Ajker Patrika

প্রভাষককে শোকজ দেওয়ায় অধ্যক্ষকে মারধরের অভিযোগ

দুমকি (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
আপডেট : ০১ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৪: ৪১
প্রভাষককে শোকজ দেওয়ায় অধ্যক্ষকে মারধরের অভিযোগ

পটুয়াখালীর দুমকিতে অনুপস্থিতির কারণে শোকজ দেওয়াকে কেন্দ্র করে অধ্যক্ষকে মারধর করেছেন একই প্রতিষ্ঠানের আরেক প্রভাষক ও তাঁর স্বজনেরা। এ সময় অফিস ভাঙচুর ও কাগজপত্র তছনছ করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় অধ্যক্ষ মাওলানা কাজী মো. শাহ জালালকে প্রথমে দুমকি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার মুরাদিয়া মহিলা ফাজিল মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আরবি প্রভাষক মো. মজিবুর রহমান ওরফে কামালসহ চারজনের বিরুদ্ধে দুমকি থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, গত শনিবার অনুপস্থিত থাকায় আরবি প্রভাষক মাওলানা মজিবুর রহমান কামালকে শোকজ করেন ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা কাজী মো. শাহজালাল। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বুধবার সকালে অধ্যক্ষ মাদ্রাসার গেটে পৌঁছালে মজিবুর রহমান কামাল ও তাঁর ছেলে রইসউদ্দিন, বোন ফজিলাতুন্নেসা ও ভাগনে ইমরান হোসেন খানসহ স্বজনেরা অতর্কিত হামলা চালান। এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মেরে, লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে তাঁকে। খবর পেয়ে মাদ্রাসার সহকর্মীরা আহত অধ্যক্ষকে উদ্ধার করে দুমকি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। এদিকে অভিযুক্তরা মাদ্রাসার অফিসরুমে ঢুকে অধ্যক্ষের টেবিলের গ্লাস, আসবাবপত্র ভাঙচুর ও কাগজপত্র তছনছ করে। 

এ বিষয়ে অভিযুক্ত প্রভাষক মাওলানা মজিবুর রহমান কামালের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

এ নিয়ে দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুস সালাম বলেন, এ ঘটনায় মাদ্রাসার অফিস সহকারী মাওলানা মোহেব্বুল্লাহ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শীত নিবারণের আগুনে পুড়ে ঘুমন্ত বৃদ্ধার মৃত্যু

শরীয়তপুর প্রতিনিধি
পুড়ে যাওয়া ঘর। ছবি: আজকের পত্রিকা
পুড়ে যাওয়া ঘর। ছবি: আজকের পত্রিকা

শীত নিবারণের জন্য একটি মাটির পাত্রে কয়লার আগুন পোহাতেন বিধবা কামরুন নাহার (৭৫)। আর সেই আগুনেই একা ঘরে গভীর রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় পুড়ে মারা যান তিনি। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে শরীয়তপুর সদর উপজেলার রুদ্রকর ইউনিয়নের ঢালীকান্দি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

মারা যাওয়া কামরুন নাহার ওই গ্রামের মৃত মোসলেম সরদারের স্ত্রী।

আজ সকালে পুলিশ তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কামরুন নাহারের স্বামী মোসলেম সরদার অনেক আগেই মারা গেছেন। তাঁর একমাত্র কন্যাসন্তান বিবাহিত ও অন্যত্র বসবাস করেন। ফলে তিনি একাই স্বামীর বসতভিটায় একটি জরাজীর্ণ টিনের ঘরে বসবাস করতেন এবং আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীদের দানে নিজেই রান্না করে খেতেন।

শীত নিবারণের জন্য কামরুন নাহার প্রায় সময় বিছানার পাশে মাটির তৈরি একটি পাত্রে জ্বালানো কয়লা রাখতেন। ধারণা করা হচ্ছে, ওই পাত্র থেকে আগুন বিছানায় পড়ে গিয়ে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। এতে বিছানার ওপরে পুড়ে ঘটনাস্থলে তাঁর মৃত্যু হয়।

খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। তবে এর আগেই স্থানীয় বাসিন্দারা আগুন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিছানার ওপর আগুনে পুড়ে যাওয়া মরদেহ উদ্ধার করে।

স্থানীয় বাসিন্দা ফরহাদ ঢালী বলেন, ‘রাত ৩টার দিকে আগুন লাগার খবর শুনে আমরা ছুটে গিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করি এবং ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিই। স্থানীয় জনগণ ও ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে ততক্ষণে পুরো ঘর পুড়ে যায়।’

পালং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ নিহত ব্যক্তির মেয়ের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আমরা প্রাইম টার্গেটকে খুঁজছি: ডিএমপি কমিশনার

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪: ২৩
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। ফাইল ছবি
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। ফাইল ছবি

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধের ঘটনায় প্রাথমিক সন্দেহভাজনকে দ্রুতই ধরা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।

আজ শনিবার রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনসের পুলিশ অডিটরিয়ামে আয়োজিত অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা কল্যাণ সমিতির ৪২তম বার্ষিক সাধারণ সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার এসব কথা বলেন।

কমিশনার বলেন, ‘আমরা প্রাইম টার্গেটকে খুঁজছি। এখনো ২৪ ঘণ্টা পার হয়নি। হোপফুলি এটা আমরা ডিটেক্ট করতে পারব।’

কতজন এই চক্রের সঙ্গে আছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। আমরা টার্গেটকে খুঁজছি।’

আসামির নাম জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘নাম এখনই বলা যাচ্ছে না। আমরা তাকে খুঁজছি। জনগণের সহযোগিতা চেয়েছি। হোপফুলি আমরা এটা ডিটেক্ট করে ফেলব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মতিঝিলে ছিনতাইকারীর কবলে ইডেনের ছাত্রী

ঢামেক প্রতিবেদক
আপডেট : ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪: ৪৬
এআই দিয়ে তৈরি প্রতীকী ছবি
এআই দিয়ে তৈরি প্রতীকী ছবি

রাজধানীর মতিঝিল মেট্রোরেল স্টেশন এলাকায় ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে অর্পিতা মুখার্জি (২৪) নামের ইডেন কলেজের শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আজ শনিবার সকাল ৮টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

অর্পিতাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসা সহপাঠী প্রবিতা রায় ও ভুক্তভোগী নিজে জানান, ইডেন কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী তিনি। বর্তমানে আজিমপুরে সরকারি স্টাফ কোয়ার্টারে থাকেন। সকালে গ্রামের বাড়ি রংপুর যাওয়ার উদ্দেশে রিকশায় কমলাপুর স্টেশনে যাচ্ছিলেন। রিকশাটি মতিঝিল মেট্রোরেল রেলস্টেশনের নিচে এলে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় আসা ছিনতাইকারীরা তাঁর হাতে থাকা ভ্যানিটি ব্যাগ ধরে টান দেয়। এতে রিকশা থেকে ছিটকে পড়েন অর্পিতা। গুরুতর আঘাত পান তিনি।

পরে সহপাঠীদের ফোনকল করে খবর দিলে তাঁরা অর্পিতাকে উদ্ধার করে প্রথমে আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে তাঁর কাছ থেকে ছিনতাইকারীরা কিছু নিতে পারেনি বলে জানান অর্পিতা।

ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. ফারুক জানান, মতিঝিলে ছিনতাইকারীর কবলে পড়া ওই শিক্ষার্থীকে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ঘটনাটি সংশ্লিষ্ট থানা-পুলিশকে জানানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি  
আপডেট : ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩: ৩৮
আজ সকালে মাদকাসক্ত যুবককে কোমরসমান মাটিতে পুঁতে রাখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ সকালে মাদকাসক্ত যুবককে কোমরসমান মাটিতে পুঁতে রাখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ছবি: আজকের পত্রিকা

গাজীপুরের শ্রীপুরে মাদকের টাকার জন্য মা-বাবাকে নির্যাতনের অভিযোগে এক মাদকাসক্ত যুবককে কোমরসমান মাটিতে পুঁতে রাখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের টেপিরবাড়ি গ্রামের স্মার্ট গার্মেন্টস এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী যুবকের নাম মো. খলিলুর রহমান (২৫)। তিনি ওই গ্রামের মো. নূরউদ্দিনের ছেলে। স্থানীয় বাসিন্দাদের ভাষ্য, খলিলুর দীর্ঘদিন ধরে মাদকাসক্ত।

স্থানীয় বাসিন্দা তোতা মিয়া বলেন, মাদকের টাকার জন্য খলিলুর প্রায়ই তাঁর বৃদ্ধ মা-বাবাকে মারধর করেন। শনিবার সকালে মাদক কেনার টাকার জন্য তিনি মায়ের ওপর চাপ সৃষ্টি করেন। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ইট দিয়ে মায়ের পা থেঁতলে দেন। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকাবাসী তাঁকে আটক করে মাটি খুঁড়ে কোমরসমান চাপা দেন। পরে আবার উঠিয়ে দেওয়া হয়।

খলিলুরের মা খোদেজা বেগম বলেন, ‘মাদকের টাকার জন্য ছেলে সব সময় আমাকে মারধর করে। আজ সকাল সাড়ে ৮টার দিকে টাকা চাইলে দিতে না পারার কথা বলতেই ইট দিয়ে আমার পা থেঁতলে দেয়। এখন হাঁটতে পারছি না।’

খলিলুরের কাকি আকলিমা বলেন, ‘তার নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে ৯ মাসের শিশুপুত্রকে নিয়ে তার স্ত্রী বাবার বাড়ি চলে গেছে। এলাকাবাসীও তার আচরণে বিরক্ত।’

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নাছির আহমদ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সজীব আহমেদ বলেন, ঘটনাটি তাঁর নজরে এসেছে। পুলিশকে প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত