Ajker Patrika

ট্রাক থেকে উড়াল দিল ১০ হাজার কবুতর, মুগ্ধ হয়ে দেখল বগুড়াবাসী

শিবগঞ্জ (বগুড়া) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২২, ২৩: ১০
ট্রাক থেকে উড়াল দিল ১০ হাজার কবুতর, মুগ্ধ হয়ে দেখল বগুড়াবাসী

খাঁচা ভর্তি চারটি ট্রাক। মাঠ ভর্তি দর্শকের সামনে ছাড়া হলো। এ সময় মুগ্ধ হয়ে দেখেন বগুড়াবাসী। আজ শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় উপজেলার মোকামতলা হাইস্কুল মাঠে এই কবুতর প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এতে ঢাকার চারটি ক্লাবের ১০ হাজার কবুতর ছাড়া হয়। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সকালে চারটি ট্রাক থেকে কবুতরগুলো ছাড়া হয়। চারটি ক্লাবই ঢাকার। যে ক্লাবের কবুতর গন্তব্যস্থলে আগে পৌঁছাবে সেই ক্লাব বিজয়ী হবে। এই প্রতিযোগিতাকে ‘পিজন রেসিং’ বলে। ‘বাংলাদেশ রেসিং প্রিজন ইন্টারপ্রেনার লিমিটেড’ এর আয়োজন করে। 

ক্লাব চারটি হলো, বাংলাদেশ রেসিং পিজন ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিআরপিওএ), বাংলাদেশ রেসিং পিজনস এন্ট্রাপ্রেনিউর (বিআরপিইএল), বাংলাদেশ রেসিং পিজন ফ্যান্সিয়ারস ক্লাব (বিআরপিএফসি) ও অ্যালায়েন্স রেসিং পিজন ক্লাব ঢাকা (এআরপিসিডি)। 

শনিবার সকালে ট্রাক ভর্তি কবুতর নিয়ে আসা হয় মোকামতলা হাইস্কুল মাঠেএদিকে কবুতরের প্রতিযোগিতা এই অঞ্চলে সর্বপ্রথম অনুষ্ঠিত হওয়ায় প্রতিযোগিতাটি উপভোগ করতে শত শত দর্শকের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। 

প্রতিযোগিতার বিষয়ে বিআরপিওএ-এর ক্লাবের প্রতিনিধি মওদুদ আহমেদ বলেন, ‘একজাতীয় হোমার কবুতরের উন্নত জাত রেসার কবুতর। এসব কবুতরকে বিশেষভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। জাতীয় পর্যায়ে এই কবুতর প্রতিযোগিতাটি তিনটি স্থান থেকে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর আগে সিরাজগঞ্জ থেকে ঢাকায় এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। আজ মোকামতলা থেকে এবং এরপর পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা থেকে ঢাকা পর্যন্ত সর্বশেষ রেস অনুষ্ঠিত হবে।’ 

একই সময়ে চারটি ট্রাকের ১০ হাজার কবুতর উড়াল ছাড়া হয়তিনি আরও বলেন, ‘আজকের প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া কবুতর গুলো ঢাকায় অবস্থিত নিজ নিজ ক্লাবে পৌঁছাবে। যে ক্লাবের কবুতর গন্তব্যস্থলে আগে পৌঁছাবে সেই ক্লাব বিজয়ী হবে।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কুবির হলে দুই জুনিয়রের বিরুদ্ধে সিনিয়র শিক্ষার্থীকে হেনস্তার অভিযোগ

কুবি প্রতিনিধি 
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল। ছবি: আজকের পত্রিকা
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল। ছবি: আজকের পত্রিকা

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলে দুই জুনিয়র শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে এক সিনিয়র শিক্ষার্থীকে হেনস্তা করার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী দ্বীন ইসলাম হৃদয়ের দাবি, গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি প্রক্টরিয়াল বডির কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

দ্বীন ইসলাম ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি (আইসিটি) বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা হলেন বাংলা বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. রোমান মিয়া এবং মো. ইউনূস আলী।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী দ্বীন ইসলামের একটি পোস্ট ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে তিনি দাবি করেন, ১৯ অক্টোবর হলের ১০৪ নম্বর কক্ষ থেকে ১০৩ নম্বর কক্ষে শিফট হচ্ছিলেন তিনি। এ সময় ১০৩ নম্বর কক্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী রোমান এবং ইউনূস তাঁর সঙ্গে উচ্চস্বরে কথা বলেন এবং টেবিল চাপড়ে তাঁকে মারতে আসেন। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী তাঁর পোস্টে আরও দাবি করেন, এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ২০ অক্টোবর হল প্রশাসন রোমান ও ইউনূসকে ডেকে তাঁদের সিট বাতিল করে এবং ২১ তারিখের মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়। পরবর্তী সময়ে ২২ অক্টোবর হল প্রশাসন থেকে তাঁকে জানানো হয়, রোমান ও ইউনূস হলে থাকবে। এ ছাড়া ২০ অক্টোবর ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের এক শিক্ষার্থী তৌহিদুল ইসলাম রাজনৈতিক প্রভাব দেখিয়ে হুমকি দেন বলেও অভিযোগ তোলেন দ্বীন ইসলাম। এতে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগার অভিযোগ তুলে গতকাল হল প্রভোস্টের মাধ্যম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছে একটি অভিযোগ করার কথা জানান দ্বীন ইসলাম।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত শিক্ষার্থী রোমান বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা মিথ্যা। উনি (দ্বীন ইসলাম) হুট করে আমাদের রুমে ওঠেন। তখন আমি জানতে চাই, আমাদের রুমে তো অলরেডি ৮ জন আছে, সেখানে আরও একজন কেন উঠবেন?’ তখন তিনি বলেন, ‘তিনি প্রশাসনের মাধ্যমে উঠেছেন। এরপর আমি বলছি, সবাই তো প্রশাসনের মাধ্যমে ওঠে। তারপর তিনি কিছুই না বলে প্রভোস্ট স্যারের কাছে বিচার দেন। পরদিন প্রভোস্ট স্যার আমাদেরকে ডাকান এবং সব কথা শুনে আমাদের দুজনের হলের সিট বাতিল করে দেন। এরপর সন্ধ্যায় আবার ফোন করে বলের এবারের মতো আমাদেরকে ক্ষমা করেছেন। পরবর্তী সময়ে আর এমন ঘটনা যাতে না ঘটে, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে বলেছেন।’ কোনো দোষ না করলে হল প্রশাসন সিট বাতিল করবে কেন—জানতে চাইলে রোমান বলেন, ‘আমাদের রুমে ৮ জন থাকার পরও আরেকজন কেন উঠবে, সেটা জানতে চাওয়ায় আমার সিট বাতিল করেছিল।’

অভিযুক্ত আরেক শিক্ষার্থী ইউনূস বলেন, ‘উনি (দ্বীন ইসলাম) যখন আমাদের রুমে আমার পাশের সিটে উঠছেন, তখন ওই সিটে অলরেডি একজন আছে। আমি জানতে চাইলাম, যে অলরেডি আছে তার সঙ্গে কথা বলেছেন কি না? তখন তিনি বলেন, তিনি প্রশাসনের মাধ্যমে উঠেছেন। এরপর আমি বললাম, প্রশাসনের মাধ্যমে উঠলেও এই সিটে যে আছে তার সঙ্গে কথা বলা উচিত। তখন তিনি কিছু না বলে প্রভোস্ট স্যারের কাছে বিচায় দেন। পরদিন প্রভোস্ট স্যার আমাদের সবার কথা শুনে রোমান আর আমার সিট বাতিল করে দেন। পরবর্তী সময়ে সন্ধ্যায় স্যার আবার ফোন দিয়ে বলেন, আমাদেরকে এবারের মতো ক্ষমা করেছেন। আর যেন এ ধরনের ঘটনা না ঘটে এবং আমাদেরকে হলে থাকতে বলেন।’ কোনো অপরাধ না করলে হলের সিট বাতিল করা হলো কেন? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে আপনি প্রভোস্ট স্যারের সঙ্গে কথা বলেন কেন বাতিল করেছেন।’

অভিযুক্ত আরেক শিক্ষার্থী তৌহিদুল ইসলামের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর অভিযোগ ও অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সিট বাতিল করার বিষয়ে জানতে চাইলে হল প্রভোস্ট মো. জিয়া উদ্দিন বলেন, ‘আমি এ ব্যাপারে কিছুই জানি না। প্রক্টর অফিসে একটা অভিযোগ দিয়েছে শুনেছি। আগামী রোববার এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুল হাকিম বলেন, ‘অভিযোগপত্রটি এখনো আমার হাতে আসেনি। তবে আমি খোঁজখবর নিয়েছি। আগামী রোববার অভিযোগপত্র হাতে পেলে বিষয়টি দেখব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সোনামুখী মেলায় রমরমা জুয়া, জানে না পুলিশ

সিরাজগঞ্জ ও কাজীপুর প্রতিনিধি
সিরাজগঞ্জের কাজীপুরের সোনামুখী মেলায় রমরমা জুয়ার আসর। ছবি: আজকের পত্রিকা
সিরাজগঞ্জের কাজীপুরের সোনামুখী মেলায় রমরমা জুয়ার আসর। ছবি: আজকের পত্রিকা

সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী সোনামুখী মেলায় চলছে রমরমা জুয়ার আসর। রাতভর চলে এই জুয়া খেলা, অথচ স্থানীয় পুলিশ বলছে—তারা কিছুই জানে না। তবে জুয়ার আয়োজকেরা দাবি করছেন, ‘সবাইকে ম্যানেজ করেই’ প্রকাশ্যে এমন আয়োজন চলছে।

জানা গেছে, দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রায় তিন শ বছর ধরে বসে ঐতিহ্যবাহী সোনামুখী মেলা। এবারও জেলা প্রশাসনের অনুমতিতে মেলা বসে, আজ শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) শেষ দিন। শর্ত ছিল—এখানে অশ্লীল নাচ-গান, যাত্রা, সার্কাস, জুয়া বা মাদকসংক্রান্ত কোনো কার্যক্রম চলবে না। কিন্তু সেই নির্দেশনা অমান্য করে প্রকাশ্যে চলছে জুয়া। তবে অনেকের দাবি, আজ মেলার শেষ দিন হলেও জুয়া খেলা চলতে পারে।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার সোনামুখী উচ্চবিদ্যালয়ের দক্ষিণে নিশি বাড়ি (সোনামুখী শ্মশান ঘাট) এলাকায় বসেছে এই জুয়ার আসর। অন্তত অর্ধশতাধিক জুয়াড়ি সেখানে জুয়া খেলায় মত্ত। বক্সে থাকা পাঁচটি ঘুঁটি নেড়ে ফেলা হয়, তারপর জুয়াড়িরা তাতে টাকা রাখেন। ঘুঁটিতে তাসের হরতন, রুইতন, টেক্কা, চিড়া ইত্যাদি প্রতীক থাকে। চারপাশে ভিড় জমেছে শত শত দর্শকের। সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা থেকে শুরু হলেও কেউ কেউ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত বাজি ধরছেন।

স্থানীয় আসাদুল নামের এক জুয়াড়ি বলেন, প্রতিদিন এখানে জুয়ার আসর বসে। রাত ৮টা থেকে ভোর পর্যন্ত চলে। দূরদূরান্ত থেকে লোক আসে। রতন নামের আরও এক ব্যক্তি বলেন, এখানে প্রতি রাতে ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকার জুয়া খেলা হয়। কেউ লাভ করে, আবার অনেকে নিঃস্ব হয়ে যায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, বাবলু নামের এক ব্যক্তি পুরো আসর নিয়ন্ত্রণ করেন। সিএনজি করে লোকজন আসেন। বাবলুই সব ম্যানেজ করেছেন। এক স্থানীয় নরসুন্দর বলেন, ‘আমরা দেখতে এসেছি। কেউ ৫০০ টাকা দিয়ে ১৫ হাজার জিতছে, আবার কেউ এক রাতে ৬ হাজার টাকায় লস দিচ্ছে।’

জানতে চাইলে জুয়ার আসর নিয়ন্ত্রণকারী হিসেবে পরিচিত কাজীপুর উপজেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সোনামুখীর বাসিন্দা বাবলু মিয়া নির্দ্বিধায় বলেন, ‘সবাইকে ম্যানেজ করেছি—থানা-পুলিশ, সাংবাদিক, সবাই। যত দিন পারি, চালাব।’

মেলার ইজারাদার বিএনপি নেতা ফজলুল হকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। জানতে চাইলে কাজীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম বলেন, ‘মেলায় এমন কোনো ঘটনার কথা জানি না। পুলিশ নিয়মিত টহলে থাকে। খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল, তবে কাউকে আটক করা যায়নি।’

এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার ফারুক হোসেন বলেন, মেলায় জুয়া চালানোর অনুমতি নেই। কেউ চালালে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাজীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘জুয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। আমরা অবশ্যই এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‘আপত্তিকর’ অবস্থায় প্রবাসীর বাড়িতে কনস্টেবল, স্থানীয়দের চাপে বিয়ে

সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে এক পুলিশ কনস্টেবলকে (৩৪) প্রবাসীর বাড়িতে আপত্তিকর অবস্থায় পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে ধরে প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে বিয়ে দেয়। আজ শুক্রবার উপজেলার দহবন্দ ইউনিয়নের একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বিয়ের কাজি মো. হামিদুল ইসলাম বলেন, ‘ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। গিয়ে দেখি বহু লোক। পরে একটা তালাকনামা করা হয়। অর্থাৎ প্রবাসীর স্ত্রীর তাঁর স্বামীকে তালাক দেন। নতুন করে পুলিশ কনস্টেবলের সঙ্গে প্রবাসীর স্ত্রীর বিয়ে দিতে চাইলে আমি অস্বীকার যাই। শেষে উপস্থিত জনতার চাপে ছেলে ও মেয়ের স্বাক্ষর নিই কাবিননামায়।’

জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল প্রবাসীর বাড়িতে যাতায়াত করেন। এ নিয়ে একাধিকবার প্রবাসীর স্ত্রীকে সতর্ক করেছেন স্থানীয়রা। কিন্তু তিনি অস্বীকার করেছেন এবং এ নিয়ে সবার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছেন। এমনকি নিজের শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গেও। প্রবাসীর স্ত্রীর জানান, পুলিশ কনস্টেবল তাঁর আত্মীয় হন। বৃহস্পতিবার রাতে তাঁকে পাহারা দিয়ে আটকে দেন এলাকাবাসী। তাঁদের উভয়ের সংসারে সন্তান রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আতোয়ার রহমান বলেন, ‘সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। দরজা খুললে দেখি পুলিশ সদস্য লুকিয়ে আছেন ড্রেসিং টেবিলের কাছে। এ সময় ছেলের শরীরে স্যান্ডো গেঞ্জি ছিল।’

মো. শামসুজ্জামান প্রামাণিক তনু নামের এক মধ্যস্থতাকারী বলেন, ‘উভয় পক্ষের লোকজন উপস্থিত ছিলেন। সবার মতামতের ভিত্তিতে প্রবাসীকে তালাক দেন তাঁর স্ত্রী। পরে আটক পুলিশ কনস্টেবলের সঙ্গে প্রবাসীর স্ত্রীর বিয়ে দেওয়া হয়। এরপর কনস্টেবল নতুন স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে চলে যান।’

এ বিষয়ে কথা হয় সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল হাকিম আজাদ এর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। এ বিষয়ে কেউ থানায়ও আসেনি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিচারের মধ্য দিয়ে আ.লীগ সঠিক পথে ফিরে আসুক: মঞ্জু

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
ঝিনাইদহে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় মঞ্জু। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঝিনাইদহে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় মঞ্জু। ছবি: আজকের পত্রিকা

এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেছেন, ‘আমরা চাই বিচারের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ তাদের ভুল বুঝে সঠিক পথে ফিরে আসুক। জাতীয় পার্টি তাঁদের অন্যায়ভাবে সহযোগিতা করেছে, উপলব্ধি করুক তারা। জাতির কাছে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাক।’

আজ শুক্রবার ঝিনাইদহ শহরের একটি রেস্টুরেন্টে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘যারা অতীতে বিভেদের রাজনীতি করেছেন, বিভেদ বাদ দিয়ে তাঁরা মানুষের কল্যাণের জন্য রাজনীতিতে আসুন। আর কত ঝগড়া করব আমরা, আর কত লাশ ঝরাব, আর কত ক্যাম্পাস রক্তাক্ত হবে।’

এবি পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘শেখ হাসিনা ২০১৪ সালে আপনারা দেখেছেন একপক্ষীয় নির্বাচন করে ১৫৩টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সরকার কায়েম করে একধরনের নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। আমরা আর নির্বাচনের কক্ষে ফিরে যেতে পারিনি। ’২৪-এর গণ-অভ্যুত্থান প্রমাণ করেছে জোর করে ক্ষমতায় থাকা যায় না। একদিন না একদিন তার করুণ পরিণতি ভোগ করতে হয়।’

তিনি বলেন, ‘এখন একটা অন্তর্বর্তী সরকার আছে। আমাদের অনেক আশা ছিল। গণ-অভ্যুত্থানের পর রাষ্ট্রকে সুন্দর করে গুছিয়ে দেশকে একটা স্থিতিশীল পরিস্থিতিতে নেওয়ার পাশাপাশি দোষীদের বিচার, আহত ও নিহত ব্যক্তিদের পুনর্বাসনের দাবি করেছি। সংস্কারের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্র সুন্দর একটা নির্বাচনের দিকে যাবে, এটিই ছিল আমাদের প্রত্যাশা। কিন্তু আমরা দেখলাম নানা ধরনের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির কারণে আমাদের মধ্যে আজ শঙ্কা দেখা দিয়েছে। নির্বাচন আদৌ সুষ্ঠুভাবে হবে কি না? আমরা দেখছি তিনটি রাজনৈতিক দলকে সরকার খুশি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তাদের চাপে সরকার দিশেহারা হয়ে পড়ছে। অথচ অতীতের তত্ত্বাবধায়ক সরকারগুলো এমন ছিল যে, তাদের চাপে রাজনৈতিক দলগুলো দিশেহারা হয়ে পড়ত।’

মতবিনিময় সভায় এবি পার্টির চেয়ারম্যান ঝিনাইদহের ৩টি আসনে দলের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন। সাংবাদিকদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়ে তাঁদের সহযোগিতার আহ্বান জানান। প্রার্থীরা হলেন ঝিনাইদহ-১ আসনে অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান, ঝিনাইদহ-২ আসনের যুব ইউনিটের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক হাদিউজ্জামান খোকন ও ঝিনাইদহ-৩ আসনের মুফতি মুজাহিদুল ইসলাম।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত