Ajker Patrika

বরিশালে নাশতার বিল নিয়ে ঝগড়ার জেরে পুলিশ–ব্যবসায়ী–কর্মচারী সংঘর্ষ

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
আপডেট : ১০ জানুয়ারি ২০২৩, ১৯: ২৭
Thumbnail image

বরিশাল শহরের লঞ্চঘাট এলাকায় খাবারের বিল বেশি চাওয়াকে কেন্দ্র করে হোটেল কর্মচারী ও গ্রাহকের মধ্যে ঝগড়ার জেরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি সামলাতে এলে পুলিশের সঙ্গেও স্থানীয় ব্যবসায়ী ও কর্মচারীদের সংঘর্ষ হয়। এতে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন স্থানীয়দেরও কয়েকজন।

আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে এই সংঘর্ষ হয়। এতে আহত তিনজন স্থানীয় হলেন—হেলাল (৪৫), মিজানুর রহমান (৩০) ও জামাল উদ্দিন। 

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, লঞ্চঘাট এলাকায় অবস্থিত হাজী মোহাম্মদ মহসীন হকার্স মার্কেটের কর্মচারী সৌরভ ঢালী আজ সকালে মার্কেটসংলগ্ন ঘোষ মিষ্টান্ন ভান্ডারে নাশতা করতে যান। নাশতা শেষে বিল পরিশোধের সময় ১০ টাকা বেশি চাওয়া নিয়ে দোকানমালিক স্বপন ঘোষ ও সৌরভ ঢালীর মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে কর্মচারীদের নিয়ে সৌরভ ঢালীকে বেধড়ক মারধর করেন স্বপন ঘোষ। সৌরভ আলী রক্তাক্ত জখম হন।

খবর পেয়ে মহসিন মার্কেট থেকে ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা সংঘবদ্ধ হয়ে ঘোষ মিষ্টান্ন ভান্ডারে হামলা ও ভাঙচুর চালান। পরে কোতোয়ালি থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দিতে স্বপন ঘোষকে আটক করে থানায় নিয়ে যেতে উদ্যত হলে বিক্ষুব্ধ জনতা বাধা দেয়। স্বপনকে তাদের হাতে ছেড়ে দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা।

পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করলে কয়েকজন বিক্ষোভকারী আহত হন। এ সময় বিক্ষোভকারীরাও পাল্টা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে পুলিশের কয়েকজন সদস্য আহত হন।

বিক্ষুব্ধরা কোতোয়ালি থানা সংলগ্ন সড়কে অবস্থান নিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়পুলিশের লাঠিচার্জের পর বিক্ষুব্ধরা কোতোয়ালি থানাসংলগ্ন সড়কে অবস্থান নিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়। বেলা তিনটার দিকে বরিশাল মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (দক্ষিণ) ফজলুল করীম ঘটনাস্থলে আসেন। তিনি এ ঘটনার জন্য দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আশ্বাস দিয়ে বিক্ষোভকারীদের শান্ত করার চেষ্টা করেন। পরে তারা অবরোধ তুলে নেয়।

বরিশাল মহানগর পুলিশের (বিএমপি) অতিরিক্ত উপকমিশনার (দক্ষিণ) ফজলুল করীম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ব্যবসায়ী স্বপন ঘোষকে উদ্ধার করতে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের হামলায় কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। পুরো ঘটনার তদন্ত হচ্ছে। খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

স্বপন ঘোষ বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। কর্মচারীরাও ভয়ে ঘোষ মিষ্টান্ন ভান্ডার বন্ধ করে পালিয়ে গেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত