অনলাইন ডেস্ক
দেড় বছর পর দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলেছে। শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে শিক্ষা প্রাঙ্গণগুলো। কিন্তু এখনো খাঁ খাঁ করছে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। প্রাক-প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের সশরীরে ক্লাস আপাতত বন্ধই থাকছে। ফলে শিক্ষার্থীদের ছাড়া নিষ্প্রাণ স্কুলের প্রাক-প্রাথমিকের কক্ষ। বেসরকারিভাবে পরিচালিত কিন্ডারগার্টেনগুলো অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। শহর বা গ্রাম—সবখানেই কিন্ডারগার্টেন প্রতিষ্ঠানগুলো রয়েছে সবচেয়ে বিপাকে। করোনাকালে দেশজুড়ে বহু কিন্ডারগার্টেন বন্ধই হয়ে গেছে।
করোনায় বহু শিক্ষার্থী বিভিন্ন পর্যায় থেকে ঝরে পড়েছে। কিন্তু কোন পর্যায় থেকে কত শিক্ষার্থী ঝরে গেল, তাদের ফিরে আসার সম্ভাবনা কতটুকু, তা পূর্ণাঙ্গ জরিপ ছাড়া বলা সম্ভব নয়। এরই মধ্যে কিছু অঞ্চলে এমন কিছু জরিপকাজ শুরুও হয়েছে। তবে মাঠপর্যায় থেকে এরই মধ্যে কিছু কিছু তথ্য আসতে শুরু করেছে, যা শঙ্কা তৈরি করছে।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর কিন্ডারগার্টেন ব্যবসায় ধস নেমেছে বলে জানিয়েছেন আজকের পত্রিকার খুলনা প্রতিনিধি শামিমুজ্জামান। তিনি জানান, অনেকেই বাড়ি ভাড়া দিতে না পেরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সরঞ্জাম বিক্রি করে ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছে। স্কুলগুলো ঠিকমতো না চলার কারণে অনেকেই শিক্ষকতা পেশা পরিবর্তন করেছেন।
২০২০ সালের ১৮ মার্চ সারা দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। করোনা সংক্রমণের মাত্রা কিছুটা কমে এলে সরকার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নেয়। গত ১২ সেপ্টেম্বর সারা দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। কিন্তু প্রাক-প্রাথমিক পর্যায় এখনো বন্ধ রয়েছে। সরকারি এই নির্দেশনা কিন্ডারগার্টেন প্রতিষ্ঠানগুলো মানলেও কোচিং সেন্টারগুলো মানছে না। এতে আরও বেশি বিপাকে পড়ছে কিন্ডারগার্টেনের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা।
খুলনা শহরের সানফ্লাওয়ার কিন্ডারগার্টেন স্কুলের বাংলা মাধ্যমের শিক্ষক মেঘনা আক্তার বলেন, আগামী রোববার থেকে সপ্তাহে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির ক্লাস চালু হবে। প্লে, নার্সারি ও কেজি শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বিষয়ে এখনো কোনো নির্দেশনা আসেনি। বাচ্চারা স্কুলে না এলেও তারা নিয়মিত কোচিং সেন্টারে ক্লাস করছে। তা ছাড়া বাচ্চাদের একটি বড় অংশ গ্রামে চলে গেছে। বাচ্চাদের অভিভাবকেরা নিয়মিত ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করছেন। করোনাকালে অনলাইনের মাধ্যমে ক্লাস নেওয়া হলেও অনেকে আর্থিক কারণে শিক্ষা কার্যক্রম চালাতে পারেনি।
বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশন খুলনা অঞ্চলের সাধারণ সম্পাদক ও অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল কিন্ডারগার্টেনের পরিচালক এস এম ইকবাল হোসেন তুহিন বলেন, সরকারি নিয়ম মোতাবেক দুই ঘণ্টা শিক্ষা কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। প্লে থেকে কেজি শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য স্কুল বন্ধ। মূলত কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলো এ তিন শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ওপর নির্ভর করে চলে। স্কুলগুলো বন্ধ বলে সব শিক্ষার্থী কোচিং সেন্টারে ভিড় করছে। ফলে কিন্ডারগার্টেনগুলো বন্ধ হয়ে যাবে। কোচিং সেন্টারগুলো যদি তাদের কার্যক্রম চালতে পারে তাহলে আমরা পারব না কেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হয়ে গেলে এর সঙ্গে জড়িতরা বেকার হয়ে যাবে। অনেকে তাদের পেশা পরিবর্তন করে এরই মধ্যে অন্য পেশায় যোগ দিয়েছেন। আবার অনেকেই বাড়ি ভাড়া দিতে না পেরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সরঞ্জাম বিক্রি করে দিয়েছেন।
মৌলভীবাজার শহর, সদর উপজেলার একাটুনা ও আখাইলকুড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরেজমিনে দেখা যায়, অন্যান্য শ্রেণির পাঠদান চললেও প্রাক-প্রাথমিকের কক্ষ নিষ্প্রাণ পড়ে আছে। বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা উপকরণ, অক্ষর ও বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলার সামগ্রী দিয়ে সাজানো এসব কক্ষ।
শিক্ষকদের বরাত দিয়ে মৌলভীবাজার প্রতিনিধি আবদুর রব জানান, মূলত শিশুদের আনন্দময় শিক্ষার জন্য এমন আয়োজন। তাদের শিক্ষাজীবনের প্রথম ধাপ হিসেবে প্রাক-প্রাথমিকের কক্ষকে বিশেষভাবে সাজানো হয়েছে।
জুমাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক জলি রাউৎ বলেন, ছোট ছোট শিশুরা স্কুলে এলে আমাদের ভালো লাগে। তাদের মূলত খেলাধুলার মধ্য দিয়ে অক্ষরগুলোর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। বর্তমান পরিস্থিতির কারণে তারা আসছে না। আমরা আশাবাদী শিগগিরই তারা স্কুলে ফিরবে।
এ বিষয়ে কথা হয় কয়েকজন অভিভাবকের সঙ্গে। তাঁরা জানান, বাচ্চারা স্কুলে যেতে আগ্রহী। বাড়ির পাশে স্কুল বলে স্কুলের পাশে এসে ঘুরে যায়। তারা খেলাধুলাকে মিস করে। করোনার এই সময়ে এই ছোট বাচ্চারা স্কুলে না যাওয়াই ভালো। ছোট বাচ্চাদের স্কুলে না পাঠানোর সরকারি এ সিদ্ধান্ত সঠিক।
রায়পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক পঙ্কজ সূত্রধর জানান প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্বাভাবিক নিয়মে পাঠদান শুরু হলে প্রাক-প্রাথমিক স্তরের শিশুদের বিদ্যালয়ে আনা হবে। এদের নির্ধারিত কোনো বই নেই। আপাতত বাড়ি বসে খোলার ছলে পড়ালেখা করছে তারা।
তবে অভিযোগ আছে কিন্ডারগার্টেনগুলো বন্ধ থাকলেও ছোট শিশুরা ঠিকই কোচিং সেন্টারে যাচ্ছে। এতে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে কিন্ডারগার্টেনের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের। কারণ, বহু কিন্ডারগার্টেন এরই মধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে। অনেকগুলো বন্ধের পথে। অনেকেই শিক্ষা উপকরণসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম বিক্রি করে রীতিমতো পেশা বদলে নিয়েছেন। এভাবে চললে বহু মানুষ বেকার হয়ে পড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় মহাসচিব জি এম জাহাঙ্গীর কবির বলেন, কিন্ডারগার্টেনগুলোর পেছনে সরকারের কোনো অর্থ ব্যয় করতে হয় না। এ স্কুলগুলো বন্ধ হয়ে গেলে সরকারকে এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের জন্য আরও অতিরিক্ত ২৫ হাজার বিদ্যালয় নির্মাণ করতে হবে। এ পেশার সঙ্গে জড়িতদের চাকরির ব্যবস্থা করতে হবে। এ প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ না করে আর্থিক প্রণোদনার অনুরোধ করছি আমরা।
দেড় বছর পর দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলেছে। শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে শিক্ষা প্রাঙ্গণগুলো। কিন্তু এখনো খাঁ খাঁ করছে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। প্রাক-প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের সশরীরে ক্লাস আপাতত বন্ধই থাকছে। ফলে শিক্ষার্থীদের ছাড়া নিষ্প্রাণ স্কুলের প্রাক-প্রাথমিকের কক্ষ। বেসরকারিভাবে পরিচালিত কিন্ডারগার্টেনগুলো অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। শহর বা গ্রাম—সবখানেই কিন্ডারগার্টেন প্রতিষ্ঠানগুলো রয়েছে সবচেয়ে বিপাকে। করোনাকালে দেশজুড়ে বহু কিন্ডারগার্টেন বন্ধই হয়ে গেছে।
করোনায় বহু শিক্ষার্থী বিভিন্ন পর্যায় থেকে ঝরে পড়েছে। কিন্তু কোন পর্যায় থেকে কত শিক্ষার্থী ঝরে গেল, তাদের ফিরে আসার সম্ভাবনা কতটুকু, তা পূর্ণাঙ্গ জরিপ ছাড়া বলা সম্ভব নয়। এরই মধ্যে কিছু অঞ্চলে এমন কিছু জরিপকাজ শুরুও হয়েছে। তবে মাঠপর্যায় থেকে এরই মধ্যে কিছু কিছু তথ্য আসতে শুরু করেছে, যা শঙ্কা তৈরি করছে।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর কিন্ডারগার্টেন ব্যবসায় ধস নেমেছে বলে জানিয়েছেন আজকের পত্রিকার খুলনা প্রতিনিধি শামিমুজ্জামান। তিনি জানান, অনেকেই বাড়ি ভাড়া দিতে না পেরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সরঞ্জাম বিক্রি করে ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছে। স্কুলগুলো ঠিকমতো না চলার কারণে অনেকেই শিক্ষকতা পেশা পরিবর্তন করেছেন।
২০২০ সালের ১৮ মার্চ সারা দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। করোনা সংক্রমণের মাত্রা কিছুটা কমে এলে সরকার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নেয়। গত ১২ সেপ্টেম্বর সারা দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। কিন্তু প্রাক-প্রাথমিক পর্যায় এখনো বন্ধ রয়েছে। সরকারি এই নির্দেশনা কিন্ডারগার্টেন প্রতিষ্ঠানগুলো মানলেও কোচিং সেন্টারগুলো মানছে না। এতে আরও বেশি বিপাকে পড়ছে কিন্ডারগার্টেনের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা।
খুলনা শহরের সানফ্লাওয়ার কিন্ডারগার্টেন স্কুলের বাংলা মাধ্যমের শিক্ষক মেঘনা আক্তার বলেন, আগামী রোববার থেকে সপ্তাহে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির ক্লাস চালু হবে। প্লে, নার্সারি ও কেজি শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বিষয়ে এখনো কোনো নির্দেশনা আসেনি। বাচ্চারা স্কুলে না এলেও তারা নিয়মিত কোচিং সেন্টারে ক্লাস করছে। তা ছাড়া বাচ্চাদের একটি বড় অংশ গ্রামে চলে গেছে। বাচ্চাদের অভিভাবকেরা নিয়মিত ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করছেন। করোনাকালে অনলাইনের মাধ্যমে ক্লাস নেওয়া হলেও অনেকে আর্থিক কারণে শিক্ষা কার্যক্রম চালাতে পারেনি।
বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশন খুলনা অঞ্চলের সাধারণ সম্পাদক ও অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল কিন্ডারগার্টেনের পরিচালক এস এম ইকবাল হোসেন তুহিন বলেন, সরকারি নিয়ম মোতাবেক দুই ঘণ্টা শিক্ষা কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। প্লে থেকে কেজি শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য স্কুল বন্ধ। মূলত কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলো এ তিন শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ওপর নির্ভর করে চলে। স্কুলগুলো বন্ধ বলে সব শিক্ষার্থী কোচিং সেন্টারে ভিড় করছে। ফলে কিন্ডারগার্টেনগুলো বন্ধ হয়ে যাবে। কোচিং সেন্টারগুলো যদি তাদের কার্যক্রম চালতে পারে তাহলে আমরা পারব না কেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হয়ে গেলে এর সঙ্গে জড়িতরা বেকার হয়ে যাবে। অনেকে তাদের পেশা পরিবর্তন করে এরই মধ্যে অন্য পেশায় যোগ দিয়েছেন। আবার অনেকেই বাড়ি ভাড়া দিতে না পেরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সরঞ্জাম বিক্রি করে দিয়েছেন।
মৌলভীবাজার শহর, সদর উপজেলার একাটুনা ও আখাইলকুড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরেজমিনে দেখা যায়, অন্যান্য শ্রেণির পাঠদান চললেও প্রাক-প্রাথমিকের কক্ষ নিষ্প্রাণ পড়ে আছে। বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা উপকরণ, অক্ষর ও বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলার সামগ্রী দিয়ে সাজানো এসব কক্ষ।
শিক্ষকদের বরাত দিয়ে মৌলভীবাজার প্রতিনিধি আবদুর রব জানান, মূলত শিশুদের আনন্দময় শিক্ষার জন্য এমন আয়োজন। তাদের শিক্ষাজীবনের প্রথম ধাপ হিসেবে প্রাক-প্রাথমিকের কক্ষকে বিশেষভাবে সাজানো হয়েছে।
জুমাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক জলি রাউৎ বলেন, ছোট ছোট শিশুরা স্কুলে এলে আমাদের ভালো লাগে। তাদের মূলত খেলাধুলার মধ্য দিয়ে অক্ষরগুলোর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। বর্তমান পরিস্থিতির কারণে তারা আসছে না। আমরা আশাবাদী শিগগিরই তারা স্কুলে ফিরবে।
এ বিষয়ে কথা হয় কয়েকজন অভিভাবকের সঙ্গে। তাঁরা জানান, বাচ্চারা স্কুলে যেতে আগ্রহী। বাড়ির পাশে স্কুল বলে স্কুলের পাশে এসে ঘুরে যায়। তারা খেলাধুলাকে মিস করে। করোনার এই সময়ে এই ছোট বাচ্চারা স্কুলে না যাওয়াই ভালো। ছোট বাচ্চাদের স্কুলে না পাঠানোর সরকারি এ সিদ্ধান্ত সঠিক।
রায়পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক পঙ্কজ সূত্রধর জানান প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্বাভাবিক নিয়মে পাঠদান শুরু হলে প্রাক-প্রাথমিক স্তরের শিশুদের বিদ্যালয়ে আনা হবে। এদের নির্ধারিত কোনো বই নেই। আপাতত বাড়ি বসে খোলার ছলে পড়ালেখা করছে তারা।
তবে অভিযোগ আছে কিন্ডারগার্টেনগুলো বন্ধ থাকলেও ছোট শিশুরা ঠিকই কোচিং সেন্টারে যাচ্ছে। এতে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে কিন্ডারগার্টেনের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের। কারণ, বহু কিন্ডারগার্টেন এরই মধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে। অনেকগুলো বন্ধের পথে। অনেকেই শিক্ষা উপকরণসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম বিক্রি করে রীতিমতো পেশা বদলে নিয়েছেন। এভাবে চললে বহু মানুষ বেকার হয়ে পড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় মহাসচিব জি এম জাহাঙ্গীর কবির বলেন, কিন্ডারগার্টেনগুলোর পেছনে সরকারের কোনো অর্থ ব্যয় করতে হয় না। এ স্কুলগুলো বন্ধ হয়ে গেলে সরকারকে এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের জন্য আরও অতিরিক্ত ২৫ হাজার বিদ্যালয় নির্মাণ করতে হবে। এ পেশার সঙ্গে জড়িতদের চাকরির ব্যবস্থা করতে হবে। এ প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ না করে আর্থিক প্রণোদনার অনুরোধ করছি আমরা।
ঘন কুয়াশার কারণে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত ১২টা থেকে এই পথে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। আজ শনিবার সকাল ৯টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল।
১ ঘণ্টা আগেমাদারীপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে পাঁচজন আহত হয়েছেন। এ সময় বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মাদারীপুর সদর উপজেলার রাস্তি ইউনিয়নের পূর্ব রাস্তি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে প্রধান শিক্ষক ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে চলছে ১১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা। প্রধান শিক্ষকবিহীন এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে। অভিযোগ রয়েছে, যেসব ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হচ্ছে, তাঁদের অনেকেরই প্রধান শিক্ষক হওয়ার যোগ
৯ ঘণ্টা আগেদুই দশক কিছুটা শান্ত থাকার পর কুড়িগ্রামের চিলমারী-রৌমারী-রাজিবপুর নৌপথে আবার ডাকাতের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। এক মাসের ব্যবধানে দুবার ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ দুই ঘটনায় আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রতিরোধেও কার্যকর উদ্যোগ নেই স্থানীয় প্রশাসনের। আবার ডাকাতি শুরু হওয়ায় ১৪ কিলোমিটার এই নৌপথের নৌযান, যাত্রী
৯ ঘণ্টা আগে