নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) আজ শুক্রবার শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে আলোচিত সিন্ডিকেট সভা কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই তড়িঘড়ি শেষ করে দেওয়া হয়েছে। সভা ঠেকাতে বিকেলে সভাস্থল উপাচার্য (ভিসি) শুচিতা শরমিনের বাসভবনের ফটক ভেঙে ভেতরে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা।
তাঁদের অভিযোগ, উপাচার্য শুচিতা আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসন করতে পাতানো সিন্ডিকেট সভা ডেকে নিজের কোরাম ভারী করার পাঁয়তারা করছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আন্দোলনকারীরা ভিসির বাসভবনের সামনে দুপুর থেকে প্রায় দুই ঘণ্টা অবস্থান নিয়ে আওয়ামী ফ্যাসিস্টবিরোধী স্লোগান দেন। বেলা সোয়া ৩টার দিকে তাঁরা বাসভবনের ফটক ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন।
এদিকে, শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে সভাস্থল গিয়েও সভা বয়কট করে চলে যান সহ-উপাচার্য গোলাম রব্বানী, কোষাধ্যক্ষ মামুন অর রশিদ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র অধ্যাপক মো. মুহসিন উদ্দীন। পরে সিন্ডিকেটের ১৭ সদস্যের মধ্যে আটজন সশরীরে এবং অনলাইনে সভায় অংশ নেন। তবে কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই তা শেষ হয়।
সভায় অংশ না নেওয়া প্রসঙ্গে গোলাম রব্বানী বলেন, ‘সভার অ্যাজেন্ডা আমরা পাইনি। তা ছাড়া ক্যাম্পাসে গিয়ে ছাত্রদের আন্দোলনের কারণে সভায় অংশগ্রহণের পরিস্থিতি ছিল না। তাই সভা বয়কট করেছি।’
সভার একটি সূত্র জানিয়েছে, সভায় কম সদস্যের অংশ গ্রহণ এবং সভাস্থলের বাইরে আন্দোলন চলার কারণে পরিস্থিতি প্রতিকূল বিবেচনায় কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই ছয় মাস পর ডাকা এ সভা তড়িঘড়ি শেষ করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে উপাচার্য শুচিতাকে ফোন দেওয়া হলে তিনি রিসিভ করেননি। তবে গতকাল বৃহস্পতিবার উপাচার্য সাংবাদিকদের বলেন, ‘যাঁরা পতিত স্বৈরাচারের ভাবনাকে এখনো লালন করেন, তাঁরা ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছেন।’
এর আগে সিন্ডিকেট সভাকে কেন্দ্র করে গতকাল উপাচার্যের বাসভবন ও কার্যালয়ে তালা দেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাঁরা বাসভবনের ভেতরেই সহকারী প্রক্টর মারুফা আক্তারের সঙ্গে কয়েক দফায় বাগ্বিতণ্ডায় জড়ান।
শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগকে বিশেষ ও ক্যাম্পাসে অবাধ বিচরণের সুবিধা দেওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের বাধা উপেক্ষা করে জরুরি সিন্ডিকেট সভা আহ্বান করেছেন উপাচার্য। এ ক্ষেত্রে তিনি আওয়ামী দোসরদের সঙ্গে নিয়েছেন। সাধারণ শিক্ষার্থীরা এ সভা প্রত্যাখ্যান করছেন এবং তা বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছেন।
আন্দোলনকারী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের দোসরেরা ক্যাম্পাসে অবাধে বিচরণ করছে। যারা জুলাইয়ের অভ্যুত্থানে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছিল তাদের যথাযথ বিচার নিশ্চিত করতে হবে। উপাচার্যের দায়িত্ব ছিল ক্যাম্পাসকে ফ্যাসিস্টমুক্ত করা কিন্তু তিনি তা করেননি। এমনকি শিক্ষার্থীদের কোনো চাওয়াই পূরণ করতে পারেননি। বরং উপাচার্য আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের বহাল রেখেছে।’
আরেক শিক্ষার্থী শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের ১০ দফা দাবি মেনে না নিলে ও সঠিক ব্যাখ্যা না দিলে আমরা এক দফা দাবিতে যেতে বাধ্য হব। আগামী রোববার থেকে আমরা কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলব।’
আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা নানা দাবি তুলে ধরেন। এর মধ্যে আছে রেজিস্ট্রারের মেয়াদ শেষ হওয়ায় তাঁকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ করতে হবে। অভ্যন্তরীণ শিক্ষকদের প্রতিনিধি করে এরপর সিন্ডিকেট সভা আহ্বান করতে হবে। মেয়াদ শেষ না হওয়ায় বাতিল করা দুই শিক্ষককে সিন্ডিকেট সদস্য হিসেবে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা। ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে রোডম্যাপ দিতে হবে। সিন্ডিকেটে ছাত্র প্রতিনিধি রাখার বিধান রাখতে হবে। সিন্ডিকেটের আলোচ্য বিষয় সাংবাদিকদের কাছে উন্মুক্ত করতে হবে।
আরও দাবি করা হয় অবকাঠামো উন্নয়নে নিয়োগ পাওয়ার পর উপাচার্যের পদক্ষেপ শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রমাণ সাপেক্ষে উপস্থাপন করতে হবে। অবকাঠামো উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টার কাছে দ্রুত সময়ের মধ্যে চিঠি পাঠাতে হবে। স্বৈরাচারের দোসরদের সঙ্গে সখ্যর কারণ স্পষ্ট করে শিক্ষার্থীদের সামনে তুলে ধরে ক্ষমা চাইতে হবে। গত প্রশাসনে বিভিন্ন প্রশাসনিক পদে যাঁরা ছিলেন তাঁদের নতুন পদ বণ্টন করা যাবে না।
এ ছাড়া যেসব শিক্ষক সরাসরি ছাত্র আন্দোলনের বিরোধিতা করে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেওয়া বিভিন্ন ফির জবাবদিহি নিশ্চিত, দারিদ্র্য শিক্ষার্থীদের জন্য মেধার ভিত্তিতে বৃত্তি এবং নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কর্মীদের তাড়াতাড়ি বিচারের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) আজ শুক্রবার শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে আলোচিত সিন্ডিকেট সভা কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই তড়িঘড়ি শেষ করে দেওয়া হয়েছে। সভা ঠেকাতে বিকেলে সভাস্থল উপাচার্য (ভিসি) শুচিতা শরমিনের বাসভবনের ফটক ভেঙে ভেতরে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা।
তাঁদের অভিযোগ, উপাচার্য শুচিতা আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসন করতে পাতানো সিন্ডিকেট সভা ডেকে নিজের কোরাম ভারী করার পাঁয়তারা করছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আন্দোলনকারীরা ভিসির বাসভবনের সামনে দুপুর থেকে প্রায় দুই ঘণ্টা অবস্থান নিয়ে আওয়ামী ফ্যাসিস্টবিরোধী স্লোগান দেন। বেলা সোয়া ৩টার দিকে তাঁরা বাসভবনের ফটক ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন।
এদিকে, শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে সভাস্থল গিয়েও সভা বয়কট করে চলে যান সহ-উপাচার্য গোলাম রব্বানী, কোষাধ্যক্ষ মামুন অর রশিদ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র অধ্যাপক মো. মুহসিন উদ্দীন। পরে সিন্ডিকেটের ১৭ সদস্যের মধ্যে আটজন সশরীরে এবং অনলাইনে সভায় অংশ নেন। তবে কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই তা শেষ হয়।
সভায় অংশ না নেওয়া প্রসঙ্গে গোলাম রব্বানী বলেন, ‘সভার অ্যাজেন্ডা আমরা পাইনি। তা ছাড়া ক্যাম্পাসে গিয়ে ছাত্রদের আন্দোলনের কারণে সভায় অংশগ্রহণের পরিস্থিতি ছিল না। তাই সভা বয়কট করেছি।’
সভার একটি সূত্র জানিয়েছে, সভায় কম সদস্যের অংশ গ্রহণ এবং সভাস্থলের বাইরে আন্দোলন চলার কারণে পরিস্থিতি প্রতিকূল বিবেচনায় কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই ছয় মাস পর ডাকা এ সভা তড়িঘড়ি শেষ করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে উপাচার্য শুচিতাকে ফোন দেওয়া হলে তিনি রিসিভ করেননি। তবে গতকাল বৃহস্পতিবার উপাচার্য সাংবাদিকদের বলেন, ‘যাঁরা পতিত স্বৈরাচারের ভাবনাকে এখনো লালন করেন, তাঁরা ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছেন।’
এর আগে সিন্ডিকেট সভাকে কেন্দ্র করে গতকাল উপাচার্যের বাসভবন ও কার্যালয়ে তালা দেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাঁরা বাসভবনের ভেতরেই সহকারী প্রক্টর মারুফা আক্তারের সঙ্গে কয়েক দফায় বাগ্বিতণ্ডায় জড়ান।
শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগকে বিশেষ ও ক্যাম্পাসে অবাধ বিচরণের সুবিধা দেওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের বাধা উপেক্ষা করে জরুরি সিন্ডিকেট সভা আহ্বান করেছেন উপাচার্য। এ ক্ষেত্রে তিনি আওয়ামী দোসরদের সঙ্গে নিয়েছেন। সাধারণ শিক্ষার্থীরা এ সভা প্রত্যাখ্যান করছেন এবং তা বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছেন।
আন্দোলনকারী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের দোসরেরা ক্যাম্পাসে অবাধে বিচরণ করছে। যারা জুলাইয়ের অভ্যুত্থানে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছিল তাদের যথাযথ বিচার নিশ্চিত করতে হবে। উপাচার্যের দায়িত্ব ছিল ক্যাম্পাসকে ফ্যাসিস্টমুক্ত করা কিন্তু তিনি তা করেননি। এমনকি শিক্ষার্থীদের কোনো চাওয়াই পূরণ করতে পারেননি। বরং উপাচার্য আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের বহাল রেখেছে।’
আরেক শিক্ষার্থী শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের ১০ দফা দাবি মেনে না নিলে ও সঠিক ব্যাখ্যা না দিলে আমরা এক দফা দাবিতে যেতে বাধ্য হব। আগামী রোববার থেকে আমরা কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলব।’
আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা নানা দাবি তুলে ধরেন। এর মধ্যে আছে রেজিস্ট্রারের মেয়াদ শেষ হওয়ায় তাঁকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ করতে হবে। অভ্যন্তরীণ শিক্ষকদের প্রতিনিধি করে এরপর সিন্ডিকেট সভা আহ্বান করতে হবে। মেয়াদ শেষ না হওয়ায় বাতিল করা দুই শিক্ষককে সিন্ডিকেট সদস্য হিসেবে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা। ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে রোডম্যাপ দিতে হবে। সিন্ডিকেটে ছাত্র প্রতিনিধি রাখার বিধান রাখতে হবে। সিন্ডিকেটের আলোচ্য বিষয় সাংবাদিকদের কাছে উন্মুক্ত করতে হবে।
আরও দাবি করা হয় অবকাঠামো উন্নয়নে নিয়োগ পাওয়ার পর উপাচার্যের পদক্ষেপ শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রমাণ সাপেক্ষে উপস্থাপন করতে হবে। অবকাঠামো উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টার কাছে দ্রুত সময়ের মধ্যে চিঠি পাঠাতে হবে। স্বৈরাচারের দোসরদের সঙ্গে সখ্যর কারণ স্পষ্ট করে শিক্ষার্থীদের সামনে তুলে ধরে ক্ষমা চাইতে হবে। গত প্রশাসনে বিভিন্ন প্রশাসনিক পদে যাঁরা ছিলেন তাঁদের নতুন পদ বণ্টন করা যাবে না।
এ ছাড়া যেসব শিক্ষক সরাসরি ছাত্র আন্দোলনের বিরোধিতা করে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেওয়া বিভিন্ন ফির জবাবদিহি নিশ্চিত, দারিদ্র্য শিক্ষার্থীদের জন্য মেধার ভিত্তিতে বৃত্তি এবং নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কর্মীদের তাড়াতাড়ি বিচারের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) নানা উন্নয়নকাজ একটি সংঘবদ্ধ চক্র (সিন্ডিকেট) দখল করে নিচ্ছে। পদ না থাকলেও বিএনপি নামধারী কয়েক নেতা করপোরেশনের লাখ লাখ টাকার কাজগুলো করেছে বলে অভিযোগ করেছে। এ নিয়ে গত মঙ্গলবারও দুই পক্ষে হাতাহাতি হয়েছে।
২০ মিনিট আগেসুনামগঞ্জে হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণকাজের নির্ধারিত সময়সীমা গতকাল শেষ হয়েছে। তবে কাজ শেষ করতে পারেনি পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। পাউবোর দাবি, জেলায় বাঁধের কাজ গড়ে ৮৮ শতাংশ শেষ হয়েছে। বাকি কাজ শেষ করতে আরও সাত
২১ মিনিট আগেইজমা শোভা জর্দা কোম্পানি। দেশি এই জর্দা কোম্পানির মালিক মঞ্জু মিয়া। তিনি জেলার কয়েকজন প্রভাবশালী নেতার ঘনিষ্ঠজন। ২০২৩ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মঞ্জু মিয়া করিমগঞ্জ উপজেলার জাফরাবাদ ও কাদির জঙ্গল ইউনিয়নের মধ্যবর্তী দেওয়ানগঞ্জ বাজার সেতুর পশ্চিমে নরসুন্দা নদীর মূল গতিপথের
২৭ মিনিট আগেশুরুর মতো এবারের বইমেলার শেষ দিনটিও ছিল সাপ্তাহিক ছুটির দিন। গতকাল শুক্রবার তাই সকাল থেকে আসতে শুরু করেন দর্শনার্থীরা। শিশুপ্রহরে বাচ্চাদের দল এসেছিল পরিবারের সঙ্গে। ক্রমে বেলা বাড়তেই বড়দের ভিড় লেগে যায়। এক বছরের জন্য বিদায় নিচ্ছে বইমেলা, তাই ভিড় ছিল শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত।
৩১ মিনিট আগে