Ajker Patrika

গৌরনদী পৌরসভা উপনির্বাচনে কেন্দ্রে আসতে বাধা, হামলায় আহত ১০

গৌরনদী (বরিশাল) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৬ জুন ২০২৪, ১৮: ৪২
গৌরনদী পৌরসভা উপনির্বাচনে কেন্দ্রে আসতে বাধা, হামলায় আহত ১০

বরিশালের গৌরনদী পৌরসভা মেয়র পদে উপনির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের আসতে বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। আজ বুধবার সকালে বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রের বাইরে এ ঘটনা ঘটে।

হামলায় আহতেরা হলেন গৌরনদী পৌর সভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও নারিকেলগাছ প্রতীকের সমর্থক মো. লিটন ব্যাপারী, গৌরনদী পৌরসভার সংরক্ষিত আসনের সাবেক কাউন্সিলর খায়রুন নাহার, সাত্তার মোল্লা (৭০), সুখমনি বেগম (২৯), ময়না বেগমকে (৩০), পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি মাসুম সরদার, সোহান খানসহ (২৫) ১০ জন। আহত দুজনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। 

নির্বাচনের প্রার্থী, আহতেরা জানান, গৌরনদী পৌরসভা মেয়র পদে উপনির্বাচনে আজ সকালে ভোট শুরুর আগে সকাল পৌনে ৮টার দিকে গৌরনদী পৌরসভার পালরদী, টরকী, হরিসোনা ও কাসেমাবাদ এলাকায় কেন্দ্রে থেকে ৫০০ থেকে ৭০০ গজ দূরে মোবাইল ফোন প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থকেরা ভোটারদের আসতে বাধা দেয়। এতে প্রতিবাদ করায় পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটে। এতে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়। 

গৌরনদী পৌর সভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও নারিকেলগাছ প্রতীকের সমর্থক মো. লিটন ব্যাপারী অভিযোগ করে বলেন, ‘সকাল ৮টার দিকে গৌরনদী উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও মোবাইল ফোন প্রতীকের সমর্থক মো. লুৎফর রহমান পালরদী মৎস্য খামার ভোটকেন্দ্রের সন্নিকটে দাসবাড়ি স্থানে ভোটারদের কেন্দ্রে আসতে বাধা দেয়। খবর পেয়ে আমি সেখানে গেলে লুৎফর কয়েকটি বোমা হামলা করে আমার ও আমার সমর্থকদের ওপর হামলা চালিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আমি, সাত্তার মোল্লাসহ পাঁচজনকে আহত করেছে।’

গৌরনদী পৌরসভার সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর খায়রুন নাহার অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা ভোটকেন্দ্রে আসার পথে বেলা ১১টার দিকে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান হামলা করে আমাকে, সুখমনি বেগম, ময়না বেগমকে পিটিয়ে আহত করেছে।’ 

লুৎফর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ সঠিক নয়। বোমা হামলার ঘটনা ঘটেনি। হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে, তবে তা-ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছেন।’ 

পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি মাসুম সরদার অভিযোগ করে বলেন, ‘কাসেমাবাদ হাই মার্কেট থেকে কয়েকজন সঙ্গী নিয়ে কাসেমাবাদ আলিয়া কামেল মাদ্রাসা ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার পথে কেন্দ্রে পূর্ব পাশে পৌঁছালে মোবাইল ফোন মার্কার প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জয়নাল আবেদীনের সমর্থক সোহান খানসহ ১০-১২ জন সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে আমাকে কুপিয়ে জখম করেছে।’ 

স্থানীয়রা জানান, এর জের ধরে মাসুম সরদারের সমর্থকেরা হামলা চালিয়ে সোহান খানকে কুপিয়ে জখম করেছেন। আহত মাসুম সরদার ও সোহান খানকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

হামলা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মাসুম সরদার ও সোহান খান একে অপরকে দায়ী করেন। 

গৌরনদী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মাজাহারুল ইসলাম বলেন, ‘ভোটকেন্দ্রের বাইরে কয়েকটি স্থানে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটেছে, কিন্তু ভোটকেন্দ্রে কোথায়ও ঘটনা ঘটেনি। এ ঘটনায় এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 

নারিকেলগাছ প্রতীকের প্রার্থী মো. আলাউদ্দিন ভূঁইয়া অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার ভোটারদের কেন্দ্রে যেতে বাধা দেওয়া হয়েছে। পথে পথে বোমা হামলা করে কুপিয়ে-পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। তবে সুষ্ঠু ভোট হয়েছে।’

অভিযোগের বিষয়ে মোবাইল ফোন প্রতীকের প্রার্থী এইচ এম জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘ফিশারিজ অফিসে কেন্দ্রে আমার এজেন্টেদের বের করে দেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া ভোট সুষ্ঠু হয়েছে। তিনি হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেন।’

ফিশারিজ ভোটকেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আবুল বাশার জয়নাল অবেদীনের বলেন, ‘কেন্দ্র মোবাইল ফোন প্রতীকের প্রার্থী জয়নাল সাহেব কোনো এজেন্ট দিতে পারেননি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

চকরিয়া থানার ওসিকে প্রত্যাহারের নির্দেশ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার

হোয়াইট হাউসে মধ্যাহ্নভোজের আগেই বের হয়ে যেতে বলা হয় জেলেনস্কিকে

‘আমাদের অনুমতি ছাড়া কাউকে গ্রেপ্তার করলে থানা ঘেরাও করব’, সরকারি কর্মকর্তার বক্তব্য ভাইরাল

সৈয়দ জামিলের অভিযোগের জবাবে যা লিখলেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা

বগুড়ায় ঘরে ঢুকে মা-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত