গনেশ দাস, বগুড়া

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে বিজয় মিছিল নিয়ে গণভবনে যাওয়ার পথে ৫ আগস্ট পুলিশের গুলিতে নিহত হন বগুড়ার নন্দীগ্রামের ভুস্কুর গ্রামের সোহেল রানা। রাজধানীর একটি ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন তিনি। গ্রামের বাড়িতে মা-বাবাসহ পাঁচ সদস্যের সংসার চলত সোহেল রানার উপার্জনে। একমাত্র উপার্জনক্ষম ছেলেকে হারিয়ে এখন দিশেহারা পরিবারটি। খেয়ে না খেয়ে দিন কাটলেও কেউ পাশে দাঁড়ায়নি পরিবারটির।
আজ রোববার নিহত সোহেল রানার বাড়িতে গেলে তাঁর ভাই সিহাব উদ্দিন এ প্রতিবেদককে এসব কথা জানান।
৩০ বছরের যুবক সোহেল রানা ভুস্কুর গ্রামের ফেরদৌস রহমানের ছেলে। উচ্চমাধ্যমিক পাস করে সংসারের অভাব-অনটনের কারণে ঢাকায় চলে আসেন প্রায় ৯ বছর আগে। দেড় বছর আগে বিয়ে করে স্ত্রীসহ বসবাস করতেন রাজধানীর রায়েরবাগ এলাকায়। ছাত্র আন্দোলন শুরু হলে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে পাঠিয়ে দেন শ্বশুরবাড়ি গাইবান্ধা জেলার ঢোলভাঙ্গা গ্রামে।
বড় ভাই সিহাব উদ্দিন বলেন, ‘আমি গরুর ব্যবসাতে লোকসান করে বর্তমানে বেকার। আমার স্ত্রী–সন্তান, বাবা-মার ভরণপোষণ চলত ছোট ভাইয়ের পাঠানো টাকায়। কিছুদিন পর ছোট ভাই ব্যবসার জন্য আমাকে টাকা দিতে চেয়েছিল, কিন্তু তার আগেই পুলিশের গুলিতে প্রাণ গেল ভাইয়ের।’
তিনি বলেন, গত শনিবার ৩ আগস্ট সন্ধ্যা ৭টার দিকে ছোট ভাইয়ের সঙ্গে ফোনে কথা হয়। বাজার খরচের টাকা চাইলে সঙ্গে সঙ্গে বিকাশে ১০ হাজার টাকা পাঠায়। তাকে আন্দোলনে যেতে নিষেধ করলে বলে, ‘এলাকার কেউ ঘরে নেই, সবাই মাঠে নেমেছে। আমি একা ঘরে থেকে কী করব?’
সিহাব উদ্দিন বলেন, ‘পরদিন রোববার সোহেল রানা নিজেই কয়েকবার ফোন করে বাবা, মাসহ অন্যদের সঙ্গে কথা বলে। সোমবার বিকেলে ফোন করতেই রিসিভ করেন অপরিচিত একজন। তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে বলেন সোহেল রানা গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। বাড়িতে এ খবর শুনে আহাজারি শুরু হয় পরিবারে। ঢাকায় বসবাস করা চাচাতো ভাইকে সংবাদ দিলে তিনি সোহেল রানার লাশ নিয়ে আসেন বাড়িতে। পরদিন জানাজা শেষে দাফন করা হয়।’
সোহেল রানার মোবাইল ফোনে বেশ কিছু ভিডিও পাওয়া যায়। সেখানে দেখা যায়, ৫ আগস্ট দুপুরে সোহেল রানা হাতে লাঠি, বুকে জাতীয় পতাকা জড়িয়ে বিজয় মিছিলে লোকজনকে সংগঠিত করছেন। তিনি সবাইকে গণভবনের দিকে যাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন। হাসপাতালে মৃত্যু সনদ অনুয়ায়ী, সোমবার বেলা পৌনে ৩টায় সোহেল রানার মৃত্যু হয়। ছবিতে দেখা যায় তাঁর বুকের সঙ্গে জাতীয় পতাকা ছাড়াও ছোট একটি ব্যাগ ছিল। ব্যাগ ভেদ করে গুলি তাঁর বুকে ঢুকে মৃত্যু হয়।
সোহেল রানার বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, মা মাবিয়া বেগম ছেলের জন্য বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন। লোকজন দেখলে আহাজারি করছেন।
তিনি বলেন, ‘বাড়ির ভিটা ছাড়া কোনো জমি নাই আমাদের। স্বামী অসুস্থ, বড় ছেলেও বেকার। এতগুলো মানুষের খরচ বহন করত সোহেল রানা। সেই ছেলেটাকে গুলি করে মেরে ফেলল পুলিশ? এখন আমাদের সংসার চলবে কী করে? খেয়ে না খেয়ে দিন কাটছে আমাদের। ছেলের বউ সাত মাসের গর্ভবতী। স্বামীর মৃত্যুর খবর শুনে বাবার বাড়ি থেকে আসলেও দাফন শেষে আবার চলে গেছে বাবার বাড়ি। পরে ঢাকায় গিয়ে বাসার মালামাল নিয়ে গেছে বাবার বাড়িতে। বাবার বাড়িতে থেকে আনতে গেলে সে আর শ্বশুরবাড়িতে আসবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে।’
সোহেল রানার ভাই সিহাব উদ্দিন বলেন, ‘ছোট ভাইয়ের জানাজাতে স্থানীয় কয়েকজন বিএনপি নেতা এসেছিলেন। কিন্তু তার পর থেকে কেউ আর খোঁজখবর নেয়নি আমাদের।’

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে বিজয় মিছিল নিয়ে গণভবনে যাওয়ার পথে ৫ আগস্ট পুলিশের গুলিতে নিহত হন বগুড়ার নন্দীগ্রামের ভুস্কুর গ্রামের সোহেল রানা। রাজধানীর একটি ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন তিনি। গ্রামের বাড়িতে মা-বাবাসহ পাঁচ সদস্যের সংসার চলত সোহেল রানার উপার্জনে। একমাত্র উপার্জনক্ষম ছেলেকে হারিয়ে এখন দিশেহারা পরিবারটি। খেয়ে না খেয়ে দিন কাটলেও কেউ পাশে দাঁড়ায়নি পরিবারটির।
আজ রোববার নিহত সোহেল রানার বাড়িতে গেলে তাঁর ভাই সিহাব উদ্দিন এ প্রতিবেদককে এসব কথা জানান।
৩০ বছরের যুবক সোহেল রানা ভুস্কুর গ্রামের ফেরদৌস রহমানের ছেলে। উচ্চমাধ্যমিক পাস করে সংসারের অভাব-অনটনের কারণে ঢাকায় চলে আসেন প্রায় ৯ বছর আগে। দেড় বছর আগে বিয়ে করে স্ত্রীসহ বসবাস করতেন রাজধানীর রায়েরবাগ এলাকায়। ছাত্র আন্দোলন শুরু হলে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে পাঠিয়ে দেন শ্বশুরবাড়ি গাইবান্ধা জেলার ঢোলভাঙ্গা গ্রামে।
বড় ভাই সিহাব উদ্দিন বলেন, ‘আমি গরুর ব্যবসাতে লোকসান করে বর্তমানে বেকার। আমার স্ত্রী–সন্তান, বাবা-মার ভরণপোষণ চলত ছোট ভাইয়ের পাঠানো টাকায়। কিছুদিন পর ছোট ভাই ব্যবসার জন্য আমাকে টাকা দিতে চেয়েছিল, কিন্তু তার আগেই পুলিশের গুলিতে প্রাণ গেল ভাইয়ের।’
তিনি বলেন, গত শনিবার ৩ আগস্ট সন্ধ্যা ৭টার দিকে ছোট ভাইয়ের সঙ্গে ফোনে কথা হয়। বাজার খরচের টাকা চাইলে সঙ্গে সঙ্গে বিকাশে ১০ হাজার টাকা পাঠায়। তাকে আন্দোলনে যেতে নিষেধ করলে বলে, ‘এলাকার কেউ ঘরে নেই, সবাই মাঠে নেমেছে। আমি একা ঘরে থেকে কী করব?’
সিহাব উদ্দিন বলেন, ‘পরদিন রোববার সোহেল রানা নিজেই কয়েকবার ফোন করে বাবা, মাসহ অন্যদের সঙ্গে কথা বলে। সোমবার বিকেলে ফোন করতেই রিসিভ করেন অপরিচিত একজন। তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে বলেন সোহেল রানা গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। বাড়িতে এ খবর শুনে আহাজারি শুরু হয় পরিবারে। ঢাকায় বসবাস করা চাচাতো ভাইকে সংবাদ দিলে তিনি সোহেল রানার লাশ নিয়ে আসেন বাড়িতে। পরদিন জানাজা শেষে দাফন করা হয়।’
সোহেল রানার মোবাইল ফোনে বেশ কিছু ভিডিও পাওয়া যায়। সেখানে দেখা যায়, ৫ আগস্ট দুপুরে সোহেল রানা হাতে লাঠি, বুকে জাতীয় পতাকা জড়িয়ে বিজয় মিছিলে লোকজনকে সংগঠিত করছেন। তিনি সবাইকে গণভবনের দিকে যাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন। হাসপাতালে মৃত্যু সনদ অনুয়ায়ী, সোমবার বেলা পৌনে ৩টায় সোহেল রানার মৃত্যু হয়। ছবিতে দেখা যায় তাঁর বুকের সঙ্গে জাতীয় পতাকা ছাড়াও ছোট একটি ব্যাগ ছিল। ব্যাগ ভেদ করে গুলি তাঁর বুকে ঢুকে মৃত্যু হয়।
সোহেল রানার বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, মা মাবিয়া বেগম ছেলের জন্য বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন। লোকজন দেখলে আহাজারি করছেন।
তিনি বলেন, ‘বাড়ির ভিটা ছাড়া কোনো জমি নাই আমাদের। স্বামী অসুস্থ, বড় ছেলেও বেকার। এতগুলো মানুষের খরচ বহন করত সোহেল রানা। সেই ছেলেটাকে গুলি করে মেরে ফেলল পুলিশ? এখন আমাদের সংসার চলবে কী করে? খেয়ে না খেয়ে দিন কাটছে আমাদের। ছেলের বউ সাত মাসের গর্ভবতী। স্বামীর মৃত্যুর খবর শুনে বাবার বাড়ি থেকে আসলেও দাফন শেষে আবার চলে গেছে বাবার বাড়ি। পরে ঢাকায় গিয়ে বাসার মালামাল নিয়ে গেছে বাবার বাড়িতে। বাবার বাড়িতে থেকে আনতে গেলে সে আর শ্বশুরবাড়িতে আসবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে।’
সোহেল রানার ভাই সিহাব উদ্দিন বলেন, ‘ছোট ভাইয়ের জানাজাতে স্থানীয় কয়েকজন বিএনপি নেতা এসেছিলেন। কিন্তু তার পর থেকে কেউ আর খোঁজখবর নেয়নি আমাদের।’
গনেশ দাস, বগুড়া

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে বিজয় মিছিল নিয়ে গণভবনে যাওয়ার পথে ৫ আগস্ট পুলিশের গুলিতে নিহত হন বগুড়ার নন্দীগ্রামের ভুস্কুর গ্রামের সোহেল রানা। রাজধানীর একটি ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন তিনি। গ্রামের বাড়িতে মা-বাবাসহ পাঁচ সদস্যের সংসার চলত সোহেল রানার উপার্জনে। একমাত্র উপার্জনক্ষম ছেলেকে হারিয়ে এখন দিশেহারা পরিবারটি। খেয়ে না খেয়ে দিন কাটলেও কেউ পাশে দাঁড়ায়নি পরিবারটির।
আজ রোববার নিহত সোহেল রানার বাড়িতে গেলে তাঁর ভাই সিহাব উদ্দিন এ প্রতিবেদককে এসব কথা জানান।
৩০ বছরের যুবক সোহেল রানা ভুস্কুর গ্রামের ফেরদৌস রহমানের ছেলে। উচ্চমাধ্যমিক পাস করে সংসারের অভাব-অনটনের কারণে ঢাকায় চলে আসেন প্রায় ৯ বছর আগে। দেড় বছর আগে বিয়ে করে স্ত্রীসহ বসবাস করতেন রাজধানীর রায়েরবাগ এলাকায়। ছাত্র আন্দোলন শুরু হলে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে পাঠিয়ে দেন শ্বশুরবাড়ি গাইবান্ধা জেলার ঢোলভাঙ্গা গ্রামে।
বড় ভাই সিহাব উদ্দিন বলেন, ‘আমি গরুর ব্যবসাতে লোকসান করে বর্তমানে বেকার। আমার স্ত্রী–সন্তান, বাবা-মার ভরণপোষণ চলত ছোট ভাইয়ের পাঠানো টাকায়। কিছুদিন পর ছোট ভাই ব্যবসার জন্য আমাকে টাকা দিতে চেয়েছিল, কিন্তু তার আগেই পুলিশের গুলিতে প্রাণ গেল ভাইয়ের।’
তিনি বলেন, গত শনিবার ৩ আগস্ট সন্ধ্যা ৭টার দিকে ছোট ভাইয়ের সঙ্গে ফোনে কথা হয়। বাজার খরচের টাকা চাইলে সঙ্গে সঙ্গে বিকাশে ১০ হাজার টাকা পাঠায়। তাকে আন্দোলনে যেতে নিষেধ করলে বলে, ‘এলাকার কেউ ঘরে নেই, সবাই মাঠে নেমেছে। আমি একা ঘরে থেকে কী করব?’
সিহাব উদ্দিন বলেন, ‘পরদিন রোববার সোহেল রানা নিজেই কয়েকবার ফোন করে বাবা, মাসহ অন্যদের সঙ্গে কথা বলে। সোমবার বিকেলে ফোন করতেই রিসিভ করেন অপরিচিত একজন। তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে বলেন সোহেল রানা গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। বাড়িতে এ খবর শুনে আহাজারি শুরু হয় পরিবারে। ঢাকায় বসবাস করা চাচাতো ভাইকে সংবাদ দিলে তিনি সোহেল রানার লাশ নিয়ে আসেন বাড়িতে। পরদিন জানাজা শেষে দাফন করা হয়।’
সোহেল রানার মোবাইল ফোনে বেশ কিছু ভিডিও পাওয়া যায়। সেখানে দেখা যায়, ৫ আগস্ট দুপুরে সোহেল রানা হাতে লাঠি, বুকে জাতীয় পতাকা জড়িয়ে বিজয় মিছিলে লোকজনকে সংগঠিত করছেন। তিনি সবাইকে গণভবনের দিকে যাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন। হাসপাতালে মৃত্যু সনদ অনুয়ায়ী, সোমবার বেলা পৌনে ৩টায় সোহেল রানার মৃত্যু হয়। ছবিতে দেখা যায় তাঁর বুকের সঙ্গে জাতীয় পতাকা ছাড়াও ছোট একটি ব্যাগ ছিল। ব্যাগ ভেদ করে গুলি তাঁর বুকে ঢুকে মৃত্যু হয়।
সোহেল রানার বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, মা মাবিয়া বেগম ছেলের জন্য বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন। লোকজন দেখলে আহাজারি করছেন।
তিনি বলেন, ‘বাড়ির ভিটা ছাড়া কোনো জমি নাই আমাদের। স্বামী অসুস্থ, বড় ছেলেও বেকার। এতগুলো মানুষের খরচ বহন করত সোহেল রানা। সেই ছেলেটাকে গুলি করে মেরে ফেলল পুলিশ? এখন আমাদের সংসার চলবে কী করে? খেয়ে না খেয়ে দিন কাটছে আমাদের। ছেলের বউ সাত মাসের গর্ভবতী। স্বামীর মৃত্যুর খবর শুনে বাবার বাড়ি থেকে আসলেও দাফন শেষে আবার চলে গেছে বাবার বাড়ি। পরে ঢাকায় গিয়ে বাসার মালামাল নিয়ে গেছে বাবার বাড়িতে। বাবার বাড়িতে থেকে আনতে গেলে সে আর শ্বশুরবাড়িতে আসবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে।’
সোহেল রানার ভাই সিহাব উদ্দিন বলেন, ‘ছোট ভাইয়ের জানাজাতে স্থানীয় কয়েকজন বিএনপি নেতা এসেছিলেন। কিন্তু তার পর থেকে কেউ আর খোঁজখবর নেয়নি আমাদের।’

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে বিজয় মিছিল নিয়ে গণভবনে যাওয়ার পথে ৫ আগস্ট পুলিশের গুলিতে নিহত হন বগুড়ার নন্দীগ্রামের ভুস্কুর গ্রামের সোহেল রানা। রাজধানীর একটি ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন তিনি। গ্রামের বাড়িতে মা-বাবাসহ পাঁচ সদস্যের সংসার চলত সোহেল রানার উপার্জনে। একমাত্র উপার্জনক্ষম ছেলেকে হারিয়ে এখন দিশেহারা পরিবারটি। খেয়ে না খেয়ে দিন কাটলেও কেউ পাশে দাঁড়ায়নি পরিবারটির।
আজ রোববার নিহত সোহেল রানার বাড়িতে গেলে তাঁর ভাই সিহাব উদ্দিন এ প্রতিবেদককে এসব কথা জানান।
৩০ বছরের যুবক সোহেল রানা ভুস্কুর গ্রামের ফেরদৌস রহমানের ছেলে। উচ্চমাধ্যমিক পাস করে সংসারের অভাব-অনটনের কারণে ঢাকায় চলে আসেন প্রায় ৯ বছর আগে। দেড় বছর আগে বিয়ে করে স্ত্রীসহ বসবাস করতেন রাজধানীর রায়েরবাগ এলাকায়। ছাত্র আন্দোলন শুরু হলে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে পাঠিয়ে দেন শ্বশুরবাড়ি গাইবান্ধা জেলার ঢোলভাঙ্গা গ্রামে।
বড় ভাই সিহাব উদ্দিন বলেন, ‘আমি গরুর ব্যবসাতে লোকসান করে বর্তমানে বেকার। আমার স্ত্রী–সন্তান, বাবা-মার ভরণপোষণ চলত ছোট ভাইয়ের পাঠানো টাকায়। কিছুদিন পর ছোট ভাই ব্যবসার জন্য আমাকে টাকা দিতে চেয়েছিল, কিন্তু তার আগেই পুলিশের গুলিতে প্রাণ গেল ভাইয়ের।’
তিনি বলেন, গত শনিবার ৩ আগস্ট সন্ধ্যা ৭টার দিকে ছোট ভাইয়ের সঙ্গে ফোনে কথা হয়। বাজার খরচের টাকা চাইলে সঙ্গে সঙ্গে বিকাশে ১০ হাজার টাকা পাঠায়। তাকে আন্দোলনে যেতে নিষেধ করলে বলে, ‘এলাকার কেউ ঘরে নেই, সবাই মাঠে নেমেছে। আমি একা ঘরে থেকে কী করব?’
সিহাব উদ্দিন বলেন, ‘পরদিন রোববার সোহেল রানা নিজেই কয়েকবার ফোন করে বাবা, মাসহ অন্যদের সঙ্গে কথা বলে। সোমবার বিকেলে ফোন করতেই রিসিভ করেন অপরিচিত একজন। তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে বলেন সোহেল রানা গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। বাড়িতে এ খবর শুনে আহাজারি শুরু হয় পরিবারে। ঢাকায় বসবাস করা চাচাতো ভাইকে সংবাদ দিলে তিনি সোহেল রানার লাশ নিয়ে আসেন বাড়িতে। পরদিন জানাজা শেষে দাফন করা হয়।’
সোহেল রানার মোবাইল ফোনে বেশ কিছু ভিডিও পাওয়া যায়। সেখানে দেখা যায়, ৫ আগস্ট দুপুরে সোহেল রানা হাতে লাঠি, বুকে জাতীয় পতাকা জড়িয়ে বিজয় মিছিলে লোকজনকে সংগঠিত করছেন। তিনি সবাইকে গণভবনের দিকে যাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন। হাসপাতালে মৃত্যু সনদ অনুয়ায়ী, সোমবার বেলা পৌনে ৩টায় সোহেল রানার মৃত্যু হয়। ছবিতে দেখা যায় তাঁর বুকের সঙ্গে জাতীয় পতাকা ছাড়াও ছোট একটি ব্যাগ ছিল। ব্যাগ ভেদ করে গুলি তাঁর বুকে ঢুকে মৃত্যু হয়।
সোহেল রানার বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, মা মাবিয়া বেগম ছেলের জন্য বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন। লোকজন দেখলে আহাজারি করছেন।
তিনি বলেন, ‘বাড়ির ভিটা ছাড়া কোনো জমি নাই আমাদের। স্বামী অসুস্থ, বড় ছেলেও বেকার। এতগুলো মানুষের খরচ বহন করত সোহেল রানা। সেই ছেলেটাকে গুলি করে মেরে ফেলল পুলিশ? এখন আমাদের সংসার চলবে কী করে? খেয়ে না খেয়ে দিন কাটছে আমাদের। ছেলের বউ সাত মাসের গর্ভবতী। স্বামীর মৃত্যুর খবর শুনে বাবার বাড়ি থেকে আসলেও দাফন শেষে আবার চলে গেছে বাবার বাড়ি। পরে ঢাকায় গিয়ে বাসার মালামাল নিয়ে গেছে বাবার বাড়িতে। বাবার বাড়িতে থেকে আনতে গেলে সে আর শ্বশুরবাড়িতে আসবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে।’
সোহেল রানার ভাই সিহাব উদ্দিন বলেন, ‘ছোট ভাইয়ের জানাজাতে স্থানীয় কয়েকজন বিএনপি নেতা এসেছিলেন। কিন্তু তার পর থেকে কেউ আর খোঁজখবর নেয়নি আমাদের।’

বিআরটিএর চেয়ারম্যান আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, মহাসড়কে কোনো অবৈধ যানবাহন চলতে পারবে না। এ বিষয়ে পুলিশ, বিআরটিএসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
২ মিনিট আগে
যশোর সদরে অভিযান চালিয়ে রান্নাঘরে পুঁতে রাখা বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার দৌলতদিহির হুমায়ুন কবিরের বাড়ি থেকে পিস্তল উদ্ধার করা হয়। কোতোয়ালি মডেল থানা-পুলিশ পিস্তলটি উদ্ধার করে। এ সময় অস্ত্রের মালিক শাকিল হোসেন পালিয়ে যান। শাকিল হুমায়ুন কবিরের ছেলে।
৪ মিনিট আগে
আবারও পুরান ঢাকার বংশাল এলাকায় প্রেমিকার বাসার সিঁড়িতে সজিব (১৯) নামের এক শিক্ষার্থীর লাশ পাওয়া গেছে। তিনি এবার বংশালে আহমেদ বাওয়ানী একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন।
৬ মিনিট আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেলমেট, জ্যাকেট ও ক্রিকেটের প্যাড পরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে মো. নাসির মিয়া (৬৫) নামের এক ব্যক্তি মারা গেছেন। শনিবার সকালে সদর উপজেলার বিরামপুর গ্রামে এই সংঘর্ষ হয়। নিহত নাসির মিয়া ওই গ্রামের মইজ উদ্দিনের ছেলে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।
২৫ মিনিট আগেপঞ্চগড় প্রতিনিধি

বিআরটিএর চেয়ারম্যান আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, মহাসড়কে কোনো অবৈধ যানবাহন চলতে পারবে না। এ বিষয়ে পুলিশ, বিআরটিএসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) রাতে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে জেলা প্রশাসন ও বিআরটিএ যৌথ আয়োজনে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বিআরটিএর চেয়ারম্যান বলেন, ‘কোনো লক্কড়ঝক্কড় গাড়ি আমরা মহাসড়কে চলতে দেব না। এ জন্য বিআরটিএ, প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর একসঙ্গে কাজ করছে। সরকারি গাড়িগুলোও ছাড় পাবে না, এমনকি আমি নিজেই বিআরটিএর গাড়ি ডাম্প করেছি।’

বিআরটিএর চেয়ারম্যান আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, মহাসড়কে কোনো অবৈধ যানবাহন চলতে পারবে না। এ বিষয়ে পুলিশ, বিআরটিএসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) রাতে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে জেলা প্রশাসন ও বিআরটিএ যৌথ আয়োজনে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বিআরটিএর চেয়ারম্যান বলেন, ‘কোনো লক্কড়ঝক্কড় গাড়ি আমরা মহাসড়কে চলতে দেব না। এ জন্য বিআরটিএ, প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর একসঙ্গে কাজ করছে। সরকারি গাড়িগুলোও ছাড় পাবে না, এমনকি আমি নিজেই বিআরটিএর গাড়ি ডাম্প করেছি।’

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে বিজয় মিছিল নিয়ে গণভবনে যাওয়ার পথে ৫ আগস্ট পুলিশের গুলিতে নিহত হন বগুড়ার নন্দীগ্রামের ভুস্কুর গ্রামের সোহেল রানা। রাজধানীর একটি ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন তিনি। গ্রামের বাড়িতে মা-বাবাসহ পাঁচ সদস্যের সংসার চলত সোহেল রানার উপার্জনে।
১৮ আগস্ট ২০২৪
যশোর সদরে অভিযান চালিয়ে রান্নাঘরে পুঁতে রাখা বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার দৌলতদিহির হুমায়ুন কবিরের বাড়ি থেকে পিস্তল উদ্ধার করা হয়। কোতোয়ালি মডেল থানা-পুলিশ পিস্তলটি উদ্ধার করে। এ সময় অস্ত্রের মালিক শাকিল হোসেন পালিয়ে যান। শাকিল হুমায়ুন কবিরের ছেলে।
৪ মিনিট আগে
আবারও পুরান ঢাকার বংশাল এলাকায় প্রেমিকার বাসার সিঁড়িতে সজিব (১৯) নামের এক শিক্ষার্থীর লাশ পাওয়া গেছে। তিনি এবার বংশালে আহমেদ বাওয়ানী একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন।
৬ মিনিট আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেলমেট, জ্যাকেট ও ক্রিকেটের প্যাড পরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে মো. নাসির মিয়া (৬৫) নামের এক ব্যক্তি মারা গেছেন। শনিবার সকালে সদর উপজেলার বিরামপুর গ্রামে এই সংঘর্ষ হয়। নিহত নাসির মিয়া ওই গ্রামের মইজ উদ্দিনের ছেলে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।
২৫ মিনিট আগেযশোর প্রতিনিধি

যশোর সদরে অভিযান চালিয়ে রান্নাঘরে পুঁতে রাখা বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যায়উপজেলার দৌলতদিহির হুমায়ুন কবিরের বাড়ি থেকে পিস্তল উদ্ধার করা হয়।
কোতোয়ালি মডেল থানা-পুলিশ পিস্তলটি উদ্ধার করে। এ সময় অস্ত্রের মালিক শাকিল হোসেন পালিয়ে যান। শাকিল হুমায়ুন কবিরের ছেলে।
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আবুল হাসনাত আজকের পত্রিকাকে বলেন, গোপন খবরের ভিত্তিতে পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে পিস্তলটি উদ্ধার করে।

যশোর সদরে অভিযান চালিয়ে রান্নাঘরে পুঁতে রাখা বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যায়উপজেলার দৌলতদিহির হুমায়ুন কবিরের বাড়ি থেকে পিস্তল উদ্ধার করা হয়।
কোতোয়ালি মডেল থানা-পুলিশ পিস্তলটি উদ্ধার করে। এ সময় অস্ত্রের মালিক শাকিল হোসেন পালিয়ে যান। শাকিল হুমায়ুন কবিরের ছেলে।
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আবুল হাসনাত আজকের পত্রিকাকে বলেন, গোপন খবরের ভিত্তিতে পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে পিস্তলটি উদ্ধার করে।

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে বিজয় মিছিল নিয়ে গণভবনে যাওয়ার পথে ৫ আগস্ট পুলিশের গুলিতে নিহত হন বগুড়ার নন্দীগ্রামের ভুস্কুর গ্রামের সোহেল রানা। রাজধানীর একটি ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন তিনি। গ্রামের বাড়িতে মা-বাবাসহ পাঁচ সদস্যের সংসার চলত সোহেল রানার উপার্জনে।
১৮ আগস্ট ২০২৪
বিআরটিএর চেয়ারম্যান আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, মহাসড়কে কোনো অবৈধ যানবাহন চলতে পারবে না। এ বিষয়ে পুলিশ, বিআরটিএসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
২ মিনিট আগে
আবারও পুরান ঢাকার বংশাল এলাকায় প্রেমিকার বাসার সিঁড়িতে সজিব (১৯) নামের এক শিক্ষার্থীর লাশ পাওয়া গেছে। তিনি এবার বংশালে আহমেদ বাওয়ানী একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন।
৬ মিনিট আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেলমেট, জ্যাকেট ও ক্রিকেটের প্যাড পরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে মো. নাসির মিয়া (৬৫) নামের এক ব্যক্তি মারা গেছেন। শনিবার সকালে সদর উপজেলার বিরামপুর গ্রামে এই সংঘর্ষ হয়। নিহত নাসির মিয়া ওই গ্রামের মইজ উদ্দিনের ছেলে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।
২৫ মিনিট আগেঢামেক প্রতিবেদক

আবারও পুরান ঢাকার বংশাল এলাকায় প্রেমিকার বাসার সিঁড়িতে সজিব (১৯) নামের এক শিক্ষার্থীর লাশ পাওয়া গেছে। তিনি এবার বংশালে আহমেদ বাওয়ানী একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন।
আজ শনিবার (২৫ অক্টোবর) বিকেলের দিকে বংশালের আগামসিহ লেনের ৯৩/১ নম্বর বাসায় ঘটনাটি ঘটে। পরে পুলিশ সংবাদ পেয়ে ওই বাসার চারতলার সিঁড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে। এ সময় ওই শিক্ষার্থীর গলায় জিআই তার পেঁচানো ছিল।
বংশাল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. দুলাল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘বিকেলে স্থানীয়দের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। ওই বাসার চারতলার সিঁড়ি থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রথমে অজ্ঞাতনামা হিসেবে এবং পরে মোবাইলের মাধ্যমে পরিচয় শনাক্ত হয়। এ সময় সে গলায় জিআই তার পেঁচানো অবস্থায় উপুড় হয়ে সিঁড়িতে পড়ে ছিল। তবে ওই বাসার চারতলায় শুধু একটি পরিবার থাকত বলে জানা গেছে। এ ছাড়া ওই বাসা পুরোটাই গোডাউন। চারতলার ওই বাসা বাইরে থেকে তালাবদ্ধ অবস্থায় ছিল।’
এসআই আরও জানান, ধারণা করা হচ্ছে, ওই শিক্ষার্থীকে গলায় জিআই তার পেঁচিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হচ্ছে।
হাসপাতালে নিহত সজিবের চাচাতো ভাই মো. ইসলাম বলেন, ‘সজিবদের বাসা বংশাল আগামসিহ লেনে। সজিব এবার আহমেদ বাওয়ানী একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল। তবে সে অকৃতকার্য হয়। কয়েক দিন আগে তাবলিগের সঙ্গে দোহার গিয়েছিল। গতকাল বাসায় আসে। আজ বেলা ৩টার দিকে ফোন পেয়ে বাসা থেকে বের হয়। এরপর বিকেলে জানতে পারি, একটি বাসার সিঁড়িতে সজিবের মরদেহ পাওয়া গেছে।’
সজিব আরও বলেন, ‘যে বাসায় সজিবের মরদেহ পাওয়া গেছে, ওই বাসার চারতলায় সজিবের প্রেমিকা খাদিজাদের বাসা। খাদিজার বাবা বেঁচে নেই। তবে ঘটনার পর থেকে তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি। ৬ বছর ধরে খাদিজার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল সজিবের। মাঝে একবার মনোমালিন্য হয়েছিল। তবে খাদিজার মামারা এই সম্পর্ক মেনে নিতে পারছিলেন না।’
পরিবারের অভিযোগ, খাদিজার দুই মামা ইকবাল ও কামাল মিলে সজিবকে হত্যা করেছে।
এর আগে, ১৯ অক্টোবর রাজধানীর পুরান ঢাকার আরমানিটোলা এলাকার একটি বাসার সিঁড়িতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রদল নেতার রক্তাক্ত লাশ পাওয়া যায়। আরমানিটোলার পানির পাম্প গলির ওই বাসায় জুবায়েদ টিউশনি করাতেন। পরে ডিএমপি এই হত্যাকাণ্ডকে ‘ত্রিভুজ প্রেমের’ ফল বলে জানায়।

আবারও পুরান ঢাকার বংশাল এলাকায় প্রেমিকার বাসার সিঁড়িতে সজিব (১৯) নামের এক শিক্ষার্থীর লাশ পাওয়া গেছে। তিনি এবার বংশালে আহমেদ বাওয়ানী একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন।
আজ শনিবার (২৫ অক্টোবর) বিকেলের দিকে বংশালের আগামসিহ লেনের ৯৩/১ নম্বর বাসায় ঘটনাটি ঘটে। পরে পুলিশ সংবাদ পেয়ে ওই বাসার চারতলার সিঁড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে। এ সময় ওই শিক্ষার্থীর গলায় জিআই তার পেঁচানো ছিল।
বংশাল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. দুলাল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘বিকেলে স্থানীয়দের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। ওই বাসার চারতলার সিঁড়ি থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রথমে অজ্ঞাতনামা হিসেবে এবং পরে মোবাইলের মাধ্যমে পরিচয় শনাক্ত হয়। এ সময় সে গলায় জিআই তার পেঁচানো অবস্থায় উপুড় হয়ে সিঁড়িতে পড়ে ছিল। তবে ওই বাসার চারতলায় শুধু একটি পরিবার থাকত বলে জানা গেছে। এ ছাড়া ওই বাসা পুরোটাই গোডাউন। চারতলার ওই বাসা বাইরে থেকে তালাবদ্ধ অবস্থায় ছিল।’
এসআই আরও জানান, ধারণা করা হচ্ছে, ওই শিক্ষার্থীকে গলায় জিআই তার পেঁচিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হচ্ছে।
হাসপাতালে নিহত সজিবের চাচাতো ভাই মো. ইসলাম বলেন, ‘সজিবদের বাসা বংশাল আগামসিহ লেনে। সজিব এবার আহমেদ বাওয়ানী একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল। তবে সে অকৃতকার্য হয়। কয়েক দিন আগে তাবলিগের সঙ্গে দোহার গিয়েছিল। গতকাল বাসায় আসে। আজ বেলা ৩টার দিকে ফোন পেয়ে বাসা থেকে বের হয়। এরপর বিকেলে জানতে পারি, একটি বাসার সিঁড়িতে সজিবের মরদেহ পাওয়া গেছে।’
সজিব আরও বলেন, ‘যে বাসায় সজিবের মরদেহ পাওয়া গেছে, ওই বাসার চারতলায় সজিবের প্রেমিকা খাদিজাদের বাসা। খাদিজার বাবা বেঁচে নেই। তবে ঘটনার পর থেকে তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি। ৬ বছর ধরে খাদিজার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল সজিবের। মাঝে একবার মনোমালিন্য হয়েছিল। তবে খাদিজার মামারা এই সম্পর্ক মেনে নিতে পারছিলেন না।’
পরিবারের অভিযোগ, খাদিজার দুই মামা ইকবাল ও কামাল মিলে সজিবকে হত্যা করেছে।
এর আগে, ১৯ অক্টোবর রাজধানীর পুরান ঢাকার আরমানিটোলা এলাকার একটি বাসার সিঁড়িতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রদল নেতার রক্তাক্ত লাশ পাওয়া যায়। আরমানিটোলার পানির পাম্প গলির ওই বাসায় জুবায়েদ টিউশনি করাতেন। পরে ডিএমপি এই হত্যাকাণ্ডকে ‘ত্রিভুজ প্রেমের’ ফল বলে জানায়।

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে বিজয় মিছিল নিয়ে গণভবনে যাওয়ার পথে ৫ আগস্ট পুলিশের গুলিতে নিহত হন বগুড়ার নন্দীগ্রামের ভুস্কুর গ্রামের সোহেল রানা। রাজধানীর একটি ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন তিনি। গ্রামের বাড়িতে মা-বাবাসহ পাঁচ সদস্যের সংসার চলত সোহেল রানার উপার্জনে।
১৮ আগস্ট ২০২৪
বিআরটিএর চেয়ারম্যান আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, মহাসড়কে কোনো অবৈধ যানবাহন চলতে পারবে না। এ বিষয়ে পুলিশ, বিআরটিএসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
২ মিনিট আগে
যশোর সদরে অভিযান চালিয়ে রান্নাঘরে পুঁতে রাখা বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার দৌলতদিহির হুমায়ুন কবিরের বাড়ি থেকে পিস্তল উদ্ধার করা হয়। কোতোয়ালি মডেল থানা-পুলিশ পিস্তলটি উদ্ধার করে। এ সময় অস্ত্রের মালিক শাকিল হোসেন পালিয়ে যান। শাকিল হুমায়ুন কবিরের ছেলে।
৪ মিনিট আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেলমেট, জ্যাকেট ও ক্রিকেটের প্যাড পরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে মো. নাসির মিয়া (৬৫) নামের এক ব্যক্তি মারা গেছেন। শনিবার সকালে সদর উপজেলার বিরামপুর গ্রামে এই সংঘর্ষ হয়। নিহত নাসির মিয়া ওই গ্রামের মইজ উদ্দিনের ছেলে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।
২৫ মিনিট আগেব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেলমেট, জ্যাকেট ও ক্রিকেটের প্যাড পরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে মো. নাসির মিয়া (৬৫) নামের এক ব্যক্তি মারা গেছেন। শনিবার সকালে সদর উপজেলার বিরামপুর গ্রামে এই সংঘর্ষ হয়। নিহত নাসির মিয়া ওই গ্রামের মইজ উদ্দিনের ছেলে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।
পুলিশ জানান, দীর্ঘদিন ধরে গ্রামের সাবেক চেয়ারম্যান হারুন মিয়ার সঙ্গে একই গ্রামের সাচ্চু গ্রুপের আধিপত্য নিয়ে পূর্ববিরোধ চলছিল। উভয় পক্ষে অনুসারীদের মধ্যে ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নিহত নাসির উদ্দিন বিরামপুর গ্রামের বাসিন্দা।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, আজ সকাল সাড়ে ৬টার দিকে উভয় পক্ষের লোকজন বল্লম, টেঁটাসহ দেশি অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ান। উভয় পক্ষের লোকজনকে হেলমেট, লাইফ জ্যাকেট ও ক্রিকেটের প্যাড পরে সংঘর্ষে অংশ নিতে দেখা যায়। এ সময় বেশ কয়েক নারীকেও সংঘর্ষে উপস্থিত দেখা যায়।
ঘটনার সময় ককটেল বিস্ফোরণসহ উভয় পক্ষের বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ও দোকানপাট লুটপাট, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে দুপুর ১২টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে সাচ্চু পক্ষের নাসির মিয়া নিহত হন এবং উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম বলেন, পূর্ব থেকে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। গতকাল গ্রামের এক বৃদ্ধা মারা যান। তাঁর ছয় ছেলের মধ্যে চারজন এক পক্ষে এবং দুজন অন্য পক্ষের অনুসারী। তাঁদের মায়ের লাশ দাফন নিয়ে সংঘর্ষ হয়েছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন আছে। লাশের ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে এখনো কোনো মামলা কিংবা কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেলমেট, জ্যাকেট ও ক্রিকেটের প্যাড পরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে মো. নাসির মিয়া (৬৫) নামের এক ব্যক্তি মারা গেছেন। শনিবার সকালে সদর উপজেলার বিরামপুর গ্রামে এই সংঘর্ষ হয়। নিহত নাসির মিয়া ওই গ্রামের মইজ উদ্দিনের ছেলে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।
পুলিশ জানান, দীর্ঘদিন ধরে গ্রামের সাবেক চেয়ারম্যান হারুন মিয়ার সঙ্গে একই গ্রামের সাচ্চু গ্রুপের আধিপত্য নিয়ে পূর্ববিরোধ চলছিল। উভয় পক্ষে অনুসারীদের মধ্যে ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নিহত নাসির উদ্দিন বিরামপুর গ্রামের বাসিন্দা।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, আজ সকাল সাড়ে ৬টার দিকে উভয় পক্ষের লোকজন বল্লম, টেঁটাসহ দেশি অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ান। উভয় পক্ষের লোকজনকে হেলমেট, লাইফ জ্যাকেট ও ক্রিকেটের প্যাড পরে সংঘর্ষে অংশ নিতে দেখা যায়। এ সময় বেশ কয়েক নারীকেও সংঘর্ষে উপস্থিত দেখা যায়।
ঘটনার সময় ককটেল বিস্ফোরণসহ উভয় পক্ষের বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ও দোকানপাট লুটপাট, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে দুপুর ১২টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে সাচ্চু পক্ষের নাসির মিয়া নিহত হন এবং উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম বলেন, পূর্ব থেকে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। গতকাল গ্রামের এক বৃদ্ধা মারা যান। তাঁর ছয় ছেলের মধ্যে চারজন এক পক্ষে এবং দুজন অন্য পক্ষের অনুসারী। তাঁদের মায়ের লাশ দাফন নিয়ে সংঘর্ষ হয়েছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন আছে। লাশের ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে এখনো কোনো মামলা কিংবা কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে বিজয় মিছিল নিয়ে গণভবনে যাওয়ার পথে ৫ আগস্ট পুলিশের গুলিতে নিহত হন বগুড়ার নন্দীগ্রামের ভুস্কুর গ্রামের সোহেল রানা। রাজধানীর একটি ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন তিনি। গ্রামের বাড়িতে মা-বাবাসহ পাঁচ সদস্যের সংসার চলত সোহেল রানার উপার্জনে।
১৮ আগস্ট ২০২৪
বিআরটিএর চেয়ারম্যান আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, মহাসড়কে কোনো অবৈধ যানবাহন চলতে পারবে না। এ বিষয়ে পুলিশ, বিআরটিএসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
২ মিনিট আগে
যশোর সদরে অভিযান চালিয়ে রান্নাঘরে পুঁতে রাখা বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার দৌলতদিহির হুমায়ুন কবিরের বাড়ি থেকে পিস্তল উদ্ধার করা হয়। কোতোয়ালি মডেল থানা-পুলিশ পিস্তলটি উদ্ধার করে। এ সময় অস্ত্রের মালিক শাকিল হোসেন পালিয়ে যান। শাকিল হুমায়ুন কবিরের ছেলে।
৪ মিনিট আগে
আবারও পুরান ঢাকার বংশাল এলাকায় প্রেমিকার বাসার সিঁড়িতে সজিব (১৯) নামের এক শিক্ষার্থীর লাশ পাওয়া গেছে। তিনি এবার বংশালে আহমেদ বাওয়ানী একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন।
৬ মিনিট আগে