Ajker Patrika

দড়িয়াপুরের মেঠো পথে লাগেনি ইটের ছোঁয়া

আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৪ অক্টোবর ২০২১, ১৩: ২২
দড়িয়াপুরের মেঠো পথে লাগেনি ইটের ছোঁয়া

বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার ইউনিয়নের দড়িয়াপুর গ্রাম। এই গ্রামের রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ। এখনো পর্যন্ত এই মেঠো পথে আধুনিকতার কোনো ছোঁয়া লাগেনি। এমন জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করছে শতাধিক গ্রামের হাজার হাজার মানুষ। ফলে বর্ষা মৌসুমসহ সারা বছরই চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় গ্রামবাসীকে। 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একাধিকবার আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত আবেদন করেও কোনো লাভ হয়নি। এ ছাড়া পুরো রাস্তার কোথায়ও নেই কোনো সোলার লাইট, যে কারণে গ্রামের বিভিন্ন স্থানে প্রতিদিনই চলে মাদক ও জুয়ার আসর। এতে করে যুবসমাজসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ নৈতিক অবক্ষয়ের দিকে ঝুঁকে পড়ছে। 
 
স্থানীয় সূত্রে আরও জানা যায়, বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার ইউনিয়নের সর্বশেষ গ্রাম দড়িয়াপুর। এই গ্রামের পশ্চিম ও উত্তর দিকে নওগাঁ সদর উপজেলা, দক্ষিণ ও পূর্বদিকে রানীনগর উপজেলা আর মাঝখানে দড়িয়াপুর গ্রাম। এই গ্রামে কয়েক হাজার লোকের বসবাস। এখানে চকউজির স্কুল থেকে দড়িয়াপুর গ্রামের মধ্য দিয়ে রানীনগর কালীবাড়ি বাজার পর্যন্ত একটি জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তা চলে গেছে। 

২০০৩ সালে এখানে প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তা তৈরি করা হয়। কিন্তু রাস্তা মেরামতের কাজে মাটি কিংবা ইটের তেমন কোনো ব্যবহার করা হয়নি। ফলে চকউজির স্কুল থেকে রমজান লাঠিয়ালের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তায় একটু বৃষ্টি হলে কাঁদায় পরিণত হয়। এ ছাড়া রাস্তার মাঝে মাঝে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় বৃষ্টির পানি জমে জলাশয় তৈরি হয়। এমতাবস্থায় গ্রামবাসীর হেঁটে যাওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ে। 
 
এ বিষয়ে দড়িয়াপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রউফ রিপন বলেন, 'দড়িয়াপুর গ্রামের এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিনই পাশের চকউজির, প্রান্নাথপুর, চণ্ডীপুর, চকবুলাকিসহ শতাধিক গ্রামের মানুষ রানীনগর বাজারে যাতায়াত করে। এ ছাড়া কৃষকের উৎপাদিত সবজিসহ অন্যান্য কৃষিপণ্য নিয়ে বাজারে যেতেও চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হয়।' 

দড়িয়াপুর গ্রামের আরেক বাসিন্দা আবদুল কুদ্দুস লেবু বলেন, 'বর্তমান সরকার নাকি শহরের সুবিধা গ্রামে পৌঁছে দেবে। কিন্তু আমরা এই গ্রামের বাসিন্দারা আজ পর্যন্ত কোনো সুবিধার মুখ দেখলাম না। আমাদের চলাচলের একমাত্র মেঠো পথে এখন পর্যন্ত ইটের ছোঁয়া লাগল না। তাহলে সরকারের উন্নয়ন কোথায় হচ্ছে? বর্তমান সরকারের কাছে আমাদের আকুল আবেদন, সরকার যেন এই মেঠো পথকে আধুনিক রাস্তায় পরিণত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে।' 

গ্রামের প্রবীণ ব্যক্তি শিক্ষক আমজাদ হোসেন মাস্টার এ বিষয়ে বলেন, 'গ্রামটি সীমান্তবর্তী হওয়ার কারণে কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির সহায়তায় মাদক ব্যবসাসহ নানা ধরনের কাজে গ্রামবাসী যুক্ত। আমি বহুবার পুলিশ প্রশাসনের পাশাপাশি সরকারের বিভিন্ন মহলে গ্রামের এ পরিস্থিতির কথা একাধিকবার লিখিতভাবে জানিয়েছিলাম, কিন্তু কোনো লাভ হয়নি।' 

প্রান্নাথপুর গ্রামের বাসিন্দা আকরাম হোসেন বলেন, 'বর্তমানে উন্নয়নের ছোঁয়া থেকে একেবারে বঞ্চিত এমন গ্রাম মনে হয় বাংলাদেশের আর কোথাও নেই। তাই এই গ্রামের প্রতি সুদৃষ্টি দেওয়ার জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আকুল আবেদন জ্ঞাপন করছি।' 

এ বিষয়ে সান্তাহার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এরশাদুল হক টুলু বলেন, 'এই রাস্তার সার্বিক তথ্য আমার জানা। কিন্তু রাস্তাটি আধুনিকায়ন করতে যে পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন, তার জোগান দেওয়া ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষে সম্ভব নয়। উপজেলা প্রশাসন চাইলে রাস্তাটি প্রকল্প আকারে বরাদ্দ নিয়ে আসতে পারে।' 

আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শ্রাবণী রায়ের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তা রিসিভ না করার কারণে বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গ্রেপ্তার হয়ে অবাক ডন, বললেন—‘স্যার আমাকে কীভাবে গ্রেপ্তার করলেন’

১ হাজার টাকায় ৪ থ্রি-পিস দেওয়ার বিজ্ঞাপন দেখে নারীদের ভিড়, বেকায়দায় শোরুম কর্তৃপক্ষ

একাত্তরের হত্যাযজ্ঞে সম্পৃক্ততার অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন: জামায়াত

সুদানে ‘গণহত্যা’য় আরব আমিরাতের গোপন তৎপরতা ও কলম্বিয়ার ভাড়াটে সেনা

অবশেষে নতুন ঠিকানায় ১০০ সাজাপ্রাপ্ত বন্দী

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আ.লীগ নেতার মরদেহ উদ্ধার, ছেলেকে ৫ দিনের রিমান্ডে চায় পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট  
আবদুর রাজ্জাক। ছবি: সংগৃহীত
আবদুর রাজ্জাক। ছবি: সংগৃহীত

সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রাজ্জাক হত্যার ঘটনায় শনিবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টা পর্যন্ত পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো মামলা না করায় পুলিশ হত্যা মামলা করেছে। নিহত রাজ্জাকের ছেলে আসাদ আহমদকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছে পুলিশ।

শনিবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় দক্ষিণ সুরমা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আনোয়ারুল কামাল মামলাটি করেন। মামলায় কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি। তবে পরিবারের কয়েকজন সদস্যের নাম মামলার বিবরণে সন্দেহজনক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।

তিনি বলেন, হত্যা মামলায় নিহত ব্যক্তির ছেলেকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। তবে রিমান্ড আবেদনের শুনানি হয়নি।

মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘নিহত ব্যক্তির পরিবার প্রথম থেকে ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলে দাবি করে আসছে। তবে ঘটনাটি আত্মহত্যা নয়, এটি হত্যাকাণ্ড। যেভাবে নিহত ব্যক্তির শরীরে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে, তাতে আত্মহত্যা মনে হয়নি। পরিবার মামলা না করায় পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে।’

পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, শনিবার দুপুরে আবদুর রাজ্জাকের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা ছুরিটি ফরেনসিকের জন্য পাঠানো হয়েছে।

শুক্রবার সকালে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার মোল্লারগাঁও ইউনিয়নের তেলিরাই গ্রামে নিজ বাসার ছাদের সিঁড়ির পাশে একটি কক্ষ থেকে আবদুর রাজ্জাকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি দক্ষিণ সুরমা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ছিলেন।

পরিবারের বরাতে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ফজরের নামাজ শেষে আবদুর রাজ্জাক ছাদে হাঁটার জন্য উঠেছিলেন। এরপর সকাল ৯টার দিকে তাঁর রক্তাক্ত মরদেহ দেখার পর পুলিশকে জানানো হয়।

পুলিশ জানায়, আবদুর রাজ্জাকের পেট, বুক ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছুরিকাঘাতের গভীর চিহ্ন পাওয়া গেছে। লাশের পাশ থেকে একটি ২২ ইঞ্চি লম্বা ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে।

বাড়ির সিসিটিভি ক্যামেরা দেখে পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোর থেকে লাশ উদ্ধারের আগপর্যন্ত নিহত ব্যক্তির বাড়িতে কাউকে ঢুকতে কিংবা বের হতে দেখা যায়নি। এর মধ্যে শুধু ওই বাড়ির গৃহকর্মী সকাল আটটার দিকে বাড়িতে ঢোকেন। তিনি বাড়িতে যাওয়ার পর আবদুর রাজ্জাককে তাঁর কক্ষে পাননি। একপর্যায়ে সিঁড়ির ঘরে লাশটি দেখতে পান পরিবারের সদস্যরা। এ সময় সিঁড়ির দরজা তালাবদ্ধ ছিল, সিঁড়ির চাবি আবদুর রাজ্জাকের কাছেই ছিল।

পারিবারিক সূত্র জানায়, নিহত আবদুর রাজ্জাকের এক ছেলে ও এক মেয়ে। দুজনেরই বিয়ে হয়ে গেছে। সন্তানদের মধ্যে মাস দুয়েক আগে সম্পত্তি ভাগ-বাঁটোয়ারাও করে দিয়েছিলেন তিনি। শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন তিনি। চিকিৎসার জন্য ভারতেও গিয়েছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে গত বছরের ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে একটি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পরিবার। মামলা থাকলেও তিনি নিজ বাড়িতেই অবস্থান করতেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গ্রেপ্তার হয়ে অবাক ডন, বললেন—‘স্যার আমাকে কীভাবে গ্রেপ্তার করলেন’

১ হাজার টাকায় ৪ থ্রি-পিস দেওয়ার বিজ্ঞাপন দেখে নারীদের ভিড়, বেকায়দায় শোরুম কর্তৃপক্ষ

একাত্তরের হত্যাযজ্ঞে সম্পৃক্ততার অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন: জামায়াত

সুদানে ‘গণহত্যা’য় আরব আমিরাতের গোপন তৎপরতা ও কলম্বিয়ার ভাড়াটে সেনা

অবশেষে নতুন ঠিকানায় ১০০ সাজাপ্রাপ্ত বন্দী

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‘দুর্ব্যবহারের প্রতিশোধ নিতে’ হোটেলে ঢুকে ৪ কর্মচারীকে কুপিয়ে জখম

খুলনা প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

খুলনা নগরের ডাকবাংলো মোড়ে একটি হোটেলে ঢুকে চার কর্মচারীকে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ শনিবার সন্ধ্যায় লাভলু হোটেলে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ বলছে, দুপুরে হোটেলের কর্মচারীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারকে কেন্দ্র করে কয়েক যুবকের কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। ওই ঘটনার জেরে সন্ধ্যায় ১৫-২০ জন যুবক হোটেলে ঢুকে হামলা চালায়।

আহত কর্মচারীরা হলেন আইয়ুব, মধু, সজল ও টুটুল। তাঁদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে নগরের প্রাণকেন্দ্র ডাকবাংলো মোড়ে প্রকাশ্যে এই হামলার ঘটনা ঘটলেও আধা ঘণ্টা পর পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে বলে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা অভিযোগ তোলেন।

লাভলু হোটেলের কর্মচারী মো. সাইফুল ইসলাম জানান, দুপুরের দিকে দুই যুবক খাওয়ার জন্য ওই হোটেলে আসেন। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হোটেলে কর্মচারীদের সঙ্গে তাঁরা তর্কে জড়ান। এতে উভয়ের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। হোটেল ব্যবস্থাপক গিয়ে তখন পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। তাঁকেও অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন ওই যুবকেরা।

হামলার ঘটনার বর্ণনা দিয়ে সাইফুল ইসলাম জানান, মাগরিবের নামাজের পর ১৫-২০ জন যুবক ওই হোটেলে প্রবেশ করে ধারালো অস্ত্র নিয়ে কর্মচারীদের ওপর হামলা চালান। এতে চারজন আহত হন। উপস্থিত লোকজন আহত ব্যক্তিদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। ঘটনার পরপরই হোটেলের প্রধান ফটক বন্ধ করে দেওয়া হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক হকার বলেন, ‘ডাকবাংলো মোড় একটি জনবহুল এলাকা। প্রায় সময় এখানে পুলিশ অবস্থান করে। কিন্তু এ রকম হামলার পর আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। ডাকবাংলো মোড়ে এ ঘটনার পর পুলিশ ২৫ মিনিট পর ঘটনাস্থলে আসে; যা খুবই দুঃখজনক।’

খুলনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, দুপুরে দুই যুবক ওই হোটেলে খাওয়ার জন্য গেলে কর্মচারীরা তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। সন্ধ্যার দিকে ওই যুবকেরা আরও কয়েকজনকে নিয়ে হোটেলে হামলা চালান। তাঁরা চারজনকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যান। আহত ব্যক্তিদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের আটকের জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গ্রেপ্তার হয়ে অবাক ডন, বললেন—‘স্যার আমাকে কীভাবে গ্রেপ্তার করলেন’

১ হাজার টাকায় ৪ থ্রি-পিস দেওয়ার বিজ্ঞাপন দেখে নারীদের ভিড়, বেকায়দায় শোরুম কর্তৃপক্ষ

একাত্তরের হত্যাযজ্ঞে সম্পৃক্ততার অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন: জামায়াত

সুদানে ‘গণহত্যা’য় আরব আমিরাতের গোপন তৎপরতা ও কলম্বিয়ার ভাড়াটে সেনা

অবশেষে নতুন ঠিকানায় ১০০ সাজাপ্রাপ্ত বন্দী

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভালুকায় কারখানার বর্জ্য মিশ্রিত পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক, ক্ষতিপূরণের দাবিতে মানববন্ধন

ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
ক্ষতিপূরণের দাবিতে কৃষকদের মানববন্ধন। ছবি: আজকের পত্রিকা
ক্ষতিপূরণের দাবিতে কৃষকদের মানববন্ধন। ছবি: আজকের পত্রিকা

ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার ভরাডোবা গ্রামে অবস্থিত এক্সপেরিয়েন্স টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের বর্জ্য ও কেমিক্যাল মিশ্রিত রঙের পানি এবং মুলতাজিম স্প্রিনিং মিলের গরুর গোবর ও অন্যান্য বর্জ্যের পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দ্রুত পরিশোধের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন কৃষকেরা।

শনিবার (১ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ভরাডোবা এলাকায় কৃষকেরা বিক্ষোভ মিছিল শেষে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন করেন।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের দাবি উপজেলার ভরাডোবা গ্রামে অবস্থিত এক্সপেরিয়েন্স মিলের বর্জ্য মিশ্রিত পানি এবং মুলতাজিম স্পিনিং মিলের গরুর খামারের বর্জ্যে স্থানীয় কৃষকদের ৩৩৫.৭৪ একর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে।

উপজেলা প্রশাসন থেকে সুপারিশকৃত ক্ষতিপূরণের টাকা মিল কর্তৃপক্ষ আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে পরিশোধ না করলে তাঁরা কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন।

মানববন্ধন শেষে বক্তব্য দেন কৃষক প্রতিনিধি ইঞ্জিনিয়ার রুহুল আমীন, আবদুর রহিম আকন্দ, মনির তালুকদার, নুরুজ্জামান কবির প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গ্রেপ্তার হয়ে অবাক ডন, বললেন—‘স্যার আমাকে কীভাবে গ্রেপ্তার করলেন’

১ হাজার টাকায় ৪ থ্রি-পিস দেওয়ার বিজ্ঞাপন দেখে নারীদের ভিড়, বেকায়দায় শোরুম কর্তৃপক্ষ

একাত্তরের হত্যাযজ্ঞে সম্পৃক্ততার অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন: জামায়াত

সুদানে ‘গণহত্যা’য় আরব আমিরাতের গোপন তৎপরতা ও কলম্বিয়ার ভাড়াটে সেনা

অবশেষে নতুন ঠিকানায় ১০০ সাজাপ্রাপ্ত বন্দী

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

প্রেমিকাকে বিয়ে করতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চীনা যুবক

নাসিরনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি 
ওয়াং থাও। ছবি: সংগৃহীত
ওয়াং থাও। ছবি: সংগৃহীত

প্রেমের টানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে এসেছেন ওয়াং থাও (৩৫) নামের এক চীনা যুবক। উপজেলার একটি গ্রামের তরুণীর সঙ্গে এক মাস আগে মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে তাঁর পরিচয় ও প্রেমের সম্পর্ক হয়। তাঁকে বিয়ে করতেই নাসিরনগরে এসেছেন তিনি।

জানা গেছে, ওয়াং থাও চীনের হেনান প্রদেশের বাসিন্দা। গতকাল শুক্রবার এ দেশে আসেন ওই চীনা যুবক। তরুণী ও তাঁর পরিবার তাঁকে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে নাসিরনগরে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসে। আগামীকাল রোববার (২ নভেম্বর) জেলাজজ আদালতে মুসলিম রীতিতে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করবেন ওয়াং থাও। নাম রাখবেন আবদুল্লাহ।

সরেজমিনে দেখা যায়, এ ব্যাপারে তরুণীর গ্রামের বাড়িতে কৌতূহলী মানুষের ভিড় জমেছে। আশপাশের গ্রামের নারী-পুরুষ ও শিশু-বৃদ্ধ সবাই এসেছেন চীনা যুবককে দেখার জন্য। সবার মধ্যে চীনা যুবককে নিয়ে আগ্রহ, কেউ কেউ তাঁর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছেন। কেউ কেউ সেলফি তুলছেন ও ভিডিও করছেন। ওয়াং থাও চীনা ভাষা ছাড়া অন্য কোনো ভাষা বোঝেন না। মোবাইলে ট্রান্সলেট করে সাধারণ মানুষের প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন তিনি।

সেই তরুণী বলেন, ‘মোবাইলের একটি অ্যাপসের মাধ্যমে এক মাস আগে আমাদের পরিচয় হয়। সেখানে আস্তে আস্তে আমাদের কথা চলে, পরিচয় রূপ নেয় ভালোবাসায়। পরে সে আমাকে বিয়ে করতে বাংলাদেশে আসছে। সে কোনো ধর্মে বিশ্বাস করে না। এখন আইনানুসারে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে আমাকে বিয়ে করবে। বিয়ের পর আমাকে চীনে নিয়ে যাবে।’

চীনা যুবককে জামাতা হিসেবে পাওয়ায় খুশি তরুণীর পরিবারও। তরুণীর মা বলেন, ‘ছেলে চীন থেকে আমাদের বাড়িতে এসেছে। তার সঙ্গে আমার মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক। আমার মেয়েকে সে বিয়ে করবে।’ তরুণীর বাবা বলেন, ‘আমরা ছেলের ব্যবহারে খুব খুশি। সে অনেক ভালো মানুষ। বাজার থেকে বোয়াল মাছ, দেশি মোরগ কিনে রান্না করে খাওয়াইছি।’

সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দীন বলেন, ‘আমি এ ঘটনা শুনেছি। একজন চীনা নাগরিক প্রেমের টানে এখানে এসেছে।’

নাসিরনগর থানার সহকারী পুলিশ পরিদর্শক জাহান-ই-আলম বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে খোঁজখবর নিয়েছি। সব তথ্য যাচাই করেছি। চীনা ওই যুবক বৈধভাবেই বাংলাদেশ এসেছেন। আমরা বলেছি, কোনো ধরনের সমস্যা হলে আমাদের জানাতে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গ্রেপ্তার হয়ে অবাক ডন, বললেন—‘স্যার আমাকে কীভাবে গ্রেপ্তার করলেন’

১ হাজার টাকায় ৪ থ্রি-পিস দেওয়ার বিজ্ঞাপন দেখে নারীদের ভিড়, বেকায়দায় শোরুম কর্তৃপক্ষ

একাত্তরের হত্যাযজ্ঞে সম্পৃক্ততার অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন: জামায়াত

সুদানে ‘গণহত্যা’য় আরব আমিরাতের গোপন তৎপরতা ও কলম্বিয়ার ভাড়াটে সেনা

অবশেষে নতুন ঠিকানায় ১০০ সাজাপ্রাপ্ত বন্দী

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত