নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
শেখ হাসিনার পতনের আগের দিন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ভিসি অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়ার নেতৃত্বে ভার্চুয়াল বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সমর্থন করে তাঁকে রক্ষার নানা কৌশল গ্রহণ করেন শিক্ষক-কর্মকর্তারা। বিশেষ করে ৫ আগস্ট সকালে শেখ হাসিনার পক্ষে মানববন্ধনের সিদ্ধান্তও হয়। ওই সময় সাধারণ ছাত্রদের পক্ষ নিয়ে যেসব শিক্ষক কথা বলেন, তাঁদের নাজেহাল করেন আওয়ামী লীগ সমর্থক কয়েকজন শিক্ষক। ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিটের সেই ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় এখন চরম সমালোচনায় পড়েছেন কতিপয় দলকানা শিক্ষক। রোববার (২০ এপ্রিল) ভিডিওর একটি কপি আজকের পত্রিকার প্রতিবেদকের হাতে আসে।
প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে এবং রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় শিক্ষক অংশ নেন।
অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ছিলেন তৎকালীন প্রক্টর ড. আব্দুল কাইয়ুম, শিক্ষক সমিতির সভাপতি আব্দুল বাতেন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক তারেক মাহমুদ আবির, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন শফিউল আলম প্রমুখ।
ভিডিওতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. মনিরুল ইসলামকে উপস্থাপনা বক্তৃতা দিতে দেখা যায়। তিনি বলেন, ‘আমরা জননেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেই আছি। তাঁর ওপর আস্থা রাখি।’
আজকে জরুরি ভিত্তিতে কেন জুম মিটিং আয়োজন করা হয়েছে, সে বিষয়ে আমাদের শিক্ষক সমিতির সম্মানিত সভাপতি পুরো বিষয়টি নিয়ে কথা বলবেন।
সভায় শেখ হাসিনার পক্ষে অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে শিক্ষক সমিতির সভাপতি আব্দুল বাতেন চৌধুরী তাঁর বক্তব্যে বারবার সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে দাঁড়ানোর কথা বলেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সবাইকে আহ্বানও জানান। তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের ঘোষিত এক দফার কোনো যৌক্তিকতা নেই। এই আন্দোলনে যারা নেমেছে, তাদের ঘৃণা করি, এই আন্দোলন প্রত্যাখ্যান করি।’
ভার্চুয়াল সভায় তৎকালীন প্রক্টর ড. আব্দুল কাইয়ুম বলেন, ‘এই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে এখন যে এক দফা দাবি নিয়েছে, গণতন্ত্রের মানসকন্যাকে হটানোর যে দাবি, এই দাবিকে আমরা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পাশে আছি।’
বক্তব্য দেওয়ার সময় বিশ্ববিদ্যালয়টির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন দিল আফরোজ খানম কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘দুদিন ধরে স্যার আমার গলা ধরে আসছে, কথা বের হচ্ছে না। আমার সোজা কথা স্যার, এ মুহূর্তে শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই। আমি এটাতে বিশ্বাসী।’
ভিডিওতে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক তারেক মাহমুদ আবির ছাত্রের পক্ষে যেসব শিক্ষক স্বাক্ষর করে বিবৃতি দিয়েছেন, তাঁদের ধমকাতে দেখা যায়। তিনি বলেন, ‘আগস্ট মাসে আমরা বিভিন্ন কূটচাল দেখছি। আমাদের শিক্ষার্থীরা কোথায় আক্রান্ত হয়েছে দেখান। শেষ সময় যারা উসকানি দিচ্ছে, তাদের পক্ষে আপনারা কী করে কথা বলেন। আমি সবাইকে শেখ হাসিনার পাশে থাকার আহ্বান করছি। মনে রাখবেন, আঁধার হয়তো কেটে যাবে একদিন। সবাইকে আবার মুখোমুখি হতে হবে।’
ওই সভায় জুলাই আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের সমর্থনে বিবৃতি দেওয়ায় তোপের মুখে পড়েছিলেন অধ্যাপক ড. মো. মুহসিন উদ্দীন। তিনি ওই ভিডিওতে বলেন, ‘আমাদের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের একটা জায়গায় আমরা সবার একমত ছিলাম যে, আমাদের শিক্ষার্থীরা কোনোভাবেই আহত হবে না, হয়রানি হবে না, গুলিবিদ্ধ হবে না—আমরা তাদের আগলে রাখব। আমরা এখনো সেই দাবিতেই থাকতে চাই।’
অথচ অধ্যাপক মুহসিনকে সম্প্রতি একাডেমিক কাউন্সিল ও সিন্ডিকেট সদস্য থেকে ফ্যাসিস্ট আখ্যা দিয়ে বাদ দিয়েছেন বর্তমান ভিসি প্রফেসর ড. শুচিতা শরমিন। এ নিয়ে চরম সমালোচনা হচ্ছে ববিতে।
এদিকে ভাইরাল সেই ভিডিও নিয়ে ফেসবুকে সমালোচনার ঝড় বইছে। রসায়ন বিভাগের এক শিক্ষার্থী সামাজিক মাধ্যমে লেখেন, ‘স্বৈরাচার গেছে; কিন্তু তার চৌদ্দগুষ্টি এখনো ক্যাম্পাসে রয়ে গেছে।’ আরেকজন শিক্ষার্থী বলেন, ‘এই ভিডিও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য চরম লজ্জার বিষয়।’
শেখ হাসিনার পতনের আগের দিন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ভিসি অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়ার নেতৃত্বে ভার্চুয়াল বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সমর্থন করে তাঁকে রক্ষার নানা কৌশল গ্রহণ করেন শিক্ষক-কর্মকর্তারা। বিশেষ করে ৫ আগস্ট সকালে শেখ হাসিনার পক্ষে মানববন্ধনের সিদ্ধান্তও হয়। ওই সময় সাধারণ ছাত্রদের পক্ষ নিয়ে যেসব শিক্ষক কথা বলেন, তাঁদের নাজেহাল করেন আওয়ামী লীগ সমর্থক কয়েকজন শিক্ষক। ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিটের সেই ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় এখন চরম সমালোচনায় পড়েছেন কতিপয় দলকানা শিক্ষক। রোববার (২০ এপ্রিল) ভিডিওর একটি কপি আজকের পত্রিকার প্রতিবেদকের হাতে আসে।
প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে এবং রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় শিক্ষক অংশ নেন।
অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ছিলেন তৎকালীন প্রক্টর ড. আব্দুল কাইয়ুম, শিক্ষক সমিতির সভাপতি আব্দুল বাতেন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক তারেক মাহমুদ আবির, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন শফিউল আলম প্রমুখ।
ভিডিওতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. মনিরুল ইসলামকে উপস্থাপনা বক্তৃতা দিতে দেখা যায়। তিনি বলেন, ‘আমরা জননেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেই আছি। তাঁর ওপর আস্থা রাখি।’
আজকে জরুরি ভিত্তিতে কেন জুম মিটিং আয়োজন করা হয়েছে, সে বিষয়ে আমাদের শিক্ষক সমিতির সম্মানিত সভাপতি পুরো বিষয়টি নিয়ে কথা বলবেন।
সভায় শেখ হাসিনার পক্ষে অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে শিক্ষক সমিতির সভাপতি আব্দুল বাতেন চৌধুরী তাঁর বক্তব্যে বারবার সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে দাঁড়ানোর কথা বলেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সবাইকে আহ্বানও জানান। তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের ঘোষিত এক দফার কোনো যৌক্তিকতা নেই। এই আন্দোলনে যারা নেমেছে, তাদের ঘৃণা করি, এই আন্দোলন প্রত্যাখ্যান করি।’
ভার্চুয়াল সভায় তৎকালীন প্রক্টর ড. আব্দুল কাইয়ুম বলেন, ‘এই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে এখন যে এক দফা দাবি নিয়েছে, গণতন্ত্রের মানসকন্যাকে হটানোর যে দাবি, এই দাবিকে আমরা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পাশে আছি।’
বক্তব্য দেওয়ার সময় বিশ্ববিদ্যালয়টির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন দিল আফরোজ খানম কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘দুদিন ধরে স্যার আমার গলা ধরে আসছে, কথা বের হচ্ছে না। আমার সোজা কথা স্যার, এ মুহূর্তে শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই। আমি এটাতে বিশ্বাসী।’
ভিডিওতে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক তারেক মাহমুদ আবির ছাত্রের পক্ষে যেসব শিক্ষক স্বাক্ষর করে বিবৃতি দিয়েছেন, তাঁদের ধমকাতে দেখা যায়। তিনি বলেন, ‘আগস্ট মাসে আমরা বিভিন্ন কূটচাল দেখছি। আমাদের শিক্ষার্থীরা কোথায় আক্রান্ত হয়েছে দেখান। শেষ সময় যারা উসকানি দিচ্ছে, তাদের পক্ষে আপনারা কী করে কথা বলেন। আমি সবাইকে শেখ হাসিনার পাশে থাকার আহ্বান করছি। মনে রাখবেন, আঁধার হয়তো কেটে যাবে একদিন। সবাইকে আবার মুখোমুখি হতে হবে।’
ওই সভায় জুলাই আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের সমর্থনে বিবৃতি দেওয়ায় তোপের মুখে পড়েছিলেন অধ্যাপক ড. মো. মুহসিন উদ্দীন। তিনি ওই ভিডিওতে বলেন, ‘আমাদের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের একটা জায়গায় আমরা সবার একমত ছিলাম যে, আমাদের শিক্ষার্থীরা কোনোভাবেই আহত হবে না, হয়রানি হবে না, গুলিবিদ্ধ হবে না—আমরা তাদের আগলে রাখব। আমরা এখনো সেই দাবিতেই থাকতে চাই।’
অথচ অধ্যাপক মুহসিনকে সম্প্রতি একাডেমিক কাউন্সিল ও সিন্ডিকেট সদস্য থেকে ফ্যাসিস্ট আখ্যা দিয়ে বাদ দিয়েছেন বর্তমান ভিসি প্রফেসর ড. শুচিতা শরমিন। এ নিয়ে চরম সমালোচনা হচ্ছে ববিতে।
এদিকে ভাইরাল সেই ভিডিও নিয়ে ফেসবুকে সমালোচনার ঝড় বইছে। রসায়ন বিভাগের এক শিক্ষার্থী সামাজিক মাধ্যমে লেখেন, ‘স্বৈরাচার গেছে; কিন্তু তার চৌদ্দগুষ্টি এখনো ক্যাম্পাসে রয়ে গেছে।’ আরেকজন শিক্ষার্থী বলেন, ‘এই ভিডিও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য চরম লজ্জার বিষয়।’
ভিডিও দেখা গেছে, গামছা দিয়ে মুখ বাঁধা কয়েকজনকে হাতে বড় বড় অস্ত্র নিয়ে আশপাশে কিছু একটা খোঁজাখুঁজি করতে দেখা যায়। তাদের মধ্যে কেউ লুঙ্গি, ফুলপ্যান্ট ও হাফপ্যান্ট পরা ছিল। এ ছাড়া স্পিডবোট নিয়ে তাদের অস্ত্র তাক করে আসতে দেখা যায়।
৩ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের কর্ণফুলীর শিকলবাহা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য জাহাঙ্গীর আলমকে প্যানেল চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। আজ শুক্রবার বিকেলে তাঁরা পরিষদের সামনে এ মানববন্ধন করেন। এ সময় তাঁরা পরিষদের মূল ফটক বন্ধ করে কাঁটা ঝুলিয়ে দেন।
৩ ঘণ্টা আগেচুয়াডাঙ্গার জীবননগরে সড়কের পাশের ঝোপের ভেতর থেকে ১ কেজি ৪৩০ গ্রাম কোকেন জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার পিয়ারাতলা গ্রামে অভিযান চালিয়ে এই মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়।
৩ ঘণ্টা আগেকোস্ট গার্ডের সদস্যদের দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়ার অভিযোগে ঢাকা-বরিশাল রুটের কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চের মালিক ও তাঁর ছেলেসহ কর্মচারীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ঈদে নৌপথে ঘরমুখী যাত্রীদের হয়রানি ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধে হস্তক্ষেপ করায় কোস্ট গার্ড সদস্যদের হুমকি দেওয়া হয়েছে বলেও মামলায় অভিযোগ করা হয়।
৪ ঘণ্টা আগে