভাঙে। কিন্তু সেখানে টাকা না পেয়ে বাড়িতে থাকা আমগাছ বেয়ে বাথরুমের ছাদে উঠে নেমে পাশে থাকা পুকুরে হত্যায় ব্যবহৃত কুড়াল ফেলে দিয়ে চলে যায়। যোগেশ চন্দ্রের সঙ্গে তাঁর কোনো শত্রুতা ছিল না।
সরেজমিন দেখা যায়, অস্ত্র উদ্ধারের খবরে এলাকায় উৎসুক মানুষের ভিড় জমেছে। মোরছালিন পুলিশকে দেখাচ্ছিল—কীভাবে তিনি হত্যার পর পালিয়ে যান।
যোগেশ চন্দ্রের বড় ছেলে শোভেন চন্দ্র রায় বলেন, ‘আমার বাবার খুনিকে ধরা হয়েছে। আমি তৃপ্তি ভরে নিশ্বাস নিতে পারছি। আর যেন এ ধরনের ঘটনা না ঘটে। এটার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। আমার বাবার হত্যাকারীর ফাঁসি যেন কার্যকর হয়—এটাই আমার চাওয়া।’
রংপুরের পুলিশ সুপার মারুফাত হুসাইন বলেন, ‘গ্রেপ্তারের পর মোরছালিন হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছে। সে একাই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। প্রথমে সুবর্ণা রায়কে, পরে মুক্তিযোদ্ধা যোগেশ চন্দ্রকে হত্যা করে। এরপর তাদের বাড়িতে থাকা একটি দা দিয়ে স্টিলের আলমারি খুলে। সেখানে দেখে টাকা আছে কি না। তার ভাষ্যমতে সে টাকা পায়নি। বাড়ির ভেতরে থাকা আমগাছ দিয়ে উঠে পেছনে থাকা কাঁঠালগাছ দিয়ে নেমে পাশে থাকা পুকুরে কুড়াল ফেলে দিয়ে চলে যায়। পুকুর থেকে কুড়ালের হাতল উদ্ধার হয়েছে। সেখানে রক্ত লেগে আছে। লোহার অংশও উদ্ধার করার চেষ্টা চলছে। শ্যালো দিয়ে পুকুরের পানি সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। অপরাধ করে পার পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’
এদিকে বেলা ৩টার দিকে আলমপুর ইউনিয়নের শেরমস্ত বালাপাড়া গ্রামে মোরছালিনের বাড়িতে গিয়ে তাঁর মা-বাবাকে পাওয়া যায়নি। তাঁর বোন রিমি আক্তার জানান, মোরছালিন কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন।
উল্লেখ্য, গত শনিবার (৬ ডিসেম্বর) গভীর রাতে তারাগঞ্জ উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের রহিমাপুর গ্রামে নিজ বাড়িতে মুক্তিযোদ্ধা অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক যোগেশ চন্দ্র রায় ও তাঁর স্ত্রী সুবর্ণা রানীকে হত্যা করা হয়। পরদিন রোববার সকালে প্রতিবেশীরা ডাকাডাকি করে সাড়াশব্দ না পেয়ে বাড়ির ভেতরে ঢুকে রক্তাক্ত লাশ দেখতে পান।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া চাঁদপুর-২ আসনের (মতলব উত্তর ও দক্ষিণ) সাবেক সংসদ সদস্য। ক্ষমতায় থাকাকালে তাঁর হয়ে এলাকা নিয়ন্ত্রণ করত দুটি বাহিনী। একটির নিয়ন্ত্রণে ছিল মতলব উত্তর উপজেলা এবং আরেকটির ছিল মতলব দক্ষিণ।
১৮ অক্টোবর ২০২৪
ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান বিন হাদীর ওপর হামলার প্রতিবাদে ঝালকাঠিতে মহাসড়ক ব্লকেড করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
১ ঘণ্টা আগে
বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, নির্বাচন হবে কি না সেই আশঙ্কা বহুলাংশে দূরীভূত হলেও সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন রয়ে গেছে। আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ‘বাংলাদেশ আসন্ন নির্বাচন ও নির্বাচন কমিশনের সংস্কার প্রসঙ্গে’ আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
১ ঘণ্টা আগে
এতে বলা হয়, হাদি (৩৩) আজ দুপুরে বিপথগামী দুষ্কৃতকারীদের দ্বারা গুলিবিদ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই আক্রমণ সুদূরপ্রসারী অশুভ পরিকল্পনার অংশ। নিঃসন্দেহে এটি নির্বাচনী পরিবেশ বানচাল করার জন্য সন্ত্রাসী কার্যক্রম বিস্তার করার নীলনকশা। দেশের একটি চক্র এ ধরনের সন্ত্রাসী
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা ও উদ্বেগ জানিয়েছে বিএনপি। তারা বলেছে, এই আক্রমণ সুদূরপ্রসারী অশুভ পরিকল্পনার অংশ। নিঃসন্দেহে এটি নির্বাচনী পরিবেশ বানচাল করার জন্য সন্ত্রাসী কার্যক্রম বিস্তার করার নীলনকশা। দেশের একটি চক্র এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আজ শুক্রবার দুপুরে এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেছেন।
রাজধানীর বিজয়নগরের বক্স কালভার্ট এলাকায় আজ দুপুরে ইনকিলাব মঞ্চের নেতা হাদিকে গুলি করা হয়। তিনি এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন। হামলায় গুরুতর আহত এই নেতার জন্য ‘বি নেগেটিভ’ গ্রুপের রক্তের দরকার বলে জানিয়েছেন তাঁর অনুসারীরা।
সংবাদমাধ্যমকে তাঁরা জানান, হাদির প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। চিকিৎসকেরা ‘বি নেগেটিভ’ রক্ত জোগাড় করতে বলেছেন।
জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন ঢাকা-৮ আসনের প্রার্থীর ওপর হামলার পরপরই বিবৃতি আসে বিএনপির পক্ষ থেকে।
এতে বলা হয়, হাদি (৩৩) আজ দুপুরে বিপথগামী দুষ্কৃতকারীদের দ্বারা গুলিবিদ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই আক্রমণ সুদুরপ্রসারী অশুভ পরিকল্পনার অংশ। নিঃসন্দেহে এটি নির্বাচনী পরিবেশ বানচাল করার জন্য সন্ত্রাসী কার্যক্রম বিস্তার করার নীলনকশা। দেশের একটি চক্র এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। পরিকল্পিতভাবে সমাজে ভয় আর আতঙ্ক ছড়িয়ে ফায়দা হাসিলের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধনে হিংস্র সন্ত্রাসীরা পরিব্যাপ্ত রয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গণতন্ত্রের বিজয়ের যাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতেই একটি কুচক্রী মহল দেশকে নৈরাজ্যের অন্ধকারের মধ্যে ঠেলে দিতে চাচ্ছে। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হওয়ার মর্মান্তিক ঘটনা সেই অপতৎপরতারই নির্মম বহিঃপ্রকাশ। নাশকতাকারীদের অন্তর্ঘাতমূলক কাজের বিষয়ে জনগণকে সদা সতর্ক থাকতে হবে। গণতন্ত্রের পথচলাকে রুদ্ধ এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতেই এ ধরনের ঘটনা ঘটানো হচ্ছে। তাই এসব নাশকতাকারী সন্ত্রাসীদের কঠোর হস্তে দমনের বিকল্প নেই। গণতন্ত্র ও মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠাসহ দেশের মানুষের জানমাল রক্ষায় দলমত-নির্বিশেষে সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। নইলে ওত পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা মাথাচাড়া দিয়ে দেশের অস্তিত্ব বিপন্ন করতে মরিয়া হয়ে উঠবে।
বিএনপি দুস্কৃতকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানাচ্ছে এবং গুলিতে গুরুতর আহত শরিফ ওসমান হাদির আশু সুস্থতা কামনা করছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা ও উদ্বেগ জানিয়েছে বিএনপি। তারা বলেছে, এই আক্রমণ সুদূরপ্রসারী অশুভ পরিকল্পনার অংশ। নিঃসন্দেহে এটি নির্বাচনী পরিবেশ বানচাল করার জন্য সন্ত্রাসী কার্যক্রম বিস্তার করার নীলনকশা। দেশের একটি চক্র এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আজ শুক্রবার দুপুরে এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেছেন।
রাজধানীর বিজয়নগরের বক্স কালভার্ট এলাকায় আজ দুপুরে ইনকিলাব মঞ্চের নেতা হাদিকে গুলি করা হয়। তিনি এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন। হামলায় গুরুতর আহত এই নেতার জন্য ‘বি নেগেটিভ’ গ্রুপের রক্তের দরকার বলে জানিয়েছেন তাঁর অনুসারীরা।
সংবাদমাধ্যমকে তাঁরা জানান, হাদির প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। চিকিৎসকেরা ‘বি নেগেটিভ’ রক্ত জোগাড় করতে বলেছেন।
জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন ঢাকা-৮ আসনের প্রার্থীর ওপর হামলার পরপরই বিবৃতি আসে বিএনপির পক্ষ থেকে।
এতে বলা হয়, হাদি (৩৩) আজ দুপুরে বিপথগামী দুষ্কৃতকারীদের দ্বারা গুলিবিদ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই আক্রমণ সুদুরপ্রসারী অশুভ পরিকল্পনার অংশ। নিঃসন্দেহে এটি নির্বাচনী পরিবেশ বানচাল করার জন্য সন্ত্রাসী কার্যক্রম বিস্তার করার নীলনকশা। দেশের একটি চক্র এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। পরিকল্পিতভাবে সমাজে ভয় আর আতঙ্ক ছড়িয়ে ফায়দা হাসিলের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধনে হিংস্র সন্ত্রাসীরা পরিব্যাপ্ত রয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গণতন্ত্রের বিজয়ের যাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতেই একটি কুচক্রী মহল দেশকে নৈরাজ্যের অন্ধকারের মধ্যে ঠেলে দিতে চাচ্ছে। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হওয়ার মর্মান্তিক ঘটনা সেই অপতৎপরতারই নির্মম বহিঃপ্রকাশ। নাশকতাকারীদের অন্তর্ঘাতমূলক কাজের বিষয়ে জনগণকে সদা সতর্ক থাকতে হবে। গণতন্ত্রের পথচলাকে রুদ্ধ এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতেই এ ধরনের ঘটনা ঘটানো হচ্ছে। তাই এসব নাশকতাকারী সন্ত্রাসীদের কঠোর হস্তে দমনের বিকল্প নেই। গণতন্ত্র ও মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠাসহ দেশের মানুষের জানমাল রক্ষায় দলমত-নির্বিশেষে সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। নইলে ওত পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা মাথাচাড়া দিয়ে দেশের অস্তিত্ব বিপন্ন করতে মরিয়া হয়ে উঠবে।
বিএনপি দুস্কৃতকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানাচ্ছে এবং গুলিতে গুরুতর আহত শরিফ ওসমান হাদির আশু সুস্থতা কামনা করছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া চাঁদপুর-২ আসনের (মতলব উত্তর ও দক্ষিণ) সাবেক সংসদ সদস্য। ক্ষমতায় থাকাকালে তাঁর হয়ে এলাকা নিয়ন্ত্রণ করত দুটি বাহিনী। একটির নিয়ন্ত্রণে ছিল মতলব উত্তর উপজেলা এবং আরেকটির ছিল মতলব দক্ষিণ।
১৮ অক্টোবর ২০২৪
ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান বিন হাদীর ওপর হামলার প্রতিবাদে ঝালকাঠিতে মহাসড়ক ব্লকেড করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
১ ঘণ্টা আগে
বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, নির্বাচন হবে কি না সেই আশঙ্কা বহুলাংশে দূরীভূত হলেও সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন রয়ে গেছে। আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ‘বাংলাদেশ আসন্ন নির্বাচন ও নির্বাচন কমিশনের সংস্কার প্রসঙ্গে’ আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
১ ঘণ্টা আগে
আজ শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে মোরছালিনকে উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নের বালাপাড়া গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর বেলা ১১টায় তাঁকে যোগেশ চন্দ্রের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী যোগেশ চন্দ্রের বাড়ি থেকে একটি দা ও পুকুর থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত কুড়ালের হাতল উদ্ধার করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে