Ajker Patrika

শুরু হচ্ছে বাইডেনের জলবায়ু সম্মেলন, যোগ দেবেন শেখ হাসিনা

আপডেট : ২২ এপ্রিল ২০২১, ১৭: ০১
শুরু হচ্ছে বাইডেনের জলবায়ু সম্মেলন, যোগ দেবেন শেখ হাসিনা

ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক ভার্চ্যুয়াল সম্মেলনে অংশ নেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৪০ রাষ্ট্রপ্রধান। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় আজ বৃহস্পতিবার এবং আগামীকাল শুক্রবার হোয়াইট হাউসে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

এই সম্মেলনে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মের্কেল, সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারো, ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান, সংযুক্ত আরব আমিরাতের শাসক শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ান, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন প্রমুখকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বাইডেন।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও বাইডেনের এই জলবায়ু সম্মেলনে আমন্ত্রণ পেয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং।

আগামী নভেম্বরে স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে জাতিসংঘ আয়োজিত পরবর্তী জলবায়ু পরিবর্তনসংক্রান্ত সম্মেলন (কপ–২৬) অনুষ্ঠিত হবে। তার আগে বাইডেনের এই সম্মেলন জলবায়ু ইস্যুতে অগ্রযাত্রার পথে মাইলফলক হয়ে থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ধারণা করা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র জলবায়ু সম্মেলনে একটি হালনাগাদ কার্বন নিয়ন্ত্রণ প্রতিশ্রুতি প্রকাশ করবে। তাতে ২০৩০ সালের মধ্যে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের মাত্রা অর্ধেকে নামিয়ে আনার কথা বলা হতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করার প্রথম দিনেই জলবায়ু ইস্যুতে গুরুত্ব আরোপ করার কথা বলেন জো বাইডেন। ক্ষমতা গ্রহণের পরই তিনি প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে পুনঃরায় যোগ দেন। তখন তিনি ঘোষণা দেন যে, আগামী ২২ এপ্রিল বিশ্ব ধরিত্রী দিবসে ৪০ দেশের প্রধানকে নিয়ে জলবায়ু সম্মেলন করবেন।

এই সম্মেলনের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের মুখোমুখি হচ্ছেন জো বাইডেন।

চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বিভিন্ন ইস্যুতে বিরোধ থাকলেও গত সপ্তাহে জলাবায়ু পরিবর্তন নিয়ে দুই দেশ এক সঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

এ নিয়ে বাইডেন প্রশাসনের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, উভয় দেশই জলবায়ু পরিবর্তনকে দুর্যোগ হিসেবে দেখছে। ২০২০–এর দশকে উভয় দেশেরই জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে একটা পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করে।

তবে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় পদক্ষেপ নিতে গড়িমসি করা দেশগুলোর ব্যাপারেও বাইডেন প্রশাসন কার্যকর ভূমিকা রাখতে চায়।

এর আগে অস্ট্রেলিয়া এবং ব্রাজিল জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে নিষ্ক্রিয়তা দেখিয়েছে। তখন তারা ট্রাম্পের সমর্থনও পেয়েছিল।

এ নিয়ে বাইডেন প্রশাসনের এক কর্মকর্তা বলেন, এই  মুহূর্তে অস্ট্রেলিয়ার দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিবর্তন আসতে হবে। ব্রাজিলের বিষয়ে এই কর্মকর্তা বলেন, সব দেশের প্রতি প্রত্যাশা থাকবে, জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে অবিলম্বে একটি লক্ষ্য স্থির করতে হবে।

এদিকে উন্নয়নশীল দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্রকে তাদের কার্বন নিঃসরণ অর্ধেকের বেশি কমিয়ে আনার আহ্বান জানিয়েছে। এতে অন্যরা উৎসাহিত হবে বলে বিশ্বাস করে তারা।

বাংলাদেশ পরিবেশ সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি ও ক্লাইমেট নেগোসিয়েটর কামরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন,  ২০৩০-এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কার্বণের নিঃসরণ ৫৫ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে হবে, যাতে অন্যান্য দেশ লক্ষ্য নির্ধারণে উচ্চাকাঙ্ক্ষী হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত