Ajker Patrika

নাইক্ষ্যংছড়িতে মাইন বিস্ফোরণে আহতের পা থেকে সরানো হলো ৭টি স্প্লিন্টার 

নাইক্ষ্যংছড়ি (বান্দরবান) প্রতিনিধি  
নাইক্ষ্যংছড়িতে মাইন বিস্ফোরণে আহতের পা থেকে সরানো হলো ৭টি স্প্লিন্টার 

নাইক্ষ্যংছড়ির জারালিয়াছড়ির আগা নামক স্থানে স্থল মাইন বিস্ফোরণে আহত ব্যক্তির ক্ষতবিক্ষত পা থেকে স্প্লিন্টার সরানো হয়েছে। আজ রোববার (৩ মার্চ) সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর পা থেকে ৭ টির অধিক স্প্লিন্টার বের করা হয়। গতকাল শনিবার বিকেলে ওই মাইন বিস্ফোরিত হয়। 

বিষয়টি নিশ্চিত করে আহত মোহাম্মদ ইব্রাহিমের স্ত্রী নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা মেম্বার লায়লা বেগম জানিয়েছেন, তাঁর স্বামীর পা থেকে স্প্লিন্টার বের করে ব্যান্ডেজ দেওয়া হয়েছে। তাঁর মুখে ও ঊরুতে মাইনের আঘাত লেগেছে। সব মিলিয়ে তিনি দাঁড়াতে পারছেন না এখনো। 

এদিকে রাখাইনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম নারিনজারা নিউজ জানিয়েছে, রাখাইনের রাজধানী সিত্তেরসহ অপরাপর জেলা ও বাকি থানা শহরগুলো নিয়ন্ত্রণে নিতে বিদ্রোহী আরকান আর্মি (এএ) ব্যাপক হামলা চালাতে প্রস্তুতি নিচ্ছে। বিশেষ করে মন্ডু জেলা শহরকে টার্গেট করে বলিবাজার থানার দক্ষিণ দিক থেকে হামলা চালাচ্ছে আরকান আর্মির কমান্ডোরা। 

এ পরিস্থিতিতে জান্তা সরকারের সব ধরনের প্রস্তুতির বিপরীতে আরকান আর্মির হামলাকে কেন্দ্র করে আরকানজুড়ে শঙ্কা ছড়িয়ে পড়ে। সে কারণে আরকানে বসবাসরত সাধারণ মানুষ পালাচ্ছে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে। কেউ নৌকা যোগে কেউ বা পাহাড়ি পথ বেয়ে। 

সংবাদমাধ্যম নারিনজারাকে রাখাইনের স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সিত্তের শহরে এবং গ্রামাঞ্চল থেকে হাজার হাজার মানুষ পালাচ্ছেন দ্বিগ্বিদিক। কেননা সশস্ত্র গোষ্ঠী আরকান আর্মি যেকোনো সময় হামলা চালাতে পারে। কেননা তাঁরা রাখাইনের রাজধানী পুন্নাগুনের কাছাকাছি অবস্থানে রয়েছে বর্তমানে। এখানে কয়েক হাজার কমান্ডোসহ অন্তত ১০ হাজারের অধিক আরকান আর্মির যোদ্ধা সামনে অগ্রসর হচ্ছে। 

একাধিক সূত্রমতে, ২ দিন আগে রাখাইন রাজ্যের আরকান আর্মির উপস্থিতি খবর শুনে স্থানীয় মিওমার গ্রাম্য বাজারে জান্তা বাহিনী বিমান হামলা চালিয়েছে। এতে ১২ জন নিহত হন। আহত হন ৮০ জনেরও বেশি। অবশ্য জান্তা বাহিনী বিষয়টিকে আরকান আর্মির কাণ্ড বলে কাণ্ড বলে উল্টো দোষ চাপিয়ে যাচ্ছে। 

সূত্রগুলো আরও বলেন, গত ২ সপ্তাহ ধরে জান্তা কর্তৃপক্ষ সিত্তেসহ রাখাইনের গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোতে ইন্টারনেট ও মোবাইল ডেটা-প্রবাহ সীমিত করে দিয়েছে। এ কারণে রাখাইনের সর্বশেষ পরিস্থিতি সংক্রান্ত পরিস্থিতি হালনাগাদ অধিকাংশ তথ্যই তৎক্ষণাৎ জানা সম্ভব হচ্ছে না। এতে সংবাদমাধ্যমগুলো তাৎক্ষণিক সব খবরাখবর সরবরাহ করতে পারছে না। 

এদিকে রাখাইনের বাংলাদেশ সীমান্তের চৌকিগুলোতে বিদ্রোহী আরকান আর্মির যোদ্ধারা দখলে নেওয়ার পর থেকে তাঁরা ক্যাম্পগুলোতে শক্ত অবস্থানে রয়েছে। তাঁরা রাত-দিন পালা বসিয়ে পাহারা দিচ্ছে জান্তা থেকে কেড়ে নেওয়া চৌকিগুলো। 

সূত্র নিশ্চিত করে বলেন, আরকান আর্মি বর্তমানে তীব্র খাদ্য সংকটে রয়েছে। তাঁরা রাখাইনের বাজারে গেলেই জান্তা বাহিনী তাদের লক্ষ্য করে বিমান হামলা করে থাকে। এ জন্যে দেশ-বিদেশে নিজেদের সহায়তাকারীদের কাছ থেকে বিভিন্নভাবে খাদ্য সংকট ও অর্থ জোগান পেতে চেষ্টা করছেন তাঁরা। 

উল্লেখ্য, মিয়ানমারের রাখাইনে সংঘাত-সহিংসতা শুরু হয় ২০২১ সালে। ২০২০ সালে সে দেশের নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি গণতান্ত্রিক সরকারকে হটিয়ে জাতীয় ক্ষমতা দখল করে সামরিক বাহিনী। সেনাপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইং এ অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেন। ২০২২ সালের দিকে গণতন্ত্রপন্থীদের একাংশ জান্তাবিরোধী বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোতে যোগ দেওয়া শুরু করে। ২০২৩ সালের অক্টোবরের শেষে দিকে বিদ্রোহী ৩টি গোষ্ঠী মিলে থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স গঠন করে জান্তার বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। যার অন্যতম একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী আরকান আর্মি। যারা বর্তমানে বাংলাদেশ-সীমান্তবর্তী ২৫ টির অধিক চৌকি দখলে নেয় জান্তার কাছ থেকে। এখন সীমান্তে অদূরে যুদ্ধে লিপ্ত জান্তার বিরুদ্ধে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘আমি বিএনপি করি, তবে শেখ হাসিনার আদর্শে বিশ্বাসী’

ড্রাইভিং লাইসেন্সে বিআরটিএর নিয়ন্ত্রণ থাকছে না: উপদেষ্টা ফাওজুল কবির

সন্তান জন্মের ৪ মাস পর বিয়ের খবর দিলেন জেমস

সেনানিবাসের সাবজেলেই রাখা হবে ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে: কারা মহাপরিদর্শক

ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সুরক্ষায় নতুন ৩ ব্যাটালিয়ন, দুই হাজার ২৫৮ পদ সৃষ্টি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বুয়েটের ঘটনায় অভিযুক্তের পক্ষে স্ট্যাটাস, পরে শর্তহীন ক্ষমা চাইলেন চাকসু নেতা

চবি প্রতিনিধি 
ছবি: আজকের পত্রিকা
ছবি: আজকের পত্রিকা

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও নারীদের কটূক্তি করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শ্রীশান্ত রায় নামের এক শিক্ষার্থীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। বুয়েটে ধর্ষণের ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বিতর্কিত পোস্ট দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (চাকসু) নবনির্বাচিত নির্বাহী সদস্য আকাশ দাস। তাঁর এই পোস্ট ঘিরে ক্যাম্পাসে তীব্র সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এ ছাড়া বিক্ষোভ সমাবেশও করেছেন শিক্ষার্থীরা।

আজ বুধবার (২২ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্টে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

চাকসু নির্বাচনে নির্বাহী সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির মনোনীত প্যানেল থেকে নির্বাচিত হন আকাশ দাস। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) নির্বাচিত প্রতিনিধিদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। তবে ধর্ষণের মতো স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ায় তাঁকে ঘিরে চলছে নানা সমালোচনা। অনেকে বলছেন, তিনি শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্ব করার যোগ্যতা হারিয়েছেন।

বুয়েটে ধর্ষণের ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দীর্ঘ এই ফেসবুক পোস্টের এক জায়গায় আকাশ দাস লেখেন, ‘একটা মেয়েকে কখনোই জোরপূর্বকভাবে ঘর থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করা সম্ভব না, যদি না মেয়েটার আগ্রহ থাকে।’

ফেসবুকে তাঁর এমন মন্তব্যের পরপরই ক্যাম্পাসজুড়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক সমালোচনা।

ফেসবুক পোস্টে আকাশ লেখেন, ‘সম্প্রতি বুয়েটের ধর্ষণ কান্ড নিয়ে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা হচ্ছে। যে ছেলেটা ধর্ষণ করলো সবাই তার বিচার দাবি করছে। এটা খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু আমি যতটুকু বুঝি, একতরফাভাবে কখনো কাউকে দায়ী করা যায় না। ছেলেটা যদি দোষী প্রমাণিত হয় তাহলে অবশ্যই তার শাস্তি আমি দাবি করছি। কিন্তু মেয়েটা যে নির্দোষ এমনটাও তো নয়। বরং যে ধরনের ধর্ষণকাণ্ডগুলো ঘটে থাকে বেশিরভাগ মেয়েরাই ছেলেদের ফাঁসানোর জন্য ধর্ষণকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে। এখানেও এমনটা ঘটেছে কি না সেটিও তদন্তের আওতায় আনা উচিত বলে আমি মনে করি।’

আকাশ দাসের এমন মন্তব্যের বিরুদ্ধে কড়া সমালোচনা করেছেন চাকসুর নবনির্বাচিত ভিপি ইব্রাহিম রনি। এক ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘চাকসুর নবনির্বাচিত সদস্য আকাশ দাশ (দাস) বুয়েটের ধর্ষণ ঘটনাকে ঘিরে তার ব্যক্তিগত ফেসবুকে যে নিন্দনীয় মন্তব্য করেছেন, আমি তার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। তিনি যেন অবিলম্বে বক্তব্য প্রত্যাহার করে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন, এই আহ্বান জানাচ্ছি।’

ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন হৃদয় লেখেন, ‘আকাশ দাস চবি ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল থেকে সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। ধর্ষণকে কীভাবে নর্মালাইজড করেছে দেখেন! এরাই ক্যাম্পাসকে নারীবান্ধব ক্যাম্পাস গড়বে।’

ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মোহাম্মদ পারভেজ লেখেন, ‘সম্প্রতি চাকসুর নবনির্বাচিত নির্বাহী সদস্য আকাশ দাশ (দাস) তার ব্যক্তিগত ফেসবুক ওয়ালে বুয়েটের ধর্ষণকাণ্ড নিয়ে যে গর্হিত ও অমানবিক মন্তব্য করেছেন, আমরা তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একই সঙ্গে আমরা তার বক্তব্য প্রত্যাহার করে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনার আহ্বান জানাচ্ছি।’

এ ছাড়া তীব্র সমালোচনা করেছেন চাকসু নির্বাচনে বিজিত প্রার্থীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

তীব্র সমালোচনার মুখে আকাশ দাস তাঁর পূর্ববর্তী সেই পোস্ট ডিলিট করেন এবং ক্ষমা চেয়ে আরও একটি পোস্ট লেখেন। সেই পোস্টে তিনি বলেন, ‘আমার যে পোস্ট নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে আমি সে পোস্ট দেওয়ার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। আমি অপরাধীর পক্ষ নিয়েছি বিষয়টি এমন নয়, বরং ঘটনাটি সম্পর্কে আমি পুরোপুরি ওয়াকিবহাল ছিলাম না।’

আকাশ বলেন, ‘আশা করি বিষয়টা আপনারা সবাই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আমি সকলের কাছে শর্তহীন ক্ষমা চাচ্ছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘আমি বিএনপি করি, তবে শেখ হাসিনার আদর্শে বিশ্বাসী’

ড্রাইভিং লাইসেন্সে বিআরটিএর নিয়ন্ত্রণ থাকছে না: উপদেষ্টা ফাওজুল কবির

সন্তান জন্মের ৪ মাস পর বিয়ের খবর দিলেন জেমস

সেনানিবাসের সাবজেলেই রাখা হবে ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে: কারা মহাপরিদর্শক

ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সুরক্ষায় নতুন ৩ ব্যাটালিয়ন, দুই হাজার ২৫৮ পদ সৃষ্টি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হাটহাজারী থানা চত্বরে পুলিশকে আক্রমণ, শিবিরের সাবেক সভাপতি গ্রেপ্তার

হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রামের হাটহাজারী মডেল থানা চত্বরে পুলিশকে আক্রমণ ও পুলিশি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে মো. রায়হান (২৬) নামের এক শিবির নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ বুধবার (২২ অক্টোবর) বেলা ২টার দিকে থানা চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাটহাজারী মডেল থানার এসআই রুপন নাথ।

গ্রেপ্তার রায়হান হাটহাজারী পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের হাদী চৌধুরী বাড়ির মো. আবুল কালামের ছেলে। তিনি হাটহাজারী কলেজ শাখা শিবিরের সাবেক সভাপতি ছিলেন। তিনি একাধিক মামলার আসামি বলেও জানিয়েছে পুলিশ।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে হাটহাজারী উপজেলা জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির অধ্যাপক শোয়াইব চৌধুরী জানান, গ্রেপ্তার রায়হান একসময় হাটহাজারী কলেজের ছাত্রশিবিরের সভাপতি ছিলেন। বর্তমানে তাঁর কোনো পদ-পদবি নেই।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে হাটহাজারী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনজুর কাদের ভূঁইয়া জানান, গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে পৌরসভার আলীপুরের স্কুলছাত্র তানভির হত্যার আসামিদের আদালতে নেওয়া হচ্ছিল। ওই সময় শিবির নেতা রায়হানকে ছবি তুলতে ও ভিডিও ধারণ করতে থানা-পুলিশের এক কর্মকর্তা নিষেধ করেন। এতে ওই শিবির নেতা পুলিশের ওপর আক্রমণ করেন এবং পুলিশি কাজে বাধা দেন। তখন তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার রায়হানের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।

তবে রায়হানকে চাকসু নির্বাচনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাটহাজারী সার্কেল) কাজী তারেক আজিজ আহত হওয়ার ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে পুলিশের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘আমি বিএনপি করি, তবে শেখ হাসিনার আদর্শে বিশ্বাসী’

ড্রাইভিং লাইসেন্সে বিআরটিএর নিয়ন্ত্রণ থাকছে না: উপদেষ্টা ফাওজুল কবির

সন্তান জন্মের ৪ মাস পর বিয়ের খবর দিলেন জেমস

সেনানিবাসের সাবজেলেই রাখা হবে ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে: কারা মহাপরিদর্শক

ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সুরক্ষায় নতুন ৩ ব্যাটালিয়ন, দুই হাজার ২৫৮ পদ সৃষ্টি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নারায়ণগঞ্জে ইট দিয়ে থেঁতলে যুবককে হত্যার ভিডিও ভাইরাল, গ্রেপ্তার ৩

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া।
ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া।

ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে বাসা থেকে তুলে নিয়ে নারায়ণগঞ্জের খানপুরে আবু হানিফ (৩০) নামের যুবককে হত্যার ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন কুমিল্লার মুরাদনগরের সায়েস্তারা গ্রামের ফরচান মিয়ার ছেলে বাহার (৩৬) ও তাঁর ভাই সাইদুল ইসলাম (২৫), নারায়ণগঞ্জ শহরের মেট্রোহল এলাকার শফিকুর রহমানের ছেলে মুশফিকুর রহমান জিতু (২৯)।

বিষয়টি নিশ্চিত করে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নাছির আজকের পত্রিকাকে বলেন, এই ঘটনার ভিডিও ফুটেজ দেখে জড়িত অন্য আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে পুলিশ।

এ দিকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে বাসা থেকে তুলে নিয়ে নিরাপত্তাকর্মী আবু হানিফকে হত্যাকাণ্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

৬৫ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, একটি খোলা জায়গায় হানিফকে মাটিতে ফেলে বারবার ইট দিয়ে আঘাত করছেন কয়েকজন। অন্তত ৫-৭ জনের ওই দল দফায় দফায় তাঁকে পিটিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে।

তথ্যমতে, গত সোমবার দুপুরে আবু হানিফকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে শহরের খানপুর জোড়া ট্যাংকি মাঠে নিয়ে নির্যাতন করা হয়। এক শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ তুলে তাঁকে দফায় দফায় মারধর করা হয়।

সন্ধ্যায় হানিফ সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়লে তাঁকে রাস্তায় ফেলে যান অপরাধীরা। পরে স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জের খানপুর ৩০০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত আবু হানিফ স্থানীয় একটি বাড়ির নৈশপ্রহরী হিসেবে কাজ করতেন। তিনি তিনি বাগেরহাটের শরণখোলার আবুল কালামের ছেলে। তাঁর স্ত্রী ও তিন সন্তান রয়েছে।

স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার আসামিরাসহ তাঁদের কয়েকজন সহযোগী আবু হানিফের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যান। এরপর খানপুর জোড়া ট্যাংকি এলাকায় দফায় দফায় মারধর করেন।

জানতে চাইলে নিহত ব্যক্তির বোন রাবেয়া বলেন, ‘দুপুরের দিকে হানিফ বাসায় শুয়ে ছিলেন। এলাকার কিছু ছেলে এসেই ভাইরে মারতে মারতে নিয়ে চলে যায়। আমাদের কোনো কথাই শোনেনি, কী কারণে মারতেছে তাও বলেনি। অনেক পরে বলতেছে সে (হানিফ) নাকি কোন বাচ্চারে ধর্ষণ করতে চাইছে। কিন্তু কোন মেয়ে-কবে, তার কিছুই আমরা জানি না।’

নিহত ব্যক্তির ভগ্নিপতি মো. ইব্রাহিম বলেন, ‘শুরু থেকে আমি ছিলাম না। আমি ছিলাম ডিউটিতে। দুপুরে আমাকে ফোন দিয়ে জানায়, এলাকার কিছু যুবক ছেলে বাসায় ঝামেলা করতেছে। ফোন পাইয়া আমি বাড়িতে আসি। বাসায় আসার পর ওই ছেলেরা আমাকে ধইরা খানপুর জোড়া টাংকির মাঠে নিয়ে আসে। তখন দেখি, আমার সম্বন্ধীর (হানিফ) ভেতরে বসাইয়া রাখছে। ১০-১২ জন যুবক পোলাপান ছিল। তাদের মধ্যে পাশের বাড়ির অভি নামের স্থানীয় একজনকে চিনেছি। সন্ধ্যায় হানিফ ভাইরে অটোতে তুলে কোথায় যেন নিয়ে চলে যায়। অনেক পরে আমরা তাঁরে হাসপাতালে পাই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘আমি বিএনপি করি, তবে শেখ হাসিনার আদর্শে বিশ্বাসী’

ড্রাইভিং লাইসেন্সে বিআরটিএর নিয়ন্ত্রণ থাকছে না: উপদেষ্টা ফাওজুল কবির

সন্তান জন্মের ৪ মাস পর বিয়ের খবর দিলেন জেমস

সেনানিবাসের সাবজেলেই রাখা হবে ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে: কারা মহাপরিদর্শক

ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সুরক্ষায় নতুন ৩ ব্যাটালিয়ন, দুই হাজার ২৫৮ পদ সৃষ্টি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মামার বদলে আদালতে হাজিরা ভাগনের, কারাফটকে ধরা

­যশোর প্রতিনিধি
শামীম আহম্মেদ। ছবি: সংগৃহীত
শামীম আহম্মেদ। ছবি: সংগৃহীত

চাঁদাবাজি ও শ্লীলতাহানির মামলায় মামার পক্ষে যশোরের আদালতে হাজিরা দেন ভাগনে। আদালতে জেরার উত্তরও দেন তিনি। শেষে জামিন প্রার্থনা করলে আদালত আসামিকে (ভাগনে) কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে আসামি নিয়ে প্রিজন ভ্যান কারাফটকে গেলে নাম-ঠিকানা যাচাই-বাছাইকালে বেরিয়ে আসে আসল পরিচয়।

ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল মঙ্গলবার যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে।

কারা কর্তৃপক্ষ বলছে, আসামি হাসানের পক্ষে কারাগারে যাওয়া ভাগনে মো. শামীম আহম্মেদ (২৭) যশোর সদর উপজেলা ভেকুটিয়া গ্রামের জামশেদ আলীর ছেলে। আর হাসান বড় ভেকুটিয়া গ্রামের মন্টুর ছেলে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের ভারপ্রাপ্ত জেলার আবিদ আহম্মেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, এখন আদালতের নির্দেশে শামীমের বিরুদ্ধে মামলা করা ও মূল আসামি হাসানের নামে পরোয়ানা জারি হবে। তবে বিষয়টি তদন্তাধীন বলে এর বেশি জানাতে চাননি তিনি।

কারাগার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ৮ নভেম্বর সদরের ভেকুটিয়া এলাকার বাসিন্দা রাকিবুল ইসলামের বাড়িতে চাঁদাবাজি করতে আসেন স্থানীয় নিশানুর রহমান অন্তরের নেতৃত্বে সাত থেকে আটজন। এ সময় রাকিবুলের কাছে পাঁচ লাখ চাঁদা দাবি করেন। একপর্যায়ে তাঁদের ওপর হামলা ও রাকিবুলের স্ত্রীর শ্লীলতাহানি ঘটে। এ সময় তাঁরা নগদ ও বিকাশে ৫৫ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যান।

পরদিন ভুক্তভোগী রাকিবুল চাঁদাবাজি, শ্লীলতাহানি ও হামলার অভিযোগে সাতজনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। মামলার ৫ নম্বর আসামি হাসান। বিভিন্ন সময়ে আসামিরা আদালতে হাজিরা দিয়ে জামিনে রয়েছেন।

গতকাল দুপুরে যশোরের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল আদালতে আসামিরা হাজিরা দিতে আসেন। আসামি হাসানের পক্ষে তিন থেকে চারবার আদালতে হাজিরাও দেন ভাগনে শামীম। এদিন (২১ অক্টোবর) শামীম আদালতে হাজিরা দিতে গেলে আদালতের বিচারক তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ফলে আসামি হাসানের পরিবর্তে কারাগারে পাঠানো হয় শামীমকে।

প্রিজন ভ্যানে আসামি কারাগারে যাওয়ার পর আদালত থেকে প্রাপ্ত তথ্য এবং আসামির নাম, পিতার নাম ও ঠিকানা যাচাইয়ের সময় শামীমকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাঁর কথাবার্তা অসংলগ্ন হওয়ায় সন্দেহের সৃষ্টি হয়। ফলে কারাগারের সিস্টেমের মাধ্যমে তাঁর ফিঙ্গার প্রিন্টে প্রকৃত নাম মো. শামীম আহম্মেদ শনাক্ত হয়।

সূত্রে আরও জানা গেছে, আসামি হাসানের পরিবর্তে কারাগারে যাওয়া শামীম জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন হাসান তাঁর আপন ছোট মামা। মামার পরিবর্তে তিনি তিন থেকে চারবার আদালতে হাজিরাও দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর কারা কর্তৃপক্ষ প্রতিবেদন আকারে আদালতে পাঠিয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) সাবেরুল হক সাবুর মোবাইল ফোনে কয়েক দফা যোগাযোগের চেষ্টা করে সাড়া না পাওয়ায় তাঁর বক্তব্য জানা যায়নি।

তবে আসামিপক্ষের আইনজীবী সাজ্জাদ ফোস্তফা রাজা বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি। অনেক সময় মুহুরিদের ম্যানেজ করে আসামির পক্ষে কেউ হাজিরা দিয়ে সহায়তা করতে পারে। বিষয়টি খোঁজ নিচ্ছি। কীভাবে এটি হলো।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘আমি বিএনপি করি, তবে শেখ হাসিনার আদর্শে বিশ্বাসী’

ড্রাইভিং লাইসেন্সে বিআরটিএর নিয়ন্ত্রণ থাকছে না: উপদেষ্টা ফাওজুল কবির

সন্তান জন্মের ৪ মাস পর বিয়ের খবর দিলেন জেমস

সেনানিবাসের সাবজেলেই রাখা হবে ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে: কারা মহাপরিদর্শক

ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সুরক্ষায় নতুন ৩ ব্যাটালিয়ন, দুই হাজার ২৫৮ পদ সৃষ্টি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত