Ajker Patrika

এত তল্লাশি-নজরদারিতেও কেএনএফের হামলা কি গোয়েন্দা ব্যর্থতা

জমির উদ্দিন, বান্দরবান থেকে
আপডেট : ০৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪: ১৯
এত তল্লাশি-নজরদারিতেও কেএনএফের হামলা কি গোয়েন্দা ব্যর্থতা

রুমা উপজেলা বান্দরবান সদর থেকে ৪২ কিলোমিটার দূরে। আঁকাবাঁকা পথ পেরিয়ে গাড়িতে যেতে লাগে দুই ঘণ্টা। এই পথে আছে পুলিশের চারটি চেকপোস্ট, একটি আনসার, দুটি বিজিবি ক্যাম্প ও তিনটি সেনাবাহিনীর চেকপোস্ট। 

রুমায় যেতে তিনবার এসব বাহিনীর তল্লাশির মধ্যে পড়তে হয়। ব্যাংকের যে শাখায় কেএনএফ হামলা চালায়, সেটির পাশেই আছে আবার আনসার ক্যাম্প। এত এত তল্লাশি আর নজরদারির মধ্যেও কীভাবে সশস্ত্র গোষ্ঠী কেএনএফ পরপর তিন দিন রুমা ও থানচি সদরে ঢুকে হামলা চালাল, তার সদুত্তর মিলছে না। 

সন্ত্রাসীরা আনসারসহ শতাধিক মানুষকে জিম্মি করে, রুমার সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজারকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। ওই ব্যাংকের সামনের সড়কে এক ঘণ্টা ব্যারিকেডও দেয় তারা। এই সময়ে কোনো যানবাহনও চলাচল করতে দেওয়া হয়নি। শুধু তাই নয়, রুমায় হামলার ১৬ ঘণ্টা পর দিনে-দুপুরে থানচির দুটি ব্যাংকে দুটি গাড়িতে করে সশস্ত্র দল এসে টাকা লুট করে নিয়ে যায়। সর্বশেষ থানচি থানায়ও আক্রমণ করার চেষ্টা করে এই সন্ত্রাসী সংগঠন। এসব কিছু আঁচ করতে না পারার পেছনে গোয়েন্দা ব্যর্থতা আছে কি না, সেই প্রশ্ন উঠেছে, নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের কেউ কেউ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ‘আত্মতুষ্টিতে ভুগছে’ বলে মনে করছেন।

গত শনিবার রুমা পরিদর্শনের সময় এ ঘটনায় গোয়েন্দা ব্যর্থতা আছে কি না— স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সামনে সেই প্রশ্ন তুলেন। জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সবকিছু দেখব। কারও কোনো গাফিলতি ছিল কি না, এটি বের করব। কোন জায়গা থেকে ফেল করেছে, এটি আমরা দেখব। আগে দেখে নিই, তারপর সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যবস্থা নেব।’

তবে কেএনএফের এই হামলা আঁচ করতে না পারাকে ‘পুরোপুরি গোয়েন্দা ব্যর্থতা’ হিসেবে দেখছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর (অব.) এমদাদুল ইসলাম। তাঁর মতে গোয়েন্দারা ‘আত্মতুষ্টিতে’ ভুগছেন। 

এমদাদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গোয়েন্দারা মনে করেছেন, কী আর দরকার আছে এমন। সব তো ঠিকঠাক আছে। কেএনএফের সঙ্গে তো আলোচনা হয়ে গেছে। তারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতেছে। ওদের সাথে চূড়ান্ত বৈঠক হয়েছে। এরকম আত্মতুষ্টিতে ভোগার কারণে গোয়েন্দারা তাদের দিকে আর নজরদারি দেয়নি। ফলে হামলা করতে পেরেছে কেএনএফ।’

গত মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাতে রুমা বাজারের সোনালী ব্যাংকের শাখায় প্রথম হামলার ঘটনা ঘটে। তার থেকে মাত্র ৩ কিলোমিটার দূরে ইডেনপাড়ায় আছে কেএনএফের কার্যালয়ও। যদিও এটির কার্যক্রম এখন বন্ধ। এর পাশেই আবার কেএনএফের প্রধান নাথান বমের বাড়ি। রুমার ওই এলাকাটি বম বা কেএনএফের আধিপত্য আছে বলে ধরে নেওয়া হয়। এই রকম একটি জায়গায় নজরদারি না থাকাটা অবাক করেছে নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর (অব.) এমদাদুল ইসলামকে।

তিনি বলেন, ‘গোয়েন্দা ব্যর্থতা যদি না থাকতো কোনোভাবেই কেএনএফ হামলা করতে পারতো না। গোয়েন্দা ব্যর্থতা আছে বলেই রুমায় হামলার ১৬ ঘণ্টা পর থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি ও থানা আক্রমণ করতে পেরেছে কেএনএফ।’

শুধু কেএনএফ নয়, পাহাড়ের সব সন্ত্রাসী সংগঠনের দিকে কঠোর নজরদারি রাখা উচিত বলে মনে করেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা এমদাদ।

তিনি বলেন, ‘কেএনএফের প্রতিটি মুভমেন্ট নজরদারিতে রাখতে হবে। তাদের কার্যক্রম জানার জন্য কার্যকর গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা। পাশাপাশি সরকারের উচিত আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর মাধ্যমে তাদের প্রচণ্ড চাপের মধ্যে রাখা।’

গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা সোয়া ৮টার দিকে রুমার সোনালী ব্যাংকের শাখায় শতাধিক সশস্ত্র সন্ত্রাসী অতর্কিত হামলা চালায়। তাঁরা অস্ত্র লুট করে এবং ব্যাংকের ম্যানেজার মো. নেজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে তাঁকে উদ্ধার করে র‍্যাব। 

পরদিন বুধবার ভরদপুরে থানচি সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে হামলা চালায় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। তাঁরা ব্যাংক থেকে অর্থ ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরদিন বৃহস্পতিবার রাতে থানচিতে আবার দুই দফায় সশস্ত্র হামলা হয়। 

এসব ঘটনায় মোট সাতটি মামলা হয়েছে। তবে সরকার বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে কেএনএফের নাম এলেও মামলায় এই সংগঠনের কোনো উল্লেখ নেই। এসব মামলায় অজ্ঞাতনামা ১৮০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভারতের ইন্দোরে শ্লীলতাহানির শিকার অস্ট্রেলিয়ার দুই নারী ক্রিকেটার

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

গ্রেপ্তার বাবাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকা শিশুকে পুলিশের সামনেই চড়, সমালোচনার ঝড়

আরপিও সংশোধন থেকে সরলে লন্ডন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মনে করবে এনসিপি: আখতার

ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে মিছিলে রাইফেল দেখিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি, গ্রেপ্তার ১

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মহাসড়কে কোনো অবৈধ যানবাহন চলতে পারবে না: বিআরটিএ চেয়ারম্যান

পঞ্চগড় প্রতিনিধি 
বিআরটিএর চেয়ারম্যান আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত
বিআরটিএর চেয়ারম্যান আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত

বিআরটিএর চেয়ারম্যান আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, মহাসড়কে কোনো অবৈধ যানবাহন চলতে পারবে না। এ বিষয়ে পুলিশ, বিআরটিএসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

শনিবার (২৫ অক্টোবর) রাতে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে জেলা প্রশাসন ও বিআরটিএ যৌথ আয়োজনে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বিআরটিএর চেয়ারম্যান বলেন, ‘কোনো লক্কড়ঝক্কড় গাড়ি আমরা মহাসড়কে চলতে দেব না। এ জন্য বিআরটিএ, প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর একসঙ্গে কাজ করছে। সরকারি গাড়িগুলোও ছাড় পাবে না, এমনকি আমি নিজেই বিআরটিএর গাড়ি ডাম্প করেছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভারতের ইন্দোরে শ্লীলতাহানির শিকার অস্ট্রেলিয়ার দুই নারী ক্রিকেটার

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

গ্রেপ্তার বাবাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকা শিশুকে পুলিশের সামনেই চড়, সমালোচনার ঝড়

আরপিও সংশোধন থেকে সরলে লন্ডন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মনে করবে এনসিপি: আখতার

ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে মিছিলে রাইফেল দেখিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি, গ্রেপ্তার ১

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

যশোরে রান্নাঘরে পুঁতে রাখা পিস্তল উদ্ধার

­যশোর প্রতিনিধি
উদ্ধার করা পিস্তল। ছবি: সংগৃহীত
উদ্ধার করা পিস্তল। ছবি: সংগৃহীত

যশোর সদরে অভিযান চালিয়ে রান্নাঘরে পুঁতে রাখা বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যায়উপজেলার দৌলতদিহির হুমায়ুন কবিরের বাড়ি থেকে পিস্তল উদ্ধার করা হয়।

কোতোয়ালি মডেল থানা-পুলিশ পিস্তলটি উদ্ধার করে। এ সময় অস্ত্রের মালিক শাকিল হোসেন পালিয়ে যান। শাকিল হুমায়ুন কবিরের ছেলে।

যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আবুল হাসনাত আজকের পত্রিকাকে বলেন, গোপন খবরের ভিত্তিতে পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে পিস্তলটি উদ্ধার করে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভারতের ইন্দোরে শ্লীলতাহানির শিকার অস্ট্রেলিয়ার দুই নারী ক্রিকেটার

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

গ্রেপ্তার বাবাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকা শিশুকে পুলিশের সামনেই চড়, সমালোচনার ঝড়

আরপিও সংশোধন থেকে সরলে লন্ডন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মনে করবে এনসিপি: আখতার

ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে মিছিলে রাইফেল দেখিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি, গ্রেপ্তার ১

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আবারও পুরান ঢাকায় প্রেমিকার বাসার সিঁড়িতে প্রেমিকের লাশ

ঢামেক প্রতিবেদক
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

আবারও পুরান ঢাকার বংশাল এলাকায় প্রেমিকার বাসার সিঁড়িতে সজিব (১৯) নামের এক শিক্ষার্থীর লাশ পাওয়া গেছে। তিনি এবার বংশালে আহমেদ বাওয়ানী একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন।

আজ শনিবার (২৫ অক্টোবর) বিকেলের দিকে বংশালের আগামসিহ লেনের ৯৩/১ নম্বর বাসায় ঘটনাটি ঘটে। পরে পুলিশ সংবাদ পেয়ে ওই বাসার চারতলার সিঁড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে। এ সময় ওই শিক্ষার্থীর গলায় জিআই তার পেঁচানো ছিল।

বংশাল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. দুলাল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘বিকেলে স্থানীয়দের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। ওই বাসার চারতলার সিঁড়ি থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রথমে অজ্ঞাতনামা হিসেবে এবং পরে মোবাইলের মাধ্যমে পরিচয় শনাক্ত হয়। এ সময় সে গলায় জিআই তার পেঁচানো অবস্থায় উপুড় হয়ে সিঁড়িতে পড়ে ছিল। তবে ওই বাসার চারতলায় শুধু একটি পরিবার থাকত বলে জানা গেছে। এ ছাড়া ওই বাসা পুরোটাই গোডাউন। চারতলার ওই বাসা বাইরে থেকে তালাবদ্ধ অবস্থায় ছিল।’

এসআই আরও জানান, ধারণা করা হচ্ছে, ওই শিক্ষার্থীকে গলায় জিআই তার পেঁচিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হচ্ছে।

হাসপাতালে নিহত সজিবের চাচাতো ভাই মো. ইসলাম বলেন, ‘সজিবদের বাসা বংশাল আগামসিহ লেনে। সজিব এবার আহমেদ বাওয়ানী একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল। তবে সে অকৃতকার্য হয়। কয়েক দিন আগে তাবলিগের সঙ্গে দোহার গিয়েছিল। গতকাল বাসায় আসে। আজ বেলা ৩টার দিকে ফোন পেয়ে বাসা থেকে বের হয়। এরপর বিকেলে জানতে পারি, একটি বাসার সিঁড়িতে সজিবের মরদেহ পাওয়া গেছে।’

সজিব আরও বলেন, ‘যে বাসায় সজিবের মরদেহ পাওয়া গেছে, ওই বাসার চারতলায় সজিবের প্রেমিকা খাদিজাদের বাসা। খাদিজার বাবা বেঁচে নেই। তবে ঘটনার পর থেকে তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি। ৬ বছর ধরে খাদিজার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল সজিবের। মাঝে একবার মনোমালিন্য হয়েছিল। তবে খাদিজার মামারা এই সম্পর্ক মেনে নিতে পারছিলেন না।’

পরিবারের অভিযোগ, খাদিজার দুই মামা ইকবাল ও কামাল মিলে সজিবকে হত্যা করেছে।

এর আগে, ১৯ অক্টোবর রাজধানীর পুরান ঢাকার আরমানিটোলা এলাকার একটি বাসার সিঁড়িতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রদল নেতার রক্তাক্ত লাশ পাওয়া যায়। আরমানিটোলার পানির পাম্প গলির ওই বাসায় জুবায়েদ টিউশনি করাতেন। পরে ডিএমপি এই হত্যাকাণ্ডকে ‘ত্রিভুজ প্রেমের’ ফল বলে জানায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভারতের ইন্দোরে শ্লীলতাহানির শিকার অস্ট্রেলিয়ার দুই নারী ক্রিকেটার

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

গ্রেপ্তার বাবাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকা শিশুকে পুলিশের সামনেই চড়, সমালোচনার ঝড়

আরপিও সংশোধন থেকে সরলে লন্ডন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মনে করবে এনসিপি: আখতার

ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে মিছিলে রাইফেল দেখিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি, গ্রেপ্তার ১

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেলমেট, জ্যাকেট ও ক্রিকেটের প্যাড পরে সংঘর্ষ, নিহত ১

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেলমেট ও জ্যাকেট পরে সংঘর্ষ। ছবি: সংগৃহীত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেলমেট ও জ্যাকেট পরে সংঘর্ষ। ছবি: সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেলমেট, জ্যাকেট ও ক্রিকেটের প্যাড পরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে মো. নাসির মিয়া (৬৫) নামের এক ব্যক্তি মারা গেছেন। শনিবার সকালে সদর উপজেলার বিরামপুর গ্রামে এই সংঘর্ষ হয়। নিহত নাসির মিয়া ওই গ্রামের মইজ উদ্দিনের ছেলে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।

পুলিশ জানান, দীর্ঘদিন ধরে গ্রামের সাবেক চেয়ারম্যান হারুন মিয়ার সঙ্গে একই গ্রামের সাচ্চু গ্রুপের আধিপত্য নিয়ে পূর্ববিরোধ চলছিল। উভয় পক্ষে অনুসারীদের মধ্যে ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নিহত নাসির উদ্দিন বিরামপুর গ্রামের বাসিন্দা।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, আজ সকাল সাড়ে ৬টার দিকে উভয় পক্ষের লোকজন বল্লম, টেঁটাসহ দেশি অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ান। উভয় পক্ষের লোকজনকে হেলমেট, লাইফ জ্যাকেট ও ক্রিকেটের প্যাড পরে সংঘর্ষে অংশ নিতে দেখা যায়। এ সময় বেশ কয়েক নারীকেও সংঘর্ষে উপস্থিত দেখা যায়।

ঘটনার সময় ককটেল বিস্ফোরণসহ উভয় পক্ষের বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ও দোকানপাট লুটপাট, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে দুপুর ১২টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে সাচ্চু পক্ষের নাসির মিয়া নিহত হন এবং উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেলমেট ও জ্যাকেট পরে সংঘর্ষ। ছবি: সংগৃহীত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেলমেট ও জ্যাকেট পরে সংঘর্ষ। ছবি: সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম বলেন, পূর্ব থেকে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। গতকাল গ্রামের এক বৃদ্ধা মারা যান। তাঁর ছয় ছেলের মধ্যে চারজন এক পক্ষে এবং দুজন অন্য পক্ষের অনুসারী। তাঁদের মায়ের লাশ দাফন নিয়ে সংঘর্ষ হয়েছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন আছে। লাশের ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে এখনো কোনো মামলা কিংবা কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভারতের ইন্দোরে শ্লীলতাহানির শিকার অস্ট্রেলিয়ার দুই নারী ক্রিকেটার

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

গ্রেপ্তার বাবাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকা শিশুকে পুলিশের সামনেই চড়, সমালোচনার ঝড়

আরপিও সংশোধন থেকে সরলে লন্ডন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মনে করবে এনসিপি: আখতার

ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে মিছিলে রাইফেল দেখিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি, গ্রেপ্তার ১

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত