Ajker Patrika

সেনাবাহিনীর টহলে ফাঁকা বাগেরহাটের সড়ক-মহাসড়ক

প্রতিনিধি, বাগেরহাট
আপডেট : ০১ জুলাই ২০২১, ১৫: ৪৩
সেনাবাহিনীর টহলে ফাঁকা বাগেরহাটের সড়ক-মহাসড়ক

দেশব্যাপী সাত দিনের লকডাউনের প্রথম দিনে বাগেরহাটে জেলা প্রশাসন ও পুলিশের পাশাপাশি কাজ করছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। সেনাবাহিনীর টহলের খবরে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বাগেরহাটের জনাকীর্ণ বাজার, গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও সড়ক-মহাসড়ক জনশূন্য হয়ে পড়েছে।

সকাল থেকে বাগেরহাটের শরনখোলা-মোরেলগঞ্জ, ফকিরহাট-মোল্লাহাট ও সদরের বিভিন্ন এলাকায় সেনাবাহিনীর পৃথক তিনটি টিম টহল দিতে দেখা গেছে। সার্বিক লকডাউন বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসনের মাইকিংও চলছে। বিনা প্রয়োজনে লোকজনের বাইরে আসা বন্ধে কাজ করছেন তাঁরা। যাঁরা জরুরি প্রয়োজনে ঘরের বাইরে আসছেন, তাঁদের স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতেও কাজ করছেন সেনাসদস্যরা। 

লকডাউনের প্রথম দিনে ফাঁকা বাগেরহাট সড়ক-মহাসড়কআজ দুপুরে দেখা যায়, বাগেরহাট কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড, বাগেরহাট-পিরোজপুর মহাসড়কের সাইনবোর্ড, বৈটপুর বাজার, মেরিনের সামনে, বাগেরহাট শহরের শালতলা, সাধনার মোড়, শহররক্ষা বাঁধ, পুরাতম কোর্ট মসজিদসহ বিভিন্ন জনাকীর্ণ এলাকা প্রায় জনশূন্য। তবে পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের এত কঠোর অবস্থানের মাঝেও জরুরি প্রয়োজনে কিছু মানুষকে বাইরে বের হতে দেখা গেছে। এর পরিমাণ ছিল খুবই কম।

এদিকে মোংলায় স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত ও মানুষকে ঘরে রাখতে কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর সদস্যরা টহল দেওয়া শুরু করেছেন। এসবের পাশাপাশি বাগেরহাটের গুরুত্বপূর্ণ ১৩টি স্থানে পুলিশের চেকপোস্ট কাজ করছে।

বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান বলেন, স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। করোনাকালীন মানুষকে ঘরে রাখতে ও সুস্থ রাখতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

চার জেলায় কর্মী নেবে সিটি ব্যাংক, আবেদন শেষ ১৬ নভেম্বর

বাসা থেকে গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গের তরুণী ‘যুব মহিলা লীগের সদস্য’

বিএনপির ফাঁকা রাখা ঢাকার আসনে এনসিপির মনোনয়নপত্র নিলেন তাসনিম জারা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বাসা থেকে ছাত্রদল নেতার লাশ উদ্ধার

ভারতীয় গণমাধ্যমে বলিউডের ‘হি-ম্যান’ ধর্মেন্দ্রর মৃত্যুর খবর

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

এখন এসএমজি ব্রাশফায়ার মুডে থাকবে: চট্টগ্রাম পুলিশ কমিশনার

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
হাসিব আজিজ। ছবি: সংগৃহীত
হাসিব আজিজ। ছবি: সংগৃহীত

সন্ত্রাসীদের দেখামাত্র সাবমেশিনগান (এসএমজি) থেকে ব্রাশফায়ার করার নির্দেশ দিয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার হাসিব আজিজ। আজ মঙ্গলবার দুপুরে মৌখিকভাবে নিজস্ব বেতারবার্তায় তিনি থানা ও টহল পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে এ নির্দেশনা দেন। বেতারবার্তায় পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘শটগান হবে না, চায়না রাইফেলও বাদ, এখন এসএমজি ব্রাশফায়ার মুডে থাকবে।’

বেতারবার্তায় যেকোনো পরিস্থিতি এবং নাশকতা এড়াতে টহল টিমগুলোকে এসএমজি ছাড়াও শটগান, দুইটি গ্যাস গান এবং টিম ইনচার্জকে নাইন এমএম পিস্তল বহন করতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া স্থায়ী চেকপোস্ট সাতটি থেকে বাড়িয়ে ১৩টি করার নির্দেশ দিয়েছেন কমিশনার। সব দায় কমিশনার বহন করবেন বলে জানান।

বিষয়টি স্বীকার করে পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বাইরে থেকে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা এসে নগরবাসীকে গুলি করে চলে যাবে, তা হতে পারে না। এ জন্য সন্ত্রাসীদের দেখামাত্র এসএমজি দিয়ে ব্রাশফায়ার করার নির্দেশ দিয়েছি। দেখামাত্র ব্রাশফায়ার নিরস্ত্র জনসাধারণের জন্য নয়। যার হাতে অস্ত্র নেই, তার ওপর তো আর এসএমজি ইউজ করব না।’

পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ সংগঠন। আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ। নিষিদ্ধ এই জঙ্গি সংগঠন অরাজকতা করতে রাস্তায় নামলে তাদের গ্রেপ্তার করা হবে। গুলি চালানো হবে না। গ্রেপ্তার করে তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা হবে। পাঠানো হবে আদালতে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সন্ত্রাসী সরোয়ার বাবলা হত্যায় জড়িত কয়েকজন আসামিকে এর আগে আমরা ধরে দিয়েছিলাম। কিন্তু বেশি দিন তাঁরা কারাগারে থাকেননি। কয়েক সপ্তাহ পর জামিনে বেরিয়ে আসেন।’

উল্লেখ্য, গত বুধবার সন্ধ্যায় নগরীর চালিতাতলীর খন্দকারপাড়া এলাকায় জনসংযোগের সময় দুর্বৃত্তের গুলিতে চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহসহ পাঁচজন আহত হন। তাঁদের মধ্যে মারা যান ‘সন্ত্রাসী’ সরোয়ার হোসেন। পুলিশ জানায়, সরোয়ারের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, অস্ত্র, হত্যাসহ ১৫টি মামলা রয়েছে।

ওই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে শুক্রবার নগরীর হালিশহর মাইজপাড়া এলাকায় মো. আকবর নামের এক ব্যক্তিকে রাস্তায় প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে খুন করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে থানায় মাদকের মামলা রয়েছে।

এর আগে ব্যানার ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে গত ২৭ অক্টোবর নগরের বাকলিয়া বগার বিলের মুখ এলাকায় ছাত্রদলের কর্মী মো. সাজ্জাদকে (২২) গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন অন্তত ১০ জন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

চার জেলায় কর্মী নেবে সিটি ব্যাংক, আবেদন শেষ ১৬ নভেম্বর

বাসা থেকে গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গের তরুণী ‘যুব মহিলা লীগের সদস্য’

বিএনপির ফাঁকা রাখা ঢাকার আসনে এনসিপির মনোনয়নপত্র নিলেন তাসনিম জারা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বাসা থেকে ছাত্রদল নেতার লাশ উদ্ধার

ভারতীয় গণমাধ্যমে বলিউডের ‘হি-ম্যান’ ধর্মেন্দ্রর মৃত্যুর খবর

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ককটেল বানানোর উপকরণসহ ছাত্রলীগের ৫ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার

সিলেট প্রতিনিধি
গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

সিলেটের নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের পাঁচ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার রাতে সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের কাছ থেকে ককটেল বানানোর বিভিন্ন উপকরণ জব্দ করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও উপজেলার হাঁটুভাঙা গ্রামের কাবিলুর রহমান সোহেল (২৪), পশ্চিম ফরিদপুর গ্রামের মিনহাজ উদ্দিন মাহিন (২০), পূর্ব ফরিদপুর গ্রামের সায়মন আহমদ (২০), কায়েস্তগ্রামের মুহিবুল ইসলাম কাওসার ও হবিগঞ্জের বাহুবল থানার বড়গাঁওয়ের সিজিল চৌধুরী।

পুলিশ জানায়, নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা মাইজগাঁও রেলওয়ে স্টেশন ও উপজেলা পরিষদ, শাহজালাল সারকারখানাসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ককটেল বিস্ফোরণ ও রেললাইনের স্লিপার খুলে নাশকতার পরিকল্পনা নিয়েছিল। পুলিশ সোমবার গভীর রাতে ফেঞ্চুগঞ্জ থানার কচুয়াবহর এলাকায় সিলেট-মৌলভীবাজার আঞ্চলিক সড়কে চেকপোস্ট পরিচালনা করে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক কাবিলুর রহমান সোহেলকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাতভর অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন স্থান থেকে আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে ছাত্রলীগ নেতা কাবিলুর রহমান সোহেল জানান, যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী নিউইয়র্ক যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের নির্দেশ ও অর্থায়নে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ডাকা বৃহস্পতিবার লকডাউন কর্মসূচিকে সামনে রেখে নাশকতার পরিকল্পনা নিয়েছিলেন তাঁরা। ফেঞ্চুগঞ্জে রেললাইনের স্লিপার খুলে বড় ধরনের নাশকতা করতে চেয়েছিলেন তাঁরা। এ ছাড়া উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ককটেল বিস্ফোরণ করে তাঁরা এলাকায় ভীতি সঞ্চার ও জানমালের ক্ষতি সাধনের পরিকল্পনা নিয়েছিলেন।

ফেঞ্চুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান জানান, পাঁচজনের বিরুদ্ধে নাশকতার পরিকল্পনা ও চেষ্টার অপরাধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাঁদের কাছ থেকে ককটেল তৈরির সরঞ্জাম স্কচটেপ, টোপকাটা, মারবেল, বালতিসহ বিভিন্ন ধরনের সামগ্রী জব্দ করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার তাঁদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

চার জেলায় কর্মী নেবে সিটি ব্যাংক, আবেদন শেষ ১৬ নভেম্বর

বাসা থেকে গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গের তরুণী ‘যুব মহিলা লীগের সদস্য’

বিএনপির ফাঁকা রাখা ঢাকার আসনে এনসিপির মনোনয়নপত্র নিলেন তাসনিম জারা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বাসা থেকে ছাত্রদল নেতার লাশ উদ্ধার

ভারতীয় গণমাধ্যমে বলিউডের ‘হি-ম্যান’ ধর্মেন্দ্রর মৃত্যুর খবর

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চাঁদপুরে অস্ত্রসহ ডাকাত দলের ৫ সদস্য আটক

চাঁদপুর প্রতিনিধি
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা। ছবি: সংগৃহীত
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা। ছবি: সংগৃহীত

চাঁদপুরের মোহনপুর থেকে পাঁচজনকে আটক করেছে কোস্ট গার্ড। আজ মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাতে কোস্ট গার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য জানান। আটক ব্যক্তিরা হলেন এবাদুল্লাহ গাজী (৫০), মো. আনোয়ার হোসেন (৫৫), জসিম উদ্দিন (৫০), এস এম আলমগীর (৪৫) ও মো. জোবায়ের খান (২৭)।

সিয়াম-উল-হক বলেন, গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে চাঁদপুরের মোহনপুর লঞ্চঘাট-সংলগ্ন নদীতে দীর্ঘদিন ধরে কুখ্যাত ডাকাত কিবরিয়া মিয়াজির সন্ত্রাসী গ্রুপ অস্ত্র দেখিয়ে অভ্যন্তরীণ নৌ-রুটে চলাচলরত নৌযানসমূহ থেকে চাঁদাবাজি, ডাকাতি, অপহরণসহ নানা ধরনের অপকর্ম করে আসছে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আজ সকাল ১০টায় কোস্ট গার্ড মোহনপুর আউটপোস্ট ওই এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে।

অভিযানকালে বাল্কহেডে ডাকাতির সময় ১টি বিদেশি শটগান, ১০টি তাজা গুলি, ২টি গুলির খোসা, ২টি ওয়াকিটকি, ৬টি মোবাইল ফোন, ১টি স্পিড বোট, ৮৩ হাজার টাকাসহ ডাকাত কিবরিয়া মিয়াজির পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।

জব্দ করা আলামত ও আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

সিয়াম-উল-হক আরও বলেন, অভ্যন্তরীণ নৌপথকে নিরাপদ রাখার লক্ষ্যে কোস্ট গার্ড ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

চার জেলায় কর্মী নেবে সিটি ব্যাংক, আবেদন শেষ ১৬ নভেম্বর

বাসা থেকে গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গের তরুণী ‘যুব মহিলা লীগের সদস্য’

বিএনপির ফাঁকা রাখা ঢাকার আসনে এনসিপির মনোনয়নপত্র নিলেন তাসনিম জারা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বাসা থেকে ছাত্রদল নেতার লাশ উদ্ধার

ভারতীয় গণমাধ্যমে বলিউডের ‘হি-ম্যান’ ধর্মেন্দ্রর মৃত্যুর খবর

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চোরা পথে প্রবেশের চিন্তায় আওয়ামী লীগ চক্রান্ত করছে: রিজভী

রাবি প্রতিনিধি  
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শাখা ছাত্রদলের অনুষ্ঠানে রুহুল কবির রিজভী। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শাখা ছাত্রদলের অনুষ্ঠানে রুহুল কবির রিজভী। ছবি: আজকের পত্রিকা

দেশে নাশকতা সৃষ্টি করে ভিন্ন রাজনৈতিক পরিবেশ তৈরির মাধ্যমে আওয়ামী লীগ কোনো চোরা পথে আবার প্রবেশের চিন্তায় বিভোর হয়ে চক্রান্ত করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে টিএসসিসি ভবনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আয়োজনে আলোচনা সভা হয়। সেখানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এই মন্তব্য করেন।

রিজভী বলেন, ‘১৪ শ শিশু, কিশোর ও তরুণকে হত্যা করে শেখ হাসিনা এখন নাশকতা করার জন্য ভারত থেকে অডিও বার্তা পাঠাচ্ছে। আওয়ামী লীগের তো টাকার অভাব নেই—মেট্রোরেল, পদ্মা সেতু, ফ্লাইওভার এমনকি বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮০০ কোটি টাকা রয়েছে। তারা সব টাকা নিয়ে পালাতে পারেনি, কিছু টাকা দেশে রয়ে গেছে। সেই টাকাগুলো খরচ করে দেশে নাশকতার পরিকল্পনা করছে তারা।’

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘ফ্যাসিবাদ যেখানে জন্ম নেয়, সেখানে গণতন্ত্র, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মুক্তচিন্তার কোনো জায়গা থাকে না। শেখ হাসিনা সেই ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থা কায়েম করেছিলেন, যেখানে ক্যাম্পাসগুলোতে কোনো রাজনৈতিক সহাবস্থান ছিল না। গত ১৫ বছর ছাত্রদলকে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিপীড়নের শিকার হতে হয়েছে।’

৭ নভেম্বরের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে রিজভী বলেন, ‘৭ নভেম্বরের একটি প্রেক্ষাপট আছে। জনগণ সিপাহিদের সঙ্গে মিশে একটি জনস্রোত তৈরি করেছিল। বাহাত্তরের পর থেকেই আত্মপরিচয়ের সংকট তৈরি করছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। শেখ মুজিবুর রহমান সবাইকে “বাঙালি” পরিচয়ে একীভূত করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আমাদের পাহাড়ি, সমতল, নদী, উপত্যকা এই বৈচিত্র্যময় পরিচয় কোথায় হারিয়ে যেত। জিয়াউর রহমান সেই সংকট নিরসন করে “বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ” প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে তা মুছে দিতে চেয়েছিলেন, কিন্তু পারেননি।’

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগের বুদ্ধিজীবীরা বাকশাল প্রতিষ্ঠা করে দেশের সব রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করেছিল। অথচ জিয়াউর রহমানের সময়ে এসে মানুষ তার মতপ্রকাশ ও রাজনীতি করার স্বাধীনতা ফিরে পায়। এটাই ৭ নভেম্বরের প্রকৃত তাৎপর্য ও কৃতিত্ব।’

রিজভী বলেন, ‘রাষ্ট্রক্ষমতায় গিয়ে জিয়াউর রহমান শিক্ষা, কৃষি, পররাষ্ট্রসহ বিভিন্ন খাতে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন। তাঁর সময়ের আগে দেশে মাত্র ২০ শতাংশ মানুষের অক্ষরজ্ঞান ছিল, যা তিনি অল্প সময়ের মধ্যে ৪০ শতাংশে উন্নীত করেন। তলাবিহীন ঝুড়ি হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশকে তিনি খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশে রূপ দেন।’

সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল অতীতের সব অন্যায়-জুলুমের বিরুদ্ধে সোচ্চার থেকেছে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ছাত্রদলের ১৪২ জন নেতা-কর্মী শহীদ হয়েছেন। ছাত্র সংসদ নির্বাচনে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল না এলেও এ থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে আরও শক্তভাবে এগিয়ে যেতে হবে।’

আলোচনা সভায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান আহমেদ রাহীর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক, জিয়া পরিষদের সভাপতি, জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতিসহ বিশ্ববিদ্যালয় ও স্থানীয় পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

চার জেলায় কর্মী নেবে সিটি ব্যাংক, আবেদন শেষ ১৬ নভেম্বর

বাসা থেকে গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গের তরুণী ‘যুব মহিলা লীগের সদস্য’

বিএনপির ফাঁকা রাখা ঢাকার আসনে এনসিপির মনোনয়নপত্র নিলেন তাসনিম জারা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বাসা থেকে ছাত্রদল নেতার লাশ উদ্ধার

ভারতীয় গণমাধ্যমে বলিউডের ‘হি-ম্যান’ ধর্মেন্দ্রর মৃত্যুর খবর

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত