আরিফুর রহমান মিঠু, শাজাহানপুর (বগুড়া)

বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) থেকে বাঙ্গালী নদী খননের নিলাম হওয়া বালু শাজাহানপুর উপজেলার ১০টি গ্রামের হাজারো মানুষের দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। উপজেলার আমরুল ইউনিয়নের শৈলধুকড়ী গ্রামে নদীর পাড়ে ইতিমধ্যে ভাঙন দেখা দিয়েছে।
দিনরাত বালু পরিবহন করা ট্রাকের চাকায় নষ্ট হচ্ছে কোটি টাকার কাঁচা-পাকা সড়ক। ব্যবসায়ীরা বালু বহনে পাউবোর শর্ত মানছে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
২০২৪ সালের ২৮ অক্টোবর বগুড়া পাউবোর সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাজমুল হকের স্বাক্ষরে নিলামের কার্যাদেশ হয়। ওই কার্যাদেশ থেকে জানা যায়, নদী খননের ৮ লাখ ৩২ হাজার ৫৪১ ঘনফুট বালু ৬ লাখ ২৪ হাজার ৯২৬ টাকায় দেওয়া হয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স মাসুদ কনস্ট্রাকশনের স্বত্বাধিকারী মাসুদুজ্জামানকে। ওই বছরের ২৮ অক্টোবর থেকে চলতি বছরের ৩০ জুনের মধ্যে বালু অপসারণ করতে বলা হয়।
তবে ২০২৫ সালের ২৯ জুন আরেকটি আদেশে আগামী বছরের ৩০ জুনের মধ্যে বালু অপসারণে চিঠি দেওয়া হয়। চিঠিতে কত ঘনফুট বালু অপসারণ করা হয়েছে, আর কত ঘনফুট নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অপসারণ করতে হবে, তা উল্লেখ করা হয়নি।
প্রথম কার্যাদেশে মোট ৮টি শর্ত উল্লেখ থাকলেও দ্বিতীয় কার্যাদেশে ৯টি শর্ত রয়েছে। উভয় কার্যাদেশের ৪ নম্বর শর্তে লেখা হয়েছে, ‘মাটি পরিবহনের কারণে জনগণের রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হলে নিলাম ডাককারীকে নিজ খরচে মেরামত করতে হবে।’ দ্বিতীয় কার্যাদেশের ৮ নম্বর শর্তে লেখা হয়েছে, শর্তাবলি ভঙ্গ করলে নিলাম চুক্তি বাতিলসহ বালু ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
একই এলাকার পাশের আরেকটি স্থান থেকে নিলামে ২ লাখ ৫০ হাজার ঘনফুট বালু কিনে বিক্রি করছেন মাশফিকুর রহমান মামুন নামের বিএনপির এক নেতা।
কামরুজ্জামান রাজা নামের আমরুল ইউনিয়নের এক বাসিন্দা বলেন, বালু পরিহবনের কারণে দুর্ভোগে পড়েছে আমরুল ইউনিয়নের শৈলধুকড়ী, লক্ষ্মীপুর, গোবিন্দপুর, রাধানগর, নগর, রামপুর ফুলকোট, পরানবাড়িয়াসহ আশপাশের প্রায় ১০টি গ্রামের হাজারো মানুষ।
জানতে চাইলে আমরুল ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য রবিউল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, মাসুদুজ্জামান ৮ লাখ ৩২ হাজার ঘনফুট বালু নিলামে পেলেও এক কোটি ঘনফুটের বেশি বালু বিক্রি করেছেন। যদিও কাগজে-কলমে মাসুদের বালু বিক্রি শেষ হচ্ছেই না।
শাজাহানপুর উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাশেদ ইমরান বলেন, ‘প্রতি কিলোমিটার সড়ক সংস্কারে প্রায় ৫০ লাখ টাকা খরচ হয়। চাহিদা দেওয়ার সঙ্গেই পাওয়া যাবে এমন নয়। শৈলধুকড়ী বালুর ঘটনায় সড়ক নষ্টের কথা শুনেছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
রাস্তা নষ্ট হওয়ার বিষয়ে ঠিকাদার মাসুদুজ্জামান বলেন, ‘আমি শাজাহানপুর উপজেলা কোকো পরিষদের সভাপতি। তিন লক্ষাধিক টাকায় কাঁচা রাস্তা সংস্কার করেছি।’
আরেক বালু ব্যবসায়ী মাশফিকুর রহমান মামুন বলেন, ‘আমি উপজেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক পদে আছি। দল করলেও ব্যবসা করার অধিকার রয়েছে। এটা দলীয় কোনো বিষয় নয়। বালু তো আর ফেলে আসতে পারব না।’
শাজাহানপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ইনামুল হক শাহীন বলেন, ‘শুনেছি সরকারি টেন্ডারে স্তূপীকৃত বালু অপসারণের কাজ তাঁরা পেয়েছেন। তবে নিয়মমাফিক এবং সঠিকভাবে অপসারণ করছেন কি না, তা পর্যবেক্ষণ করা দরকার।’
শাজাহানপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাইফুর রহমান বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে নিলাম গ্রহণকারীদের সতর্ক করেছি। এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানানো হয়েছে। যারা নিলাম দিয়েছে, তারা নিলাম বাতিল করার ক্ষমতা রাখে। নিলামের ৪ নম্বর শর্তের ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড সিদ্ধান্ত নেবে।’
বগুড়া পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান বলেন, ‘আমি দুদিন হলো যোগদান করেছি। এ বিষয়ে আমার জানা নেই। বিষয়টি জেনে আইনগত ব্যবস্থা নেব।’

বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) থেকে বাঙ্গালী নদী খননের নিলাম হওয়া বালু শাজাহানপুর উপজেলার ১০টি গ্রামের হাজারো মানুষের দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। উপজেলার আমরুল ইউনিয়নের শৈলধুকড়ী গ্রামে নদীর পাড়ে ইতিমধ্যে ভাঙন দেখা দিয়েছে।
দিনরাত বালু পরিবহন করা ট্রাকের চাকায় নষ্ট হচ্ছে কোটি টাকার কাঁচা-পাকা সড়ক। ব্যবসায়ীরা বালু বহনে পাউবোর শর্ত মানছে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
২০২৪ সালের ২৮ অক্টোবর বগুড়া পাউবোর সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাজমুল হকের স্বাক্ষরে নিলামের কার্যাদেশ হয়। ওই কার্যাদেশ থেকে জানা যায়, নদী খননের ৮ লাখ ৩২ হাজার ৫৪১ ঘনফুট বালু ৬ লাখ ২৪ হাজার ৯২৬ টাকায় দেওয়া হয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স মাসুদ কনস্ট্রাকশনের স্বত্বাধিকারী মাসুদুজ্জামানকে। ওই বছরের ২৮ অক্টোবর থেকে চলতি বছরের ৩০ জুনের মধ্যে বালু অপসারণ করতে বলা হয়।
তবে ২০২৫ সালের ২৯ জুন আরেকটি আদেশে আগামী বছরের ৩০ জুনের মধ্যে বালু অপসারণে চিঠি দেওয়া হয়। চিঠিতে কত ঘনফুট বালু অপসারণ করা হয়েছে, আর কত ঘনফুট নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অপসারণ করতে হবে, তা উল্লেখ করা হয়নি।
প্রথম কার্যাদেশে মোট ৮টি শর্ত উল্লেখ থাকলেও দ্বিতীয় কার্যাদেশে ৯টি শর্ত রয়েছে। উভয় কার্যাদেশের ৪ নম্বর শর্তে লেখা হয়েছে, ‘মাটি পরিবহনের কারণে জনগণের রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হলে নিলাম ডাককারীকে নিজ খরচে মেরামত করতে হবে।’ দ্বিতীয় কার্যাদেশের ৮ নম্বর শর্তে লেখা হয়েছে, শর্তাবলি ভঙ্গ করলে নিলাম চুক্তি বাতিলসহ বালু ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
একই এলাকার পাশের আরেকটি স্থান থেকে নিলামে ২ লাখ ৫০ হাজার ঘনফুট বালু কিনে বিক্রি করছেন মাশফিকুর রহমান মামুন নামের বিএনপির এক নেতা।
কামরুজ্জামান রাজা নামের আমরুল ইউনিয়নের এক বাসিন্দা বলেন, বালু পরিহবনের কারণে দুর্ভোগে পড়েছে আমরুল ইউনিয়নের শৈলধুকড়ী, লক্ষ্মীপুর, গোবিন্দপুর, রাধানগর, নগর, রামপুর ফুলকোট, পরানবাড়িয়াসহ আশপাশের প্রায় ১০টি গ্রামের হাজারো মানুষ।
জানতে চাইলে আমরুল ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য রবিউল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, মাসুদুজ্জামান ৮ লাখ ৩২ হাজার ঘনফুট বালু নিলামে পেলেও এক কোটি ঘনফুটের বেশি বালু বিক্রি করেছেন। যদিও কাগজে-কলমে মাসুদের বালু বিক্রি শেষ হচ্ছেই না।
শাজাহানপুর উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাশেদ ইমরান বলেন, ‘প্রতি কিলোমিটার সড়ক সংস্কারে প্রায় ৫০ লাখ টাকা খরচ হয়। চাহিদা দেওয়ার সঙ্গেই পাওয়া যাবে এমন নয়। শৈলধুকড়ী বালুর ঘটনায় সড়ক নষ্টের কথা শুনেছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
রাস্তা নষ্ট হওয়ার বিষয়ে ঠিকাদার মাসুদুজ্জামান বলেন, ‘আমি শাজাহানপুর উপজেলা কোকো পরিষদের সভাপতি। তিন লক্ষাধিক টাকায় কাঁচা রাস্তা সংস্কার করেছি।’
আরেক বালু ব্যবসায়ী মাশফিকুর রহমান মামুন বলেন, ‘আমি উপজেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক পদে আছি। দল করলেও ব্যবসা করার অধিকার রয়েছে। এটা দলীয় কোনো বিষয় নয়। বালু তো আর ফেলে আসতে পারব না।’
শাজাহানপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ইনামুল হক শাহীন বলেন, ‘শুনেছি সরকারি টেন্ডারে স্তূপীকৃত বালু অপসারণের কাজ তাঁরা পেয়েছেন। তবে নিয়মমাফিক এবং সঠিকভাবে অপসারণ করছেন কি না, তা পর্যবেক্ষণ করা দরকার।’
শাজাহানপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাইফুর রহমান বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে নিলাম গ্রহণকারীদের সতর্ক করেছি। এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানানো হয়েছে। যারা নিলাম দিয়েছে, তারা নিলাম বাতিল করার ক্ষমতা রাখে। নিলামের ৪ নম্বর শর্তের ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড সিদ্ধান্ত নেবে।’
বগুড়া পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান বলেন, ‘আমি দুদিন হলো যোগদান করেছি। এ বিষয়ে আমার জানা নেই। বিষয়টি জেনে আইনগত ব্যবস্থা নেব।’
আরিফুর রহমান মিঠু, শাজাহানপুর (বগুড়া)

বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) থেকে বাঙ্গালী নদী খননের নিলাম হওয়া বালু শাজাহানপুর উপজেলার ১০টি গ্রামের হাজারো মানুষের দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। উপজেলার আমরুল ইউনিয়নের শৈলধুকড়ী গ্রামে নদীর পাড়ে ইতিমধ্যে ভাঙন দেখা দিয়েছে।
দিনরাত বালু পরিবহন করা ট্রাকের চাকায় নষ্ট হচ্ছে কোটি টাকার কাঁচা-পাকা সড়ক। ব্যবসায়ীরা বালু বহনে পাউবোর শর্ত মানছে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
২০২৪ সালের ২৮ অক্টোবর বগুড়া পাউবোর সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাজমুল হকের স্বাক্ষরে নিলামের কার্যাদেশ হয়। ওই কার্যাদেশ থেকে জানা যায়, নদী খননের ৮ লাখ ৩২ হাজার ৫৪১ ঘনফুট বালু ৬ লাখ ২৪ হাজার ৯২৬ টাকায় দেওয়া হয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স মাসুদ কনস্ট্রাকশনের স্বত্বাধিকারী মাসুদুজ্জামানকে। ওই বছরের ২৮ অক্টোবর থেকে চলতি বছরের ৩০ জুনের মধ্যে বালু অপসারণ করতে বলা হয়।
তবে ২০২৫ সালের ২৯ জুন আরেকটি আদেশে আগামী বছরের ৩০ জুনের মধ্যে বালু অপসারণে চিঠি দেওয়া হয়। চিঠিতে কত ঘনফুট বালু অপসারণ করা হয়েছে, আর কত ঘনফুট নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অপসারণ করতে হবে, তা উল্লেখ করা হয়নি।
প্রথম কার্যাদেশে মোট ৮টি শর্ত উল্লেখ থাকলেও দ্বিতীয় কার্যাদেশে ৯টি শর্ত রয়েছে। উভয় কার্যাদেশের ৪ নম্বর শর্তে লেখা হয়েছে, ‘মাটি পরিবহনের কারণে জনগণের রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হলে নিলাম ডাককারীকে নিজ খরচে মেরামত করতে হবে।’ দ্বিতীয় কার্যাদেশের ৮ নম্বর শর্তে লেখা হয়েছে, শর্তাবলি ভঙ্গ করলে নিলাম চুক্তি বাতিলসহ বালু ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
একই এলাকার পাশের আরেকটি স্থান থেকে নিলামে ২ লাখ ৫০ হাজার ঘনফুট বালু কিনে বিক্রি করছেন মাশফিকুর রহমান মামুন নামের বিএনপির এক নেতা।
কামরুজ্জামান রাজা নামের আমরুল ইউনিয়নের এক বাসিন্দা বলেন, বালু পরিহবনের কারণে দুর্ভোগে পড়েছে আমরুল ইউনিয়নের শৈলধুকড়ী, লক্ষ্মীপুর, গোবিন্দপুর, রাধানগর, নগর, রামপুর ফুলকোট, পরানবাড়িয়াসহ আশপাশের প্রায় ১০টি গ্রামের হাজারো মানুষ।
জানতে চাইলে আমরুল ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য রবিউল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, মাসুদুজ্জামান ৮ লাখ ৩২ হাজার ঘনফুট বালু নিলামে পেলেও এক কোটি ঘনফুটের বেশি বালু বিক্রি করেছেন। যদিও কাগজে-কলমে মাসুদের বালু বিক্রি শেষ হচ্ছেই না।
শাজাহানপুর উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাশেদ ইমরান বলেন, ‘প্রতি কিলোমিটার সড়ক সংস্কারে প্রায় ৫০ লাখ টাকা খরচ হয়। চাহিদা দেওয়ার সঙ্গেই পাওয়া যাবে এমন নয়। শৈলধুকড়ী বালুর ঘটনায় সড়ক নষ্টের কথা শুনেছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
রাস্তা নষ্ট হওয়ার বিষয়ে ঠিকাদার মাসুদুজ্জামান বলেন, ‘আমি শাজাহানপুর উপজেলা কোকো পরিষদের সভাপতি। তিন লক্ষাধিক টাকায় কাঁচা রাস্তা সংস্কার করেছি।’
আরেক বালু ব্যবসায়ী মাশফিকুর রহমান মামুন বলেন, ‘আমি উপজেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক পদে আছি। দল করলেও ব্যবসা করার অধিকার রয়েছে। এটা দলীয় কোনো বিষয় নয়। বালু তো আর ফেলে আসতে পারব না।’
শাজাহানপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ইনামুল হক শাহীন বলেন, ‘শুনেছি সরকারি টেন্ডারে স্তূপীকৃত বালু অপসারণের কাজ তাঁরা পেয়েছেন। তবে নিয়মমাফিক এবং সঠিকভাবে অপসারণ করছেন কি না, তা পর্যবেক্ষণ করা দরকার।’
শাজাহানপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাইফুর রহমান বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে নিলাম গ্রহণকারীদের সতর্ক করেছি। এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানানো হয়েছে। যারা নিলাম দিয়েছে, তারা নিলাম বাতিল করার ক্ষমতা রাখে। নিলামের ৪ নম্বর শর্তের ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড সিদ্ধান্ত নেবে।’
বগুড়া পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান বলেন, ‘আমি দুদিন হলো যোগদান করেছি। এ বিষয়ে আমার জানা নেই। বিষয়টি জেনে আইনগত ব্যবস্থা নেব।’

বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) থেকে বাঙ্গালী নদী খননের নিলাম হওয়া বালু শাজাহানপুর উপজেলার ১০টি গ্রামের হাজারো মানুষের দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। উপজেলার আমরুল ইউনিয়নের শৈলধুকড়ী গ্রামে নদীর পাড়ে ইতিমধ্যে ভাঙন দেখা দিয়েছে।
দিনরাত বালু পরিবহন করা ট্রাকের চাকায় নষ্ট হচ্ছে কোটি টাকার কাঁচা-পাকা সড়ক। ব্যবসায়ীরা বালু বহনে পাউবোর শর্ত মানছে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
২০২৪ সালের ২৮ অক্টোবর বগুড়া পাউবোর সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাজমুল হকের স্বাক্ষরে নিলামের কার্যাদেশ হয়। ওই কার্যাদেশ থেকে জানা যায়, নদী খননের ৮ লাখ ৩২ হাজার ৫৪১ ঘনফুট বালু ৬ লাখ ২৪ হাজার ৯২৬ টাকায় দেওয়া হয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স মাসুদ কনস্ট্রাকশনের স্বত্বাধিকারী মাসুদুজ্জামানকে। ওই বছরের ২৮ অক্টোবর থেকে চলতি বছরের ৩০ জুনের মধ্যে বালু অপসারণ করতে বলা হয়।
তবে ২০২৫ সালের ২৯ জুন আরেকটি আদেশে আগামী বছরের ৩০ জুনের মধ্যে বালু অপসারণে চিঠি দেওয়া হয়। চিঠিতে কত ঘনফুট বালু অপসারণ করা হয়েছে, আর কত ঘনফুট নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অপসারণ করতে হবে, তা উল্লেখ করা হয়নি।
প্রথম কার্যাদেশে মোট ৮টি শর্ত উল্লেখ থাকলেও দ্বিতীয় কার্যাদেশে ৯টি শর্ত রয়েছে। উভয় কার্যাদেশের ৪ নম্বর শর্তে লেখা হয়েছে, ‘মাটি পরিবহনের কারণে জনগণের রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হলে নিলাম ডাককারীকে নিজ খরচে মেরামত করতে হবে।’ দ্বিতীয় কার্যাদেশের ৮ নম্বর শর্তে লেখা হয়েছে, শর্তাবলি ভঙ্গ করলে নিলাম চুক্তি বাতিলসহ বালু ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
একই এলাকার পাশের আরেকটি স্থান থেকে নিলামে ২ লাখ ৫০ হাজার ঘনফুট বালু কিনে বিক্রি করছেন মাশফিকুর রহমান মামুন নামের বিএনপির এক নেতা।
কামরুজ্জামান রাজা নামের আমরুল ইউনিয়নের এক বাসিন্দা বলেন, বালু পরিহবনের কারণে দুর্ভোগে পড়েছে আমরুল ইউনিয়নের শৈলধুকড়ী, লক্ষ্মীপুর, গোবিন্দপুর, রাধানগর, নগর, রামপুর ফুলকোট, পরানবাড়িয়াসহ আশপাশের প্রায় ১০টি গ্রামের হাজারো মানুষ।
জানতে চাইলে আমরুল ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য রবিউল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, মাসুদুজ্জামান ৮ লাখ ৩২ হাজার ঘনফুট বালু নিলামে পেলেও এক কোটি ঘনফুটের বেশি বালু বিক্রি করেছেন। যদিও কাগজে-কলমে মাসুদের বালু বিক্রি শেষ হচ্ছেই না।
শাজাহানপুর উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাশেদ ইমরান বলেন, ‘প্রতি কিলোমিটার সড়ক সংস্কারে প্রায় ৫০ লাখ টাকা খরচ হয়। চাহিদা দেওয়ার সঙ্গেই পাওয়া যাবে এমন নয়। শৈলধুকড়ী বালুর ঘটনায় সড়ক নষ্টের কথা শুনেছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
রাস্তা নষ্ট হওয়ার বিষয়ে ঠিকাদার মাসুদুজ্জামান বলেন, ‘আমি শাজাহানপুর উপজেলা কোকো পরিষদের সভাপতি। তিন লক্ষাধিক টাকায় কাঁচা রাস্তা সংস্কার করেছি।’
আরেক বালু ব্যবসায়ী মাশফিকুর রহমান মামুন বলেন, ‘আমি উপজেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক পদে আছি। দল করলেও ব্যবসা করার অধিকার রয়েছে। এটা দলীয় কোনো বিষয় নয়। বালু তো আর ফেলে আসতে পারব না।’
শাজাহানপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ইনামুল হক শাহীন বলেন, ‘শুনেছি সরকারি টেন্ডারে স্তূপীকৃত বালু অপসারণের কাজ তাঁরা পেয়েছেন। তবে নিয়মমাফিক এবং সঠিকভাবে অপসারণ করছেন কি না, তা পর্যবেক্ষণ করা দরকার।’
শাজাহানপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাইফুর রহমান বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে নিলাম গ্রহণকারীদের সতর্ক করেছি। এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানানো হয়েছে। যারা নিলাম দিয়েছে, তারা নিলাম বাতিল করার ক্ষমতা রাখে। নিলামের ৪ নম্বর শর্তের ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড সিদ্ধান্ত নেবে।’
বগুড়া পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান বলেন, ‘আমি দুদিন হলো যোগদান করেছি। এ বিষয়ে আমার জানা নেই। বিষয়টি জেনে আইনগত ব্যবস্থা নেব।’

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল (শেবাচিম) কলেজ হাসপাতালে যুবকের মরদেহ রেখে পালিয়ে যান চার তরুণ-তরুণী। বুধবার কোতোয়ালি মডেল থানা-পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এর আগে নগরীর ভাটারখাল এলাকার জেলা পরিষদ মার্কেটের একটি কক্ষে মো. বেল্লাল (২৮) নামের ওই যুবকের রহস্যজনক...
৬ মিনিট আগে
মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে চেয়ারম্যানদের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের অভিযোগে দুই ব্যক্তিকে আটক করেছে স্থানীয় লোকজন। বুধবার সন্ধ্যায় মনসুরনগর ইউনিয়ন থেকে তাঁদের আটক করে পরে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে
ঝিনাইদহে পবাহাটি গ্রামে প্রতিবেশীর খাটের নিচ থেকে সাইমা আক্তার ছাবা (৪) নামের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার রাত ১০টার দিকে পবাহাটি গ্রামের ঈদগাহ পাড়ায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত শিশু ওই গ্রামের ভ্যানচালক মো. সাইদুল ইসলামের মেয়ে।
১ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ। দেশের সবচেয়ে বড় ভোগ্যপণ্য আড়ত। এখানেই চার দশক ধরে গম, ডাল, চাল, ভোজ্যতেলসহ নানা পণ্যের ব্যবসা করে নিজের অবস্থান শক্ত করেছিলেন আবুল বশর চৌধুরী। পাঁচ বস্তা জিরা, পাঁচ বান্ডেল দারুচিনি এবং এক কার্টন এলাচি দিয়ে শুরু করা তাঁর ব্যবসা পরে বাল্ক আমদানিতে ছড়িয়ে পড়ে।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল (শেবাচিম) কলেজ হাসপাতালে যুবকের মরদেহ রেখে পালিয়ে যান চার তরুণ-তরুণী। বুধবার কোতোয়ালি মডেল থানা-পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এর আগে নগরীর ভাটারখাল এলাকার জেলা পরিষদ মার্কেটের একটি কক্ষে মো. বেল্লাল (২৮) নামের ওই যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।
পুলিশ জানায়, নিহত বেল্লাল বরিশাল সদর উপজেলার পশ্চিম চর আইচা গ্রামের শাহ আলমের ছেলে। তিনি ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালাতেন। নিহত বেল্লালের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। বেল্লালের বাবা শাহ আলম পাঁচজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেছেন। এই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন চরমোনাই ইউনিয়নের গিলাতলী গ্রামের সিরাজ হাওলাদারের ছেলে রনি হাওলাদার (২৮), মায়া চৌধুরী (২৬) ও সাদিয়া (২৪)। পলাতক দুজন হলেন পলাশপুর বস্তির রিপন রানা এবং চরবাড়িয়া ইউনিয়নের সবুজ।
স্থানীয় সূত্র জানায়, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে মার্কেটের তৃতীয় তলা থেকে বেল্লালের লাশ সিঁড়ি বেয়ে নামাচ্ছিলেন এক যুবকসহ চার তরুণ-তরুণী। পরে তাঁরা লাশ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে রেখে সরে পড়েন। ঘটনাটি জানাজানি হলে পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।
ভাটারখাল এলাকার বাসিন্দা মো. টিপু বলেন, সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা আলাউদ্দিন আলোর ভাড়া করা একটি রুমে প্রতিদিন কয়েকজন মদ্যপান করতেন। মঙ্গলবার রাতে মদ্যপানের একপর্যায়ে বেল্লালকে বেধড়ক মারধর করা হয়। মারধরে তাঁর মৃত্যু হলে লাশ সিঁড়ি দিয়ে নামিয়ে হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যান তাঁরা।
নিহত ব্যক্তির বাবা শাহ আলম বলেন, ‘আমার ছেলেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে। জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তার করে শাস্তি দেওয়া হোক।’
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, ‘লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। বেল্লালের শরীরে মারধর ও পোড়ার স্পষ্ট চিহ্ন রয়েছে। তদন্ত চলছে।’
শেবাচিম হাসপাতালের মর্গ-সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, বেল্লালের শরীরে পোড়া দাগ আছে। মনে হচ্ছে, তাঁকে বৈদ্যুতিক শক দেওয়া হয়েছিল।

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল (শেবাচিম) কলেজ হাসপাতালে যুবকের মরদেহ রেখে পালিয়ে যান চার তরুণ-তরুণী। বুধবার কোতোয়ালি মডেল থানা-পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এর আগে নগরীর ভাটারখাল এলাকার জেলা পরিষদ মার্কেটের একটি কক্ষে মো. বেল্লাল (২৮) নামের ওই যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।
পুলিশ জানায়, নিহত বেল্লাল বরিশাল সদর উপজেলার পশ্চিম চর আইচা গ্রামের শাহ আলমের ছেলে। তিনি ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালাতেন। নিহত বেল্লালের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। বেল্লালের বাবা শাহ আলম পাঁচজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেছেন। এই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন চরমোনাই ইউনিয়নের গিলাতলী গ্রামের সিরাজ হাওলাদারের ছেলে রনি হাওলাদার (২৮), মায়া চৌধুরী (২৬) ও সাদিয়া (২৪)। পলাতক দুজন হলেন পলাশপুর বস্তির রিপন রানা এবং চরবাড়িয়া ইউনিয়নের সবুজ।
স্থানীয় সূত্র জানায়, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে মার্কেটের তৃতীয় তলা থেকে বেল্লালের লাশ সিঁড়ি বেয়ে নামাচ্ছিলেন এক যুবকসহ চার তরুণ-তরুণী। পরে তাঁরা লাশ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে রেখে সরে পড়েন। ঘটনাটি জানাজানি হলে পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।
ভাটারখাল এলাকার বাসিন্দা মো. টিপু বলেন, সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা আলাউদ্দিন আলোর ভাড়া করা একটি রুমে প্রতিদিন কয়েকজন মদ্যপান করতেন। মঙ্গলবার রাতে মদ্যপানের একপর্যায়ে বেল্লালকে বেধড়ক মারধর করা হয়। মারধরে তাঁর মৃত্যু হলে লাশ সিঁড়ি দিয়ে নামিয়ে হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যান তাঁরা।
নিহত ব্যক্তির বাবা শাহ আলম বলেন, ‘আমার ছেলেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে। জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তার করে শাস্তি দেওয়া হোক।’
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, ‘লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। বেল্লালের শরীরে মারধর ও পোড়ার স্পষ্ট চিহ্ন রয়েছে। তদন্ত চলছে।’
শেবাচিম হাসপাতালের মর্গ-সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, বেল্লালের শরীরে পোড়া দাগ আছে। মনে হচ্ছে, তাঁকে বৈদ্যুতিক শক দেওয়া হয়েছিল।

বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) থেকে বাঙ্গালী নদী খননের নিলাম হওয়া বালু শাজাহানপুর উপজেলার ১০টি গ্রামের হাজারো মানুষের দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। উপজেলার আমরুল ইউনিয়নের শৈলধুকড়ী গ্রামে নদীর পাড়ে ইতিমধ্যে ভাঙন দেখা দিয়েছে।
১৪ দিন আগে
মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে চেয়ারম্যানদের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের অভিযোগে দুই ব্যক্তিকে আটক করেছে স্থানীয় লোকজন। বুধবার সন্ধ্যায় মনসুরনগর ইউনিয়ন থেকে তাঁদের আটক করে পরে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে
ঝিনাইদহে পবাহাটি গ্রামে প্রতিবেশীর খাটের নিচ থেকে সাইমা আক্তার ছাবা (৪) নামের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার রাত ১০টার দিকে পবাহাটি গ্রামের ঈদগাহ পাড়ায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত শিশু ওই গ্রামের ভ্যানচালক মো. সাইদুল ইসলামের মেয়ে।
১ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ। দেশের সবচেয়ে বড় ভোগ্যপণ্য আড়ত। এখানেই চার দশক ধরে গম, ডাল, চাল, ভোজ্যতেলসহ নানা পণ্যের ব্যবসা করে নিজের অবস্থান শক্ত করেছিলেন আবুল বশর চৌধুরী। পাঁচ বস্তা জিরা, পাঁচ বান্ডেল দারুচিনি এবং এক কার্টন এলাচি দিয়ে শুরু করা তাঁর ব্যবসা পরে বাল্ক আমদানিতে ছড়িয়ে পড়ে।
৭ ঘণ্টা আগেরাজনগর (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি

মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে চেয়ারম্যানদের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের অভিযোগে দুই ব্যক্তিকে আটক করেছে স্থানীয় লোকজন। বুধবার সন্ধ্যায় মনসুরনগর ইউনিয়ন থেকে তাঁদের আটক করে পরে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
সূত্র জানায়, মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার রাজনগর গ্রামের মিরাজ উদ্দিনের ছেলে আরিফুর রহমান (২৮) এবং গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার দক্ষিণ কোটালীপাড়া গ্রামের রুকন উদ্দীনের ছেলে তরিকুল ইসলাম (৩৬) নিজেদের একটি জাতীয় দৈনিকের সাংবাদিক পরিচয় দিতেন। বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের সঙ্গে দেখা করে খোঁজখবর নেওয়ার নাম করে তাঁরা আর্থিক সুবিধা চাইছিলেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
চেয়ারম্যানদের সন্দেহ হলে একে অপরের সঙ্গে আলোচনা করে তাঁদের গতিবিধি নজরদারিতে রাখা হয়। পরে মনসুরনগর ইউনিয়নে সুযোগ পেয়ে স্থানীয় লোকজন দুজনকে আটক করে।
খবর পেয়ে রাজনগর থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁদের থানায় নিয়ে যায়।
রাজনগর থানার এএসআই হৃদয় বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে। দোষী প্রমাণিত হলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে চেয়ারম্যানদের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের অভিযোগে দুই ব্যক্তিকে আটক করেছে স্থানীয় লোকজন। বুধবার সন্ধ্যায় মনসুরনগর ইউনিয়ন থেকে তাঁদের আটক করে পরে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
সূত্র জানায়, মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার রাজনগর গ্রামের মিরাজ উদ্দিনের ছেলে আরিফুর রহমান (২৮) এবং গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার দক্ষিণ কোটালীপাড়া গ্রামের রুকন উদ্দীনের ছেলে তরিকুল ইসলাম (৩৬) নিজেদের একটি জাতীয় দৈনিকের সাংবাদিক পরিচয় দিতেন। বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের সঙ্গে দেখা করে খোঁজখবর নেওয়ার নাম করে তাঁরা আর্থিক সুবিধা চাইছিলেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
চেয়ারম্যানদের সন্দেহ হলে একে অপরের সঙ্গে আলোচনা করে তাঁদের গতিবিধি নজরদারিতে রাখা হয়। পরে মনসুরনগর ইউনিয়নে সুযোগ পেয়ে স্থানীয় লোকজন দুজনকে আটক করে।
খবর পেয়ে রাজনগর থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁদের থানায় নিয়ে যায়।
রাজনগর থানার এএসআই হৃদয় বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে। দোষী প্রমাণিত হলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) থেকে বাঙ্গালী নদী খননের নিলাম হওয়া বালু শাজাহানপুর উপজেলার ১০টি গ্রামের হাজারো মানুষের দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। উপজেলার আমরুল ইউনিয়নের শৈলধুকড়ী গ্রামে নদীর পাড়ে ইতিমধ্যে ভাঙন দেখা দিয়েছে।
১৪ দিন আগে
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল (শেবাচিম) কলেজ হাসপাতালে যুবকের মরদেহ রেখে পালিয়ে যান চার তরুণ-তরুণী। বুধবার কোতোয়ালি মডেল থানা-পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এর আগে নগরীর ভাটারখাল এলাকার জেলা পরিষদ মার্কেটের একটি কক্ষে মো. বেল্লাল (২৮) নামের ওই যুবকের রহস্যজনক...
৬ মিনিট আগে
ঝিনাইদহে পবাহাটি গ্রামে প্রতিবেশীর খাটের নিচ থেকে সাইমা আক্তার ছাবা (৪) নামের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার রাত ১০টার দিকে পবাহাটি গ্রামের ঈদগাহ পাড়ায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত শিশু ওই গ্রামের ভ্যানচালক মো. সাইদুল ইসলামের মেয়ে।
১ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ। দেশের সবচেয়ে বড় ভোগ্যপণ্য আড়ত। এখানেই চার দশক ধরে গম, ডাল, চাল, ভোজ্যতেলসহ নানা পণ্যের ব্যবসা করে নিজের অবস্থান শক্ত করেছিলেন আবুল বশর চৌধুরী। পাঁচ বস্তা জিরা, পাঁচ বান্ডেল দারুচিনি এবং এক কার্টন এলাচি দিয়ে শুরু করা তাঁর ব্যবসা পরে বাল্ক আমদানিতে ছড়িয়ে পড়ে।
৭ ঘণ্টা আগেঝিনাইদহ প্রতিনিধি

ঝিনাইদহে পবাহাটি গ্রামে প্রতিবেশীর খাটের নিচ থেকে সাইমা আক্তার ছাবা (৪) নামের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার রাত ১০টার দিকে পবাহাটি গ্রামের ঈদগাহ পাড়ায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত শিশু ওই গ্রামের ভ্যানচালক মো. সাইদুল ইসলামের মেয়ে। এই ঘটনায় সাইদুল ইসলামের প্রতিবেশী আক্তারুজ্জামান মাসুদের স্ত্রী সান্ত্বনা খাতুনকে (৩২) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সায়মা আক্তার ছাবা সকাল থেকে নিখোঁজ ছিল। আশপাশের পুকুর, বাড়িসহ সব জায়গায় খুঁজে তাকে পাওয়া যাচ্ছিল না। সারা দিন মাইকিং করা হয়েছে। পরে রাতে সাইদুল ইসলামের প্রতিবেশী সান্ত্বনা খাতুনের বাড়ি থেকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
নিহত শিশুর বাবা সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘সকালে মেয়ে ঘুম থেকে তুলে আমার মুখে চুমু দেয়। আর বলে আব্বু কাজে যাবা না? আমার জন্য মিষ্টি কিনে আনতে হবে না। তার কথা শুনে আমি দ্রুত উঠে পড়ি। পরে ভ্যান নিয়ে কাজে বের হওয়ার সময় মেয়েকে ভ্যানে চড়িয়ে একটু ঘুরিয়ে নামিয়ে দিই। পরে আমার স্ত্রী ফাতেমাকে বলেছে, আম্মু তুমি ভাত রান্না করো। রান্না শেষে আমাকে ডাক দিয়ো, আমি বাইরে খেলছি। পরে আমার স্ত্রী মেয়েকে ডাক দিয়ে আর পায় না; তখন আমার ছেলে আমাকে জানায় ছাবাকে পাওয়া যাচ্ছে না। আমি বাড়িতে এসে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে বাড়ির পাশের বিভিন্ন পুকুরসহ আশপাশের সব জায়গায় খুঁজে কোথাও পাইনি। পরে থানায় জিডি করি, মাইকিং করি। তবু মেয়েকে পাই না। পরে আমি প্রতিবেশী আখতারুজ্জামান মাসুদের বাড়িতে মেয়েকে খুঁজতে গিয়েছিলাম। তখন মাসুদের স্ত্রী আমাকে জানায়, আমার মেয়ে তাদের বাড়িতে যায়নি। আমার সন্দেহ হলো। পাড়ার সবাই আমার মেয়েকে খুঁজছে, কিন্তু মাসুদের স্ত্রী আসছে না, কোনো খোঁজও করছে না। পরে রাতে পুকুরপাড়ে আবারও যাই, সে সময় দেখি মাসুদের স্ত্রী একটি বস্তা নিয়ে কোথায় যাচ্ছে; তখন আমি চিৎকার দিলে সে আবার ঘরে দৌড়ে চলে যায়। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে তার ঘরের খাটের নিচ থেকে আমার মেয়ের লাশ উদ্ধার করে।’
ঝিনাইদহ সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মাহফুজ হোসেন বলেন, ‘বাচ্চাটা সকাল থেকে নিখোঁজ ছিল। রাতে আমরা খবর পাই সাইদুল ইসলামের প্রতিবেশীর বাড়িতে মরদেহ পাওয়া গেছে। ঘটনা কী ঘটেছে এখনই বলা সম্ভব হচ্ছে না। খোঁজখবর নিচ্ছি, তদন্ত চলছে। সম্ভাব্য আসামিকে আমরা হেফাজতে নিয়েছি। মরদেহ পোস্টমর্টেমের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর বিস্তারিত বলা যাবে।’

ঝিনাইদহে পবাহাটি গ্রামে প্রতিবেশীর খাটের নিচ থেকে সাইমা আক্তার ছাবা (৪) নামের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার রাত ১০টার দিকে পবাহাটি গ্রামের ঈদগাহ পাড়ায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত শিশু ওই গ্রামের ভ্যানচালক মো. সাইদুল ইসলামের মেয়ে। এই ঘটনায় সাইদুল ইসলামের প্রতিবেশী আক্তারুজ্জামান মাসুদের স্ত্রী সান্ত্বনা খাতুনকে (৩২) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সায়মা আক্তার ছাবা সকাল থেকে নিখোঁজ ছিল। আশপাশের পুকুর, বাড়িসহ সব জায়গায় খুঁজে তাকে পাওয়া যাচ্ছিল না। সারা দিন মাইকিং করা হয়েছে। পরে রাতে সাইদুল ইসলামের প্রতিবেশী সান্ত্বনা খাতুনের বাড়ি থেকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
নিহত শিশুর বাবা সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘সকালে মেয়ে ঘুম থেকে তুলে আমার মুখে চুমু দেয়। আর বলে আব্বু কাজে যাবা না? আমার জন্য মিষ্টি কিনে আনতে হবে না। তার কথা শুনে আমি দ্রুত উঠে পড়ি। পরে ভ্যান নিয়ে কাজে বের হওয়ার সময় মেয়েকে ভ্যানে চড়িয়ে একটু ঘুরিয়ে নামিয়ে দিই। পরে আমার স্ত্রী ফাতেমাকে বলেছে, আম্মু তুমি ভাত রান্না করো। রান্না শেষে আমাকে ডাক দিয়ো, আমি বাইরে খেলছি। পরে আমার স্ত্রী মেয়েকে ডাক দিয়ে আর পায় না; তখন আমার ছেলে আমাকে জানায় ছাবাকে পাওয়া যাচ্ছে না। আমি বাড়িতে এসে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে বাড়ির পাশের বিভিন্ন পুকুরসহ আশপাশের সব জায়গায় খুঁজে কোথাও পাইনি। পরে থানায় জিডি করি, মাইকিং করি। তবু মেয়েকে পাই না। পরে আমি প্রতিবেশী আখতারুজ্জামান মাসুদের বাড়িতে মেয়েকে খুঁজতে গিয়েছিলাম। তখন মাসুদের স্ত্রী আমাকে জানায়, আমার মেয়ে তাদের বাড়িতে যায়নি। আমার সন্দেহ হলো। পাড়ার সবাই আমার মেয়েকে খুঁজছে, কিন্তু মাসুদের স্ত্রী আসছে না, কোনো খোঁজও করছে না। পরে রাতে পুকুরপাড়ে আবারও যাই, সে সময় দেখি মাসুদের স্ত্রী একটি বস্তা নিয়ে কোথায় যাচ্ছে; তখন আমি চিৎকার দিলে সে আবার ঘরে দৌড়ে চলে যায়। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে তার ঘরের খাটের নিচ থেকে আমার মেয়ের লাশ উদ্ধার করে।’
ঝিনাইদহ সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মাহফুজ হোসেন বলেন, ‘বাচ্চাটা সকাল থেকে নিখোঁজ ছিল। রাতে আমরা খবর পাই সাইদুল ইসলামের প্রতিবেশীর বাড়িতে মরদেহ পাওয়া গেছে। ঘটনা কী ঘটেছে এখনই বলা সম্ভব হচ্ছে না। খোঁজখবর নিচ্ছি, তদন্ত চলছে। সম্ভাব্য আসামিকে আমরা হেফাজতে নিয়েছি। মরদেহ পোস্টমর্টেমের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর বিস্তারিত বলা যাবে।’

বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) থেকে বাঙ্গালী নদী খননের নিলাম হওয়া বালু শাজাহানপুর উপজেলার ১০টি গ্রামের হাজারো মানুষের দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। উপজেলার আমরুল ইউনিয়নের শৈলধুকড়ী গ্রামে নদীর পাড়ে ইতিমধ্যে ভাঙন দেখা দিয়েছে।
১৪ দিন আগে
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল (শেবাচিম) কলেজ হাসপাতালে যুবকের মরদেহ রেখে পালিয়ে যান চার তরুণ-তরুণী। বুধবার কোতোয়ালি মডেল থানা-পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এর আগে নগরীর ভাটারখাল এলাকার জেলা পরিষদ মার্কেটের একটি কক্ষে মো. বেল্লাল (২৮) নামের ওই যুবকের রহস্যজনক...
৬ মিনিট আগে
মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে চেয়ারম্যানদের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের অভিযোগে দুই ব্যক্তিকে আটক করেছে স্থানীয় লোকজন। বুধবার সন্ধ্যায় মনসুরনগর ইউনিয়ন থেকে তাঁদের আটক করে পরে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ। দেশের সবচেয়ে বড় ভোগ্যপণ্য আড়ত। এখানেই চার দশক ধরে গম, ডাল, চাল, ভোজ্যতেলসহ নানা পণ্যের ব্যবসা করে নিজের অবস্থান শক্ত করেছিলেন আবুল বশর চৌধুরী। পাঁচ বস্তা জিরা, পাঁচ বান্ডেল দারুচিনি এবং এক কার্টন এলাচি দিয়ে শুরু করা তাঁর ব্যবসা পরে বাল্ক আমদানিতে ছড়িয়ে পড়ে।
৭ ঘণ্টা আগেওমর ফারুক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ। দেশের সবচেয়ে বড় ভোগ্যপণ্য আড়ত। এখানেই চার দশক ধরে গম, ডাল, চাল, ভোজ্যতেলসহ নানা পণ্যের ব্যবসা করে নিজের অবস্থান শক্ত করেছিলেন আবুল বশর চৌধুরী। পাঁচ বস্তা জিরা, পাঁচ বান্ডেল দারুচিনি এবং এক কার্টন এলাচি দিয়ে শুরু করা তাঁর ব্যবসা পরে বাল্ক আমদানিতে ছড়িয়ে পড়ে। ধীরে ধীরে ভোগ্যপণ্য আমদানির অন্যতম বড় খেলোয়াড় হয়ে ওঠেন তিনি। কিন্তু সেই ব্যবসাই এখন তাঁর প্রতিষ্ঠান রুবি ফুডস ও মাসুদ অ্যান্ড ব্রাদার্সের পতনের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিভিন্ন ব্যাংকের তথ্যমতে, ট্রেডিং প্রতিষ্ঠান হলেও ব্যবসায়ী আবুল বশর চৌধুরীর এই রুবি ফুডস ও মাসুদ অ্যান্ড ব্রাদার্সের নামে ১৩ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৫৩৩ কোটি টাকায়। অথচ দুই বছর ধরে কোনো ভোগ্যপণ্যই আমদানি করছে না প্রতিষ্ঠান দুটি। তবু এসব প্রতিষ্ঠানের নামে গুদামে মজুত রয়েছে তিন বছরের বেশি পুরোনো আমদানি হওয়া পণ্য; যার বড় অংশই এখন অবিক্রীত।
ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, এই দুই ট্রেডিং প্রতিষ্ঠানের সংকটের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে পণ্যের অতিরিক্ত মজুত রাখার প্রবণতা। আবুল বশর বড় ভলিউমে পণ্য আমদানি করতেন। বাজারে আশানুরূপ দাম না পেলে তা মজুত করে ভবিষ্যতের লাভের আশা করতেন। কিন্তু বাস্তবে ঘটেছে উল্টো, বহুবার দাম বাড়ার বদলে কমেছে। এমনকি মানুষের খাদ্য হিসেবে আমদানি করা ডাল, গম, তেলসহ কিছু পণ্য নষ্ট হওয়ার কারণে পরে সেগুলো পশুখাদ্য হিসেবে বিক্রি করতে বাধ্য হন তিনি। এভাবে মজুতের লোভে বারবার লোকসান জমতে জমতে একসময় থমকে দাঁড়ায় আবুল বশর চৌধুরীর চার দশকের গড়া দাপুটে ট্রেডিং ব্যবসা।
ফলাফল যা হবার তাই হয়েছে। ঋণখেলাপিতে নাম উঠে যায় রুবি ফুডস ও মাসুদ অ্যান্ড ব্রাদার্সের। জানা গেছে, সীতাকুণ্ডের সলিমপুরে অবস্থিত মামিয়া নামের একটি গ্রুপের কারখানায় সংরক্ষিত শত শত বস্তা পণ্য এখনো অবিক্রীত অবস্থায় পড়ে আছে। ব্যাংকের তথ্যমতে এগুলো কমপক্ষে তিন বছর আগের আমদানি। অথচ দুই বছর ধরে রুবি কিংবা মাসুদ অ্যান্ড ব্রাদার্স কোনো নতুন পণ্যই আমদানি করেনি।
এদিকে ঋণখেলাপির তালিকায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি)। শুধু রুবি ফুড প্রোডাক্টসের কাছেই তাদের পাওনা ১ হাজার ৩৯০ কোটি টাকা; অথচ এত বড় ঋণের বিপরীতে জামানত হিসেবে রাখা হয়েছে মাত্র ৪০ কোটি টাকার এফডিআর আর ৩ কোটি টাকার জমি। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে খাতুনগঞ্জ শাখা ব্যবস্থাপক ইমতিয়াজ হক আজকের পত্রিকাকে জানান, ঋণটি গত মার্চে শ্রেণীকৃত হয়েছে এবং ব্যাংক এরই মধ্যে অর্থঋণ মামলা করেছে। ব্যাংকের অন্য এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, পূর্ববর্তী সরকারের সময় ইউসিবির পরিচালনা পর্ষদে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের পরিবারের প্রভাব ছিল প্রবল। তাদের সঙ্গে কমিশন ভাগাভাগির মাধ্যমে রুবি এত বড় ঋণ তুলেছে বলে ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ তদন্তে উঠে এসেছে।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পাওনাদার ন্যাশনাল ব্যাংকের কাছে আবুল বশরের দেনা ৩৯৯ কোটি টাকা—মেসার্স মাসুদ ব্রাদার্সের নামে ২৪৭ কোটি এবং রুবি ফুডসের নামে ১৫২ কোটি। এই ঋণের বিপরীতে ৪০০ শতক জমি জামানত থাকলেও এর বাজারমূল্য মাত্র ১৯১ কোটি টাকা। এই ব্যাংকের ঋণের একটি আলোচিত দিক হলো, ২০২৩ সালে রোজার আগে ২০ হাজার টন ছোলা আমদানির জন্য ঋণপত্র খুললেও ব্যাংক সরবরাহকারীকে ডলার পরিশোধ করতে না পারায় জাহাজ বন্দর থেকে ফেরত যায়। এতে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে এক মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে হয়েছে।
এর বাইরে আল-আরাফাহ্ ব্যাংকের কাছে ১৯২ কোটি, এনসিসি ব্যাংকের কাছে ১৮৬ কোটি, সাউথইস্ট ব্যাংকের কাছে ১৮৯ কোটি, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের কাছে ৩২৩ কোটি, পূবালী ব্যাংকের কাছে ৩১২ কোটি ৬৪ লাখ, ট্রাস্ট ব্যাংকের কাছে ২৭৯ কোটি ৬৯ লাখ, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের কাছে ১৫৯ কোটি ৫৫ লাখ, মেঘনা ব্যাংকের কাছে ৩৬ কোটি, ঢাকা ব্যাংকের কাছে ৩০ কোটি ৬৯ লাখ, এনআরবি ব্যাংকের কাছে ২২ কোটি এবং মাইডাস ফাইন্যান্সের কাছে ১৪ কোটি টাকা আটকে আছে। প্রতিটি ব্যাংকেই জামানত ঋণের তুলনায় খুবই কম।
ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, দীর্ঘ সময় ভালো ব্যবসা করায় প্রতিষ্ঠানটি কম জামানতে বড় অঙ্কের ঋণ সুবিধা পেয়েছে। কিন্তু হঠাৎ ব্যবসা সংকটে পড়তেই সব ব্যাংকের ঝুঁকি বেড়ে গেছে। এ প্রসঙ্গে অর্থনীতিবিদ ড. মইনুল ইসলাম মনে করেন, ব্যাংকের সংখ্যা বেশি এবং প্রয়োজনের তুলনায় বেশি ঋণ দেওয়ার প্রবণতাই এমন বিপর্যয়ের প্রধান কারণ। এর দায় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট তদারকি কর্মকর্তাদেরও বহন করতে হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিএসএম গ্রুপের নামে আবুল বশরের বিনিয়োগ রয়েছে আরও কয়েকটি শিল্পপ্রতিষ্ঠানে—মডার্ন পলি ইন্ডাস্ট্রিজ, মডার্ন ফাইবার লিমিটেড, মডার্ন হ্যাচারি, বিসমিল্লাহ ফ্যাব্রিকস, মুকবুলুর রহমান জুট মিল, বি কে ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি। তবে ঋণ নেওয়া হয়েছে কেবল রুবি ফুডস ও মাসুদ ব্রাদার্সের নামে। ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, ভোগ্যপণ্য আমদানির নামে নেওয়া ওই ঋণের বড় অংশই সরানো হয়েছে অন্য খাতে।
মজুত পণ্য নষ্ট হওয়া, দাম পড়ে যাওয়া, ব্যাংকের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও তদারকির দুর্বলতা—সব মিলিয়ে রুবি ফুডসের চার দশকের সাম্রাজ্য এখন ভেঙে পড়ছে। মজুত প্রবণতা ও ঋণ শোধে কোনো উদ্যোগ আছে কি না জানতে চাইলে আবুল বশর চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘একটু ঝামেলায় আছি, পরে জানাব।’ দুই সপ্তাহ পরও তাঁর জবাব একই থাকে।

চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ। দেশের সবচেয়ে বড় ভোগ্যপণ্য আড়ত। এখানেই চার দশক ধরে গম, ডাল, চাল, ভোজ্যতেলসহ নানা পণ্যের ব্যবসা করে নিজের অবস্থান শক্ত করেছিলেন আবুল বশর চৌধুরী। পাঁচ বস্তা জিরা, পাঁচ বান্ডেল দারুচিনি এবং এক কার্টন এলাচি দিয়ে শুরু করা তাঁর ব্যবসা পরে বাল্ক আমদানিতে ছড়িয়ে পড়ে। ধীরে ধীরে ভোগ্যপণ্য আমদানির অন্যতম বড় খেলোয়াড় হয়ে ওঠেন তিনি। কিন্তু সেই ব্যবসাই এখন তাঁর প্রতিষ্ঠান রুবি ফুডস ও মাসুদ অ্যান্ড ব্রাদার্সের পতনের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিভিন্ন ব্যাংকের তথ্যমতে, ট্রেডিং প্রতিষ্ঠান হলেও ব্যবসায়ী আবুল বশর চৌধুরীর এই রুবি ফুডস ও মাসুদ অ্যান্ড ব্রাদার্সের নামে ১৩ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৫৩৩ কোটি টাকায়। অথচ দুই বছর ধরে কোনো ভোগ্যপণ্যই আমদানি করছে না প্রতিষ্ঠান দুটি। তবু এসব প্রতিষ্ঠানের নামে গুদামে মজুত রয়েছে তিন বছরের বেশি পুরোনো আমদানি হওয়া পণ্য; যার বড় অংশই এখন অবিক্রীত।
ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, এই দুই ট্রেডিং প্রতিষ্ঠানের সংকটের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে পণ্যের অতিরিক্ত মজুত রাখার প্রবণতা। আবুল বশর বড় ভলিউমে পণ্য আমদানি করতেন। বাজারে আশানুরূপ দাম না পেলে তা মজুত করে ভবিষ্যতের লাভের আশা করতেন। কিন্তু বাস্তবে ঘটেছে উল্টো, বহুবার দাম বাড়ার বদলে কমেছে। এমনকি মানুষের খাদ্য হিসেবে আমদানি করা ডাল, গম, তেলসহ কিছু পণ্য নষ্ট হওয়ার কারণে পরে সেগুলো পশুখাদ্য হিসেবে বিক্রি করতে বাধ্য হন তিনি। এভাবে মজুতের লোভে বারবার লোকসান জমতে জমতে একসময় থমকে দাঁড়ায় আবুল বশর চৌধুরীর চার দশকের গড়া দাপুটে ট্রেডিং ব্যবসা।
ফলাফল যা হবার তাই হয়েছে। ঋণখেলাপিতে নাম উঠে যায় রুবি ফুডস ও মাসুদ অ্যান্ড ব্রাদার্সের। জানা গেছে, সীতাকুণ্ডের সলিমপুরে অবস্থিত মামিয়া নামের একটি গ্রুপের কারখানায় সংরক্ষিত শত শত বস্তা পণ্য এখনো অবিক্রীত অবস্থায় পড়ে আছে। ব্যাংকের তথ্যমতে এগুলো কমপক্ষে তিন বছর আগের আমদানি। অথচ দুই বছর ধরে রুবি কিংবা মাসুদ অ্যান্ড ব্রাদার্স কোনো নতুন পণ্যই আমদানি করেনি।
এদিকে ঋণখেলাপির তালিকায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি)। শুধু রুবি ফুড প্রোডাক্টসের কাছেই তাদের পাওনা ১ হাজার ৩৯০ কোটি টাকা; অথচ এত বড় ঋণের বিপরীতে জামানত হিসেবে রাখা হয়েছে মাত্র ৪০ কোটি টাকার এফডিআর আর ৩ কোটি টাকার জমি। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে খাতুনগঞ্জ শাখা ব্যবস্থাপক ইমতিয়াজ হক আজকের পত্রিকাকে জানান, ঋণটি গত মার্চে শ্রেণীকৃত হয়েছে এবং ব্যাংক এরই মধ্যে অর্থঋণ মামলা করেছে। ব্যাংকের অন্য এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, পূর্ববর্তী সরকারের সময় ইউসিবির পরিচালনা পর্ষদে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের পরিবারের প্রভাব ছিল প্রবল। তাদের সঙ্গে কমিশন ভাগাভাগির মাধ্যমে রুবি এত বড় ঋণ তুলেছে বলে ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ তদন্তে উঠে এসেছে।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পাওনাদার ন্যাশনাল ব্যাংকের কাছে আবুল বশরের দেনা ৩৯৯ কোটি টাকা—মেসার্স মাসুদ ব্রাদার্সের নামে ২৪৭ কোটি এবং রুবি ফুডসের নামে ১৫২ কোটি। এই ঋণের বিপরীতে ৪০০ শতক জমি জামানত থাকলেও এর বাজারমূল্য মাত্র ১৯১ কোটি টাকা। এই ব্যাংকের ঋণের একটি আলোচিত দিক হলো, ২০২৩ সালে রোজার আগে ২০ হাজার টন ছোলা আমদানির জন্য ঋণপত্র খুললেও ব্যাংক সরবরাহকারীকে ডলার পরিশোধ করতে না পারায় জাহাজ বন্দর থেকে ফেরত যায়। এতে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে এক মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে হয়েছে।
এর বাইরে আল-আরাফাহ্ ব্যাংকের কাছে ১৯২ কোটি, এনসিসি ব্যাংকের কাছে ১৮৬ কোটি, সাউথইস্ট ব্যাংকের কাছে ১৮৯ কোটি, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের কাছে ৩২৩ কোটি, পূবালী ব্যাংকের কাছে ৩১২ কোটি ৬৪ লাখ, ট্রাস্ট ব্যাংকের কাছে ২৭৯ কোটি ৬৯ লাখ, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের কাছে ১৫৯ কোটি ৫৫ লাখ, মেঘনা ব্যাংকের কাছে ৩৬ কোটি, ঢাকা ব্যাংকের কাছে ৩০ কোটি ৬৯ লাখ, এনআরবি ব্যাংকের কাছে ২২ কোটি এবং মাইডাস ফাইন্যান্সের কাছে ১৪ কোটি টাকা আটকে আছে। প্রতিটি ব্যাংকেই জামানত ঋণের তুলনায় খুবই কম।
ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, দীর্ঘ সময় ভালো ব্যবসা করায় প্রতিষ্ঠানটি কম জামানতে বড় অঙ্কের ঋণ সুবিধা পেয়েছে। কিন্তু হঠাৎ ব্যবসা সংকটে পড়তেই সব ব্যাংকের ঝুঁকি বেড়ে গেছে। এ প্রসঙ্গে অর্থনীতিবিদ ড. মইনুল ইসলাম মনে করেন, ব্যাংকের সংখ্যা বেশি এবং প্রয়োজনের তুলনায় বেশি ঋণ দেওয়ার প্রবণতাই এমন বিপর্যয়ের প্রধান কারণ। এর দায় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট তদারকি কর্মকর্তাদেরও বহন করতে হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিএসএম গ্রুপের নামে আবুল বশরের বিনিয়োগ রয়েছে আরও কয়েকটি শিল্পপ্রতিষ্ঠানে—মডার্ন পলি ইন্ডাস্ট্রিজ, মডার্ন ফাইবার লিমিটেড, মডার্ন হ্যাচারি, বিসমিল্লাহ ফ্যাব্রিকস, মুকবুলুর রহমান জুট মিল, বি কে ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি। তবে ঋণ নেওয়া হয়েছে কেবল রুবি ফুডস ও মাসুদ ব্রাদার্সের নামে। ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, ভোগ্যপণ্য আমদানির নামে নেওয়া ওই ঋণের বড় অংশই সরানো হয়েছে অন্য খাতে।
মজুত পণ্য নষ্ট হওয়া, দাম পড়ে যাওয়া, ব্যাংকের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও তদারকির দুর্বলতা—সব মিলিয়ে রুবি ফুডসের চার দশকের সাম্রাজ্য এখন ভেঙে পড়ছে। মজুত প্রবণতা ও ঋণ শোধে কোনো উদ্যোগ আছে কি না জানতে চাইলে আবুল বশর চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘একটু ঝামেলায় আছি, পরে জানাব।’ দুই সপ্তাহ পরও তাঁর জবাব একই থাকে।

বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) থেকে বাঙ্গালী নদী খননের নিলাম হওয়া বালু শাজাহানপুর উপজেলার ১০টি গ্রামের হাজারো মানুষের দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। উপজেলার আমরুল ইউনিয়নের শৈলধুকড়ী গ্রামে নদীর পাড়ে ইতিমধ্যে ভাঙন দেখা দিয়েছে।
১৪ দিন আগে
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল (শেবাচিম) কলেজ হাসপাতালে যুবকের মরদেহ রেখে পালিয়ে যান চার তরুণ-তরুণী। বুধবার কোতোয়ালি মডেল থানা-পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এর আগে নগরীর ভাটারখাল এলাকার জেলা পরিষদ মার্কেটের একটি কক্ষে মো. বেল্লাল (২৮) নামের ওই যুবকের রহস্যজনক...
৬ মিনিট আগে
মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে চেয়ারম্যানদের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের অভিযোগে দুই ব্যক্তিকে আটক করেছে স্থানীয় লোকজন। বুধবার সন্ধ্যায় মনসুরনগর ইউনিয়ন থেকে তাঁদের আটক করে পরে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে
ঝিনাইদহে পবাহাটি গ্রামে প্রতিবেশীর খাটের নিচ থেকে সাইমা আক্তার ছাবা (৪) নামের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার রাত ১০টার দিকে পবাহাটি গ্রামের ঈদগাহ পাড়ায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত শিশু ওই গ্রামের ভ্যানচালক মো. সাইদুল ইসলামের মেয়ে।
১ ঘণ্টা আগে