Ajker Patrika

ভোলায় ১ মাসে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ১১৫৮ জন, ২ শিশুর মৃত্যু

মো. সাইফুল ইসলাম আকাশ, ভোলা প্রতিনিধি
আপডেট : ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৯: ৫৯
ভোলায় ১ মাসে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ১১৫৮ জন, ২ শিশুর মৃত্যু

ভোলার ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে গত এক মাসে ৬৩৫ জন ডায়রিয়ায় এবং ১ হাজার ১৫৮ জন নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছে। তাদের মধ্যে মারা গেছে দুই শিশু। হাসপাতালে চিকিৎসকের সংকটে রোগীরা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। 

জেলার ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে ১৯৯ জন এবং ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে ১৬৫ জন। এসব রোগী দুই মাস থেকে পাঁচ বছরের শিশু। তাঁদের মধ্যে ঠান্ডাজনিত রোগে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গত এক মাসে মোট ৬৩৫ জন ডায়রিয়ায় ও ১ হাজার ১৫৮ জন নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়া রোগী ভর্তি হয়েছে। 

মারা যাওয়া শিশুরা হলো ৩ মাসের ফারিয়া ও দেড় বছর বয়সী তাহসিন। ফারিয়া ২ সেপ্টেম্বর সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটের দিকে সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়ে সকাল ৯টার দিকে মারা যায়। তাহসিন ৩০ আগস্ট সকাল ৭টার দিকে ভর্তি হয়ে ৩১ আগস্ট দুপুর ২টার দিকে মারা যায়। 

ফারিয়া দৌলতখান উপজেলার চরশুভি ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ফখরুল ইসলামের মেয়ে। তাহসিন জেলার সদর উপজেলার ধনীয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিল্লাল হোসেনের ছেলে। 

এদিকে ভোলা সদরসহ জেলার অন্য হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে ভিড় করছে শিশুসহ বিভিন্ন বয়সী রোগী। অতিরিক্ত রোগীর চাপে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসকদের। হাসপাতালে শয্যা খালি না থাকায় অনেক রোগী মেঝেতে থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছে।  

জেলার সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, টানা বৃষ্টিপাতের পর গরমের প্রকোপ বাড়ায় উপকূলীয় জ্বর, সর্দি, কাশি ও নিউমোনিয়া রোগে মানুষ বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। এসব রোগে শিশুদের পাশাপাশি বিভিন্ন বয়সীরা আছেন। 

গত সোম ও মঙ্গলবার জেলার ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে গিয়ে জানা গেছে, হাসপাতালের ৫০ বেডের শিশু ওয়ার্ডে কোনো শয্যা খালি নেই। অনেক শিশুকে বারান্দার মেঝে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। প্রতি বেডে দুই থেকে তিনজন শিশুকে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। 

জেলার বোরহানউদ্দিন থেকে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর অভিভাবক রানু বলেন, ‘৬ দিন ধরে শিশুকে নিয়ে হাসপাতালে আছি। জ্বর ভালো হচ্ছে না। খুব টেনশনে আছি।’ 

জ্বর ওঠায় দেড় মাস বয়সী সন্তান আবিরকে ভোলার সদর উপজেলার ধনিয়া এলাকা থেকে সদর হাসপাতালে এনেছেন মা-বাবা। আবিরের ঠাঁই হয়েছে শিশু ওয়ার্ডের বারান্দার মেঝেতে। আবিরের বাবা বলেন, ‘জ্বরে ছেলেটার শরীর যেন পুড়ে যাচ্ছে। আমার খুব খারাপ লাগতেছে আজকে কত দিন ধরে অসুস্থ। সুস্থতার কোনো হদিস দেখছি না।’ 

সদর উপজেলার বাসিন্দা কুসুম বেগম, ছালমা বেগম ও আব্দুর রহমান পরিবারের শিশুদের নিয়ে চিকিৎসার জন্য এসেছেন ভোলা সদর হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডে। কিন্তু চার থেকে পাঁচ দিন হয়ে গেল সুস্থ হচ্ছে না তারা। 

শিশু ওয়ার্ডে থাকা রোগীর স্বজনদের দাবি, শিশুদের জন্য হাসপাতাল থেকে কোনো খাবার বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে না। সেখানে খুব কষ্টে দিন পার করছেন তাঁরা। 

ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশু ওয়ার্ডের একাধিক রোগীর স্বজন জানান, তিন থেকে চার দিন ভর্তি হলেও রোগীদের দেখতে আসেন না কর্তব্যরত চিকিৎসক। সঠিক চিকিৎসাসেবা না পাওয়ায় সুস্থ হচ্ছে না তারা। টাকার অভাবে বেসরকারি হাসপাতালে ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে চিকিৎসা করাতে পারছেন না। স্বজনেরা বলেন, নার্সরা মাঝেমধ্যে এসে চিকিৎসা দেয়, এতে আমাগো সন্তান কীভাবে সুস্থ হবে যদি ডাক্তার না দেখে? 

সদর উপজেলার দক্ষিণ দীঘলদি ইউনিয়নের ১১ মাস বয়সী শিশু নুসাইবাকে নিয়ে হাসপাতালে যান মা রুজিনা বেগম। তাঁর মেয়ের শ্বাসকষ্ট। চিকিৎসকের দেখা না পেয়ে এবং মেয়ের শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত দেখে তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র না নিয়ে চলে যান বেসরকারি হাসপাতালে। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সেবিকা বলেন, রোগী থাকার কথা ৫০ জনের, কিন্তু থাকছে ২০০-৩০০ জন। এত রোগীর চিকিৎসাসেবা কমসংখ্যক জনবল দিয়ে সম্ভব নয়। তিনি আরও বলেন, শিশুদের ওয়ার্ডে খাবার বরাদ্দ নেই। 

হাসপাতালে চিকিৎসক, সেবিকা, শয্যা পর্যাপ্ত না থাকায় সেবা ব্যাহত হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন ভোলার ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক সৈয়দ আবু আহমেদ শাফী। তিনি বলেন, রোগীর চাপে ওষুধের সংকটও দেখা দিয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এসব সংকট কাটানোর চেষ্টা করছি। আশা করছি দ্রুত সমাধান হয়ে হবে। 

তত্ত্বাবধায়ক আবু আহমেদ বলেন, ‘হাসপাতালে পদ রয়েছে ৬০ জন চিকিৎসকের। এখানে কর্মরত আছেন মাত্র ২০ জন। ৮৬ জন নার্সের পদ থাকলেও কর্মরত রয়েছেন ৪৫ জন। জনবলের সংকটের কারণে চিকিৎসা দিতে আমরা হিমশিম খাচ্ছি।’ 

ভোলা জেলা সিভিল সার্জন কে এম শফিকুজ্জামান বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তন হওয়ার কারণে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। হাসপাতালগুলোতে রোগীদের প্রয়োজনীয় সেবা দেওয়া হচ্ছে। রোগীর চাপ বেশি, অভিভাবকদের আরও সচেতন এবং যত্নবান হতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

আরপিও সংশোধন থেকে সরলে লন্ডন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মনে করবে এনসিপি

আজকের রাশিফল: মেজাজ সামলে রাখুন, ফেসবুকে দার্শনিকতা বন্ধ করুন

বাড়ি ফেরার পথে লালনশিল্পীকে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাত

শিশুশিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষককে গণপিটুনি, প্রাণ বাঁচাতে পুলিশ বক্সে আশ্রয়

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ইবির বায়োটেকনোলজি বিভাগের রজতজয়ন্তী উদ্‌যাপন

ইবি প্রতিনিধি
ইবির বায়োটেকনোলজি বিভাগের রজতজয়ন্তী উদ্‌যাপন। ছবি: সংগৃহীত
ইবির বায়োটেকনোলজি বিভাগের রজতজয়ন্তী উদ্‌যাপন। ছবি: সংগৃহীত

বর্ণাঢ্য র‌্যালি, মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পিঠা উৎসবসহ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের রজতজয়ন্তী ও অ্যালামনাই পুনর্মিলনী উদ্‌যাপিত হয়েছে।

শনিবার (২৫ অক্টোবর) এই আয়োজন করা হয় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। আয়োজনে চলমান পাঁচটি ব্যাচসহ মোট ২০টি ব্যাচের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।

অনুষ্ঠানটি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. এ কে এম নাজমুল হুদার সভাপতিত্ব করেন। প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ।

বিশেষ অতিথি ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. বাবলী সাবিনা আজহার এবং যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হোসেন আল মামুন।

অনুষ্ঠানের টাইটেল স্পনসর হিসেবে ছিল এক্সন ও ইনভেন্ট। পুরো আয়োজনে গণমাধ্যম সহযোগী হিসেবে ছিল দৈনিক আজকের পত্রিকা।

ইবির বায়োটেকনোলজি বিভাগের রজতজয়ন্তী উদ্‌যাপন। ছবি: সংগৃহীত
ইবির বায়োটেকনোলজি বিভাগের রজতজয়ন্তী উদ্‌যাপন। ছবি: সংগৃহীত

বিভাগটির ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী জেসি চাকমা বলেন, ‘এমন একটি অনুষ্ঠান পাওয়া আসলেই ভাগ্যের ব্যাপার। আমরা ২৭তম ব্যাচের। আর এখানে ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজন করা হচ্ছে। আমাদের ব্যাচের এখানে থাকার কথা ছিল না। সৌভাগ্যক্রমে আমরা এখানে থাকতে পেরে আনন্দিত।’

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, ‘বর্তমান যুগে বায়োটেকনোলজি ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও সম্ভাবনাময় শাখা। শিক্ষণ, গবেষণা ও উদ্ভাবনে এখানে শিক্ষার্থীদের সুযোগ বৈশ্বিক পরিসরে বিস্তৃত।’

নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থী কখনোই বিভাগ বা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিচ্ছিন্ন হয় না। একবার যে শিক্ষার্থী হয়, সে আজীবনই শিক্ষার্থী। কারণ বিভাগই তার ‘আলমা মাটার’। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই বিভাগের অ্যালামনাইরা ইতিমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন এবং দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়েও তাঁদের অবদান দৃশ্যমান। আমি আশা করি, এখানকার শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতেও বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম আরও উজ্জ্বল করবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

আরপিও সংশোধন থেকে সরলে লন্ডন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মনে করবে এনসিপি

আজকের রাশিফল: মেজাজ সামলে রাখুন, ফেসবুকে দার্শনিকতা বন্ধ করুন

বাড়ি ফেরার পথে লালনশিল্পীকে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাত

শিশুশিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষককে গণপিটুনি, প্রাণ বাঁচাতে পুলিশ বক্সে আশ্রয়

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হত্যা মামলা আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সড়ক অবরোধ

বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি  
সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সড়ক অবরোধ। ছবি: আজকের পত্রিকা
সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সড়ক অবরোধ। ছবি: আজকের পত্রিকা

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে আবু হুরাইরা মিজান (২২) হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। আজ শনিবার সকালে বেলকুচি-এনায়েতপুর আঞ্চলিক সড়কের থানা-সংলগ্ন স্থানে আধা ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন হয়।

জানা গেছে, ৮ অক্টোবর মাগরিবের পর উত্তর চন্দনগাঁতী গ্রামের একদল নেশাগ্রস্ত ব্যক্তি দেশীয় অস্ত্র ও হাতুড়ি দিয়ে মিজানকে নির্মমভাবে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে তাঁকে উত্তরা হাই কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সড়ক অবরোধ। ছবি: আজকের পত্রিকা
সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সড়ক অবরোধ। ছবি: আজকের পত্রিকা

এ ঘটনায় ১৩ অক্টোবর নিহত ব্যক্তির ভাই ওয়ায়েস করনী বাদী হয়ে ২০ জনের নাম উল্লেখ্য করে বেলকুচি থানায় মামলা করেন। নিহত আবু হুরাইরা মিজান উপজেলার দেলুয়াকান্দি গ্রামের মৃত আমজাদ শেখের ছেলে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গতকাল (শুক্রবার) রাতে আবু হুরাইরা মিজান হত্যার এজাহারভুক্ত এক আসামিকে বিভিন্ন প্রযুক্তির সহায়তায় মানিকগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করেছি। গ্রেপ্তার আসামির বিরুদ্ধে রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

আরপিও সংশোধন থেকে সরলে লন্ডন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মনে করবে এনসিপি

আজকের রাশিফল: মেজাজ সামলে রাখুন, ফেসবুকে দার্শনিকতা বন্ধ করুন

বাড়ি ফেরার পথে লালনশিল্পীকে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাত

শিশুশিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষককে গণপিটুনি, প্রাণ বাঁচাতে পুলিশ বক্সে আশ্রয়

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

যুক্তরাষ্ট্র থেকে গমের প্রথম চালান নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছাল জাহাজ

 চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
‘এমভি নর্স স্ট্রাইড’ নামের জাহাজটি গমের প্রথম চালান নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
‘এমভি নর্স স্ট্রাইড’ নামের জাহাজটি গমের প্রথম চালান নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা গমের প্রথম চালান আজ শনিবার (২৫ অক্টোবর) চট্টগ্রাম বন্দরের পৌঁছেছে। পানামার পতাকাবাহী ‘এমভি নর্স স্ট্রাইড’ নামের জাহাজটি দুপুরে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে নোঙর করে। জাহাজটিতে ৫৭ হাজার টন গম রয়েছে, যা সরকার থেকে সরকার (জিটুজি) পদ্ধতিতে আনা হয়েছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন খাদ্য বিভাগের চট্টগ্রাম চলাচল ও সংরক্ষণ নিয়ন্ত্রক মো. সাকিব রেজওয়ান।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানিকৃত গমের নমুনা সংগ্রহ ও খালাস প্রক্রিয়া মনিটরিং করতে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের একটি উচ্চপর্যায়ের টিম চট্টগ্রামে এসেছে। টিমের নেতৃত্ব দিচ্ছেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সংগ্রহ ও সরবরাহ অনুবিভাগ) এ এইচ এম কামরুজ্জামান। আজ জাহাজ থেকে গমের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। খাদ্য বিভাগের চট্টগ্রাম চলাচল ও সংরক্ষণ নিয়ন্ত্রক মো. সাকিব রেজওয়ান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

চলাচল ও সংরক্ষণ নিয়ন্ত্রক মো. সাকিব রেজওয়ান জানান, আমদানি করা গমের ৩৪ হাজার টনের বেশি চট্টগ্রাম সাইলোতে মজুত করা হবে। বাকি গম মোংলা সাইলোতে রাখা হবে। আগামীকাল রোববার বিকেল থেকে এসব গম খালাস শুরু হতে পারে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সরকার দীর্ঘদিন ধরে রাশিয়া, ইউক্রেন, ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে গম আমদানি করে আসছে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে দেশটি থেকে গম আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস হুইট অ্যাসোসিয়েশনের অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান অ্যাগ্রোক্রপ ইন্টারন্যাশনালের কাছ থেকে জিটুজি পদ্ধতিতে এই গম কেনা হচ্ছে। চুক্তি অনুযায়ী, প্রতি টন গমের মূল্য ধরা হয়েছে ৩০২ মার্কিন ডলার। মোট ২ লাখ ২০ হাজার টন গম আমদানির প্রস্তাব গত ২৩ জুলাই ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটি অনুমোদন করে। তবে চুক্তিতে ১০ শতাংশ কমবেশির শর্ত থাকায় মোট ২ লাখ ৪২ হাজার টন গম আসবে বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে।

বর্তমানে দেশে বছরে গড়ে ৮০ লাখ টনের বেশি গমের চাহিদা রয়েছে। দেশে উৎপাদন হয় মাত্র ১১ লাখ টন গম। বাকিটা আমদানি করতে হয়। বাংলাদেশ তার মোট গম আমদানির অর্ধেকের বেশি রাশিয়া থেকে নিয়ে থাকে। গত অর্থবছরে রাশিয়া থেকে ৫৪ শতাংশ গম আনা হয়। এরপরই রয়েছে ইউক্রেন, যেখান থেকে ১৪ শতাংশ গম আমদানি করা হয়।

চট্টগ্রাম খাদ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, আজ অতিরিক্ত সচিব এ এইচ এম কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে জাহাজ থেকে গমের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে পাঠানো হবে। নমুনা ‘খাওয়ার উপযোগী’ বলে প্রতিবেদন এলে খালাস প্রক্রিয়া শুরু হবে। ইতিমধ্যে কাস্টমসের কাগজপত্র প্রস্তুত করা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

আরপিও সংশোধন থেকে সরলে লন্ডন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মনে করবে এনসিপি

আজকের রাশিফল: মেজাজ সামলে রাখুন, ফেসবুকে দার্শনিকতা বন্ধ করুন

বাড়ি ফেরার পথে লালনশিল্পীকে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাত

শিশুশিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষককে গণপিটুনি, প্রাণ বাঁচাতে পুলিশ বক্সে আশ্রয়

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

র‍্যাব পরিচয়ে ডাকাতি, গ্রেপ্তার ২

রাজবাড়ী প্রতিনিধি
মো. জুয়েল ওরফে সানি ও লিমন মিয়া। ছবি: সংগৃহীত
মো. জুয়েল ওরফে সানি ও লিমন মিয়া। ছবি: সংগৃহীত

রাজবাড়ীর পাংশায় র‍্যাব পরিচয়ে মুরগির পিকআপ ডাকাতির ঘটনায় আন্তজেলা ডাকাত দলের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঢাকার আশুলিয়া থানার পলাশবাড়ী বাজার এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

আজ শনিবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে পাংশা মডেল থানায় সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তাপস কুমার পাল।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া থানার মৃত চাঁদ মিয়ার ছেলে মো. জুয়েল ওরফে সানি (৪০) ও গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুরের নওহাটার ফারুক মিয়ার ছেলে লিমন মিয়া (৩২)।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তাপস কুমার পাল জানান, গত মঙ্গলবার ঠাকুরগাঁওয়ের বীরগঞ্জ থেকে ফরিদপুরগামী একটি মুরগিবোঝাই পিকআপভ্যান ভোরে পাংশা মৈশালা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৌঁছায়। সে সময় রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কে র‍্যাবের পোশাক পরে কয়েকজন পিকআপভ্যান গতি রোধ করে। পিকআপভ্যানের চালক ও সহকারীকে মুখ বেঁধে একটি মাইক্রোবাসে কুষ্টিয়ায় নিয়ে ভাদালিয়া মোড় এলাকায় ফেলে যায়। আর মুরগিবোঝাই পিকআপ ফরিদপুর হয়ে বরিশালের দিকে চলে যায়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তাপস কুমার পাল আরও জানান, পুলিশ অভিযান চালিয়ে বরিশালের রুপাতলি থেকে পিকআপভ্যান উদ্ধার করেছে। গ্রেপ্তার মো. জুয়েল ওরফে সানি ও লিমন মিয়ার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় দুটি করে ডাকাতিসহ চারটি করে মামলা রয়েছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী পুলিশ সুপার (পাংশা সার্কেল) দেবব্রত সরকার ও পাংশা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

আরপিও সংশোধন থেকে সরলে লন্ডন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মনে করবে এনসিপি

আজকের রাশিফল: মেজাজ সামলে রাখুন, ফেসবুকে দার্শনিকতা বন্ধ করুন

বাড়ি ফেরার পথে লালনশিল্পীকে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাত

শিশুশিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষককে গণপিটুনি, প্রাণ বাঁচাতে পুলিশ বক্সে আশ্রয়

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত