Ajker Patrika

নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ থেকে সরে দাঁড়ালেন ঠান্ডা

চিতলমারী (বাগেরহাট) প্রতিনিধি 
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার বড়বাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এস এম মিজানুর রহমান ঠান্ডা। ছবি: আজকের পত্রিকা
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার বড়বাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এস এম মিজানুর রহমান ঠান্ডা। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার বড়বাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এস এম মিজানুর রহমান ঠান্ডা (৬৮) সদ্য কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দিয়েছেন। আজ সোমবার (১২ মে) দুপুরে চিতলমারী উপজেলা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ ঘোষণা দেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে মিজানুর রহমান বলেন, তিনি বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে ৩৯ বছর চাকরি করেছেন এবং ২০১৬ সালে অবসর গ্রহণের পর তাবলিগ জামাতে যুক্ত হয়ে ধর্মীয় কাজে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। এ সময় তিনি বাড়ির বাইরে বিভিন্ন জেলায় অবস্থান করতেন।

মিজানুর রহমান অভিযোগ করেন, তাঁর অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে একটি ‘কুচক্রী মহল’ তাঁর অনুমতি ছাড়াই সদ্য নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের বড়বাড়িয়া ইউনিয়ন আহ্বায়ক কমিটিতে তাঁর নাম অন্তর্ভুক্ত করে। বিষয়টি তিনি লোকমুখে জানতে পারেন ৫ আগস্টের পর।

মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমি একজন ধর্মপ্রাণ মুসলমান। নিষিদ্ধঘোষিত আওয়ামী লীগের ইউনিয়ন কমিটির সদস্যপদের বিষয়টি নিয়ে আমি নানা জটিলতা ও বিড়ম্বনায় পড়ি।’

তিনি আরও বলেন, ‘তাই অদ্য ১২ মে ২০২৫ ইং সাল থেকে আমি নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের বাগেরহাট জেলার চিতলমারী উপজেলার বড়বাড়িয়া ইউনিয়নের আহ্বায়ক কমিটির সঙ্গে সকল সম্পর্ক ছিন্ন করলাম। আজ থেকে আমি নিষিদ্ধঘোষিত আওয়ামী লীগের কোনো কমিটির বা সংগঠনের সদস্য নই এবং তাদের কারও সাথে আমার কোনো সম্পর্ক নেই বা থাকবে না।’

সংবাদ সম্মেলনে ঘোলা গ্রামের প্রবীণ মো. মোস্তফা মোল্লাসহ আরও কয়েকজন স্থানীয় ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘আমি বিএনপি করি, তবে শেখ হাসিনার আদর্শে বিশ্বাসী’

ড্রাইভিং লাইসেন্সে বিআরটিএর নিয়ন্ত্রণ থাকছে না: উপদেষ্টা ফাওজুল কবির

সন্তান জন্মের ৪ মাস পর বিয়ের খবর দিলেন জেমস

ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সুরক্ষায় নতুন ৩ ব্যাটালিয়ন, দুই হাজার ২৫৮ পদ সৃষ্টি

সেনানিবাসের সাবজেলেই রাখা হবে ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে: কারা মহাপরিদর্শক

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

দল যাঁকে মনোনয়ন দেবে, তাঁর পক্ষে সবাই কাজ করব: আরিফুল হক চৌধুরী

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট  
সিলেটে পদযাত্রায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আরিফুল হক চৌধুরী। ছবি: আজকের পত্রিকা
সিলেটে পদযাত্রায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আরিফুল হক চৌধুরী। ছবি: আজকের পত্রিকা

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফার প্রচারের মধ্য দিয়ে সিলেট-১ আসনে ধানের শীষের পক্ষে পদযাত্রা করেছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আরিফুল হক চৌধুরী।

বুধবার (২২ অক্টোবর) হযরত শাহজালাল (রহ.) দরগাহ মসজিদে জোহরের নামাজের পর মাজার জিয়ারতের মাধ্যমে তিনি এই প্রচার শুরু করেন।

আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘আমার নেতা তারেক রহমান বলেছেন, তৃণমূলের মতামতকে প্রাধান্য দিয়ে আগামী নির্বাচনে প্রার্থী বাছাই করবেন। অনেকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। এখনো কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। দলের মনোনয়ন বোর্ড বসে চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণা করবে।’

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আরিফ বলেন, ‘৪৭ বছর ধরে আমি দলের সঙ্গে আছি। সব সময় দলের সিদ্ধান্ত মেনে এসেছি। কখনো দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করিনি। আর উনিও (তারেক রহমান) বলেছেন, জনগণের ভালোবাসা, জনগণের সম্পৃক্ততা যাঁর সঙ্গে থাকবে, তিনি তাঁকে নমিনেশন দেবেন। আজকে দেখুন, শুধু প্রচার অভিযানে হাজার হাজার মানুষ চলে এসেছেন।’

পদযাত্রায় সিলেটের বিভিন্ন ধর্ম-বর্ণের মানুষ অংশ নেন। এ সময় অনেকে ধানের শীষ হাতে নিয়ে প্রচারণায় অংশ নেন। রাস্তার দুই ধারে দাঁড়িয়ে আরিফুল হক চৌধুরীকে স্বাগত জানান অনেকে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘আমি বিএনপি করি, তবে শেখ হাসিনার আদর্শে বিশ্বাসী’

ড্রাইভিং লাইসেন্সে বিআরটিএর নিয়ন্ত্রণ থাকছে না: উপদেষ্টা ফাওজুল কবির

সন্তান জন্মের ৪ মাস পর বিয়ের খবর দিলেন জেমস

ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সুরক্ষায় নতুন ৩ ব্যাটালিয়ন, দুই হাজার ২৫৮ পদ সৃষ্টি

সেনানিবাসের সাবজেলেই রাখা হবে ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে: কারা মহাপরিদর্শক

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পুলিশের বলা ‘ত্রিভুজ প্রেমের গল্প’ নিয়ে প্রশ্ন জোবায়েদের শিক্ষকের

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বুধবার বিকেলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাশহীদ রফিক ভবনে শিক্ষক সমিতি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. রইছ উদ্‌দীন। ছবি: আজকের পত্রিকা
বুধবার বিকেলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাশহীদ রফিক ভবনে শিক্ষক সমিতি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. রইছ উদ্‌দীন। ছবি: আজকের পত্রিকা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল নেতা মো. জোবায়েদ হোসেন হত্যাকাণ্ড নিয়ে পুলিশ ‘ত্রিভুজ প্রেমের গল্প’ বলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. রইছ উদ্‌দীন। তিনি বলেন, ‘ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সংবাদ সম্মেলন থেকে ত্রিভুজ প্রেমের গল্পের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু জোবায়েদের সম্পর্কে তার শিক্ষক ও সহপাঠীরা যতটুকু জানে, তাতে এই ধরনের মন্তব্য তার সঙ্গে প্রাসঙ্গিক নয়। তা ছাড়া জোবায়েদ যদি প্রেমই করত, তাহলে তো তাকে আর মেয়ের পরিবার টিউশনিতেই রাখত না।’

বুধবার (২২ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে আজকের পত্রিকাকে এসব কথা বলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. রইছ উদ্‌দীন। এর আগে বিকেলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির আয়োজনে ভাষাশহীদ রফিক ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির সংবাদ সম্মেলনের নানা বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, প্রক্টর, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, ছাত্রদল ও অন্যান্য রাজনৈতিক সংগঠনের নেতা-কর্মী এবং জোবায়েদের আইনজীবী মো. ইশতিয়াক হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

ঘটনার দ্বিতীয় দিনে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁরা হলেন বার্জিস শাবনাম বর্ষা (১৮), মাহির রহমান (১৯) ও ফারদীন আহম্মেদ আয়লান (২০)। এরপর মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো নজরুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বর্ষাকে পড়াতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে জোবায়েদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তবে বর্ষার সঙ্গে মাহিরের পূর্ববর্তী সম্পর্ক ছিল। এটা মূলত ‘ত্রিভুজ প্রেমের গল্প’। এর জেরে মাহির ও আয়লান মিলে বর্ষার সহযোগিতায় হত্যা করেন জোবায়েদকে।

পুলিশের এই বক্তব্য নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক রইছ উদ্‌দীন বলেন, ‘আমাদের কিছু কিছু বিষয় নিয়ে সংশয় আছে, প্রশ্ন আছে। জোবায়েদকে হত্যার আগে তার ছাত্রী বর্ষা তাকে কল দিয়ে জিজ্ঞাসা করে, সে কখন আসতেছে, কতটুকু এসেছে এবং তার আসার বিষয়টি নিশ্চিত হয়, পরে তার লোকেশন চেক করে। বিষয়টা স্বীকারোক্তি দিয়েছিল ছাত্রী বর্ষা। সেটি এজাহারের প্রথম সূত্র হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু সেটি কেন বাদ দেওয়া হলো? সেটা কি ইচ্ছাকৃতভাবে বাদ দেওয়া হয়েছে, নাকি পরে বাদ দেওয়া হয়েছে, সেটা আমাদের প্রথম প্রশ্ন।’

ডিএমপির বক্তব্য অনুযায়ী, মাহিরকে বর্ষা বলেছিলেন, জোবায়েদকে না সরালে তিনি ‘মাহিরের হতে পারবেন না’। এরপর এক মাস আগে জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছিল।

পুলিশের দেওয়া ঘটনার বর্ণনা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক রইছ উদ্‌দীন। তিনি বলেন, ‘জোবায়েদকে আক্রোশে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু আমরা জানি, আক্রোশে হত্যা করলে এলোপাতাড়ি আঘাত করা হয়। কিন্তু পুলিশ বলল, এক আঘাতেই হত্যা করা হয়েছে জোবায়েদকে। এটা তো পেশাদার হত্যাকারী ছাড়া কেউ করতে পারার কথা নয়। তাহলে আমাদের প্রশ্ন পেশাদার হত্যাকারী দিয়ে হত্যা করিয়ে অন্যদের ফাঁসানো হয়েছে কি? এ ছাড়া মাহিরের উচ্চতা ও জোবায়েদের উচ্চতায় অনেক তফাত। জোবায়েদ মাহিরের থেকে অনেক লম্বা, সে (মাহির) তার (জোবায়েদ) গলা পর্যন্ত পৌঁছাতে পারার কথা নয়। সে জায়গা থেকে হত্যা করা সম্ভব কি?’

তিনি আরও বলেন, ‘সিসিটিভি ফুটেজে দুজন ব্যক্তিকে দেখা গিয়েছে। একজন কালো টি-শার্ট পরিহিত, আরেকজন লাল টি-শার্ট পরিধান করা ছিল। এই দুজনই কি গ্রেপ্তার হওয়া দুজন কি না, আমরা কীভাবে নিশ্চিত হব? সংশ্লিষ্ট প্রশাসন পর্যাপ্ত প্রমাণ জব্দ করেছে কি না, সেটা আমরা জানতে চাই।’

পুলিশের বিবরণের আরেকটি অংশ নিয়ে প্রশ্ন তুলে এই অধ্যাপক বলেন, ‘অভিযুক্ত বার্জিস শাবনাম বর্ষার মা-বাবার জবানবন্দি নেওয়া প্রয়োজন ছিল, হত্যার সময় বাসায় তাঁরা উপস্থিত ছিলেন। যদি তাঁরা এ ঘটনায় সমর্থন দিয়ে থাকেন, তাঁদেরও তো এই মামলার আসামি হওয়ার কথা। ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার কাছ থেকে জবানবন্দি নেওয়ার বিষয়েও পুলিশ স্পষ্ট কিছু জানায়নি।’

এদিকে জোবায়েদ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে বুধবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। সেখান থেকেও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। সমাবেশে পরিসংখ্যান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু সাইদ মো. রিপন রউফ বলেন, ‘গতকাল পুলিশের কর্মকর্তারা যেভাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন, তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তাঁরা যেভাবে হাসাহাসি করেছেন, তাতে মনে হয় না, তাঁরা একটি হত্যার বিবরণ দিচ্ছেন। তাঁরা কোনোভাবেই দায়িত্বশীল আচরণ করেননি।’

জোবায়েদ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি ছাত্রদলের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘আমি বিএনপি করি, তবে শেখ হাসিনার আদর্শে বিশ্বাসী’

ড্রাইভিং লাইসেন্সে বিআরটিএর নিয়ন্ত্রণ থাকছে না: উপদেষ্টা ফাওজুল কবির

সন্তান জন্মের ৪ মাস পর বিয়ের খবর দিলেন জেমস

ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সুরক্ষায় নতুন ৩ ব্যাটালিয়ন, দুই হাজার ২৫৮ পদ সৃষ্টি

সেনানিবাসের সাবজেলেই রাখা হবে ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে: কারা মহাপরিদর্শক

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কালভার্টের সঙ্গে ধাক্কা, নিহত ২

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

চাঁপাইনবাবগঞ্জে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কালভার্টের সঙ্গে ধাক্কা লেগে মিজানুর রহমান ও শিহাব আলী নামের দুই যুবক মারা গেছেন। আহত হয়েছেন ইমন আলী নামের আরও এক যুবক।

আজ বুধবার (২২ অক্টোবর) বিকেলে সদর উপজেলার ঝিলিম ইউনিয়নের কেন্দুল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুকোমল চন্দ্র দেবনাথ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিহত যুবকেরা হলেন সদর উপজেলার মাঝপাড়ার তাজেবুর রহমানের ছেলে মিজানুর রহমান (২২) ও ধীনগর গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে শিহাব আলী (২০)।

আহত যুবক হলেন আমনুরা কলোনির শফিকুল ইসলামের ছেলে ইমন আলী।

সুকোমল চন্দ্র দেবনাথ বলেন, আজ বেলা পৌনে ৩টার দিকে একই মোটরসাইকেলে তিন যুবক ঝিলিমবাজার থেকে গোদাগাড়ীর দিকে যাচ্ছিলেন। পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মোটরসাইকেলটি একটি কালভার্টের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে গুরুতর আহত তিনজনকে উদ্ধার করে স্থানীয় বাসিন্দারা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান মিজানুর। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান শিহাব।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘আমি বিএনপি করি, তবে শেখ হাসিনার আদর্শে বিশ্বাসী’

ড্রাইভিং লাইসেন্সে বিআরটিএর নিয়ন্ত্রণ থাকছে না: উপদেষ্টা ফাওজুল কবির

সন্তান জন্মের ৪ মাস পর বিয়ের খবর দিলেন জেমস

ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সুরক্ষায় নতুন ৩ ব্যাটালিয়ন, দুই হাজার ২৫৮ পদ সৃষ্টি

সেনানিবাসের সাবজেলেই রাখা হবে ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে: কারা মহাপরিদর্শক

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শুধু সেটআপটা নষ্ট করেছি, আ.লীগ অফিস দখল করিনি—সংবাদ সম্মেলনে এনসিপি নেতা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে বিপ্লব উদ্যানে এনসিপির সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা
চট্টগ্রামে বিপ্লব উদ্যানে এনসিপির সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা

চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুর ও দখলের কথা অস্বীকার করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নগর যুগ্ম সমন্বয়কারী আরিফ মঈনুদ্দিন। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু অবশ্যই স্বাধীনতার একজন অন্যতম স্থপতি। কিন্তু গত ১৬ বছরে শেখ মুজিবকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে মানুষের ক্ষোভ আছে। সেখানে ছাত্র-জনতা ম্যুরাল ভাঙচুর করে। আমরা সেখানে শুধু সেটআপটা নষ্ট করে দিয়েছি, দখল করিনি।’

আজ বুধবার নগরীর বিপ্লব উদ্যানে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন এনসিপি নেতারা।

আরিফ মঈনুদ্দিন বলেন, ‘গত বছরের ৫ আগস্টের পর চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের অফিসগুলো পরিত্যক্ত ছিল। কিন্তু দুই মাস ধরে খবর পাচ্ছি, অফিসগুলোতে কার্যক্রম চলছে, দরজা-জানালা লাগানো হচ্ছে, লোকজন আসা-যাওয়া করছে। আমরা প্রশাসনকে জানিয়েছিলাম, কিন্তু প্রশাসন ব্যবস্থা নেয়নি।’

ভাঙচুরের বিষয়ে যুগ্ম সমন্বয়কারী মোহাম্মদ এরফানুল হক বলেন, আওয়ামী লীগের সব ধরনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হলেও রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড থেমে নেই। ওই ভবন আওয়ামী লীগ বিনা ভাড়ায় দখল করে ছিল। পাশাপাশি সেখানে বিভিন্ন অপকর্ম পরিচালনা করা হতো।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার নগরীর নিউমার্কেটের দোস্ত বিল্ডিংয়ে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুর করেন একদল তরুণ। এতে নেতৃত্ব দেন এনসিপি নেতা আরিফ মঈনুদ্দিন। তাঁর সঙ্গে সাবেক সমন্বয়কসহ এনসিপি নেতা-কর্মীদের ভাঙচুর চালানোর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম সমন্বয়কারী মো. রাফসান জানি ও মো. জসিম উদ্দিন। এ ছাড়া কমিটির সদস্য, সংগঠক ও থানা পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘আমি বিএনপি করি, তবে শেখ হাসিনার আদর্শে বিশ্বাসী’

ড্রাইভিং লাইসেন্সে বিআরটিএর নিয়ন্ত্রণ থাকছে না: উপদেষ্টা ফাওজুল কবির

সন্তান জন্মের ৪ মাস পর বিয়ের খবর দিলেন জেমস

ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সুরক্ষায় নতুন ৩ ব্যাটালিয়ন, দুই হাজার ২৫৮ পদ সৃষ্টি

সেনানিবাসের সাবজেলেই রাখা হবে ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে: কারা মহাপরিদর্শক

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত