Ajker Patrika

অবৈধ ট্রলিং ট্রলার বন্ধ না হলে পাথরঘাটায় জেলেদের আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

পাথরঘাটা(বরগুনা) প্রতিনিধি  
আপডেট : ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ১৫: ৩৮
আজ বেলা ১১টার দিকে পাথরঘাটা গোলচত্বরে মানববন্ধনে জেলেরা।
আজ বেলা ১১টার দিকে পাথরঘাটা গোলচত্বরে মানববন্ধনে জেলেরা।

বঙ্গোপসাগরে অবৈধভাবে মাছ শিকারকারী কাঠের তৈরি ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রলিং ট্রলারগুলো দ্রুত বন্ধের দাবিতে বরগুনার পাথরঘাটায় কয়েক হাজার জেলে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন। আজ রোববার (১৯ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে পাথরঘাটা গোলচত্বরে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরীর নেতৃত্বে বিভিন্ন মৎস্যজীবী সংগঠনের প্রতিনিধিরা এতে অংশ নেন।

মানববন্ধনে গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, ‘আমরা সাধারণ জেলেরা সরকারের ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা মেনে ইলিশ রক্ষায় সহযোগিতা করেছি। অথচ কিছু প্রভাবশালী ট্রলিং ট্রলার মালিক প্রশাসনের নীরবতায় সাগরে অবৈধভাবে মাছ ধরছে এবং ইলিশের পোনা ধ্বংস করছে। এটা শুধু জেলেদের ক্ষতি নয়, এটি জাতীয় সম্পদের ওপরও বড় হুমকি।’ তিনি হুঁশিয়ারি দেন, দ্রুত এসব অবৈধ ট্রলিং ট্রলার বন্ধ করা না হলে সাধারণ জেলেরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবেন।

জেলেরা অভিযোগ করেন, সরকারি আইন অনুযায়ী উপকূল থেকে ৪০ মিটারের মধ্যে ট্রলিং ট্রলার প্রবেশ করে মাছ ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কিন্তু অবৈধ ট্রলারগুলো প্রতিনিয়ত উপকূলের কাছাকাছি এসে মাছ ধরছে এবং ছোট ট্রলারের জাল কেটে নিয়ে যাচ্ছে। প্রতিবাদ করলে স্থানীয় জেলেদের মারধর ও অপমান করা হয় বলেও তাঁরা অভিযোগ করেন।

উপজেলার চরদুয়ানি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম বলেন, ইন্ডাস্ট্রিয়াল কাঠের তৈরি এসব ট্রলিং ট্রলার প্রতিদিন বেড়ে যাচ্ছে। তারা সাগর ও নদীতে ছোট পোনা, ডিমওয়ালা মাছসহ সামুদ্রিক সম্পদ ধ্বংস করছে। ফলে ভবিষ্যতে ইলিশসহ নানা প্রজাতির মাছ বিলুপ্তির মুখে পড়বে।

মানববন্ধনে বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতি, বিএফডিসি মৎস্য আড়তদার মালিক সমিতি, বিএফডিসি ঘাট শ্রমিক ইউনিয়ন, বরগুনা জেলা ফিশিং ট্রলার শ্রমিক ইউনিয়ন, বিএফডিসি মৎস্য পাইকার সমিতিসহ বিভিন্ন সংগঠনের শতাধিক প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

এ ছাড়া বরগুনা জেলা ফিশিং ট্রলার শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক দুলাল হোসেন, উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি মারুফ চৌধুরী, ট্রলার শ্রমিক কবির হোসেন সাগর ও নিজাম উদ্দিন বক্তব্য দেন।

জেলেরা সম্মিলিতভাবে সতর্ক করে বলেন, ‘অতি দ্রুত সাগরে অবৈধ ট্রলিং বন্ধ না করলে আমরা আইন নিজের হাতে তুলে নিতে বাধ্য হব। তখন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে এর দায় আমাদের না, প্রশাসনের থাকবে।’

তাঁরা আরও জানান, অবৈধ ট্রলিং বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়া হলে সমুদ্রে মৎস্য সম্পদ দ্রুত কমে যাবে। ফলে রাষ্ট্র রাজস্ব হারাবে এবং উপকূলের হাজারো জেলে পরিবার খাদ্য ও জীবিকার সংকটে পড়বে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কোটা তুলে দিলে নারীদের খুঁজেও পাওয়া যাবে না: সামান্তা শারমিন

আন্দোলনের মধ্যেই ফের বাড়ল এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা

৫ শতাংশ বাড়িভাড়া ভাতা প্রত্যাখ্যান, আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা শিক্ষকদের

মেট্রোরেলের সময় বাড়ল: আজ থেকে নতুন সূচি, ট্রিপ বাড়ল ৭টি

গ্রাহকের ৯ কোটি টাকা আত্মসাৎ, জনতা ব্যাংকের ম্যানেজার জেলহাজতে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত