Ajker Patrika

এবার কর্মবিরতিতে শেবাচিমের ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা, দুর্ভোগে রোগীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
স্বাস্থ্য খাতের সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরতরা শেবাচিমের গেটে অবস্থান নেন। এ সময় সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। আজ রোববার দুপুরে। ছবি: আজকের পত্রিকা
স্বাস্থ্য খাতের সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরতরা শেবাচিমের গেটে অবস্থান নেন। এ সময় সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। আজ রোববার দুপুরে। ছবি: আজকের পত্রিকা

বরিশালে স্বাস্থ্য সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী এবং শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (শেবাচিম) চিকিৎসক, কর্মচারীদের বিরোধ আরও জটিল মোড় নিয়েছে। চিকিৎসকের ওপর হামলা ও কর্মস্থলে নিরাপত্তাহীনতার অভিযোগে আজ রোববার বিকেল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন শেবাচিমের ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা। এতে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা হাসপাতালে রোগীরা দুর্ভোগে পড়েছেন।

এক বিজ্ঞপ্তিতে ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা জানান, কর্মস্থলে নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে গত ১৪ আগস্ট কর্মবিরতিতে গিয়েছিলেন তাঁরা। পরে হাসপাতাল পরিচালকের অনুরোধ ও রোগীদের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেন তাঁরা। এ সময় পরিচালককে ৪৮ ঘণ্টার সময় দেওয়া হয়। বিজ্ঞপ্তিতে ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা অভিযোগ করেন, আজ রোববার ফের আন্দোলনের নামে কিছু দুষ্কৃতকারী শেবাচিমের মেডিসিন বিভাগের ইনডোর মেডিকেল অফিসার ডা. দিলীপ রায়ের ওপর অতর্কিত হামলা ও স্টাফদের ওপর হামলা করেছে। হাসপাতাল ভবন লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে পুরো হাসপাতালে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। তারা এ ঘটনায় উসকানিদাতা এবং জড়িতদের আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবি জানান। বিজ্ঞপ্তিতে ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা কর্মস্থলে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ায় আজ রোববার বিকেল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির সিদ্ধান্তের কথা জানান।

এ প্রসঙ্গ মিড লেভেল ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. শাখাওয়াত হোসেন সৈকত বলেন, ‘আজ মহিউদ্দিন রনির নেতৃত্বে বরিশালে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা হাসপাতালের প্রবেশপথে অবস্থান নিয়ে চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীদের হুমকি দেয়। বেলা ২টার দিকে মেডিসিন ইউনিট-২-এর মেডিকেল অফিসার ডা. দিলিপ রায়কে বেদম মারধর করে। চিকিৎসকের ওপর এমন নির্যাতন ও হাসপাতালের সামনে তারা অবস্থান নেওয়ায় রোগীরা যেমন নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন, তেমনি আমাদের চিকিৎসকেরা কর্মস্থলে নিরাপত্তা না থাকায় ঘটনার পর থেকেই কর্মস্থল ত্যাগ করেন। এ কারণে চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হয়। তবে হাসপাতাল পরিচালকের বিশেষ অনুরোধে ও পুলিশের কড়া নিরাপত্তায় মিড লেভেল চিকিৎসকেরা বিকেল ৫টার পর থেকে শুধু জরুরি সেবা চালু রেখেছেন।

এদিকে চিকিৎসক না থাকায় জরুরি বিভাগ থেকে ওয়ার্ডে ভর্তি হওয়া রোগীরা দুর্ভোগে পড়েছে। মেডিসিন ওয়ার্ডের শামিম হোসেন নামে এক রোগীর স্বজন বলেন, বিকেল থেকে চিকিৎসক, নার্স পাচ্ছেন না তাঁরা। এতে গোটা ওয়ার্ডের রোগীরা দুর্ভোগে পড়ছে। জানা গেছে, হাসপাতালে চিকিৎসাসেবার বড় অংশের দায়িত্ব পালন করেন ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা। তাঁদের কর্মবিরতির কারণে রোগীরা ভোগান্তিতে পড়েছে।

এ বিষয়ে শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. এ কে এম মশিউল মুনীর বলেন, ‘ঘটনার পরপরই হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও স্টাফরা আমার কাছে বিচার চেয়েছেন। তাঁদের শান্ত হয়ে নিজ নিজ কর্মস্থলে দায়িত্ব পালনের অনুরোধ জানানো হয়েছে। কিন্তু চিকিৎসককে মারধর করায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তাঁরা। তাই চিকিৎসকেরা বেলা ২টার পর ভয়ে কর্মস্থল ত্যাগ করেছেন। যে কয়েকজন চিকিৎসক এসেছেন, তাঁদের দিয়ে আপাতত জরুরি সেবা নিশ্চিত করা হচ্ছে।’

এর আগে দুপুরে স্বাস্থ্য খাত সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে শেবাচিমের সামনে গেলে হাসপাতালের কর্মীরা তাঁদের প্রতিহত করার চেষ্টা করেন। এ সময় দুই পক্ষই একে অন্যকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়ে মারেন। এতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে শেবাচিম এলাকা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোদির গুজরাটে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়া সব মন্ত্রীর পদত্যাগ

চট্টগ্রামে অ্যাডামস ক্যাপস অ্যান্ড টেক্সটাইল কারখানায় ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ২৩ ইউনিট

বিছানাভর্তি টাকা, বিলাসবহুল গাড়ি ও সোনাদানা মিলল পুলিশ কর্মকর্তার ঘরে

এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ৫ শতাংশের বেশি বাড়ানো সম্ভব নয়: শিক্ষা উপদেষ্টা

তৃতীয় দফায় বাড়ল জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত