খান রফিক, বরিশাল

এ যেন নদী সেচে নদীতেই জল ঢালা—কথাগুলো বলছিলেন নদী খাল বাঁচাও আন্দোলনের বরিশাল কমিটির সদস্যসচিব কাজী এনায়েত হোসেন শিবলু। বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে চলমান ড্রেজিংকে দায়সারা আখ্যা দিয়ে তিনি এ কথা বলেন। কাজী এনায়েত হোসেন শিবলু বলেন, ‘খনন করে নদীর বালু নদীতে ফেলার অর্থ হচ্ছে নদীতেই সরকারি টাকা ঢালা। এ যেন নদী সেচে নদীতেই জল ঢালা হচ্ছে। পরিকল্পিত খননের অভাবে কীর্তনখোলা নদীতে বরিশাল নৌবন্দরটি ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। বন্দরের উত্তরে বিশাল চর পড়েছে। যে কারণে বন্দর টিকিয়ে রাখা কঠিন। প্রতিবছর বিআইডব্লিউটিএর ড্রেজিং বিভাগ বিপুল অর্থ ব্যয় করলেও তা কাজে আসছে না। বন্দরে লঞ্চ ভেড়ানোই কষ্টকর।’
শুষ্ক মৌসুমে নাব্যতা-সংকট রোধে এবং নৌবন্দর সচল রাখতে বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে ঘটা করে খনন কার্যক্রম শুরু করে ড্রেজিং বিভাগ। গত ৫ নভেম্বর শুরু হয় এই কার্যক্রম। কিন্তু নৌ বন্দর এলাকায় খননের পর বালু আবারও নদীতে ফেলার কারণে এই ড্রেজিং নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। বরিশাল-ঢাকা নৌপথের বিভিন্ন লঞ্চের মাস্টার অভিযোগ করেন, যেটুকু গভীরে খনন করার কথা ছিল, তা করা হচ্ছে না। অর্থাৎ প্রতিবছরের মতো এবারও মোটা অঙ্ক ব্যয় করে বন্দরে চলছে দায়সারা খনন। তবে ড্রেজিং বিভাগ বলছে, নৌবন্দর ঘিরে এ বছর প্রায় এক লাখ ঘনমিটার বালু উত্তোলন করা হবে। বরিশাল নৌবন্দর ঘুরে দেখা গেছে, বন্দরের কাছেই ড্রেজিং চলছে। পাইপ দিয়ে সেই বালু ফেলা হচ্ছে অদূরে নদীতেই। আশপাশের একাধিক লঞ্চের স্টাফ জানান, ধীর গতিতে চলছে খনন। প্রায়ই এটি বন্ধ থাকে।
বরিশাল নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিদর্শক কবির হোসেন বলেন, ‘বন্দর এলাকায় ড্রেজিং চলছে। এর মধ্যে একটি যন্ত্রাংশ ভেঙে যাওয়ায় ঢাকা থেকে মেরামত করে আনায় দুদিন কাজ বন্ধ ছিল। বর্তমানে ড্রেজিংয়ের জন্য লঞ্চগুলো একটি পন্টুন ছেড়ে দক্ষিণে রাখা হচ্ছে। বিকল্প পন্টুন দেওয়ার কথা থাকলেও তা সম্ভব হয়নি।’
এমভি সুন্দরবন-১৬ লঞ্চের মাস্টার মজিবর রহমান বলেন, ‘আমরা যে পয়েন্টে খননের কথা বলেছি, সেখানে খনন হচ্ছে না। তাদের প্রস্তাব ছিল, খনন চলাকালীন সব লঞ্চ বন্দর থেকে সরিয়ে বিকল্প পন্টুনে রাখব। কিন্তু ড্রেজিং বিভাগ বিকল্প পন্টুন না করে বন্দরের দক্ষিণে গাদাগাদি করে লঞ্চ রাখার সিদ্ধান্ত দেয়। এখন তারা দক্ষিণে একটা লঞ্চের পেছনে আরেকটি লঞ্চ রাখছেন। এতে যাত্রী ওঠানামায় দুর্ভোগ বাড়ছে।’
মজিবর রহমান আরও বলেন, ‘ড্রেজিং বিভাগ ১০ দিন ধরে যে খনন শুরু করেছে, তা এক দিন করে তো দুই দিন করে না। দুই দিন ধরে ড্রেজিং বন্ধ। এ কদিন যে খনন করেছে, তাতে সাদা পানি বের হয়, কাদা ময়লা পানি বের হয় না। এর অর্থ একদিকে যেমন খনন গভীরে করা হচ্ছে না, অন্যদিকে নদীর মধ্যেই বালু ফেলা হচ্ছে। এতে পানির ঘূর্ণিতে ওই বালু বন্দরের পাশেই চলে আসছে। টেকসই ড্রেজিং করার জন্য বন্দরসংলগ্ন কীর্তনখোলা নদীর অন্তত ২০ ফুট গভীরে খনন দরকার। কারণ ঢাকা-বরিশাল বড় লঞ্চে কমপক্ষে ১৬ ফুট পানি দরকার। কিন্তু এবারও তারা বন্দরে ১৫ ফুটের বেশি গভীরে খনন করবে না। এই দায়সারা খননে দু-তিন মাস লাগবে। কিন্তু এই তিন মাসে যাত্রী দুর্ভোগ চরমে পৌঁছাবে।’
বিআইডব্লিউটিএর ড্রেজিং বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মিজানুর রহমান ভূঁইয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘দক্ষিণাঞ্চলে নাব্যতা-সংকট দেখা দেওয়া বিভিন্ন নদীর ৪৭টি পয়েন্টে খনন শুরু করেছেন। প্রায় ৩০ লাখ ঘনমিটার বালু উত্তোলনে ব্যয় হবে ১২ কোটি টাকা। এর মধ্যে নৌবন্দরে ১ লাখ ঘনমিটার বালু খনন চলছে। স্থান না পাওয়ায় বরিশাল নৌবন্দর-সংলগ্ন কীর্তনখোলার বালু কেটে নদীর গভীরে ফেলছেন।
তবে বরিশাল নৌযান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি শেখ আবুল হাশেম বলেন, ‘নদীতে সঠিকভাবে জরিপ না করায় ড্রেজিংয়ের সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। তাই নৌবন্দরের সামনে বারবার খনন করতে হচ্ছে। প্রতিবছর যে ড্রেজিং করা হয়, তা বোঝার কোনো উপায় নেই। এবারও বন্দর এলাকায় খনন করে বালু নদীতেই ফেলা হচ্ছে।’
বরিশাল বিআইডব্লিউটিএর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপপরিচালক মো. আব্দুর রাজ্জাককে ফোন দেওয়া হলে তিনি জানান, ব্যস্ত আছেন, পরে কথা বলবেন। পরে অবশ্য আর ফোন দেননি তিনি।

এ যেন নদী সেচে নদীতেই জল ঢালা—কথাগুলো বলছিলেন নদী খাল বাঁচাও আন্দোলনের বরিশাল কমিটির সদস্যসচিব কাজী এনায়েত হোসেন শিবলু। বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে চলমান ড্রেজিংকে দায়সারা আখ্যা দিয়ে তিনি এ কথা বলেন। কাজী এনায়েত হোসেন শিবলু বলেন, ‘খনন করে নদীর বালু নদীতে ফেলার অর্থ হচ্ছে নদীতেই সরকারি টাকা ঢালা। এ যেন নদী সেচে নদীতেই জল ঢালা হচ্ছে। পরিকল্পিত খননের অভাবে কীর্তনখোলা নদীতে বরিশাল নৌবন্দরটি ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। বন্দরের উত্তরে বিশাল চর পড়েছে। যে কারণে বন্দর টিকিয়ে রাখা কঠিন। প্রতিবছর বিআইডব্লিউটিএর ড্রেজিং বিভাগ বিপুল অর্থ ব্যয় করলেও তা কাজে আসছে না। বন্দরে লঞ্চ ভেড়ানোই কষ্টকর।’
শুষ্ক মৌসুমে নাব্যতা-সংকট রোধে এবং নৌবন্দর সচল রাখতে বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে ঘটা করে খনন কার্যক্রম শুরু করে ড্রেজিং বিভাগ। গত ৫ নভেম্বর শুরু হয় এই কার্যক্রম। কিন্তু নৌ বন্দর এলাকায় খননের পর বালু আবারও নদীতে ফেলার কারণে এই ড্রেজিং নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। বরিশাল-ঢাকা নৌপথের বিভিন্ন লঞ্চের মাস্টার অভিযোগ করেন, যেটুকু গভীরে খনন করার কথা ছিল, তা করা হচ্ছে না। অর্থাৎ প্রতিবছরের মতো এবারও মোটা অঙ্ক ব্যয় করে বন্দরে চলছে দায়সারা খনন। তবে ড্রেজিং বিভাগ বলছে, নৌবন্দর ঘিরে এ বছর প্রায় এক লাখ ঘনমিটার বালু উত্তোলন করা হবে। বরিশাল নৌবন্দর ঘুরে দেখা গেছে, বন্দরের কাছেই ড্রেজিং চলছে। পাইপ দিয়ে সেই বালু ফেলা হচ্ছে অদূরে নদীতেই। আশপাশের একাধিক লঞ্চের স্টাফ জানান, ধীর গতিতে চলছে খনন। প্রায়ই এটি বন্ধ থাকে।
বরিশাল নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিদর্শক কবির হোসেন বলেন, ‘বন্দর এলাকায় ড্রেজিং চলছে। এর মধ্যে একটি যন্ত্রাংশ ভেঙে যাওয়ায় ঢাকা থেকে মেরামত করে আনায় দুদিন কাজ বন্ধ ছিল। বর্তমানে ড্রেজিংয়ের জন্য লঞ্চগুলো একটি পন্টুন ছেড়ে দক্ষিণে রাখা হচ্ছে। বিকল্প পন্টুন দেওয়ার কথা থাকলেও তা সম্ভব হয়নি।’
এমভি সুন্দরবন-১৬ লঞ্চের মাস্টার মজিবর রহমান বলেন, ‘আমরা যে পয়েন্টে খননের কথা বলেছি, সেখানে খনন হচ্ছে না। তাদের প্রস্তাব ছিল, খনন চলাকালীন সব লঞ্চ বন্দর থেকে সরিয়ে বিকল্প পন্টুনে রাখব। কিন্তু ড্রেজিং বিভাগ বিকল্প পন্টুন না করে বন্দরের দক্ষিণে গাদাগাদি করে লঞ্চ রাখার সিদ্ধান্ত দেয়। এখন তারা দক্ষিণে একটা লঞ্চের পেছনে আরেকটি লঞ্চ রাখছেন। এতে যাত্রী ওঠানামায় দুর্ভোগ বাড়ছে।’
মজিবর রহমান আরও বলেন, ‘ড্রেজিং বিভাগ ১০ দিন ধরে যে খনন শুরু করেছে, তা এক দিন করে তো দুই দিন করে না। দুই দিন ধরে ড্রেজিং বন্ধ। এ কদিন যে খনন করেছে, তাতে সাদা পানি বের হয়, কাদা ময়লা পানি বের হয় না। এর অর্থ একদিকে যেমন খনন গভীরে করা হচ্ছে না, অন্যদিকে নদীর মধ্যেই বালু ফেলা হচ্ছে। এতে পানির ঘূর্ণিতে ওই বালু বন্দরের পাশেই চলে আসছে। টেকসই ড্রেজিং করার জন্য বন্দরসংলগ্ন কীর্তনখোলা নদীর অন্তত ২০ ফুট গভীরে খনন দরকার। কারণ ঢাকা-বরিশাল বড় লঞ্চে কমপক্ষে ১৬ ফুট পানি দরকার। কিন্তু এবারও তারা বন্দরে ১৫ ফুটের বেশি গভীরে খনন করবে না। এই দায়সারা খননে দু-তিন মাস লাগবে। কিন্তু এই তিন মাসে যাত্রী দুর্ভোগ চরমে পৌঁছাবে।’
বিআইডব্লিউটিএর ড্রেজিং বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মিজানুর রহমান ভূঁইয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘দক্ষিণাঞ্চলে নাব্যতা-সংকট দেখা দেওয়া বিভিন্ন নদীর ৪৭টি পয়েন্টে খনন শুরু করেছেন। প্রায় ৩০ লাখ ঘনমিটার বালু উত্তোলনে ব্যয় হবে ১২ কোটি টাকা। এর মধ্যে নৌবন্দরে ১ লাখ ঘনমিটার বালু খনন চলছে। স্থান না পাওয়ায় বরিশাল নৌবন্দর-সংলগ্ন কীর্তনখোলার বালু কেটে নদীর গভীরে ফেলছেন।
তবে বরিশাল নৌযান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি শেখ আবুল হাশেম বলেন, ‘নদীতে সঠিকভাবে জরিপ না করায় ড্রেজিংয়ের সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। তাই নৌবন্দরের সামনে বারবার খনন করতে হচ্ছে। প্রতিবছর যে ড্রেজিং করা হয়, তা বোঝার কোনো উপায় নেই। এবারও বন্দর এলাকায় খনন করে বালু নদীতেই ফেলা হচ্ছে।’
বরিশাল বিআইডব্লিউটিএর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপপরিচালক মো. আব্দুর রাজ্জাককে ফোন দেওয়া হলে তিনি জানান, ব্যস্ত আছেন, পরে কথা বলবেন। পরে অবশ্য আর ফোন দেননি তিনি।
খান রফিক, বরিশাল

এ যেন নদী সেচে নদীতেই জল ঢালা—কথাগুলো বলছিলেন নদী খাল বাঁচাও আন্দোলনের বরিশাল কমিটির সদস্যসচিব কাজী এনায়েত হোসেন শিবলু। বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে চলমান ড্রেজিংকে দায়সারা আখ্যা দিয়ে তিনি এ কথা বলেন। কাজী এনায়েত হোসেন শিবলু বলেন, ‘খনন করে নদীর বালু নদীতে ফেলার অর্থ হচ্ছে নদীতেই সরকারি টাকা ঢালা। এ যেন নদী সেচে নদীতেই জল ঢালা হচ্ছে। পরিকল্পিত খননের অভাবে কীর্তনখোলা নদীতে বরিশাল নৌবন্দরটি ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। বন্দরের উত্তরে বিশাল চর পড়েছে। যে কারণে বন্দর টিকিয়ে রাখা কঠিন। প্রতিবছর বিআইডব্লিউটিএর ড্রেজিং বিভাগ বিপুল অর্থ ব্যয় করলেও তা কাজে আসছে না। বন্দরে লঞ্চ ভেড়ানোই কষ্টকর।’
শুষ্ক মৌসুমে নাব্যতা-সংকট রোধে এবং নৌবন্দর সচল রাখতে বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে ঘটা করে খনন কার্যক্রম শুরু করে ড্রেজিং বিভাগ। গত ৫ নভেম্বর শুরু হয় এই কার্যক্রম। কিন্তু নৌ বন্দর এলাকায় খননের পর বালু আবারও নদীতে ফেলার কারণে এই ড্রেজিং নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। বরিশাল-ঢাকা নৌপথের বিভিন্ন লঞ্চের মাস্টার অভিযোগ করেন, যেটুকু গভীরে খনন করার কথা ছিল, তা করা হচ্ছে না। অর্থাৎ প্রতিবছরের মতো এবারও মোটা অঙ্ক ব্যয় করে বন্দরে চলছে দায়সারা খনন। তবে ড্রেজিং বিভাগ বলছে, নৌবন্দর ঘিরে এ বছর প্রায় এক লাখ ঘনমিটার বালু উত্তোলন করা হবে। বরিশাল নৌবন্দর ঘুরে দেখা গেছে, বন্দরের কাছেই ড্রেজিং চলছে। পাইপ দিয়ে সেই বালু ফেলা হচ্ছে অদূরে নদীতেই। আশপাশের একাধিক লঞ্চের স্টাফ জানান, ধীর গতিতে চলছে খনন। প্রায়ই এটি বন্ধ থাকে।
বরিশাল নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিদর্শক কবির হোসেন বলেন, ‘বন্দর এলাকায় ড্রেজিং চলছে। এর মধ্যে একটি যন্ত্রাংশ ভেঙে যাওয়ায় ঢাকা থেকে মেরামত করে আনায় দুদিন কাজ বন্ধ ছিল। বর্তমানে ড্রেজিংয়ের জন্য লঞ্চগুলো একটি পন্টুন ছেড়ে দক্ষিণে রাখা হচ্ছে। বিকল্প পন্টুন দেওয়ার কথা থাকলেও তা সম্ভব হয়নি।’
এমভি সুন্দরবন-১৬ লঞ্চের মাস্টার মজিবর রহমান বলেন, ‘আমরা যে পয়েন্টে খননের কথা বলেছি, সেখানে খনন হচ্ছে না। তাদের প্রস্তাব ছিল, খনন চলাকালীন সব লঞ্চ বন্দর থেকে সরিয়ে বিকল্প পন্টুনে রাখব। কিন্তু ড্রেজিং বিভাগ বিকল্প পন্টুন না করে বন্দরের দক্ষিণে গাদাগাদি করে লঞ্চ রাখার সিদ্ধান্ত দেয়। এখন তারা দক্ষিণে একটা লঞ্চের পেছনে আরেকটি লঞ্চ রাখছেন। এতে যাত্রী ওঠানামায় দুর্ভোগ বাড়ছে।’
মজিবর রহমান আরও বলেন, ‘ড্রেজিং বিভাগ ১০ দিন ধরে যে খনন শুরু করেছে, তা এক দিন করে তো দুই দিন করে না। দুই দিন ধরে ড্রেজিং বন্ধ। এ কদিন যে খনন করেছে, তাতে সাদা পানি বের হয়, কাদা ময়লা পানি বের হয় না। এর অর্থ একদিকে যেমন খনন গভীরে করা হচ্ছে না, অন্যদিকে নদীর মধ্যেই বালু ফেলা হচ্ছে। এতে পানির ঘূর্ণিতে ওই বালু বন্দরের পাশেই চলে আসছে। টেকসই ড্রেজিং করার জন্য বন্দরসংলগ্ন কীর্তনখোলা নদীর অন্তত ২০ ফুট গভীরে খনন দরকার। কারণ ঢাকা-বরিশাল বড় লঞ্চে কমপক্ষে ১৬ ফুট পানি দরকার। কিন্তু এবারও তারা বন্দরে ১৫ ফুটের বেশি গভীরে খনন করবে না। এই দায়সারা খননে দু-তিন মাস লাগবে। কিন্তু এই তিন মাসে যাত্রী দুর্ভোগ চরমে পৌঁছাবে।’
বিআইডব্লিউটিএর ড্রেজিং বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মিজানুর রহমান ভূঁইয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘দক্ষিণাঞ্চলে নাব্যতা-সংকট দেখা দেওয়া বিভিন্ন নদীর ৪৭টি পয়েন্টে খনন শুরু করেছেন। প্রায় ৩০ লাখ ঘনমিটার বালু উত্তোলনে ব্যয় হবে ১২ কোটি টাকা। এর মধ্যে নৌবন্দরে ১ লাখ ঘনমিটার বালু খনন চলছে। স্থান না পাওয়ায় বরিশাল নৌবন্দর-সংলগ্ন কীর্তনখোলার বালু কেটে নদীর গভীরে ফেলছেন।
তবে বরিশাল নৌযান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি শেখ আবুল হাশেম বলেন, ‘নদীতে সঠিকভাবে জরিপ না করায় ড্রেজিংয়ের সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। তাই নৌবন্দরের সামনে বারবার খনন করতে হচ্ছে। প্রতিবছর যে ড্রেজিং করা হয়, তা বোঝার কোনো উপায় নেই। এবারও বন্দর এলাকায় খনন করে বালু নদীতেই ফেলা হচ্ছে।’
বরিশাল বিআইডব্লিউটিএর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপপরিচালক মো. আব্দুর রাজ্জাককে ফোন দেওয়া হলে তিনি জানান, ব্যস্ত আছেন, পরে কথা বলবেন। পরে অবশ্য আর ফোন দেননি তিনি।

এ যেন নদী সেচে নদীতেই জল ঢালা—কথাগুলো বলছিলেন নদী খাল বাঁচাও আন্দোলনের বরিশাল কমিটির সদস্যসচিব কাজী এনায়েত হোসেন শিবলু। বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে চলমান ড্রেজিংকে দায়সারা আখ্যা দিয়ে তিনি এ কথা বলেন। কাজী এনায়েত হোসেন শিবলু বলেন, ‘খনন করে নদীর বালু নদীতে ফেলার অর্থ হচ্ছে নদীতেই সরকারি টাকা ঢালা। এ যেন নদী সেচে নদীতেই জল ঢালা হচ্ছে। পরিকল্পিত খননের অভাবে কীর্তনখোলা নদীতে বরিশাল নৌবন্দরটি ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। বন্দরের উত্তরে বিশাল চর পড়েছে। যে কারণে বন্দর টিকিয়ে রাখা কঠিন। প্রতিবছর বিআইডব্লিউটিএর ড্রেজিং বিভাগ বিপুল অর্থ ব্যয় করলেও তা কাজে আসছে না। বন্দরে লঞ্চ ভেড়ানোই কষ্টকর।’
শুষ্ক মৌসুমে নাব্যতা-সংকট রোধে এবং নৌবন্দর সচল রাখতে বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে ঘটা করে খনন কার্যক্রম শুরু করে ড্রেজিং বিভাগ। গত ৫ নভেম্বর শুরু হয় এই কার্যক্রম। কিন্তু নৌ বন্দর এলাকায় খননের পর বালু আবারও নদীতে ফেলার কারণে এই ড্রেজিং নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। বরিশাল-ঢাকা নৌপথের বিভিন্ন লঞ্চের মাস্টার অভিযোগ করেন, যেটুকু গভীরে খনন করার কথা ছিল, তা করা হচ্ছে না। অর্থাৎ প্রতিবছরের মতো এবারও মোটা অঙ্ক ব্যয় করে বন্দরে চলছে দায়সারা খনন। তবে ড্রেজিং বিভাগ বলছে, নৌবন্দর ঘিরে এ বছর প্রায় এক লাখ ঘনমিটার বালু উত্তোলন করা হবে। বরিশাল নৌবন্দর ঘুরে দেখা গেছে, বন্দরের কাছেই ড্রেজিং চলছে। পাইপ দিয়ে সেই বালু ফেলা হচ্ছে অদূরে নদীতেই। আশপাশের একাধিক লঞ্চের স্টাফ জানান, ধীর গতিতে চলছে খনন। প্রায়ই এটি বন্ধ থাকে।
বরিশাল নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিদর্শক কবির হোসেন বলেন, ‘বন্দর এলাকায় ড্রেজিং চলছে। এর মধ্যে একটি যন্ত্রাংশ ভেঙে যাওয়ায় ঢাকা থেকে মেরামত করে আনায় দুদিন কাজ বন্ধ ছিল। বর্তমানে ড্রেজিংয়ের জন্য লঞ্চগুলো একটি পন্টুন ছেড়ে দক্ষিণে রাখা হচ্ছে। বিকল্প পন্টুন দেওয়ার কথা থাকলেও তা সম্ভব হয়নি।’
এমভি সুন্দরবন-১৬ লঞ্চের মাস্টার মজিবর রহমান বলেন, ‘আমরা যে পয়েন্টে খননের কথা বলেছি, সেখানে খনন হচ্ছে না। তাদের প্রস্তাব ছিল, খনন চলাকালীন সব লঞ্চ বন্দর থেকে সরিয়ে বিকল্প পন্টুনে রাখব। কিন্তু ড্রেজিং বিভাগ বিকল্প পন্টুন না করে বন্দরের দক্ষিণে গাদাগাদি করে লঞ্চ রাখার সিদ্ধান্ত দেয়। এখন তারা দক্ষিণে একটা লঞ্চের পেছনে আরেকটি লঞ্চ রাখছেন। এতে যাত্রী ওঠানামায় দুর্ভোগ বাড়ছে।’
মজিবর রহমান আরও বলেন, ‘ড্রেজিং বিভাগ ১০ দিন ধরে যে খনন শুরু করেছে, তা এক দিন করে তো দুই দিন করে না। দুই দিন ধরে ড্রেজিং বন্ধ। এ কদিন যে খনন করেছে, তাতে সাদা পানি বের হয়, কাদা ময়লা পানি বের হয় না। এর অর্থ একদিকে যেমন খনন গভীরে করা হচ্ছে না, অন্যদিকে নদীর মধ্যেই বালু ফেলা হচ্ছে। এতে পানির ঘূর্ণিতে ওই বালু বন্দরের পাশেই চলে আসছে। টেকসই ড্রেজিং করার জন্য বন্দরসংলগ্ন কীর্তনখোলা নদীর অন্তত ২০ ফুট গভীরে খনন দরকার। কারণ ঢাকা-বরিশাল বড় লঞ্চে কমপক্ষে ১৬ ফুট পানি দরকার। কিন্তু এবারও তারা বন্দরে ১৫ ফুটের বেশি গভীরে খনন করবে না। এই দায়সারা খননে দু-তিন মাস লাগবে। কিন্তু এই তিন মাসে যাত্রী দুর্ভোগ চরমে পৌঁছাবে।’
বিআইডব্লিউটিএর ড্রেজিং বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মিজানুর রহমান ভূঁইয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘দক্ষিণাঞ্চলে নাব্যতা-সংকট দেখা দেওয়া বিভিন্ন নদীর ৪৭টি পয়েন্টে খনন শুরু করেছেন। প্রায় ৩০ লাখ ঘনমিটার বালু উত্তোলনে ব্যয় হবে ১২ কোটি টাকা। এর মধ্যে নৌবন্দরে ১ লাখ ঘনমিটার বালু খনন চলছে। স্থান না পাওয়ায় বরিশাল নৌবন্দর-সংলগ্ন কীর্তনখোলার বালু কেটে নদীর গভীরে ফেলছেন।
তবে বরিশাল নৌযান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি শেখ আবুল হাশেম বলেন, ‘নদীতে সঠিকভাবে জরিপ না করায় ড্রেজিংয়ের সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। তাই নৌবন্দরের সামনে বারবার খনন করতে হচ্ছে। প্রতিবছর যে ড্রেজিং করা হয়, তা বোঝার কোনো উপায় নেই। এবারও বন্দর এলাকায় খনন করে বালু নদীতেই ফেলা হচ্ছে।’
বরিশাল বিআইডব্লিউটিএর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপপরিচালক মো. আব্দুর রাজ্জাককে ফোন দেওয়া হলে তিনি জানান, ব্যস্ত আছেন, পরে কথা বলবেন। পরে অবশ্য আর ফোন দেননি তিনি।

মেলার আয়োজক সুমন হক বলেন, ‘মেলার অনুমোদনের জন্য আবেদন করা হয়েছে। আবেদনের কপিটি থানায় জমা দিয়ে অবগত করা হয়েছে। এখনো জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মেলার অনুমতি পাইনি।’ অনুমতি ছাড়া মেলা কীভাবে হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি দেখা করতে অনুরোধ করেন।
৪ মিনিট আগে
গুলিবিদ্ধ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থার এখনো দৃশ্যমান কোনো উন্নতি হয়নি বলে জানিয়েছেন তাঁর চিকিৎসায় গঠিত মাল্টিডিসিপ্লিনারি মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা।
১ ঘণ্টা আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, যাত্রীবাহী লঞ্চের সঙ্গে বাল্কহেডের সংঘর্ষ হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে বাল্কহেডটি নদীতে ডুবে যায়। ভিডিওতে দেখা যায়, বাল্কহেডে থাকা স্টাফরা নদীতে লাফ দিয়ে বাঁচার চেষ্টা করছেন।
১ ঘণ্টা আগে
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় প্রাইভেট কার থামিয়ে দেশীয় অস্ত্রধারী ডাকাতেরা নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে। শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার মোকারিমপুর ইউনিয়নের মনিপার্ক এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেসোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার কাঁচপুর বালুর মাঠে অনুমোদন ছাড়া একটি মেলার আয়োজন করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, মেলার আয়োজন করেছেন কাঁচপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সেলিম হক রুমির ছোট ভাই সুমন হক ও তাঁর ভাতিজা আকাশ হক। তাঁদের অভিযোগ, মেলার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মাদক কারবার, জুয়া, অশ্লীল নৃত্যসহ বেআইনি কর্মকাণ্ড। এসব অবৈধ কর্মকাণ্ড দিয়ে মেলা থেকে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে বিপুল পরিমাণ অর্থ।
গত শুক্রবার বিকেল থেকে শুরু হওয়া মেলায় জুয়াড়ি, মাদক কারবারি ও মাদকসেবীদের আনাগোনা বেড়েছে। এতে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। মেলা আয়োজনের অনুমতিপত্র না থাকলেও মেলার আয়োজক বিএনপি নেতার ভাই সুমন হক দাবি করেন, ইউএনও অফিসে আবেদন করে থানা-পুলিশকে জানিয়ে এই মেলা বসিয়েছেন তিনি। তবে জেলা প্রশাসনের কোনো অনুমতি নেই।
জানা যায়, কাঁচপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সেলিম হক রুমির ছোট ভাই সুমন হক ও ভাতিজা আকাশ হক ও মিঠু মিয়া কাঁচপুর ওমর আলী উচ্চবিদ্যালয়ের বিপরীত পাশে বালুর মাঠে এই মেলার আয়োজন করেন। বিজয় মেলার নামে মাসব্যাপী মেলা গতকাল শুক্রবার থেকে শুরু হয়। মেলায় নাগরদোলা, ইলেকট্রিক নৌকা, পুতুলনাচ, খেলনার দোকান, কসমেটিকসের দোকান, মুড়ি-মুড়কি, ফুচকার দোকানসহ বিভিন্ন ধরনের শতাধিক দোকান বসেছে।
মেলায় বসানো খেলনা, কসমেটিকসের দোকান ও ফুচকার দোকান থেকে প্রতিদিন ৫০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা করে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। এ ছাড়া ইলেকট্রিক নৌকা ও নাগরদোলা থেকে ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে। মেলার ভেতরে বসানো হয়েছে লটারির নামে জুয়া ও মাদকের আসর।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রতিদিন উচ্চ স্বরে মাইক বাজিয়ে আশপাশে শব্দদূষণ করা হচ্ছে। প্রশাসনও তাঁদের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এই অবৈধ মেলা দ্রুত উচ্ছেদ করার জন্য প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ করেছেন তাঁরা।
মেলার ব্যবস্থাপক মিঠু মিয়া বলেন, তিনি বিভিন্ন এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে দোকানগুলো নিয়ে এসেছেন। মেলা বসানোর জায়গা না দিলে মেলা করা সম্ভব না। তবে এই মেলার জায়গা দিয়েছেন সুমন ও তাঁর ভাতিজা আকাশ।
মেলার আয়োজক সুমন হক বলেন, ‘মেলার অনুমোদনের জন্য আবেদন করা হয়েছে। আবেদনের কপিটি থানায় জমা দিয়ে অবগত করা হয়েছে। এখনো জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মেলার অনুমতি পাইনি।’ অনুমতি ছাড়া মেলা কীভাবে হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি দেখা করতে অনুরোধ করেন।
কাঁচপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সেলিম হক রুমি বলেন, ‘এই অবৈধ মেলা বন্ধ করতে আমি নিজেই ইউএনও কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে অনুরোধ করেছি। আগামী সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এই মেলা বন্ধ হওয়া উচিত।’
সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রাশেদুল হাসান খান বলেন, মেলার অনুমোদন দেওয়া হয়নি। আয়োজকদের ডেকে মেলা বসানোর বিষয়ে নিষেধ করা হয়েছে। মেলা বসানোর চেষ্টা করা হলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসিফ আল জিনাত বলেন, ‘মেলা বসানোর বিষয়ে কোনো অনুমতি দেওয়া হয়নি। আগামী সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনো প্রকার জমায়েত করার সুযোগ নেই। অবৈধ মেলা উচ্ছেদ করা হবে।’

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার কাঁচপুর বালুর মাঠে অনুমোদন ছাড়া একটি মেলার আয়োজন করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, মেলার আয়োজন করেছেন কাঁচপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সেলিম হক রুমির ছোট ভাই সুমন হক ও তাঁর ভাতিজা আকাশ হক। তাঁদের অভিযোগ, মেলার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মাদক কারবার, জুয়া, অশ্লীল নৃত্যসহ বেআইনি কর্মকাণ্ড। এসব অবৈধ কর্মকাণ্ড দিয়ে মেলা থেকে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে বিপুল পরিমাণ অর্থ।
গত শুক্রবার বিকেল থেকে শুরু হওয়া মেলায় জুয়াড়ি, মাদক কারবারি ও মাদকসেবীদের আনাগোনা বেড়েছে। এতে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। মেলা আয়োজনের অনুমতিপত্র না থাকলেও মেলার আয়োজক বিএনপি নেতার ভাই সুমন হক দাবি করেন, ইউএনও অফিসে আবেদন করে থানা-পুলিশকে জানিয়ে এই মেলা বসিয়েছেন তিনি। তবে জেলা প্রশাসনের কোনো অনুমতি নেই।
জানা যায়, কাঁচপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সেলিম হক রুমির ছোট ভাই সুমন হক ও ভাতিজা আকাশ হক ও মিঠু মিয়া কাঁচপুর ওমর আলী উচ্চবিদ্যালয়ের বিপরীত পাশে বালুর মাঠে এই মেলার আয়োজন করেন। বিজয় মেলার নামে মাসব্যাপী মেলা গতকাল শুক্রবার থেকে শুরু হয়। মেলায় নাগরদোলা, ইলেকট্রিক নৌকা, পুতুলনাচ, খেলনার দোকান, কসমেটিকসের দোকান, মুড়ি-মুড়কি, ফুচকার দোকানসহ বিভিন্ন ধরনের শতাধিক দোকান বসেছে।
মেলায় বসানো খেলনা, কসমেটিকসের দোকান ও ফুচকার দোকান থেকে প্রতিদিন ৫০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা করে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। এ ছাড়া ইলেকট্রিক নৌকা ও নাগরদোলা থেকে ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে। মেলার ভেতরে বসানো হয়েছে লটারির নামে জুয়া ও মাদকের আসর।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রতিদিন উচ্চ স্বরে মাইক বাজিয়ে আশপাশে শব্দদূষণ করা হচ্ছে। প্রশাসনও তাঁদের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এই অবৈধ মেলা দ্রুত উচ্ছেদ করার জন্য প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ করেছেন তাঁরা।
মেলার ব্যবস্থাপক মিঠু মিয়া বলেন, তিনি বিভিন্ন এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে দোকানগুলো নিয়ে এসেছেন। মেলা বসানোর জায়গা না দিলে মেলা করা সম্ভব না। তবে এই মেলার জায়গা দিয়েছেন সুমন ও তাঁর ভাতিজা আকাশ।
মেলার আয়োজক সুমন হক বলেন, ‘মেলার অনুমোদনের জন্য আবেদন করা হয়েছে। আবেদনের কপিটি থানায় জমা দিয়ে অবগত করা হয়েছে। এখনো জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মেলার অনুমতি পাইনি।’ অনুমতি ছাড়া মেলা কীভাবে হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি দেখা করতে অনুরোধ করেন।
কাঁচপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সেলিম হক রুমি বলেন, ‘এই অবৈধ মেলা বন্ধ করতে আমি নিজেই ইউএনও কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে অনুরোধ করেছি। আগামী সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এই মেলা বন্ধ হওয়া উচিত।’
সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রাশেদুল হাসান খান বলেন, মেলার অনুমোদন দেওয়া হয়নি। আয়োজকদের ডেকে মেলা বসানোর বিষয়ে নিষেধ করা হয়েছে। মেলা বসানোর চেষ্টা করা হলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসিফ আল জিনাত বলেন, ‘মেলা বসানোর বিষয়ে কোনো অনুমতি দেওয়া হয়নি। আগামী সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনো প্রকার জমায়েত করার সুযোগ নেই। অবৈধ মেলা উচ্ছেদ করা হবে।’

এ যেন নদী সেচে নদীতেই জল ঢালা—কথাগুলো বলছিলেন নদী খাল বাঁচাও আন্দোলনের বরিশাল কমিটির সদস্যসচিব কাজী এনায়েত হোসেন শিবলু। বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে চলমান ড্রেজিংকে দায়সারা আখ্যা দিয়ে তিনি এ কথা বলেন। কাজী এনায়েত হোসেন শিবলু বলেন,
১৪ ডিসেম্বর ২০২২
গুলিবিদ্ধ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থার এখনো দৃশ্যমান কোনো উন্নতি হয়নি বলে জানিয়েছেন তাঁর চিকিৎসায় গঠিত মাল্টিডিসিপ্লিনারি মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা।
১ ঘণ্টা আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, যাত্রীবাহী লঞ্চের সঙ্গে বাল্কহেডের সংঘর্ষ হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে বাল্কহেডটি নদীতে ডুবে যায়। ভিডিওতে দেখা যায়, বাল্কহেডে থাকা স্টাফরা নদীতে লাফ দিয়ে বাঁচার চেষ্টা করছেন।
১ ঘণ্টা আগে
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় প্রাইভেট কার থামিয়ে দেশীয় অস্ত্রধারী ডাকাতেরা নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে। শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার মোকারিমপুর ইউনিয়নের মনিপার্ক এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

গুলিবিদ্ধ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থার এখনো দৃশ্যমান কোনো উন্নতি হয়নি বলে জানিয়েছেন তাঁর চিকিৎসায় গঠিত মাল্টিডিসিপ্লিনারি মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা।
এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, তাঁর মস্তিষ্কের অবস্থা ‘খুবই খারাপ’ এবং ক্লিনিক্যালি তিনি আগের মতোই অত্যন্ত আশঙ্কাজনক পর্যায়ে রয়েছেন। এই অবস্থায় তাঁকে বিদেশে পাঠানোর পরিকল্পনাও চলছে বলে জানিয়েছেন বোর্ডের এক সদস্য।
আজ রোববার সকালে মেডিকেল বোর্ডের জরুরি বৈঠক শেষে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বোর্ডের এক চিকিৎসক এসব তথ্য জানান।
ওই চিকিৎসক বলেন, ‘ওসমান হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। মেডিকেল বোর্ডের পক্ষ থেকে একটি কেস সামারি প্রস্তুত করে দেওয়া হয়েছে। বিদেশের কোনো হাসপাতাল সেই কেস সামারি পর্যালোচনা করে রোগীকে গ্রহণ করলে তবেই বিদেশে নেওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় আসবে।’
হাদির চিকিৎসায় যুক্ত ওই চিকিৎসক আরও জানান, ‘আজ সকালে মেডিকেল বোর্ডের বৈঠকের আগেই হাদির সিটি স্ক্যান করা হয়েছে। পুনরায় সিটি স্ক্যানে মস্তিষ্কে ব্যাপক ইডেমা (পানি জমা) ও অক্সিজেনের ঘাটতির প্রমাণ পাওয়া গেছে, যা ব্রেনের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। মস্তিষ্কের কিছু অংশে ছিটেফোঁটা রক্ত জমাট বাঁধার লক্ষণও পাওয়া গেছে। সর্বশেষ সিটি স্ক্যান অনুযায়ী হাদির মস্তিষ্কের অবস্থা জটিল। ফুসফুসের অবস্থা আগের মতোই রয়েছে। বর্তমানে লাইফ সাপোর্টের মাধ্যমে হাদির শ্বাসপ্রশ্বাস চালু রাখা হয়েছে। তবে তাঁর কিডনির কার্যকারিতা স্বাভাবিক রয়েছে। দিনে প্রায় ৪ লিটার ইউরিন আউটপুটের ভিত্তিতে ফ্লুইড ব্যালেন্স করা হচ্ছে।’
এর আগে রক্ত জমাট বাঁধা ও রক্তক্ষরণের ভারসাম্যহীনতা থেকে যে ডিসেমিনেটেড ইনট্রাভাসকুলার কোয়াগুলেশন (ডিআইসি) দেখা দিয়েছিল, সেটির অবস্থাও বর্তমানে অপরিবর্তিত রয়েছে এবং নতুন করে কোনো সংকট তৈরি হয়নি বলে জানান চিকিৎসক।
তাঁর মতে, বড় উদ্বেগ মস্তিষ্ক নিয়ে। ব্রেন স্টেম ইনজুরি এখনো গুরুতর অবস্থায় রয়েছে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ওসমান হাদিকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। পরে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচারের পর সন্ধ্যার দিকে হাদিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন।

গুলিবিদ্ধ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থার এখনো দৃশ্যমান কোনো উন্নতি হয়নি বলে জানিয়েছেন তাঁর চিকিৎসায় গঠিত মাল্টিডিসিপ্লিনারি মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা।
এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, তাঁর মস্তিষ্কের অবস্থা ‘খুবই খারাপ’ এবং ক্লিনিক্যালি তিনি আগের মতোই অত্যন্ত আশঙ্কাজনক পর্যায়ে রয়েছেন। এই অবস্থায় তাঁকে বিদেশে পাঠানোর পরিকল্পনাও চলছে বলে জানিয়েছেন বোর্ডের এক সদস্য।
আজ রোববার সকালে মেডিকেল বোর্ডের জরুরি বৈঠক শেষে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বোর্ডের এক চিকিৎসক এসব তথ্য জানান।
ওই চিকিৎসক বলেন, ‘ওসমান হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। মেডিকেল বোর্ডের পক্ষ থেকে একটি কেস সামারি প্রস্তুত করে দেওয়া হয়েছে। বিদেশের কোনো হাসপাতাল সেই কেস সামারি পর্যালোচনা করে রোগীকে গ্রহণ করলে তবেই বিদেশে নেওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় আসবে।’
হাদির চিকিৎসায় যুক্ত ওই চিকিৎসক আরও জানান, ‘আজ সকালে মেডিকেল বোর্ডের বৈঠকের আগেই হাদির সিটি স্ক্যান করা হয়েছে। পুনরায় সিটি স্ক্যানে মস্তিষ্কে ব্যাপক ইডেমা (পানি জমা) ও অক্সিজেনের ঘাটতির প্রমাণ পাওয়া গেছে, যা ব্রেনের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। মস্তিষ্কের কিছু অংশে ছিটেফোঁটা রক্ত জমাট বাঁধার লক্ষণও পাওয়া গেছে। সর্বশেষ সিটি স্ক্যান অনুযায়ী হাদির মস্তিষ্কের অবস্থা জটিল। ফুসফুসের অবস্থা আগের মতোই রয়েছে। বর্তমানে লাইফ সাপোর্টের মাধ্যমে হাদির শ্বাসপ্রশ্বাস চালু রাখা হয়েছে। তবে তাঁর কিডনির কার্যকারিতা স্বাভাবিক রয়েছে। দিনে প্রায় ৪ লিটার ইউরিন আউটপুটের ভিত্তিতে ফ্লুইড ব্যালেন্স করা হচ্ছে।’
এর আগে রক্ত জমাট বাঁধা ও রক্তক্ষরণের ভারসাম্যহীনতা থেকে যে ডিসেমিনেটেড ইনট্রাভাসকুলার কোয়াগুলেশন (ডিআইসি) দেখা দিয়েছিল, সেটির অবস্থাও বর্তমানে অপরিবর্তিত রয়েছে এবং নতুন করে কোনো সংকট তৈরি হয়নি বলে জানান চিকিৎসক।
তাঁর মতে, বড় উদ্বেগ মস্তিষ্ক নিয়ে। ব্রেন স্টেম ইনজুরি এখনো গুরুতর অবস্থায় রয়েছে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ওসমান হাদিকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। পরে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচারের পর সন্ধ্যার দিকে হাদিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন।

এ যেন নদী সেচে নদীতেই জল ঢালা—কথাগুলো বলছিলেন নদী খাল বাঁচাও আন্দোলনের বরিশাল কমিটির সদস্যসচিব কাজী এনায়েত হোসেন শিবলু। বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে চলমান ড্রেজিংকে দায়সারা আখ্যা দিয়ে তিনি এ কথা বলেন। কাজী এনায়েত হোসেন শিবলু বলেন,
১৪ ডিসেম্বর ২০২২
মেলার আয়োজক সুমন হক বলেন, ‘মেলার অনুমোদনের জন্য আবেদন করা হয়েছে। আবেদনের কপিটি থানায় জমা দিয়ে অবগত করা হয়েছে। এখনো জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মেলার অনুমতি পাইনি।’ অনুমতি ছাড়া মেলা কীভাবে হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি দেখা করতে অনুরোধ করেন।
৪ মিনিট আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, যাত্রীবাহী লঞ্চের সঙ্গে বাল্কহেডের সংঘর্ষ হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে বাল্কহেডটি নদীতে ডুবে যায়। ভিডিওতে দেখা যায়, বাল্কহেডে থাকা স্টাফরা নদীতে লাফ দিয়ে বাঁচার চেষ্টা করছেন।
১ ঘণ্টা আগে
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় প্রাইভেট কার থামিয়ে দেশীয় অস্ত্রধারী ডাকাতেরা নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে। শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার মোকারিমপুর ইউনিয়নের মনিপার্ক এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

ফতুল্লার বুড়িগঙ্গা নদীতে রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় যাত্রীবাহী লঞ্চের ধাক্কায় একটি বাল্কহেড ডুবে গেছে। নৌ পুলিশ এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, যাত্রীবাহী লঞ্চের সঙ্গে বাল্কহেডের সংঘর্ষ হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে বাল্কহেডটি নদীতে ডুবে যায়। ভিডিওতে দেখা যায়, বাল্কহেডে থাকা স্টাফরা নদীতে লাফ দিয়ে বাঁচার চেষ্টা করছেন।
নৌ পুলিশের উপপরিদর্শক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, সদরঘাট থেকে ভোলাগামী ‘বোগদাদীয়া-১৩’ লঞ্চটি ফতুল্লার বুড়িগঙ্গা অংশে পৌঁছালে একটি বালুবাহী বাল্কহেডের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে বাল্কহেডটি ডুবে যায়। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ধাক্কা দেওয়া লঞ্চটিকে পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
প্রতক্ষ্যদর্শী শেখ সাদ্দাম বলেন, ‘নদীপারাপারের সময় দুর্ঘটনাটি দেখেছি। সঙ্গে সঙ্গে আমার মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করেছি।’

ফতুল্লার বুড়িগঙ্গা নদীতে রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় যাত্রীবাহী লঞ্চের ধাক্কায় একটি বাল্কহেড ডুবে গেছে। নৌ পুলিশ এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, যাত্রীবাহী লঞ্চের সঙ্গে বাল্কহেডের সংঘর্ষ হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে বাল্কহেডটি নদীতে ডুবে যায়। ভিডিওতে দেখা যায়, বাল্কহেডে থাকা স্টাফরা নদীতে লাফ দিয়ে বাঁচার চেষ্টা করছেন।
নৌ পুলিশের উপপরিদর্শক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, সদরঘাট থেকে ভোলাগামী ‘বোগদাদীয়া-১৩’ লঞ্চটি ফতুল্লার বুড়িগঙ্গা অংশে পৌঁছালে একটি বালুবাহী বাল্কহেডের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে বাল্কহেডটি ডুবে যায়। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ধাক্কা দেওয়া লঞ্চটিকে পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
প্রতক্ষ্যদর্শী শেখ সাদ্দাম বলেন, ‘নদীপারাপারের সময় দুর্ঘটনাটি দেখেছি। সঙ্গে সঙ্গে আমার মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করেছি।’

এ যেন নদী সেচে নদীতেই জল ঢালা—কথাগুলো বলছিলেন নদী খাল বাঁচাও আন্দোলনের বরিশাল কমিটির সদস্যসচিব কাজী এনায়েত হোসেন শিবলু। বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে চলমান ড্রেজিংকে দায়সারা আখ্যা দিয়ে তিনি এ কথা বলেন। কাজী এনায়েত হোসেন শিবলু বলেন,
১৪ ডিসেম্বর ২০২২
মেলার আয়োজক সুমন হক বলেন, ‘মেলার অনুমোদনের জন্য আবেদন করা হয়েছে। আবেদনের কপিটি থানায় জমা দিয়ে অবগত করা হয়েছে। এখনো জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মেলার অনুমতি পাইনি।’ অনুমতি ছাড়া মেলা কীভাবে হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি দেখা করতে অনুরোধ করেন।
৪ মিনিট আগে
গুলিবিদ্ধ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থার এখনো দৃশ্যমান কোনো উন্নতি হয়নি বলে জানিয়েছেন তাঁর চিকিৎসায় গঠিত মাল্টিডিসিপ্লিনারি মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা।
১ ঘণ্টা আগে
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় প্রাইভেট কার থামিয়ে দেশীয় অস্ত্রধারী ডাকাতেরা নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে। শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার মোকারিমপুর ইউনিয়নের মনিপার্ক এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেকুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় প্রাইভেট কার থামিয়ে দেশীয় অস্ত্রধারী ডাকাতেরা নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে। শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার মোকারিমপুর ইউনিয়নের মনিপার্ক এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
প্রাইভেট কারটির মালিক শিমুল জানান, পার্শ্ববর্তী ঈশ্বরদী থেকে রাতে গাড়ির জ্বালানি গ্যাস নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে মনিপার্ক এলাকায় পৌঁছালে কয়েকজন ডাকাত গাড়িটি লক্ষ্য করে তাড়া করে। অস্ত্রের মুখে তারা গাড়িতে থাকা ৩২ হাজার ৮০০ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ সময় চালক হিমেলকে মারধর করা হয়।
ডাকাতির ঘটনা প্রাইভেট কারে থাকা বাপ্পি নামের এক যাত্রী ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেন। ভিডিওটি মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। শিমুল জানিয়েছেন, এই ঘটনায় ভেড়ামারা থানায় লিখিত অভিযোগ ও মামলা করা হবে।
ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুর রহমান বলেন, থানায় এখনো কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় প্রাইভেট কার থামিয়ে দেশীয় অস্ত্রধারী ডাকাতেরা নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে। শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার মোকারিমপুর ইউনিয়নের মনিপার্ক এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
প্রাইভেট কারটির মালিক শিমুল জানান, পার্শ্ববর্তী ঈশ্বরদী থেকে রাতে গাড়ির জ্বালানি গ্যাস নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে মনিপার্ক এলাকায় পৌঁছালে কয়েকজন ডাকাত গাড়িটি লক্ষ্য করে তাড়া করে। অস্ত্রের মুখে তারা গাড়িতে থাকা ৩২ হাজার ৮০০ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ সময় চালক হিমেলকে মারধর করা হয়।
ডাকাতির ঘটনা প্রাইভেট কারে থাকা বাপ্পি নামের এক যাত্রী ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেন। ভিডিওটি মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। শিমুল জানিয়েছেন, এই ঘটনায় ভেড়ামারা থানায় লিখিত অভিযোগ ও মামলা করা হবে।
ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুর রহমান বলেন, থানায় এখনো কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ যেন নদী সেচে নদীতেই জল ঢালা—কথাগুলো বলছিলেন নদী খাল বাঁচাও আন্দোলনের বরিশাল কমিটির সদস্যসচিব কাজী এনায়েত হোসেন শিবলু। বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে চলমান ড্রেজিংকে দায়সারা আখ্যা দিয়ে তিনি এ কথা বলেন। কাজী এনায়েত হোসেন শিবলু বলেন,
১৪ ডিসেম্বর ২০২২
মেলার আয়োজক সুমন হক বলেন, ‘মেলার অনুমোদনের জন্য আবেদন করা হয়েছে। আবেদনের কপিটি থানায় জমা দিয়ে অবগত করা হয়েছে। এখনো জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মেলার অনুমতি পাইনি।’ অনুমতি ছাড়া মেলা কীভাবে হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি দেখা করতে অনুরোধ করেন।
৪ মিনিট আগে
গুলিবিদ্ধ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থার এখনো দৃশ্যমান কোনো উন্নতি হয়নি বলে জানিয়েছেন তাঁর চিকিৎসায় গঠিত মাল্টিডিসিপ্লিনারি মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা।
১ ঘণ্টা আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, যাত্রীবাহী লঞ্চের সঙ্গে বাল্কহেডের সংঘর্ষ হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে বাল্কহেডটি নদীতে ডুবে যায়। ভিডিওতে দেখা যায়, বাল্কহেডে থাকা স্টাফরা নদীতে লাফ দিয়ে বাঁচার চেষ্টা করছেন।
১ ঘণ্টা আগে