Ajker Patrika

আইনের ধারা লেখা সাইনবোর্ডের নিচেই অবৈধ স্থাপনা

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি 
সাইনবোর্ডের নিচেই অবৈধ স্থাপনা। ছবি: আজকের পত্রিকা
সাইনবোর্ডের নিচেই অবৈধ স্থাপনা। ছবি: আজকের পত্রিকা

মহাসড়ক আইনের ৯ (১১) ধারা অনুযায়ী মহাসড়কের উভয় পার্শ্বে ভূমির প্রান্তসীমা থেকে ১০ মিটারের মধ্যে কোনো স্থাপনা নির্মাণ করা দন্ডনীয় অপরাধ। এমন আইনের ধারা সম্বলিত লেখা সাইনবোর্ডের নিচেই নির্মাণ করা হয়েছে অবৈধ স্থাপনা।

পটুয়াখালী-কুয়াকাটা ৭১ কিলোমিটার মহাসড়কের পাশে এমন কয়েক হাজার অবৈধ স্থাপনা রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, সড়ক ও জনপথ বিভাগ এ সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না।

জানা গেছে, পটুয়াখালী-কুয়াকাটা ৭১ কিলোমিটার মহাসড়ক। এ মহাসড়কের উভয় পাশে সড়ক ও জনপথ বিভাগের ১০ মিটার করে ভূমি রয়েছে। এ সব ভূমি রক্ষায় সড়ক ও জনপথ বিভাগ ৭১ কিলোমিটার মহাসড়কের অন্তত দুই ডজন স্থানে ‘মহাসড়ক আইনের ৯ (১১) ধারা অনুযায়ী মহাসড়কের উভয় পাশে ভূমির প্রান্তসীমা হতে ১০ মিটারের মধ্যে কোনো স্থাপনা নির্মাণ করা দন্ডনীয় অপরাধ’ লেখা সাইনবোর্ড টানিয়েছে।

কিন্তু স্থানীয় প্রভাবশালীরা ওই সব ভূমি দখল করে বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে হাজার হাজার পাকা-আধা পাকা ও কাঁচা স্থাপনা নির্মাণ করেছে। অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা ওই জমি অধিক মূল্যে ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

গত ২০ বছর ধরে সড়কের পাশের ভূমি এমন ক্রয়-বিক্রয় চললেও সড়ক বিভাগ নীরব ভূমিকা পালন করছে বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের। এ জমি উদ্ধারের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। আরও অভিযোগ রয়েছে, সড়ক ও জনপথ বিভাগের একটি মহল ওই জমি ক্রয়-বিক্রয়ের সঙ্গে জড়িত। ফলে সড়কের পাশে অহরহ অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ হচ্ছে। এতে সড়কে দুর্ঘটনাসহ নানা সমস্যার দেখা দিচ্ছে।

সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কের ৭১ কিলোমিটারের শতাধিক স্ট্যান্ডে সড়ক ও জনপথ বিভাগের জমিতে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করেছে প্রভাবশালীরা। ওই স্থাপনায় তারা ব্যবসা করছেন।

বরগুনার আমতলী উপজেলার শাখারিয়া থেকে বান্দ্রা ৩৭ কিলোমিটার সড়কের শাখারিয়া, ব্রিকস ফিল্ড, কেওয়াবুনিয়া, মহিষকাটা, চুনাখালী, আমড়াগাছিয়া খানকা, ডাক্তারবাড়ী, ঘটখালী, তুলাতলী, একে স্কুল চৌরাস্তা, ছুরিকাটা, মানিকঝুড়ি, খুড়িয়ার খেয়াঘাট, খলিয়ান, কল্যাণপুর ও বান্দ্রাসহ অন্তত ৩০টি স্থানে প্রভাবশালীরা জমি দখল করে সহস্রাধিক অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করেছেন। অবৈধ স্থাপনার সাথেই সড়ক ও জনপথ বিভাগের আইনের সাইনবোর্ড টানানো আছে কিন্তু বাস্তবে তারা কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বান্দ্রা স্ট্যান্ডের কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, ‘গত ১৫ বছর ধরে স্থাপনা নির্মাণ করে ব্যবসা করছি। কেউ তো উচ্ছেদ করতে আসেনি।’ তারা আরও বলেন, ‘তৎকালীন আওয়ামী লীগ নেতাদের মাধ্যমে সড়ক ও জনপথ বিভাগের লোকজনকে ম্যানেজ করে স্থাপনা নির্মাণ করেছি।’

মহিষকাটা স্ট্যান্ডের আয়াত ডিজিটাল স্টুডিওর মালিক মিজানুর রহমান ও মৃধা হোটেলের মালিক জলিল মৃধা বলেন, ‘গত ২০ বছর ধরে মাসিক চুক্তিতে ঘর ভাড়া নিয়ে ব্যবসা করছি। কিন্তু মালিক কিভাবে সড়কের পাশে ঘর তুলেছেন তা আমাদের জানা নেই।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শাখারিয়া বাস স্ট্যান্ডের কয়েকজন বলেন, ‘এভাবে তো গত এক যুগ ধরে চলে আসছে। কেউ তো উচ্ছেদ করতে আসেনি। ভয় দেখাতে সড়ক ও জনপথ বিভাগের লোকজন আইনের ধারা লিখে সাইনবোর্ড টানিয়েছে।’ তারা আরও বলেন, ‘যখন যে দল ক্ষমতায় আসে তখন সেই দলের নেতাদের অনুমতি নিয়ে স্থাপনা নির্মাণ করতে হয়। সড়ক ও জনপথ বিভাগের মৌখিক অনুমতি নিয়েই স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। তাদের ম্যানেজ ছাড়া কিছুই হয়নি।’ তবে এই প্রভাবশালী কারা, নাম জানতে চাইলে স্থানীয়রা নাম প্রকাশে অপরগতা প্রকাশ করেন।

আমতলী পৌর শহরের হাসপাতাল সড়কের বাবুল হোসেন বলেন, ‘সড়ক ও জনপথ বিভাগের অনুমতি না নিয়েই স্থাপনা নির্মাণ করেছি। সরকারের প্রয়োজন হলে জমি ছেড়ে দেব।’

পটুয়াখালী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আতিক উল্যাহ বলেন, ‘মানুষকে সচেতন করতে আইনের ধারা লিখে সাইনবোর্ড টানানো হয়েছে, যাতে তারা সরকারী জমিতে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ না করেন। কিন্তু তারা সচেতন হয়নি। যারা সড়ক ও জনপথ বিভাগের জমিতে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করেছেন, তাদের ওই সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। ইতিমধ্যে বেশ কিছু অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। অবৈধ স্থাপনা নির্মাণে সড়ক ও জনপথ বিভাগের জড়িতের প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মেটার ডেটা সেন্টার হওয়ার পর শুকিয়ে যাচ্ছে স্থানীয়দের টিউবওয়েল

‘সুদে ১৭ লাখ নিয়ে ১৮ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছি, তবুও বাড়ি দখল’

১৬ ডিসেম্বরের পর পুরোনো ও নতুন মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশন হবে যেভাবে

ফজর নামাজ পড়ে বাসার ছাদে যান আওয়ামী লীগ নেতা, সিঁড়ির পাশে রক্তাক্ত লাশ

ভারতীয় নারী ক্রিকেটারের খেলা দেখে ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন মারুফা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জামালপুরে নদীতে ডুবে ভাই-বোনসহ ৩ শিশুর মৃত্যু, নিখোঁজ ২

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

জামালপুরের মাদারগঞ্জে নদীতে গোসলে নেমে ভাই-বোনসহ তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আরও দুই শিশু নিখোঁজ রয়েছে। শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সিধুলী ইউনিয়নের চর ভাটিয়ানি আমতলী এলাকার ঝিনাই নদীতে এ ঘটনা ঘটে।

জামালপুর ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার মো. রফিকুল ইসলাম ঘটনাটি নিশ্চিত করে জানান, তিন শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি দুই শিশুকে উদ্ধারে অভিযান চলছে।

মারা যাওয়া শিশুরা হলো—মাদারগঞ্জ উপজেলার সিধুলী ইউনিয়নের চর ভাটিয়ানি আমতলী এলাকার দুদু মিয়ার মেয়ে পলি আক্তার (১২) ও ছেলে আবু সাঈদ (৮), সরিষাবাড়ি উপজেলার বাউসি এলাকার নুর ইসলামের মেয়ে সাইবা আক্তার (৯)। পলি আক্তার ও আবু সাঈদ স্থানীয় একটি কিন্ডার গার্টেনের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।

এ ছাড়া, এ ঘটনায় চর ভাটিয়ানি আমতলী এলাকার আজাদ মিয়ার মেয়ে কুলসুম আক্তার (৮) ও আরও এক শিশু নিখোঁজ রয়েছে।

ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সরিষাবাড়ির সাইবা আক্তার ও তার ছোট ভাইসহ মাদারগঞ্জের চরভাটিয়ানী আমতলী এলাকায় নানির বাড়িতে বেড়াতে যায়। তারা দুইজন ও চর ভাটিয়ানি এলাকার কুলসুম আক্তার, পলি আক্তার, আবু সাইদ, ইয়াসিন ও আরও একজনসহ মোট ছয় শিশু ঝিনাই নদীতে গোসল করতে নামে। এক পর্যায়ে অন্যরা পানিতে ডুবে গেলে ইয়াসিন সাঁতার কেটে তীরে ওঠে। খবর পেয়ে জামালপুর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদল পলি আক্তার, আবু সাঈদ ও সায়েবার মরদেহ উদ্ধার করে।

সিধুলি ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আজাদ মিয়া বলেন, গোসল করতে নেমে তিন শিশু মারা গেছে। এদের মধ্যে দুই শিশু নানার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল।

মাদারগঞ্জ থানার ওসি সাইফুল্লাহ সাইফ বলেন, পাঁচজনের মধ্যে তিন শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ দুই শিশুকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। এক শিশুর পরিচয় পাওয়া যায়নি। ঘটনাস্থলে পুলিশ অবস্থান করছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মেটার ডেটা সেন্টার হওয়ার পর শুকিয়ে যাচ্ছে স্থানীয়দের টিউবওয়েল

‘সুদে ১৭ লাখ নিয়ে ১৮ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছি, তবুও বাড়ি দখল’

১৬ ডিসেম্বরের পর পুরোনো ও নতুন মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশন হবে যেভাবে

ফজর নামাজ পড়ে বাসার ছাদে যান আওয়ামী লীগ নেতা, সিঁড়ির পাশে রক্তাক্ত লাশ

ভারতীয় নারী ক্রিকেটারের খেলা দেখে ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন মারুফা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কোটি টাকার জুতা আত্মসাৎ, মালিকের ভাইসহ গ্রেপ্তার ৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
জুতা আত্মসাতের অভিযোগে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
জুতা আত্মসাতের অভিযোগে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

বরিশালে ফরচুন শুজ লিমিটেডের প্রায় এক কোটি টাকার জুতা আত্মসাতের অভিযোগে চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের আপন ছোট ভাইসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করা হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন কোম্পানির চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের ভাই রবিউল ইসলাম (৪০), কাভার্ড ভ্যানচালক রহমতপুর এলাকার জামাল হোসেন (২৮) এবং ঝিনাইদহ সদর উপজেলার শান্ত (২৫)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন।

ওসি ইসমাইল হোসেন জানান, ফরচুন শুজ লিমিটেডের সিনিয়র হিসাব কর্মকর্তা জাহিদ হাসান বাদী হয়ে গত ২৯ অক্টোবর কাউনিয়া থানায় মামলা করেন। মামলায় গ্রেপ্তার তিনজনসহ অজ্ঞাতনামা দুজনকে আসামি করা হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, তাঁরা প্রতারণার মাধ্যমে নেদারল্যান্ডসে রপ্তানির জন্য পাঠানো ১০ হাজার ৮১২ জোড়া জুতা আত্মসাৎ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যান। জুতাগুলোর বাজারমূল্য প্রায় এক কোটি টাকা।

এজাহারে বলা হয়, গত ২৭ অক্টোবর রাতে বরিশাল বিসিক শিল্প এলাকায় অবস্থিত ফরচুন শুজ লিমিটেড থেকে রপ্তানির উদ্দেশ্যে দুটি কাভার্ড ভ্যানে করে চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্দেশে জুতা পাঠানো হয়। রবিউল ইসলাম গাড়িগুলোর দায়িত্বে ছিলেন। তবে ২৮ অক্টোবর বন্দরে পৌঁছানোর কথা থাকলেও ট্রাক দুটি যায়নি। এর পর থেকে তাঁদের ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়।

ওসি ইসমাইল জানান, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের পরিদর্শক ছগীর হোসেনের নেতৃত্বে একটি দল চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড এলাকায় অভিযান চালায়। সেখানে জুতাবোঝাই কাভার্ড ভ্যান দুটি উদ্ধার এবং তিনজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। শুক্রবার সকালে তাঁদের বরিশালে আনা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মেটার ডেটা সেন্টার হওয়ার পর শুকিয়ে যাচ্ছে স্থানীয়দের টিউবওয়েল

‘সুদে ১৭ লাখ নিয়ে ১৮ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছি, তবুও বাড়ি দখল’

১৬ ডিসেম্বরের পর পুরোনো ও নতুন মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশন হবে যেভাবে

ফজর নামাজ পড়ে বাসার ছাদে যান আওয়ামী লীগ নেতা, সিঁড়ির পাশে রক্তাক্ত লাশ

ভারতীয় নারী ক্রিকেটারের খেলা দেখে ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন মারুফা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

তাবলিগে যাওয়া তরুণের প্রাণ গেল ডাকাতিয়া নদীতে ডুবে

চাঁদপুর প্রতিনিধি
ডুবে যাওয়া তরুণের লাশ উদ্ধার করে ফায়ার স্টেশনের ডুবুরি দল। ছবি: আজকের পত্রিকা
ডুবে যাওয়া তরুণের লাশ উদ্ধার করে ফায়ার স্টেশনের ডুবুরি দল। ছবি: আজকের পত্রিকা

চাঁদপুর সদরের বাগাদি ইউনিয়নের মমিনপুর এলাকায় ডাকাতিয়া নদীতে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে মো. প্রিন্স মাহমুদ (২০) নামের এক তরুণের মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুরে মমিনপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে বেলা দেড়টার দিকে ঘটনাস্থল এলাকা থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে চাঁদপুর নদী ফায়ার স্টেশনের ডুবুরি দল। রাতে চাঁদপুর নদী ফায়ার স্টেশন থেকে এসব তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

নিহত প্রিন্স মাহমুদ ঢাকার গেন্ডারিয়া এলাকার মো. রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি তাবলিগ জামায়াতের সঙ্গে ঘটনাস্থল এলাকায় গিয়েছিলেন।

চাঁদপুর নদী ফায়ার স্টেশনের স্টেশন অফিসার মো. রাকিবুল ইসলাম জানান, ওই তরুণ ডাকাতিয়া নদীতে গোসল করতে নেমে বেলা ১১টার দিকে নিখোঁজ হন। এরপর নৌ ফায়ার স্টেশন বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে সংবাদ পায় এবং বেলা ১টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ৩০ মিনিট চেষ্টা চালিয়ে বেলা দেড়টার দিকে ডুবুরি দল মরদেহ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।

মো. রাকিবুল ইসলাম আরও জানান, পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মরদেহ চাঁদপুর সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাদিরের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।

এ বিষয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বাহার মিয়া বলেন, খবর পেয়ে ওই তরুণের স্বজনেরা থানায় এসেছেন। মরদেহের সুরতহাল করা হয়েছে। পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া শেষে মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে।

চাঁদপুর সদর, বাগাদি ইউনিয়নের মমিনপুর, ডাকাতিয়া নদী, গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে মৃত্যু, লাশ উদ্ধার

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মেটার ডেটা সেন্টার হওয়ার পর শুকিয়ে যাচ্ছে স্থানীয়দের টিউবওয়েল

‘সুদে ১৭ লাখ নিয়ে ১৮ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছি, তবুও বাড়ি দখল’

১৬ ডিসেম্বরের পর পুরোনো ও নতুন মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশন হবে যেভাবে

ফজর নামাজ পড়ে বাসার ছাদে যান আওয়ামী লীগ নেতা, সিঁড়ির পাশে রক্তাক্ত লাশ

ভারতীয় নারী ক্রিকেটারের খেলা দেখে ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন মারুফা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ঋণ শোধ না করে মরলে উল্টো ১০ হাজার দেব—পরদিন গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ

শ্যামপুর-কদমতলী (ঢাকা) প্রতিনিধি 
আপডেট : ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ২৩: ৩৬
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজধানীর ডেমরায় আজিমুন্নেসা (৫২) নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার দুপুরে পূর্ব বক্সনগর হজরত হাজি রোডের জনৈক ফারুকের বাড়ির তৃতীয় তলা থেকে লাশটি উদ্ধার করে ডেমরা থানা-পুলিশ। সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডেমরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহমুদুর রহমান।

প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের স্বামী রাজমিস্ত্রি আব্দুল মজিদ মোল্লা (৬৩) ঘর থেকে ভোর সাড়ে ৪টার দিকে কাজের উদ্দেশ্যে বের হন। এরপর সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তিনি স্ত্রীর মৃত্যুর খবর পান। ভোর সাড়ে ৪টা থেকে সকাল সাড়ে ৮টার মধ্যে কোনো এক সময় ওই নারী নিজ ঘরে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন।

পরিবারের সদস্যরা বলছেন, ওই নারীর প্রায় ৫ লাখ টাকা ঋণ ছিল। সেই চাপে আত্মহত্যা করতে পারেন। এ ঘটনায় আজ বিকেলে ডেমরা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করেছেন মৃতের স্বামী।

মৃতের স্বামী আব্দুল মজিদ মোল্লা মোবাইল ফোনে বলেন, ‘প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর ৩৫ বছর আগে আমার সঙ্গে দ্বিতীয় বিয়ে হয় আজিমুন্নেসার। তিন মেয়ের বিয়ে দেওয়াসহ নানা কারণে ব্র্যাক, আশা, প্রশিকাসহ সাতটি এনজিও প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় ৫ লাখ টাকা ঋণ নিই আমরা। এদিকে ব্র্যাকের কিস্তি পরিশোধে দেরি হওয়ায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা গতকাল (বৃহস্পতিবার) চাপ প্রয়োগ করেন আমার স্ত্রীকে।’

মজিদ মোল্লা আরও বলেন, ‘ওই কর্মকর্তা আমার স্ত্রীকে বলেন, ‘‘ঋণ পরিশোধ না করে আপনি মরে গেলে উল্টো আমি ১০ হাজার টাকা দিয়ে যাব।’’ এর পর থেকে মানসিক চাপে পড়েন আজিমুন্নেসা। এ সংসারে আমাদের তিন মেয়ে রয়েছে। মেয়েদের বিয়ের পর আমরা স্বামী-স্ত্রী বর্তমান ঠিকানায় বসবাস করি।’

ডেমরা থানার ওসি মো. মাহমুদুর রহমান বলেন, আজ সকালে ওই নারীর মৃত্যুর খবর পেয়ে থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। ময়নাতদন্ত রিপোর্টের পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মেটার ডেটা সেন্টার হওয়ার পর শুকিয়ে যাচ্ছে স্থানীয়দের টিউবওয়েল

‘সুদে ১৭ লাখ নিয়ে ১৮ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছি, তবুও বাড়ি দখল’

১৬ ডিসেম্বরের পর পুরোনো ও নতুন মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশন হবে যেভাবে

ফজর নামাজ পড়ে বাসার ছাদে যান আওয়ামী লীগ নেতা, সিঁড়ির পাশে রক্তাক্ত লাশ

ভারতীয় নারী ক্রিকেটারের খেলা দেখে ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন মারুফা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত