Ajker Patrika

করতোয়ার ভাঙনে শেরপুরের চারটি গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি  
বগুড়ার শেরপুর উপজেলার কাশিয়াবালা গ্রামে করতোয়া নদীর ভাঙন প্রতিরোধে প্যালাসাইটিং তৈরির কাজ চলছে। সাম্প্রতিক ছবি। আজকের পত্রিকা
বগুড়ার শেরপুর উপজেলার কাশিয়াবালা গ্রামে করতোয়া নদীর ভাঙন প্রতিরোধে প্যালাসাইটিং তৈরির কাজ চলছে। সাম্প্রতিক ছবি। আজকের পত্রিকা

বগুড়ার শেরপুর উপজেলার কাশিয়াবালা গ্রামে করতোয়া নদীর ভাঙনে সড়ক ও কৃষিজমি হুমকির মুখে পড়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, চার-পাঁচ বছর ধরে অব্যাহত ভাঙনে ইতিমধ্যে চার থেকে পাঁচ বিঘা জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। গ্রামের প্রধান সড়কের অর্ধেক অংশ ভেঙে যাওয়ায় মির্জাপুর ও সুঘাট ইউনিয়নের তিন গ্রামের মানুষের চলাচল চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

কাশিয়াবালা গ্রামের মো. আব্দুল আলীম বলেন, ‘রাস্তার অর্ধেক ভেঙে গেছে। ফলে কাশিয়াবালা, কুমারপাড়া, হালদারপাড়া ও বিনোদপুর গ্রামের মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। কুটির শিল্প ও কৃষিপণ্য শহরে নেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। আমরা চাই নদীর পাড়ে ব্লক ফেলে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা হোক।’

স্থানীয় শিক্ষার্থী সাব্বির হাসান বলেন, ‘এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে। এখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মসজিদ আছে। আবার অনেক শিক্ষার্থী শহরে পড়তে যায়। ঝুঁকিপূর্ণ রাস্তায় চলাচলে বড় সমস্যা হচ্ছে। দ্রুত স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।’

কাশিয়াবালা পালপাড়ার বাসিন্দা ও কুমার নিতাই পাল জানান, ‘রাস্তার অবস্থা খারাপ হওয়ায় মৃৎপাত্র তৈরির কাঁচামাল আনতে বেশি খরচ হচ্ছে। আগে যেখানে একই খরচে ২৫ ট্রলি মাটি আনা যেত, এখন সর্বোচ্চ ১৫ ট্রলি আনা সম্ভব হয়। উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে।’

ভাঙন রোধে চলমান কাজ সম্পর্কে শ্রমিক এনামুল হক জানান, ‘গত দুই সপ্তাহ ধরে পানিসম্পদ উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে কাঠের গুঁড়ি দিয়ে প্রায় ১৩৫ মিটার প্যালাসাইটিং তৈরি করা হচ্ছে। এরপর জিও ব্যাগ দিয়ে ঢালু করা হবে। এতে ভাঙন কিছুটা প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।’

এ বিষয়ে শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশিক খান বলেন, ‘কাশিয়াবালার ওই অংশে করতোয়া নদীর ভাঙন প্রতিরোধে পানিসম্পদ উন্নয়ন বোর্ড প্রাথমিকভাবে প্যালাসাইটিং করছে। স্থায়ীভাবে নদীতীর সংরক্ষণের প্রক্রিয়া চলমান আছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত